০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:২৫
কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীতে অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযানে প্রশাসনকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বিক্ষোভকারীদের হামলায় এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার শহরের কস্তরাঘাট এলাকায় বাঁকখালী নদীর মোহনায় পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানের দ্বিতীয় দিনে এই ঘটনা ঘটে। এতে মো. করিম নামে এক কনস্টেবল আহত হয়েছেন। তিনি পুলিশ লাইনস কক্সবাজারে কর্মরত রয়েছেন।
সকালে জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ যৌথভাবে পরিচালিত উচ্ছেদ কার্যক্রম অভিযান শুরুর সময় তারা স্থানীয়দের বাঁধার মুখে পড়ে। এসময় ‘বদরমোকামস্থ উকিলপাড়া সমাজের সর্বস্তরের জনসাধারণ’ ব্যানারে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় এক নারী বাসিন্দা বিক্ষোভের সময় সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তাদের ক্রয়কৃত জমি নদী উদ্ধারের নামে জবর দখল করা হচ্ছে। প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ-র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীরা মুখোমুখি অবস্থান নেয়।
একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ সময় চারজনকে আটক করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাঁকখালী উচ্ছেদ অভিযানে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
তবে এই পরিস্থিতি কিছুক্ষণের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে চলে আসায় আবার উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছে প্রশাসন। দুপুর ১২টার দিকে উচ্ছেদ অভিযান পুনরায় শুরু হয় এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী আতিকউল্লাহ প্রকাশ সিআইপি আতিকের দখলকৃত জায়গায় স্থাপনা উচ্ছেদ চলছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র বলছে, গত ২৪ আগস্ট বাঁকখালী নদীর সীমানায় থাকা সব দখলদারের তালিকা তৈরি করে চার মাসের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এক সপ্তাহ পর গত ৩০ আগস্ট নৌপরিবহন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন কক্সবাজার সফরে আসেন এবং তিনি এক সমন্বয় সভায় হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী বাঁকখালী নদীর অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরি ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিজাম উদ্দিন আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাঁকখালী নদী দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর নির্ধারিত করা হবে নদীর সীমানা।
বিআইডব্লিউটিএ বলছে, ২০১০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাঁকখালী নদী তীরের ৭২১ একর জমিকে নদীবন্দর ঘোষণা করে সরকার এবং জেলা প্রশাসনকে এই জমি বিআইডব্লিউটিএকে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এসব জায়গার মধ্যে কমপক্ষে ৩০০ একর জায়গায় অবৈধ স্থাপনা রয়েছে যা এতদিন দখল অবমুক্ত করা যায়নি।
বিআইডব্লিউটিএ কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. খায়রুজ্জামান বলেন, নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আমরা সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছি।
অভিযানের প্রথম দিনে গতকাল ৫ একরের বেশি জায়গা থেকে কমপক্ষে দুই শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই অভিযান চলবে এবং আনুমানিক দুই হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীতে অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযানে প্রশাসনকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বিক্ষোভকারীদের হামলায় এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার শহরের কস্তরাঘাট এলাকায় বাঁকখালী নদীর মোহনায় পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানের দ্বিতীয় দিনে এই ঘটনা ঘটে। এতে মো. করিম নামে এক কনস্টেবল আহত হয়েছেন। তিনি পুলিশ লাইনস কক্সবাজারে কর্মরত রয়েছেন।
সকালে জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ যৌথভাবে পরিচালিত উচ্ছেদ কার্যক্রম অভিযান শুরুর সময় তারা স্থানীয়দের বাঁধার মুখে পড়ে। এসময় ‘বদরমোকামস্থ উকিলপাড়া সমাজের সর্বস্তরের জনসাধারণ’ ব্যানারে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় এক নারী বাসিন্দা বিক্ষোভের সময় সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তাদের ক্রয়কৃত জমি নদী উদ্ধারের নামে জবর দখল করা হচ্ছে। প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ-র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীরা মুখোমুখি অবস্থান নেয়।
একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ সময় চারজনকে আটক করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাঁকখালী উচ্ছেদ অভিযানে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
