
০৪ নভেম্বর, ২০২৫ ২০:২৪
পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন রাজনীতিতে যোগ দেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ায় পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হন তিনি। সেই শ্রাবণ এখন লড়বেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনে দলের প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকার নাম ঘোষণা করেন।
প্রায় একযুগ পরে গত ২০ সেপ্টেম্বর যশোরের কেশবপুর উপজেলায় নিজভূমিতে ফিরে ঘোষণা দেন যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী শ্রাবণ। সেদিন বিপুল মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শ্রাবণ বলেন, আমার পরিবার ভিন্ন মতাদর্শের হলেও নির্বাচনে প্রভাব পড়বে না। দলে মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকলেও সবাইকে নিয়ে ধানের শীষকে বিজয়ী করে তারেক রহমানকে এ আসনটি উপহার দিতে চাই।
তিনি বলেন, আমি নির্বাচিত হলে কেশবপুরের বড় সমস্যা জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করতে চাই। কেশবপুরবাসীর মন জয়ে আমি কাজ করব।
যে কারণে পরিবার ত্যাগ করেন রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ
শ্রাবণের গ্রামের বাড়ি যশোরের কেশবপুর উপজেলার চিংড়া গ্রামে। ২০০৩ সালে কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন তিনি। থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজি মুহম্মদ মুহসীন হলে। কিছুদিনের মধ্যেই ছাত্রদল কর্মী হিসেবে হল ও বিভাগের সহপাঠীদের মধ্যে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক-স্নাতকোত্তর শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগে সান্ধ্য কোর্সে (স্নাতকোত্তর) অধ্যয়নরত থাকায় ২০২২ সালে ছাত্রদলের সভাপতি হয়েছিলেন শ্রাবণ। পরে ‘অসুস্থতার’ কারণ দেখিয়ে ২০২৩ সালের আগস্টে তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অবশ্য এর দুই মাসের মাথায় তাকে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়।
শ্রাবণের বাবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম। তিনি কেশবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। শ্রাবণের বড় ভাই মুস্তাফিজুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন। পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তিনি এখন দল থেকে বহিষ্কৃত। আরেক ভাই মোজাহিদুল ইসলাম উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক। আর ছোট ভাই আজাহারুল ইসলাম উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক।
আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হয়েও রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত হওয়ায় পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। তিনি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি। পরিবার ত্যাগ করে বিএনপির রাজনীতিতে দৃঢ়তার প্রমাণ দিয়েছেন।
চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর প্রায় একযুগ পর নিজ জন্মভূমি যশোরের কেশবপুরে ফেরেন ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। দীর্ঘদিন পর এলাকায় গিয়ে তিনি নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হন। বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতে ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচির প্রচারণার অংশ হিসেবে তিনি কেশবপুরে লিফলেট বিতরণে অংশ নেন। এ সময় তিনি আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন।
দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় পর তার নিজ উপজেলায় আসার খবরে মোড়ে মোড়ে ফুল নিয়ে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। এরপর কেশবপুর থেকে প্রায় দেড় হাজার মোটরসাইকেল এবং শতাধিক মাইক্রোবাসে নেতাকর্মীরা তার বহরে যোগ দেন। বহর নিয়ে তিনি লিফলেট বিতরণ করেন এবং বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে দেন।
জানা গেছে, শ্রাবণ কেশবপুর গেলেও তার নিজ বাড়িতে যাননি। এমনকি তার বাবার বাড়ির কারো সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি।
পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন রাজনীতিতে যোগ দেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ায় পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হন তিনি। সেই শ্রাবণ এখন লড়বেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনে দলের প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকার নাম ঘোষণা করেন।
প্রায় একযুগ পরে গত ২০ সেপ্টেম্বর যশোরের কেশবপুর উপজেলায় নিজভূমিতে ফিরে ঘোষণা দেন যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী শ্রাবণ। সেদিন বিপুল মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শ্রাবণ বলেন, আমার পরিবার ভিন্ন মতাদর্শের হলেও নির্বাচনে প্রভাব পড়বে না। দলে মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকলেও সবাইকে নিয়ে ধানের শীষকে বিজয়ী করে তারেক রহমানকে এ আসনটি উপহার দিতে চাই।
