
৩১ আগস্ট, ২০২৫ ১৯:৪৫
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বরিশাল জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সহ সভাপতি,ডি ই এব, নুর উদ্দিন মাফির পক্ষ থেকে সকল স্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক ও দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি এই দিনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মোঃ নুর উদ্দিন মাফি তার শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, “১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা, বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন নিয়ে গঠিত বিএনপি ৪৭ বছরে পদার্পণ করছে। এটি শুধু একটি দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নয়, এটি বাংলাদেশের আপামর জনতার আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।”
তিনি আরও বলেন, “জিয়াউর রহমান শুধু একজন মহান স্বাধীনতার ঘোষকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। তার হাত ধরেই বাংলাদেশে কৃষি বিপ্লব, শিল্পায়ন, গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটেছিল। স্বল্পসময়ের শাসনামলে তিনি দেশকে একটি মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছিলেন।”
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে মোঃ নুর উদ্দিন মাফি বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে আপোসহীন ভূমিকা পালন করেছেন। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তার নেতৃত্ব অবিস্মরণীয়। গণতন্ত্রের জন্য তিনি বারবার কারাবরণ করেছেন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, কিন্তু জনগণের অধিকার আদায়ে তিনি কখনও পিছপা হননি। বর্তমানেও তিনি গুরুতর অসুস্থ তার জন্য সবার কাছে দোয়া চান।
দলের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তারেক রহমান দেশের মাটি ও মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করছেন। ফ্যাসিবাদী সরকারের রোষানলে পড়ে তিনি আজ নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন।
কিন্তু দূর থেকেও তিনি দলকে সুসংগঠিত রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি আজ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে এবং দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”
তিনি আরও প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, “ স্বৈরাচারী সরকারের পতন হয়েছে এবং এবার জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। জিয়াউর রহমানের আদর্শ, খালেদা জিয়ার আপোসহীনতা এবং তারেক রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বিএনপি আবারও দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করবে এবং একটি সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।” পরিশেষে মোঃ নুর উদ্দিন মাফি বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলের সকল নেতাকর্মীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন এবং দেশ ও জাতির অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বরিশাল জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সহ সভাপতি,ডি ই এব, নুর উদ্দিন মাফির পক্ষ থেকে সকল স্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক ও দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি এই দিনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মোঃ নুর উদ্দিন মাফি তার শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, “১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা, বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন নিয়ে গঠিত বিএনপি ৪৭ বছরে পদার্পণ করছে। এটি শুধু একটি দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নয়, এটি বাংলাদেশের আপামর জনতার আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।”
তিনি আরও বলেন, “জিয়াউর রহমান শুধু একজন মহান স্বাধীনতার ঘোষকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। তার হাত ধরেই বাংলাদেশে কৃষি বিপ্লব, শিল্পায়ন, গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটেছিল। স্বল্পসময়ের শাসনামলে তিনি দেশকে একটি মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছিলেন।”
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে মোঃ নুর উদ্দিন মাফি বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে আপোসহীন ভূমিকা পালন করেছেন। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তার নেতৃত্ব অবিস্মরণীয়। গণতন্ত্রের জন্য তিনি বারবার কারাবরণ করেছেন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, কিন্তু জনগণের অধিকার আদায়ে তিনি কখনও পিছপা হননি। বর্তমানেও তিনি গুরুতর অসুস্থ তার জন্য সবার কাছে দোয়া চান।
দলের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তারেক রহমান দেশের মাটি ও মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করছেন। ফ্যাসিবাদী সরকারের রোষানলে পড়ে তিনি আজ নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন।
কিন্তু দূর থেকেও তিনি দলকে সুসংগঠিত রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি আজ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে এবং দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”
