
০२ জুন, २০२५ २০:२१
৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর দেশ থেকে পলায়ন করা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস যেদিন চেয়ারে বসেছিলেন সেই তারিখ অনুযায়ী গতকাল রবিবার (১ জুন) পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে।
যে গেজেটের অধীনে তাকে মেয়র পদে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি), সেই গেজেট অনুসারে ডিএসসিসির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ফলে মেয়র পদে গেজেট পেলেও মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের।
এ দিকে ইশরাককে শপথ পড়ানোর দাবিতে ১৭ দিন ধরে আন্দোলন করছেন তার সমর্থকরা। ১৪ দিনের বেশি সময় ধরে নগর ভবনে তালা দিয়ে রেখেছেন তারা। আজ সোমবারও নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেন ইশরাক সমর্থকরা। এ সময় তারা বলেন, ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ালে নগর ভবনের তালা খুলতে দেওয়া হবে না। সব মিলিয়ে ধোঁয়াশায় আছেন সংশ্লিষ্টরা।
নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ে ডিএসসিসির মেয়র ঘোষণা করা হয় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে। এছাড়া এক মাস আগে সেই অনুযায়ী গেজেটও প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ১২টি বাধার কথা সামনে এনে ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর আয়োজন করেনি।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, সিটি করপোরেশন আইনানুযায়ী নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। তাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন।
নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে। এরপর শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাপস। তবে ফলাফল বাতিল করে নিজেকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দিতে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন ইশরাক।
ট্রাইব্যুনাল গত ২৭ মার্চ তাকে বিজয়ী ঘোষণা করতে ইসিকে নির্দেশ দিলে ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত গেজেটেই ইশরাকের নাম প্রতিস্থাপন করে সংশোধন আনে গত ২৭ এপ্রিল। এ দিকে তাপস মেয়র হওয়ার পর প্রথম সভা করেন ২০২০ সালের ২ জুন।
আইনানুযায়ী, তখন থেকে পাঁচ বছর হিসাব করলে মেয়াদপূর্ণ করার দিন ২০২৫ সালের ১ জুন। আর তাপসের সময় থেকেই মেয়াদ হিসেব করার পক্ষে মতামত দিচ্ছেন ইসি কর্মকর্তারা। তাদের যুক্তি, ইশরাকের নামে তো নতুন করে গেজেট হয়নি, আগের গেজেটেই কেবল তার নাম প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
পাঁচ বছর আগে ওই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে তাপস পেয়েছিলেন সোয়া চার লাখ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ইশরাক পান দুই লাখ ৩৬ হাজার ভোট। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক।
গতকাল রবিবার ইশরাক ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ গণমাধ্যমে বলেন, ‘ইশরাকের ব্যাপারে আদালতের কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি। অবজারভেশন ও নির্দেশনা যেটা আসবে সেই অনুযায়ী আমাদের এখান থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এটাই হচ্ছে আমাদের কাছে সর্বশেষ অবস্থা। আমি আপনাকে আবারো বলছি, কোনো কাগজ না পাওয়া পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দিতে পারবো না। আইনগতভাবে বিষয়টি কোনদিকে গড়াবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। কমিশনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়ার একটা নির্দিষ্ট পরিস্থিতি আছে। কাজেই কাগজটা আগে হাতে পাই, তখন আইনগত সিদ্ধান্ত।’
এরআগে, গত ২৯ মে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে করা লিভ টু আপিল (আপিলর অনুমতি চেয়ে আবেদন) করা হয়েছিল, তা পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালত আদেশে বলা হয়, এই মামলা থেকে উদ্ভূত প্রশ্নের সুরাহার বাধ্যবাধকতা সাংবিধানিক এবং আইনগতভাবে নির্বাচন কমিশনের রয়েছে।
তাই সর্বোচ্চ আদালতের এই আদেশের পরও ইশরাক হোসেনের মেয়র পদ নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যায়। শপথ নিয়ে তিনি এই পদে বসতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে তিন পক্ষ তিন ধরনের কথা বলেন।
এদিন আদালতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন আইনজীবী ইয়াসিন খান। লিভ টু আপিলের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জহিরুল ইসলাম মুসা। ইশরাকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম এহসানুর রহমান।
