https://ashiyangroup.com/

সারাদেশ

পাখির খাদ্যের আড়ালে চট্টগ্রাম বন্দরে এলো ২৫ হাজার কেজি মাদক

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৪৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

পাখির খাদ্যের আড়ালে চট্টগ্রাম বন্দরে এলো ২৫ হাজার কেজি মাদক

চট্টগ্রাম বন্দরে পাখির খাদ্যের আড়ালে লুকিয়ে আনা প্রায় ২৫ হাজার কেজি নিষিদ্ধ পপি সিড আটক করেছে কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তারা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা চালান দুটি জব্দ করে। আটক পণ্যের বাজারমূল্য সাড়ে ছয় কোটি টাকার বেশি বলে জানিয়েছে কাস্টমস।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, মেসার্স আদিব ট্রেডিং পাকিস্তান থেকে ৩২ হাজার ১০ কেজি বার্ড ফুড আমদানির ঘোষণা দেয়। ৯ অক্টোবর পণ্য চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। পরে এটি অফডক ছাবের আহমেদ টিম্বার কোম্পানি লিমিটেডে রাখা হয়। ১৪ অক্টোবর চালানটি খালাসের লক্ষ্যে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এম এইচ ট্রেডিং কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট লিমিটেড।

কিন্তু গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ২২ অক্টোবর কাস্টমস কনটেইনার দুটির খালাস স্থগিত করে। পরে কায়িক পরীক্ষায় প্রথম সারিতে ৭ হাজার ২০০ কেজি বার্ড ফুড পাওয়া গেলেও তার আড়ালে লুকানো ছিল ২৪ হাজার ৯৬০ কেজি পপি সিড। এরপর নমুনা সংগ্রহ করে উদ্ভিদ সংগনিরোধ দপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যানোপ্রযুক্তি সেন্টার এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় পণ্যটি পপি সিড হিসেবে নিশ্চিত হয়।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার এইচ এম কবির জানান, অঙ্কুরোদগম সক্ষম পপি সিড মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ‘ক’ শ্রেণির মাদক হিসেবে গণ্য। পাশাপাশি আমদানি নীতি আদেশ ২০২১–২৪–এ এটি আমদানি–নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় রয়েছে। মিথ্যা ঘোষণায় নিষিদ্ধ পণ্য আমদানির চেষ্টা করায় কাস্টমস আইন, ২০২৩ অনুযায়ী চালানটি জব্দ করা হয়েছে। ঘোষণায় পণ্যের মূল্য দেখানো হয়েছিল মাত্র ৩০ লাখ টাকা। তবে বাজারমূল্য প্রায় ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

আরও পড়ুন:

স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে লাঞ্ছনা, দালালের ৩ মাসের জেল

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:৩৮

প্রিন্ট এন্ড সেভ

স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে লাঞ্ছনা, দালালের ৩ মাসের জেল

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় আক্তার হোসেন নামের এক দালালকে আটক করে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দালালকে কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দালাল মো. আক্তার হোসেন দেবিদ্বার পৌর এলাকার ছোটআলমপুর গ্রামের মো. রুহুল আমিনের ছেলে। বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আক্তার হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লা সদরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতেন। গত বছরও জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসককে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান জরুরি বিভাগে ওই দালালকে দেখে তাকে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু আক্তার হোসেন নির্দেশ না মেনে তর্কে জড়িয়ে ডা. মহিবুস সালামের ওপর চড়াও হন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তার গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আক্তার হোসেনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

ঘটনার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান বলেন, হাসপাতালকে দালালমুক্ত রাখার জন্য আমরা হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে সচেতনতামূলক প্রচারণার বিলবোর্ড টানিয়েছি। দুপুরে জরুরি বিভাগে দালাল আক্তারকে দেখে বের হতে বললে সে না গিয়ে আমার সঙ্গে তর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে সে আমার ওপর আক্রমণ চালায় এবং আমার শার্ট ছিঁড়ে ফেলে।

দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, সরকারি কর্মচারীর কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে আক্তার হোসেনকে দণ্ডবিধির ১৮৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সে আবার প্রবেশ করলে পুনরায় জেল দেওয়া হবে।’

যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ১৯৪

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ১৯৪

দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে আট দিনে ১৯৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের ইউনিটসমূহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে।

এই অভিযানে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তসহ মোট ১৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট থেকে ৯টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৭টি পিস্তল ম্যাগাজিন, ১২ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৮টি ককটেল, ২৩টি পেট্রোল বোমা, দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্য এবং দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশের জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ ছাড়া, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণেও সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।

দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

মাছ খাওয়ায় বিড়ালের গলা কেটে ফেলল নারী, থানায় জিডি

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২১:২৮

প্রিন্ট এন্ড সেভ

মাছ খাওয়ায় বিড়ালের গলা কেটে ফেলল নারী, থানায় জিডি

বগুড়ার আদমদীঘিতে মাছ চুরি করে খাওয়ার অপরাধে বুলবুলি খাতুন (২৬) নামে এক নারী ক্ষিপ্ত হয়ে বঁটি দিয়ে একটি বিড়ালের গলা কেটে ফেলেছেন। এরপর পেট চিড়ে নাড়িভুঁড়ি বের করে জমিতে ফেলে দিয়েছেন।

৪ নভেম্বর উপজেলার নসরতপুর ইউনিয়নের দত্তবাড়িয়া গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এমরান হোসেন পরদিন আদমদীঘি থানায় ওই নারীর বিরুদ্ধে জিডি করেছেন।

এছাড়া ময়নাতদন্তের জন্য মরা বিড়ালটি ঢাকার সিডিআইএলে পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার দত্তবাড়িয়া গুচ্ছগ্রামের খোকা মিয়ার মেয়ে বুলবুলি খাতুনের বাড়িতে একটি বিড়াল মাছ খেয়ে চলে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে ওই বিড়াল আবারও বাড়িতে এলে তিনি আটক করেন। এরপর বঁটি দিয়ে গলা কেটে বিড়ালটি হত্যা করেন। এছাড়া বুক চিড়ে নাড়িভুঁড়ি বের করে বাড়ির পাশে ধানখেতে ফেলে দেন।

প্রতিবেশী ইসাহাক আলীর স্ত্রী শামছুন্নাহার মিনা বিষয়টি জানার পর বিড়ালের মরদেহ বাড়িতে এনে বরফ দিয়ে সংরক্ষণের পর পুলিশকে খবর দেন।

একই এলাকার শামছুন্নাহার মিনা জানান, তিনি এক মাস আগে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। তার সঙ্গে পোষা ছয়টি বিড়াল ছিল। যে বিড়ালটি হত্যা করা হয়েছে, সেটি তার বিড়ালগুলোর সঙ্গে থাকত। প্রতিবেশী বুলবুলি মাছ খাওয়ার অপরাধে বিড়ালটিকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেন। এরপর তিনি (মিনা) বিষয়টি বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনে অবহিত করেন। পরে সেখান থেকে এমরান হোসেন নামে একজন এসে আদমদীঘি থানায় জিডি করেছেন।

এদিকে মাছ খাওয়ার অপরাধে অবলা প্রাণী বিড়ালের গলা কেটে হত্যার ঘটনায় ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ হলে জনগণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

স্থানীয়রা জানান, বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে প্রাণীর প্রতি নির্দয় আচরণ বা সহায়তার অপরাধে দুই বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে এ আইনের তেমন ব্যবহার দেখা যায় না।

আদমদীঘি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বেনজির আহমেদ জানান, বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার রাতে বিড়ালটির মরদেহ ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

বুলবুলি খাতুন সাংবাদিকদের জানান, তিনি না বুঝে রাগের মাথায় বিড়ালটি মেরে ফেলেছেন। এর জন্য তিনি অনুতপ্ত ও ক্ষমাপ্রার্থী।

আদমদীঘি থানা পুলিশের ওসি এসএম হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, জিডিমূলে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরা বিড়ালটি ঢাকার সিডিআইএলে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.