
১৬ জুন, ২০২৫ ১২:৫৪
অর্থের বিনিময়ে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতাকে বিএনপির সক্রিয় কর্মী হিসেবে প্রত্যয়ণপত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ কয়েক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ভুলবশত ছাত্রলীগ নেতার নাম আসায় প্রত্যয়ন প্রত্যাহার করা হয়েছে।
জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর দুপুর দেড়টায় পল্টন এলাকায় হত্যাচেষ্টার ঘটনা দেখিয়ে গত ৮ মে পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের মো. বেল্লাল হোসেন। মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে ১২৩ জন আসামির মধ্যে ১১৯ নম্বর ক্রমিকে দেওয়া হয়েছে পটুয়াখালীর মহিপুর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. গোলাম রাব্বি খানকে।
মামলা দায়েরের পর এ তালিকা থেকে ৮ জনকে অব্যাহতি দিতে ১২ জুন চম্পাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের পক্ষে সুপারিশ করেন। তালিকার ৫ নম্বরে রয়েছে রাব্বির নাম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একটি সূত্র জানায়, ৫ তারিখের পর থেকে একাধিক বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাঁচাতে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠে।
চম্পাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক মো. মিলন মুন্সী বলেন, আমি ও সভাপতি বিএনপির দুর্দিনের কর্মী। ৫ তারিখের পর নেতা হয়েছি এমন নয়। রাব্বি খানের নাম বিএনপির সক্রিয় কর্মী হিসেবে সুপারিশ তালিকায় ভুলবশত এসেছে, যা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার বলেন, ছাত্রলীগ নেতা রাব্বি খানের নামযুক্ত সুপারিশ তালিকাটি ভুয়া। এ বিষয়ে মামলার বাদী বেলাল হোসেন বলেন, যাদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তারা সবাই আওয়ামী লীগের লোক। বিএনপির কিছু লোক এদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে তাদের বিএনপি বলে সুপারিশ করে প্রত্যয়নপত্র দেন, এটা দুঃখজনক।
অর্থের বিনিময়ে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতাকে বিএনপির সক্রিয় কর্মী হিসেবে প্রত্যয়ণপত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ কয়েক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ভুলবশত ছাত্রলীগ নেতার নাম আসায় প্রত্যয়ন প্রত্যাহার করা হয়েছে।
জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর দুপুর দেড়টায় পল্টন এলাকায় হত্যাচেষ্টার ঘটনা দেখিয়ে গত ৮ মে পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের মো. বেল্লাল হোসেন। মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে ১২৩ জন আসামির মধ্যে ১১৯ নম্বর ক্রমিকে দেওয়া হয়েছে পটুয়াখালীর মহিপুর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. গোলাম রাব্বি খানকে।
মামলা দায়েরের পর এ তালিকা থেকে ৮ জনকে অব্যাহতি দিতে ১২ জুন চম্পাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের পক্ষে সুপারিশ করেন। তালিকার ৫ নম্বরে রয়েছে রাব্বির নাম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একটি সূত্র জানায়, ৫ তারিখের পর থেকে একাধিক বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাঁচাতে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠে।
চম্পাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক মো. মিলন মুন্সী বলেন, আমি ও সভাপতি বিএনপির দুর্দিনের কর্মী। ৫ তারিখের পর নেতা হয়েছি এমন নয়। রাব্বি খানের নাম বিএনপির সক্রিয় কর্মী হিসেবে সুপারিশ তালিকায় ভুলবশত এসেছে, যা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার বলেন, ছাত্রলীগ নেতা রাব্বি খানের নামযুক্ত সুপারিশ তালিকাটি ভুয়া। এ বিষয়ে মামলার বাদী বেলাল হোসেন বলেন, যাদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তারা সবাই আওয়ামী লীগের লোক। বিএনপির কিছু লোক এদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে তাদের বিএনপি বলে সুপারিশ করে প্রত্যয়নপত্র দেন, এটা দুঃখজনক।

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:৫৫