তিনি আরও প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, “ স্বৈরাচারী সরকারের পতন হয়েছে এবং এবার জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। জিয়াউর রহমানের আদর্শ, খালেদা জিয়ার আপোসহীনতা এবং তারেক রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বিএনপি আবারও দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করবে এবং একটি সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।” পরিশেষে মোঃ নুর উদ্দিন মাফি বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলের সকল নেতাকর্মীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন এবং দেশ ও জাতির অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করেন।

০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে বরিশালে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ওপর একটি সম্মিলিত মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) আয়োজিত এ মহড়ায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও বরিশাল এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এম খায়ের উদ্দীন, এসজিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি। তিনি অংশগ্রহণকারী মাঠ কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্র–ছাত্রীদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করেন।
জানা গেছে, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে ভূমিকম্পের পূর্ব ও পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ৭ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে ২–৪ ডিসেম্বর তিন দিনব্যাপী একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
এই কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে অংশগ্রহণকারী মোট ১২০ জনকে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা, কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, উদ্ভূত পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনা, আন্তঃপ্রতিষ্ঠান সমন্বয় এবং উদ্ধার কার্যক্রমের প্রস্তুতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্কুল–কলেজ থেকে অংশ নেওয়া ৩৭৫ জন মাঠ কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্র–ছাত্রীকে ২–৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম, প্রাথমিক চিকিৎসা এবং দলভিত্তিক সমন্বিত ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আয়োজকরা জানান, দুর্যোগ পরিস্থিতিতে কার্যকর ও দ্রুত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এই ধরনের মহড়া ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বরিশাল এলাকায় দুর্যোগ প্রস্তুতি আরও সুসংহত করতে সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে বরিশালে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ওপর একটি সম্মিলিত মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) আয়োজিত এ মহড়ায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও বরিশাল এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এম খায়ের উদ্দীন, এসজিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি। তিনি অংশগ্রহণকারী মাঠ কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্র–ছাত্রীদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করেন।
জানা গেছে, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে ভূমিকম্পের পূর্ব ও পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ৭ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে ২–৪ ডিসেম্বর তিন দিনব্যাপী একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
এই কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে অংশগ্রহণকারী মোট ১২০ জনকে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা, কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, উদ্ভূত পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনা, আন্তঃপ্রতিষ্ঠান সমন্বয় এবং উদ্ধার কার্যক্রমের প্রস্তুতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্কুল–কলেজ থেকে অংশ নেওয়া ৩৭৫ জন মাঠ কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্র–ছাত্রীকে ২–৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম, প্রাথমিক চিকিৎসা এবং দলভিত্তিক সমন্বিত ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আয়োজকরা জানান, দুর্যোগ পরিস্থিতিতে কার্যকর ও দ্রুত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এই ধরনের মহড়া ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বরিশাল এলাকায় দুর্যোগ প্রস্তুতি আরও সুসংহত করতে সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:১৩
বরিশালে জলাবদ্ধতায় অকেজো হয়ে পড়া কৃষিজমি উদ্ধার ও খালে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনতে শুরু হয়েছে খাল পুনঃখনন। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) উদ্যোগে সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নে বিলের পোল থেকে নাপিত বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার স্বনির্ভর খাল খননের কাজ চলছে। একই সঙ্গে ১২ বছর আগে ভেঙে পড়া একটি কালভার্ট পুনর্নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে।
জানা যায়, সদ্য বদলি হওয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সরেজমিন পরিদর্শনের পর এই প্রকল্প আলোর মুখ দেখে। চরকাউয়া এলাকায় গিয়ে তিনি দেখেন, অপরিকল্পিত কালভার্ট ও ভরাট খালের কারণে প্রায় আড়াই হাজার একর জমি বছরের পর বছর জলাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। পরে তিনি দ্রুত খাল খনন প্রকল্প চালুর নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুসিকান্ত হাজং, বিএডিসির প্রকল্প পরিচালক ওয়াহিদ মুরাদ, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আল ইমরানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন বলেন, ‘বরিশালের ভরাট খালগুলো পর্যায়ক্রমে পুনঃখনন করা হবে। এতে জলাবদ্ধতা কমবে, কৃষি উৎপাদন বাড়বে এবং কৃষকের আয় বাড়বে।’
