
০২ নভেম্বর, ২০২৫ ২০:১৮
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হবে না, সংস্কার হলেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। আজ রোববার ভোলা জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে সকালে ভোলার সাত উপজেলার সমন্বয়ক, নেতা-কর্মীদের নিয়ে এনসিপির জেলা সমন্বয় সভা শুরু হয়। সভা চলে বেলা দুইটা পর্যন্ত। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
এনসিপির সমন্বয়কারী মেহেদী হাসানের (শরীফ) সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় আরও বক্তব্য দেন বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়ক মুজাহিদুল ইসলাম (শাহিন), যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মাহমুদা আলম (মিতু), আরিফুর রহমান (তুহিন), মেসবাহ কামাল, যুগ্ম সদস্যসচিব ও শিক্ষা গবেষণা সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ (শান্ত), কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন (ফয়সাল), কেন্দ্রীয় সদস্য রফিকুল ইসলাম (কনক), আবু সাঈদ (মুসা) প্রমুখ।
পরে দুইটার দিকে সংবাদ সম্মেলন করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘এই সমন্বয় সভা না হলে যেমন প্রেস কনফারেন্স হতো না, তেমনি সংস্কার না হলে নির্বাচন হতে পারে না। এই সরকারের যদি সংস্কারের ম্যান্ডেট না থাকে, এই সরকারের জুলাই সনদ ঘোষণার ম্যান্ডেট না থাকে, তাহলে এই সরকার কোন ম্যান্ডেটে নির্বাচন দেবে। নির্বাচন অবশ্যই ফেব্রুয়ারিতে হওয়া উচিত। নির্বাচনকে তারাই পিছিয়ে দিতে চায়, যারা এই সরকারের সঙ্গে জুলাই সনদকে মুখোমুখি দাঁড় করাতে চায়। এ সরকারের যেমন নির্বাচনের ম্যান্ডেট রয়েছে, এই সরকারের জুলাই সনদের ম্যান্ডেট রয়েছে, তেমনি সংস্কারেরও ম্যান্ডেট রয়েছে। সুতরাং সংস্কার যথাসময়ে হলে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে।’
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন, ‘আমরা উচ্চকক্ষে পিআর চাই, তবে জামায়াতের মতো পিআর চাই না। আমাদের অবস্থান দৃঢ় ও স্পষ্ট—বাংলাদেশের পুনর্গঠনে ঐক্যবদ্ধ রাজনীতির বিকল্প নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিএনপির তৃণমূল নেতা-কর্মীরা রক্ত দিয়েছেন, গুম-হত্যার শিকার হয়েছেন। তাঁদের রক্ত ও ত্যাগকে অসম্মান করা মানে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। আসুন, আমরা মতপার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ পুনর্গঠন করি।’
ভোলায় জেলার সাত উপজেলার সমন্বয়কদের নিয়ে আয়োজিত সভায় জেলার বিভিন্ন সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয় তুলে ধরে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা সাংগঠনিক সমস্যাগুলো শুনেছি, সমাধানের পথ নির্ধারণ করেছি। শিগগিরই আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে। পাশাপাশি ভোলার সমস্যা যেমন নদীভাঙন প্রতিরোধ, গ্যাস ব্যবহার করে শিল্প স্থাপন, ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ, চিকিৎসকসংকট ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এসব যৌক্তিক দাবিতে এনসিপি ভোলাবাসীর পাশে থাকবে।’
আগামী নির্বাচনে এনসিপি কারও সঙ্গে জোট গঠন করবে কি না, এমন প্রশ্নে দলটির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে জোট হবে কেবল সংস্কারের পক্ষে থাকা দলগুলোর সঙ্গে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যাঁরা লড়েছেন, তাঁরাই এনসিপির প্রকৃত সহযোদ্ধা।’
হাসনাত আবদুল্লাহ জানান, গণভোটের আদেশ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের মাধ্যমে তাঁর দল পেতে চায় না। তিনি বলেন, ‘গণভোটের আদেশ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। যারা ফ্যাসিবাদের প্রতীক চুপ্পুর (রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন) কাছ থেকে সনদ নিতে চায়, তারা দেশকে বিপথে নিতে চায়। আমাদের লক্ষ্য, গণ-আকাঙ্ক্ষার রাষ্ট্র গড়া, তৃণমূলের রক্ত ও ত্যাগের মর্যাদা রক্ষা করা।’
‘প্রধান উপদেষ্টাকেই আদেশ জারি করতে হবে’
