০৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:২৩
২৪’র গণঅভ্যুত্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রের বুলেট কেড়ে নেয় ভোলা জেলার ৪৬টি তাজা প্রাণ। এছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে পদদলিত হয়ে ও পুকুরে ডুবে প্রাণ হারায় আরও দুজন। নিহত ৪৮ জনের অধিকাংশই ছিলেন দিনমজুর। তারা পরিবারের সদস্যদের মুখে দুবেলা দুমুঠো ভাত তুলে দেওয়ার আশায় পাড়ি জমান স্বপ্নের শহর ঢাকায়। কে জানতো? তারা একে একে কফিনবন্দি হয়ে ঘরে ফিরবেন।
স্বজন হারানোর ১ বছর পূর্ণ হলেও এসব শহীদ পরিবারের সদস্যদের গগনবিদারী কান্না আজও থামেনি। একদিকে স্বজন হারানোর বেদনা অন্যদিকে শহীদ পরিবারের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। এ দুইয়ে মিলে দিশেহারা দরিদ্র পরিবারগুলো। সরেজমিনে এমনই চিত্র দেখা গেছে। অন্যদিকে গণহত্যায় জড়িতদের বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ তাদের।
নিহত ৪৮ জনের মধ্যে রয়েছেন ভোলা সদর উপজেলার ১২ জন, দৌলতখানের ৩ জন, বোরহানউদ্দিনের ৯ জন, লালমোহনের ১১ জন, চরফ্যাশনের ১২ জন ও তজুমুদ্দিনের একজন। এর মধ্যে গত ১৯ জুলাই এক দিনেই প্রাণ হারান ১৩ জন, ৪ আগস্ট ৭ জন ও ৫ আগস্ট ৮ জন।
ভোলা সদর উপজেলার বালিয়া গ্রামের মো. হারুন ও শাহিনুর বেগম দম্পতির ছোট ছেলে শহীদ মো. রনি। ছিলেন স্থানীয় নেয়ামতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে ঘরে বসে থাকতে পারেনি সে, ঢাকায় ভাইয়ের সঙ্গে টাইলসের কাজ করবেন জানিয়ে হঠাৎ বাড়ি ঢাকা চলে যান এবং আন্দোলনে সক্রিয় হন। পরবর্তীতে গত ৫ আগস্ট বিকেলে যাত্রাবাড়িতে গুলিতে নিহত হয় রনি। পরের দিন স্বজনরা মরদেহটি নিজ গ্রামে এনে বাড়ির দরজায় মসজিদের পাশে দাফন করেন।
আদরের সন্তানের কথা মনে পড়লেই কবরের কাছে ছুটে যান বাবা মো. হারুন। দুচোখের পানি ছেড়ে দুহাত তুলে আল্লাহর দরবারে ছেলের জন্য ফরিয়াদ করেন এ বাবা। ছেলের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এ বাবা বলেন, আমার ছেলে রনির মতো অন্যান্য শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ আজও গড়ে ওঠেনি। মারামারি খুন চাঁদাবাজি রয়েই গেছে।
ভোলা সদর উপজেলার পুর্ব ইলিশা ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন মো. শামিম।
বড় ছেলে বড় সালমান (১০), মাহাদী (৬) আহম্মেদ (৪) স্ত্রী রোকেয়া বেগম আচমা ও গর্ভধারণী মাকে গ্রামের বাড়িতে রেখে ঢাকায় ব্যাচেলর থেকে ইলেকট্রনিক্স মিস্ত্রির কাজ করতেন। তার উপার্জিত অর্থেই চলতো পরিবারের ভরনপোষণ। গত ২০ জুলাই গুলিতে প্রাণ যায় শামিমের, পরেরদিন গ্রামের বাড়িতে এনে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। শামিমের ছোট ছোট ৩ সন্তান নিয়ে এখন বিপাকে রয়েছে পরিবারটি।
কথা হয় শহীদ শামিমের মা বিউটি বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার ছেলে শামিম দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। শামিমের ৩ ছেলে-স্ত্রী ও আমি মা আছি। শামিমের ৩ সন্তানের ভবিষ্যৎ কী? আমার ছেলে বেঁচে থাকলে তো সে’ই তার সন্তানদের ভবিষ্যত গড়ত।
আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ছেলের চিকিৎসা না করাতে পারার আক্ষেপ তিলে তিলে শেষ করছে চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার নজরুল নগর ইউনিয়নের শহীদ হাচনাইনের মা হাছিনা বেগমকে। ঢাকায় সে আকাশ টিভির ইন্টারনেটের কাজ করতো। ২১ জুলাই যাত্রাবাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
হাছিনা বেগম বলেন, আমার ছেলে বুকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়েছি। কিন্তু চিকিৎসা দেয়নি, শেষমেশ মৃত বলে আমার ছেলের বুকে সীল মেরে দেয়। একই উপজেলার দুলারহাট থানার ওমরপুর ইউনিয়নের মুদি দোকানের কর্মচারী কিশোর ওমর ফারুকের বাবা মিলন ফরাজি বলেন, আমার ছেলেকে গুলি করে নির্মমভাবে মারা হয়েছে। আজ পর্যন্ত আমার ছেলেকে হত্যাকারীদের ধরা হয়নি এবং তাদের বিচারের আওতায় আনা হয়নি।
ক্ষোভ ও দুঃখপ্রকাশ করে জুলাই আগস্টের ভোলার অন্যতম আন্দোলনকারী রাহিম ইসলাম বলেন, আমরা শহীদদের পরিবার ও আহতদের যথাযথ মর্যাদা দিতে পারিনি। বাংলাদেশের দায়িত্বশীলরা কেউ কেউ নির্বাচন নিয়ে, সংস্কার ও দল নিয়ে ব্যস্ত। জুলাইয়ের শহীদ পরিবার ও আহতদের নিয়ে কেউ ব্যস্ত না। মুখে মুখে বিচারের কথা শুনলেও দৃশ্যমান কিছু নেই। সরকারকে শহীদ পরিবারদের দ্রুত পুর্নবাসনের আহ্বান জানান তিনি।
