
১৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩৯
ভোলার লালমোহন উপজেলায় মো. ফরিদ (৩৭) নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ বসতঘর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ফরিদ ওই এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমোহন থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গ্রেফতার ফরিদ নিজেকে কবিরাজ পরিচয় দিতেন। তার টার্গেট ছিল নারীরা। যেসব বাড়িতে পুরুষরা থাকতেন না, সেসব বাড়িতে গিয়ে নারীদের বলতেন স্বামী তাকে ভালোবাসেন না। তার স্বামীর ওপর জিন ভর করেছে। ওই জিন দূর করলে স্বামী তাকে ভালোবাসবেন। যার জন্য ঘরের সকল স্বর্ণালঙ্কার একটি গøাসে রাখতে বলতেন নারীদের। এরপর তার টার্গেটে থাকা নারীকে বিভিন্ন খাল এবং পুকুর থেকে পানি আনতে পাঠাতেন। এই সুযোগে দামি সব স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে চম্পট দিতেন ফরিদ।
ওসি বলেন, কয়েকদিন আগে লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব চরউমেদ এলাকার এক ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ করেন। ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তের একপর্যায়ে বেরিয়ে আসে ফরিদের অভিনব এই প্রতারণার ঘটনা। এরপর মঙ্গলসিকদার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মো. এরশাদ উকিল সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে প্রতারক ফরিদকে নিজ বসতঘর থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। এ সময় তার কাছ থেকে প্রতারণা করে নেওয়া স্বর্ণালঙ্কারও উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম আরো বলেন, ভোলাসহ অন্য জেলায় গিয়েও এ ধরনের প্রতারণা করতেন ফরিদ। তার বিরুদ্ধে এমন প্রতারণার অভিযোগে নোয়াখালী ও ভোলাসহ বিভিন্ন থানায় কয়েকটি মামলা রয়েছে। লালমোহন থানায়ও তার বিরুদ্ধে নতুন করে আরেকটি প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতারণার বিষয়ে আরো জানতে ফরিদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।
ভোলার লালমোহন উপজেলায় মো. ফরিদ (৩৭) নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ বসতঘর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ফরিদ ওই এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমোহন থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গ্রেফতার ফরিদ নিজেকে কবিরাজ পরিচয় দিতেন। তার টার্গেট ছিল নারীরা। যেসব বাড়িতে পুরুষরা থাকতেন না, সেসব বাড়িতে গিয়ে নারীদের বলতেন স্বামী তাকে ভালোবাসেন না। তার স্বামীর ওপর জিন ভর করেছে। ওই জিন দূর করলে স্বামী তাকে ভালোবাসবেন। যার জন্য ঘরের সকল স্বর্ণালঙ্কার একটি গøাসে রাখতে বলতেন নারীদের। এরপর তার টার্গেটে থাকা নারীকে বিভিন্ন খাল এবং পুকুর থেকে পানি আনতে পাঠাতেন। এই সুযোগে দামি সব স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে চম্পট দিতেন ফরিদ।
ওসি বলেন, কয়েকদিন আগে লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব চরউমেদ এলাকার এক ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ করেন। ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তের একপর্যায়ে বেরিয়ে আসে ফরিদের অভিনব এই প্রতারণার ঘটনা। এরপর মঙ্গলসিকদার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মো. এরশাদ উকিল সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে প্রতারক ফরিদকে নিজ বসতঘর থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। এ সময় তার কাছ থেকে প্রতারণা করে নেওয়া স্বর্ণালঙ্কারও উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম আরো বলেন, ভোলাসহ অন্য জেলায় গিয়েও এ ধরনের প্রতারণা করতেন ফরিদ। তার বিরুদ্ধে এমন প্রতারণার অভিযোগে নোয়াখালী ও ভোলাসহ বিভিন্ন থানায় কয়েকটি মামলা রয়েছে। লালমোহন থানায়ও তার বিরুদ্ধে নতুন করে আরেকটি প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতারণার বিষয়ে আরো জানতে ফরিদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:২৯
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:২৬
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:১৭
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:২১

১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৫৪
ভোলায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও জামায়াত সমর্থকদের ৪-৫টি দোকানে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এরপর যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে ভোলার সদরের ভেলুমিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভেলুমিয়া বাজার শাখার জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. মমিম জানান, সকালের দিকে তারা বিজয় র্যালি বের করেন। এসময় তাদের এক সমর্থকের সঙ্গে বিএনপির এক সমর্থকের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার রেষ ধরে সন্ধ্যার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে জামায়াত সমর্থকের ৫টি দোকানে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে তাদের কয়েকজন সমর্থক আহত হন।
অন্যদিকে ভেলুমিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউনুছ কমান্ডার জানান, সকালে জামায়াতের লোকজন বিএনপির এক কর্মীকে মারধর করে। কিন্তু তারা কিছু বলেনি। সন্ধ্যার দিকে তারা বিজয় মিছিল বের করে ভেলুমিয়া স্কুলের গেটের সামনে গেলে জামায়াতে ইসলামীর লোকজন ইট-পাটকেল ছোড়ে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। বিএনপির ৩ জন আহত হয়েছেন। তবে কোনো দোকান ভাঙচুর করা হয়নি।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশসহ যৌথ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি।
