
১৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:২০
বরগুনার আমতলী উপজেলার উত্তর সোনাখালী এলাকার তাফালবাড়িয়া নদী সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ তৈরির কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তদন্ত করে বাঁধ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসি অভিযোগ করেন, প্রাক্কলন অনুযায়ী বালু ও সিমেন্টের সঠিক অনুপাত বজায় না রেখে নিম্নমানের জিও ব্যাগ তৈরি করা হচ্ছে।
জানা গেছে, গত ৩০বছর ধরে তাফালবাড়িয়া নদীর ভয়াবহ ভাঙনে বিপর্যস্ত উত্তর সোনাখালী এলাকার মানুষের জীবনযাপন। প্রতি বছর বন্যা ও জোয়ারের পানিতে বাঁধ ভেঙে প্রায় ১০হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন। ২০২২ সালে পাউবো জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনলেও ঠিকাদারি কাজের অনিয়মের কারণে দুই বছরের মধ্যেই ব্যাগ সরে গিয়ে আবারও ভাঙন দেখা দেয়।
চলতি বছরের জুনে জরুরি ভিত্তিতে ১২০ মিটার এলাকায় পুনরায় জিও ব্যাগ স্থাপনের কাজ দেওয়া হয় ঠিকাদার পটুয়াখালী জেলা কৃষকদল আহবায়ক ও মরিচবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান টিটুকে। কিন্তু শুরু থেকেই নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠতে থাকে।
স্থানীয়রা জানান, প্রাক্কলনে ১ হাজার ৮৯৫টি জিও ব্যাগ তৈরির কথা থাকলেও ঠিকাদার ইতোমধ্যে তৈরি করেন ৪৯৫টি ব্যাগ। এর মধ্যে ১৩৮টি ব্যাগে কোনো সিমেন্টই দেওয়া হয়নি, আর বাকি ব্যাগগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। যেখানে ছয় ফারা বালুর সঙ্গে এক বস্তা সিমেন্ট মেশানোর কথা, সেখানে এক বস্তা সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ১৫টি ব্যাগ। চুক্তি অনুযায়ী পাইলিংয়ের কথা থাকলেও নিম্নমানের ড্রাম সিট ও গাছের গুঁড়ি ব্যবহার করে দায়সারা কাজ করা হচ্ছে। এমনকি ঠিকাদার ভাঙনস্থল নদী থেকেই বালু উত্তোলন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় ইউনুস হাওলাদার বলেন, ৪৯৫টি ব্যাগের মধ্যে ১৩৮টিতে কোনো সিমেন্ট নেই। বাকিগুলোতেও সঠিক নিয়মে সিমেন্ট দেওয়া হয়নি। কাজের মান খুবই খারাপ।
আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবু জাফর জানান, আমরা অভিযোগ করার পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা এসে অনিয়ম দেখতে পেয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার মনিরুজ্জামান টিটু জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আমি সঠিকভাবে তদারকি করতে না পারায় এমন অনিয়ম হতে পারে।
পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগের পরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় জিও ব্যাগ তৈরির কাজ বন্ধ করা হয়েছে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হান্নান প্রধান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি যে সব অনিয়ম পাওয়া গেছে সেগুলো সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বরগুনার আমতলী উপজেলার উত্তর সোনাখালী এলাকার তাফালবাড়িয়া নদী সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ তৈরির কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তদন্ত করে বাঁধ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসি অভিযোগ করেন, প্রাক্কলন অনুযায়ী বালু ও সিমেন্টের সঠিক অনুপাত বজায় না রেখে নিম্নমানের জিও ব্যাগ তৈরি করা হচ্ছে।
জানা গেছে, গত ৩০বছর ধরে তাফালবাড়িয়া নদীর ভয়াবহ ভাঙনে বিপর্যস্ত উত্তর সোনাখালী এলাকার মানুষের জীবনযাপন। প্রতি বছর বন্যা ও জোয়ারের পানিতে বাঁধ ভেঙে প্রায় ১০হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন। ২০২২ সালে পাউবো জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনলেও ঠিকাদারি কাজের অনিয়মের কারণে দুই বছরের মধ্যেই ব্যাগ সরে গিয়ে আবারও ভাঙন দেখা দেয়।
চলতি বছরের জুনে জরুরি ভিত্তিতে ১২০ মিটার এলাকায় পুনরায় জিও ব্যাগ স্থাপনের কাজ দেওয়া হয় ঠিকাদার পটুয়াখালী জেলা কৃষকদল আহবায়ক ও মরিচবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান টিটুকে। কিন্তু শুরু থেকেই নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠতে থাকে।
