https://jamunabankbd.com/

পটুয়াখালী

খালাসের পরেও জামিন মেলেনি,১৬ বছর পর বাবার স্পর্শ পেলেন সন্তান, আনন্দে ভাসছে পুরো গ্রাম

জসীম ‍উদ্দিন, বাউফল

জসীম ‍উদ্দিন, বাউফল

১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:৩৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

খালাসের পরেও জামিন মেলেনি,১৬ বছর পর বাবার স্পর্শ পেলেন সন্তান, আনন্দে ভাসছে পুরো গ্রাম

বিডিয়ারের সাবেক ল্যান্স নায়েক মো.মঞ্জুরুল ইসলাম (৫৫)। গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকার কেরনিগঞ্জের কারাগার থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

মুক্তি পেয়ে দীর্ঘ ১৬ বছর পর নিজ সন্তানদের বাবার স্পর্শ দিতে পেরে আনন্দে আত্মহারা তিনি। মঞ্জুরুল ইসলামের মুক্তিতে আনন্দে ভাসছে পুরো গ্রাম। মো.মঞ্জুরুল ইসলামের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের কবিরকাঠী গ্রামে। মঞ্জুরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বাড়ি পৌঁছালে গ্রামের নারী-পুরুষ ও স্বজনেরা তাকে দেখতে আসেন।

কেউ কেউ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, আবার মিষ্টি খাইয়ে দিয়েছেন। ওই এলাকায় যেন আনন্দের বন্যা বইছে। কালিশুরী ডিগ্রী কলেজের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক মো. খালিদুর রহমান এসেছেন ফুল ও মিষ্টি নিয়ে।

তিনি বলেন,‘মঞ্জুরুল ইসলাম তার বন্ধু। খুবই ভালো মানুষ। ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা সরকার নিজেদের দোষ যাতে প্রকাশ না পায়, সেই উদ্দেশ্যে নিরাপরাদ বিডিআর সদস্যদের কারাগারে রেখে অবিচার ও জুলুম করেছেন।

এরও বিচার হওয়া উচিৎ।’ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, বিচারের আগ পর্যন্ত জেল খানায় থাকাকালীন আদালতে আনা নেওয়া ছাড়া তারা সূর্য্যরে আলো দেখতে পেতেন না। জেলাখানার মধ্যে কক্ষের বাহিরে যেতে দেওয়া হত না।

রিমান্ডে নিয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানও তাকেসহ অন্যদের মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য নির্যাতন করেছিলেন। খুবই মানবেতর জীবন যাপন করেছেন।

মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, যখন আত্মসমর্পন করি তখন সাড়ে তিন বছর ও সাত বছরের দুটি কন্যা সন্তান রেখে যাই। তার অবর্তমানেই বড় মেয়ে পলি আক্তারের ২০১৭ সালে বিয়ে হয়।

তার সাত বছরের ছেলে মশিউর রহমান ও পাঁচ দিনের একটি কন্যা হয়েছে। আর সাড়ে তিন বছরের শাহানা আক্তার মনি এখন ডিগ্রী প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

কারাগারে থাকাকালীন মা আমিনজান বিবি, ভাই মো. দুলাল, দুই বোন রাহেলা বেগম ও ফোকন বিবি, চাচী হনুফা বিবি মারা গেছেন। কারো লাশ পর্যন্ত দেখতে পারেননি। আজ মা বেঁচে থাকলে তিনি সবেচেয়ে বেশি খুশি হতেন।

ছোট মেয়ে শাহানা আক্তার মনি (২০) বলেন,‘বাবা কেমন তা বোঝার আগেই তিনি তাকে ছেড়ে কারাগারে চলে যান। সেই থেকে ১৬ টি বছর বাবাকে কাছে পাননি, আদর-সোহাগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, বাবাকে স্পর্শ করতে পারেননি।

বাবা যখন গতকাল বুধবার জেল থেকে বের হয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে আদর করছিল, আর কান্না করছিল সেই অনুভ‚তির কথা বোঝানোর মত ভাষা তার জানা নেই।’ স্ত্রী নিলুফা বেগম (৫০) বলেন,‘আমি স্বামী পেয়েছি, সন্তানেরা তার বাবাকে ফিরে পেয়েছে।