আদেশের পর লিভ টু আপিলকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘পর্যবেক্ষণ দিয়ে আদালত আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। আমরা আশা করব নির্বাচন কমিশন এখন যথা শিগগিরই নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে (যে রায়ে ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করা হয়) আপিল দায়ের করবে। আর যদি তা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা আবার আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’
এই আইনজীবী বলেন, ‘রিটের আদেশে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে বলেছেন, যারা পক্ষ ছিল (মামলার) তারা আপিল করতে পারবে। আপিল করার ক্ষেত্রে তাদের যদি নির্ধারিত সময়সীমা নিয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকে, তাহলে সেই বাধ্যবাধকতা মার্জনা করে হলেও তাদের (পক্ষগুলোর) আপিল গ্রহণ করতে হবে। আর আজ আপিল বিভাগ বলে দিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে।
এখন হাইকোর্ট আর আপিল বিভাগের আদশ একসঙ্গে পড়লে এটাই দাঁড়ায় যে, আপিল বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে আপিল করতে বলেছেন। ফলে ইশরাক হোসেনকে এখন আর শপথ পড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ গেজেটের মেয়াদ শেষ।’
ইশরাকের আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলকারী গেজেট স্থগিত চেয়েছিলেন। আপিল বিভাগ সেটি স্থগিত করেননি। কোর্ট পর্যবেক্ষণ দিয়ে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, এ ব্যাপারে ইসিই সিদ্ধান্ত নিবে।
ইসির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনকে আপিল করতে বলেছিল। কিন্তু ইসি চিঠি দিয়ে বলেছে, এই মামলার (নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের মামলা) কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষ না। আদালতের আদেশ অনুসারে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। ইসি আপিল করবে না।’
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে গত ১৪ মে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ। ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের জারি করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয় রিটে। সেই সঙ্গে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও রিটে চাওয়া হয়।
৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর দেশ থেকে পলায়ন করা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস যেদিন চেয়ারে বসেছিলেন সেই তারিখ অনুযায়ী গতকাল রবিবার (১ জুন) পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে।
যে গেজেটের অধীনে তাকে মেয়র পদে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি), সেই গেজেট অনুসারে ডিএসসিসির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ফলে মেয়র পদে গেজেট পেলেও মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের।
এ দিকে ইশরাককে শপথ পড়ানোর দাবিতে ১৭ দিন ধরে আন্দোলন করছেন তার সমর্থকরা। ১৪ দিনের বেশি সময় ধরে নগর ভবনে তালা দিয়ে রেখেছেন তারা। আজ সোমবারও নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেন ইশরাক সমর্থকরা। এ সময় তারা বলেন, ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ালে নগর ভবনের তালা খুলতে দেওয়া হবে না। সব মিলিয়ে ধোঁয়াশায় আছেন সংশ্লিষ্টরা।
নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ে ডিএসসিসির মেয়র ঘোষণা করা হয় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে। এছাড়া এক মাস আগে সেই অনুযায়ী গেজেটও প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ১২টি বাধার কথা সামনে এনে ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর আয়োজন করেনি।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, সিটি করপোরেশন আইনানুযায়ী নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। তাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন।
নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে। এরপর শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাপস। তবে ফলাফল বাতিল করে নিজেকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দিতে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন ইশরাক।
ট্রাইব্যুনাল গত ২৭ মার্চ তাকে বিজয়ী ঘোষণা করতে ইসিকে নির্দেশ দিলে ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত গেজেটেই ইশরাকের নাম প্রতিস্থাপন করে সংশোধন আনে গত ২৭ এপ্রিল। এ দিকে তাপস মেয়র হওয়ার পর প্রথম সভা করেন ২০২০ সালের ২ জুন।