তিনি বলেন, আমি নির্বাচিত হলে কেশবপুরের বড় সমস্যা জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করতে চাই। কেশবপুরবাসীর মন জয়ে আমি কাজ করব।
যে কারণে পরিবার ত্যাগ করেন রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ
শ্রাবণের গ্রামের বাড়ি যশোরের কেশবপুর উপজেলার চিংড়া গ্রামে। ২০০৩ সালে কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন তিনি। থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজি মুহম্মদ মুহসীন হলে। কিছুদিনের মধ্যেই ছাত্রদল কর্মী হিসেবে হল ও বিভাগের সহপাঠীদের মধ্যে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক-স্নাতকোত্তর শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগে সান্ধ্য কোর্সে (স্নাতকোত্তর) অধ্যয়নরত থাকায় ২০২২ সালে ছাত্রদলের সভাপতি হয়েছিলেন শ্রাবণ। পরে ‘অসুস্থতার’ কারণ দেখিয়ে ২০২৩ সালের আগস্টে তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অবশ্য এর দুই মাসের মাথায় তাকে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়।
শ্রাবণের বাবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম। তিনি কেশবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। শ্রাবণের বড় ভাই মুস্তাফিজুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন। পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তিনি এখন দল থেকে বহিষ্কৃত। আরেক ভাই মোজাহিদুল ইসলাম উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক। আর ছোট ভাই আজাহারুল ইসলাম উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক।
আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হয়েও রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত হওয়ায় পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। তিনি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি। পরিবার ত্যাগ করে বিএনপির রাজনীতিতে দৃঢ়তার প্রমাণ দিয়েছেন।
চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর প্রায় একযুগ পর নিজ জন্মভূমি যশোরের কেশবপুরে ফেরেন ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। দীর্ঘদিন পর এলাকায় গিয়ে তিনি নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হন। বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতে ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচির প্রচারণার অংশ হিসেবে তিনি কেশবপুরে লিফলেট বিতরণে অংশ নেন। এ সময় তিনি আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন।
দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় পর তার নিজ উপজেলায় আসার খবরে মোড়ে মোড়ে ফুল নিয়ে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। এরপর কেশবপুর থেকে প্রায় দেড় হাজার মোটরসাইকেল এবং শতাধিক মাইক্রোবাসে নেতাকর্মীরা তার বহরে যোগ দেন। বহর নিয়ে তিনি লিফলেট বিতরণ করেন এবং বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে দেন।
জানা গেছে, শ্রাবণ কেশবপুর গেলেও তার নিজ বাড়িতে যাননি। এমনকি তার বাবার বাড়ির কারো সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি।
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৬
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৮
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৫২
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৫

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৬
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নোটিস। চাপের মুখে সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষমা প্রার্থনা।
আইনজীবীদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন বরিশাল বিএনপি নেতা সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বাচনে বরিশাল-৪ (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা) আসনে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত এই নেতা গত ৫ নভেম্বর পার্শ্ববর্তী বাবুগঞ্জে বিএনপির একাংশ আয়োজিত বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইনজীবীদের টাউট-বাটপার বলে অভিহিত করেন। এনিয়ে পত্র-পত্রিকায় নেতিবাচক লেখালেখিসহ বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের সেই বক্তব্যের ভিডিওটি সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় বিতর্ক। আইনজীবীদের নিয়ে এমন বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা-প্রতিবাদ জানিয়ে ০৬ নভেম্বর তাকে চিঠি দিয়ে তাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান রাখে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এতে চাপের মুখে পড়ে গিয়ে বিএনপি নেতা মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) সকালে বরিশালে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করাসহ আইনজীবী সমাজের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে পরিস্থিতি সামাল দেন।
