২৩ জুন, ২০২৫ ২২:১৩
ভোলার লঞ্চ থেকে পড়ে নিখোঁজ ছাত্রদল নেত্রীর মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ছাত্রী ও ছাত্রদল নেত্রী সুকর্ণা আক্তার ইস্পিতা রাজধানী ঢাকাগামী লঞ্চ থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন।
পরে উদ্ধার করা মরদেহে নির্যাতনের চিহ্ন থাকায় হত্যা মামলা করেছে নৌ-থানার পুলিশ। এ নিয়ে তোলপাড় চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কারও কারও অভিযোগ ওই ছাত্রীর ওপর নির্যাতন করা হয়েছে, কেউ বলছেন ধর্ষণের শিকার।
সোমবার কলেজ সহপাঠীরা ক্ষোভ জানিয়ে বিচার দাবি করেছেন।
চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ সুপারের নির্দেশে ডিবি পুলিশ মাঠে কাজ শুরু করেছে। ১৭ জুন ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হন। এর আগে ওই ছাত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনীতি থেকে সরে যাওয়াসহ নানা ধরনের পোস্ট দেওয়ার বিষয়ও খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা সংস্থা।
শুক্রবার বিকালে ওই ছাত্রীর মরদেহ লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের বুড়িরঘাট মেঘনা নদীতে ভাসতে দেখে নৌপুলিশ উদ্ধার করে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালো দাগ থাকায় লক্ষ্মীপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নৌপুলিশের এসআই আজিজুল ইসলাম।
তিনি জানান, অজ্ঞাত ও বেওয়ারিশ হিসেবে ওই লাশ রোববার বিকালে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হয়। পুলিশের সংগ্রহে রাখা নিহতের পরিধেয় সেলোয়ার কামিজ দেখে সোমবার দুপুরে নিহত সুকর্ণা আক্তারের বাবা ইজিবাইক চালক মাসুদ রানা শনাক্ত করেন। দাফন করা মেয়েটি সুকর্ণা আক্তার ইস্পিতা ছিল।
এর আগে মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ভোলা থানায় একটি জিডি করেন তিনি। তাতে উল্লেখ করেন ১৭ জুন তার মেয়ে প্রাইভেট পড়তে সকাল ৮টায় বাসা থেকে বের হয়। বেলা ১১টায় ফিরে আসার কথা থাকলেও সে ফেরেনি।
এদিকে সুকর্ণার নিখোঁজ ও মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে অভিযানে নামে ভোলার ডিবি পুলিশ। ডিবি ওসি জানান সকাল ১০টায় ইলিশাঘাট থেকে ঢাকাগামী এমভি কর্ণফুলী-৪ লঞ্চ ওঠে ওই ছাত্রী। লঞ্চটি কালিগঞ্জ ঘাট অতিক্রমের কিছু পরেই ওই মেয়ে নদীতে পড়ার ঘটনা ঘটে।
এদিকে লক্ষ্মীপুর থানার ওসি আব্দুল মোনাফ জানান, তার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর মূল কারণ জানা যাবে।
এদিকে ব্রাদার্স নেভিগেশন ও কর্ণফুলী লঞ্চের ম্যানেজার মো. আলাউদ্দিন যুগান্তরকে জানান, ওই মেয়েটি ওই দিন তাদের লঞ্চের যাত্রী ছিল। প্রথমে কেবিন চেয়েছিল। কেবিন ভাড়া বেশি ও সংকট থাকায় তিনি ডেকে অবস্থান করেন। কিনারে দাঁড়িয়ে ফোনে কারো সঙ্গে বারবার কথা বলতে দেখা যায়। ইলিশা ঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়ার এক ঘণ্টা পর চরের কাছাকাছি হঠাৎ মেয়েটি নদীতে ঝাঁপ দেয়।
তিনি জানান, যাত্রীরা বিষয়টি জানালে, লঞ্চ মাস্টার দ্রুত লঞ্চ ঘুরিয়ে খোঁজ নিতে থাকেন। ৪৫ মিনিট খোঁজাখুঁজির পর কোনো সন্ধান না পেয়ে ফের লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়ে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিষয় উঠে আসায় জেলা প্রশাসন থেকে লঞ্চ স্টাফ ও বেশ কয়েকজন যাত্রীকে ডেকে আনা হয়। তাদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে।
ম্যানেজার আলাউদ্দিনের দাবি, ওই দিন লঞ্চে ওই ছাত্রীর ওপর কোনো ধরনের নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি। তবে লাফ দেওয়ার পর তার মোবাইল ফোনসহ হাত ব্যাগ একটি ছেলে তুলে নেয়। ওই ছেলেকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। মেয়েটি লাফ দেওয়ার আগে কার সঙ্গে কথা বলেছে, তা ট্র্যাক করলে তথ্য বের হতে পারে বলে ধারণা করেন স্বজনরা।
ভোলার লঞ্চ থেকে পড়ে নিখোঁজ ছাত্রদল নেত্রীর মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ছাত্রী ও ছাত্রদল নেত্রী সুকর্ণা আক্তার ইস্পিতা রাজধানী ঢাকাগামী লঞ্চ থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন।
পরে উদ্ধার করা মরদেহে নির্যাতনের চিহ্ন থাকায় হত্যা মামলা করেছে নৌ-থানার পুলিশ। এ নিয়ে তোলপাড় চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কারও কারও অভিযোগ ওই ছাত্রীর ওপর নির্যাতন করা হয়েছে, কেউ বলছেন ধর্ষণের শিকার।
