৩০ আগস্ট, ২০২৫ ২০:৫৫
বরিশাল জিলা স্কুলের প্রাঙ্গণ ভরে উঠেছে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসে। চোখে কৌতূহল, মুখে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। চারপাশে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অংশগ্রহণকারীদের মিলেমিশে তৈরি করেছে উৎসবের আমেজ।
দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এসেছেন পরিবেশ নিয়ে প্রাণবন্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে। এই ব্যাতিক্রমধর্মী উদ্যোগের নাম ইকো অলিম্পিয়াড-২০২৫। পরিবেশগত ও জলবায়ু শিক্ষা প্রচারে এই উদ্যোগটি আন্দোলন আকারে ছড়িয়ে পড়ছে নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। পরিবেশবাদী সংগঠন ইয়ুথনেট গ্লোবাল ও পরিবেশ অধিদপ্তর, বরিশাল বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা এই অলিম্পিয়াডে অংশ নেয় বরিশালের ১০টি বিদ্যালয়।
অংশগ্রহণকারী বিদ্যালয়গুলো হলো: বরিশাল জিলা স্কুল, বরিশাল সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আছমত আলী খান (এ.কে) ইনস্টিটিউশন, গির্জামহল্লা, সদর, হলিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রূপাতলী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আলেকান্দা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কাউনিয়া সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ু সচেতনতার বার্তা ছড়াতে এতে শামিল হয়েছিল দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী। আয়োজক সূত্রে প্রকাশ, প্রথম রাউন্ড শেষে বাছাই করা হবে ৬০ জন শিক্ষার্থীকে, যারা দ্বিতীয় রাউন্ডে অংশ নেবে। অলিম্পিয়াডের মূল লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সচেতন করা।
বিশেষ করে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক (সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক) ব্যবহার রোধে জনসচেতনতা বাড়ানোই অন্যতম উদ্দেশ্য। ধাপে ধাপে দেশের ৬৪ জেলায় প্রতিযোগিতা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা সক্রিয়ভাবে পরিবেশবান্ধব কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হয়।ইকো-অলিম্পিয়াডে অংশ নেয়া স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিশাত বলেন, “আমরা প্রতিদিন প্লাস্টিক ব্যবহার করি, কিন্তু এটা যে নদী, মাটি ও সমুদ্রের জন্য এত ক্ষতিকর, আগে বুঝিনি। এখন মনে হচ্ছে, আমি নিজেই পরিবর্তন শুরু করতে পারি।” অন্য শিক্ষার্থী রাব্বি যোগ করেন, “আমরা শুধু প্রতিযোগিতা করছি না, বরং শিখছি কিভাবে ছোট ছোট উদ্যোগেও বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব।” কর্মসূচির আহ্বায়ক আরিফুর রহমান শুভ বলেন, “বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় তরুণদের সংগঠিত করাই আমাদের লক্ষ্য। তারই ধারাবাহিকতায় এ অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ উপকূলে লবণাক্ততা, নদীভাঙন, ঘূর্ণিঝড়, অস্বাভাবিক বন্যা ও খরার মতো চ্যালেঞ্জের মুখে। এসব সমস্যা সমাধানে তরুণদের জ্ঞান ও নেতৃত্বই বড় শক্তি।” ইয়ুথনেট গ্লোবালের নির্বাহী সমন্বয়ক সোহানুর রহমান বলেন, “পরিবেশ ও জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় তরুণদের শিক্ষার প্রসার একটি আন্দোলনে পরিণত করতে চাই আমরা।
ইকো অলিম্পিয়াড সেই আন্দোলনেরই অংশ।” পরিবেশ অধিদপ্তর, বরিশাল বিভাগের সহকারী পরিচালক কাজী সাইফুদ্দিন বলেন, “শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষার বার্তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে।
ভবিষ্যত প্রজন্মকে সবুজ ও টেকসই বাংলাদেশ উপহার দিতে হলে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা জরুরি।” অলিম্পিয়াড শেষে শিক্ষার্থীরা প্রতিজ্ঞা করে যে, সবুজ পৃথিবী গড়ার আন্দোলন যেন এখানেই থেমে না যায়। ছোট্ট উদ্যোগে শুরু হলেও তরুণদের চোখে ফুটে উঠেছে বড় স্বপ্ন—একটি পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ, ন্যায্য ও টেকসই বাংলাদেশ।
বরিশাল জিলা স্কুলের প্রাঙ্গণ ভরে উঠেছে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসে। চোখে কৌতূহল, মুখে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। চারপাশে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অংশগ্রহণকারীদের মিলেমিশে তৈরি করেছে উৎসবের আমেজ।
দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এসেছেন পরিবেশ নিয়ে প্রাণবন্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে। এই ব্যাতিক্রমধর্মী উদ্যোগের নাম ইকো অলিম্পিয়াড-২০২৫। পরিবেশগত ও জলবায়ু শিক্ষা প্রচারে এই উদ্যোগটি আন্দোলন আকারে ছড়িয়ে পড়ছে নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। পরিবেশবাদী সংগঠন ইয়ুথনেট গ্লোবাল ও পরিবেশ অধিদপ্তর, বরিশাল বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা এই অলিম্পিয়াডে অংশ নেয় বরিশালের ১০টি বিদ্যালয়।
অংশগ্রহণকারী বিদ্যালয়গুলো হলো: বরিশাল জিলা স্কুল, বরিশাল সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আছমত আলী খান (এ.কে) ইনস্টিটিউশন, গির্জামহল্লা, সদর, হলিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রূপাতলী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আলেকান্দা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কাউনিয়া সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ু সচেতনতার বার্তা ছড়াতে এতে শামিল হয়েছিল দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী। আয়োজক সূত্রে প্রকাশ, প্রথম রাউন্ড শেষে বাছাই করা হবে ৬০ জন শিক্ষার্থীকে, যারা দ্বিতীয় রাউন্ডে অংশ নেবে। অলিম্পিয়াডের মূল লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সচেতন করা।
বিশেষ করে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক (সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক) ব্যবহার রোধে জনসচেতনতা বাড়ানোই অন্যতম উদ্দেশ্য। ধাপে ধাপে দেশের ৬৪ জেলায় প্রতিযোগিতা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা সক্রিয়ভাবে পরিবেশবান্ধব কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হয়।ইকো-অলিম্পিয়াডে অংশ নেয়া স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিশাত বলেন, “আমরা প্রতিদিন প্লাস্টিক ব্যবহার করি, কিন্তু এটা যে নদী, মাটি ও সমুদ্রের জন্য এত ক্ষতিকর, আগে বুঝিনি। এখন মনে হচ্ছে, আমি নিজেই পরিবর্তন শুরু করতে পারি।” অন্য শিক্ষার্থী রাব্বি যোগ করেন, “আমরা শুধু প্রতিযোগিতা করছি না, বরং শিখছি কিভাবে ছোট ছোট উদ্যোগেও বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব।” কর্মসূচির আহ্বায়ক আরিফুর রহমান শুভ বলেন, “বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় তরুণদের সংগঠিত করাই আমাদের লক্ষ্য। তারই ধারাবাহিকতায় এ অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ উপকূলে লবণাক্ততা, নদীভাঙন, ঘূর্ণিঝড়, অস্বাভাবিক বন্যা ও খরার মতো চ্যালেঞ্জের মুখে। এসব সমস্যা সমাধানে তরুণদের জ্ঞান ও নেতৃত্বই বড় শক্তি।” ইয়ুথনেট গ্লোবালের নির্বাহী সমন্বয়ক সোহানুর রহমান বলেন, “পরিবেশ ও জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় তরুণদের শিক্ষার প্রসার একটি আন্দোলনে পরিণত করতে চাই আমরা।
ইকো অলিম্পিয়াড সেই আন্দোলনেরই অংশ।” পরিবেশ অধিদপ্তর, বরিশাল বিভাগের সহকারী পরিচালক কাজী সাইফুদ্দিন বলেন, “শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষার বার্তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে।
ভবিষ্যত প্রজন্মকে সবুজ ও টেকসই বাংলাদেশ উপহার দিতে হলে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা জরুরি।” অলিম্পিয়াড শেষে শিক্ষার্থীরা প্রতিজ্ঞা করে যে, সবুজ পৃথিবী গড়ার আন্দোলন যেন এখানেই থেমে না যায়। ছোট্ট উদ্যোগে শুরু হলেও তরুণদের চোখে ফুটে উঠেছে বড় স্বপ্ন—একটি পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ, ন্যায্য ও টেকসই বাংলাদেশ।
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ০১:৩০
দৈনিক কালবেলার পত্রিকার বরিশাল ব্যুরো প্রধান আরেফিন তুষার (৪০) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি।
অফিস চলাকালে বুকে ব্যাথা অনুভব করলে দ্রুত বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বরিশাল সদর রোডের টাউন হলের সামনে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
আরিফিন তুষার বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাটের আন্দারমানিক ইউনিয়নের বাসিন্দা। মৃত্যুকালে তিনি বাবা-মা, স্ত্রী সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সাংবাদিক আরিফিন বরিশাল প্রেসক্লাবের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন। তার আকস্মিক মৃত্যুর খবরে বরিশাল সাংবাদিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুর খবর শুনে শেবাচিম হাসপাতালে জড়ো হতে থাকেন সহকর্মীরা। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