বরিশাল-০৪ আসনের সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ আসছে ত্রয়োদশ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু এই আসনে এবার বিএনপি স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ রাজিব আহসানকে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে। দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত মেজবাহ উদ্দিন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমানের অনুসারী।
বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, বরিশাল ৩ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী। এই আসনে বিএনপি এখন পর্যন্ত কাউকে মনোনীত না করলেও উভয় নেতার কর্মী-সমর্থকেরা পাল্টাপাল্টি সভা-সমাবেশ করে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মাধ্যমে রাজনীতির মাঠ সরগরম করে রেখেছে। এমন বাস্তবতায় গত ৫ নভেম্বর বাবুগঞ্জের কেদারপুরে স্থানীয় বিএনপির একাংশ আয়োজিত সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতা সেলিমা রহমানের সাথে সেখানে অংশ নেন বরিশাল ৪ আসনে দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে সেলিমা রহমানের আগে কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন বরিশাল ৪ আসনের সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। বক্তব্যে রাখতে গিয়ে একপর্যায়ে তিনি বাবুগঞ্জ-মুলাদী আসনে বিএনপির অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনকে ইঙ্গিত করে বলেন, আইনজীবীরা টাউট-বাটপার! আইনজীবীদের নিয়ে বিএনপি নেতার এই বেফাঁস মন্তব্যের ভিডিও দলীয় ঘরনার প্রতিপক্ষ অর্থাৎ জয়নুল আবেদীনের কর্মী-সমর্থকেরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কমেন্টে বিস্ফোরক মন্তব্য করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসেন।
সূত্র জানিয়েছে, সাবেক এমপি ফরহাদের এই বেসামাল মন্তব্যের ভিডিওটিকে মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক জয়নুল আবেদীন। এক্ষেত্রে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতাদের দিয়ে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদকে চাপে ফেলে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সাবেক এমপি ফরহাদের ভিডিওটি ভাইরাল এবং তাকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নোটিস করে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরে তিনি মনস্তাত্বিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। এবং একদিন বাদে শুক্রবার বরিশাল প্রেসক্লাবে তিনি আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে আইনজীবীদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করা ব্যাখ্যা খন্ডন করার পাশাপাশি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এসময় বিএনপি নেতাকে কিছুটা বিমর্ষ দেখা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ বলেন, ‘গত ৫ নভেম্বর বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের একটি অনুষ্ঠানে তিনি অংশগ্রহণ করেন। এবং সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে শব্দচয়নে ভুলের কারণে তিনি আইনজীবী সম্প্রদায় সম্পর্কে একটি মন্তব্য করে ফেলেন, যা পরবর্তীতে তার কাছেও অনুতাপের কারণ হয়। এবং তিনি উপলব্ধি করেন, এটি তার পক্ষ থেকে একটি ভুল ছিল।
আইনজীবী পেশাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখেন জানিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, বাংলাদেশের আইন-আদালত ব্যবস্থা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্ববহ এবং মর্যাদাপূর্ণ। তার বক্তব্যে কারও মনে কষ্ট বা ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়ে থাকলে, তিনি সমস্ত আইনজীবী সমাজের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশসহ ক্ষমা প্রার্থনা করেন। বরিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি, আইনজীবী ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিসহ বিভিন্নস্তরের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের আনুষ্ঠানিক এই ক্ষমা প্রার্থনার ভিডিও শুক্রবার দুপুরের পর থেকে সেলিমা রহমানকে শত্রুভাবাপন্ন জয়নুল আবেদীনের কর্মী-সমর্থকেরা তাদের ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি ট্রল করে যাচ্ছেন। এনিয়ে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের কোনো বক্তব্য না পাওয়া গেলেও তার কর্মী-সমর্থকেরা বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করছেন না।
সাবেক এমপি মেজবাহর সমর্থক মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলার বাসিন্দা একাধিক বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, জয়নুল আবেদীনের লোকজন বিষয়টি নিয়ে বেশি মাত্রায় বাড়াবাড়ি করছেন। তাদের ভাষায়, মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ বিএনপির একজন ত্যাগি নেতা, তিনি ওয়ান ইলেভেনের শাসনামলে নবম জাতীয় সংবাদ নির্বাচনে বরিশাল-৪ আসন থেকে ধানের শীষ নিয়ে ভোট করে জয়ী হয়েছিলেন। গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি একাধিক মামলা, এমনকি হামলার শিকারও হয়েছিলেন।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নোটিস। চাপের মুখে সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষমা প্রার্থনা।
আইনজীবীদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন বরিশাল বিএনপি নেতা সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বাচনে বরিশাল-৪ (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা) আসনে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত এই নেতা গত ৫ নভেম্বর পার্শ্ববর্তী বাবুগঞ্জে বিএনপির একাংশ আয়োজিত বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইনজীবীদের টাউট-বাটপার বলে অভিহিত করেন। এনিয়ে পত্র-পত্রিকায় নেতিবাচক লেখালেখিসহ বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের সেই বক্তব্যের ভিডিওটি সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় বিতর্ক। আইনজীবীদের নিয়ে এমন বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা-প্রতিবাদ জানিয়ে ০৬ নভেম্বর তাকে চিঠি দিয়ে তাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান রাখে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এতে চাপের মুখে পড়ে গিয়ে বিএনপি নেতা মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) সকালে বরিশালে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করাসহ আইনজীবী সমাজের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে পরিস্থিতি সামাল দেন।
বরিশাল-০৪ আসনের সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ আসছে ত্রয়োদশ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু এই আসনে এবার বিএনপি স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ রাজিব আহসানকে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে। দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত মেজবাহ উদ্দিন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমানের অনুসারী।
বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, বরিশাল ৩ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী। এই আসনে বিএনপি এখন পর্যন্ত কাউকে মনোনীত না করলেও উভয় নেতার কর্মী-সমর্থকেরা পাল্টাপাল্টি সভা-সমাবেশ করে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মাধ্যমে রাজনীতির মাঠ সরগরম করে রেখেছে। এমন বাস্তবতায় গত ৫ নভেম্বর বাবুগঞ্জের কেদারপুরে স্থানীয় বিএনপির একাংশ আয়োজিত সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতা সেলিমা রহমানের সাথে সেখানে অংশ নেন বরিশাল ৪ আসনে দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে সেলিমা রহমানের আগে কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন বরিশাল ৪ আসনের সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। বক্তব্যে রাখতে গিয়ে একপর্যায়ে তিনি বাবুগঞ্জ-মুলাদী আসনে বিএনপির অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনকে ইঙ্গিত করে বলেন, আইনজীবীরা টাউট-বাটপার! আইনজীবীদের নিয়ে বিএনপি নেতার এই বেফাঁস মন্তব্যের ভিডিও দলীয় ঘরনার প্রতিপক্ষ অর্থাৎ জয়নুল আবেদীনের কর্মী-সমর্থকেরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কমেন্টে বিস্ফোরক মন্তব্য করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসেন।
সূত্র জানিয়েছে, সাবেক এমপি ফরহাদের এই বেসামাল মন্তব্যের ভিডিওটিকে মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক জয়নুল আবেদীন। এক্ষেত্রে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতাদের দিয়ে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদকে চাপে ফেলে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সাবেক এমপি ফরহাদের ভিডিওটি ভাইরাল এবং তাকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নোটিস করে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরে তিনি মনস্তাত্বিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। এবং একদিন বাদে শুক্রবার বরিশাল প্রেসক্লাবে তিনি আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে আইনজীবীদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করা ব্যাখ্যা খন্ডন করার পাশাপাশি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এসময় বিএনপি নেতাকে কিছুটা বিমর্ষ দেখা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ বলেন, ‘গত ৫ নভেম্বর বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের একটি অনুষ্ঠানে তিনি অংশগ্রহণ করেন। এবং সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে শব্দচয়নে ভুলের কারণে তিনি আইনজীবী সম্প্রদায় সম্পর্কে একটি মন্তব্য করে ফেলেন, যা পরবর্তীতে তার কাছেও অনুতাপের কারণ হয়। এবং তিনি উপলব্ধি করেন, এটি তার পক্ষ থেকে একটি ভুল ছিল।
