
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৫
উঠতি বয়সী ২০-২২ বছরের তরুণীদের একটি চক্র। নিজেদের রূপ-লাবাণ্য দেখিয়ে আকৃষ্ট করতে যুবকদের। আবার কখনো টোপ ফেলত টু-লেট ফাঁদ দিয়ে। ফেসবুকে টু-লেট গ্রুপ করে বিজ্ঞাপন দেওয়া হতো বাসা ভাড়ার। এরপর বিজ্ঞাপন দেখে যারা সাড়া দিত তাদের মধ্যে কলেজ-ইউনির্ভাসিটিতে পড়ুয়া যুবকদের টার্গেট করা হতো।
পরে যারা বাসা দেখতে যেত তাদেরই ব্ল্যাকমেইল করত এসব উঠতি বয়সী তরুণীরা। একপর্যায়ে মারধর করে সর্বস্ব লুট করে নিত। এখানেই শেষ নয়, তাদের এই অপকর্ম যেন কেউ না জেনে যায় সে জন্যও নেওয়া হতো অপকৌশল।
আটকে রাখা যুবকদের ছেড়ে দেওয়ার আগেই নিজেদের মুঠোফোনে ধারণ করা হতো অশ্লীল ভিডিও। হুমকি দেওয়া হতো ঘটনা বলে দিলেই ভিডিও ভাইরাল করে দেবে তারা। এমনকি ফোনের ভিডিও অন করে যুবকদের বলতো খারাপ কাজ করতে এসেছি এমন জবানবন্দি দিতে।
সম্প্রতি বাসা ভাড়া নিতে গিয়ে এই তরুণীদের খপ্পরে পড়েন অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী। টু-লেট দেখে কল দিলে বলা হয় সাবলেট বাসা। এক রুম ভাড়া দেবেন তারা। বাসা দেখতে গেলেই প্রতারক তরুণীদের ফাঁদে পড়ে নাজমুল হাসান। এ সময় ভিডিও ধারণ, মারধর ও ফোন, ল্যাপটপ সঙ্গে থাকা ৫ হাজার টাকা এবং বুথ থেকে আরও ২৫ হাজার টাকা লুটে নেয় তারা।
ময়মনসিংহ শহরে এই ঘটনার পরই সামনে আসে বিষয়টি। নাজমুল ভয় না পেয়ে সরাসরি থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে চক্রের ২ তরুণীকে গ্রেপ্তার করে। তবে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ৪ তরুণী ও ৪ তরুণ। তারা সবাই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।
ঘটনার শিকার শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান নগরের আনন্দ মোহন কলেজের গণিত বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ভূরারবাড়ী গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে।
বর্তমানে নগরীর কলেজ রোডের মীরবাড়ি এলাকায় একটি মেসে থেকে পড়াশোনা করছেন তিনি। সেখানে ট্রেনের শব্দে পড়ালেখার সমস্যা হওয়ায় নতুন বাসার সন্ধান করছিলেন।
ভুক্তভোগী নাজমুল জানান, ফেসবুকে ‘টু-লেট ময়মনসিংহ’ লেখা গ্রুপে ব্যাচেলর ১ রুমের সাবলেট ভাড়ার বিজ্ঞাপন দেখতে পান। সেখানে দেওয়া মোবাইল ফোনের নম্বরে ফোন করলে বলা হয় দুই কক্ষের বাসায় এক কক্ষে স্বামী-স্ত্রী থাকেন আরেকটি কক্ষ সাবলেট ভাড়া দেওয়া হবে।
তিনি জানন, গুলকিবাড়ী এলাকার ফখরুজ্জামান টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় আমাকে যে কক্ষটি সাবলেট ভাড়া দেওয়া হবে সেটি দেখানোর জন্য ভেতরে ঢোকানো হয়। পরে চারজন নারী ও চারজন যুবক সে রুমে ঢোকেন। আমাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর করতে থাকে। মারধরের একপর্যায়ে তারা আমার আইফোন, ল্যাপটপ নিয়ে যায় এবং সঙ্গে থাকা ৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
আমার কাছ থেকে লিখিত একটি জবানবন্দিও নেয় তারা, যেন বোঝাতে পারে আমি এখানে খারাপ কাজ করতে এসে আটকা পড়েছিলাম। এরপর সেই বাসা থেকে বের করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এটিএম বুথে থেকে ২০ হাজার টাকা তুলে হেলথ অফিসারের গলিতে নামিয়ে দেয়। তারা বলে, এ নিয়ে কাউকে কিছু বললে আমার ক্ষতি হবে। আমি পরে থানায় অভিযোগ জানাই।
পুলিশ জানায়, কলেজছাত্রের কাছ থেকে পাওয়া লিখিত অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়। সাবলেট ভাড়ার নামে তরুণকে আটকে মারধর করা বাসায় অভিযান চালিয়ে দুই তরুণীকে আটক করা হয়।
তারা হলেন সাদিয়া জাহান ওরফে মেঘলা (২১) ও ফারিয়া আক্তার ওরফে পায়েল (১৯)। তাদের দুজনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায়।
এর মধ্যে সাদিয়া ময়মনসিংহ কমার্স কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর ফারিয়া তাড়াইল উপজেলার সহিলাটি মুক্তিযোদ্ধা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
এই চক্রের চারজন তরুণী ও চারজন তরুণের সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ। তারা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। দুই তরুণীর জিম্মা থেকে কলেজছাত্রের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শিবিরুল ইসলাম জানান, এ চক্রের দুই তরুণীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই দুই তরুণী চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। নগরীতে এরকম একাধিক চক্র রয়েছে। চক্রটির সাথে বখাটে ছাত্ররাও জড়িত।
