১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:০৪
নগর প্রশাসকের সরাসরি তত্ত্বাবধানে শনিবার রাতভর বরিশাল মহানগরীর শ্রান্তি–বিনোদনের প্রাণকেন্দ্র বেল’স পার্ক থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ফলে নগরীর সর্ববৃহৎ এ উদ্যানটির চারপাশসহ অভ্যন্তরভাগে এখন সর্বস্তরের মানুষ বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছেন। নগর প্রশাসনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষও।
তবে নগরীর নবগ্রাম রোড–চৌমহনী লেকের দক্ষিণ ও পশ্চিম পাড়, বিবির পুকুরের দক্ষিণ পাড়, আমতলা মোড়ের স্বাধীনতা পার্ক এবং ত্রিশ গোডাউন সংলগ্ন ‘শতায়ু অঙ্গন’-এর মতো নগরীর অনেক শ্রান্তি–বিনোদন কেন্দ্র এখনো অবৈধ দখলদারদের কব্জায় রয়েছে। নগরীকে এসব স্থাপনা অবৈধ দখলমুক্ত রাখতে অবিলম্বে আরও নিবিড় কর্মসূচি গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।
এমনকি বরিশাল মহানগরীর ‘প্রাকৃতিক হৃদস্পন্দন’ খ্যাত বেল’স পার্কের সর্বনাশ ঠেকাতে অনেক আগে থেকেই পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন নগরীর সাধারণ মানুষ ও প্রকৃতিপ্রেমীরা। কিন্তু নানা বাধার কারণে তা এতদিন হয়ে ওঠেনি।
শেষ পর্যন্ত বেল’স পার্ক থেকে সব অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করাকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন নগরবাসী। শনিবার রাতভর উচ্ছেদ অভিযানে নগর ভবনের বিপুল সংখ্যক পরিচ্ছন্নতা কর্মী ছাড়াও দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীরা অংশ নেন।
রোববার সকালে নগর প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাসেম সরেজমিনে বেল’স পার্ক ঘুরে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সাধারণ মানুষ বেল’স পার্কের অনুরূপ অভিযানের মাধ্যমে নগরীর স্বাধীনতা পার্ক, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, নবগ্রাম রোড–চৌমহনী লেকের চারপাশসহ শতায়ু অঙ্গনকে অবৈধ স্থাপনা ও জঞ্জালমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন।
রোববার বিকেলে বেল’স পার্কের ওয়াকওয়েতে হাঁটতে আসা একাধিক ভ্রমণকারীও নগর প্রশাসকের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে অবিলম্বে অন্যান্য শ্রান্তি–বিনোদনের কেন্দ্রগুলো অবৈধ দখলমুক্ত করার দাবি করেন।
১৯৬৬ সালে বরিশাল স্টেডিয়াম নির্মাণের আগে পর্যন্ত এই বেল’স পার্কেই তৎকালীন বৃহত্তর বাকেরগঞ্জ জেলার ফুটবল লিগসহ সব ধরনের খেলাধুলা এবং বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতো।
পাশাপাশি বিভিন্ন জাতীয় দিবসের কুচকাওয়াজও এ ময়দানেই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এখনো প্রতিবছর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসসহ বিজয় দিবসে সম্মিলিত কুচকাওয়াজ বেল’স পার্কেই অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রিটিশ আমলের শেষদিকে তৎকালীন বরিশাল তথা বৃহত্তর বাকেরগঞ্জ জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ‘মি. বেল’ বগুড়া–আলেকান্দা মৌজার চাঁদমারী এলাকায় প্রায় ৯ একর জমির ওপর একটি মুক্ত উদ্যান ও তার দু’পাশ ঘিরে লেক খনন করেন। তখন তার নাম অনুসারেই উদ্যানটির নামকরণ হয় ‘বেল’স পার্ক’।
গণপূর্ত অধিদপ্তর এ পার্কটির মালিকানা ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকলেও বছর কয়েক আগে উদ্যানটির দু’পাশে জেলা প্রশাসন থেকে নকশা–খচিত বিশাল প্রস্তরখণ্ডে ভূমির মালিক ‘বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ ময়দানের উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে জেলা প্রশাসনের কোনো ভূমিকা নেই।
২০০৪ সালে প্রথম নির্বাচিত সিটি মেয়র মুজিবুর রহমান সারোয়ারের উদ্যোগে সরকারি প্রায় ১ কোটি টাকায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে উদ্যানটির চারপাশে ওয়াকওয়ে, বসার বেঞ্চ, ছাতা, শৌচাগার ও বিশ্রামাগার নির্মাণ ছাড়াও দৃষ্টিনন্দন লাইট বসানো হয়। পাশাপাশি শোভা বৃদ্ধির জন্য পুরো মাঠের ওয়াকওয়ের মাঝখানে ও চারপাশে গাছ লাগানো হয়েছিল।
সে সময় থেকে উদ্যানটির পরিচ্ছন্নতা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয় সিটি করপোরেশন। প্রতিদিনই নগরীর বিপুল সংখ্যক মানুষ এ উদ্যানে সকাল–বিকেলে হাঁটতে ও বিনোদনে আসা শুরু করেন। তবে ১/১১ সরকার ক্ষমতায় আসার পর অজ্ঞাত কারণে এখান থেকে সব ‘গার্ডেন লাইট’ খুলে নেওয়ায় ভুতুরে পরিবেশ ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে সান্ধ্য ভ্রমণকারীরা এ উদ্যান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেন।
