২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:৪৬
রংপুরের তারাগঞ্জে ভূমি অফিসের সহায়ক রশিদুজ্জামান বিপ্লবের ঘুষ নেওয়ার ভিডিও জিম্মি করে চাঁদাবাজির অভিযোগকে ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাল্টাপাল্টি বিবৃতিতে মুখোমুখি অবস্থানে গেছে ছাত্রদল ও জামায়াত। ইতোমধ্যে অভিযুক্ত কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি করেছে প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহায়ক বিপ্লব দীর্ঘদিন ধরে সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ নিতেন। তার ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ধারণ করেন এক সেবাপ্রার্থী। পরে ওই ভিডিও রাজনৈতিক দলের কিছু নেতাকর্মীর হাতে যায়। তারা ভিডিও জিম্মি করে বিপ্লবের কাছে চাঁদা দাবি করেন।
অভিযুক্ত বিপ্লব অভিযোগ করে বলেন, আমার কাছে দুই লাখ টাকা চাওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ৪৭ হাজার টাকা দিয়েছি। ফরিদুল, রনি, সিয়ামসহ কয়েকজন রাজনৈতিক, ছাত্র-সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে টাকা নেয়।
ঘুষ নেওয়ার ভিডিওতে দেখা যায়, এক সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে তিনি ঘুষ নেন। টাকার পরিমাণ কম হওয়ায় সেবাগ্রহীতাকে বিপ্লব বলেন, ‘এটা কি দিলা, স্যারেরটা স্যারোক দিবা না।’
সেবাগ্রহীতা বলেন, স্যারকে তো দিছি, আর কতগুলা দিব। তখন বিপ্লব বলেন, ‘উনাক (কর্মকর্তাকে) আরও ৫০০ দিতে হবে। আমি তো ৫০০’র নিচে করি না। আরও ২০০ দিয়া ঝামেলা মারি দিয়া চলি যা।’
এ ঘটনার পর ২৩ সেপ্টেম্বর তারাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আহ্বায়ক সদস্য মেজবাউল হাসান খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভূমি অফিসের সহায়ক বিপ্লবের কাছে ছাত্রদলের নাম ভাঙিয়ে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজি করেছে। এতে সাধারণ মানুষের কাছে ছাত্রদলের নাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। দ্রুত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন কাজল বলেন, ছাত্রদলের নাম ভাঙিয়ে জামায়াত-শিবিরের নেতারা টাকা নিয়েছে। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে। এজন্য আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছি।
তবে ওই বিবৃতিকে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে ২৪ সেপ্টেম্বর পাল্টা বিবৃতি দেয় জামায়াতে ইসলামী তারাগঞ্জ উপজেলা শাখা। সেখানে বলা হয়, ছাত্রদলের বিবৃতি হাস্যকর, আজগুবি ও ভিত্তিহীন। এর সঙ্গে জামায়াত বা ছাত্রশিবিরের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির এস. এম. আলমগীর হোসেন বলেন, ছাত্রদল মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাদের সংগঠনকে ঘায়েল করতে চাইছে। এ ধরণের ঘটনা সহ্য করা হবে না। আমরা এটি কঠোরভাবে তা রুখে দেব। আমরা এ ঘটনায় স্পষ্টভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছি।
এ প্রসঙ্গে তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল রানা বলেন, ঘটনাটি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত কর্মচারী রশিদুজ্জামান বিপ্লবকে মিঠাপুকুর উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বদলি করা হয়েছে।
রংপুরের তারাগঞ্জে ভূমি অফিসের সহায়ক রশিদুজ্জামান বিপ্লবের ঘুষ নেওয়ার ভিডিও জিম্মি করে চাঁদাবাজির অভিযোগকে ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাল্টাপাল্টি বিবৃতিতে মুখোমুখি অবস্থানে গেছে ছাত্রদল ও জামায়াত। ইতোমধ্যে অভিযুক্ত কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি করেছে প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহায়ক বিপ্লব দীর্ঘদিন ধরে সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ নিতেন। তার ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ধারণ করেন এক সেবাপ্রার্থী। পরে ওই ভিডিও রাজনৈতিক দলের কিছু নেতাকর্মীর হাতে যায়। তারা ভিডিও জিম্মি করে বিপ্লবের কাছে চাঁদা দাবি করেন।
