
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:২২
প্রথমে কয়েকটি মোটরসাইকেলকে চাপ দেন, তারা ধাওয়ায় গাড়ি নিয়ে চলে যাওয়ার সময় আবারও কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেন। ওই সময় সেখানে মারধর করতে আসলে হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন এক চিকিৎসক। তার নাম নাজমুল হাসান আখন্দ বলে জানা গেছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার বিজরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নাজমুল হাসান আকন্দ ব্যক্তিগত গাড়িতে করে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থেকে কুমিল্লা শহরের দিকে ফিরছিলেন। তিনি কুমিল্লা নগরীর বাদুরতলা এলাকার বাসিন্দা। তার গ্রামের বাড়ি দাউদকান্দি উপজেলায়। তিনি চর্ম, যৌন, অ্যালার্জি ও কুষ্ঠরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন।
লাকসাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ জানায়, ডা. নাজমুল হাসান আখন্দ প্রতি বুধবার চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চেম্বার করতেন। তিনি তার ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়ে কুমিল্লা নগরীর বাদুরতলা এলাকার বাসা থেকে হাজীগঞ্জে যাতায়াত করতেন।
ওসি নাজনীন সুলতানা বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন জানান, ওই চিকিৎসক গাড়ি চালানোর সময় কয়েকটি মোটরসাইকেলকে চাপ দিয়েছিলেন।
তবে এতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। চাপ দেওয়ার কারণে মোটরসাইকেল চালকরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধাওয়া দেন। একপর্যায়ে হেলমেট দিয়ে চিকিৎসকের গাড়ির লুকিং গ্লাস ভেঙে দেন। এ সময় চিকিৎসক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দিয়ে গাড়ি থামিয়ে ফেলেন।”
তিনি আরও বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে, এ ঘটনার কারণে আতঙ্কিত হয়ে হার্ট অ্যাটাকে ওই চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
জানা গেছে, বুধবার চেম্বার শেষ করে শহরের বাসায় ফিরছিলেন তিনি। এ সময় কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়কের লাকসামের বিজরা এলাকায় এলে মোটরসাইকেল নিয়ে কয়েকজন উশৃঙ্খল তরুণ তার গাড়িটিকে ধাওয়া দেয়।
এরপ বিজরা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কয়েকটি সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেন তিনি। তবে এতে কেউ হতাহত না হলেও ধাওয়া দেওয়া সেই তরুণরা এসে গাড়িটিতে আক্রমণ করে গাড়ির লুকিং গ্লাস ভাঙচুর করে চলে যান।
এতে আতঙ্কিহত হয়ে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেখেন তিনি আগেই মৃত্যুবরণ করেছেন।
এদিকে, রাত ৯টায় কুমিল্লা নগরীর বাদুরতলা এলাকায় তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়ে পরবর্তীতে ওই এলাকার কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। এ বিষয়ে রাত ২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও ওই চিকিৎসকের পরিবারের কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
প্রথমে কয়েকটি মোটরসাইকেলকে চাপ দেন, তারা ধাওয়ায় গাড়ি নিয়ে চলে যাওয়ার সময় আবারও কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেন। ওই সময় সেখানে মারধর করতে আসলে হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন এক চিকিৎসক। তার নাম নাজমুল হাসান আখন্দ বলে জানা গেছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার বিজরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নাজমুল হাসান আকন্দ ব্যক্তিগত গাড়িতে করে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থেকে কুমিল্লা শহরের দিকে ফিরছিলেন। তিনি কুমিল্লা নগরীর বাদুরতলা এলাকার বাসিন্দা। তার গ্রামের বাড়ি দাউদকান্দি উপজেলায়। তিনি চর্ম, যৌন, অ্যালার্জি ও কুষ্ঠরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন।
লাকসাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ জানায়, ডা. নাজমুল হাসান আখন্দ প্রতি বুধবার চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চেম্বার করতেন। তিনি তার ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়ে কুমিল্লা নগরীর বাদুরতলা এলাকার বাসা থেকে হাজীগঞ্জে যাতায়াত করতেন।
ওসি নাজনীন সুলতানা বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন জানান, ওই চিকিৎসক গাড়ি চালানোর সময় কয়েকটি মোটরসাইকেলকে চাপ দিয়েছিলেন।
তবে এতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। চাপ দেওয়ার কারণে মোটরসাইকেল চালকরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধাওয়া দেন। একপর্যায়ে হেলমেট দিয়ে চিকিৎসকের গাড়ির লুকিং গ্লাস ভেঙে দেন। এ সময় চিকিৎসক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দিয়ে গাড়ি থামিয়ে ফেলেন।”
তিনি আরও বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে, এ ঘটনার কারণে আতঙ্কিত হয়ে হার্ট অ্যাটাকে ওই চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
জানা গেছে, বুধবার চেম্বার শেষ করে শহরের বাসায় ফিরছিলেন তিনি। এ সময় কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়কের লাকসামের বিজরা এলাকায় এলে মোটরসাইকেল নিয়ে কয়েকজন উশৃঙ্খল তরুণ তার গাড়িটিকে ধাওয়া দেয়।
এরপ বিজরা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কয়েকটি সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেন তিনি। তবে এতে কেউ হতাহত না হলেও ধাওয়া দেওয়া সেই তরুণরা এসে গাড়িটিতে আক্রমণ করে গাড়ির লুকিং গ্লাস ভাঙচুর করে চলে যান।
এতে আতঙ্কিহত হয়ে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেখেন তিনি আগেই মৃত্যুবরণ করেছেন।
এদিকে, রাত ৯টায় কুমিল্লা নগরীর বাদুরতলা এলাকায় তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়ে পরবর্তীতে ওই এলাকার কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। এ বিষয়ে রাত ২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও ওই চিকিৎসকের পরিবারের কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৬
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৮
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৫২
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৫

