https://jamunabankbd.com/

সারাদেশ

ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ-তোষক কারিগরদের

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১৩:১৩

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ-তোষক কারিগরদের

উত্তরের জেলাগুলোর খুব কাছেই হিমালয়। ফলে এ জেলাগুলোয় শীত অনুভূত হয় একটু আগেভাগেই। দিনে গরম, রাতে ঠাণ্ডা, ভোরের স্নিগ্ধ বাতাস আর হালকা কুয়াশায় ঘাস-পাতার ওপর জমে থাকা শিশির বিন্দু এখানে জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। তাই শুরু হয়েছে শীত নিবারণের প্রস্তুতিও।

এরসঙ্গে ব্যাস্ততা বেড়েছে লেপ-তোষক কারিগর ও বিক্রেতাদের।

অন্যান্যবারের তুলনায় এবার শীত নেমেছে একটু আগে থেকেই। তাই শীত নিবারণে জমে উঠছে গরম কাপড়ের বেচাকেনা। শীত মোকাবেলায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ছুটছে লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে।

তাই লেপ-তোষকের কারিগর ও বিক্রেতারা এখন ভীষণ ব্যস্ত। শীতের সময়টুকু কাজে লাগিয়ে পুরো বছরের খোড়াক যোগনোর চেষ্টা কারিগরদের। কিন্তু বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাদের পারিশ্রমিক নিয়ে সস্তুষ্ট নন তারা।

লেপ কারিগর আব্দুল মোতাল্লেব বলেন, শীতের সময় নভেম্বর থেকে জানুয়ারি- এই তিন মাস ছাড়া বছরের অন্য সময় তেমন কাজ থাকে না। সারা বছর বসেই থাকতে হয়। তিনি বলেন, পাঁচ বছর আগে একটি লেপ তৈরির পারিশ্রমিক ছিল ২০০ টাকা। আর বর্তমানেও একটি লেপ তৈরি করে ২০০ টাকা মজুরি পাওয়া যায়।

আরেক কারিগর প্রণয় বর্মণ বলেন, ‘বাজারে সব জিনিস-পত্রের দাম বেড়ে গেছে। কিন্তু আমাদের পারিশ্রমিক তেমন বাড়েনি। বর্তমানে যে মজুরি পাই তা দিয়ে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ ও সংসারের সারা মাসের খরচ কুলানো যায় না।’

নাজমুল ইসলাম নামের এক কারিগর আক্ষেপ করে বলেন, দেশে পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু শ্রমিকদের ভাগ্যের উন্নয়ন হয় নাই। এখনও আগের মজুরিতে কাজ করতে হচ্ছে। এই মৌসুমে বাজার ভালো থাকলে সারা দিনে পাঁচ থেকে ছয়টি লেপ তৈরি করতে পারি। তিন মাস কাজ করে কিছু টাকা সঞ্চয় করি, তা দিয়ে বছরের অন্য সময় এনজিও থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধ করি। মালিকরা যদি মজুরি একটু বাড়াতো, তাহলে আমাদের জন্য অনেক ভালো হতো।

এদিকে, শীত মোকাবেলায় পছন্দের লেপ-তোষক কিনতে ক্রেতারা ভিড় করছেন দোকানে। তবে অভিযোগ, দাম বেশি নিচ্ছেন ব্যাবসায়ীরা। আর ব্যাবসায়ীরা জানাচ্ছেন তাঁদের সীমাবদ্ধতার কথা।

সদর উপজেলা নিশ্চিন্তপুরের বাসিন্দা নূরে আলম বলেন, উত্তরের সীমান্তবর্তী এ জেলায় শীত একটু অগ্রিম শুরু হয়। তাই তিনি শীতের ঠাণ্ডা মোকাবেলায় লেপ তৈরি করতে এসেছেন। তবে এবছর লেপের দাম অনেক বেশি নিচ্ছেন দোকানিরা।