স্থানীয়রা জানান, প্রাক্কলনে ১ হাজার ৮৯৫টি জিও ব্যাগ তৈরির কথা থাকলেও ঠিকাদার ইতোমধ্যে তৈরি করেন ৪৯৫টি ব্যাগ। এর মধ্যে ১৩৮টি ব্যাগে কোনো সিমেন্টই দেওয়া হয়নি, আর বাকি ব্যাগগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। যেখানে ছয় ফারা বালুর সঙ্গে এক বস্তা সিমেন্ট মেশানোর কথা, সেখানে এক বস্তা সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ১৫টি ব্যাগ। চুক্তি অনুযায়ী পাইলিংয়ের কথা থাকলেও নিম্নমানের ড্রাম সিট ও গাছের গুঁড়ি ব্যবহার করে দায়সারা কাজ করা হচ্ছে। এমনকি ঠিকাদার ভাঙনস্থল নদী থেকেই বালু উত্তোলন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় ইউনুস হাওলাদার বলেন, ৪৯৫টি ব্যাগের মধ্যে ১৩৮টিতে কোনো সিমেন্ট নেই। বাকিগুলোতেও সঠিক নিয়মে সিমেন্ট দেওয়া হয়নি। কাজের মান খুবই খারাপ।
আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবু জাফর জানান, আমরা অভিযোগ করার পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা এসে অনিয়ম দেখতে পেয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার মনিরুজ্জামান টিটু জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আমি সঠিকভাবে তদারকি করতে না পারায় এমন অনিয়ম হতে পারে।
পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগের পরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় জিও ব্যাগ তৈরির কাজ বন্ধ করা হয়েছে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হান্নান প্রধান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি যে সব অনিয়ম পাওয়া গেছে সেগুলো সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:২৪
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:০৯
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৮

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:০৯
বরগুনার তালতলীতে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক বিট কর্মকর্তার যোগসাজশে গাছ কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অভিযুক্ত বিট কর্মকর্তার নাম হায়দার আলী। তিনি উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া বিটের দায়িত্বে রয়েছেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন। এমনকি তাদের অর্থের প্রলোভনও দেখান তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর যোগসাজশে প্রায়শই বনের গাছ কাটা হয়। তিনি যোগদানের পর থেকেই বনাঞ্চলে গাছ কাটার প্রবণতা বেড়েছে। গাছচোর সিন্ডিকেটের সঙ্গে তার প্রত্যক্ষ যোগসাজশ রয়েছে। সম্প্রতি নিশানবাড়িয়া বিটের বনাঞ্চল থেকে বড় আকারের পাঁচটি কেওড়াগাছ কাটা হয়েছে।
কাটা গাছের শিকড় ও পাশের গাছ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিটির দাম ২০ হাজার টাকা করে হবে। সে হিসাবে এক লাখ টাকার গাছ কাটা হয়েছে। বিট কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই সুযোগবুঝে গাছগুলো কাটা হয়েছে। এভাবে লোকচক্ষুর আড়ালে বনের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায়ই গাছ কাটা হয়। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না।
হায়দার আলীর বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি প্রতি বছর বনের চরের জমি স্থানীয় জেলেদের কাছে ইজারা দিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এমনকি আটক করা জেলের ট্রলার বিক্রি করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কার্যালয়ে যেতে বলেন। পরে কার্যালয়ে কথোপকথনের এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে গণমাধ্যমকর্মীদের অনুরোধ করেন। তিনি অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের ম্যানেজ করারও চেষ্টা করেন।
উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। গাছ কাটার প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তালতলীর ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) সেবক মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ পেয়েছি। রেঞ্জ কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।’
বরগুনার তালতলীতে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক বিট কর্মকর্তার যোগসাজশে গাছ কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অভিযুক্ত বিট কর্মকর্তার নাম হায়দার আলী। তিনি উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া বিটের দায়িত্বে রয়েছেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন। এমনকি তাদের অর্থের প্রলোভনও দেখান তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর যোগসাজশে প্রায়শই বনের গাছ কাটা হয়। তিনি যোগদানের পর থেকেই বনাঞ্চলে গাছ কাটার প্রবণতা বেড়েছে। গাছচোর সিন্ডিকেটের সঙ্গে তার প্রত্যক্ষ যোগসাজশ রয়েছে। সম্প্রতি নিশানবাড়িয়া বিটের বনাঞ্চল থেকে বড় আকারের পাঁচটি কেওড়াগাছ কাটা হয়েছে।
