১৩ জুন, ২০২৫ ১৭:১৩
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় ১৪৪ ধারা চলাকালে বিক্ষোভ সমাবেশ করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ১০টার দিকে দশমিনা উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে এ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।
জানা গেছে, দশমিনা উপজেলাধীন দশমিনা সদর ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় দুটি রাজনৈতিক দল একই সময়ে ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং উভয়পক্ষের যুগপৎ কর্মসূচি ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কায় শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ৮টা থেকে আগামী ১৫ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরতিজা হাসান।
ওই সময়ে উল্লিখিত এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, গণজমায়েত, বিস্ফোরক দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ও সব ধরনের দেশীয় অস্ত্র ইত্যাদি বহনসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির অবস্থান কিংবা চলাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সন্ধ্যার পরে গলাচিপা উপজেলার চর বিশ্বাস ইউনিয়নে গণঅধিকার পরিষদ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে রাত ৯টার দিকে গলাচিপা উপজেলার পাতাবুনিয়া বটতলা বাজার এলাকায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে প্রায় ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। পরে এ ঘটনায় ৪ ঘণ্টা পর অবরুদ্ধ নুরকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম শানু জানান, আমরা বৃহস্পতিবার রাতে তাৎক্ষণিক ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেই।
সেই কর্মসূচি অনুযায়ী আজ সকালে আমরা কর্মসূচি পালন করি। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে বসে আছে কিন্তু তা আমাদের জানানো হয়নি। আমাদের বিক্ষোভ সমাবেশের পরে উপজেলা প্রশাসনের মাইকিং শুনতে পাই। এরপর আমাদের পূর্ব ঘোষিত আর কোনো প্রোগ্রাম পালন করা হয়নি।
এদিকে গলাচিপা উপজেলায়ও গণঅধিকার পরিষদ ও বিএনপি একই সময়ে কর্মসূচি দেওয়ায় সেখানেও জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এ ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে ওই স্থান দুটিতে। এ বিষয়ে জানতে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় ১৪৪ ধারা চলাকালে বিক্ষোভ সমাবেশ করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ১০টার দিকে দশমিনা উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে এ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।
জানা গেছে, দশমিনা উপজেলাধীন দশমিনা সদর ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় দুটি রাজনৈতিক দল একই সময়ে ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং উভয়পক্ষের যুগপৎ কর্মসূচি ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কায় শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ৮টা থেকে আগামী ১৫ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরতিজা হাসান।
ওই সময়ে উল্লিখিত এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, গণজমায়েত, বিস্ফোরক দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ও সব ধরনের দেশীয় অস্ত্র ইত্যাদি বহনসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির অবস্থান কিংবা চলাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সন্ধ্যার পরে গলাচিপা উপজেলার চর বিশ্বাস ইউনিয়নে গণঅধিকার পরিষদ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে রাত ৯টার দিকে গলাচিপা উপজেলার পাতাবুনিয়া বটতলা বাজার এলাকায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে প্রায় ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। পরে এ ঘটনায় ৪ ঘণ্টা পর অবরুদ্ধ নুরকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম শানু জানান, আমরা বৃহস্পতিবার রাতে তাৎক্ষণিক ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেই।
সেই কর্মসূচি অনুযায়ী আজ সকালে আমরা কর্মসূচি পালন করি। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে বসে আছে কিন্তু তা আমাদের জানানো হয়নি। আমাদের বিক্ষোভ সমাবেশের পরে উপজেলা প্রশাসনের মাইকিং শুনতে পাই। এরপর আমাদের পূর্ব ঘোষিত আর কোনো প্রোগ্রাম পালন করা হয়নি।
এদিকে গলাচিপা উপজেলায়ও গণঅধিকার পরিষদ ও বিএনপি একই সময়ে কর্মসূচি দেওয়ায় সেখানেও জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এ ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে ওই স্থান দুটিতে। এ বিষয়ে জানতে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:০২
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার উত্তর মুরাদিয়া চরে কৃষক দলের এক নেতার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার উত্তর মুরাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. কবির হোসেন শরীফ অভিযোগ করেন, তিনি ও তাঁর আত্মীয়স্বজনসহ ১৪ জন রেকর্ডীয় মালিক এবং সরকার কর্তৃক বন্দোবস্ত পাওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে ওই চরাঞ্চলের প্রায় ৪৫ একর জমি তিন বছরের জন্য লিজ নিয়ে তরমুজ চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
