২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:৫১
টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্ত্রীর দাবি নিয়ে আসা এক তরুণীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। পরে পরিবারের লোকজন ওই তরুণীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) উপজেলার হতেয়া রাজাবাড়ি ইউনিয়নের বাজাইল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী এই তরুণীর সঙ্গে উপজেলার বাজাইল গ্রামের আব্বাসের ছেলে রশিদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে রশিদ তার বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে ওই তরুণীকে বেড়াতেও নিয়ে যায়; কিন্তু বিয়ের পরে রশিদ স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ওই তরুণীকে ঘরে তুলতে নারাজ।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই তরুণী স্ত্রীর দাবি নিয়ে রশিদের বাড়িতে গেলে তার বাবা-মাসহ বাড়ির অন্যান্য লোকজন গাছের সঙ্গে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
এলাকাবাসী জানান, ওই তরুণীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেন রশিদ এবং তার পরিবার। তবে এমনভাবে মেয়েটিকে নির্যাতন করা হয়েছে গ্রামে চোর ধরলেও এত নির্যাতন করা হয় না।
ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, রশিদ আমাকে বিয়ে করেছেন অথচ স্ত্রীর মর্যাদা দিচ্ছেন না। যার কারণে আমি আমার স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর মর্যাদা নিয়ে এসেছিলাম। আসার পর আমার স্বামী (রশিদ) এবং তার বাবা-মার সঙ্গে রশি এনে গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলেন। এরপর শুরু করেন আমার ওপর অমানুষিক নির্যাতন। এ ছাড়া আমার কাছ থেকে নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকারও নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, গাছে বেঁধে রাখার সংবাদ পেয়ে আমার বাড়ির লোকজন এবং স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। যারা আমাকে অমানুষিক নির্যাতন করেছে তাদের যেন আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হয়, এটাই আমার দাবি।
অভিযুক্ত রশিদ বলেন, আমরা কোনো রশি দিয়ে বাঁধিনি। উনি নিজেই রশি এনে ফাঁস নিতে গিয়েছিলেন। উল্টো এই মেয়ের স্বজনরা আমাকে মেরে বস্তায় ভরে নদীতে ভাসিয়ে দিতে চেয়েছিল। এই মেয়ের সঙ্গে আগে একদিন ঘুরতে গিয়াছিলাম সে সময় এ ঘটনা ঘটিয়েছিল। সেই সুবাদে এই মেয়ের নামে মামলা করছি।
রশিদের মা চন্দ্র ভানু বলেন, আমার ছেলেকে ফাঁসিয়েছে। এই মেয়ে আমাদের বাড়িতে এসে ফাঁস নিতে চেয়েছে। আমার ছেলেকে ফোন দিয়ে ঘুরতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে মেয়েটি আমার ছেলেকে ভয় দেখিয়ে উকিলের মাধ্যমে একটি স্বাক্ষর নেয়।
এ বিষয়ে সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম ভুঞা বলেন, স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্ত্রীর দাবি নিয়ে আসা এক তরুণীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। পরে পরিবারের লোকজন ওই তরুণীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) উপজেলার হতেয়া রাজাবাড়ি ইউনিয়নের বাজাইল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী এই তরুণীর সঙ্গে উপজেলার বাজাইল গ্রামের আব্বাসের ছেলে রশিদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে রশিদ তার বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে ওই তরুণীকে বেড়াতেও নিয়ে যায়; কিন্তু বিয়ের পরে রশিদ স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ওই তরুণীকে ঘরে তুলতে নারাজ।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই তরুণী স্ত্রীর দাবি নিয়ে রশিদের বাড়িতে গেলে তার বাবা-মাসহ বাড়ির অন্যান্য লোকজন গাছের সঙ্গে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
এলাকাবাসী জানান, ওই তরুণীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেন রশিদ এবং তার পরিবার। তবে এমনভাবে মেয়েটিকে নির্যাতন করা হয়েছে গ্রামে চোর ধরলেও এত নির্যাতন করা হয় না।
ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, রশিদ আমাকে বিয়ে করেছেন অথচ স্ত্রীর মর্যাদা দিচ্ছেন না। যার কারণে আমি আমার স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর মর্যাদা নিয়ে এসেছিলাম। আসার পর আমার স্বামী (রশিদ) এবং তার বাবা-মার সঙ্গে রশি এনে গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলেন। এরপর শুরু করেন আমার ওপর অমানুষিক নির্যাতন। এ ছাড়া আমার কাছ থেকে নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকারও নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, গাছে বেঁধে রাখার সংবাদ পেয়ে আমার বাড়ির লোকজন এবং স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। যারা আমাকে অমানুষিক নির্যাতন করেছে তাদের যেন আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হয়, এটাই আমার দাবি।
অভিযুক্ত রশিদ বলেন, আমরা কোনো রশি দিয়ে বাঁধিনি। উনি নিজেই রশি এনে ফাঁস নিতে গিয়েছিলেন। উল্টো এই মেয়ের স্বজনরা আমাকে মেরে বস্তায় ভরে নদীতে ভাসিয়ে দিতে চেয়েছিল। এই মেয়ের সঙ্গে আগে একদিন ঘুরতে গিয়াছিলাম সে সময় এ ঘটনা ঘটিয়েছিল। সেই সুবাদে এই মেয়ের নামে মামলা করছি।
রশিদের মা চন্দ্র ভানু বলেন, আমার ছেলেকে ফাঁসিয়েছে। এই মেয়ে আমাদের বাড়িতে এসে ফাঁস নিতে চেয়েছে। আমার ছেলেকে ফোন দিয়ে ঘুরতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে মেয়েটি আমার ছেলেকে ভয় দেখিয়ে উকিলের মাধ্যমে একটি স্বাক্ষর নেয়।
এ বিষয়ে সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম ভুঞা বলেন, স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৬
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩৮
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:৪৩
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:৫৫
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩৮
ফরিদপুরের মধুখালীতে ছাগল চোরের হেদায়েতের জন্য চুরির দুই মাস পর মসজিদ প্রাঙ্গণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছেন এক ছাগলের মালিক। চোরকে খুঁজে বের করা বা আইনি ব্যবস্থার চেষ্টা না করে চোরের হেদায়েতের জন্য গতকাল শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তিনি।
চুরি যাওয়া ওই ছাগলের মালিকের নাম আলামিন জমাদ্দার ওরফে সবুজ (৩৬)। তিনি মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেম জমাদ্দারের ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই মাস আগে ওই গ্রামের বাসিন্দা আলামিন জমাদ্দারের দুটি ছাগল চুরি হয়ে যায়। এখনো ছাগল দুটি উদ্ধার হয়নি। তবে এ ব্যাপারে তিনি মধুখালী থানায় কোন অভিযোগ না করে নিজে চুরি যাওয়া ছাগল খোঁজাখুঁজি করেন। চুরি যাওয়া ছাগলের খোঁজ না পেয়ে আজ শুক্রবার তিনি চোরের হেদায়েতের জন্য মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন।
শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজ শেষে এলাকার আলামিন জমাদ্দার বাড়ির পাশের মসজিদে এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, ছাগল দুটি চুরির পর ছাগলের মালিক দুশ্চিন্তায় পড়লেও পরে তিনি ভিন্নধর্মী চিন্তা করেন।
তার বিশ্বাস, মানুষ কখনো অভাবে আবার কখনো লোভের কারণে অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। তাই চোরের প্রতি শত্রুতা না করে বরং আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত, যাতে সে তার ভুল বুঝতে পারে এবং সঠিক পথে ফিরে আসে।
চোরের হেদায়েতের জন্য এ মিলাদ মাহফিল আয়োজন উপলক্ষে এলাকায় মাইকিং করে গ্রামবাসীকে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আমন্ত্রণ জানানো হয়। অনুষ্ঠানে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, মাদরাসার শিক্ষার্থী ও অসংখ্য মুসল্লি অংশ নেন। পরে উপস্থিতিদের তোবারক হিসেবে তেহারি পরিবেশন করা হয়।