কাটা গাছের শিকড় ও পাশের গাছ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিটির দাম ২০ হাজার টাকা করে হবে। সে হিসাবে এক লাখ টাকার গাছ কাটা হয়েছে। বিট কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই সুযোগবুঝে গাছগুলো কাটা হয়েছে। এভাবে লোকচক্ষুর আড়ালে বনের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায়ই গাছ কাটা হয়। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না।
হায়দার আলীর বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি প্রতি বছর বনের চরের জমি স্থানীয় জেলেদের কাছে ইজারা দিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এমনকি আটক করা জেলের ট্রলার বিক্রি করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কার্যালয়ে যেতে বলেন। পরে কার্যালয়ে কথোপকথনের এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে গণমাধ্যমকর্মীদের অনুরোধ করেন। তিনি অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের ম্যানেজ করারও চেষ্টা করেন।
উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। গাছ কাটার প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তালতলীর ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) সেবক মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ পেয়েছি। রেঞ্জ কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।’

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২১:১১
বরগুনার তালতলীতে নছিমন উল্টে মাসুম (৩৫) নামের এক টিউবওয়েল শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় ড্রাইভারসহ গুরুতর আহত হয়েছেন আরো তিনজন।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে জেলার আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়কের সানুর বাজারের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মাসুম আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চন্দ্রা গ্রামের আবুল চৌকিদারের ছেলে। আহতরা হলেন একই গ্রামের আবির হোসেন ও পাথরঘাটা উপজেলার চর মাসুয়াখালি গ্রামের হৃদয়। অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, তালতলী থেকে টিউবওয়েলের মালামাল বহন করে নছিমনযোগে আটজন শ্রমিক কলাপাড়া যাচ্ছিলেন।
পথে হরিণবাড়িয়া ব্রিজ পার হয়ে সানুর বাজারের আগে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। ওই সময় গাড়ির নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মাসুমের।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, ‘খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত নিহতের পরিবারের কেউ হাসপাতালে আসেননি।
বরগুনার তালতলীতে নছিমন উল্টে মাসুম (৩৫) নামের এক টিউবওয়েল শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় ড্রাইভারসহ গুরুতর আহত হয়েছেন আরো তিনজন।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে জেলার আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়কের সানুর বাজারের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মাসুম আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চন্দ্রা গ্রামের আবুল চৌকিদারের ছেলে। আহতরা হলেন একই গ্রামের আবির হোসেন ও পাথরঘাটা উপজেলার চর মাসুয়াখালি গ্রামের হৃদয়। অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, তালতলী থেকে টিউবওয়েলের মালামাল বহন করে নছিমনযোগে আটজন শ্রমিক কলাপাড়া যাচ্ছিলেন।
পথে হরিণবাড়িয়া ব্রিজ পার হয়ে সানুর বাজারের আগে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। ওই সময় গাড়ির নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মাসুমের।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, ‘খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত নিহতের পরিবারের কেউ হাসপাতালে আসেননি।

২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২১:৩২
প্রতিবন্ধী, বিধবা, বয়স্ক ভাতাসহ সরকারি ভাতাভোগীদের জন্য চিকিৎসা সেবা পেতে 'বিশ্বস্ত সেবা' কার্ডের নামে বিশেষ সুবিধার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক এন্ড মেডিকেল সেন্টার এ কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে।
জানা যায়, সবশেষ পাথরঘাটা উপজেলায় ২২ হাজার ৭৩০ জন ভাতাভোগি রয়েছে। এসব ভাতাভোগিদের সকল চিকিৎসা, চিকিৎসক ফি ৪০ ভাগ ছাড় এবং সকল ধরনের রক্ত পরীক্ষা ফ্রি সেবা দেয়া হবে।