আইনানুযায়ী, তখন থেকে পাঁচ বছর হিসাব করলে মেয়াদপূর্ণ করার দিন ২০২৫ সালের ১ জুন। আর তাপসের সময় থেকেই মেয়াদ হিসেব করার পক্ষে মতামত দিচ্ছেন ইসি কর্মকর্তারা। তাদের যুক্তি, ইশরাকের নামে তো নতুন করে গেজেট হয়নি, আগের গেজেটেই কেবল তার নাম প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
পাঁচ বছর আগে ওই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে তাপস পেয়েছিলেন সোয়া চার লাখ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ইশরাক পান দুই লাখ ৩৬ হাজার ভোট। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক।
গতকাল রবিবার ইশরাক ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ গণমাধ্যমে বলেন, ‘ইশরাকের ব্যাপারে আদালতের কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি। অবজারভেশন ও নির্দেশনা যেটা আসবে সেই অনুযায়ী আমাদের এখান থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এটাই হচ্ছে আমাদের কাছে সর্বশেষ অবস্থা। আমি আপনাকে আবারো বলছি, কোনো কাগজ না পাওয়া পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দিতে পারবো না। আইনগতভাবে বিষয়টি কোনদিকে গড়াবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। কমিশনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়ার একটা নির্দিষ্ট পরিস্থিতি আছে। কাজেই কাগজটা আগে হাতে পাই, তখন আইনগত সিদ্ধান্ত।’
এরআগে, গত ২৯ মে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে করা লিভ টু আপিল (আপিলর অনুমতি চেয়ে আবেদন) করা হয়েছিল, তা পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালত আদেশে বলা হয়, এই মামলা থেকে উদ্ভূত প্রশ্নের সুরাহার বাধ্যবাধকতা সাংবিধানিক এবং আইনগতভাবে নির্বাচন কমিশনের রয়েছে।
তাই সর্বোচ্চ আদালতের এই আদেশের পরও ইশরাক হোসেনের মেয়র পদ নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যায়। শপথ নিয়ে তিনি এই পদে বসতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে তিন পক্ষ তিন ধরনের কথা বলেন।
এদিন আদালতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন আইনজীবী ইয়াসিন খান। লিভ টু আপিলের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জহিরুল ইসলাম মুসা। ইশরাকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম এহসানুর রহমান।
আদেশের পর লিভ টু আপিলকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘পর্যবেক্ষণ দিয়ে আদালত আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। আমরা আশা করব নির্বাচন কমিশন এখন যথা শিগগিরই নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে (যে রায়ে ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করা হয়) আপিল দায়ের করবে। আর যদি তা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা আবার আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’
এই আইনজীবী বলেন, ‘রিটের আদেশে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে বলেছেন, যারা পক্ষ ছিল (মামলার) তারা আপিল করতে পারবে। আপিল করার ক্ষেত্রে তাদের যদি নির্ধারিত সময়সীমা নিয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকে, তাহলে সেই বাধ্যবাধকতা মার্জনা করে হলেও তাদের (পক্ষগুলোর) আপিল গ্রহণ করতে হবে। আর আজ আপিল বিভাগ বলে দিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে।
এখন হাইকোর্ট আর আপিল বিভাগের আদশ একসঙ্গে পড়লে এটাই দাঁড়ায় যে, আপিল বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে আপিল করতে বলেছেন। ফলে ইশরাক হোসেনকে এখন আর শপথ পড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ গেজেটের মেয়াদ শেষ।’
ইশরাকের আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলকারী গেজেট স্থগিত চেয়েছিলেন। আপিল বিভাগ সেটি স্থগিত করেননি। কোর্ট পর্যবেক্ষণ দিয়ে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, এ ব্যাপারে ইসিই সিদ্ধান্ত নিবে।
ইসির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনকে আপিল করতে বলেছিল। কিন্তু ইসি চিঠি দিয়ে বলেছে, এই মামলার (নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের মামলা) কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষ না। আদালতের আদেশ অনুসারে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। ইসি আপিল করবে না।’
