২৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:৪৮
বরিশাল থেকে ২০০৪ সালে গজারিয়া নদীর তলদেশ হয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আসে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায়। নদীর তলদেশের ক্যাবল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গত ৪ দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই এই উপজেলায়। এতে জনজীবনে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে ১৭টি ইউনিয়নের বাসিন্দা। স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট তৈরি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইলে নেটওয়ার্ক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাধীন পুরো উপজেলাতেই একই অবস্থা বিরাজ করছে। মার্কেটে ব্যবসায়ীদের ক্রেতাশূন্য অন্ধকার দোকানে বসে থাকতে দেখা গেছে। পানির অভাবে অনেক পরিবার ও প্রতিষ্ঠানে রান্নাবান্না করতে পারেনি। ফলে খেয়ে না খেয়ে অতি কষ্টে সময় পার করতে হচ্ছে তাদের।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় এলাকার মসজিদগুলোতেও অজুর পানি নেই। ফ্রিজের খাবার নষ্ট হয়ে গেছে। হাসপাতালে রোগীদের কষ্ট দ্বিগুণ বেড়েছে। সরকারি দপ্তরগুলোতে সেবাগ্রহীতা সকালে এসে বিকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করে সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
ব্যাটারিচালিত যানবাহন বন্ধ হয়ে গেছে। থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ করতে পারছেন না। বিভিন্ন পোলট্রি খামারিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ওষুধের ফার্মেসিতে ফ্রিজে রাখা ইনসুলিন এবং ইনজেকশনগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। লাখো মানুষ এখন বেকায়দায়।
নির্বাচন অফিসে সেবা নিতে আসা মো. নাসির উদ্দিন খান বলেন, আমি জয়নগর ইউনিয়ন থেকে সকাল ১০টায় অফিসে এসেছি ছেলের ভোটার আইডি কার্ড করাতে। বিদ্যুৎ না থাকায় কাজ না করেই ফিরে যাচ্ছি। আমাদের অনেক ভোগান্তি হচ্ছে।
মেহেন্দিগঞ্জ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাত সোহাগ বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় ওষুধের ফার্মেসিগুলো বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে রেবিকবিসি, টিটি বাক্স, ইনসুলিন, সাপোজিটর যেগুলো ফ্রিজে রাখা হয়। বিদ্যুৎ না থাকায় এসব ইনজেকশনগুলো রোগীদের দেওয়া যাচ্ছে না। যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি দ্রুত বিদ্যুৎ সার্ভিসের ব্যবস্থা করে।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইদুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। কম্পিউটার, ল্যাপটপ বন্ধ ও ফটোকপি মেশিন বন্ধ রয়েছে। জরুরি সেবাও দেওয়া যাচ্ছে না। আমাদের প্রতিটা সেবাই বিদ্যুতের সঙ্গে সম্পর্ক।
কখন বিদ্যুৎ পাবো তার নিশ্চয়তাও কেউ দিতে পারছে না। উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম শেখ বলেন, গত মঙ্গলবার রাত ১০টার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। আমাদের সকল ধরনের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের এজিএম হারুন অর রশিদ বলেন, গজারিয়া নদীতে জাহাজ নোঙর করার সময় গ্যারাপির আঘাতে নদীর তলদেশে সাবমেরিন ক্যাবল ক্ষতবিক্ষত হয়। তিনটি পেজে সমস্যা হয়েছে।
আমাদের ইঞ্জিনিয়ার ও বরিশালের ডুবুরি কাজ করছেন। আমরা ঘটনার পরপরই সমস্যা সমাধানের জন্য বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছি। সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। তা ঠিক করা হচ্ছে। ঠিক হলেই দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করা হবে। আশা করছি, দু-একদিনের মধ্যেই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রিয়াজুর রহমান বলেন, মেহেন্দিগঞ্জের বিদ্যুৎটা ৩৩ কেবি লাইনের মাধ্যমে বরিশাল থেকে মুলাদি হয়ে মেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে গজারিয়া নদীর তলদেশ হয়ে মেহেন্দিগঞ্জে আসে। নদীর তলদেশের ক্যাবল ছিঁড়ে যাওয়ার ফলে বিদ্যুৎ নেই।
তিনি বলেন, আমরা দ্রুত কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। বরিশাল জেলা প্রশাসক স্যারকে জানিয়েছি। স্যার বিষয়টি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিবকে জানিয়েছেন। তারা দ্রুত অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল আনার ব্যবস্থা করছেন। আশা করি আগামী একদিনের মধ্যে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হবে।