২০১১ সালে তৎকালীন সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরন তহবিল সংগ্রহ করে গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে উদ্যানটিতে দ্বিতীয় ওয়াকওয়ে নির্মাণসহ পূর্বপাশে মুরাল স্থাপন করেন।
পাশাপাশি উদ্যানটির পূর্ব পাশের নালাটি সংস্কার করে সেখানে শাপলার আবাদ ছাড়াও সংলগ্ন বাঁধরোডে পাকা ফুটপাথ নির্মাণ ও পাশে সোনালু গাছ লাগানো হয়, যা এখনো নগরবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
দ্বিতীয় দফায় সংস্কারের পর উদ্যানটিতে প্রাতঃ ও বৈকালিক ভ্রমণকারীর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেলেও গত কয়েক বছর ধরে ভ্রমণকারীর তুলনায় আড্ডাবাজদের ভিড় বাড়তে থাকে। সাথে দিনরাত উদ্যানটির পুরো এলাকাই থাকত কিশোর গ্যাংয়ের দখলে।
স্থানীয় এক কাউন্সিলরের তত্ত্বাবধানেই উদ্যানটির উত্তর পাশে অবৈধ দোকানপাট গজিয়ে উঠতে শুরু করে। পুরো পার্ক জুড়ে নানা ধরনের পথ–খাবারের দোকান আড্ডাবাজদের জন্য বাড়তি সুবিধা সৃষ্টি করছিল।
এমনকি এ উদ্যানে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় বছরখানেক আগে এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী পর্যন্ত শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন। তবে নগরবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবির প্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত অবৈধ দখলমুক্ত হওয়ায় বেল’স পার্ক তার অতীত ঐতিহ্য ফিরে পাবে বলেই আশা করছেন নগরবাসী।
নগর প্রশাসকের সরাসরি তত্ত্বাবধানে শনিবার রাতভর বরিশাল মহানগরীর শ্রান্তি–বিনোদনের প্রাণকেন্দ্র বেল’স পার্ক থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ফলে নগরীর সর্ববৃহৎ এ উদ্যানটির চারপাশসহ অভ্যন্তরভাগে এখন সর্বস্তরের মানুষ বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছেন। নগর প্রশাসনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষও।
তবে নগরীর নবগ্রাম রোড–চৌমহনী লেকের দক্ষিণ ও পশ্চিম পাড়, বিবির পুকুরের দক্ষিণ পাড়, আমতলা মোড়ের স্বাধীনতা পার্ক এবং ত্রিশ গোডাউন সংলগ্ন ‘শতায়ু অঙ্গন’-এর মতো নগরীর অনেক শ্রান্তি–বিনোদন কেন্দ্র এখনো অবৈধ দখলদারদের কব্জায় রয়েছে। নগরীকে এসব স্থাপনা অবৈধ দখলমুক্ত রাখতে অবিলম্বে আরও নিবিড় কর্মসূচি গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।
এমনকি বরিশাল মহানগরীর ‘প্রাকৃতিক হৃদস্পন্দন’ খ্যাত বেল’স পার্কের সর্বনাশ ঠেকাতে অনেক আগে থেকেই পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন নগরীর সাধারণ মানুষ ও প্রকৃতিপ্রেমীরা। কিন্তু নানা বাধার কারণে তা এতদিন হয়ে ওঠেনি।
শেষ পর্যন্ত বেল’স পার্ক থেকে সব অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করাকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন নগরবাসী। শনিবার রাতভর উচ্ছেদ অভিযানে নগর ভবনের বিপুল সংখ্যক পরিচ্ছন্নতা কর্মী ছাড়াও দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীরা অংশ নেন।
রোববার সকালে নগর প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাসেম সরেজমিনে বেল’স পার্ক ঘুরে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সাধারণ মানুষ বেল’স পার্কের অনুরূপ অভিযানের মাধ্যমে নগরীর স্বাধীনতা পার্ক, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, নবগ্রাম রোড–চৌমহনী লেকের চারপাশসহ শতায়ু অঙ্গনকে অবৈধ স্থাপনা ও জঞ্জালমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন।
রোববার বিকেলে বেল’স পার্কের ওয়াকওয়েতে হাঁটতে আসা একাধিক ভ্রমণকারীও নগর প্রশাসকের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে অবিলম্বে অন্যান্য শ্রান্তি–বিনোদনের কেন্দ্রগুলো অবৈধ দখলমুক্ত করার দাবি করেন।
১৯৬৬ সালে বরিশাল স্টেডিয়াম নির্মাণের আগে পর্যন্ত এই বেল’স পার্কেই তৎকালীন বৃহত্তর বাকেরগঞ্জ জেলার ফুটবল লিগসহ সব ধরনের খেলাধুলা এবং বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতো।
পাশাপাশি বিভিন্ন জাতীয় দিবসের কুচকাওয়াজও এ ময়দানেই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এখনো প্রতিবছর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসসহ বিজয় দিবসে সম্মিলিত কুচকাওয়াজ বেল’স পার্কেই অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রিটিশ আমলের শেষদিকে তৎকালীন বরিশাল তথা বৃহত্তর বাকেরগঞ্জ জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ‘মি. বেল’ বগুড়া–আলেকান্দা মৌজার চাঁদমারী এলাকায় প্রায় ৯ একর জমির ওপর একটি মুক্ত উদ্যান ও তার দু’পাশ ঘিরে লেক খনন করেন। তখন তার নাম অনুসারেই উদ্যানটির নামকরণ হয় ‘বেল’স পার্ক’।