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন অডিটরিয়াম ভবনের কাজকে ঘিরে পরিবেশগত উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। অডিটরিয়ামের পাইলিং কাজের সময় উত্তোলিত বালু ও পানি পাশের পিরতলা খালে ফেলার মাধ্যমে খাল ভরাট করা হচ্ছে—এমন অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয়দের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের খামারবাড়ি এলাকায় অবস্থিত নির্মাণস্থলে প্রতিটি পাইল বোরিংয়ের সময় ভূগর্ভস্থ বালু ও পানি সরাসরি সংলগ্ন পিরতলা খালে ফেলা হচ্ছে। এতে খালের স্বাভাবিক পানি ধারণক্ষমতা কমে যাচ্ছে এবং দ্রুত ভরাট হয়ে পড়ছে। খালটি আশপাশের এলাকার প্রধান পানি নিষ্কাশন পথ হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা, চলাচলে দুর্ভোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
জানা গেছে, বরিশালের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমির ইঞ্জিনিয়ারিং কার্যাদেশ পেয়ে অডিটরিয়াম নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে। কাজ শুরুর পর থেকেই পাইল বোরিংয়ের বালু ও পানি খালে ফেলার অভিযোগ উঠে আসে। এ নিয়ে পিরতলা বাজার কমিটির পক্ষ থেকে একাধিকবার আপত্তি জানানো হয় এবং স্থানীয় বাসিন্দারাও খাল রক্ষায় কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, প্রাথমিকভাবে সাইট ইঞ্জিনিয়ার বিকল্প ব্যবস্থার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। বরং লোকচক্ষুর আড়ালে আগের মতোই খালে বালু ও পানি ফেলার কাজ চলতে থাকায় খাল ভরাটের আশঙ্কা আরও বেড়েছে।
পিরতলা বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, “এই খাল দিয়েই এলাকার পানি নিষ্কাশন হয়। খাল ভরাট হয়ে গেলে বর্ষায় দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়বে, তখন ব্যবসা চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।”
অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. আমির হোসেন বলেন, “বিষয়টি আগে আমার জানা ছিল না। বিষয়টি জানতে পেরে সাইট ইঞ্জিনিয়ারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন ভবিষ্যতে পাইলের বালু ও পানি খালে ফেলা না হয়।”
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পবিপ্রবি প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তাদের দাবি, খালটি রক্ষা করা না গেলে বর্ষা মৌসুমে এলাকায় বড় ধরনের জনভোগান্তি দেখা দিতে পারে।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন অডিটরিয়াম ভবনের কাজকে ঘিরে পরিবেশগত উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। অডিটরিয়ামের পাইলিং কাজের সময় উত্তোলিত বালু ও পানি পাশের পিরতলা খালে ফেলার মাধ্যমে খাল ভরাট করা হচ্ছে—এমন অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয়দের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের খামারবাড়ি এলাকায় অবস্থিত নির্মাণস্থলে প্রতিটি পাইল বোরিংয়ের সময় ভূগর্ভস্থ বালু ও পানি সরাসরি সংলগ্ন পিরতলা খালে ফেলা হচ্ছে। এতে খালের স্বাভাবিক পানি ধারণক্ষমতা কমে যাচ্ছে এবং দ্রুত ভরাট হয়ে পড়ছে। খালটি আশপাশের এলাকার প্রধান পানি নিষ্কাশন পথ হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা, চলাচলে দুর্ভোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
জানা গেছে, বরিশালের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমির ইঞ্জিনিয়ারিং কার্যাদেশ পেয়ে অডিটরিয়াম নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে। কাজ শুরুর পর থেকেই পাইল বোরিংয়ের বালু ও পানি খালে ফেলার অভিযোগ উঠে আসে। এ নিয়ে পিরতলা বাজার কমিটির পক্ষ থেকে একাধিকবার আপত্তি জানানো হয় এবং স্থানীয় বাসিন্দারাও খাল রক্ষায় কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, প্রাথমিকভাবে সাইট ইঞ্জিনিয়ার বিকল্প ব্যবস্থার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। বরং লোকচক্ষুর আড়ালে আগের মতোই খালে বালু ও পানি ফেলার কাজ চলতে থাকায় খাল ভরাটের আশঙ্কা আরও বেড়েছে।
পিরতলা বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, “এই খাল দিয়েই এলাকার পানি নিষ্কাশন হয়। খাল ভরাট হয়ে গেলে বর্ষায় দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়বে, তখন ব্যবসা চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।”
অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. আমির হোসেন বলেন, “বিষয়টি আগে আমার জানা ছিল না। বিষয়টি জানতে পেরে সাইট ইঞ্জিনিয়ারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন ভবিষ্যতে পাইলের বালু ও পানি খালে ফেলা না হয়।”
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পবিপ্রবি প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তাদের দাবি, খালটি রক্ষা করা না গেলে বর্ষা মৌসুমে এলাকায় বড় ধরনের জনভোগান্তি দেখা দিতে পারে।