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে গত ১৪ মে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ। ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের জারি করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয় রিটে। সেই সঙ্গে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও রিটে চাওয়া হয়।
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १९:२५
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १८:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १७:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १६:০০

१३ ডিসেম্বর, २০२५ १९:२५
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সামনে রেখে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) পরিপত্র-২ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট পেতে হবে। অন্যথায় জামানত বাবদ জমা দেওয়া ৫০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত হবে।
ইসি সচিবালয়ের উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা) মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এ পরিপত্রে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল ও গ্রহণ, জামানত, প্রস্তাবকারী-সমর্থনকারীর যোগ্যতা, রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মনোনয়ন, মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের তথ্য প্রদান, মনোনয়নপত্র বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহার, বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
ইসির জারি করা পরিপত্রে দেখা যায়, কোনো প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট পেতে হবে। অন্যথায় জামানত বাবদ জমা দেওয়া ৫০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীকে ৫০ হাজার টাকা জামানত জমা দিতে হবে। এ অর্থ নগদ, ব্যাংক ড্রাফট, পে-অর্ডার বা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে ইসির অনুকূলে জমা দেওয়া যাবে।
একই নির্বাচনী এলাকায় একাধিক মনোনয়নপত্র দিলে একটি জামানতই যথেষ্ট হবে। অন্য মনোনয়নপত্রের সঙ্গে চালানের সত্যায়িত অনুলিপি দিতে হবে। জামানতের বাইরে কোনো অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ বা প্রদান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। জামানতের অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক, যেকোনো ব্যাংক বা সরকারি ট্রেজারি বা সাব ট্রেজারিতে ১০৯০৩০২১০১৪৪৩-৮১১৩৫০১ কোড নম্বরে জমা দিতে হবে।
নগদে প্রাপ্ত জামানতের অর্থ রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং অফিসার সরকারি খাতে জমা দেবেন।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিল : পরিপত্রে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সম্ভাব্য প্রার্থীরা রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে সরাসরি দাখিলের জন্য মনোনয়ন ফরম (ফরম-১) সংগ্রহ করবেন। ইতিমধ্যে এসব ফরম ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ ফরম বিতরণের জন্য আলাদা রেজিস্টার সংরক্ষণ করতে হবে।
সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ১২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, যোগ্য ব্যক্তিরা যথাযথভাবে পূরণ করা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দেবেন।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যেকোনো দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল বা জমা দেওয়া যাবে।
মনোনয়নপত্র জমাদান : ইসির নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন। ওই দিন বা তার আগের যেকোনো দিনে প্রার্থী, প্রস্তাবকারী বা সমর্থনকারী মনোনয়নপত্র দাখিল করলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুচ্ছেদ ১২ এর (৩) অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসার তা গ্রহণ করবেন।
অফিসারগণ মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার সময় নির্ধারিত স্থানে ক্রমিক নম্বর দেবেন। রিটার্নিং অফিসার মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার সময় ‘রিঅ-’ এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার ‘সরিঅ-’ লিখে নম্বর দেবেন। এক প্রার্থী একাধিক মনোনয়নপত্র জমা দিলে প্রথমটিতে পূর্ণ নম্বর এবং অন্যগুলোর ক্ষেত্রে বন্ধনীতে (ক), (খ) বা (১), (২) ব্যবহার করা যাবে।