ভোলার পর আজ বিকেলে বরিশাল শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এনসিপির বরিশাল জেলা ও মহানগর কমিটির সমন্বয় সভা করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। সভার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণভোটের পাশাপাশি জুলাই সনদসংক্রান্ত আদেশ প্রধান উপদেষ্টাকেই জারি করতে হবে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আদেশ দিলে জুলাই বিপ্লব প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, গণভোটের পাশাপাশি জুলাই সনদের আদেশ জারি করতে হবে। এই আদেশ অবশ্যই প্রধান উপদেষ্টাকে জারি করতে হবে। যদি চুপ্পুর (রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন) কাছ থেকে নিতে হয়, সেটি হবে বিপ্লবের কফিনে শেষ পেরেক। যিনি ‘হেড অফিস ফ্যাসিজম’, তাঁর কাছ থেকে যদি অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি নিতে হয়, এর চেয়ে লজ্জাজনক কিছু হতে পারে না।
এ বিষয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘কোনো অধ্যাদেশ নয়, অর্ডার জারি করতে হবে এবং তা অবশ্যই প্রধান উপদেষ্টাকেই দিতে হবে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে আমাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করছি। কোনো অধ্যাদেশ বা প্রজ্ঞাপন নয়, আদেশ (অর্ডার) জারি করতে হবে। এটি অবশ্যই প্রধান উপদেষ্টাকে জারি করতে হবে। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সরকারের যে ম্যান্ডেটে এই সরকার গঠিত হয়েছে, সেই একই ম্যান্ডেটেই প্রধান উপদেষ্টা অর্ডার দিতে পারেন।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রসঙ্গে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের সাংগঠনিক বিস্তার পরিকল্পনা সেই ভিত্তিতেই নীতি নির্ধারণ করব। আমরা এমন পলিসি তৈরি করছি, যাতে ৩০০ আসনেই আমাদের সাংগঠনিক উপস্থিতি সুসংহত থাকে এবং তা নিশ্চিত করা যায়।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হবে না, সংস্কার হলেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। আজ রোববার ভোলা জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে সকালে ভোলার সাত উপজেলার সমন্বয়ক, নেতা-কর্মীদের নিয়ে এনসিপির জেলা সমন্বয় সভা শুরু হয়। সভা চলে বেলা দুইটা পর্যন্ত। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
এনসিপির সমন্বয়কারী মেহেদী হাসানের (শরীফ) সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় আরও বক্তব্য দেন বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়ক মুজাহিদুল ইসলাম (শাহিন), যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মাহমুদা আলম (মিতু), আরিফুর রহমান (তুহিন), মেসবাহ কামাল, যুগ্ম সদস্যসচিব ও শিক্ষা গবেষণা সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ (শান্ত), কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন (ফয়সাল), কেন্দ্রীয় সদস্য রফিকুল ইসলাম (কনক), আবু সাঈদ (মুসা) প্রমুখ।
পরে দুইটার দিকে সংবাদ সম্মেলন করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘এই সমন্বয় সভা না হলে যেমন প্রেস কনফারেন্স হতো না, তেমনি সংস্কার না হলে নির্বাচন হতে পারে না। এই সরকারের যদি সংস্কারের ম্যান্ডেট না থাকে, এই সরকারের জুলাই সনদ ঘোষণার ম্যান্ডেট না থাকে, তাহলে এই সরকার কোন ম্যান্ডেটে নির্বাচন দেবে। নির্বাচন অবশ্যই ফেব্রুয়ারিতে হওয়া উচিত। নির্বাচনকে তারাই পিছিয়ে দিতে চায়, যারা এই সরকারের সঙ্গে জুলাই সনদকে মুখোমুখি দাঁড় করাতে চায়। এ সরকারের যেমন নির্বাচনের ম্যান্ডেট রয়েছে, এই সরকারের জুলাই সনদের ম্যান্ডেট রয়েছে, তেমনি সংস্কারেরও ম্যান্ডেট রয়েছে। সুতরাং সংস্কার যথাসময়ে হলে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে।’
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন, ‘আমরা উচ্চকক্ষে পিআর চাই, তবে জামায়াতের মতো পিআর চাই না। আমাদের অবস্থান দৃঢ় ও স্পষ্ট—বাংলাদেশের পুনর্গঠনে ঐক্যবদ্ধ রাজনীতির বিকল্প নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিএনপির তৃণমূল নেতা-কর্মীরা রক্ত দিয়েছেন, গুম-হত্যার শিকার হয়েছেন। তাঁদের রক্ত ও ত্যাগকে অসম্মান করা মানে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। আসুন, আমরা মতপার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ পুনর্গঠন করি।’