বরিশাল থেকে ২০০৪ সালে গজারিয়া নদীর তলদেশ হয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আসে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায়। নদীর তলদেশের ক্যাবল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গত ৪ দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই এই উপজেলায়। এতে জনজীবনে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে ১৭টি ইউনিয়নের বাসিন্দা। স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট তৈরি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইলে নেটওয়ার্ক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাধীন পুরো উপজেলাতেই একই অবস্থা বিরাজ করছে। মার্কেটে ব্যবসায়ীদের ক্রেতাশূন্য অন্ধকার দোকানে বসে থাকতে দেখা গেছে। পানির অভাবে অনেক পরিবার ও প্রতিষ্ঠানে রান্নাবান্না করতে পারেনি। ফলে খেয়ে না খেয়ে অতি কষ্টে সময় পার করতে হচ্ছে তাদের।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় এলাকার মসজিদগুলোতেও অজুর পানি নেই। ফ্রিজের খাবার নষ্ট হয়ে গেছে। হাসপাতালে রোগীদের কষ্ট দ্বিগুণ বেড়েছে। সরকারি দপ্তরগুলোতে সেবাগ্রহীতা সকালে এসে বিকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করে সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
ব্যাটারিচালিত যানবাহন বন্ধ হয়ে গেছে। থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ করতে পারছেন না। বিভিন্ন পোলট্রি খামারিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ওষুধের ফার্মেসিতে ফ্রিজে রাখা ইনসুলিন এবং ইনজেকশনগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। লাখো মানুষ এখন বেকায়দায়।
নির্বাচন অফিসে সেবা নিতে আসা মো. নাসির উদ্দিন খান বলেন, আমি জয়নগর ইউনিয়ন থেকে সকাল ১০টায় অফিসে এসেছি ছেলের ভোটার আইডি কার্ড করাতে। বিদ্যুৎ না থাকায় কাজ না করেই ফিরে যাচ্ছি। আমাদের অনেক ভোগান্তি হচ্ছে।
মেহেন্দিগঞ্জ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাত সোহাগ বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় ওষুধের ফার্মেসিগুলো বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে রেবিকবিসি, টিটি বাক্স, ইনসুলিন, সাপোজিটর যেগুলো ফ্রিজে রাখা হয়। বিদ্যুৎ না থাকায় এসব ইনজেকশনগুলো রোগীদের দেওয়া যাচ্ছে না। যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি দ্রুত বিদ্যুৎ সার্ভিসের ব্যবস্থা করে।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইদুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। কম্পিউটার, ল্যাপটপ বন্ধ ও ফটোকপি মেশিন বন্ধ রয়েছে। জরুরি সেবাও দেওয়া যাচ্ছে না। আমাদের প্রতিটা সেবাই বিদ্যুতের সঙ্গে সম্পর্ক।
কখন বিদ্যুৎ পাবো তার নিশ্চয়তাও কেউ দিতে পারছে না। উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম শেখ বলেন, গত মঙ্গলবার রাত ১০টার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। আমাদের সকল ধরনের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের এজিএম হারুন অর রশিদ বলেন, গজারিয়া নদীতে জাহাজ নোঙর করার সময় গ্যারাপির আঘাতে নদীর তলদেশে সাবমেরিন ক্যাবল ক্ষতবিক্ষত হয়। তিনটি পেজে সমস্যা হয়েছে।
আমাদের ইঞ্জিনিয়ার ও বরিশালের ডুবুরি কাজ করছেন। আমরা ঘটনার পরপরই সমস্যা সমাধানের জন্য বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছি। সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। তা ঠিক করা হচ্ছে। ঠিক হলেই দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করা হবে। আশা করছি, দু-একদিনের মধ্যেই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রিয়াজুর রহমান বলেন, মেহেন্দিগঞ্জের বিদ্যুৎটা ৩৩ কেবি লাইনের মাধ্যমে বরিশাল থেকে মুলাদি হয়ে মেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে গজারিয়া নদীর তলদেশ হয়ে মেহেন্দিগঞ্জে আসে। নদীর তলদেশের ক্যাবল ছিঁড়ে যাওয়ার ফলে বিদ্যুৎ নেই।
তিনি বলেন, আমরা দ্রুত কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। বরিশাল জেলা প্রশাসক স্যারকে জানিয়েছি। স্যার বিষয়টি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিবকে জানিয়েছেন। তারা দ্রুত অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল আনার ব্যবস্থা করছেন। আশা করি আগামী একদিনের মধ্যে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হবে।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:৪১
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সুলতান খান (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল। মৃত সুলতান খান পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার বাসিন্দা।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১২৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরগুনা হাসপাতালে ৫৪ জন, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন, বরিশাল জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ জন, পটুয়াখালীতে ২৯ জন, ভোলায় ৫ জন, পিরোজপুরে ১৭ জন ও ঝালকাঠিতে ২ জন। বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিভাগের দুই মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৫ হাজার ৮৯২ রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ হাজার ৪১৬ জন।