ভোলার ৪৮ শহীদ পরিবারকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবেন বলে জানান ভোলার জেলা প্রশাসক মো.আজাদ জাহান। তিনি বলেন, প্রতিটি শহীদ পরিবারের খোঁজখবর রাখছি। সরকারি বেসরকারি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা সর্বোচ্চ তাদের যেকোনো প্রয়োজনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি, ভবিষ্যতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এদিকে দ্রুত গণহত্যায় জড়িতদের বিচার ও পুর্নবাসনের দাবি শহীদ পরিবারদের।
২৪’র গণঅভ্যুত্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রের বুলেট কেড়ে নেয় ভোলা জেলার ৪৬টি তাজা প্রাণ। এছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে পদদলিত হয়ে ও পুকুরে ডুবে প্রাণ হারায় আরও দুজন। নিহত ৪৮ জনের অধিকাংশই ছিলেন দিনমজুর। তারা পরিবারের সদস্যদের মুখে দুবেলা দুমুঠো ভাত তুলে দেওয়ার আশায় পাড়ি জমান স্বপ্নের শহর ঢাকায়। কে জানতো? তারা একে একে কফিনবন্দি হয়ে ঘরে ফিরবেন।
স্বজন হারানোর ১ বছর পূর্ণ হলেও এসব শহীদ পরিবারের সদস্যদের গগনবিদারী কান্না আজও থামেনি। একদিকে স্বজন হারানোর বেদনা অন্যদিকে শহীদ পরিবারের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। এ দুইয়ে মিলে দিশেহারা দরিদ্র পরিবারগুলো। সরেজমিনে এমনই চিত্র দেখা গেছে। অন্যদিকে গণহত্যায় জড়িতদের বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ তাদের।
নিহত ৪৮ জনের মধ্যে রয়েছেন ভোলা সদর উপজেলার ১২ জন, দৌলতখানের ৩ জন, বোরহানউদ্দিনের ৯ জন, লালমোহনের ১১ জন, চরফ্যাশনের ১২ জন ও তজুমুদ্দিনের একজন। এর মধ্যে গত ১৯ জুলাই এক দিনেই প্রাণ হারান ১৩ জন, ৪ আগস্ট ৭ জন ও ৫ আগস্ট ৮ জন।
ভোলা সদর উপজেলার বালিয়া গ্রামের মো. হারুন ও শাহিনুর বেগম দম্পতির ছোট ছেলে শহীদ মো. রনি। ছিলেন স্থানীয় নেয়ামতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে ঘরে বসে থাকতে পারেনি সে, ঢাকায় ভাইয়ের সঙ্গে টাইলসের কাজ করবেন জানিয়ে হঠাৎ বাড়ি ঢাকা চলে যান এবং আন্দোলনে সক্রিয় হন। পরবর্তীতে গত ৫ আগস্ট বিকেলে যাত্রাবাড়িতে গুলিতে নিহত হয় রনি। পরের দিন স্বজনরা মরদেহটি নিজ গ্রামে এনে বাড়ির দরজায় মসজিদের পাশে দাফন করেন।
আদরের সন্তানের কথা মনে পড়লেই কবরের কাছে ছুটে যান বাবা মো. হারুন। দুচোখের পানি ছেড়ে দুহাত তুলে আল্লাহর দরবারে ছেলের জন্য ফরিয়াদ করেন এ বাবা। ছেলের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এ বাবা বলেন, আমার ছেলে রনির মতো অন্যান্য শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ আজও গড়ে ওঠেনি। মারামারি খুন চাঁদাবাজি রয়েই গেছে।
ভোলা সদর উপজেলার পুর্ব ইলিশা ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন মো. শামিম।
বড় ছেলে বড় সালমান (১০), মাহাদী (৬) আহম্মেদ (৪) স্ত্রী রোকেয়া বেগম আচমা ও গর্ভধারণী মাকে গ্রামের বাড়িতে রেখে ঢাকায় ব্যাচেলর থেকে ইলেকট্রনিক্স মিস্ত্রির কাজ করতেন। তার উপার্জিত অর্থেই চলতো পরিবারের ভরনপোষণ। গত ২০ জুলাই গুলিতে প্রাণ যায় শামিমের, পরেরদিন গ্রামের বাড়িতে এনে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। শামিমের ছোট ছোট ৩ সন্তান নিয়ে এখন বিপাকে রয়েছে পরিবারটি।
কথা হয় শহীদ শামিমের মা বিউটি বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার ছেলে শামিম দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। শামিমের ৩ ছেলে-স্ত্রী ও আমি মা আছি। শামিমের ৩ সন্তানের ভবিষ্যৎ কী? আমার ছেলে বেঁচে থাকলে তো সে’ই তার সন্তানদের ভবিষ্যত গড়ত।
আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ছেলের চিকিৎসা না করাতে পারার আক্ষেপ তিলে তিলে শেষ করছে চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার নজরুল নগর ইউনিয়নের শহীদ হাচনাইনের মা হাছিনা বেগমকে। ঢাকায় সে আকাশ টিভির ইন্টারনেটের কাজ করতো। ২১ জুলাই যাত্রাবাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
হাছিনা বেগম বলেন, আমার ছেলে বুকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়েছি। কিন্তু চিকিৎসা দেয়নি, শেষমেশ মৃত বলে আমার ছেলের বুকে সীল মেরে দেয়। একই উপজেলার দুলারহাট থানার ওমরপুর ইউনিয়নের মুদি দোকানের কর্মচারী কিশোর ওমর ফারুকের বাবা মিলন ফরাজি বলেন, আমার ছেলেকে গুলি করে নির্মমভাবে মারা হয়েছে। আজ পর্যন্ত আমার ছেলেকে হত্যাকারীদের ধরা হয়নি এবং তাদের বিচারের আওতায় আনা হয়নি।