অভিযুক্ত বিপ্লব অভিযোগ করে বলেন, আমার কাছে দুই লাখ টাকা চাওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ৪৭ হাজার টাকা দিয়েছি। ফরিদুল, রনি, সিয়ামসহ কয়েকজন রাজনৈতিক, ছাত্র-সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে টাকা নেয়।
ঘুষ নেওয়ার ভিডিওতে দেখা যায়, এক সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে তিনি ঘুষ নেন। টাকার পরিমাণ কম হওয়ায় সেবাগ্রহীতাকে বিপ্লব বলেন, ‘এটা কি দিলা, স্যারেরটা স্যারোক দিবা না।’
সেবাগ্রহীতা বলেন, স্যারকে তো দিছি, আর কতগুলা দিব। তখন বিপ্লব বলেন, ‘উনাক (কর্মকর্তাকে) আরও ৫০০ দিতে হবে। আমি তো ৫০০’র নিচে করি না। আরও ২০০ দিয়া ঝামেলা মারি দিয়া চলি যা।’
এ ঘটনার পর ২৩ সেপ্টেম্বর তারাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আহ্বায়ক সদস্য মেজবাউল হাসান খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভূমি অফিসের সহায়ক বিপ্লবের কাছে ছাত্রদলের নাম ভাঙিয়ে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজি করেছে। এতে সাধারণ মানুষের কাছে ছাত্রদলের নাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। দ্রুত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন কাজল বলেন, ছাত্রদলের নাম ভাঙিয়ে জামায়াত-শিবিরের নেতারা টাকা নিয়েছে। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে। এজন্য আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছি।
তবে ওই বিবৃতিকে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে ২৪ সেপ্টেম্বর পাল্টা বিবৃতি দেয় জামায়াতে ইসলামী তারাগঞ্জ উপজেলা শাখা। সেখানে বলা হয়, ছাত্রদলের বিবৃতি হাস্যকর, আজগুবি ও ভিত্তিহীন। এর সঙ্গে জামায়াত বা ছাত্রশিবিরের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির এস. এম. আলমগীর হোসেন বলেন, ছাত্রদল মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাদের সংগঠনকে ঘায়েল করতে চাইছে। এ ধরণের ঘটনা সহ্য করা হবে না। আমরা এটি কঠোরভাবে তা রুখে দেব। আমরা এ ঘটনায় স্পষ্টভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছি।
এ প্রসঙ্গে তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল রানা বলেন, ঘটনাটি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত কর্মচারী রশিদুজ্জামান বিপ্লবকে মিঠাপুকুর উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বদলি করা হয়েছে।
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৬
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩৮
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:৪৩
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:৫৫
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩৮
ফরিদপুরের মধুখালীতে ছাগল চোরের হেদায়েতের জন্য চুরির দুই মাস পর মসজিদ প্রাঙ্গণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছেন এক ছাগলের মালিক। চোরকে খুঁজে বের করা বা আইনি ব্যবস্থার চেষ্টা না করে চোরের হেদায়েতের জন্য গতকাল শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তিনি।
চুরি যাওয়া ওই ছাগলের মালিকের নাম আলামিন জমাদ্দার ওরফে সবুজ (৩৬)। তিনি মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেম জমাদ্দারের ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই মাস আগে ওই গ্রামের বাসিন্দা আলামিন জমাদ্দারের দুটি ছাগল চুরি হয়ে যায়। এখনো ছাগল দুটি উদ্ধার হয়নি। তবে এ ব্যাপারে তিনি মধুখালী থানায় কোন অভিযোগ না করে নিজে চুরি যাওয়া ছাগল খোঁজাখুঁজি করেন। চুরি যাওয়া ছাগলের খোঁজ না পেয়ে আজ শুক্রবার তিনি চোরের হেদায়েতের জন্য মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন।
শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজ শেষে এলাকার আলামিন জমাদ্দার বাড়ির পাশের মসজিদে এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, ছাগল দুটি চুরির পর ছাগলের মালিক দুশ্চিন্তায় পড়লেও পরে তিনি ভিন্নধর্মী চিন্তা করেন।
তার বিশ্বাস, মানুষ কখনো অভাবে আবার কখনো লোভের কারণে অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। তাই চোরের প্রতি শত্রুতা না করে বরং আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত, যাতে সে তার ভুল বুঝতে পারে এবং সঠিক পথে ফিরে আসে।