আইনজীবী পেশাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখেন জানিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, বাংলাদেশের আইন-আদালত ব্যবস্থা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্ববহ এবং মর্যাদাপূর্ণ। তার বক্তব্যে কারও মনে কষ্ট বা ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়ে থাকলে, তিনি সমস্ত আইনজীবী সমাজের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশসহ ক্ষমা প্রার্থনা করেন। বরিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি, আইনজীবী ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিসহ বিভিন্নস্তরের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের আনুষ্ঠানিক এই ক্ষমা প্রার্থনার ভিডিও শুক্রবার দুপুরের পর থেকে সেলিমা রহমানকে শত্রুভাবাপন্ন জয়নুল আবেদীনের কর্মী-সমর্থকেরা তাদের ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি ট্রল করে যাচ্ছেন। এনিয়ে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের কোনো বক্তব্য না পাওয়া গেলেও তার কর্মী-সমর্থকেরা বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করছেন না।
সাবেক এমপি মেজবাহর সমর্থক মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলার বাসিন্দা একাধিক বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, জয়নুল আবেদীনের লোকজন বিষয়টি নিয়ে বেশি মাত্রায় বাড়াবাড়ি করছেন। তাদের ভাষায়, মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ বিএনপির একজন ত্যাগি নেতা, তিনি ওয়ান ইলেভেনের শাসনামলে নবম জাতীয় সংবাদ নির্বাচনে বরিশাল-৪ আসন থেকে ধানের শীষ নিয়ে ভোট করে জয়ী হয়েছিলেন। গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি একাধিক মামলা, এমনকি হামলার শিকারও হয়েছিলেন।’

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৮
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও লক্ষ্মীপুর-২ (সদর) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, দেশে একটা নির্বাচন হবে। পক্ষে-বিপক্ষে তো থাকতেই হবে। সেটা রাজনৈতিক দলের আদর্শভিত্তিক থাকে। যার যার আদর্শকে ধারণ করে যদি কথা বলি, কোনো আদর্শের মধ্যে ‘নো হাংকি পাংকি’ থাকতে পারে, এটা আমি মনে করি না। যে ভাষায় আমরা চলি, সেই ভাষা আমরা তুলে ধরি, সেই ভাষায় আমরা কথা বলি।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা শ্রমিক দলের নতুন কমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহরের গোডাউন রোড এলাকার বশির ভিলা হলরুমে এ আয়োজন করা হয়।
জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে এ্যানি বলেন, একজন ইসলামী দলের বক্তা গতকাল যে বক্তব্য রেখেছেন, সেটা জনগণ পছন্দ করেনি। একটা দলের নায়েবে আমির, দায়িত্বশীল লোক, কিভাবে বলে ‘নো হাংকি পাংকি’। এটা কি রাজনৈতিক ভাষা হলো। এটা সাধারণ মানুষের গ্রহণযোগ্যতা পায়? রাজনৈতিক নেতা যদি এ ধরনের কথা বলেন, সাধারণ মানুষের উপহাস ও অবজ্ঞা করা ছাড়া আমি মনে করি আর কিছু থাকে না।
তিনি বলেন, রাজনীতি অভিজ্ঞতার ব্যাপার। মনে করেছিলাম তিনি যে দায়িত্বে আছেন, এক সময় ছাত্র রাজনীতি করেছেন, ডাক্তার, সেইভাবেই কথা বলবেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত পাইনি।
এ্যানি বলেন, আমরা সাধারণ মানুষের পালস বুঝি, গ্রামে যাই, ঘরে ঘরে যাই, গ্রামে গ্রামে গিয়েছি, যাচ্ছি। বিএনপি সাধারণ মানুষের দল, গণমানুষের দল, প্রেসিডেন্ট জিয়ার দল, সহজ স্বাভাবিক রাজনীতি, কঠিন কিছু না। আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ছাত্র রাজনীতি করেছি। আমরাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। রাজনীতি শিখিয়েছি, শিখেছি। রাজনীতি গ্রামের মানুষের সঙ্গে কিভাবে করতে হয় কম-বেশি আমাদের জানা আছে; কিন্তু গতকালকে জামায়াতে ইসলামীর এই ভয়েস আমাদের ভালো লাগেনি, পছন্দ হয়নি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রত্যেক ঘরে ঘরে মা-বোনদের কাছে যাবেন, সালাম দিবেন। বেগম খালেদা জিয়ার সালাম দিবেন, তারেক রহমানের সালাম দিবেন, ধানের শীষের সালাম দিবেন, আমার সালাম দিবেন। বিএনপি আমরা যারা করি, যারা আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছেন, লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন, সবার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও সম্মান আছে।
জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম শাহীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান, বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী, বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমান, নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি আবুল হাশেম, বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সভাপতি আব্দুল আলীম হুমায়ুন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন ও জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুন প্রমুখ।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও লক্ষ্মীপুর-২ (সদর) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, দেশে একটা নির্বাচন হবে। পক্ষে-বিপক্ষে তো থাকতেই হবে। সেটা রাজনৈতিক দলের আদর্শভিত্তিক থাকে। যার যার আদর্শকে ধারণ করে যদি কথা বলি, কোনো আদর্শের মধ্যে ‘নো হাংকি পাংকি’ থাকতে পারে, এটা আমি মনে করি না। যে ভাষায় আমরা চলি, সেই ভাষা আমরা তুলে ধরি, সেই ভাষায় আমরা কথা বলি।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা শ্রমিক দলের নতুন কমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহরের গোডাউন রোড এলাকার বশির ভিলা হলরুমে এ আয়োজন করা হয়।
জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে এ্যানি বলেন, একজন ইসলামী দলের বক্তা গতকাল যে বক্তব্য রেখেছেন, সেটা জনগণ পছন্দ করেনি। একটা দলের নায়েবে আমির, দায়িত্বশীল লোক, কিভাবে বলে ‘নো হাংকি পাংকি’। এটা কি রাজনৈতিক ভাষা হলো। এটা সাধারণ মানুষের গ্রহণযোগ্যতা পায়? রাজনৈতিক নেতা যদি এ ধরনের কথা বলেন, সাধারণ মানুষের উপহাস ও অবজ্ঞা করা ছাড়া আমি মনে করি আর কিছু থাকে না।
তিনি বলেন, রাজনীতি অভিজ্ঞতার ব্যাপার। মনে করেছিলাম তিনি যে দায়িত্বে আছেন, এক সময় ছাত্র রাজনীতি করেছেন, ডাক্তার, সেইভাবেই কথা বলবেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত পাইনি।
এ্যানি বলেন, আমরা সাধারণ মানুষের পালস বুঝি, গ্রামে যাই, ঘরে ঘরে যাই, গ্রামে গ্রামে গিয়েছি, যাচ্ছি। বিএনপি সাধারণ মানুষের দল, গণমানুষের দল, প্রেসিডেন্ট জিয়ার দল, সহজ স্বাভাবিক রাজনীতি, কঠিন কিছু না। আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ছাত্র রাজনীতি করেছি। আমরাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। রাজনীতি শিখিয়েছি, শিখেছি। রাজনীতি গ্রামের মানুষের সঙ্গে কিভাবে করতে হয় কম-বেশি আমাদের জানা আছে; কিন্তু গতকালকে জামায়াতে ইসলামীর এই ভয়েস আমাদের ভালো লাগেনি, পছন্দ হয়নি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রত্যেক ঘরে ঘরে মা-বোনদের কাছে যাবেন, সালাম দিবেন। বেগম খালেদা জিয়ার সালাম দিবেন, তারেক রহমানের সালাম দিবেন, ধানের শীষের সালাম দিবেন, আমার সালাম দিবেন। বিএনপি আমরা যারা করি, যারা আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছেন, লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন, সবার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও সম্মান আছে।
জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম শাহীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান, বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী, বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমান, নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি আবুল হাশেম, বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সভাপতি আব্দুল আলীম হুমায়ুন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন ও জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুন প্রমুখ।

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৫২
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় এক স্কুল কমপ্লেক্সের মসজিদে শুক্রবারের (৭ নভেম্বর) জুমার নামাজ চলাকালে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে অন্তত ৫৪ জন আহত হয়েছেন।
জাকার্তা পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণটি ঘটেছে উত্তর জাকার্তার কেলাপা গাডিং এলাকায়। আহতদের মধ্যে কারও অবস্থা গুরুতর, এবং অনেকের শরীরে দগ্ধ হওয়ার চিহ্ন রয়েছে।
জাকার্তা শহরের পুলিশপ্রধান আসেপ এদি সুহেরি স্থানীয় টেলিভিশনে বলেন, বিস্ফোরণের কারণ তদন্ত করা হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত দৃশ্যে দেখা যায়, স্কুলটি ঘিরে রাখা হয়েছে পুলিশের টেপে এবং ঘটনাস্থলে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রয়েছে। তবে মসজিদের ভবনে বড় ধরনের ক্ষতির চিহ্ন দেখা যায়নি।
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় এক স্কুল কমপ্লেক্সের মসজিদে শুক্রবারের (৭ নভেম্বর) জুমার নামাজ চলাকালে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে অন্তত ৫৪ জন আহত হয়েছেন।
জাকার্তা পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণটি ঘটেছে উত্তর জাকার্তার কেলাপা গাডিং এলাকায়। আহতদের মধ্যে কারও অবস্থা গুরুতর, এবং অনেকের শরীরে দগ্ধ হওয়ার চিহ্ন রয়েছে।
জাকার্তা শহরের পুলিশপ্রধান আসেপ এদি সুহেরি স্থানীয় টেলিভিশনে বলেন, বিস্ফোরণের কারণ তদন্ত করা হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত দৃশ্যে দেখা যায়, স্কুলটি ঘিরে রাখা হয়েছে পুলিশের টেপে এবং ঘটনাস্থলে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রয়েছে। তবে মসজিদের ভবনে বড় ধরনের ক্ষতির চিহ্ন দেখা যায়নি।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.