ক্ষোভ ও দুঃখপ্রকাশ করে জুলাই আগস্টের ভোলার অন্যতম আন্দোলনকারী রাহিম ইসলাম বলেন, আমরা শহীদদের পরিবার ও আহতদের যথাযথ মর্যাদা দিতে পারিনি। বাংলাদেশের দায়িত্বশীলরা কেউ কেউ নির্বাচন নিয়ে, সংস্কার ও দল নিয়ে ব্যস্ত। জুলাইয়ের শহীদ পরিবার ও আহতদের নিয়ে কেউ ব্যস্ত না। মুখে মুখে বিচারের কথা শুনলেও দৃশ্যমান কিছু নেই। সরকারকে শহীদ পরিবারদের দ্রুত পুর্নবাসনের আহ্বান জানান তিনি।
ভোলার ৪৮ শহীদ পরিবারকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবেন বলে জানান ভোলার জেলা প্রশাসক মো.আজাদ জাহান। তিনি বলেন, প্রতিটি শহীদ পরিবারের খোঁজখবর রাখছি। সরকারি বেসরকারি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা সর্বোচ্চ তাদের যেকোনো প্রয়োজনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি, ভবিষ্যতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এদিকে দ্রুত গণহত্যায় জড়িতদের বিচার ও পুর্নবাসনের দাবি শহীদ পরিবারদের।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:২৮
ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরার ওপর ২২দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার দায়ে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ১৭ জন জেলেকে আটক করেছে উপজেলা প্রশাসন,মৎস্য বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জব্দ করা হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৮৫ কেজি ইলিশ।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বোরহানউদ্দিন উপজেলার তেতুলিয়া নদীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রায়হান-উজ্জামান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রণজিৎ চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে পৃথক অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকগণ আটককৃত জেলেদের মধ্যে ১২ জনকে সাত দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। অপরদিকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৪ জনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া একজনকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা জয়। তাদের মধ্যে একজনের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায়। বাকিরা ভোলার বোরহানউদ্দিন ও লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রণজিৎ চন্দ্র দাস বলেন, “বোরহানউদ্দিন উপজেলাধীন তেতুঁলিয়া নদীতে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনা করে ১৭ জেলেকে আটক করা হয়।
সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ সময়ে মা ইলিশ আহরণের অপরাধে মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ (সংশোধিত ২০২৫) এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আটককৃতদের জেল-জরিমানা ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের মুচলেকা নিয়ে ছাড়া হয়েছে।
জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে এবং ইলিশ স্থানীয় বিভিন্ন মাদরাসায় বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন,অভিযানে বোরহানউদ্দিন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মনোজ কুমার সাহা,নৌবাহিনী,কোস্ট গার্ড ও পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন।
ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরার ওপর ২২দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার দায়ে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ১৭ জন জেলেকে আটক করেছে উপজেলা প্রশাসন,মৎস্য বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জব্দ করা হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৮৫ কেজি ইলিশ।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বোরহানউদ্দিন উপজেলার তেতুলিয়া নদীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রায়হান-উজ্জামান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রণজিৎ চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে পৃথক অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকগণ আটককৃত জেলেদের মধ্যে ১২ জনকে সাত দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। অপরদিকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৪ জনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া একজনকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা জয়। তাদের মধ্যে একজনের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায়। বাকিরা ভোলার বোরহানউদ্দিন ও লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রণজিৎ চন্দ্র দাস বলেন, “বোরহানউদ্দিন উপজেলাধীন তেতুঁলিয়া নদীতে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনা করে ১৭ জেলেকে আটক করা হয়।
সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ সময়ে মা ইলিশ আহরণের অপরাধে মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ (সংশোধিত ২০২৫) এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আটককৃতদের জেল-জরিমানা ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের মুচলেকা নিয়ে ছাড়া হয়েছে।
জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে এবং ইলিশ স্থানীয় বিভিন্ন মাদরাসায় বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন,অভিযানে বোরহানউদ্দিন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মনোজ কুমার সাহা,নৌবাহিনী,কোস্ট গার্ড ও পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:২২
ভোলার লালমোহনে বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) এর আওতাভুক্ত কৃষক সমবায় সমিতির সদস্যদের শেয়ার ও সঞ্চয় আমানতের অর্থায়নে ক্রয়কৃত জমিতে লালমোহন পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বিনা অনুমতিতে নিজেদের মতো প্লান করে সড়ক নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে লালমোহন প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের কাছে লিখিত ভাবে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশের অনুরোধ করেছেন বিআরডিবির সাবেক ৩ চেয়ারম্যান শফিকুল হক, মো. আ: হক ও মো. জহিরুল ইসলাম মাসুদ।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, লালমোহন পৌরসভার ওয়েস্টার্ন পাড়া ৮ নং ওয়ার্ডে বিআরডিবির ইউসিসি লিমিটেড ভুক্ত সমবায়ী কৃষকগণ ২ একর ৪০ শতাংশ জমি ক্রয় করে।
উক্ত জমিতে লালমোহন পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভূমির মালিক কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমতি ও আলোচনা ব্যতিত রাস্তা নির্মাণের দরপত্র আহবান পূর্বক কাজ আরম্ভ করে। যাহা সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত।
কাজ শুরু করলে উপজেলা পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা বাধা প্রদান করে কাজ বন্ধ করার ব্যবস্থা করেন। এরপর পৌর প্রশাসক বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক বরাবর ওই জমিতে রাস্তা করার অনুমতির জন্য পত্র প্রেরণ করেন।
বর্তমান লালমোহন উপজেলা কর্মকর্তা মো. শাহ আজিজ পৌর প্রশাসক ও ইউসিসির এডহক কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। গত ৮ বছর ইউসিসির নির্বাচন ব্যতিরেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউসিসিকে অকার্যকর রেখে নিজেই চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছে। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর সমবায় সমিতির প্রতিনিধিদের সাধারণ সভা না ডেকে এবং প্রতিনিধিদের সম্মতি ছাড়া এখতিয়ার বহির্ভূত সমিতির জমি অন্য সংস্থাকে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন।
সমবায় সমিতির সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যানদের দাবি বিআরডিবির মহাপরিচালক দ্রুত কৃষকদের স্বার্থে রাস্তার কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করে। জমির মালিক কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত কিভাবে টেন্ডার আহবান ও কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তা তদন্ত করার জন্য স্থানীয় সরকার ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধ জানান এবং আগামী এক মাসের মধ্যে ইউসিসির কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা রিমা আক্তার বলেন, ওই জমিতে আমাদেরকে না জানিয়ে রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
তাছাড়া রাস্তাটি করার জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বিআরডিবির প্রধান কার্যালয়ে অনুমোদনে জন্য চিঠি পাঠিয়েছে। প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন ও সেখান থেকে যে নির্দেশনা প্রদান করবে সে অনুযায়ী পরবর্তী কাজ করা হবে।
লালমোহন উপজেলা কর্মকর্তা, পৌর প্রশাসক ও ইউসিসির এডহক কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শাহ আজিজ এ ব্যাপারে বলেন, কাজটি পাশ করা হয়েছে আমি লালমোহনে যোগদানের পূর্বে।