চোরের হেদায়েতের জন্য এ মিলাদ মাহফিল আয়োজন উপলক্ষে এলাকায় মাইকিং করে গ্রামবাসীকে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আমন্ত্রণ জানানো হয়। অনুষ্ঠানে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, মাদরাসার শিক্ষার্থী ও অসংখ্য মুসল্লি অংশ নেন। পরে উপস্থিতিদের তোবারক হিসেবে তেহারি পরিবেশন করা হয়।
ছাগলের মালিক আলামিন জমাদ্দার বলেন, চোর হয়তো অভাবে কিংবা লোভের বশবর্তী হয়ে চুরির মতো অপরাধে জড়িয়েছে। আমি যদি তাকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করি তবে আমার আর তার মধ্যে পার্থক্য থাকলো কোথায়। আমি চাই সে তার ভুল বুঝতে পেরে এই চুরির পথ থেকে ফিরে আসুক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মিয়া বলেন, আলামিন ঢাকায় নাটক করে। দুই মাস আগে তার ছাগল চুরি হয়েছিল। আজ কি মনে করে সে ছাগল চোরের হেদায়েতের জন্য মসজিদ প্রাঙ্গণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করলো তা জানি না।
ফরিদপুরের মধুখালীতে ছাগল চোরের হেদায়েতের জন্য চুরির দুই মাস পর মসজিদ প্রাঙ্গণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছেন এক ছাগলের মালিক। চোরকে খুঁজে বের করা বা আইনি ব্যবস্থার চেষ্টা না করে চোরের হেদায়েতের জন্য গতকাল শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তিনি।
চুরি যাওয়া ওই ছাগলের মালিকের নাম আলামিন জমাদ্দার ওরফে সবুজ (৩৬)। তিনি মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেম জমাদ্দারের ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই মাস আগে ওই গ্রামের বাসিন্দা আলামিন জমাদ্দারের দুটি ছাগল চুরি হয়ে যায়। এখনো ছাগল দুটি উদ্ধার হয়নি। তবে এ ব্যাপারে তিনি মধুখালী থানায় কোন অভিযোগ না করে নিজে চুরি যাওয়া ছাগল খোঁজাখুঁজি করেন। চুরি যাওয়া ছাগলের খোঁজ না পেয়ে আজ শুক্রবার তিনি চোরের হেদায়েতের জন্য মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন।
শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজ শেষে এলাকার আলামিন জমাদ্দার বাড়ির পাশের মসজিদে এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, ছাগল দুটি চুরির পর ছাগলের মালিক দুশ্চিন্তায় পড়লেও পরে তিনি ভিন্নধর্মী চিন্তা করেন।
তার বিশ্বাস, মানুষ কখনো অভাবে আবার কখনো লোভের কারণে অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। তাই চোরের প্রতি শত্রুতা না করে বরং আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত, যাতে সে তার ভুল বুঝতে পারে এবং সঠিক পথে ফিরে আসে।
চোরের হেদায়েতের জন্য এ মিলাদ মাহফিল আয়োজন উপলক্ষে এলাকায় মাইকিং করে গ্রামবাসীকে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আমন্ত্রণ জানানো হয়। অনুষ্ঠানে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, মাদরাসার শিক্ষার্থী ও অসংখ্য মুসল্লি অংশ নেন। পরে উপস্থিতিদের তোবারক হিসেবে তেহারি পরিবেশন করা হয়।
ছাগলের মালিক আলামিন জমাদ্দার বলেন, চোর হয়তো অভাবে কিংবা লোভের বশবর্তী হয়ে চুরির মতো অপরাধে জড়িয়েছে। আমি যদি তাকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করি তবে আমার আর তার মধ্যে পার্থক্য থাকলো কোথায়। আমি চাই সে তার ভুল বুঝতে পেরে এই চুরির পথ থেকে ফিরে আসুক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মিয়া বলেন, আলামিন ঢাকায় নাটক করে। দুই মাস আগে তার ছাগল চুরি হয়েছিল। আজ কি মনে করে সে ছাগল চোরের হেদায়েতের জন্য মসজিদ প্রাঙ্গণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করলো তা জানি না।
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:৫৫
মুন্সীগঞ্জে ১০ বছরের সংসারে দুই সন্তান রেখে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন স্ত্রী। এ ঘটনার পর অভিমানে আরেকটি বিয়ে করে হেলিকপ্টারে নতুন বউ নিয়ে এলেন স্বামী।
বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানান দিতেই হেলিকপ্টার ভাড়া করেন ওই স্বামী। আর হেলিকপ্টারে চড়ে বর-কনের আগমন দেখতে ঘটনাস্থলে ভিড় জমান এলাকাবাসী। শুক্রবার (২৬ সেস্টেম্বর) বিকেলে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার কাঠাদিয়া-শিমুলিয়া ইউনিয়নের কাঠাদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সঙ্গে ছিল আগের ঘরের এক মেয়েও।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে ওই গ্রামের সার্ভেয়ার কামাল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় সাথী আক্তার নামের এক নারীর। সেই ঘরে তাদের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু গত ১০ আগস্ট দুই শিশু সন্তান স্বামীর কাছে রেখে শহরের এক বিবাহিত যুবকের হাত ধরে চলে যান কামালের স্ত্রী।
পরে জানতে পারেন সাথী তাকে তালাক দিয়েছেন। হঠাৎ এই পারিবারিক ভাঙনে ভেঙে না পড়ে, উল্টো জেদের জেরে বেছে নেন নতুন জীবনের পথ। শুক্রবার দুপুরে ছোট কন্যাকে কোলে নিয়ে হেলিকপ্টারে চেপে রওনা হন নতুন শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে, বিয়ে করে নিয়ে আসেন নতুন বউ।
এ বিষয়ে কামাল বলেন, আসলে পুরুষ নির্যাতনের কথা কেউ ভাবে না। আমার অর্থবিত্তের কোনো কমতি ছিল না। কাজের কারণে দিনের বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকতাম। গত আগস্টে হঠাৎ স্ত্রী বাড়ি থেকে চলে যায়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে জানতে পারি সে মুন্না নামের এক ছেলের সঙ্গে পালিয়েছে। এই জেদে নতুন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই।
কামাল আরও বলেন, সব জেনে-শুনে আমার নতুন স্ত্রীর পরিবার বিয়েতে রাজি হয়, সন্তানসহ আমার পরিবারের দায়িত্ব নিতেও ইচ্ছে প্রকাশ করে নতুন স্ত্রী। তাই তার জন্য চমক দেখাতেই হেলিকপ্টার ভাড়া করি। আজ নতুন বউ নিয়ে এসেছি। আমি সবার কাছে আমার বাকি জীবনের জন্য দোয়া চাই।
স্থানীয় বাসিন্দা বীপু মাদবর বলেন, বিয়েটি আমাদের গ্রামে হয়েছে। কামালের স্ত্রী অন্যের সঙ্গে দেড় মাস আগে চলে যায়। পড়ে আজ সে হেলিকপ্টারে করে এক মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নতুন স্ত্রী নিয়ে এসেছেন।
এলাকার অনেকেই ধারণা করছেন, ভেতরের কষ্টকে প্রশমিত করতেই এই ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কামাল। যেন সাবেক স্ত্রীকে দেখাতে পারেন, পুরুষের জীবনও থেমে থাকে না।
টঙ্গীবাড়ি থানা পুলিশের ডিএসবির এসআই মনোরঞ্জন বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে শান্তিপূর্ণভাবে হেলিকপ্টার অবতরণ করেছে। হেলিকপ্টারে বিয়ে দেখতে স্থানীয় লোকজন ওই এলাকায় ভিড় জমান। এটা বরের দ্বিতীয় বিয়ে বলেও জানান তিনি।
মুন্সীগঞ্জে ১০ বছরের সংসারে দুই সন্তান রেখে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন স্ত্রী। এ ঘটনার পর অভিমানে আরেকটি বিয়ে করে হেলিকপ্টারে নতুন বউ নিয়ে এলেন স্বামী।
বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানান দিতেই হেলিকপ্টার ভাড়া করেন ওই স্বামী। আর হেলিকপ্টারে চড়ে বর-কনের আগমন দেখতে ঘটনাস্থলে ভিড় জমান এলাকাবাসী। শুক্রবার (২৬ সেস্টেম্বর) বিকেলে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার কাঠাদিয়া-শিমুলিয়া ইউনিয়নের কাঠাদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সঙ্গে ছিল আগের ঘরের এক মেয়েও।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে ওই গ্রামের সার্ভেয়ার কামাল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় সাথী আক্তার নামের এক নারীর। সেই ঘরে তাদের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু গত ১০ আগস্ট দুই শিশু সন্তান স্বামীর কাছে রেখে শহরের এক বিবাহিত যুবকের হাত ধরে চলে যান কামালের স্ত্রী।
পরে জানতে পারেন সাথী তাকে তালাক দিয়েছেন। হঠাৎ এই পারিবারিক ভাঙনে ভেঙে না পড়ে, উল্টো জেদের জেরে বেছে নেন নতুন জীবনের পথ। শুক্রবার দুপুরে ছোট কন্যাকে কোলে নিয়ে হেলিকপ্টারে চেপে রওনা হন নতুন শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে, বিয়ে করে নিয়ে আসেন নতুন বউ।