তরুণীদের এই টু-লেট ফাঁদের ঘটনায় তোলপাড় জেলা শহর। সবার মুখে মুখে এই ঘটনাটি। এদিকে বিষয়টিকে হালকাভাবে না দেখে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান এলাকাবাসীর।
উঠতি বয়সী ২০-২২ বছরের তরুণীদের একটি চক্র। নিজেদের রূপ-লাবাণ্য দেখিয়ে আকৃষ্ট করতে যুবকদের। আবার কখনো টোপ ফেলত টু-লেট ফাঁদ দিয়ে। ফেসবুকে টু-লেট গ্রুপ করে বিজ্ঞাপন দেওয়া হতো বাসা ভাড়ার। এরপর বিজ্ঞাপন দেখে যারা সাড়া দিত তাদের মধ্যে কলেজ-ইউনির্ভাসিটিতে পড়ুয়া যুবকদের টার্গেট করা হতো।
পরে যারা বাসা দেখতে যেত তাদেরই ব্ল্যাকমেইল করত এসব উঠতি বয়সী তরুণীরা। একপর্যায়ে মারধর করে সর্বস্ব লুট করে নিত। এখানেই শেষ নয়, তাদের এই অপকর্ম যেন কেউ না জেনে যায় সে জন্যও নেওয়া হতো অপকৌশল।
আটকে রাখা যুবকদের ছেড়ে দেওয়ার আগেই নিজেদের মুঠোফোনে ধারণ করা হতো অশ্লীল ভিডিও। হুমকি দেওয়া হতো ঘটনা বলে দিলেই ভিডিও ভাইরাল করে দেবে তারা। এমনকি ফোনের ভিডিও অন করে যুবকদের বলতো খারাপ কাজ করতে এসেছি এমন জবানবন্দি দিতে।
সম্প্রতি বাসা ভাড়া নিতে গিয়ে এই তরুণীদের খপ্পরে পড়েন অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী। টু-লেট দেখে কল দিলে বলা হয় সাবলেট বাসা। এক রুম ভাড়া দেবেন তারা। বাসা দেখতে গেলেই প্রতারক তরুণীদের ফাঁদে পড়ে নাজমুল হাসান। এ সময় ভিডিও ধারণ, মারধর ও ফোন, ল্যাপটপ সঙ্গে থাকা ৫ হাজার টাকা এবং বুথ থেকে আরও ২৫ হাজার টাকা লুটে নেয় তারা।
ময়মনসিংহ শহরে এই ঘটনার পরই সামনে আসে বিষয়টি। নাজমুল ভয় না পেয়ে সরাসরি থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে চক্রের ২ তরুণীকে গ্রেপ্তার করে। তবে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ৪ তরুণী ও ৪ তরুণ। তারা সবাই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।
ঘটনার শিকার শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান নগরের আনন্দ মোহন কলেজের গণিত বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ভূরারবাড়ী গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে।
বর্তমানে নগরীর কলেজ রোডের মীরবাড়ি এলাকায় একটি মেসে থেকে পড়াশোনা করছেন তিনি। সেখানে ট্রেনের শব্দে পড়ালেখার সমস্যা হওয়ায় নতুন বাসার সন্ধান করছিলেন।
ভুক্তভোগী নাজমুল জানান, ফেসবুকে ‘টু-লেট ময়মনসিংহ’ লেখা গ্রুপে ব্যাচেলর ১ রুমের সাবলেট ভাড়ার বিজ্ঞাপন দেখতে পান। সেখানে দেওয়া মোবাইল ফোনের নম্বরে ফোন করলে বলা হয় দুই কক্ষের বাসায় এক কক্ষে স্বামী-স্ত্রী থাকেন আরেকটি কক্ষ সাবলেট ভাড়া দেওয়া হবে।
তিনি জানন, গুলকিবাড়ী এলাকার ফখরুজ্জামান টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় আমাকে যে কক্ষটি সাবলেট ভাড়া দেওয়া হবে সেটি দেখানোর জন্য ভেতরে ঢোকানো হয়। পরে চারজন নারী ও চারজন যুবক সে রুমে ঢোকেন। আমাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর করতে থাকে। মারধরের একপর্যায়ে তারা আমার আইফোন, ল্যাপটপ নিয়ে যায় এবং সঙ্গে থাকা ৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
আমার কাছ থেকে লিখিত একটি জবানবন্দিও নেয় তারা, যেন বোঝাতে পারে আমি এখানে খারাপ কাজ করতে এসে আটকা পড়েছিলাম। এরপর সেই বাসা থেকে বের করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এটিএম বুথে থেকে ২০ হাজার টাকা তুলে হেলথ অফিসারের গলিতে নামিয়ে দেয়। তারা বলে, এ নিয়ে কাউকে কিছু বললে আমার ক্ষতি হবে। আমি পরে থানায় অভিযোগ জানাই।
পুলিশ জানায়, কলেজছাত্রের কাছ থেকে পাওয়া লিখিত অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়। সাবলেট ভাড়ার নামে তরুণকে আটকে মারধর করা বাসায় অভিযান চালিয়ে দুই তরুণীকে আটক করা হয়।
তারা হলেন সাদিয়া জাহান ওরফে মেঘলা (২১) ও ফারিয়া আক্তার ওরফে পায়েল (১৯)। তাদের দুজনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায়।
এর মধ্যে সাদিয়া ময়মনসিংহ কমার্স কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর ফারিয়া তাড়াইল উপজেলার সহিলাটি মুক্তিযোদ্ধা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