দৈনিক কালবেলার পত্রিকার বরিশাল ব্যুরো প্রধান আরেফিন তুষার (৪০) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি।
অফিস চলাকালে বুকে ব্যাথা অনুভব করলে দ্রুত বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বরিশাল সদর রোডের টাউন হলের সামনে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
আরিফিন তুষার বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাটের আন্দারমানিক ইউনিয়নের বাসিন্দা। মৃত্যুকালে তিনি বাবা-মা, স্ত্রী সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সাংবাদিক আরিফিন বরিশাল প্রেসক্লাবের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন। তার আকস্মিক মৃত্যুর খবরে বরিশাল সাংবাদিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুর খবর শুনে শেবাচিম হাসপাতালে জড়ো হতে থাকেন সহকর্মীরা। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:২৯
রাতের আঁধারে সরকারি রাস্তার পাশের লাখ টাকা মূল্যের একাধিক গাছ কেটে নেয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছ কাটা বন্ধসহ কর্তনকৃত গাছ জব্দ করেছে।
বরিশালের গৌরনদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন গাছ কাটার শ্রমিকদের নিয়ে এসব গাছ কাটছিলেন। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পরলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার টরকী বন্দরের ছাগলহাট সংলগ্ন হাজী বাবুল হোসেনের বাড়ির সামনের সরকারি সড়কের পাশের বিভিন্ন প্রজাতের সাতটি গাছ লোকজন নিয়ে কাটতে থাকেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন।
স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করার পর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছ কাটা বন্ধসহ কর্তনকৃত গাছ জব্দ করেন। বাড়ির মালিক হাজী বাবুল হোসেন বলেন, গাছগুলো উপড়ে আমার বাড়ির ক্ষতি হতে পারে ভেবে গাছগুলো কেটে নেয়ার জন্য অতিসম্প্রতি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছি। তিনি আরও বলেন, রাতের আঁধারে কেবা কারা গাছ কাটছে তা আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি।
পরে জানতে পারি, আমার আত্মীয় রোকনুজ্জামান রোকন লোকজন নিয়ে গাছ কাটছে। তিনি (রোকন) নাকি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস থেকে অনুমতি নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক রিফাত আরা মৌরি বলেন, আমার কাছে একটি আবেদন করা হয়েছে। যার যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আবেদনপত্রটি উপজেলা বন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো গাছ কাটার অনুমতি দেয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, অনুমতি ছাড়া রাতের আধাঁরে গাছ কাটার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক থানা পুলিশ পাঠিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, রাতে ইউএনও স্যারের ফোন পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পুলিশ পাঠিয়ে গাছ কাটা বন্ধ ও কর্তনকৃত গাছের অংশ জব্দ করা হয়েছে। ওসি আরও বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী এ ঘটনায় পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, আমার নিকট আত্মীয় হাজী বাবুল হোসেন গাছ কাটার জন্য আবেদন করেছেন। আমি ভেবেছি তিনি অনুমতি পেয়েছেন। যেকারণেই শ্রমিক নিয়ে গাছগুলো কাটা হচ্ছিলো।
পরবর্তীতে ইউএনও স্যারের নির্দেশে থানা পুলিশ বাঁধা দেয়ার পর থেকে গাছ কাটা বন্ধ রয়েছে। এখন ইউএনও স্যার যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমরা সেই অনুযায়ী অগ্রসর হবো।
রাতের আঁধারে সরকারি রাস্তার পাশের লাখ টাকা মূল্যের একাধিক গাছ কেটে নেয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছ কাটা বন্ধসহ কর্তনকৃত গাছ জব্দ করেছে।
বরিশালের গৌরনদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন গাছ কাটার শ্রমিকদের নিয়ে এসব গাছ কাটছিলেন। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পরলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার টরকী বন্দরের ছাগলহাট সংলগ্ন হাজী বাবুল হোসেনের বাড়ির সামনের সরকারি সড়কের পাশের বিভিন্ন প্রজাতের সাতটি গাছ লোকজন নিয়ে কাটতে থাকেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন।