পৌর শহরের বাজার পাড়ার ইসরাফিল জানান, গত বছর পুরনো লেপ নতুন করে ধোলাই ও নতুন কাপড় দিয়ে শেলাই করতে খরচ পড়েছে এক হাজার টাকা। কিন্তু এবছর সেই একই লেপে খরচ পড়েছে সাড়ে ১২০০ টাকা। হাজিপাড়ার বাসিন্দা জাহানারা বেগম জানান, সাত-পাঁচ হাতের একটি নতুন লেপ তৈরি করাতে গত বছর খরচ হয়েছে ১৪০০ টাকা। এবছর একই মাপের লেপ তৈরি করতে লাগছে ২২০০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি লেপে ৮০০ টাকা বাড়তি গুণতে হচ্ছে।

ক্রেতাদের এসব অভিযোগ স্বীকার করে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার শাহজালাল ক্লথস্টোরের স্বত্বাধিকারী বজলুর রহমান বলেন, গত বছরের চেয়ে এবছর সব ধরনের তুলা ও কাপড়ের দাম কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় লেপের দামও কিছুটা বেড়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়েই একটু দাম বাড়িয়েছেন তারা। তাছাড়া লেপ তৈরির কাঁচামাল ঢাকা থেকে আনতে হয়। এতে পরিবহন খরচ দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় লেপের দামও কিছুটা বেড়েছে। তার পরও একটি লেপ বিক্রি করে মাত্র লাভ থাকে দেড় শ থেকে ২০০ টাকা।

একই কথা বলেন পুরনো বাসস্ট্যান্ড এলাকার লেপ ব্যবসায়ী নবী ইসলাম। তিনি বলেন, গত বছর এই মৌসুমে বেচাকেনা তেমন হয়নি। এ বছর আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করছে শীত কতদিন স্থায়ী হবে। এখন পর্যন্ত আশা করা যাচ্ছে ব্যবসা ভালোই হবে।

আরেক ব্যবসায়ী মনসুর আলী বলেন, জিনিসপত্রের দাম ও কারিগরদের মজুরি দিয়ে লেপ বিক্রি করে খুব বেশি লাভ হয় না। ক্রেতারা যেন সাধ্যের মধ্যে লেপ কিনতে পারেন, সেজন্য লেপ ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সীমিত লাভেই লেপ বিক্রি করার ব্যাবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে, শীত মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতির কথা জানালেন ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা। তিনি বলেন, প্রতিবছরের মতো এবছরও শীত মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এছাড়া বেসরকারিভাবে কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে কম্বল পাওয়া গেছে। ছিন্নমূল মানুষদের মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ শুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে ইউনিয়নপর্যায়ে তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে।

আরও পড়ুন:

দেশে ফিরলো ভারতে উদ্ধার হওয়া ৪ বাংলাদেশি তরুণী

বরিশালটাইমস

বরিশালটাইমস

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:৫৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

দেশে ফিরলো ভারতে উদ্ধার হওয়া ৪ বাংলাদেশি তরুণী

দালালের খপ্পরে পরে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাওয়া চার তরুণীকে আটক করার পর বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বুধবার (২৬ ন‌ভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটার কেদার সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদেরকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।

এই চার তরুণী হলেন— পাবনা সদর থানার মালিগাছা গ্রামের আব্দুল আউয়াল মিয়ার মেয়ের আঁখি খাতুন (২০), ব্রাহ্মনবাড়িয়ার মিরপুর থানার বাঞ্চারামপুর গ্রামের হাবিব মিয়ার মেয়ে আদিবা আকতার (২৩),নেত্রকোনার দূর্গাপুর থানার বাওয়ই পাড়ার নাছির উদ্দিনের মেয়ে শিরিনা আকতার (২৬), শরিয়তপুরের নড়িয়া থানার লুংসিং গ্রামের হিরু সরদারের মেয়ে তাসমিয়া আকতার (১৮)।

পতাকা বৈঠক এবং তরুণীদের হস্তান্তরের তথ্য ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়ন এর কেদার কোম্পানির হাবিলদার শাহজাহান আলী।

এই চার তরুণী ঢাকার বাড্ডা থানার নুতুন বাজার এলাকায় একটি বাসায় ভারা থাকতেন। তাদের তিনজন একটি বিউটি পার্লারে এবং অপর একজন একটি তৈরি পোশাকের কারখানায় কাজ করতেন।