এই চক্রের চারজন তরুণী ও চারজন তরুণের সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ। তারা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। দুই তরুণীর জিম্মা থেকে কলেজছাত্রের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শিবিরুল ইসলাম জানান, এ চক্রের দুই তরুণীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই দুই তরুণী চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। নগরীতে এরকম একাধিক চক্র রয়েছে। চক্রটির সাথে বখাটে ছাত্ররাও জড়িত।
তরুণীদের এই টু-লেট ফাঁদের ঘটনায় তোলপাড় জেলা শহর। সবার মুখে মুখে এই ঘটনাটি। এদিকে বিষয়টিকে হালকাভাবে না দেখে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান এলাকাবাসীর।
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৬
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৮
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৫২
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৫

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৬
পরশুরামের চিথলিয়ায় যুবদল নেতা কাজী রবিউল হোসেন জিহাদের(৪০) বাড়ি থেকে ২১১ পিস ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জিহাদ চিথলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পাগলীরকুল গ্রামের কাজী জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সিএনজি চালক।
শুক্রবার(৭ নভেম্বর) রাত দুইটায় উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পাগলির কুল গ্রামে জিহাদের বাড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পরশুরাম থানা পুলিশ। এ সময় তার বাড়ির গোয়ালঘর থেকে বস্তা ভর্তি ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জিহাদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত থ্রি-পিস গুলো গণনা করে ২১১ পিস বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামসুল আলম শাকিল বলেন, যুবদলের কেউ চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকলে তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে পুলিশ।
পরশুরামের চিথলিয়ায় যুবদল নেতা কাজী রবিউল হোসেন জিহাদের(৪০) বাড়ি থেকে ২১১ পিস ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জিহাদ চিথলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পাগলীরকুল গ্রামের কাজী জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সিএনজি চালক।
শুক্রবার(৭ নভেম্বর) রাত দুইটায় উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পাগলির কুল গ্রামে জিহাদের বাড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পরশুরাম থানা পুলিশ। এ সময় তার বাড়ির গোয়ালঘর থেকে বস্তা ভর্তি ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জিহাদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত থ্রি-পিস গুলো গণনা করে ২১১ পিস বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামসুল আলম শাকিল বলেন, যুবদলের কেউ চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকলে তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে পুলিশ।

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:৩৮
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় আক্তার হোসেন নামের এক দালালকে আটক করে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দালালকে কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দালাল মো. আক্তার হোসেন দেবিদ্বার পৌর এলাকার ছোটআলমপুর গ্রামের মো. রুহুল আমিনের ছেলে। বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আক্তার হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লা সদরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতেন। গত বছরও জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসককে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান জরুরি বিভাগে ওই দালালকে দেখে তাকে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু আক্তার হোসেন নির্দেশ না মেনে তর্কে জড়িয়ে ডা. মহিবুস সালামের ওপর চড়াও হন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তার গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আক্তার হোসেনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান বলেন, হাসপাতালকে দালালমুক্ত রাখার জন্য আমরা হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে সচেতনতামূলক প্রচারণার বিলবোর্ড টানিয়েছি। দুপুরে জরুরি বিভাগে দালাল আক্তারকে দেখে বের হতে বললে সে না গিয়ে আমার সঙ্গে তর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে সে আমার ওপর আক্রমণ চালায় এবং আমার শার্ট ছিঁড়ে ফেলে।