ভোলায় জেলার সাত উপজেলার সমন্বয়কদের নিয়ে আয়োজিত সভায় জেলার বিভিন্ন সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয় তুলে ধরে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা সাংগঠনিক সমস্যাগুলো শুনেছি, সমাধানের পথ নির্ধারণ করেছি। শিগগিরই আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে। পাশাপাশি ভোলার সমস্যা যেমন নদীভাঙন প্রতিরোধ, গ্যাস ব্যবহার করে শিল্প স্থাপন, ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ, চিকিৎসকসংকট ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এসব যৌক্তিক দাবিতে এনসিপি ভোলাবাসীর পাশে থাকবে।’
আগামী নির্বাচনে এনসিপি কারও সঙ্গে জোট গঠন করবে কি না, এমন প্রশ্নে দলটির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে জোট হবে কেবল সংস্কারের পক্ষে থাকা দলগুলোর সঙ্গে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যাঁরা লড়েছেন, তাঁরাই এনসিপির প্রকৃত সহযোদ্ধা।’
হাসনাত আবদুল্লাহ জানান, গণভোটের আদেশ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের মাধ্যমে তাঁর দল পেতে চায় না। তিনি বলেন, ‘গণভোটের আদেশ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। যারা ফ্যাসিবাদের প্রতীক চুপ্পুর (রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন) কাছ থেকে সনদ নিতে চায়, তারা দেশকে বিপথে নিতে চায়। আমাদের লক্ষ্য, গণ-আকাঙ্ক্ষার রাষ্ট্র গড়া, তৃণমূলের রক্ত ও ত্যাগের মর্যাদা রক্ষা করা।’
‘প্রধান উপদেষ্টাকেই আদেশ জারি করতে হবে’
ভোলার পর আজ বিকেলে বরিশাল শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এনসিপির বরিশাল জেলা ও মহানগর কমিটির সমন্বয় সভা করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। সভার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণভোটের পাশাপাশি জুলাই সনদসংক্রান্ত আদেশ প্রধান উপদেষ্টাকেই জারি করতে হবে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আদেশ দিলে জুলাই বিপ্লব প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, গণভোটের পাশাপাশি জুলাই সনদের আদেশ জারি করতে হবে। এই আদেশ অবশ্যই প্রধান উপদেষ্টাকে জারি করতে হবে। যদি চুপ্পুর (রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন) কাছ থেকে নিতে হয়, সেটি হবে বিপ্লবের কফিনে শেষ পেরেক। যিনি ‘হেড অফিস ফ্যাসিজম’, তাঁর কাছ থেকে যদি অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি নিতে হয়, এর চেয়ে লজ্জাজনক কিছু হতে পারে না।
এ বিষয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘কোনো অধ্যাদেশ নয়, অর্ডার জারি করতে হবে এবং তা অবশ্যই প্রধান উপদেষ্টাকেই দিতে হবে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে আমাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করছি। কোনো অধ্যাদেশ বা প্রজ্ঞাপন নয়, আদেশ (অর্ডার) জারি করতে হবে। এটি অবশ্যই প্রধান উপদেষ্টাকে জারি করতে হবে। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সরকারের যে ম্যান্ডেটে এই সরকার গঠিত হয়েছে, সেই একই ম্যান্ডেটেই প্রধান উপদেষ্টা অর্ডার দিতে পারেন।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রসঙ্গে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের সাংগঠনিক বিস্তার পরিকল্পনা সেই ভিত্তিতেই নীতি নির্ধারণ করব। আমরা এমন পলিসি তৈরি করছি, যাতে ৩০০ আসনেই আমাদের সাংগঠনিক উপস্থিতি সুসংহত থাকে এবং তা নিশ্চিত করা যায়।’

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:১৫
