https://jamunabankbd.com/

ভোলা

ভোলার মেঘনায় ঝাঁকে ঝাঁকে উঠছে পোয়া মাছ

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:২৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ভোলার মেঘনায় ঝাঁকে ঝাঁকে উঠছে পোয়া মাছ

ভোলার মেঘনা নদীতে শীতের হাওয়া লাগতেই ইলিশ কমে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে পোয়া মাছ। জেলেদের জালে ইলিশ মিলছে হাতে গোনা। ঘাটে কেনাবেচায় দাম কম হলেও বাজারে এসব পোয়া দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল শনিবার তজুমদ্দিন উপজেলার চর জহিরুদ্দিন ও আজ রোববার ভোলা সদর উপজেলার মাছঘাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ভোলা জেলা মৎস্য কার্যালয়ের তথ্যমতে, পোয়া মাছকে স্থানীয়ভাবে ‘পোয়া’ বা ‘পামা’ নামেও ডাকা হয়। বড় পোয়া মাছের বায়ুথলি শুকিয়ে ওষুধ তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়, এ কারণে এর বিশেষ মূল্যও আছে।

জেলেদের ভাষ্য, ১০ থেকে ১৫ দিন ধরে মেঘনার মধ্যবর্তী চরের আশপাশে পোয়া বেশি পড়ছে। এলাকাগুলোর মধ্যে আছে বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাকিমউদ্দিনসংলগ্ন চর, দৌলতখান উপজেলার পাতারখাল ও হাজিপুর চর, তজুমদ্দিন উপজেলার চর রায়াহান, চরমোজাম্মেল, চর জহিরুদ্দিন এবং মনপুরা উপজেলার কলাতলী।

এই দুই দিনে দেখা যায় চর জহিরুদ্দিনের বিভিন্ন ঘাটে বর্ষার মতো সরগরম পরিবেশ। জেলেদের নৌকায় মিলছে ঝুড়ি ঝুড়ি পোয়া। সঙ্গে মিলছে কিছু ছোট ইলিশ ও দু-একটি পাঙাশ। মাছ বেশি থাকায় জেলেদের মনে বেশ আনন্দ। তাঁদের কয়েকজনের মুঠোফোনে বাজছিল গান। মাছ বেশি থাকার কারণে ঘাটসংলগ্ন বাজারেও ব্যস্ততা বেড়েছে। কুলি ও আড়তদারদের কমিশনও বেড়েছে।

চর জহিরুদ্দিনের ‘বরিশাল মাছঘাট’-এর ব্যবসায়ী মজিবল হক হাওলাদার বলেন, নৌকাবাসী মানতা সম্প্রদায়ের জেলেরা বাওয়া-পোয়া জালে প্রচুর ছোট সাদা পোয়া শিকার করছেন। একেক জেলে এক থেকে দেড় মণ পর্যন্ত পোয়া পাচ্ছেন। ঘাটে এসব মাছ মণপ্রতি (৪০ কেজি) ৬ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত দরে কেনাবেচা হচ্ছে।

গতকাল বিকেলে জেলে বাহাদুর মাঝি ৫ হাজার ৪০০ টাকার মাছ বিক্রি করেছেন। কামাল মাঝির বিক্রি হয়েছে ১০ হাজার ৯০ ও মিরাজ মাঝির ৫ হাজার ৬০০ টাকার মাছ। গত শুক্রবার নুরে আলম ২৬ হাজার ২৫৫ ও দুলাল পাটওয়ারী ৪০ হাজার ১১৫ টাকার মাছ বিক্রি করেছেন। ব্যবসায়ী সেলিম ব্যাপারী জানান, ঢাকার বাজারে এসব পোয়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ভোলার চড়ারমাথা, লালমোহনের বাত্তিরখাল ও ঢালচরের আড়তদারেরা বলেন, নৌকাবাসী মানতা সম্প্রদায়ের জেলেরা নদীর মাছের গতি বুঝে জাল ফেলেন। শীতের শুরুতে পোয়া, তাপসী, বোয়াল, পাঙাশ ও বড় কোরাল ধরা পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে এসব মাছ ধরার জন্য আলাদা জাল লাগে—ইলিশের জালে এগুলো কম ধরা পড়ে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গত ২৫ অক্টোবর থেকে জেলেরা মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে নেমেছেন। ইলিশের চেয়ে অন্য মাছই বেশি ধরা পড়ছে। কয়েক দিন বড় বড় পাঙাশ মিললেও এখন আবার পোয়া মাছে ভরপুর। এতে জেলেরা নতুন করে আশাবাদী হচ্ছেন।

আরও পড়ুন:

লালমোহনে নিখোঁজ জেলেদের পরিবারকে বিএনপির আর্থিক অনুদান

মাসুম বিল্লাহ, লালমোহন

মাসুম বিল্লাহ, লালমোহন

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৮

প্রিন্ট এন্ড সেভ

লালমোহনে নিখোঁজ জেলেদের পরিবারকে বিএনপির আর্থিক অনুদান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের (বীরবিক্রম) পক্ষ থেকে ভোলার লালমোহন উপজেলার নিখোঁজ ১৩ জেলের পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দলিল মাস্টার বাজার এলাকায় নিখোঁজ প্রত্যেক জেলের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে এই এই অনুদান প্রদান করা হয়।