প্রাপ্তি রসিদ ও বাছাইয়ের নোটিশ : মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার সময় প্রতিটি মনোনয়নপত্রের তথ্য রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে মনোনয়নপত্রের তৃতীয় অংশে দাখিলকারীর নাম, জমাদানের তারিখ ও সময় উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া, নির্বাচনি এলাকার নাম ও নম্বর, প্রার্থীর নাম, মনোনয়নপত্র জমার তারিখ ও সময় এবং বাছাইয়ের নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থান উল্লেখ করে মনোনয়নপত্রের পঞ্চম অংশে যুক্ত থাকা প্রাপ্তিস্বীকার রসিদ তাৎক্ষণিকভাবে প্রার্থী বা প্রস্তাবকারী বা সমর্থনকারীকে দিতে হবে।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার থেকে মনোনয়নপত্র প্রেরণ : ইসির জারি করা পরিপত্রে বলা হয়, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের ক্ষমতা রিটার্নিং অফিসারের ওপর ন্যস্ত। তাই সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে দাখিলকৃত সব মনোনয়নপত্র ২৯ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার পরপরই নিরাপত্তার সঙ্গে রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাতে হবে।
প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর যোগ্যতা : গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার যে কোনো ভোটার সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে প্রস্তাব বা সমর্থন করতে পারবেন। তবে প্রস্তাবকারী বা সমর্থনকারী হিসেবে কেউ একাধিক মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করতে পারবেন না। প্রতিটি মনোনয়নপত্রে প্রার্থীর সম্মতি, অযোগ্যতা না থাকার ঘোষণা এবং তিনটির বেশি নির্বাচনি এলাকায় মনোনয়ন জমা না দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে।
রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মনোনয়ন : রাজনৈতিক দলের প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দলের নিজস্ব প্যাডে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারীর স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে। একটি নির্বাচনি এলাকায় যদি কোনো রাজনৈতিক দল একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়, তবে আগামী ২০ জানুয়ারি বিকেল ৫টার মধ্যে চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম লিখিতভাবে রিটার্নিং অফিসারকে জানাতে হবে। চূড়ান্তভাবে মনোনীত প্রার্থী দলীয় প্রতীক পাবেন, যদি না তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। প্রতীক বরাদ্দ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পরে আলাদা পরিপত্রে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ইসি।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সামনে রেখে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) পরিপত্র-২ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট পেতে হবে। অন্যথায় জামানত বাবদ জমা দেওয়া ৫০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত হবে।
ইসি সচিবালয়ের উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা) মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এ পরিপত্রে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল ও গ্রহণ, জামানত, প্রস্তাবকারী-সমর্থনকারীর যোগ্যতা, রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মনোনয়ন, মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের তথ্য প্রদান, মনোনয়নপত্র বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহার, বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
ইসির জারি করা পরিপত্রে দেখা যায়, কোনো প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট পেতে হবে। অন্যথায় জামানত বাবদ জমা দেওয়া ৫০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীকে ৫০ হাজার টাকা জামানত জমা দিতে হবে। এ অর্থ নগদ, ব্যাংক ড্রাফট, পে-অর্ডার বা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে ইসির অনুকূলে জমা দেওয়া যাবে।
একই নির্বাচনী এলাকায় একাধিক মনোনয়নপত্র দিলে একটি জামানতই যথেষ্ট হবে। অন্য মনোনয়নপত্রের সঙ্গে চালানের সত্যায়িত অনুলিপি দিতে হবে। জামানতের বাইরে কোনো অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ বা প্রদান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। জামানতের অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক, যেকোনো ব্যাংক বা সরকারি ট্রেজারি বা সাব ট্রেজারিতে ১০৯০৩০২১০১৪৪৩-৮১১৩৫০১ কোড নম্বরে জমা দিতে হবে।