দীর্ঘ ১৮ বছর প্রবাস জীবন শেষে দেশের মাটিতে পা রাখতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার আগমনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নতুন অধ্যায় তৈরী হবে বলে মনে করছেন বিএনপি নেতারা। একই সাথে আগামীতে বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার যে সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে এর প্রথম ধাপের সূচনা হবে ২৫শে ডিসেম্বর। এদিন তাকে বরণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। সারাদেশ থেকে এদিন লাখ লাখ মানুষ অবস্থান করবেন ঢাকা শহরে। শুধু নেতাকর্মীরাই নয় সমর্থকরাও যাবেন একনজর তারেক রহমানকে দেখতে। বরিশাল বিভাগের ৬ জেলা থেকে লাখো মানুষ ঢাকায় যাবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা আছেন তাদের পাশাপাশি যারা দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের নেতৃত্বেও লোকসমাগম করা হবে বলে জানাগেছে। একাধিক বিএনপি নেতা জানান, তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে লঞ্চ-বাস সহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহন অগ্রীম ভাড়া করা হয়েছে। এখন রীতিমত যানবাহনের সংকট দেখা দিয়েছে। যে সংখ্যক লোক টার্গেট তার অর্ধেকও হয়তো যেতে পারবেন না যানবাহন সংকটের কারণে। এজন্য অনেকই আগেভাগে ঢাকা অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বেশিরভাগ নেতাকর্মী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকায় অবস্থান করার টার্গেট নিয়েছেন। অনেকে আবার ২২ ডিসেম্বরই বরিশাল ছেড়ে রাজধানীতে অবস্থান করার কথা বলেছেন।
বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবীর বলেন, তারেক রহমান দেশে আসার সাথে সাথে নতুন অধ্যায় তৈরী হবে। পাশাপাশি দলের মধ্যে ফিরে আসবে শৃঙ্খলা। জাহিদ বলেন আমার নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেতাকর্মী ঢাকা যাবে। ইতিমধ্যে সেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
জেলা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহীন বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে ২৫ ডিসেম্বর। এতবছর দেশের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে, বিএনপির বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্র হয়েছে আমি মনে করি এর সবকিছুর অবসান হবে তারেক রহমানের দেশের মাটিতে পা রাখার মধ্য দিয়ে। তাকে বরণ করতে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আমরা শুধু জেলা দক্ষিণ বিএনপির পক্ষ থেকেই প্রায় ২০ হাজার লোকের সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক বলেন, তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে আমরা মহানগরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। এখানে শুধু দলীয় নেতাকর্মীরাই নয়, সমর্থকরাও ঢাকায় যেতে চাইছেন। তবে তার আগমনকে কেন্দ্র করে যানবাহনের সংকট দেখা দিয়েছে। এজন্য মহানগর বিএনপির অনেক নেতাকর্মী ২/১দিন আগেই ঢাকায় অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির বিজয়ের প্রথম ধাপ রচিত হবে আগামী ২৫ ডিসেম্বর। এদিন কোটি জনতা তারেক রহমানকে বরণ করবেন। বরিশাল থেকে হাজার হাজার মানুষ নিজ উদ্যোগেই দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেখতে যাবেন। পাশাপাশি আমরাও অর্গানাইজ করছি। রহমাতুল্লাহ বলেন, তারেক রহমান যাতে দেশে আসতে না পারে সেজন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। ওসমান হাদি কে হত্যা তারই অংশ বলে আমি মনে করি।
বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, দীর্ঘবছর পর তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। তার এই আগমনের দিন নতুন এক ইতিহাস রচিত হবে। এ দিন লাখ লাখ লোকের সমাগম হবে ঢাকা শহরে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আগমনে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সমর্থকরাও বেশ উজ্জীবিত।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল সদর আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, তারেক রহমান যখন বাংলাদেশে আসতেছেন তখন পরিবেশটা বিএনপির পক্ষে। তিনি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড। আপনারা জানেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলায় কারাগারে ছিলেন, তারেক রহমান প্রায় ১৮ বছর লন্ডনে। কিন্তু তিনি (তারেক রহমান) বিদেশে বসে থাকেননি। লন্ডনে বসেই সকল আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিশে^র অনেক বড় বড় নেতা দেশের বাইরে থেকে সংগ্রাম করেছেন। তারেক রহমানও তাদের একজন। তিনি যেদিন আসবেন পুরো ঢাকার শহর ব্লক হয়ে যাবে। তার প্রতি ভালবাসা শুধু দলীয় নেতাকর্মীদের নয়, সারাদেশের মানুষের; সেটার বহি:প্রকাশ ঘটবে ২৫শে ডিসেম্বর।