সোমবার কলেজ সহপাঠীরা ক্ষোভ জানিয়ে বিচার দাবি করেছেন।
চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ সুপারের নির্দেশে ডিবি পুলিশ মাঠে কাজ শুরু করেছে। ১৭ জুন ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হন। এর আগে ওই ছাত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনীতি থেকে সরে যাওয়াসহ নানা ধরনের পোস্ট দেওয়ার বিষয়ও খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা সংস্থা।
শুক্রবার বিকালে ওই ছাত্রীর মরদেহ লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের বুড়িরঘাট মেঘনা নদীতে ভাসতে দেখে নৌপুলিশ উদ্ধার করে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালো দাগ থাকায় লক্ষ্মীপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নৌপুলিশের এসআই আজিজুল ইসলাম।
তিনি জানান, অজ্ঞাত ও বেওয়ারিশ হিসেবে ওই লাশ রোববার বিকালে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হয়। পুলিশের সংগ্রহে রাখা নিহতের পরিধেয় সেলোয়ার কামিজ দেখে সোমবার দুপুরে নিহত সুকর্ণা আক্তারের বাবা ইজিবাইক চালক মাসুদ রানা শনাক্ত করেন। দাফন করা মেয়েটি সুকর্ণা আক্তার ইস্পিতা ছিল।
এর আগে মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ভোলা থানায় একটি জিডি করেন তিনি। তাতে উল্লেখ করেন ১৭ জুন তার মেয়ে প্রাইভেট পড়তে সকাল ৮টায় বাসা থেকে বের হয়। বেলা ১১টায় ফিরে আসার কথা থাকলেও সে ফেরেনি।
এদিকে সুকর্ণার নিখোঁজ ও মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে অভিযানে নামে ভোলার ডিবি পুলিশ। ডিবি ওসি জানান সকাল ১০টায় ইলিশাঘাট থেকে ঢাকাগামী এমভি কর্ণফুলী-৪ লঞ্চ ওঠে ওই ছাত্রী। লঞ্চটি কালিগঞ্জ ঘাট অতিক্রমের কিছু পরেই ওই মেয়ে নদীতে পড়ার ঘটনা ঘটে।
এদিকে লক্ষ্মীপুর থানার ওসি আব্দুল মোনাফ জানান, তার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর মূল কারণ জানা যাবে।
এদিকে ব্রাদার্স নেভিগেশন ও কর্ণফুলী লঞ্চের ম্যানেজার মো. আলাউদ্দিন যুগান্তরকে জানান, ওই মেয়েটি ওই দিন তাদের লঞ্চের যাত্রী ছিল। প্রথমে কেবিন চেয়েছিল। কেবিন ভাড়া বেশি ও সংকট থাকায় তিনি ডেকে অবস্থান করেন। কিনারে দাঁড়িয়ে ফোনে কারো সঙ্গে বারবার কথা বলতে দেখা যায়। ইলিশা ঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়ার এক ঘণ্টা পর চরের কাছাকাছি হঠাৎ মেয়েটি নদীতে ঝাঁপ দেয়।
তিনি জানান, যাত্রীরা বিষয়টি জানালে, লঞ্চ মাস্টার দ্রুত লঞ্চ ঘুরিয়ে খোঁজ নিতে থাকেন। ৪৫ মিনিট খোঁজাখুঁজির পর কোনো সন্ধান না পেয়ে ফের লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়ে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিষয় উঠে আসায় জেলা প্রশাসন থেকে লঞ্চ স্টাফ ও বেশ কয়েকজন যাত্রীকে ডেকে আনা হয়। তাদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে।
ম্যানেজার আলাউদ্দিনের দাবি, ওই দিন লঞ্চে ওই ছাত্রীর ওপর কোনো ধরনের নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি। তবে লাফ দেওয়ার পর তার মোবাইল ফোনসহ হাত ব্যাগ একটি ছেলে তুলে নেয়। ওই ছেলেকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। মেয়েটি লাফ দেওয়ার আগে কার সঙ্গে কথা বলেছে, তা ট্র্যাক করলে তথ্য বের হতে পারে বলে ধারণা করেন স্বজনরা।
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৮:০৪
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের অভিযানে গত পাঁচ মাসে প্রায় ৪ হাজার ২২৪ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ জাল, ২ হাজার ৩৬২ কোটি টাকার জাটকা, ৬৭২ কোটি টাকার চিংড়ি রেণু, ১৩৫ কোটি টাকার ট্রলার, ২১ লাখ ৬৩ হাজার টাকার মাদক, ২৩৯ কোটি টাকার সামুদ্রিক মাছ, ৭ লাখ টাকার বিদেশি সিগারেট, ১০ হাজার ৯৪০ কোটি টাকার বালু উত্তোলনকারী ড্রেজার এবং দেশি-বিদেশি ১৫২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি-বোমাসহ ৪৩ জন ডাকাতকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (১৭ আগস্ট) সকালে কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের বিসিজি বেইজ ভোলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মো. ইমাম হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, দেশের সমুদ্রসীমা ও উপকূলীয় এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, চোরাচালান, মাদক ও মানবপাচার দমন, অবৈধ ট্রলিং প্রতিরোধ এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, গত পাঁচ মাসে ৬৫ কোটি মিটার অবৈধ জাল, ১ হাজার ৫০০টি বেহুন্দি জাল এবং ৫ হাজার ৬০০টি চায়না দুয়ারি জাল জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়াও, প্রায় ২৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা মূল্যের ১ লাখ ৭৭ হাজার কেজি জাটকা, ২০ হাজার কেজি ইলিশ, ৩১ হাজার কেজি সামুদ্রিক মাছ, ১৭ হাজার কেজি পাঙ্গাস পোনা এবং ৬ কোটি ৭২ লাখ পিস চিংড়ির রেণু জব্দ করা হয়। জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং মাছ এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়। চিংড়ির রেণুগুলো নদীতে অবমুক্ত করা হয়।
অবৈধ ট্রলিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযানে ১৩৫ কোটি টাকা মূল্যের ১৩৩টি ট্রলিং বোট জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি সার্চ ও রেসকিউ অভিযানে ৫২০ জনকে জীবিত এবং ৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। জলদস্যুদের কবল থেকে ৪টি ফিশিং ট্রলার ও ৬৭ জন জেলেকেও জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গত পাঁচ মাসে ২৯টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ৪৮ রাউন্ড গুলি, ১টি গোলার খোসা, ২৭টি হাতবোমা, ৪টি রকেট ফ্লেয়ার, ৩৯টি ধারালো দেশীয় অস্ত্র এবং ২০ লাখ ৫ হাজার টাকা মূল্যের ডাকাতি করা স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। এ সময় ৪৩ জন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও ডাকাতকে আটক করা হয়।
মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে ২১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা মূল্যের ১৮ কেজি ৮৪০ গ্রাম গাঁজা, ৫টি গাঁজার গাছ এবং ৩ হাজার ১৯৭ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা মূল্যের ৫ হাজার ৯০০ কেজি হাঙর, ৮৪৫ কেজি শাপলা পাতা, ৩০ হাজার ৮০ কেজি অবৈধ পলিথিন ও ১০ হাজার ২৫০ লিটার অপরিশোধিত পাম অয়েল জব্দ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা মূল্যের ১৯০ কেজি হরিণের মাংস, ১টি হরিণের সিং, প্রায় ৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা মূল্যের ৫ হাজার ৮৮৯টি আতশবাজি এবং ১৯ হাজার ৬০০ স্টিক বিভিন্ন বিদেশি ব্র্যান্ডের সিগারেট ও অন্যান্য অবৈধ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী জব্দ করা হয়।
অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযানে গত ৬ মাসে ১০৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ৭০টি ড্রেজার এবং ৫৮টি বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে। জনসেবামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ‘ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন’-এর মাধ্যমে ১ হাজার ১২০ জন অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে।
‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মৎস্য সংরক্ষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগকালীন উদ্ধার ও অগ্নি নির্বাপন বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করা হয়েছে বলেও জানান জোনাল কমান্ডার।
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের অভিযানে গত পাঁচ মাসে প্রায় ৪ হাজার ২২৪ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ জাল, ২ হাজার ৩৬২ কোটি টাকার জাটকা, ৬৭২ কোটি টাকার চিংড়ি রেণু, ১৩৫ কোটি টাকার ট্রলার, ২১ লাখ ৬৩ হাজার টাকার মাদক, ২৩৯ কোটি টাকার সামুদ্রিক মাছ, ৭ লাখ টাকার বিদেশি সিগারেট, ১০ হাজার ৯৪০ কোটি টাকার বালু উত্তোলনকারী ড্রেজার এবং দেশি-বিদেশি ১৫২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি-বোমাসহ ৪৩ জন ডাকাতকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (১৭ আগস্ট) সকালে কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের বিসিজি বেইজ ভোলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মো. ইমাম হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, দেশের সমুদ্রসীমা ও উপকূলীয় এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, চোরাচালান, মাদক ও মানবপাচার দমন, অবৈধ ট্রলিং প্রতিরোধ এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, গত পাঁচ মাসে ৬৫ কোটি মিটার অবৈধ জাল, ১ হাজার ৫০০টি বেহুন্দি জাল এবং ৫ হাজার ৬০০টি চায়না দুয়ারি জাল জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়াও, প্রায় ২৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা মূল্যের ১ লাখ ৭৭ হাজার কেজি জাটকা, ২০ হাজার কেজি ইলিশ, ৩১ হাজার কেজি সামুদ্রিক মাছ, ১৭ হাজার কেজি পাঙ্গাস পোনা এবং ৬ কোটি ৭২ লাখ পিস চিংড়ির রেণু জব্দ করা হয়। জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং মাছ এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়। চিংড়ির রেণুগুলো নদীতে অবমুক্ত করা হয়।
অবৈধ ট্রলিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযানে ১৩৫ কোটি টাকা মূল্যের ১৩৩টি ট্রলিং বোট জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি সার্চ ও রেসকিউ অভিযানে ৫২০ জনকে জীবিত এবং ৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। জলদস্যুদের কবল থেকে ৪টি ফিশিং ট্রলার ও ৬৭ জন জেলেকেও জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গত পাঁচ মাসে ২৯টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ৪৮ রাউন্ড গুলি, ১টি গোলার খোসা, ২৭টি হাতবোমা, ৪টি রকেট ফ্লেয়ার, ৩৯টি ধারালো দেশীয় অস্ত্র এবং ২০ লাখ ৫ হাজার টাকা মূল্যের ডাকাতি করা স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। এ সময় ৪৩ জন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও ডাকাতকে আটক করা হয়।
মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে ২১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা মূল্যের ১৮ কেজি ৮৪০ গ্রাম গাঁজা, ৫টি গাঁজার গাছ এবং ৩ হাজার ১৯৭ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা মূল্যের ৫ হাজার ৯০০ কেজি হাঙর, ৮৪৫ কেজি শাপলা পাতা, ৩০ হাজার ৮০ কেজি অবৈধ পলিথিন ও ১০ হাজার ২৫০ লিটার অপরিশোধিত পাম অয়েল জব্দ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা মূল্যের ১৯০ কেজি হরিণের মাংস, ১টি হরিণের সিং, প্রায় ৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা মূল্যের ৫ হাজার ৮৮৯টি আতশবাজি এবং ১৯ হাজার ৬০০ স্টিক বিভিন্ন বিদেশি ব্র্যান্ডের সিগারেট ও অন্যান্য অবৈধ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী জব্দ করা হয়।
অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযানে গত ৬ মাসে ১০৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ৭০টি ড্রেজার এবং ৫৮টি বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে। জনসেবামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ‘ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন’-এর মাধ্যমে ১ হাজার ১২০ জন অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে।
‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মৎস্য সংরক্ষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগকালীন উদ্ধার ও অগ্নি নির্বাপন বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করা হয়েছে বলেও জানান জোনাল কমান্ডার।
১৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৯:১৮
ভোলা জেলার ১০টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) মধ্যে পঞ্চমবারের মতো শ্রেষ্ঠ হয়েছেন লালমোহন থানার মো. সিরাজুল ইসলাম। জুলাই মাসে থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ বিভিন্ন পুলিশিং কর্মকান্ড বিশেষ অবদান রাখায় তাকে শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত মাসিক কল্যাণ সভায় লালমোহন থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলামের হাতে সম্মাননা পুরস্কার ও সনদপত্র তুলে দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল হক। এ ছাড়া বিপুল পরিমাণ জাল টাকা উদ্ধার করায় বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন লালমোহন থানার এসআই মো. আবু ইউসুফ।
ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভালো কাজের স্বীকৃতি পেলে ভবিষ্যতের কর্মকান্ড আরো আগ্রহ সৃষ্টি হয়। আমাকে জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত করায় পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এই অর্জন কেবল আমার একার না, এটি আমার থানার সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনগণেরও।
এই পুরস্কারের মাধ্যমে আশা করছি থানা এলাকার সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আগামীতে আরো ভালো কাজ করা সম্ভব হবে। এ সময় সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার অরিত সরকার, মো. মেহেদী হাসান, সহকারী পুলিশ সুপার (শিক্ষাণবীশ) মো. হুমায়ুন কবিরসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসেও জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছিলেন লালমোহন থানার মো. সিরাজুল ইসলাম।
ভোলা জেলার ১০টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) মধ্যে পঞ্চমবারের মতো শ্রেষ্ঠ হয়েছেন লালমোহন থানার মো. সিরাজুল ইসলাম। জুলাই মাসে থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ বিভিন্ন পুলিশিং কর্মকান্ড বিশেষ অবদান রাখায় তাকে শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত মাসিক কল্যাণ সভায় লালমোহন থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলামের হাতে সম্মাননা পুরস্কার ও সনদপত্র তুলে দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল হক। এ ছাড়া বিপুল পরিমাণ জাল টাকা উদ্ধার করায় বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন লালমোহন থানার এসআই মো. আবু ইউসুফ।
ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভালো কাজের স্বীকৃতি পেলে ভবিষ্যতের কর্মকান্ড আরো আগ্রহ সৃষ্টি হয়। আমাকে জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত করায় পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এই অর্জন কেবল আমার একার না, এটি আমার থানার সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনগণেরও।
এই পুরস্কারের মাধ্যমে আশা করছি থানা এলাকার সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আগামীতে আরো ভালো কাজ করা সম্ভব হবে। এ সময় সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার অরিত সরকার, মো. মেহেদী হাসান, সহকারী পুলিশ সুপার (শিক্ষাণবীশ) মো. হুমায়ুন কবিরসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসেও জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছিলেন লালমোহন থানার মো. সিরাজুল ইসলাম।
১৩ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:০৬
ভোলার মনপুরায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. সুজা উদ্দিন সুজনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে তাঁকে উপজেলার রামনেওয়াজ চৌধুরী বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। পুলিশ জানায়, তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর আক্রমণের মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার মো. সুজা উদ্দিন সুজন ১ নম্বর মনপুরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি সৈয়দ আহম্মদের ছেলে।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান কবির দুপুরে জানান, মো. সুজনের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। পরে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ভোলার মনপুরায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. সুজা উদ্দিন সুজনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে তাঁকে উপজেলার রামনেওয়াজ চৌধুরী বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। পুলিশ জানায়, তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর আক্রমণের মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার মো. সুজা উদ্দিন সুজন ১ নম্বর মনপুরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি সৈয়দ আহম্মদের ছেলে।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান কবির দুপুরে জানান, মো. সুজনের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। পরে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.