নগদে প্রাপ্ত জামানতের অর্থ রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং অফিসার সরকারি খাতে জমা দেবেন।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিল : পরিপত্রে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সম্ভাব্য প্রার্থীরা রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে সরাসরি দাখিলের জন্য মনোনয়ন ফরম (ফরম-১) সংগ্রহ করবেন। ইতিমধ্যে এসব ফরম ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ ফরম বিতরণের জন্য আলাদা রেজিস্টার সংরক্ষণ করতে হবে।
সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ১২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, যোগ্য ব্যক্তিরা যথাযথভাবে পূরণ করা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দেবেন।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যেকোনো দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল বা জমা দেওয়া যাবে।
মনোনয়নপত্র জমাদান : ইসির নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন। ওই দিন বা তার আগের যেকোনো দিনে প্রার্থী, প্রস্তাবকারী বা সমর্থনকারী মনোনয়নপত্র দাখিল করলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুচ্ছেদ ১২ এর (৩) অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসার তা গ্রহণ করবেন।
অফিসারগণ মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার সময় নির্ধারিত স্থানে ক্রমিক নম্বর দেবেন। রিটার্নিং অফিসার মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার সময় ‘রিঅ-’ এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার ‘সরিঅ-’ লিখে নম্বর দেবেন। এক প্রার্থী একাধিক মনোনয়নপত্র জমা দিলে প্রথমটিতে পূর্ণ নম্বর এবং অন্যগুলোর ক্ষেত্রে বন্ধনীতে (ক), (খ) বা (১), (২) ব্যবহার করা যাবে।
প্রাপ্তি রসিদ ও বাছাইয়ের নোটিশ : মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার সময় প্রতিটি মনোনয়নপত্রের তথ্য রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে মনোনয়নপত্রের তৃতীয় অংশে দাখিলকারীর নাম, জমাদানের তারিখ ও সময় উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া, নির্বাচনি এলাকার নাম ও নম্বর, প্রার্থীর নাম, মনোনয়নপত্র জমার তারিখ ও সময় এবং বাছাইয়ের নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থান উল্লেখ করে মনোনয়নপত্রের পঞ্চম অংশে যুক্ত থাকা প্রাপ্তিস্বীকার রসিদ তাৎক্ষণিকভাবে প্রার্থী বা প্রস্তাবকারী বা সমর্থনকারীকে দিতে হবে।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার থেকে মনোনয়নপত্র প্রেরণ : ইসির জারি করা পরিপত্রে বলা হয়, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের ক্ষমতা রিটার্নিং অফিসারের ওপর ন্যস্ত। তাই সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে দাখিলকৃত সব মনোনয়নপত্র ২৯ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার পরপরই নিরাপত্তার সঙ্গে রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাতে হবে।
প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর যোগ্যতা : গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার যে কোনো ভোটার সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে প্রস্তাব বা সমর্থন করতে পারবেন। তবে প্রস্তাবকারী বা সমর্থনকারী হিসেবে কেউ একাধিক মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করতে পারবেন না। প্রতিটি মনোনয়নপত্রে প্রার্থীর সম্মতি, অযোগ্যতা না থাকার ঘোষণা এবং তিনটির বেশি নির্বাচনি এলাকায় মনোনয়ন জমা না দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে।
রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মনোনয়ন : রাজনৈতিক দলের প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দলের নিজস্ব প্যাডে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারীর স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে। একটি নির্বাচনি এলাকায় যদি কোনো রাজনৈতিক দল একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়, তবে আগামী ২০ জানুয়ারি বিকেল ৫টার মধ্যে চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম লিখিতভাবে রিটার্নিং অফিসারকে জানাতে হবে। চূড়ান্তভাবে মনোনীত প্রার্থী দলীয় প্রতীক পাবেন, যদি না তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। প্রতীক বরাদ্দ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পরে আলাদা পরিপত্রে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ইসি।

१३ ডিসেম্বর, २০२५ ११:४९
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা সন্দেহভাজন ব্যক্তি ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়েছিলেন। গত ৯ ডিসেম্বর কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনাও শুনছিলেন।