গণপূর্ত অধিদপ্তর এ পার্কটির মালিকানা ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকলেও বছর কয়েক আগে উদ্যানটির দু’পাশে জেলা প্রশাসন থেকে নকশা–খচিত বিশাল প্রস্তরখণ্ডে ভূমির মালিক ‘বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ ময়দানের উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে জেলা প্রশাসনের কোনো ভূমিকা নেই।
২০০৪ সালে প্রথম নির্বাচিত সিটি মেয়র মুজিবুর রহমান সারোয়ারের উদ্যোগে সরকারি প্রায় ১ কোটি টাকায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে উদ্যানটির চারপাশে ওয়াকওয়ে, বসার বেঞ্চ, ছাতা, শৌচাগার ও বিশ্রামাগার নির্মাণ ছাড়াও দৃষ্টিনন্দন লাইট বসানো হয়। পাশাপাশি শোভা বৃদ্ধির জন্য পুরো মাঠের ওয়াকওয়ের মাঝখানে ও চারপাশে গাছ লাগানো হয়েছিল।
সে সময় থেকে উদ্যানটির পরিচ্ছন্নতা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয় সিটি করপোরেশন। প্রতিদিনই নগরীর বিপুল সংখ্যক মানুষ এ উদ্যানে সকাল–বিকেলে হাঁটতে ও বিনোদনে আসা শুরু করেন। তবে ১/১১ সরকার ক্ষমতায় আসার পর অজ্ঞাত কারণে এখান থেকে সব ‘গার্ডেন লাইট’ খুলে নেওয়ায় ভুতুরে পরিবেশ ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে সান্ধ্য ভ্রমণকারীরা এ উদ্যান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেন।
২০১১ সালে তৎকালীন সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরন তহবিল সংগ্রহ করে গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে উদ্যানটিতে দ্বিতীয় ওয়াকওয়ে নির্মাণসহ পূর্বপাশে মুরাল স্থাপন করেন।
পাশাপাশি উদ্যানটির পূর্ব পাশের নালাটি সংস্কার করে সেখানে শাপলার আবাদ ছাড়াও সংলগ্ন বাঁধরোডে পাকা ফুটপাথ নির্মাণ ও পাশে সোনালু গাছ লাগানো হয়, যা এখনো নগরবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
দ্বিতীয় দফায় সংস্কারের পর উদ্যানটিতে প্রাতঃ ও বৈকালিক ভ্রমণকারীর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেলেও গত কয়েক বছর ধরে ভ্রমণকারীর তুলনায় আড্ডাবাজদের ভিড় বাড়তে থাকে। সাথে দিনরাত উদ্যানটির পুরো এলাকাই থাকত কিশোর গ্যাংয়ের দখলে।
স্থানীয় এক কাউন্সিলরের তত্ত্বাবধানেই উদ্যানটির উত্তর পাশে অবৈধ দোকানপাট গজিয়ে উঠতে শুরু করে। পুরো পার্ক জুড়ে নানা ধরনের পথ–খাবারের দোকান আড্ডাবাজদের জন্য বাড়তি সুবিধা সৃষ্টি করছিল।
এমনকি এ উদ্যানে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় বছরখানেক আগে এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী পর্যন্ত শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন। তবে নগরবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবির প্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত অবৈধ দখলমুক্ত হওয়ায় বেল’স পার্ক তার অতীত ঐতিহ্য ফিরে পাবে বলেই আশা করছেন নগরবাসী।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:০২
বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় ১১ জেলেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) হিজলার মেঘনা নদীতে কোস্ট গার্ড সদস্যদের সহযোগিতায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম জানান, অভিযানে আটক ১১ জনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইলিয়াস সিকদার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচজনকে আট দিন করে কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া বাকিদের মধ্যে একজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও চারজনকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বয়স কম থাকায় এক কিশোরকে মুচলেকার মাধ্যমে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় ১১ জেলেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) হিজলার মেঘনা নদীতে কোস্ট গার্ড সদস্যদের সহযোগিতায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম জানান, অভিযানে আটক ১১ জনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইলিয়াস সিকদার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচজনকে আট দিন করে কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া বাকিদের মধ্যে একজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও চারজনকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বয়স কম থাকায় এক কিশোরকে মুচলেকার মাধ্যমে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:২২
বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ সেই ৩৪টি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের তিনতলা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে এই ভবনসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বসবাসরতদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে সিটি প্রশাসন ঘোষণা করে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে ভবনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেপরে এনিয়ে দৈনির রূপালী বাংলাদেশসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়।
সূত্র জানায়, কীর্তনখোলার তীরের শহর বরিশালের ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসি। ২০১৩ সালের জরিপে এসব ভবনকে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ভবনের বেশিরভাগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বেশ কয়েকবার ভাঙার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। এবং ভবনগুলো যে আইনগতভাবে ভাঙতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা এড়াতে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপরতা দেখায়নি বা নিশ্চুপ হয়ে যায়।
জানা গেছে, সদর রোডসংলগ্ন বহুতল ভবন দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল অবৈধভাকে দখল করে রেখেছিলেন। এই কাজী কামলা বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শ্যালক। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বরিশালে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন। সদর রোডে ভবন দুটির নিচের দোকান দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিজে দখল করে রাখেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে আছেন।
একটি ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তাঁর চাচা উলফাত হাজি এবং শুককুর হাজি ১৯৬০ সালে একটি ভবন ও ৩০ বছর আগে আরেকটি ভবন সদর রোডে নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে একটি পাকা ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং পাশের ভবন ঘেঁষে হেলে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু প্রভাবশালী ভাড়াটেরা জোর করে দখলে রাখায় ওই সময় ভাঙার ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে ভবন ভাঙার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেন নজরুল ইসলাম। তারপর ভবনটি শুক্রবার সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উলফাত এবং শাকুর ম্যানশন নামের ওই দুটি ভবন ইতিপূর্বে ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটেরা আদালতে গেছেন। আমরা কোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় পেয়েছি। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে সেখানে নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও ভাড়াটেরা দখল ছাড়েননি। শুক্রবার সকালে তাদের চূড়ান্তভাবে চলে যাওয়ার নোটিস দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু হয়। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা সম্ভব।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোড কাজি অফিসের পেছনে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডে মহিলা কলেজসংলগ্ন মনু মিয়ার ভবন এবং সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবনসহ ৩৪টি ভবনই পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অনুমোদনহীন এমন কিছু ভবনও রয়েছে।’
বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ সেই ৩৪টি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের তিনতলা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে এই ভবনসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বসবাসরতদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে সিটি প্রশাসন ঘোষণা করে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে ভবনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেপরে এনিয়ে দৈনির রূপালী বাংলাদেশসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়।
সূত্র জানায়, কীর্তনখোলার তীরের শহর বরিশালের ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসি। ২০১৩ সালের জরিপে এসব ভবনকে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ভবনের বেশিরভাগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বেশ কয়েকবার ভাঙার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। এবং ভবনগুলো যে আইনগতভাবে ভাঙতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা এড়াতে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপরতা দেখায়নি বা নিশ্চুপ হয়ে যায়।