ছাগলের মালিক আলামিন জমাদ্দার বলেন, চোর হয়তো অভাবে কিংবা লোভের বশবর্তী হয়ে চুরির মতো অপরাধে জড়িয়েছে। আমি যদি তাকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করি তবে আমার আর তার মধ্যে পার্থক্য থাকলো কোথায়। আমি চাই সে তার ভুল বুঝতে পেরে এই চুরির পথ থেকে ফিরে আসুক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মিয়া বলেন, আলামিন ঢাকায় নাটক করে। দুই মাস আগে তার ছাগল চুরি হয়েছিল। আজ কি মনে করে সে ছাগল চোরের হেদায়েতের জন্য মসজিদ প্রাঙ্গণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করলো তা জানি না।
ফরিদপুরের মধুখালীতে ছাগল চোরের হেদায়েতের জন্য চুরির দুই মাস পর মসজিদ প্রাঙ্গণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছেন এক ছাগলের মালিক। চোরকে খুঁজে বের করা বা আইনি ব্যবস্থার চেষ্টা না করে চোরের হেদায়েতের জন্য গতকাল শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তিনি।
চুরি যাওয়া ওই ছাগলের মালিকের নাম আলামিন জমাদ্দার ওরফে সবুজ (৩৬)। তিনি মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেম জমাদ্দারের ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই মাস আগে ওই গ্রামের বাসিন্দা আলামিন জমাদ্দারের দুটি ছাগল চুরি হয়ে যায়। এখনো ছাগল দুটি উদ্ধার হয়নি। তবে এ ব্যাপারে তিনি মধুখালী থানায় কোন অভিযোগ না করে নিজে চুরি যাওয়া ছাগল খোঁজাখুঁজি করেন। চুরি যাওয়া ছাগলের খোঁজ না পেয়ে আজ শুক্রবার তিনি চোরের হেদায়েতের জন্য মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন।
শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজ শেষে এলাকার আলামিন জমাদ্দার বাড়ির পাশের মসজিদে এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, ছাগল দুটি চুরির পর ছাগলের মালিক দুশ্চিন্তায় পড়লেও পরে তিনি ভিন্নধর্মী চিন্তা করেন।
তার বিশ্বাস, মানুষ কখনো অভাবে আবার কখনো লোভের কারণে অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। তাই চোরের প্রতি শত্রুতা না করে বরং আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত, যাতে সে তার ভুল বুঝতে পারে এবং সঠিক পথে ফিরে আসে।
চোরের হেদায়েতের জন্য এ মিলাদ মাহফিল আয়োজন উপলক্ষে এলাকায় মাইকিং করে গ্রামবাসীকে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আমন্ত্রণ জানানো হয়। অনুষ্ঠানে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, মাদরাসার শিক্ষার্থী ও অসংখ্য মুসল্লি অংশ নেন। পরে উপস্থিতিদের তোবারক হিসেবে তেহারি পরিবেশন করা হয়।
ছাগলের মালিক আলামিন জমাদ্দার বলেন, চোর হয়তো অভাবে কিংবা লোভের বশবর্তী হয়ে চুরির মতো অপরাধে জড়িয়েছে। আমি যদি তাকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করি তবে আমার আর তার মধ্যে পার্থক্য থাকলো কোথায়। আমি চাই সে তার ভুল বুঝতে পেরে এই চুরির পথ থেকে ফিরে আসুক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মিয়া বলেন, আলামিন ঢাকায় নাটক করে। দুই মাস আগে তার ছাগল চুরি হয়েছিল। আজ কি মনে করে সে ছাগল চোরের হেদায়েতের জন্য মসজিদ প্রাঙ্গণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করলো তা জানি না।
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:৫৫
মুন্সীগঞ্জে ১০ বছরের সংসারে দুই সন্তান রেখে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন স্ত্রী। এ ঘটনার পর অভিমানে আরেকটি বিয়ে করে হেলিকপ্টারে নতুন বউ নিয়ে এলেন স্বামী।
বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানান দিতেই হেলিকপ্টার ভাড়া করেন ওই স্বামী। আর হেলিকপ্টারে চড়ে বর-কনের আগমন দেখতে ঘটনাস্থলে ভিড় জমান এলাকাবাসী। শুক্রবার (২৬ সেস্টেম্বর) বিকেলে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার কাঠাদিয়া-শিমুলিয়া ইউনিয়নের কাঠাদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সঙ্গে ছিল আগের ঘরের এক মেয়েও।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে ওই গ্রামের সার্ভেয়ার কামাল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় সাথী আক্তার নামের এক নারীর। সেই ঘরে তাদের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু গত ১০ আগস্ট দুই শিশু সন্তান স্বামীর কাছে রেখে শহরের এক বিবাহিত যুবকের হাত ধরে চলে যান কামালের স্ত্রী।
