Bkash

পটুয়াখালী

কুয়াকাটা সৈকতের ফটোগ্রাফারদের অনির্দিষ্টকালের কর্ম বিরতির ঘোষণা

কাজী সাঈদ, কুয়াকাটা

কাজী সাঈদ, কুয়াকাটা

০১ জুন, ২০২৫ ১৬:১২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

কুয়াকাটা সৈকতের ফটোগ্রাফারদের অনির্দিষ্টকালের কর্ম বিরতির ঘোষণা

সাগরকন্যা কুয়াকাটা সৈকতের পেশাদার ফটোগ্রাফাররা অনিদ্রিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন কতৃক সৈকতে পর্যটকদের অটিজির মাধ্যমে ছবি ডেলিভারি ও স্টুডিও বন্ধের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে এ কর্ম বিরতি চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছে ফটোগ্রাফাররা। রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন সৈকতের দুই  শতাধিক ফটোগ্রাফাররা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সৈকতের ফটোগ্রাফার মোকলেছুর রহমান বাবু বলেন,
গত ৩১ মে বিকেলে পর্যটন হলিডে হোমস এ ফটোগ্রাফারদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। বৈঠকে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব মোঃ রবিউল ইসলাম সৈকতের ফটোগ্রাফারদের সৈকতে বসে পর্যটকদের মাঝে অটিজির মাধ্যমে সাথে সাথে ছবি ডেলিভারি দেয়া ও স্টুডিও বন্ধের জন্য আগামী ৩ জুন পর্যন্ত  তিন দিনের আল্টিমেটাম দেন। উপজেলা প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সৈকতের ফটোগ্রাফাররা উপজেলা প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আজ রবিবার সকাল থেকে কর্ম বিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। যতদিন পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করবেন ততদিন এ কর্ম বিরতি চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছেন ফটোগ্রাফাররা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ফটোগ্রাফাররা জানান, তাদের নিজস্ব কোন ক্যামেরা নেই। স্টুডিও থেকে ক্যামেরা নিয়ে তারা পর্যটকদের ছবি তুলে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। প্রত্যেক ক্যামেরা ম্যানের ৪০-৫০ হাজার টাকা দাদন নেয়া আছে। তাদের নিজস্ব পুঁজি নেই। নতুন করে ডিজিটাল ক্যামেরা কেনার সামর্থ্য নেই। দাদন শোধ করার মত সামর্থ্য নেই।
তারা আরো বলেন, সৈকতে ২২১ জন পেশাদার ফটোগ্রাফার ও ২৫ টি স্টুডিও রয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সবাই বেকার হয়ে যাবে। ফটোগ্রাফারদের পরিবারের কথা চিন্তা না করে এক তরফাভাবে এমন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা উপজেলা প্রশাসনের এহেন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। খুব শীগ্রই যাতে উপজেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা সহ ফটোগ্রাফাররা আগের মত ছবি তুলে জীবনযাপন করতে পারে তার দাবি জানিয়েছেন। এসময তারা ছবি তুলে পর্যটকদের তাৎক্ষণিক সরবরাহ করার উপকারিতা সম্পর্কে গণমাধ্যম কর্মীদের অবহিত করেন।
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসময় শতাধিক ফটোগ্রাফাররা উপস্থিত ছিলেন।

এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন,  বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্টুডিও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন:

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ: মাছ ধরা ট্রলার ফিরে এসেছে ঘাটে

কাজী সাঈদ, কুয়াকাটা

কাজী সাঈদ, কুয়াকাটা

১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৪০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ: মাছ ধরা ট্রলার ফিরে এসেছে ঘাটে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সমুদ্র বেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। এ কারণে সমুদ্রে সব মাছ ধরা ট্রলার ফিরে এসে উপকূলের বিভিন্ন নদ-নদীতে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে‌। পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। 

রোববার (১৭ আগস্ট) সকাল থেকে উপকূলজুড়ে ভ্যাঁপসা গরম থাকলেও বিকেলে থেকে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে কিছু এলাকায় থেমে থেমে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আগামী ২১ আগস্ট থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের কথা জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সমুদ্র উত্তাল থাকায় গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার ট্রলারগুলো দ্রুত উপকূলে ফিরে এসেছে। পাশাপাশি নৌযান ও জাহাজগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