দীর্ঘ ১৮ বছর প্রবাস জীবন শেষে দেশের মাটিতে পা রাখতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার আগমনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নতুন অধ্যায় তৈরী হবে বলে মনে করছেন বিএনপি নেতারা। একই সাথে আগামীতে বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার যে সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে এর প্রথম ধাপের সূচনা হবে ২৫শে ডিসেম্বর। এদিন তাকে বরণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। সারাদেশ থেকে এদিন লাখ লাখ মানুষ অবস্থান করবেন ঢাকা শহরে। শুধু নেতাকর্মীরাই নয় সমর্থকরাও যাবেন একনজর তারেক রহমানকে দেখতে। বরিশাল বিভাগের ৬ জেলা থেকে লাখো মানুষ ঢাকায় যাবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা আছেন তাদের পাশাপাশি যারা দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের নেতৃত্বেও লোকসমাগম করা হবে বলে জানাগেছে। একাধিক বিএনপি নেতা জানান, তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে লঞ্চ-বাস সহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহন অগ্রীম ভাড়া করা হয়েছে। এখন রীতিমত যানবাহনের সংকট দেখা দিয়েছে। যে সংখ্যক লোক টার্গেট তার অর্ধেকও হয়তো যেতে পারবেন না যানবাহন সংকটের কারণে। এজন্য অনেকই আগেভাগে ঢাকা অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বেশিরভাগ নেতাকর্মী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকায় অবস্থান করার টার্গেট নিয়েছেন। অনেকে আবার ২২ ডিসেম্বরই বরিশাল ছেড়ে রাজধানীতে অবস্থান করার কথা বলেছেন।
বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবীর বলেন, তারেক রহমান দেশে আসার সাথে সাথে নতুন অধ্যায় তৈরী হবে। পাশাপাশি দলের মধ্যে ফিরে আসবে শৃঙ্খলা। জাহিদ বলেন আমার নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেতাকর্মী ঢাকা যাবে। ইতিমধ্যে সেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
জেলা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহীন বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে ২৫ ডিসেম্বর। এতবছর দেশের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে, বিএনপির বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্র হয়েছে আমি মনে করি এর সবকিছুর অবসান হবে তারেক রহমানের দেশের মাটিতে পা রাখার মধ্য দিয়ে। তাকে বরণ করতে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আমরা শুধু জেলা দক্ষিণ বিএনপির পক্ষ থেকেই প্রায় ২০ হাজার লোকের সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক বলেন, তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে আমরা মহানগরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। এখানে শুধু দলীয় নেতাকর্মীরাই নয়, সমর্থকরাও ঢাকায় যেতে চাইছেন। তবে তার আগমনকে কেন্দ্র করে যানবাহনের সংকট দেখা দিয়েছে। এজন্য মহানগর বিএনপির অনেক নেতাকর্মী ২/১দিন আগেই ঢাকায় অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির বিজয়ের প্রথম ধাপ রচিত হবে আগামী ২৫ ডিসেম্বর। এদিন কোটি জনতা তারেক রহমানকে বরণ করবেন। বরিশাল থেকে হাজার হাজার মানুষ নিজ উদ্যোগেই দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেখতে যাবেন। পাশাপাশি আমরাও অর্গানাইজ করছি। রহমাতুল্লাহ বলেন, তারেক রহমান যাতে দেশে আসতে না পারে সেজন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। ওসমান হাদি কে হত্যা তারই অংশ বলে আমি মনে করি।
বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, দীর্ঘবছর পর তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। তার এই আগমনের দিন নতুন এক ইতিহাস রচিত হবে। এ দিন লাখ লাখ লোকের সমাগম হবে ঢাকা শহরে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আগমনে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সমর্থকরাও বেশ উজ্জীবিত।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল সদর আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, তারেক রহমান যখন বাংলাদেশে আসতেছেন তখন পরিবেশটা বিএনপির পক্ষে। তিনি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড। আপনারা জানেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলায় কারাগারে ছিলেন, তারেক রহমান প্রায় ১৮ বছর লন্ডনে। কিন্তু তিনি (তারেক রহমান) বিদেশে বসে থাকেননি। লন্ডনে বসেই সকল আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিশে^র অনেক বড় বড় নেতা দেশের বাইরে থেকে সংগ্রাম করেছেন। তারেক রহমানও তাদের একজন। তিনি যেদিন আসবেন পুরো ঢাকার শহর ব্লক হয়ে যাবে। তার প্রতি ভালবাসা শুধু দলীয় নেতাকর্মীদের নয়, সারাদেশের মানুষের; সেটার বহি:প্রকাশ ঘটবে ২৫শে ডিসেম্বর।

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:০৪
টাকা উত্তোলন ব্যায় বাড়লেও বরিশালে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথে গ্রাহক হয়রানি কমছেনা। সাপ্তাহিক ছুটি সহ যেকোন বন্ধের দিনগুলোতে বুথ থেকে টাকা তুলতে নাকাল হচ্ছেন গ্রাহকরা। তারল্য সংকট আড়াল করতে গত বছর আগষ্ট থেকে বিভিন্ন ব্যাংক নানা অজুহাতে এটিএম বুথ থেকে গ্রাহকদের টাকা প্রদান সীমিতকরণের পাশাপাশি নানাভাবে নিরুৎসাহিত করছে। যা গ্রাহক হয়রানিকে ক্রমশ বৃদ্ধি করে চললেও বিষয়গুলো নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনেকটাই নির্বিকার। এমনকি বরিশাল অঞ্চলের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ঠিক কতগুলো এটিএম বুথ রয়েছে তাও জানে না কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বরিশাল অফিস।
বিদ্যমান বুথগুলোতে গ্রাহক হয়রানির বিষয়গুলোও কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির কাছে অনেকটাই অবান্তর বলেই মনে হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে যতবারই বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল অফিসের দায়িত্বশীল মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়েছে,ততবারই নানাভাবে এড়িয়ে গেছেন দয়িত্বশীল কর্মকর্তারা। বিষয়টি নিয়ে মতামত জানতে গত কয়েকদিন ধরেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির বরিশাল অফিসের নির্বাহী পরিচালকের দাপ্তরিক সেলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোন সাড়া মেলেনি।
তবে একাধিক সূত্রের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল অফিসের আওতাভুক্ত এলাকায় সরকারি-বেসরকারী ৩৬টি ব্যাংকের সহ¯্রাধিক ফাষ্ট ট্র্যাক সহ এটিএম বুথে প্রতিদিন লক্ষাধিক গ্রাহক নগদ টাকা উত্তোলন ও জমা করে থাকেন। কিন্তু গত বছর আগষ্টের পটপরিবর্তনের পরে প্রায় সব ব্যাংকই তাদের এটিএম বুথ থেকে অন্য ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা প্রদান সীমিত করেছে। ইতোপূর্বে বুথগুলো থেকে গ্রাহকদের একবারে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রদান করা হলেও এখন দশ হাজার টাকার বেশী দেয়া হচ্ছেনা । এমনকি নিজ ব্যাংকের বাইরে অন্য ব্যাংকের বুথ থেকে গ্রাহকদের আগে প্রতিবারের লেনদেনে ২০ হাজার টাকা উত্তোলনে ১৫ টাকা চার্জ ধার্য্য থাকলেও এখন ১০ হাজার টাকা উত্তোলনেই ২০ টাকা চার্জ প্রদান করতে হচ্ছে। কিন্ত সে চার্জ প্রদান করেও এখন বেশীরভাগ ব্যাংকের বুথ থেকে অন্য ব্যাংকের গ্রাহকরা টাকা তুলতে পারছেন না।
শুধুমাত্র ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বুথ এবং ফাষ্ট ট্র্যাকের এটিএম ও সিআরএম মেশিন থেকে প্রায় সব ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা প্রদান করা হলেও সেসব স্থাপনায়ও রাত ৯টার পরে ১টি মেশিন চালু রেখে অন্যগুলোতে গ্রাহকদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এমনকি ঈদ সহ যে কোন লম্বা ছুটির সময়ও ব্যাংকটির সব ফাষ্ট ট্র্যাকেই মাত্র ১টি করে সিআরএম মেশিন চালু রেখে অন্যসবগুলো আটকে দেয়া হয়। ডাচ-বাংলার বুথ ও ফাষ্ট ট্র্যাকগুলোতে প্রায় সব ব্যাংকের কার্ডের বিপরিতে টাকা প্রদান করা হলেও সেখানেও ইতোপূর্বের ২০ হাজার টাকার পরিবর্তে ১০ হাজার টাকায় সীমিত করা হয়েছে।