পরে জানতে পারেন সাথী তাকে তালাক দিয়েছেন। হঠাৎ এই পারিবারিক ভাঙনে ভেঙে না পড়ে, উল্টো জেদের জেরে বেছে নেন নতুন জীবনের পথ। শুক্রবার দুপুরে ছোট কন্যাকে কোলে নিয়ে হেলিকপ্টারে চেপে রওনা হন নতুন শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে, বিয়ে করে নিয়ে আসেন নতুন বউ।
এ বিষয়ে কামাল বলেন, আসলে পুরুষ নির্যাতনের কথা কেউ ভাবে না। আমার অর্থবিত্তের কোনো কমতি ছিল না। কাজের কারণে দিনের বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকতাম। গত আগস্টে হঠাৎ স্ত্রী বাড়ি থেকে চলে যায়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে জানতে পারি সে মুন্না নামের এক ছেলের সঙ্গে পালিয়েছে। এই জেদে নতুন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই।
কামাল আরও বলেন, সব জেনে-শুনে আমার নতুন স্ত্রীর পরিবার বিয়েতে রাজি হয়, সন্তানসহ আমার পরিবারের দায়িত্ব নিতেও ইচ্ছে প্রকাশ করে নতুন স্ত্রী। তাই তার জন্য চমক দেখাতেই হেলিকপ্টার ভাড়া করি। আজ নতুন বউ নিয়ে এসেছি। আমি সবার কাছে আমার বাকি জীবনের জন্য দোয়া চাই।
স্থানীয় বাসিন্দা বীপু মাদবর বলেন, বিয়েটি আমাদের গ্রামে হয়েছে। কামালের স্ত্রী অন্যের সঙ্গে দেড় মাস আগে চলে যায়। পড়ে আজ সে হেলিকপ্টারে করে এক মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নতুন স্ত্রী নিয়ে এসেছেন।
এলাকার অনেকেই ধারণা করছেন, ভেতরের কষ্টকে প্রশমিত করতেই এই ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কামাল। যেন সাবেক স্ত্রীকে দেখাতে পারেন, পুরুষের জীবনও থেমে থাকে না।
টঙ্গীবাড়ি থানা পুলিশের ডিএসবির এসআই মনোরঞ্জন বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে শান্তিপূর্ণভাবে হেলিকপ্টার অবতরণ করেছে। হেলিকপ্টারে বিয়ে দেখতে স্থানীয় লোকজন ওই এলাকায় ভিড় জমান। এটা বরের দ্বিতীয় বিয়ে বলেও জানান তিনি।
মুন্সীগঞ্জে ১০ বছরের সংসারে দুই সন্তান রেখে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন স্ত্রী। এ ঘটনার পর অভিমানে আরেকটি বিয়ে করে হেলিকপ্টারে নতুন বউ নিয়ে এলেন স্বামী।
বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানান দিতেই হেলিকপ্টার ভাড়া করেন ওই স্বামী। আর হেলিকপ্টারে চড়ে বর-কনের আগমন দেখতে ঘটনাস্থলে ভিড় জমান এলাকাবাসী। শুক্রবার (২৬ সেস্টেম্বর) বিকেলে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার কাঠাদিয়া-শিমুলিয়া ইউনিয়নের কাঠাদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সঙ্গে ছিল আগের ঘরের এক মেয়েও।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে ওই গ্রামের সার্ভেয়ার কামাল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় সাথী আক্তার নামের এক নারীর। সেই ঘরে তাদের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু গত ১০ আগস্ট দুই শিশু সন্তান স্বামীর কাছে রেখে শহরের এক বিবাহিত যুবকের হাত ধরে চলে যান কামালের স্ত্রী।
পরে জানতে পারেন সাথী তাকে তালাক দিয়েছেন। হঠাৎ এই পারিবারিক ভাঙনে ভেঙে না পড়ে, উল্টো জেদের জেরে বেছে নেন নতুন জীবনের পথ। শুক্রবার দুপুরে ছোট কন্যাকে কোলে নিয়ে হেলিকপ্টারে চেপে রওনা হন নতুন শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে, বিয়ে করে নিয়ে আসেন নতুন বউ।
এ বিষয়ে কামাল বলেন, আসলে পুরুষ নির্যাতনের কথা কেউ ভাবে না। আমার অর্থবিত্তের কোনো কমতি ছিল না। কাজের কারণে দিনের বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকতাম। গত আগস্টে হঠাৎ স্ত্রী বাড়ি থেকে চলে যায়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে জানতে পারি সে মুন্না নামের এক ছেলের সঙ্গে পালিয়েছে। এই জেদে নতুন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই।