তবে এই পরিস্থিতি কিছুক্ষণের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে চলে আসায় আবার উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছে প্রশাসন। দুপুর ১২টার দিকে উচ্ছেদ অভিযান পুনরায় শুরু হয় এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী আতিকউল্লাহ প্রকাশ সিআইপি আতিকের দখলকৃত জায়গায় স্থাপনা উচ্ছেদ চলছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র বলছে, গত ২৪ আগস্ট বাঁকখালী নদীর সীমানায় থাকা সব দখলদারের তালিকা তৈরি করে চার মাসের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এক সপ্তাহ পর গত ৩০ আগস্ট নৌপরিবহন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন কক্সবাজার সফরে আসেন এবং তিনি এক সমন্বয় সভায় হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী বাঁকখালী নদীর অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরি ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিজাম উদ্দিন আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাঁকখালী নদী দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর নির্ধারিত করা হবে নদীর সীমানা।
বিআইডব্লিউটিএ বলছে, ২০১০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাঁকখালী নদী তীরের ৭২১ একর জমিকে নদীবন্দর ঘোষণা করে সরকার এবং জেলা প্রশাসনকে এই জমি বিআইডব্লিউটিএকে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এসব জায়গার মধ্যে কমপক্ষে ৩০০ একর জায়গায় অবৈধ স্থাপনা রয়েছে যা এতদিন দখল অবমুক্ত করা যায়নি।
বিআইডব্লিউটিএ কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. খায়রুজ্জামান বলেন, নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আমরা সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছি।
অভিযানের প্রথম দিনে গতকাল ৫ একরের বেশি জায়গা থেকে কমপক্ষে দুই শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই অভিযান চলবে এবং আনুমানিক দুই হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:২৫
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩৮
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:২৯
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৯
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:২৫
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিশ্বরোড এলাকায় পুলিশ আসার আগেই কোনোরকমে ঝটিকা মিছিল দিয়ে সটকে পড়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ ঝটিকা মিছিল করে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিলটি শুরুর আগে কয়েকশ ব্যক্তি মহাসড়কের পশ্চিম পাশে ছত্রভঙ্গ হয়ে অবস্থান নেন। পরে হঠাৎ স্লোগান দিতে দিতে তারা মহাসড়কে মিছিল শুরু করেন। কয়েক মিনিট স্থায়ী এই মিছিল থেকে সরকারের পদত্যাগ দাবি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, এরপর মিছিলকারীরা প্রায় ২০-৩০ মিনিট মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তারা সটকে পড়েন।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিশ্বরোড এলাকায় পুলিশ আসার আগেই কোনোরকমে ঝটিকা মিছিল দিয়ে সটকে পড়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ ঝটিকা মিছিল করে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিলটি শুরুর আগে কয়েকশ ব্যক্তি মহাসড়কের পশ্চিম পাশে ছত্রভঙ্গ হয়ে অবস্থান নেন। পরে হঠাৎ স্লোগান দিতে দিতে তারা মহাসড়কে মিছিল শুরু করেন। কয়েক মিনিট স্থায়ী এই মিছিল থেকে সরকারের পদত্যাগ দাবি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, এরপর মিছিলকারীরা প্রায় ২০-৩০ মিনিট মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তারা সটকে পড়েন।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:৪৮
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারতীয় কাঁচা মরিচবাহী ট্রাক থেকে একটি এয়ার পিস্তল ও ৯৩ রাউন্ড এয়ার পেলেট জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ ঘটনায় দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বেনাপোল আইসিপির মেইন গেটে ভারতীয় ট্রাকে তল্লাশি শেষে তাদের আটক করা হয়। আটক দুই ভারতীয় নাগরিক হলেন, ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের বিতুল জেলার চন্দ্রশিকড় ওয়ার্ডের জাস পাল সালুজার ছেলে ট্রাকচালক গুরজীত সালুজা (৩১) ও ট্রাকের হেল্পার ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের বিতুল জেলার চন্দ্রশিকড় ওয়ার্ডের মালকিয়া নাওয়াদির ছেলে রাম দাস নাওয়াদি (২৪)।
বিজিবি জানায়, সীমান্ত মেইন পিলার ১৮/৩ এস থেকে প্রায় ১০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটি ভারতীয় ট্রাক তল্লাশি করে বিজিবি। এ সময় কাঁচা মরিচবাহী ওই ট্রাক থেকে অস্ত্র সাদৃশ্য এয়ার পিস্তল ও পেলেট উদ্ধার করা হয়।
এ প্রসঙ্গে যশোর ঝুমঝুমপুর বিজিবির সহকারী পরিচালক সোহেল আল মুজাহিদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারতীয় ট্রাকটি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিতে একটি এয়ার পিস্তল ও কিছু গুলি জব্দ করা হয়েছে।