আঁখি আকতার জানান, তাদের পূর্বপরিচিত জান্নাত নামের এক নারীর প্রলোভনে তারা কাউকে কিছু না জানিয়ে ২২ নভেম্বর সিলেটের জাফলং সীমান্ত পার হন। সীমান্তের ওপারে তাদের জন্য একটি প্রাইভেট কার অপেক্ষা করছিলো। সেই কারে উঠে তারা আসামের রাজধানী গুয়াহাটি পৌছান। ২৩ নভেম্বর পুলিশ তাদের আটক করে।

আঁখি বলেন, “আমরা উন্নত জীবন আর ভালো কাজ লোভে পড়ে ভারতে পাড়ি জমিয়েছিলাম। আমরা ভুল করেছিলাম।”

পরে বুধবার (২৬ নভেম্বর) কচাকাটা সীমান্তের মেইন পিলার ১০১৫-এর কাছে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন হাবিলদার শাহজাহান আলী, আর বিএসএফের পক্ষ থেকে ছিলেন ইনস্পেক্টর ধীরেন্দ্র কুমার।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়ন এর কেদার কোম্পানির হাবিলদার শাহজাহান আলী জানান, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে চার যুবতীকে বিজিবির জিম্মায় নেয়া হয়। পরে সন্ধ্যায় তাদেরকে কচাকাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) লুৎফর রহমান বলেন, “চারজন বাংলাদেশি নারী ভারতে আটক হওয়ার পর ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা কেদার বিওপির বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করে তাদের ফেরত পাঠায়। পরে বিজিবি সদস্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের থানায় হস্তান্তর করেছেন। আমরা তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছি। স্বজনরা এসে নিয়ম মেনে জিম্মায় নিয়ে যাবেন।”

প্রাথমিকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু, বার্ষিক পরীক্ষা ঘিরে সংশয়

বরিশালটাইমস

বরিশালটাইমস

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:২৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

প্রাথমিকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু, বার্ষিক পরীক্ষা ঘিরে সংশয়

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সরকার ১১তম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না করায় এবার ‘লাগাতার’ কর্মবিরতির শুরু করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) থেকে সারাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন। প্রয়োজনে বার্ষিক পরীক্ষাও বর্জন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষকরা।

‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ লাগাতার এ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাতে সংগঠনটির পাঁচজন আহ্বায়কের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আহ্বায়করা হলেন- মো. আবুল কাশেম, মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ, খাইরুন নাহার লিপি, মু. মাহবুবুর রহমান, মো. আনোয়ার উল্যা।

পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মু. মাহবুবর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আজ থেকে আমাদের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। দাবি আদায় না করে শিক্ষকরা কেউ কাজে যোগ দেবেন না। আমরা মনে করি, এ আন্দোলন প্রাথমিক শিক্ষকদের মর্যাদার লড়াই। আমরা চাই, সরকার গত ১২ নভেম্বর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা দ্রুত প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হোক।

দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছি। কিন্তু সরকার আপাতত আমাদের ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার আশ্বাস দিয়েছে৷ পরবর্তীতে তা দশম গ্রেডে উন্নীত করা হবে। এছাড়া পদোন্নতি ও স্কেল বিষয়ে আমাদের দুটি দাবি রয়েছে। সেগুলোও পূরণ করতেই হবে।

এর আগে গত ২৫ নভেম্বর থেকে তিনদিনের কর্মবিরতির ডাক দেয় ‘প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’। তাদের ডাকা কর্মবিরতি চলছে। এর মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দিলো।

এদিকে, আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। শিক্ষকদের এ কর্মবিরতিতে বার্ষিক পরীক্ষা ঘিরে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রায় ১ কোটি শিশুশিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। আর শিক্ষক রয়েছেন ৩ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের সম্প্রতি দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। আর সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেড পাচ্ছেন। এ নিয়ে অসন্তুষ্ট সহকারী শিক্ষকরা।

বাজারে মিলছে কাঁচা আম, কেজি ৫০০

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাজারে মিলছে কাঁচা আম, কেজি ৫০০

বছরের গ্রীষ্ম শুরু হলেই সাধারণত বাজারে কাঁচা আমের দেখা মেলে। তবে এবারে ব্যতিক্রম। শীতের শুরুতেই কক্সবাজারের টেকনাফের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে কাঁচা আম। বাজারে নতুন মৌসুমি ফলের প্রতি ক্রেতাদের বাড়তি আকর্ষণের কারণে দামও চড়া।