কামাল আরও বলেন, সব জেনে-শুনে আমার নতুন স্ত্রীর পরিবার বিয়েতে রাজি হয়, সন্তানসহ আমার পরিবারের দায়িত্ব নিতেও ইচ্ছে প্রকাশ করে নতুন স্ত্রী। তাই তার জন্য চমক দেখাতেই হেলিকপ্টার ভাড়া করি। আজ নতুন বউ নিয়ে এসেছি। আমি সবার কাছে আমার বাকি জীবনের জন্য দোয়া চাই।
স্থানীয় বাসিন্দা বীপু মাদবর বলেন, বিয়েটি আমাদের গ্রামে হয়েছে। কামালের স্ত্রী অন্যের সঙ্গে দেড় মাস আগে চলে যায়। পড়ে আজ সে হেলিকপ্টারে করে এক মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নতুন স্ত্রী নিয়ে এসেছেন।
এলাকার অনেকেই ধারণা করছেন, ভেতরের কষ্টকে প্রশমিত করতেই এই ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কামাল। যেন সাবেক স্ত্রীকে দেখাতে পারেন, পুরুষের জীবনও থেমে থাকে না।
টঙ্গীবাড়ি থানা পুলিশের ডিএসবির এসআই মনোরঞ্জন বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে শান্তিপূর্ণভাবে হেলিকপ্টার অবতরণ করেছে। হেলিকপ্টারে বিয়ে দেখতে স্থানীয় লোকজন ওই এলাকায় ভিড় জমান। এটা বরের দ্বিতীয় বিয়ে বলেও জানান তিনি।
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:০৫
মুন্সীগঞ্জে বিয়ে শেষে নববধূকে নিয়ে ফেরার পথে গাড়ি আটকে জিম্মি করে কনেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে বর একেই বাড়িতে ফিরতে বাধ্য হন।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে জেলার সিপাহীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্যে নববধূ ছিনতাইয়ের মতো ঘটনার কারণে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নববধূকে নিয়ে বরযাত্রীরা ফেরার সময় কয়েকজন মোটরসাইকেলে করে এসে গাড়ির গতিরোধ করেন। পরে নববধূকে জোর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মুহূর্তেই এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
জানা গেছে, বর মুরাদ বেপারী টংগীবাড়ী উপজেলার পুরাশিবির এলাকার মৃত শফি বেপারীর ছেলে। কনে সুমাইয়া আক্তার মিরকাদিম পৌরসভার পুকুরপাড় বাশতলা এলাকার মো. সুমনের মেয়ে। প্রায় ছয় মাস আগে তাদের কাবিন সম্পন্ন হয়েছিল। নির্ধারিত দিন অনুযায়ী শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে কনেকে নিয়ে আসতে যান বরযাত্রীরা।
এ বিষয়ে বর মুরাদ বলেন, বিয়ের দিন খাবার নিয়ে কনে ও বর পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে নববধূকে নিয়ে ফেরার পথে তার ভাই লোকজন নিয়ে গাড়ি আটকে তাকে জোর করে নামিয়ে নিয়ে যায়।
মুন্সীগঞ্জে বিয়ে শেষে নববধূকে নিয়ে ফেরার পথে গাড়ি আটকে জিম্মি করে কনেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে বর একেই বাড়িতে ফিরতে বাধ্য হন।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে জেলার সিপাহীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্যে নববধূ ছিনতাইয়ের মতো ঘটনার কারণে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নববধূকে নিয়ে বরযাত্রীরা ফেরার সময় কয়েকজন মোটরসাইকেলে করে এসে গাড়ির গতিরোধ করেন। পরে নববধূকে জোর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মুহূর্তেই এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
জানা গেছে, বর মুরাদ বেপারী টংগীবাড়ী উপজেলার পুরাশিবির এলাকার মৃত শফি বেপারীর ছেলে। কনে সুমাইয়া আক্তার মিরকাদিম পৌরসভার পুকুরপাড় বাশতলা এলাকার মো. সুমনের মেয়ে। প্রায় ছয় মাস আগে তাদের কাবিন সম্পন্ন হয়েছিল। নির্ধারিত দিন অনুযায়ী শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে কনেকে নিয়ে আসতে যান বরযাত্রীরা।
এ বিষয়ে বর মুরাদ বলেন, বিয়ের দিন খাবার নিয়ে কনে ও বর পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে নববধূকে নিয়ে ফেরার পথে তার ভাই লোকজন নিয়ে গাড়ি আটকে তাকে জোর করে নামিয়ে নিয়ে যায়।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.