জানা গেছে, সদর রোডসংলগ্ন বহুতল ভবন দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল অবৈধভাকে দখল করে রেখেছিলেন। এই কাজী কামলা বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শ্যালক। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বরিশালে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন। সদর রোডে ভবন দুটির নিচের দোকান দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিজে দখল করে রাখেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে আছেন।
একটি ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তাঁর চাচা উলফাত হাজি এবং শুককুর হাজি ১৯৬০ সালে একটি ভবন ও ৩০ বছর আগে আরেকটি ভবন সদর রোডে নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে একটি পাকা ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং পাশের ভবন ঘেঁষে হেলে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু প্রভাবশালী ভাড়াটেরা জোর করে দখলে রাখায় ওই সময় ভাঙার ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে ভবন ভাঙার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেন নজরুল ইসলাম। তারপর ভবনটি শুক্রবার সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উলফাত এবং শাকুর ম্যানশন নামের ওই দুটি ভবন ইতিপূর্বে ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটেরা আদালতে গেছেন। আমরা কোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় পেয়েছি। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে সেখানে নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও ভাড়াটেরা দখল ছাড়েননি। শুক্রবার সকালে তাদের চূড়ান্তভাবে চলে যাওয়ার নোটিস দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু হয়। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা সম্ভব।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোড কাজি অফিসের পেছনে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডে মহিলা কলেজসংলগ্ন মনু মিয়ার ভবন এবং সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবনসহ ৩৪টি ভবনই পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অনুমোদনহীন এমন কিছু ভবনও রয়েছে।’
১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:২৯
বরিশালের উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান ইকবালকে গ্রেপ্তার করেছে দিনাজপুর জেলা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান ইকবালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এ খবরটি উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে জানানো হয় বলে সাংবাদিকদের জানান (ওসি) মো. আব্দুস সালাম। ওসি আরও জানান, তবে তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে দিনাজপুর আদালতে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) হাজির করা হবে।
ওসি বলেন, তাকে আটকের পর দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানায় রাখা হয়েছিল। উজিরপুর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা রয়েছে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদ কর্মীদের জানান, এই মুহূর্তে জানানো সম্ভব হচ্ছে না তবে মামলার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি জানাবেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, সাবেক উজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী বিরামপুর কাটলা এলাকায় অবৈধ পথে ভারত যাওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বরিশালের উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান ইকবালকে গ্রেপ্তার করেছে দিনাজপুর জেলা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান ইকবালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এ খবরটি উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে জানানো হয় বলে সাংবাদিকদের জানান (ওসি) মো. আব্দুস সালাম। ওসি আরও জানান, তবে তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে দিনাজপুর আদালতে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) হাজির করা হবে।
ওসি বলেন, তাকে আটকের পর দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানায় রাখা হয়েছিল। উজিরপুর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা রয়েছে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদ কর্মীদের জানান, এই মুহূর্তে জানানো সম্ভব হচ্ছে না তবে মামলার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি জানাবেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, সাবেক উজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী বিরামপুর কাটলা এলাকায় অবৈধ পথে ভারত যাওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.