এ বিষয়ে কামাল বলেন, আসলে পুরুষ নির্যাতনের কথা কেউ ভাবে না। আমার অর্থবিত্তের কোনো কমতি ছিল না। কাজের কারণে দিনের বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকতাম। গত আগস্টে হঠাৎ স্ত্রী বাড়ি থেকে চলে যায়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে জানতে পারি সে মুন্না নামের এক ছেলের সঙ্গে পালিয়েছে। এই জেদে নতুন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই।
কামাল আরও বলেন, সব জেনে-শুনে আমার নতুন স্ত্রীর পরিবার বিয়েতে রাজি হয়, সন্তানসহ আমার পরিবারের দায়িত্ব নিতেও ইচ্ছে প্রকাশ করে নতুন স্ত্রী। তাই তার জন্য চমক দেখাতেই হেলিকপ্টার ভাড়া করি। আজ নতুন বউ নিয়ে এসেছি। আমি সবার কাছে আমার বাকি জীবনের জন্য দোয়া চাই।
স্থানীয় বাসিন্দা বীপু মাদবর বলেন, বিয়েটি আমাদের গ্রামে হয়েছে। কামালের স্ত্রী অন্যের সঙ্গে দেড় মাস আগে চলে যায়। পড়ে আজ সে হেলিকপ্টারে করে এক মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নতুন স্ত্রী নিয়ে এসেছেন।
এলাকার অনেকেই ধারণা করছেন, ভেতরের কষ্টকে প্রশমিত করতেই এই ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কামাল। যেন সাবেক স্ত্রীকে দেখাতে পারেন, পুরুষের জীবনও থেমে থাকে না।
টঙ্গীবাড়ি থানা পুলিশের ডিএসবির এসআই মনোরঞ্জন বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে শান্তিপূর্ণভাবে হেলিকপ্টার অবতরণ করেছে। হেলিকপ্টারে বিয়ে দেখতে স্থানীয় লোকজন ওই এলাকায় ভিড় জমান। এটা বরের দ্বিতীয় বিয়ে বলেও জানান তিনি।
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:০৫
মুন্সীগঞ্জে বিয়ে শেষে নববধূকে নিয়ে ফেরার পথে গাড়ি আটকে জিম্মি করে কনেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে বর একেই বাড়িতে ফিরতে বাধ্য হন।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে জেলার সিপাহীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্যে নববধূ ছিনতাইয়ের মতো ঘটনার কারণে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নববধূকে নিয়ে বরযাত্রীরা ফেরার সময় কয়েকজন মোটরসাইকেলে করে এসে গাড়ির গতিরোধ করেন। পরে নববধূকে জোর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মুহূর্তেই এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
জানা গেছে, বর মুরাদ বেপারী টংগীবাড়ী উপজেলার পুরাশিবির এলাকার মৃত শফি বেপারীর ছেলে। কনে সুমাইয়া আক্তার মিরকাদিম পৌরসভার পুকুরপাড় বাশতলা এলাকার মো. সুমনের মেয়ে। প্রায় ছয় মাস আগে তাদের কাবিন সম্পন্ন হয়েছিল। নির্ধারিত দিন অনুযায়ী শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে কনেকে নিয়ে আসতে যান বরযাত্রীরা।
এ বিষয়ে বর মুরাদ বলেন, বিয়ের দিন খাবার নিয়ে কনে ও বর পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে নববধূকে নিয়ে ফেরার পথে তার ভাই লোকজন নিয়ে গাড়ি আটকে তাকে জোর করে নামিয়ে নিয়ে যায়।
মুন্সীগঞ্জে বিয়ে শেষে নববধূকে নিয়ে ফেরার পথে গাড়ি আটকে জিম্মি করে কনেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে বর একেই বাড়িতে ফিরতে বাধ্য হন।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে জেলার সিপাহীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্যে নববধূ ছিনতাইয়ের মতো ঘটনার কারণে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নববধূকে নিয়ে বরযাত্রীরা ফেরার সময় কয়েকজন মোটরসাইকেলে করে এসে গাড়ির গতিরোধ করেন। পরে নববধূকে জোর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মুহূর্তেই এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
জানা গেছে, বর মুরাদ বেপারী টংগীবাড়ী উপজেলার পুরাশিবির এলাকার মৃত শফি বেপারীর ছেলে। কনে সুমাইয়া আক্তার মিরকাদিম পৌরসভার পুকুরপাড় বাশতলা এলাকার মো. সুমনের মেয়ে। প্রায় ছয় মাস আগে তাদের কাবিন সম্পন্ন হয়েছিল। নির্ধারিত দিন অনুযায়ী শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে কনেকে নিয়ে আসতে যান বরযাত্রীরা।
এ বিষয়ে বর মুরাদ বলেন, বিয়ের দিন খাবার নিয়ে কনে ও বর পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে নববধূকে নিয়ে ফেরার পথে তার ভাই লোকজন নিয়ে গাড়ি আটকে তাকে জোর করে নামিয়ে নিয়ে যায়।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.