এ সময় লালমোহন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহরুখ হাফিজ ডিকো, উপজেলার বিএনপির সভাপতি মো. জাফর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বাবুল, সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. ফরিদ উদ্দিন, সফিউল্লাহ হাওলাদার, পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ছাদেক মিয়া জান্টু, উপজেলা যুবদলের সভাপতি শাহিনুল ইসলাম কবির হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক কাজী হাসানুজ্জামান, ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন পশ্চিম শাখা বিএনপির সভাপতি মো. নসু মেম্বারসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

গত ১০ নভেম্বর ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দলিল মাস্টার বাজার এলাকা থেকে ৮ জন ও একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাতিরখাল মৎস্যঘাট এলাকা থেকে ৫ জনসহ মোট ১৩ জন জেলে সাগরে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। তবে যাত্রার ৬ দিনের মাথায় তাদের ফেরার কথা থাকলেও ১৭ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে ওইসব জেলে পরিবারগুলোতে।

জেলের জালে রাজা ইলিশ, এক মাছের দাম ৮ হাজার দুইশ

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:৩৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

জেলের জালে রাজা ইলিশ, এক মাছের দাম ৮ হাজার দুইশ

মেঘনায় জেলের জেলে ধরা পরেছে রাজা ইলিশ। মাছটির ওজন ২ কেজি ৭৫ গ্রাম। ইলিশটি নিলামে ৮ হাজার দুইশত টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকালে তুলাতলি মৎস্যঘা‌টে আসলাম গোলদা‌রের আড়‌তে রাজা ইলিশ‌টি বি‌ক্রি হয়।

আড়তের ম্যানেজার শরিফ হোসেন জানান, সকালের দি‌কে ভোলা সদর উপজেলার কা‌চিয়া ইউনিয়‌নের জে‌লে মো. মনিরুল ইসলাম মা‌ঝিসহ তার সঙ্গী ইলিশ শিকার করছিলেন। মেঘনার তুলাতলি ও মদনপুরের মাঝামাঝি নদীতে তা‌দের জা‌লে উঠে আসে রাজা ইলিশ‌টি। ওই এলাকার জেলেরা বড় ইলিশকে রাজা ইলিশ ব‌লে থাকেন।

তুলাতলি ঘাটের ইউনুছ ব্যাপারী জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই আড়তে ইলিশটি বিক্রি করতে নিয়ে আসেন জেলেরা। পরে তুলাতলি ঘাটের আড়তদার, মৎস্য ব‌্যবসায়ী ও খুচরা ক্রেতাদের উপ‌স্থি‌তি‌তে মাছ নিলামে (ডাক) বিক্রি করা হয়। স‌র্ব্বোচ ৮ হাজার ২ শত টাকা দাম ধরে ইলিশটি কিনে নেন আড়তদার মো. জ‌সিম উদ্দিন ব্যাপারী।

জসিম ব্যাপারী জানান, ব‌রিশাল ও ঢাকার পাইকারি আড়তে বড় সাইজের ইলি‌শের চা‌হিদা অনেক বেশি। বড় সাইজের ইলিশ হলে তাদের কাছে দাম ব্যাপার না। তাই তি‌নি এত বেশি দাম দি‌য়ে মাছটি ক্রয় করেছে। বরিশাল বা ঢাকার পাইকারি আড়তে এই ইলিশ‌টি ৯ থে‌কে সা‌ড়ে ৯ হাজার টাকা বি‌ক্রির আশা তার।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন জানান, প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে ইলিশের প্রজনন মৌসুম সফল হওয়ায় নদীতে বড় সাইজের ইলিশ প্রায়ই পাওয়া যাচ্ছে। ইলিশ মাছ সারাবছরই ডিম ছাড়ার জন‌্য সাগর থে‌কে নদী‌তে আসে। ত‌বে বে‌শি ডিম ছাড়ে অক্টোবর থে‌কে নভেম্বর মা‌সে। ওই ইলিশ‌টি সাগর থে‌কে ডিম ছাড়ার জন্য উঠে আস‌ছে। প‌রে তুলাতলি মাছ ঘাটের জেলেদের জা‌লে ধরা প‌রে‌ছে।

লালমোহনে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন

মাসুম বিল্লাহ, লালমোহন

মাসুম বিল্লাহ, লালমোহন

২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২১:৩৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

লালমোহনে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন

‘দেশীয় জাত, আধুনিক প্রযুক্তি: প্রাণিসম্পদে হবে উন্নতি’ এই প্রতিপাদ্যে ভোলার লালমোহন উপজেলায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার সকালে পৌরসভার হেলিপ্যাড মাঠে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর এবং ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আজিজ। পরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উপলক্ষ্যে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া প্রদর্শনীতে বিভিন্ন স্টলে খামারিরা তাদের গবাদি পশু ও পাখি প্রদর্শণ করেন। অতিথিরা সেসব স্টল পরিদর্শন করেন।

লালমোহন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে এবং উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রকিবুল হাসান নিটোলের সঞ্চালনায় এ সময় ওসি (তদন্ত) মো. মাসুদ হাওলাদার, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলী আহমদ আখন্দ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা খলিলুর রহমান ইমন, নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সোহেল মাহমুদ, উপজেলা পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা বাহালুল কবির খানসহ বিভিন্ন খামারিরা উপস্থিত ছিলেন।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.