বুধবার পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের হলরুমে এ কার্যক্রম নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিজানুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নিল রতন সরকার, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহসিন হোসেন, উপজেলা পানি কমিটির সভাপতি এরফান আহমেদ সোয়েন সহ অর্ধশত ভাতাভোগী।
এশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক এন্ড মেডিকেল সেন্টার পরিচালক সাইমুম দিপু বলেন, এমনিতেই পাথরঘাটা উপজেলাটি নদীবেষ্টিত। সে কারণে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সংখ্যাও বেশি। তারা সব সময়ই অবহেলিত। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী, বিধবাসহ সরকারি ভাতাভোগি অন্যতম। এসকল মানুষ চিকিৎসা সেবা পেতে নানামুখী বাধার সম্মুখীন হয় পাশাপাশি আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে চিকিৎসা সেবাও পায়না। তাদের কথা বিবেচনা করে আমি এ উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, নিবন্ধিত ভাতাভোগী আমাদের তালিকাভুক্ত হলে তাদের কার্ড দিবো। যার নাম 'বিশ্বস্ত সেবা' কার্ড। এ কার্ডধারীদের সকল ধরনের রক্ত পরীক্ষা ৪০ ভাগ ছাড়, রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ফ্রি।
ডা. নিল রতন সরকার বলেন, এ উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। ধারাবাহিকতা থাকলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী যথাযথ চিকিৎসা সেবা পাবে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনকালে তাদের পরিবেশ সন্তোষজনক।
এ সময় বক্তারা বলেন, এ উদ্যোগ পাথরঘাটার সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য একটি সময়োপযোগী ও মানবিক পদক্ষেপ। আধুনিক ও মানসম্মত চিকিৎসা সুবিধা সুলভ মূল্যে পাওয়ার ফলে মানুষের ভোগান্তি কমবে এবং স্বাস্থ্যসেবার মান আরও উন্নত হবে।
প্রতিবন্ধী, বিধবা, বয়স্ক ভাতাসহ সরকারি ভাতাভোগীদের জন্য চিকিৎসা সেবা পেতে 'বিশ্বস্ত সেবা' কার্ডের নামে বিশেষ সুবিধার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক এন্ড মেডিকেল সেন্টার এ কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে।
জানা যায়, সবশেষ পাথরঘাটা উপজেলায় ২২ হাজার ৭৩০ জন ভাতাভোগি রয়েছে। এসব ভাতাভোগিদের সকল চিকিৎসা, চিকিৎসক ফি ৪০ ভাগ ছাড় এবং সকল ধরনের রক্ত পরীক্ষা ফ্রি সেবা দেয়া হবে।
বুধবার পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের হলরুমে এ কার্যক্রম নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিজানুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নিল রতন সরকার, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহসিন হোসেন, উপজেলা পানি কমিটির সভাপতি এরফান আহমেদ সোয়েন সহ অর্ধশত ভাতাভোগী।
এশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক এন্ড মেডিকেল সেন্টার পরিচালক সাইমুম দিপু বলেন, এমনিতেই পাথরঘাটা উপজেলাটি নদীবেষ্টিত। সে কারণে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সংখ্যাও বেশি। তারা সব সময়ই অবহেলিত। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী, বিধবাসহ সরকারি ভাতাভোগি অন্যতম। এসকল মানুষ চিকিৎসা সেবা পেতে নানামুখী বাধার সম্মুখীন হয় পাশাপাশি আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে চিকিৎসা সেবাও পায়না। তাদের কথা বিবেচনা করে আমি এ উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, নিবন্ধিত ভাতাভোগী আমাদের তালিকাভুক্ত হলে তাদের কার্ড দিবো। যার নাম 'বিশ্বস্ত সেবা' কার্ড। এ কার্ডধারীদের সকল ধরনের রক্ত পরীক্ষা ৪০ ভাগ ছাড়, রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ফ্রি।
ডা. নিল রতন সরকার বলেন, এ উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। ধারাবাহিকতা থাকলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী যথাযথ চিকিৎসা সেবা পাবে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনকালে তাদের পরিবেশ সন্তোষজনক।
এ সময় বক্তারা বলেন, এ উদ্যোগ পাথরঘাটার সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য একটি সময়োপযোগী ও মানবিক পদক্ষেপ। আধুনিক ও মানসম্মত চিকিৎসা সুবিধা সুলভ মূল্যে পাওয়ার ফলে মানুষের ভোগান্তি কমবে এবং স্বাস্থ্যসেবার মান আরও উন্নত হবে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.