বিএডিসি বরিশাল কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, খালটি ৩০ ফুট প্রস্থ ও ৯ ফুট গভীরতায় খনন করা হবে। একই সঙ্গে একটি নতুন কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সরাসরি ও পরোক্ষভাবে প্রায় আড়াই হাজার একর কৃষিজমি জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হবে। সংস্থাটি জানায়, ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল-ভোলা-ঝালকাঠি-পিরোজপুর অঞ্চলে ৩০০ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন করা হবে।
স্থানীয় কৃষক আব্দুস সালাম মিয়া ও আজাহার আলী জানান, খাল পুনঃখননের ফলে বহু বছর ধরে পড়ে থাকা জমি আবার আবাদযোগ্য হবে। সেচসুবিধা বাড়বে, উৎপাদন ব্যয় কমবে, আর কৃষকদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তিও কমে আসবে। তাদের আশা, কাজটি সময়মতো ও সঠিকভাবে শেষ হলে এলাকার কৃষিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উত্তম ভৌমিক বলেন, ‘শুধুমাত্র চরকাউয়াই বছরে প্রায় দুই কোটি টাকার ধান ও অন্যান্য ফসল উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে, যদি জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণে আসে।’
বরিশালে জলাবদ্ধতায় অকেজো হয়ে পড়া কৃষিজমি উদ্ধার ও খালে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনতে শুরু হয়েছে খাল পুনঃখনন। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) উদ্যোগে সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নে বিলের পোল থেকে নাপিত বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার স্বনির্ভর খাল খননের কাজ চলছে। একই সঙ্গে ১২ বছর আগে ভেঙে পড়া একটি কালভার্ট পুনর্নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে।
জানা যায়, সদ্য বদলি হওয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সরেজমিন পরিদর্শনের পর এই প্রকল্প আলোর মুখ দেখে। চরকাউয়া এলাকায় গিয়ে তিনি দেখেন, অপরিকল্পিত কালভার্ট ও ভরাট খালের কারণে প্রায় আড়াই হাজার একর জমি বছরের পর বছর জলাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। পরে তিনি দ্রুত খাল খনন প্রকল্প চালুর নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুসিকান্ত হাজং, বিএডিসির প্রকল্প পরিচালক ওয়াহিদ মুরাদ, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আল ইমরানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন বলেন, ‘বরিশালের ভরাট খালগুলো পর্যায়ক্রমে পুনঃখনন করা হবে। এতে জলাবদ্ধতা কমবে, কৃষি উৎপাদন বাড়বে এবং কৃষকের আয় বাড়বে।’
বিএডিসি বরিশাল কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, খালটি ৩০ ফুট প্রস্থ ও ৯ ফুট গভীরতায় খনন করা হবে। একই সঙ্গে একটি নতুন কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সরাসরি ও পরোক্ষভাবে প্রায় আড়াই হাজার একর কৃষিজমি জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হবে। সংস্থাটি জানায়, ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল-ভোলা-ঝালকাঠি-পিরোজপুর অঞ্চলে ৩০০ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন করা হবে।
স্থানীয় কৃষক আব্দুস সালাম মিয়া ও আজাহার আলী জানান, খাল পুনঃখননের ফলে বহু বছর ধরে পড়ে থাকা জমি আবার আবাদযোগ্য হবে। সেচসুবিধা বাড়বে, উৎপাদন ব্যয় কমবে, আর কৃষকদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তিও কমে আসবে। তাদের আশা, কাজটি সময়মতো ও সঠিকভাবে শেষ হলে এলাকার কৃষিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উত্তম ভৌমিক বলেন, ‘শুধুমাত্র চরকাউয়াই বছরে প্রায় দুই কোটি টাকার ধান ও অন্যান্য ফসল উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে, যদি জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণে আসে।’

০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:০৫
বরিশালের গৌরনদীতে ৪ ডাকাত সদস্যকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে থেকে স্থানীয়রা তাদেরকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- বরিশাল শহরের বাসিন্দা অশোক, গৌরনদীর নলচিড়া গ্রামের হৃদয় ও তার ভাই তারেক, স্বরূপকাঠী এলাকার তসলিম।
আটকদের কাছ থেকে একটি সিএনজি ও ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মধ্যরাতে একটি সিএনজিতে চার যুবককে দেখে বাটাজোর বন্দরের পাহারাদারদের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে তাদের গতিরোধ করার চেষ্টাকালে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় ধাওয়া করে ওই সিএনজির চালকসহ চারজনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে আহতাবস্থায় আটক চারজনকে উদ্ধার করেছে। পরবর্তীতে আহতদের উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
বরিশালের গৌরনদীতে ৪ ডাকাত সদস্যকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে থেকে স্থানীয়রা তাদেরকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- বরিশাল শহরের বাসিন্দা অশোক, গৌরনদীর নলচিড়া গ্রামের হৃদয় ও তার ভাই তারেক, স্বরূপকাঠী এলাকার তসলিম।
আটকদের কাছ থেকে একটি সিএনজি ও ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মধ্যরাতে একটি সিএনজিতে চার যুবককে দেখে বাটাজোর বন্দরের পাহারাদারদের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে তাদের গতিরোধ করার চেষ্টাকালে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় ধাওয়া করে ওই সিএনজির চালকসহ চারজনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে আহতাবস্থায় আটক চারজনকে উদ্ধার করেছে। পরবর্তীতে আহতদের উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.