তখন বিআরডিবি ও সমিতির সাথে আলোচনা হয়েছে কিনা আমার জানানেই। কাজটি শুরু হয়েছে এখন। ঠিকাদার কাজ শুরু করার পর বিআরডিবির লোকজন বাধা দেয়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে আমরা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের জন্য চিঠি পাঠিয়েছি। যেভাবে সিদ্ধান্ত আসবে সে অনুযায়ী
ভোলার লালমোহনে বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) এর আওতাভুক্ত কৃষক সমবায় সমিতির সদস্যদের শেয়ার ও সঞ্চয় আমানতের অর্থায়নে ক্রয়কৃত জমিতে লালমোহন পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বিনা অনুমতিতে নিজেদের মতো প্লান করে সড়ক নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে লালমোহন প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের কাছে লিখিত ভাবে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশের অনুরোধ করেছেন বিআরডিবির সাবেক ৩ চেয়ারম্যান শফিকুল হক, মো. আ: হক ও মো. জহিরুল ইসলাম মাসুদ।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, লালমোহন পৌরসভার ওয়েস্টার্ন পাড়া ৮ নং ওয়ার্ডে বিআরডিবির ইউসিসি লিমিটেড ভুক্ত সমবায়ী কৃষকগণ ২ একর ৪০ শতাংশ জমি ক্রয় করে।
উক্ত জমিতে লালমোহন পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভূমির মালিক কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমতি ও আলোচনা ব্যতিত রাস্তা নির্মাণের দরপত্র আহবান পূর্বক কাজ আরম্ভ করে। যাহা সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত।
কাজ শুরু করলে উপজেলা পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা বাধা প্রদান করে কাজ বন্ধ করার ব্যবস্থা করেন। এরপর পৌর প্রশাসক বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক বরাবর ওই জমিতে রাস্তা করার অনুমতির জন্য পত্র প্রেরণ করেন।
বর্তমান লালমোহন উপজেলা কর্মকর্তা মো. শাহ আজিজ পৌর প্রশাসক ও ইউসিসির এডহক কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। গত ৮ বছর ইউসিসির নির্বাচন ব্যতিরেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউসিসিকে অকার্যকর রেখে নিজেই চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছে। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর সমবায় সমিতির প্রতিনিধিদের সাধারণ সভা না ডেকে এবং প্রতিনিধিদের সম্মতি ছাড়া এখতিয়ার বহির্ভূত সমিতির জমি অন্য সংস্থাকে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন।
সমবায় সমিতির সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যানদের দাবি বিআরডিবির মহাপরিচালক দ্রুত কৃষকদের স্বার্থে রাস্তার কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করে। জমির মালিক কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত কিভাবে টেন্ডার আহবান ও কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তা তদন্ত করার জন্য স্থানীয় সরকার ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধ জানান এবং আগামী এক মাসের মধ্যে ইউসিসির কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা রিমা আক্তার বলেন, ওই জমিতে আমাদেরকে না জানিয়ে রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
তাছাড়া রাস্তাটি করার জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বিআরডিবির প্রধান কার্যালয়ে অনুমোদনে জন্য চিঠি পাঠিয়েছে। প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন ও সেখান থেকে যে নির্দেশনা প্রদান করবে সে অনুযায়ী পরবর্তী কাজ করা হবে।
লালমোহন উপজেলা কর্মকর্তা, পৌর প্রশাসক ও ইউসিসির এডহক কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শাহ আজিজ এ ব্যাপারে বলেন, কাজটি পাশ করা হয়েছে আমি লালমোহনে যোগদানের পূর্বে।
তখন বিআরডিবি ও সমিতির সাথে আলোচনা হয়েছে কিনা আমার জানানেই। কাজটি শুরু হয়েছে এখন। ঠিকাদার কাজ শুরু করার পর বিআরডিবির লোকজন বাধা দেয়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে আমরা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের জন্য চিঠি পাঠিয়েছি। যেভাবে সিদ্ধান্ত আসবে সে অনুযায়ী
১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:৫৫
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক এমপি মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীরবিক্রম) বলেছেন, বর্তমান সরকার ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন।