এছাড়া চলতি বছর গোটা বিভাগে ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ জন, বরগুনায় ১৪ ও পটুয়াখালীকে ১ জন।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সুলতান খান (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল। মৃত সুলতান খান পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার বাসিন্দা।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১২৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরগুনা হাসপাতালে ৫৪ জন, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন, বরিশাল জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ জন, পটুয়াখালীতে ২৯ জন, ভোলায় ৫ জন, পিরোজপুরে ১৭ জন ও ঝালকাঠিতে ২ জন। বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিভাগের দুই মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৫ হাজার ৮৯২ রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ হাজার ৪১৬ জন।
এছাড়া চলতি বছর গোটা বিভাগে ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ জন, বরগুনায় ১৪ ও পটুয়াখালীকে ১ জন।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:০২
বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় ১১ জেলেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) হিজলার মেঘনা নদীতে কোস্ট গার্ড সদস্যদের সহযোগিতায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম জানান, অভিযানে আটক ১১ জনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইলিয়াস সিকদার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচজনকে আট দিন করে কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া বাকিদের মধ্যে একজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও চারজনকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বয়স কম থাকায় এক কিশোরকে মুচলেকার মাধ্যমে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় ১১ জেলেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) হিজলার মেঘনা নদীতে কোস্ট গার্ড সদস্যদের সহযোগিতায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম জানান, অভিযানে আটক ১১ জনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইলিয়াস সিকদার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচজনকে আট দিন করে কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া বাকিদের মধ্যে একজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও চারজনকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বয়স কম থাকায় এক কিশোরকে মুচলেকার মাধ্যমে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:২২
বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ সেই ৩৪টি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের তিনতলা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে এই ভবনসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বসবাসরতদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে সিটি প্রশাসন ঘোষণা করে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে ভবনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেপরে এনিয়ে দৈনির রূপালী বাংলাদেশসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়।
সূত্র জানায়, কীর্তনখোলার তীরের শহর বরিশালের ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসি। ২০১৩ সালের জরিপে এসব ভবনকে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ভবনের বেশিরভাগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বেশ কয়েকবার ভাঙার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। এবং ভবনগুলো যে আইনগতভাবে ভাঙতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা এড়াতে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপরতা দেখায়নি বা নিশ্চুপ হয়ে যায়।
জানা গেছে, সদর রোডসংলগ্ন বহুতল ভবন দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল অবৈধভাকে দখল করে রেখেছিলেন। এই কাজী কামলা বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শ্যালক। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বরিশালে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন। সদর রোডে ভবন দুটির নিচের দোকান দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিজে দখল করে রাখেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে আছেন।