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, সরকারি কর্মচারীর কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে আক্তার হোসেনকে দণ্ডবিধির ১৮৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সে আবার প্রবেশ করলে পুনরায় জেল দেওয়া হবে।’
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় আক্তার হোসেন নামের এক দালালকে আটক করে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দালালকে কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দালাল মো. আক্তার হোসেন দেবিদ্বার পৌর এলাকার ছোটআলমপুর গ্রামের মো. রুহুল আমিনের ছেলে। বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আক্তার হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লা সদরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতেন। গত বছরও জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসককে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান জরুরি বিভাগে ওই দালালকে দেখে তাকে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু আক্তার হোসেন নির্দেশ না মেনে তর্কে জড়িয়ে ডা. মহিবুস সালামের ওপর চড়াও হন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তার গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আক্তার হোসেনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান বলেন, হাসপাতালকে দালালমুক্ত রাখার জন্য আমরা হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে সচেতনতামূলক প্রচারণার বিলবোর্ড টানিয়েছি। দুপুরে জরুরি বিভাগে দালাল আক্তারকে দেখে বের হতে বললে সে না গিয়ে আমার সঙ্গে তর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে সে আমার ওপর আক্রমণ চালায় এবং আমার শার্ট ছিঁড়ে ফেলে।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, সরকারি কর্মচারীর কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে আক্তার হোসেনকে দণ্ডবিধির ১৮৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সে আবার প্রবেশ করলে পুনরায় জেল দেওয়া হবে।’

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৬
দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে আট দিনে ১৯৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের ইউনিটসমূহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে।
এই অভিযানে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তসহ মোট ১৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট থেকে ৯টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৭টি পিস্তল ম্যাগাজিন, ১২ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৮টি ককটেল, ২৩টি পেট্রোল বোমা, দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্য এবং দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশের জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ ছাড়া, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণেও সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে আট দিনে ১৯৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের ইউনিটসমূহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে।
এই অভিযানে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তসহ মোট ১৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট থেকে ৯টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৭টি পিস্তল ম্যাগাজিন, ১২ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৮টি ককটেল, ২৩টি পেট্রোল বোমা, দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্য এবং দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশের জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ ছাড়া, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণেও সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.