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে কয়েকটি রাজনৈতিক দল, যাদের কোনো সমর্থন নেই তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তারা নির্বাচনকে বানচাল বা বিলম্বিত করার জন্য নানান ধরনের উদ্ভট দাবি শুরু করেছে।
যার একটি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। এই পিআর পদ্ধতির নির্বাচনে জনগণ প্রার্থীকে নয়, মার্কাকে ভোট দেবে। যার ফলে জনগণ নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিকে নির্বাচিত করতে পারবে না। তাই জনগণও এই পিআর পদ্ধতির নির্বাচন মেনে নেবে না।
শুক্রবার সকালে ভোলার লালমোহন উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির আয়োজনে ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার মাঠে বিভিন্ন আলিয়া মাদরাসার শিক্ষক- কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রবাসীদের কষ্ট করে পাঠানো টাকাও বিদেশে পাচার করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের একমাত্র কাজই হচ্ছে দেশের অর্থ লুটপাট করা, বিদেশে পাচার করা।
আওয়ামী লীগের এসব অপকর্মের প্রতিবাদ কেউ যেন করতে না পারে সেজন্য তারা দেশের মধ্যে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছিল। হত্যা, গুম ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে এ দেশের মেরুদÐ ভেঙে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
এছাড়া মাফিয়া সরকার আওয়ামী লীগ ভারতের স্বার্থ রক্ষায় সব সময় কাজ করেছে। লালমোহন ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইনের সভাপতিত্বে ও জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের পৌরসভার সিনিয়র সহ- সভাপতি মাওলানা মো. হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জাফর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাবুল, পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ছাদেক মিয়া জান্টু ও সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবুল পাটোয়ারীসহ উপজেলা, পৌরসভা ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক এমপি মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীরবিক্রম) বলেছেন, বর্তমান সরকার ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন।
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে কয়েকটি রাজনৈতিক দল, যাদের কোনো সমর্থন নেই তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তারা নির্বাচনকে বানচাল বা বিলম্বিত করার জন্য নানান ধরনের উদ্ভট দাবি শুরু করেছে।
যার একটি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। এই পিআর পদ্ধতির নির্বাচনে জনগণ প্রার্থীকে নয়, মার্কাকে ভোট দেবে। যার ফলে জনগণ নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিকে নির্বাচিত করতে পারবে না। তাই জনগণও এই পিআর পদ্ধতির নির্বাচন মেনে নেবে না।
শুক্রবার সকালে ভোলার লালমোহন উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির আয়োজনে ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার মাঠে বিভিন্ন আলিয়া মাদরাসার শিক্ষক- কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রবাসীদের কষ্ট করে পাঠানো টাকাও বিদেশে পাচার করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের একমাত্র কাজই হচ্ছে দেশের অর্থ লুটপাট করা, বিদেশে পাচার করা।
আওয়ামী লীগের এসব অপকর্মের প্রতিবাদ কেউ যেন করতে না পারে সেজন্য তারা দেশের মধ্যে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছিল। হত্যা, গুম ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে এ দেশের মেরুদÐ ভেঙে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
এছাড়া মাফিয়া সরকার আওয়ামী লীগ ভারতের স্বার্থ রক্ষায় সব সময় কাজ করেছে। লালমোহন ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইনের সভাপতিত্বে ও জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের পৌরসভার সিনিয়র সহ- সভাপতি মাওলানা মো. হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জাফর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাবুল, পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ছাদেক মিয়া জান্টু ও সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবুল পাটোয়ারীসহ উপজেলা, পৌরসভা ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.