আমার আনন্দের অনুভ‚তি প্রকাশ করার মত ভাষা জানা নাই।’ মঞ্জুরুল ইসলাম ২০০৯ সালের ৩ মার্চ পিলখানায় আত্মসমর্পন করেন। তাকে প্রথমে হত্যা মামলায় আসামি করা হয়।

ওই মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত তাকে সাত বছরের সশ্রম কারাদÐ দেন। পরে হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর বেকসুর খালাস দিলে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় পরে আটক দেখানো হয়।

আরও পড়ুন:

বাউফলে কৃষক দল নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

জসীম ‍উদ্দিন, বাউফল

জসীম ‍উদ্দিন, বাউফল

২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:২২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাউফলে কৃষক দল নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়ন কৃষক দলের সদস্য সচিব বশির কাজির ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কৃষক দলের নেতাকর্মীরা। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে বগা ইউনিয়ন কৃষক দলের আয়োজনে বগা বাজার সড়কে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়।

প্রতিবাদ সভায় বগা ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক মাসুদ শিকদার বলেন, “গত ২৩ নভেম্বর, রোববার বগা ইউনিয়ন কৃষক দলের সদস্যসচিব বশির কাজির ওপর হামলা চালানো হয় এবং তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। বর্তমানে তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।”

তিনি আরও বলেন, “বগা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনিসুর রহমান (আনিস ফকির) বশির কাজীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন।”

অভিযুক্ত বগা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনিস ফকির বলেন, “তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণের সময় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়েছে বলে জেনেছি। এর বাইরে ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম ফারুক আহমেদ তালুকদারের রাজনীতি করি, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই ঘটনায় জড়ানো হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’

রহস্য ও রুপকথার জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত : উন্নয়নে হতে পারে দক্ষিণ উপকূলের স্বপ্নপুরী

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:৩৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

রহস্য ও রুপকথার জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত : উন্নয়নে হতে পারে দক্ষিণ উপকূলের স্বপ্নপুরী

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত এক অনন‍্য সম্ভাবনার নাম। মৌডুবী ইউনিয়নের জাহাজমারা এলাকাজুরে বিস্তৃত এই সৈকত প্রকৃতির অপর সৌন্দর্য ঘেরা হলেও এখনও রয়ে গেছে প্রায় অনাবিষ্কৃত।

জাহাজমারা নামটির পেছনে রয়েছে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। প্রায় একশত বছর আগে এ এলাকার উপকূলে একটি বিদেশী জাহাজ ডুবে যায়। সেই ঘটনাকেই কেন্দ্র করে আজকের জাহাজমারা নামকরণ। ইতিহাস ও প্রকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব মেলবন্ধন গড়া সৈকতটি স্থানীয়দের মাঝে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠলেও পর্যটনের দিক দিয়ে যথাযথ গুরুত্ব পায়নি এখনো।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা, জনমানবহীন শান্ত সৈকতটি ইতোমধ্যেই স্থানীয় পর্যটকদের মাঝে আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে। তবে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এর পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না।

এই সৈকতের বালুচরে দাড়িয়ে সূর্যস্ত দেখার মুহূর্তটা যেন হৃদয় ছুয়ে যায়। লাল কাকড়ায় আচ্ছাদিত পুরো সৈকতটি অনেকটা কল্পনার লাল কাকড়ার রাজ‍্য মনে হয়, যেখানে প্রকৃতি নিজ হাতে সাজিয়েছে তার অনুপম সৌন্দর্য। সাগরের ঢেউ, বেলাভূমির এক স্বর্গীয় অনুভূতির স্থান। লালচে রঙ যখন ঢেউয়ের সঙ্গে মিশে যায়, তখন প্রকৃতি উপহার দেয় এক অভাবনীয় দৃশ্য।

মৌডুবী সরকারি মাধ্যমিক বিদ‍্যালয়ের শিক্ষক মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত অপার সৌন্দর্যে ঘেরা হলেও নেই পর্যাপ্ত যাতায়াত ব্যবস্থা, মানসম্মত আবাসন সুবিধা বা স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের দোকান। এছাড়া নেই পর্যটকদের তথ্য সহায়তা কেন্দ্র বা নিরাপত্তার ব্যবস্থা। ফলে অনেকেই উৎসাহ নিয়ে আসলেও হতাশ হয়ে ফিরে যান। আমি একজন শিক্ষক ও সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব, যেন পর্যটকদের জন‍্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে জাহাজমারাকে একটি নিরাপদ ও আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্রে হিসেবে গড়ে তোলা হয়।