এসময় উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মর্তুজার মদদে একদল প্রভাবশালী ভূমিদস্যু তাঁদের জমিতে প্রবেশে বাধা দেয় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে কবির শরীফ বাদি হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই অভিযোগে বলা হয়, উত্তর মুরাদিয়া গ্রামের মো. মোস্তফা হাওলাদার, ইদ্রিস হাওলাদার, আব্দুল জব্বার মীর ও ছলেমান মীরসহ একাধিক ব্যক্তি পূর্বেও জোরপূর্বক ওই জমি দখল করে রেখেছিল। সম্প্রতি তারা আবারও জমি দখলের চেষ্টা করে কবির শরীফের ট্রাক্টর ও ভেকুর যন্ত্রাংশ খুলে নেয়।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা সাবেক কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মর্তুজা বলেন, আমি কোনো দখল বা হুমকির ঘটনায় জড়িত নই। জমির মালিকরাই তাদের জমি ভোগদখল করছেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত মোস্তফা হাওলাদার বলেন, কবির শরীফ জমির মালিক নন।
তিনি লিজের টাকা না দেওয়ায় মালিকরা অন্যদের কাছে জমি লিজ দিয়েছেন। এখন তিনি নাটক সাজাচ্ছেন। দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার উত্তর মুরাদিয়া চরে কৃষক দলের এক নেতার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার উত্তর মুরাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. কবির হোসেন শরীফ অভিযোগ করেন, তিনি ও তাঁর আত্মীয়স্বজনসহ ১৪ জন রেকর্ডীয় মালিক এবং সরকার কর্তৃক বন্দোবস্ত পাওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে ওই চরাঞ্চলের প্রায় ৪৫ একর জমি তিন বছরের জন্য লিজ নিয়ে তরমুজ চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
এসময় উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মর্তুজার মদদে একদল প্রভাবশালী ভূমিদস্যু তাঁদের জমিতে প্রবেশে বাধা দেয় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে কবির শরীফ বাদি হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই অভিযোগে বলা হয়, উত্তর মুরাদিয়া গ্রামের মো. মোস্তফা হাওলাদার, ইদ্রিস হাওলাদার, আব্দুল জব্বার মীর ও ছলেমান মীরসহ একাধিক ব্যক্তি পূর্বেও জোরপূর্বক ওই জমি দখল করে রেখেছিল। সম্প্রতি তারা আবারও জমি দখলের চেষ্টা করে কবির শরীফের ট্রাক্টর ও ভেকুর যন্ত্রাংশ খুলে নেয়।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা সাবেক কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মর্তুজা বলেন, আমি কোনো দখল বা হুমকির ঘটনায় জড়িত নই। জমির মালিকরাই তাদের জমি ভোগদখল করছেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত মোস্তফা হাওলাদার বলেন, কবির শরীফ জমির মালিক নন।
তিনি লিজের টাকা না দেওয়ায় মালিকরা অন্যদের কাছে জমি লিজ দিয়েছেন। এখন তিনি নাটক সাজাচ্ছেন। দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:১১
দুর্নীতিকে না বলুন, এই স্লোগানকে সামনে রেখে পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির নব নির্বাচিত সদস্যদের পরিচিতি ও মতবিনিম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বেলা ১১ টার সময় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন কক্ষে এ সব অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কালাইয়া ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোঃ এনায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দশমিনা ডলি আকবর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ সোহরাব হোসেনে, ধানদী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি ড. মোঃ হাবিবুল্লাহ, বাউফল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জলিলুর রহমান, চরআলগী রশিদিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য মোহাম্মদ ফারুক হোসাইন, ডাঃ ইয়াকুব শরিফ ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য আসমা বেগম, কনকদিয়া স্যার সলিমুল্লাহ স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য মোসাঃ নার্গিস আক্তার, ধুলিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য এস এম জহিরুল ইসলাম, বাউফল প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক প্রভাষক ডাঃ মোঃ জসীম উদ্দিন, বাউফল প্রেসক্লাবের সদস্য মোঃ মাইনুদ্দীন জিপু সহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতি সহ সকল সদস্য তারা নিজেরা সকল প্রকার দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থেকে বাউফল উপজেলাকে একটি দুর্নীতি মুক্ত উপজেলা গড়ার সহায়ক হিসেবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