ভোলায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও জামায়াত সমর্থকদের ৪-৫টি দোকানে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এরপর যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে ভোলার সদরের ভেলুমিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভেলুমিয়া বাজার শাখার জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. মমিম জানান, সকালের দিকে তারা বিজয় র্যালি বের করেন। এসময় তাদের এক সমর্থকের সঙ্গে বিএনপির এক সমর্থকের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার রেষ ধরে সন্ধ্যার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে জামায়াত সমর্থকের ৫টি দোকানে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে তাদের কয়েকজন সমর্থক আহত হন।
অন্যদিকে ভেলুমিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউনুছ কমান্ডার জানান, সকালে জামায়াতের লোকজন বিএনপির এক কর্মীকে মারধর করে। কিন্তু তারা কিছু বলেনি। সন্ধ্যার দিকে তারা বিজয় মিছিল বের করে ভেলুমিয়া স্কুলের গেটের সামনে গেলে জামায়াতে ইসলামীর লোকজন ইট-পাটকেল ছোড়ে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। বিএনপির ৩ জন আহত হয়েছেন। তবে কোনো দোকান ভাঙচুর করা হয়নি।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশসহ যৌথ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি।

১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:০১
ভোলার দৌলতখান উপজেলায় মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় দলের ২০ জন আহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দৌলতখান উপজেলা স্টেডিয়ামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় জামায়াতে ইসলামীর ১৫ জন ও বিএনপির সাতজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর দুজনকে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দৌলতখান উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় দৌলতখান স্টেডিয়ামে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে পূর্বেই বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদদের পরিবার, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেখানে আলাদাভাবে সবার জন্য আসন নির্ধারিত ছিল।
অনুষ্ঠান শুরুর নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হয়ে আসন গ্রহণ করেন জামায়াতে ইসলামীর দৌলতখান উপজেলা শাখার আমির ও সেক্রেটারি। এরপর বিএনপির নেতাকর্মীরা এসে আসনে জামায়াতের নেতাদের দেখে ‘রাজাকার বলে’ নানা ধরনের কথা বলতে থাকেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জামায়াতে ইসলামীর দৌলতখান উপজেলার সেক্রেটারি মো. আশরাফ উদ্দিন ফারুক বলেন, উপজেলা প্রশাসন আমাদেরকে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিয়েছিল। দাওয়াত পেয়ে আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হই। সেখানে অতিথিদের জন্য নির্ধারিত আসনে বিএনপির চারজন ও জামায়াতে ইসলামীর দুজন নেতার জন্য চেয়ার সংরক্ষিত ছিল।
তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে আমরা আমাদের আসন গ্রহণ করি। এক পর্যায়ে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সামনে দৌলতখান পৌরসভা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বাবুল ও দৌলতখান উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলামসহ বিএনপি ও যুবদলের বেশ কয়েকজন পদধারী নেতাকর্মীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
তাদের হামলায় আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ পুরোপুরি নির্বিকার ছিল। এ ছাড়া তারা চেয়ারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর চালিয়েছে। এ ঘটনায় দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দৌলতখান উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ফারুক হোসেন তালুকদার বলেন, জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল, তারা বাংলাদেশ চায়নি। তারা যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল তাই তাদের কিছুটা সেক্রিফাইস মন-মানসিকতা থাকা দরকার ছিল। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বসা নিয়ে নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের কথা-কাটাকাটি ও ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এ সময় চেয়ার ছোড়াছুড়িতে আমাদের ৫-৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সিকদার বলেন, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বসার আসনকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভোলার দৌলতখান উপজেলায় মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় দলের ২০ জন আহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দৌলতখান উপজেলা স্টেডিয়ামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় জামায়াতে ইসলামীর ১৫ জন ও বিএনপির সাতজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর দুজনকে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দৌলতখান উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় দৌলতখান স্টেডিয়ামে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে পূর্বেই বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদদের পরিবার, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেখানে আলাদাভাবে সবার জন্য আসন নির্ধারিত ছিল।
অনুষ্ঠান শুরুর নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হয়ে আসন গ্রহণ করেন জামায়াতে ইসলামীর দৌলতখান উপজেলা শাখার আমির ও সেক্রেটারি। এরপর বিএনপির নেতাকর্মীরা এসে আসনে জামায়াতের নেতাদের দেখে ‘রাজাকার বলে’ নানা ধরনের কথা বলতে থাকেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জামায়াতে ইসলামীর দৌলতখান উপজেলার সেক্রেটারি মো. আশরাফ উদ্দিন ফারুক বলেন, উপজেলা প্রশাসন আমাদেরকে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিয়েছিল। দাওয়াত পেয়ে আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হই। সেখানে অতিথিদের জন্য নির্ধারিত আসনে বিএনপির চারজন ও জামায়াতে ইসলামীর দুজন নেতার জন্য চেয়ার সংরক্ষিত ছিল।
তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে আমরা আমাদের আসন গ্রহণ করি। এক পর্যায়ে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সামনে দৌলতখান পৌরসভা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বাবুল ও দৌলতখান উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলামসহ বিএনপি ও যুবদলের বেশ কয়েকজন পদধারী নেতাকর্মীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
তাদের হামলায় আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ পুরোপুরি নির্বিকার ছিল। এ ছাড়া তারা চেয়ারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর চালিয়েছে। এ ঘটনায় দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দৌলতখান উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ফারুক হোসেন তালুকদার বলেন, জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল, তারা বাংলাদেশ চায়নি। তারা যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল তাই তাদের কিছুটা সেক্রিফাইস মন-মানসিকতা থাকা দরকার ছিল। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বসা নিয়ে নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের কথা-কাটাকাটি ও ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এ সময় চেয়ার ছোড়াছুড়িতে আমাদের ৫-৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সিকদার বলেন, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বসার আসনকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:০১
ভোলার লালমোহন উপজেলার হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীসহ ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজে মোট ৬ জন ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের প্রকাশিত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা আলম মীম রংপুর মেডিকেল কলেজে এবং সুমাইয়া আশরাফ শুশমিতা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান।
জানা গেছে, খাদিজা আলম মীম ২০২৪ সালে হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি লালমোহন ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক (গণিত) মো. মাকসুদুর রহমানের মেয়ে। সুমাইয়া আশরাফ শুশমিতা একই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি লালমোহন বাজারের ব্যবসায়ী আশরাফ ছিদ্দিকের মেয়ে।
এই সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করে হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিন বলেন, আমাদের দুই শিক্ষার্থীর গৌরবময় এই অর্জনে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। তাদের এই সাফল্য প্রতিষ্ঠানের জন্য গর্বের। আমরা তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।
অপরদিকে, লালমোহনের বাহিরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে আরও চার শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল হক লিটুর মেয়ে মাইশা হক আদৃতা খুলনা সরকারি মেডিকেল কলেজে, পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বর্ণালী সড়কের বাসিন্দা ঠিকাদার কামরুল ইসলাম রাসেলের মেয়ে কামরুন নাহার সুজানা জামালপুর সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
এছাড়া, ডাওরী এলাকার বাসিন্দা ও ভোলা সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হুমায়ুন কবীরের মেয়ে সায়মা কবির আনিকা এবং ধলীনগর ইউনিয়নের চতলা এলাকার সাইদুর রহমান আজাদের মেয়ে ইশরাত জাহান সাবরিন ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ লাভ করেন।
ভোলার লালমোহন উপজেলার হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীসহ ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজে মোট ৬ জন ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের প্রকাশিত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা আলম মীম রংপুর মেডিকেল কলেজে এবং সুমাইয়া আশরাফ শুশমিতা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান।
জানা গেছে, খাদিজা আলম মীম ২০২৪ সালে হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি লালমোহন ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক (গণিত) মো. মাকসুদুর রহমানের মেয়ে। সুমাইয়া আশরাফ শুশমিতা একই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি লালমোহন বাজারের ব্যবসায়ী আশরাফ ছিদ্দিকের মেয়ে।
এই সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করে হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিন বলেন, আমাদের দুই শিক্ষার্থীর গৌরবময় এই অর্জনে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। তাদের এই সাফল্য প্রতিষ্ঠানের জন্য গর্বের। আমরা তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।
অপরদিকে, লালমোহনের বাহিরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে আরও চার শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল হক লিটুর মেয়ে মাইশা হক আদৃতা খুলনা সরকারি মেডিকেল কলেজে, পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বর্ণালী সড়কের বাসিন্দা ঠিকাদার কামরুল ইসলাম রাসেলের মেয়ে কামরুন নাহার সুজানা জামালপুর সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
এছাড়া, ডাওরী এলাকার বাসিন্দা ও ভোলা সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হুমায়ুন কবীরের মেয়ে সায়মা কবির আনিকা এবং ধলীনগর ইউনিয়নের চতলা এলাকার সাইদুর রহমান আজাদের মেয়ে ইশরাত জাহান সাবরিন ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ লাভ করেন।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.