স্থানীয়রা বলছেন, পর্যটকদের জন‍্য যদি হোটেল, রেস্তোরা, তথ‍্যকেন্দ্র ও নিরাপদ যাতায়াত ব‍্যবস্থা গড়ে তোলা হয়, তাহলে দেশের অন‍্যতম জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত। শুধু সৌন্দর্য নয় - এটি হতে পারে অর্থনীতির নতুন খোরাক। রাঙ্গাবালীর মতো প্রত‍্যন্ত এলাকার এমন একটি সম্ভাবনাময় জায়গাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘমেয়াদি পর্যটন পরিকল্পনা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে জাহাজমারাকে উন্নয়ন করলে এটি কক্সবাজার বা কুয়াকাটার বিকল্প পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।

হোটেল, রেস্ট হাউজ, ওয়াচ টাওয়ার, নিরাপত্তা চৌকি এবং শিশু বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা গেলে পর্যটকদের আনাগোনা আরও বাড়বে, যা একদিকে স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙা করবে, অন্যদিকে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।

সরকারি পর্যটন সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বিত ও কার্যকর উদ্যোগই পারে জাহাজমারা সমুদ্র সৈকতের দক্ষিণ উপকূলের একটি দৃষ্টিনন্দন ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে। সঠিক পরিকল্পনা ও অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে এই সম্ভাবনাময় স্থানে সৃষ্টি হতে পারে নতুন কর্মসংস্থান, বাড়তে পারে স্থানীয় আয় এবং দেশের পর্যটন শিল্পে যুক্ত হতে পারে এক নতুন মাত্রা।

কলাপাড়ায় সেতুর ১২ স্লাব বিধ্বস্ত, দুর্ঘটনার আশঙ্কা বৃদ্ধি

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:১৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

কলাপাড়ায় সেতুর ১২ স্লাব বিধ্বস্ত, দুর্ঘটনার আশঙ্কা বৃদ্ধি

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আন্ধারমানিক সেতুর ফুটপাতের অন্তত ১২টি স্লাব ভেঙে জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে মূল সড়কে চলাচল করতে হয়। ফলে দ্রুত গতির যানবাহন চলাচলের কারণে দুর্ঘটনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পথচারীরা বিশেষ করে রাতের বেলা নিরাপত্তাহীনভাবে চলাচল করছেন। তারা বিধ্বস্ত স্লাব দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু সড়ক ও জনপথ বিভাগের দ্রুত মেরামতের আশ্বাস বাস্তবে রূপ নিচ্ছে না। বরং আরও নতুন নতুন স্লাব ভেঙে যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুটির ফুটপাতের বেশ কয়েকটি স্লাব বিধ্বস্ত হয়ে আছে। দুই পাশেই একই অবস্থা। ইতিপূর্বে কয়েকটি স্লাব বিধ্বস্ত হলে তা মেরামত করা হয়। কিন্তু ফের নতুন করে অসংখ্য স্লাব বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে আছে। ফলে পথচারীরা ফুটপাত বাদ দিয়ে মূল সড়ক ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন।

এ ছাড়া ওই সেতুতে সন্ধ্যার পরে বহু ভ্রমণকারীর আনাগোনা থাকে। প্রতিদিন এই সেতু হয়ে কুয়াকাটাগামী শত শত দূরপাল্লার দ্রুতগামী যাত্রীবাহী বাসসহ পণ্যবাহী ট্রাক–ট্রলি চলাচল করছে। এতে মানুষ চলাচলের সময় চরম ঝুঁকির মুখে পড়ছেন।

পথচারী ইসমাইল হোসেন জানান, “আমি প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করি। ফুটপাতের স্লাব ভাঙা থাকায় চলাচলে খুব সমস্যা হয়।”

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আমরা কলাপাড়াবাসী’-এর সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, “জনস্বার্থে দ্রুত এই স্লাবগুলো মেরামত করা প্রয়োজন।” স্থানীয়রাও একই দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বহুবার মোবাইল করা হয়েছে, খুদেবার্তা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোনো উত্তর মেলেনি। প্রায় দেড় বছর আগে তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেরামত করা হবে। কিন্তু এখনও তা করা হয়নি।

তবে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউছার হামিদ জানান, তিনি বিষয়টি নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.