ডাচ-বাংলার পরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশে’এর এটিএম বুথের সংখ্যা বেশী থাকলেও গত বছর আগষ্ট থেকে সেখানেও অন্য সব ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের বিপরিতে টাকা প্রদান বন্ধ রাখা হচ্ছে প্রায়শই। তবে রাষ্ট্রীয় রূপালী ব্যাংকের হাতেগোনা কয়কটি বুথে বেশীরভাগ ব্যাংকের কার্ডের বিপরিতে টাকা পরিশোধ করা হলেও অনেক নামিদামী ব্যাংগুলোও এক্ষেত্রে রক্ষনশীল ভূমিকা পালন করায় সাধারন মানুষের দুর্ভোগ সব বর্ণনার বাইরে। এমনকি সীমিত কয়েকটি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে অন্যসব ব্যাংকের এটিএম কার্ডের বিপরিতে টাকা প্রদান করা হলেও কোন বুথ থেকেই এককালীন ১০ হাজারের বেশী টাকা প্রদান করা হচ্ছে না।
অপরদিকে অতি সম্প্রতি যে ৫টি রুগ্ন ব্যাংক নিয়ে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক চালু করা হচ্ছে,সেসব ব্যাংকগুলোর সব বুথই ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঐসব ব্যাংক গ্রাহকদের দুর্ভোগ এখন সব বর্ণনার বাইরে। ফলে অন্য ব্যাংকের বুথে চাপ বাড়ছে। ডাচ-বাংলা সহ কয়েকটি ব্যাংকের বুথে দিন-রাতই গ্রাহকের অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়না। এসব বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল অফিসের নির্বাহী পরিচালকের সাথে আলাপ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
টাকা উত্তোলন ব্যায় বাড়লেও বরিশালে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথে গ্রাহক হয়রানি কমছেনা। সাপ্তাহিক ছুটি সহ যেকোন বন্ধের দিনগুলোতে বুথ থেকে টাকা তুলতে নাকাল হচ্ছেন গ্রাহকরা। তারল্য সংকট আড়াল করতে গত বছর আগষ্ট থেকে বিভিন্ন ব্যাংক নানা অজুহাতে এটিএম বুথ থেকে গ্রাহকদের টাকা প্রদান সীমিতকরণের পাশাপাশি নানাভাবে নিরুৎসাহিত করছে। যা গ্রাহক হয়রানিকে ক্রমশ বৃদ্ধি করে চললেও বিষয়গুলো নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনেকটাই নির্বিকার। এমনকি বরিশাল অঞ্চলের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ঠিক কতগুলো এটিএম বুথ রয়েছে তাও জানে না কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বরিশাল অফিস।
বিদ্যমান বুথগুলোতে গ্রাহক হয়রানির বিষয়গুলোও কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির কাছে অনেকটাই অবান্তর বলেই মনে হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে যতবারই বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল অফিসের দায়িত্বশীল মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়েছে,ততবারই নানাভাবে এড়িয়ে গেছেন দয়িত্বশীল কর্মকর্তারা। বিষয়টি নিয়ে মতামত জানতে গত কয়েকদিন ধরেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির বরিশাল অফিসের নির্বাহী পরিচালকের দাপ্তরিক সেলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোন সাড়া মেলেনি।
তবে একাধিক সূত্রের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল অফিসের আওতাভুক্ত এলাকায় সরকারি-বেসরকারী ৩৬টি ব্যাংকের সহ¯্রাধিক ফাষ্ট ট্র্যাক সহ এটিএম বুথে প্রতিদিন লক্ষাধিক গ্রাহক নগদ টাকা উত্তোলন ও জমা করে থাকেন। কিন্তু গত বছর আগষ্টের পটপরিবর্তনের পরে প্রায় সব ব্যাংকই তাদের এটিএম বুথ থেকে অন্য ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা প্রদান সীমিত করেছে। ইতোপূর্বে বুথগুলো থেকে গ্রাহকদের একবারে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রদান করা হলেও এখন দশ হাজার টাকার বেশী দেয়া হচ্ছেনা । এমনকি নিজ ব্যাংকের বাইরে অন্য ব্যাংকের বুথ থেকে গ্রাহকদের আগে প্রতিবারের লেনদেনে ২০ হাজার টাকা উত্তোলনে ১৫ টাকা চার্জ ধার্য্য থাকলেও এখন ১০ হাজার টাকা উত্তোলনেই ২০ টাকা চার্জ প্রদান করতে হচ্ছে। কিন্ত সে চার্জ প্রদান করেও এখন বেশীরভাগ ব্যাংকের বুথ থেকে অন্য ব্যাংকের গ্রাহকরা টাকা তুলতে পারছেন না।