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৬
পরশুরামের চিথলিয়ায় যুবদল নেতা কাজী রবিউল হোসেন জিহাদের(৪০) বাড়ি থেকে ২১১ পিস ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জিহাদ চিথলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পাগলীরকুল গ্রামের কাজী জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সিএনজি চালক।
শুক্রবার(৭ নভেম্বর) রাত দুইটায় উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পাগলির কুল গ্রামে জিহাদের বাড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পরশুরাম থানা পুলিশ। এ সময় তার বাড়ির গোয়ালঘর থেকে বস্তা ভর্তি ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জিহাদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত থ্রি-পিস গুলো গণনা করে ২১১ পিস বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামসুল আলম শাকিল বলেন, যুবদলের কেউ চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকলে তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে পুলিশ।
পরশুরামের চিথলিয়ায় যুবদল নেতা কাজী রবিউল হোসেন জিহাদের(৪০) বাড়ি থেকে ২১১ পিস ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জিহাদ চিথলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পাগলীরকুল গ্রামের কাজী জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সিএনজি চালক।
শুক্রবার(৭ নভেম্বর) রাত দুইটায় উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পাগলির কুল গ্রামে জিহাদের বাড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পরশুরাম থানা পুলিশ। এ সময় তার বাড়ির গোয়ালঘর থেকে বস্তা ভর্তি ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জিহাদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত থ্রি-পিস গুলো গণনা করে ২১১ পিস বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামসুল আলম শাকিল বলেন, যুবদলের কেউ চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকলে তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে পুলিশ।

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:৩৮
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় আক্তার হোসেন নামের এক দালালকে আটক করে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দালালকে কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দালাল মো. আক্তার হোসেন দেবিদ্বার পৌর এলাকার ছোটআলমপুর গ্রামের মো. রুহুল আমিনের ছেলে। বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আক্তার হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লা সদরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতেন। গত বছরও জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসককে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান জরুরি বিভাগে ওই দালালকে দেখে তাকে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু আক্তার হোসেন নির্দেশ না মেনে তর্কে জড়িয়ে ডা. মহিবুস সালামের ওপর চড়াও হন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তার গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আক্তার হোসেনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান বলেন, হাসপাতালকে দালালমুক্ত রাখার জন্য আমরা হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে সচেতনতামূলক প্রচারণার বিলবোর্ড টানিয়েছি। দুপুরে জরুরি বিভাগে দালাল আক্তারকে দেখে বের হতে বললে সে না গিয়ে আমার সঙ্গে তর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে সে আমার ওপর আক্রমণ চালায় এবং আমার শার্ট ছিঁড়ে ফেলে।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, সরকারি কর্মচারীর কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে আক্তার হোসেনকে দণ্ডবিধির ১৮৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সে আবার প্রবেশ করলে পুনরায় জেল দেওয়া হবে।’
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় আক্তার হোসেন নামের এক দালালকে আটক করে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দালালকে কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দালাল মো. আক্তার হোসেন দেবিদ্বার পৌর এলাকার ছোটআলমপুর গ্রামের মো. রুহুল আমিনের ছেলে। বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আক্তার হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লা সদরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতেন। গত বছরও জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসককে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান জরুরি বিভাগে ওই দালালকে দেখে তাকে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু আক্তার হোসেন নির্দেশ না মেনে তর্কে জড়িয়ে ডা. মহিবুস সালামের ওপর চড়াও হন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তার গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আক্তার হোসেনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান বলেন, হাসপাতালকে দালালমুক্ত রাখার জন্য আমরা হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে সচেতনতামূলক প্রচারণার বিলবোর্ড টানিয়েছি। দুপুরে জরুরি বিভাগে দালাল আক্তারকে দেখে বের হতে বললে সে না গিয়ে আমার সঙ্গে তর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে সে আমার ওপর আক্রমণ চালায় এবং আমার শার্ট ছিঁড়ে ফেলে।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, সরকারি কর্মচারীর কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে আক্তার হোসেনকে দণ্ডবিধির ১৮৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সে আবার প্রবেশ করলে পুনরায় জেল দেওয়া হবে।’

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৬
দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে আট দিনে ১৯৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের ইউনিটসমূহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে।
এই অভিযানে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তসহ মোট ১৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট থেকে ৯টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৭টি পিস্তল ম্যাগাজিন, ১২ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৮টি ককটেল, ২৩টি পেট্রোল বোমা, দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্য এবং দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশের জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ ছাড়া, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণেও সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে আট দিনে ১৯৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের ইউনিটসমূহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে।
এই অভিযানে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তসহ মোট ১৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট থেকে ৯টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৭টি পিস্তল ম্যাগাজিন, ১২ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৮টি ককটেল, ২৩টি পেট্রোল বোমা, দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্য এবং দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশের জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ ছাড়া, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণেও সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.