দুর্নীতিকে না বলুন, এই স্লোগানকে সামনে রেখে পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির নব নির্বাচিত সদস্যদের পরিচিতি ও মতবিনিম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বেলা ১১ টার সময় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন কক্ষে এ সব অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কালাইয়া ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোঃ এনায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দশমিনা ডলি আকবর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ সোহরাব হোসেনে, ধানদী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি ড. মোঃ হাবিবুল্লাহ, বাউফল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জলিলুর রহমান, চরআলগী রশিদিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য মোহাম্মদ ফারুক হোসাইন, ডাঃ ইয়াকুব শরিফ ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য আসমা বেগম, কনকদিয়া স্যার সলিমুল্লাহ স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য মোসাঃ নার্গিস আক্তার, ধুলিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য এস এম জহিরুল ইসলাম, বাউফল প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক প্রভাষক ডাঃ মোঃ জসীম উদ্দিন, বাউফল প্রেসক্লাবের সদস্য মোঃ মাইনুদ্দীন জিপু সহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতি সহ সকল সদস্য তারা নিজেরা সকল প্রকার দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থেকে বাউফল উপজেলাকে একটি দুর্নীতি মুক্ত উপজেলা গড়ার সহায়ক হিসেবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০৪
পর্যটননগরী কুয়াকাটায় ছুটির দিনে পর্যটকদের ভিড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের সংখ্যা। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ছুটির দিনে এই গাড়ির সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়, ফলে কুয়াকাটার প্রধান সড়কগুলোতে তৈরি হচ্ছে তীব্র যানজট। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ভ্রমণে আসা পর্যটকরা। স্থানীয় চালকদের অভিযোগ, বাইরের গাড়িগুলো ঢোকার কারণেই অতিরিক্ত যানযট সৃষ্টি হয়।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট-সংলগ্ন চৌরাস্তায় দেখা যায়, ব্যাটারিচালিত যানবাহনের অতিরিক্ত যাতায়াতের কারণে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে আগত পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ অবস্থা থেকে নিস্তার পেতে ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা চান স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী ও আগত পর্যটকরা।
এদিকে কুয়াকাটায় আগত একাধিক পর্যটকরা অভিযোগ করে বলেন, সৈকতের পথে কিছুতেই সময়মতো পৌঁছানো যাচ্ছে না, কারণ সর্বত্র ব্যাটারিচালিত গাড়ির ভিড়। একটি পর্যটন নগরী এলাকায় এত পরিমাণ গাড়ি যা পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোগান্তি বাড়িয়ে দেয়। তীব্র যানযট মোকাবিলায় এখনই পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ বলে মনে করছেন অনেক পর্যটক।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এমএ মোতালেব শরীফ বলেন, শুক্র ও শনিবার কিংবা দীর্ঘ ছুটির দিনে এসব যানবাহনের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায়। ফলে মূল সড়কসহ সৈকতের আশপাশের এলাকায় তৈরি হয় তীব্র যানজট।
এতে করে যেমন দুর্ভোগে পড়েন পর্যটকরা, তেমনি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। এসব পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে না পারলে পর্যটকরা স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবে না।
স্থানীয় ইজিবাইকচালক সমিতির সভাপতি রহমান বিশ্বাস বলেন, কুয়াকাটায় মোট ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোভ্যানের সংখ্যা ৯০০-এর মতো। কিন্তু ছুটির দিনগুলোতে এই সংখ্যাটা দিগুণ হয়ে যায়। নিয়ম না মেনেই অনেক চালক রাস্তায় যান, আবার অনেকে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ছাড়াই গাড়ি চালান।
এতে করে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়ছে। তবে কুয়াকাটার স্থানীয় যেসব চালক রয়েছেন তারা বছরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। যেমন, পর্যটকদের সঙ্গে কিভাবে কথা বলতে হবে এবং গাড়ি চালানোর জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা।
এসব বিষয়গুলো আমরা মাথায় রেখেই কুয়াকাটার চালকরা গাড়ি চালিয়ে থাকি। তবে কুয়াকাটার বাইরে থেকে যেসব গাড়ি আসে তারা কোনো নিয়ম তো মানেই না এবং অতিরিক্ত গাড়ি ঢোকার কারণে তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়। বাইরের গাড়িগুলো বন্ধ করতে পারলে এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলবে।
স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী সোহেল মাহমুদ বলেন, পর্যটক আসুক আমরা চাই, কিন্তু এত যানজট হলে ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেকে হাঁটতেই পারছে না, গাড়ি তো দূরের কথা। এগুলো থেকে আমরা কুয়াকাটার পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা নিস্তার চাই।
এ বিষয়ে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, কুয়াকাটায় নির্দিষ্ট কোনো ট্রাফিক পুলিশের টিম নেই। তবে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ থেকে কিছু দিন পর পর একটি টিম পাঠানো হয়, কিন্তু তারা সার্বক্ষণিক এখানে থাকে না।
বর্তমানে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনে একজন সার্জেন্ট দেওয়া হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি টিম যানজট নিরসনে কাজ করছে। তবে অতিরিক্ত ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের কারণে বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক ইয়াসীন সাদেক বলেন, কুয়াকাটায় লাগামহীন ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোভ্যান নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে তাদেরকে কুয়াকাটা পৌরসভার লাইসেন্সের আওতায় আনার জন্য তাদেরকে ডাকা হয়েছে কিন্তু তারা আসছে না।