শুধুমাত্র ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বুথ এবং ফাষ্ট ট্র্যাকের এটিএম ও সিআরএম মেশিন থেকে প্রায় সব ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা প্রদান করা হলেও সেসব স্থাপনায়ও রাত ৯টার পরে ১টি মেশিন চালু রেখে অন্যগুলোতে গ্রাহকদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এমনকি ঈদ সহ যে কোন লম্বা ছুটির সময়ও ব্যাংকটির সব ফাষ্ট ট্র্যাকেই মাত্র ১টি করে সিআরএম মেশিন চালু রেখে অন্যসবগুলো আটকে দেয়া হয়। ডাচ-বাংলার বুথ ও ফাষ্ট ট্র্যাকগুলোতে প্রায় সব ব্যাংকের কার্ডের বিপরিতে টাকা প্রদান করা হলেও সেখানেও ইতোপূর্বের ২০ হাজার টাকার পরিবর্তে ১০ হাজার টাকায় সীমিত করা হয়েছে।
ডাচ-বাংলার পরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশে’এর এটিএম বুথের সংখ্যা বেশী থাকলেও গত বছর আগষ্ট থেকে সেখানেও অন্য সব ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের বিপরিতে টাকা প্রদান বন্ধ রাখা হচ্ছে প্রায়শই। তবে রাষ্ট্রীয় রূপালী ব্যাংকের হাতেগোনা কয়কটি বুথে বেশীরভাগ ব্যাংকের কার্ডের বিপরিতে টাকা পরিশোধ করা হলেও অনেক নামিদামী ব্যাংগুলোও এক্ষেত্রে রক্ষনশীল ভূমিকা পালন করায় সাধারন মানুষের দুর্ভোগ সব বর্ণনার বাইরে। এমনকি সীমিত কয়েকটি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে অন্যসব ব্যাংকের এটিএম কার্ডের বিপরিতে টাকা প্রদান করা হলেও কোন বুথ থেকেই এককালীন ১০ হাজারের বেশী টাকা প্রদান করা হচ্ছে না।
অপরদিকে অতি সম্প্রতি যে ৫টি রুগ্ন ব্যাংক নিয়ে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক চালু করা হচ্ছে,সেসব ব্যাংকগুলোর সব বুথই ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঐসব ব্যাংক গ্রাহকদের দুর্ভোগ এখন সব বর্ণনার বাইরে। ফলে অন্য ব্যাংকের বুথে চাপ বাড়ছে। ডাচ-বাংলা সহ কয়েকটি ব্যাংকের বুথে দিন-রাতই গ্রাহকের অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়না। এসব বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল অফিসের নির্বাহী পরিচালকের সাথে আলাপ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০২:০৩
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) এম মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের বাকপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, আটক ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি। ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
বানারীপাড়া থানা পুলিশের ওসি মজিবর রহমান আওয়ামীলীগ নেতা এম মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটকের বিষয়টি বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ডেভিল হ্যান্ট ফেজ-২ অপারেশনের অংশ হিসেবে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটক করা হয়। তিনি বর্তমানে ডিবি হেফাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোন থানায় কি মামলা রয়েছে সে বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে।’
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) এম মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের বাকপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, আটক ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি। ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
বানারীপাড়া থানা পুলিশের ওসি মজিবর রহমান আওয়ামীলীগ নেতা এম মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটকের বিষয়টি বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ডেভিল হ্যান্ট ফেজ-২ অপারেশনের অংশ হিসেবে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটক করা হয়। তিনি বর্তমানে ডিবি হেফাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোন থানায় কি মামলা রয়েছে সে বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে।’

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.