একটি ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তাঁর চাচা উলফাত হাজি এবং শুককুর হাজি ১৯৬০ সালে একটি ভবন ও ৩০ বছর আগে আরেকটি ভবন সদর রোডে নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে একটি পাকা ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং পাশের ভবন ঘেঁষে হেলে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু প্রভাবশালী ভাড়াটেরা জোর করে দখলে রাখায় ওই সময় ভাঙার ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে ভবন ভাঙার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেন নজরুল ইসলাম। তারপর ভবনটি শুক্রবার সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উলফাত এবং শাকুর ম্যানশন নামের ওই দুটি ভবন ইতিপূর্বে ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটেরা আদালতে গেছেন। আমরা কোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় পেয়েছি। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে সেখানে নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও ভাড়াটেরা দখল ছাড়েননি। শুক্রবার সকালে তাদের চূড়ান্তভাবে চলে যাওয়ার নোটিস দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু হয়। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা সম্ভব।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোড কাজি অফিসের পেছনে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডে মহিলা কলেজসংলগ্ন মনু মিয়ার ভবন এবং সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবনসহ ৩৪টি ভবনই পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অনুমোদনহীন এমন কিছু ভবনও রয়েছে।’
বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ সেই ৩৪টি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের তিনতলা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে এই ভবনসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বসবাসরতদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে সিটি প্রশাসন ঘোষণা করে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে ভবনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেপরে এনিয়ে দৈনির রূপালী বাংলাদেশসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়।
সূত্র জানায়, কীর্তনখোলার তীরের শহর বরিশালের ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসি। ২০১৩ সালের জরিপে এসব ভবনকে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ভবনের বেশিরভাগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বেশ কয়েকবার ভাঙার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। এবং ভবনগুলো যে আইনগতভাবে ভাঙতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা এড়াতে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপরতা দেখায়নি বা নিশ্চুপ হয়ে যায়।
জানা গেছে, সদর রোডসংলগ্ন বহুতল ভবন দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল অবৈধভাকে দখল করে রেখেছিলেন। এই কাজী কামলা বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শ্যালক। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বরিশালে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন। সদর রোডে ভবন দুটির নিচের দোকান দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিজে দখল করে রাখেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে আছেন।
একটি ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তাঁর চাচা উলফাত হাজি এবং শুককুর হাজি ১৯৬০ সালে একটি ভবন ও ৩০ বছর আগে আরেকটি ভবন সদর রোডে নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে একটি পাকা ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং পাশের ভবন ঘেঁষে হেলে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু প্রভাবশালী ভাড়াটেরা জোর করে দখলে রাখায় ওই সময় ভাঙার ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে ভবন ভাঙার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেন নজরুল ইসলাম। তারপর ভবনটি শুক্রবার সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উলফাত এবং শাকুর ম্যানশন নামের ওই দুটি ভবন ইতিপূর্বে ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটেরা আদালতে গেছেন। আমরা কোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় পেয়েছি। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে সেখানে নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও ভাড়াটেরা দখল ছাড়েননি। শুক্রবার সকালে তাদের চূড়ান্তভাবে চলে যাওয়ার নোটিস দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু হয়। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা সম্ভব।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোড কাজি অফিসের পেছনে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডে মহিলা কলেজসংলগ্ন মনু মিয়ার ভবন এবং সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবনসহ ৩৪টি ভবনই পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অনুমোদনহীন এমন কিছু ভবনও রয়েছে।’
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.