বেনাপোল আইসিপিতে নিয়মিত টহল ও তল্লাশির অংশ হিসেবে ভারতীয় ট্রাক থেকে এয়ার পিস্তল ও পেলেট জব্দসহ দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র বা এ ধরনের পণ্য আনার চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না। আটক ব্যক্তিদের ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারতীয় কাঁচা মরিচবাহী ট্রাক থেকে একটি এয়ার পিস্তল ও ৯৩ রাউন্ড এয়ার পেলেট জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ ঘটনায় দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বেনাপোল আইসিপির মেইন গেটে ভারতীয় ট্রাকে তল্লাশি শেষে তাদের আটক করা হয়। আটক দুই ভারতীয় নাগরিক হলেন, ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের বিতুল জেলার চন্দ্রশিকড় ওয়ার্ডের জাস পাল সালুজার ছেলে ট্রাকচালক গুরজীত সালুজা (৩১) ও ট্রাকের হেল্পার ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের বিতুল জেলার চন্দ্রশিকড় ওয়ার্ডের মালকিয়া নাওয়াদির ছেলে রাম দাস নাওয়াদি (২৪)।
বিজিবি জানায়, সীমান্ত মেইন পিলার ১৮/৩ এস থেকে প্রায় ১০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটি ভারতীয় ট্রাক তল্লাশি করে বিজিবি। এ সময় কাঁচা মরিচবাহী ওই ট্রাক থেকে অস্ত্র সাদৃশ্য এয়ার পিস্তল ও পেলেট উদ্ধার করা হয়।
এ প্রসঙ্গে যশোর ঝুমঝুমপুর বিজিবির সহকারী পরিচালক সোহেল আল মুজাহিদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারতীয় ট্রাকটি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিতে একটি এয়ার পিস্তল ও কিছু গুলি জব্দ করা হয়েছে।
বেনাপোল আইসিপিতে নিয়মিত টহল ও তল্লাশির অংশ হিসেবে ভারতীয় ট্রাক থেকে এয়ার পিস্তল ও পেলেট জব্দসহ দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র বা এ ধরনের পণ্য আনার চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না। আটক ব্যক্তিদের ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:১৯
রাজবাড়ীর কালুখালীতে বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেল রেসিং করতে গিয়ে ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বাংলাদেশ হাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—জেলার কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের ঘিকমলা এলাকার মো. বক্কারের ছেলে আরিফ ওরফে কাজল (২২) ও পাংশা পৌরসভার পালপাড়া এলাকার অসিত বিশ্বাসের ছেলে স্বাধীন বিশ্বাস (১৭)।
এ ছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে পাংশা পৌরসভার পালপাড়া এলাকার মৃত- মজিবর রহমানের ছেলে শাওন (২১)। তবে পালপাড়ার জয়পদেবের ছেলে দীপ (২১) অক্ষত অবস্থায় বাড়ি ফিরেছে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যার পর থেকে দুইটি মোটরসাইকেল নিয়ে চার বন্ধু পাংশা থেকে রাজবাড়ী এবং রাজবাড়ী থেকে পাংশা পর্যন্ত রেসিং করছিল। শেষবার তারা কালুখালীর দিক থেকে পাংশা আশার পথে বাংলাদেশ হাট নামক এলাকায় আসলে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ লাগে। এ সময় তারা সড়কে ছিটকে পড়লে অজ্ঞাত গাড়ির নিয়ে তিনজন চাপা পড়ে। ঘটনাস্থলে দুজনের মৃত্যু হয়। একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে পাংশা হাইওয়ে থানার ওসি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করি। ধারণা করা হচ্ছে দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে তারা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে ছিটকে পড়ে। এ সময় অজ্ঞাত দ্রুত গতির গাড়ি তাদের চাপা দিয়ে চলে যায়। পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
রাজবাড়ীর কালুখালীতে বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেল রেসিং করতে গিয়ে ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বাংলাদেশ হাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—জেলার কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের ঘিকমলা এলাকার মো. বক্কারের ছেলে আরিফ ওরফে কাজল (২২) ও পাংশা পৌরসভার পালপাড়া এলাকার অসিত বিশ্বাসের ছেলে স্বাধীন বিশ্বাস (১৭)।
এ ছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে পাংশা পৌরসভার পালপাড়া এলাকার মৃত- মজিবর রহমানের ছেলে শাওন (২১)। তবে পালপাড়ার জয়পদেবের ছেলে দীপ (২১) অক্ষত অবস্থায় বাড়ি ফিরেছে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যার পর থেকে দুইটি মোটরসাইকেল নিয়ে চার বন্ধু পাংশা থেকে রাজবাড়ী এবং রাজবাড়ী থেকে পাংশা পর্যন্ত রেসিং করছিল। শেষবার তারা কালুখালীর দিক থেকে পাংশা আশার পথে বাংলাদেশ হাট নামক এলাকায় আসলে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ লাগে। এ সময় তারা সড়কে ছিটকে পড়লে অজ্ঞাত গাড়ির নিয়ে তিনজন চাপা পড়ে। ঘটনাস্থলে দুজনের মৃত্যু হয়। একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে পাংশা হাইওয়ে থানার ওসি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করি। ধারণা করা হচ্ছে দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে তারা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে ছিটকে পড়ে। এ সময় অজ্ঞাত দ্রুত গতির গাড়ি তাদের চাপা দিয়ে চলে যায়। পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.