স্থানীয় জেলেরা জানান, হঠাৎ সাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় তারা ঝুঁকি না নিয়ে ঘাটে ফিরেছে। মহিপুর, আলীপুর মৎস্য বন্দরের খাপড়াভাঙ্গা নদীতে কয়েক'শ ট্রলার নোঙর করেছে।

আলীপুর মৎস্য আড়ৎদার মালিক সমিতি সভাপতি জলিল ঘরামী বলেন, সমুদ্রে সৃষ্ট  লঘুচাপের প্রভাবে সাগর ফুঁসে উঠেছে। তীব্র ঢেউয়ের তোড়ে টিকতে না পেরে ঘাটে এসেছে জেলেরা।

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে সমুদ্র বেশ উত্তাল রয়েছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। উপকূলজুড়ে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।

উপকূলের মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। একই সঙ্গে নদী ও সাগরপথে ছোট নৌযান ও ট্রলার চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাউফলে র‍্যাবের পোশাকে দুর্বৃত্ত, ব্যবসায়ীকে হাতকড়া পরিয়ে ছিনতাই

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১২:৫১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাউফলে র‍্যাবের পোশাকে দুর্বৃত্ত, ব্যবসায়ীকে হাতকড়া পরিয়ে ছিনতাই

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বিলবিলাস বাজার এলাকায় র‍্যাবের পোশাক (কটি) পরে তিন ব্যক্তি এক ব্যবসায়ীকে হাতকড়া পরিয়ে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে গতকাল রাতে ঘটনা জানাজানি হয়।

ভুক্তভোগী সোহাগ সিপাই পেশায় স্থানীয় একটি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) এজেন্ট। তিনি জানান, দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় মোটরসাইকেলযোগে আসা তিন ব্যক্তি তাঁর পথ রোধ করে। নিজেদের র‍্যাব পরিচয় দিয়ে তারা প্রথমে তাঁকে হাতকড়া পরায়। পরে তাঁর কাছে থাকা ৪০ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। কিছু দূর নিয়ে গিয়ে হাতকড়া খুলে তাঁকে ছেড়ে দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।

সোহাগ সিপাই অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার দোকান থেকে বাড়ি মাত্র ২০০ ফুট দূরে। ঘরের সামনে পৌঁছাতেই তারা আমাকে আটক করে টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায়। ভয়ে তখন কিছু বলতে পারিনি।’ এ বিষয়ে বাউফল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

র‍্যাব-৮ (পটুয়াখালী) সিপিসি-১-এর কর্মকর্তা মেজর রাশেদ জানান, ঘটনার বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানি না। তবে কিছুদিন আগে একই ধরনের একটি ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাম ব্যবহার করে এ ধরনের অপরাধ কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।

বাউফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস উল্টে পুকুরে, আহত ১০

জসীম ‍উদ্দিন, বাউফল

জসীম ‍উদ্দিন, বাউফল

১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১২:১২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাউফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস উল্টে পুকুরে, আহত ১০

পটুয়াখালীর বাউফল-ঢাকা মহাসড়কের আফছেরের গ্রেজ এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের পুকুরে পড়ে যায়। শনিবার (১৬ আগস্ট) দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ঢাকাগামী চেয়ারম্যান পরিবহনের ওই বাসে থাকা অন্তত ১০ জন যাত্রী আহত হন। আহতদের মধ্যে একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

আহত যাত্রীদের অভিযোগ, গলাচিপা ও দশমিনা থেকে ছেড়ে আসা চেয়ারম্যান পরিবহনটিতে শ্রম আইন লঙ্ঘন করে একই চালককে দিনে-রাতে দুইবার বাস চালাতে বাধ্য করা হয়। তাছাড়া চেয়ারম্যান পরিবহনটিতে অতিরিক্ত মাছ বহন করার ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এ রুটে।

স্থানীয়রা জানান, বাউফল-ঢাকা মহাসড়কে চলাচল করা ঢাকাগামী পরিবহনগুলোতে নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটছে এবং এতে হতাহতের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সহকারি পুলিশ সুপার, বাউফল সার্কেল আরিফ মুহাম্মদ শাকুর বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়েছি। মহাসড়কে পরিবহন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের তদারকি আরও জোরদার করা হবে বলেন তিনি।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.