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:১৪
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় আমন ধান কাটার মৌসুম শুরু হওয়ায় গ্রামজুড়ে নবান্নের আনন্দ ফিরে এসেছে। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সোনালি ধানের দোলায় কৃষকদের ব্যস্ততায় মুখর হয়ে উঠেছে জনপদ। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান কাটা, মাড়াই ও ঘরে তোলার কাজে সময় পার করছেন কৃষকরা।
উপজেলার লেবুখালী, মুরাদিয়া, আঙ্গারিয়া ও পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে এখন ধান কাটার ধুম। অনেক জায়গায় কৃষকরা নিজ উদ্যোগে ধান কাটছেন, আবার শ্রমিক সংকটের কারণে কোথাও কোথাও যান্ত্রিক হারভেস্টারের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। কৃষিকাজে সহযোগিতা করছেন পরিবারের নারী-পুরুষ সদস্যরাও।
লেবুখালী ইউনিয়নের কৃষক আবদুস সালাম জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। উৎপাদন খরচ কিছুটা বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধানের বাজারদর ঠিক থাকলে লাভের মুখ দেখা যাবে। একই এলাকার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের জলিশা গ্রামের কৃষক সৈয়দ জিয়াউল হাসান বলেন, অতিবৃষ্টি না হওয়ায় ধান ক্ষতির মুখে পড়েনি। আশা করছি এবার ভালো ফলন পাওয়া যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে দুমকি উপজেলায় ৬ হাজার ৬০১ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। রোগবালাই তুলনামূলক কম থাকায় ফলন সন্তোষজনক হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরও জানান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সময়মতো ধান কেটে নিরাপদে ঘরে তোলার পরামর্শ দিচ্ছেন।
নতুন ধান ঘরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামে গ্রামে নবান্ন উৎসবের প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। কৃষক পরিবারগুলোতে ফিরে এসেছে হাসি ও স্বস্তি। ধান কাটার ব্যস্ততার মাঝেই দুমকির গ্রামগুলোতে আবারও কর্মচাঞ্চল্য ও প্রাণচাঞ্চল্যের নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় আমন ধান কাটার মৌসুম শুরু হওয়ায় গ্রামজুড়ে নবান্নের আনন্দ ফিরে এসেছে। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সোনালি ধানের দোলায় কৃষকদের ব্যস্ততায় মুখর হয়ে উঠেছে জনপদ। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান কাটা, মাড়াই ও ঘরে তোলার কাজে সময় পার করছেন কৃষকরা।
উপজেলার লেবুখালী, মুরাদিয়া, আঙ্গারিয়া ও পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে এখন ধান কাটার ধুম। অনেক জায়গায় কৃষকরা নিজ উদ্যোগে ধান কাটছেন, আবার শ্রমিক সংকটের কারণে কোথাও কোথাও যান্ত্রিক হারভেস্টারের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। কৃষিকাজে সহযোগিতা করছেন পরিবারের নারী-পুরুষ সদস্যরাও।
লেবুখালী ইউনিয়নের কৃষক আবদুস সালাম জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। উৎপাদন খরচ কিছুটা বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধানের বাজারদর ঠিক থাকলে লাভের মুখ দেখা যাবে। একই এলাকার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের জলিশা গ্রামের কৃষক সৈয়দ জিয়াউল হাসান বলেন, অতিবৃষ্টি না হওয়ায় ধান ক্ষতির মুখে পড়েনি। আশা করছি এবার ভালো ফলন পাওয়া যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে দুমকি উপজেলায় ৬ হাজার ৬০১ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। রোগবালাই তুলনামূলক কম থাকায় ফলন সন্তোষজনক হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরও জানান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সময়মতো ধান কেটে নিরাপদে ঘরে তোলার পরামর্শ দিচ্ছেন।
নতুন ধান ঘরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামে গ্রামে নবান্ন উৎসবের প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। কৃষক পরিবারগুলোতে ফিরে এসেছে হাসি ও স্বস্তি। ধান কাটার ব্যস্ততার মাঝেই দুমকির গ্রামগুলোতে আবারও কর্মচাঞ্চল্য ও প্রাণচাঞ্চল্যের নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।

১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৮