স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করার পর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছ কাটা বন্ধসহ কর্তনকৃত গাছ জব্দ করেন। বাড়ির মালিক হাজী বাবুল হোসেন বলেন, গাছগুলো উপড়ে আমার বাড়ির ক্ষতি হতে পারে ভেবে গাছগুলো কেটে নেয়ার জন্য অতিসম্প্রতি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছি। তিনি আরও বলেন, রাতের আঁধারে কেবা কারা গাছ কাটছে তা আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি।
পরে জানতে পারি, আমার আত্মীয় রোকনুজ্জামান রোকন লোকজন নিয়ে গাছ কাটছে। তিনি (রোকন) নাকি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস থেকে অনুমতি নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক রিফাত আরা মৌরি বলেন, আমার কাছে একটি আবেদন করা হয়েছে। যার যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আবেদনপত্রটি উপজেলা বন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো গাছ কাটার অনুমতি দেয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, অনুমতি ছাড়া রাতের আধাঁরে গাছ কাটার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক থানা পুলিশ পাঠিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, রাতে ইউএনও স্যারের ফোন পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পুলিশ পাঠিয়ে গাছ কাটা বন্ধ ও কর্তনকৃত গাছের অংশ জব্দ করা হয়েছে। ওসি আরও বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী এ ঘটনায় পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, আমার নিকট আত্মীয় হাজী বাবুল হোসেন গাছ কাটার জন্য আবেদন করেছেন। আমি ভেবেছি তিনি অনুমতি পেয়েছেন। যেকারণেই শ্রমিক নিয়ে গাছগুলো কাটা হচ্ছিলো।
পরবর্তীতে ইউএনও স্যারের নির্দেশে থানা পুলিশ বাঁধা দেয়ার পর থেকে গাছ কাটা বন্ধ রয়েছে। এখন ইউএনও স্যার যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমরা সেই অনুযায়ী অগ্রসর হবো।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৯
ঢাকা বার কাউন্সিলের সেকশন অফিসার ও বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আলমগীর হোসেন (৫২) আর নেই। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন ( ইন্না.....রাজিউন)।
সম্প্রতি তার দাঁত তোলার পরে সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে টনসিলে সমস্যা হওয়াসহ তিনি ডায়বেটিস রোগে ভূগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি মা,স্ত্রী ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুম অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠী ইউনিয়নের উদয়কাঠী গ্রামের প্রয়াত পল্লী চিকিৎসক মো. জয়নুল আবেদীনের ছেলে। ওই দিন (শনিবার) বাদ আসর ঢাকার মধ্য বাড্ডা আদর্শনগর জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাজা শেষে পূর্ব বাড্ডা গোরস্থানে তার মরদেহ চির নিন্দ্রায় শায়িত করা হয়।
এদিকে সদালপী,মিষ্টভাষী, হাসোজ্জ্বল মেধাবী আইনজীবী আলমগীর হোসেনের মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ,সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
ঢাকা বার কাউন্সিলের সেকশন অফিসার ও বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আলমগীর হোসেন (৫২) আর নেই। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন ( ইন্না.....রাজিউন)।
সম্প্রতি তার দাঁত তোলার পরে সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে টনসিলে সমস্যা হওয়াসহ তিনি ডায়বেটিস রোগে ভূগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি মা,স্ত্রী ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুম অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠী ইউনিয়নের উদয়কাঠী গ্রামের প্রয়াত পল্লী চিকিৎসক মো. জয়নুল আবেদীনের ছেলে। ওই দিন (শনিবার) বাদ আসর ঢাকার মধ্য বাড্ডা আদর্শনগর জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাজা শেষে পূর্ব বাড্ডা গোরস্থানে তার মরদেহ চির নিন্দ্রায় শায়িত করা হয়।
এদিকে সদালপী,মিষ্টভাষী, হাসোজ্জ্বল মেধাবী আইনজীবী আলমগীর হোসেনের মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ,সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.