তবে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন মাধ্যমে ৩৮টি গাড়ি নিবন্ধন করা সম্ভব হয়েছে। এই বিষয়ে পার্শ্ববর্তী দুটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি, এবং এগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। যেগুলো খুব দ্রুতই বাস্তবায়ন করা হবে।
পর্যটননগরী কুয়াকাটায় ছুটির দিনে পর্যটকদের ভিড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের সংখ্যা। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ছুটির দিনে এই গাড়ির সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়, ফলে কুয়াকাটার প্রধান সড়কগুলোতে তৈরি হচ্ছে তীব্র যানজট। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ভ্রমণে আসা পর্যটকরা। স্থানীয় চালকদের অভিযোগ, বাইরের গাড়িগুলো ঢোকার কারণেই অতিরিক্ত যানযট সৃষ্টি হয়।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট-সংলগ্ন চৌরাস্তায় দেখা যায়, ব্যাটারিচালিত যানবাহনের অতিরিক্ত যাতায়াতের কারণে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে আগত পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ অবস্থা থেকে নিস্তার পেতে ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা চান স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী ও আগত পর্যটকরা।
এদিকে কুয়াকাটায় আগত একাধিক পর্যটকরা অভিযোগ করে বলেন, সৈকতের পথে কিছুতেই সময়মতো পৌঁছানো যাচ্ছে না, কারণ সর্বত্র ব্যাটারিচালিত গাড়ির ভিড়। একটি পর্যটন নগরী এলাকায় এত পরিমাণ গাড়ি যা পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোগান্তি বাড়িয়ে দেয়। তীব্র যানযট মোকাবিলায় এখনই পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ বলে মনে করছেন অনেক পর্যটক।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এমএ মোতালেব শরীফ বলেন, শুক্র ও শনিবার কিংবা দীর্ঘ ছুটির দিনে এসব যানবাহনের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায়। ফলে মূল সড়কসহ সৈকতের আশপাশের এলাকায় তৈরি হয় তীব্র যানজট।
এতে করে যেমন দুর্ভোগে পড়েন পর্যটকরা, তেমনি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। এসব পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে না পারলে পর্যটকরা স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবে না।
স্থানীয় ইজিবাইকচালক সমিতির সভাপতি রহমান বিশ্বাস বলেন, কুয়াকাটায় মোট ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোভ্যানের সংখ্যা ৯০০-এর মতো। কিন্তু ছুটির দিনগুলোতে এই সংখ্যাটা দিগুণ হয়ে যায়। নিয়ম না মেনেই অনেক চালক রাস্তায় যান, আবার অনেকে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ছাড়াই গাড়ি চালান।
এতে করে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়ছে। তবে কুয়াকাটার স্থানীয় যেসব চালক রয়েছেন তারা বছরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। যেমন, পর্যটকদের সঙ্গে কিভাবে কথা বলতে হবে এবং গাড়ি চালানোর জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা।
এসব বিষয়গুলো আমরা মাথায় রেখেই কুয়াকাটার চালকরা গাড়ি চালিয়ে থাকি। তবে কুয়াকাটার বাইরে থেকে যেসব গাড়ি আসে তারা কোনো নিয়ম তো মানেই না এবং অতিরিক্ত গাড়ি ঢোকার কারণে তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়। বাইরের গাড়িগুলো বন্ধ করতে পারলে এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলবে।
স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী সোহেল মাহমুদ বলেন, পর্যটক আসুক আমরা চাই, কিন্তু এত যানজট হলে ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেকে হাঁটতেই পারছে না, গাড়ি তো দূরের কথা। এগুলো থেকে আমরা কুয়াকাটার পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা নিস্তার চাই।
এ বিষয়ে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, কুয়াকাটায় নির্দিষ্ট কোনো ট্রাফিক পুলিশের টিম নেই। তবে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ থেকে কিছু দিন পর পর একটি টিম পাঠানো হয়, কিন্তু তারা সার্বক্ষণিক এখানে থাকে না।
বর্তমানে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনে একজন সার্জেন্ট দেওয়া হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি টিম যানজট নিরসনে কাজ করছে। তবে অতিরিক্ত ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের কারণে বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক ইয়াসীন সাদেক বলেন, কুয়াকাটায় লাগামহীন ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোভ্যান নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে তাদেরকে কুয়াকাটা পৌরসভার লাইসেন্সের আওতায় আনার জন্য তাদেরকে ডাকা হয়েছে কিন্তু তারা আসছে না।
তবে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন মাধ্যমে ৩৮টি গাড়ি নিবন্ধন করা সম্ভব হয়েছে। এই বিষয়ে পার্শ্ববর্তী দুটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি, এবং এগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। যেগুলো খুব দ্রুতই বাস্তবায়ন করা হবে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.