মানভেদে কাঁচা আমের কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, সাধারণত জুন মাসের শুরুতে টেকনাফে কাঁচা আম বাজারে আসে। কিন্তু এবার কয়েক মাস আগেই বাজারে আম পাওয়া যাচ্ছে। সরবরাহ কম ও আগাম মৌসুম হওয়ায় দামে কিছুটা বৃদ্ধি দেখা গেছে।

তাদের মতে, নতুন কোনো ফল বা পণ্য বাজারে এলে ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি থাকে। কাঁচা আমের ক্ষেত্রেও তেমনটাই দেখা যাচ্ছে। চাহিদা বেশি থাকলেও সরবরাহ কম হওয়ায় দাম স্বাভাবিকভাবেই বেশি।

টেকনাফের আম ব্যবসায়ী আব্দুল মোনাফ বলেন, বিভিন্ন গ্রাম থেকে আনা এসব আম আগাম জাতের।

বাড়তি দাম পাওয়ার আশায় আঁটি হওয়ার আগেই আম পাড়ছেন চাষিরা। তিনি বলেন, বৈশাখের পর সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) টেকনাফ পৌরসভার বাজারে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা কাঁচা আম কেজিপ্রতি ৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন। দরদাম করলে কিছু দোকানে ৪৫০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচা আম বিক্রেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘এখন যে আম বাজারে আছে, তা সবার জন্য নয়। এক শ্রেণির ক্রেতা শখ করে কিনছেন। বেশির ভাগই মেয়েদের জন্য নিচ্ছেন কেউ স্ত্রী, কেউ বোন বা বান্ধবীর জন্য। এখন বাজারে যে আম এসেছে তা বিশেষভাবে কাঁচা বিক্রির জন্যই চাষ করা হয়েছে। শিগগিরই সব ধরনের কাঁচা আম আসবে এবং দামও কমবে।’

ক্রেতা আব্দুল রায়হান শখ করে আম কিনতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘এত আগে কাঁচা আম দেখে অবাক হয়েছি, তাই ছবি তুলে স্ত্রীকে পাঠালাম। সঙ্গে সঙ্গে সে বলল, দাম যা-ই হোক নিয়ে আসতে। আসলে মেয়েদের আমের প্রতি আকর্ষণ একটু আলাদা।’

তবে সবার পক্ষে এখন এই দাম বহন করা সম্ভব নয়। এনজিওকর্মী রাফিয়া সোলতানা মিম বলেন, ‘আগাম আম দেখে ভালো লাগল। কিন্তু দাম এত বেশি যে এখন কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। যাদের সামর্থ্য আছে তারাই কিনছে। কয়েক দিন পর দাম কমলে খাব।’

কৃষিবিদদের মতে, দেশের মধ্যে টেকনাফই একমাত্র এলাকা যেখানে বিশেষ আবহাওয়া ও মাটির গুণাগুণের কারণে আগাম আম আসে। তারা জানান, টেকনাফের কয়েকটি গ্রামে এমন জলবায়ু আছে, যা শীতের শুরুতেই আম আসতে সহায়তা করে। তাদের গবেষণায় দেখা যায়, একই জাতের বীজ গাজীপুরে রোপণ করার পরও একই ফলন পাওয়া যায়নি। গাজীপুরে আম স্বাভাবিক মৌসুমেই ধরেছে, তবে টেকনাফে এসেছে আগাম।

টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির বলেন, ‘দুই বছর আগে আগাম আম ফলন নিয়ে গবেষণা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, টেকনাফের কিছু এলাকার আবহাওয়ার কারণেই আম আগেভাগে ফল দিতে পারে। অন্যত্র একই ফলন পাওয়া যায় না।’

আগাম কাঁচা আমের আগমনে টেকনাফের বাজারে এখন উৎসবের আমেজ, তবে দাম বেশি হওয়ায় অনেক ক্রেতাই অপেক্ষায় রয়েছেন সরবরাহ বাড়লেই তারা উপভোগ করবেন মৌসুমের প্রথম আমের স্বাদ।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.