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মাথায় গুলি করার ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনের ছবি প্রকাশ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সন্দেহভাজন ব্যক্তির একাধিক ছবি যাচাই করে জানা যায়, ওই ব্যক্তির বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে। তার নাম ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুল। অতীতে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুট করে নেওয়ার ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তার বিরুদ্ধে আদাবর থানায় মামলা রয়েছে।
সরেজমিনে মাসুদের আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের বাবা হুমায়ুন কবির ওরফে মালেক প্রায় ৩৫ বছর আগে গ্রাম ছেড়ে আগে চলে যান। পুরো পরিবার নিয়ে তিনি ঢাকায় থাকেন। সন্দেহভাজন হামলাকারী মাসুদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায় হওয়ায় গ্রামের বাড়িতে সে কখনও আসেনি। গ্রামের কেউই তাকে দেখেনি বা চেনেও না। গ্রামে তাদের যে সম্পত্তি ছিল, তাও বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গেও তাদের কোনো যোগাযোগ নেই।
ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের চাচি মিনারা বেগম জানান, মাসুদের পরিবার ৩৫ বছর ধরে ঢাকায় থাকে। আমরা কখনও তাদের দেখিনি এবং তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগও নেই।
এদিকে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির বিষয়ে তথ্য জানতে সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ডিএমপি। তাকে ধরিয়ে দিতে পুরষ্কারও ঘোষণা করেছে ডিএমপি।
স্থানীয় বাসিন্দা বাচ্চু হাওলাদার বলেন, হুমায়ুন কবিরকে আমরা মালেক নামে চিনি। এলাকা থেকে প্রায় ৩৫ বছর আগে ঢাকায় চলে গেছেন। বাড়িতে তাদের ঘরবাড়িও নেই। সব বিক্রি করে দিয়েছেন।
বাউফল থানার পরিদর্শক (এসআই তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের পরিবারের কেউ বর্তমানে ওই বাড়িতে বসবাস করছেন না। তারা অনেক আগেই সব সম্পত্তি বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। এরপরও সম্ভাব্য যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওই এলাকায় বাড়তি নজরদারি রাখা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই শেষে প্রযোাজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মাথায় গুলি করার ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনের ছবি প্রকাশ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সন্দেহভাজন ব্যক্তির একাধিক ছবি যাচাই করে জানা যায়, ওই ব্যক্তির বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে। তার নাম ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুল। অতীতে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুট করে নেওয়ার ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তার বিরুদ্ধে আদাবর থানায় মামলা রয়েছে।
সরেজমিনে মাসুদের আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের বাবা হুমায়ুন কবির ওরফে মালেক প্রায় ৩৫ বছর আগে গ্রাম ছেড়ে আগে চলে যান। পুরো পরিবার নিয়ে তিনি ঢাকায় থাকেন। সন্দেহভাজন হামলাকারী মাসুদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায় হওয়ায় গ্রামের বাড়িতে সে কখনও আসেনি। গ্রামের কেউই তাকে দেখেনি বা চেনেও না। গ্রামে তাদের যে সম্পত্তি ছিল, তাও বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গেও তাদের কোনো যোগাযোগ নেই।
ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের চাচি মিনারা বেগম জানান, মাসুদের পরিবার ৩৫ বছর ধরে ঢাকায় থাকে। আমরা কখনও তাদের দেখিনি এবং তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগও নেই।
এদিকে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির বিষয়ে তথ্য জানতে সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ডিএমপি। তাকে ধরিয়ে দিতে পুরষ্কারও ঘোষণা করেছে ডিএমপি।
স্থানীয় বাসিন্দা বাচ্চু হাওলাদার বলেন, হুমায়ুন কবিরকে আমরা মালেক নামে চিনি। এলাকা থেকে প্রায় ৩৫ বছর আগে ঢাকায় চলে গেছেন। বাড়িতে তাদের ঘরবাড়িও নেই। সব বিক্রি করে দিয়েছেন।
বাউফল থানার পরিদর্শক (এসআই তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের পরিবারের কেউ বর্তমানে ওই বাড়িতে বসবাস করছেন না। তারা অনেক আগেই সব সম্পত্তি বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। এরপরও সম্ভাব্য যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওই এলাকায় বাড়তি নজরদারি রাখা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই শেষে প্রযোাজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.