ডিজিটাল ইনভেস্টিগেটিভ মিডিয়া দ্য ডিসেন্ট হাদিকে গুলি করা করা ব্যক্তি, হাদির নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নেওয়া ব্যক্তি ও ৯ ডিসেম্বর ইনকিবাল কালচারাল সেন্টারে যাওয়া ব্যক্তির একাধিক ছবি তুলনামূলকভাবে যাচাই করে এই দাবি করেছে।
দ্য ডিসেন্ট জানিয়েছে, তিন ঘটনায় যে ব্যক্তি সামনে আসছে, তার সঙ্গে ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান নামক এক ব্যক্তির চেহারা মিলে যাচ্ছে।
দ্য ডিসেন্টের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে জানানো হয়, ইনকিলাব কালাচারাল সেন্টার থেকে সংগৃহীত ৯ ডিসেম্বরের সিসিটিভি ফুটেজ, পুলিশের সংগৃহীত ১২ ডিসেম্বরের হামলার সিসিটিভি ফুটেজ, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এবং ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ফয়সাল করিম মাসুদ নামক অ্যাকাউন্ট এবং আওয়ামীপন্থি বিভিন্ন পেজ ও ব্যক্তির প্রোফাইলে পোস্ট করা ৫০টিও বেশি ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ওসমান হাদির ওপর বাইকের পেছন থেকে গুলি করা ব্যক্তিটির চেহারার সঙ্গে ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান নামের এক ব্যক্তির চেহারা মিলে যাচ্ছে। তিনি রাজধানীর আদাবর থানা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন বলে সংবাদমাধ্যমে পুরোনো খবর থেকে জানা গেছে।
দুটি ফেইস ডিটেকশন অ্যাপে ফয়সাল করিমের একাধিক ছবি তুলনামূলকভাবে যাচাই করেও ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের সিসি ফুটেজে দৃশ্যমান ব্যক্তির মিল পাওয়া গেছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, গুলি করা ব্যক্তির বাম হাতে থাকা বিশেষ ডিজাইনের ঘড়িটির সঙ্গে একই ডিজাইনের ঘড়ি পরা একাধিক ছবি ফয়সাল করিম মাসুদের ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুক প্রোফাইলে পাওয়া গেছে।
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে একাধিক মূলধারার সংবাদমাধ্যমে ফয়সাল করিমের ছবিসহ খবর প্রকাশিত হয়েছিল। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আদাবর এলাকায় একটি অফিসে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুট ও ডাকাতির মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে ফয়সাল করিম র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। যদিও পরে কীভাবে তিনি ছাড়া পান, সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছেন, ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। ফয়সাল করিম মাসুদ (ছদ্মনাম দাউদ বিন ফয়সাল) নামের এই ব্যক্তি সাবেক ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি, ঢাকা মহানগর উত্তর এবং আদাবর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
সায়ের একটি ছবিও শেয়ার করেছেন, যেটি ৯ ডিসেম্বর ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে তোলা। ছবিটির কথা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ছবিতে লালবৃত্তে চিহ্নিত ফয়সাল গত ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ওসমান হাদির ঠিক পাশে বসে ছিলেন একটি বৈঠকে। তিনি জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আসাদুজ্জামান খান কামালের বিশ্বস্ত অনুসারী বলে জানা গেছে।
শুক্রবার দুপুরের দিকে রাজধানীর পল্টনের বিজয়নগর এলাকায় মোটরসাইকেলে এসে দুই দুর্বৃত্ত গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওসমান হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাদিলে গুলি করা ব্যক্তিদের ধরতে এরইমধ্যে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাপিড অ্যানকশন ব্যাটালিয়নসহ (র্যাব) যৌথ বাহিনী।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা সন্দেহভাজন ব্যক্তি ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়েছিলেন। গত ৯ ডিসেম্বর কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনাও শুনছিলেন।
ডিজিটাল ইনভেস্টিগেটিভ মিডিয়া দ্য ডিসেন্ট হাদিকে গুলি করা করা ব্যক্তি, হাদির নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নেওয়া ব্যক্তি ও ৯ ডিসেম্বর ইনকিবাল কালচারাল সেন্টারে যাওয়া ব্যক্তির একাধিক ছবি তুলনামূলকভাবে যাচাই করে এই দাবি করেছে।
দ্য ডিসেন্ট জানিয়েছে, তিন ঘটনায় যে ব্যক্তি সামনে আসছে, তার সঙ্গে ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান নামক এক ব্যক্তির চেহারা মিলে যাচ্ছে।
দ্য ডিসেন্টের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে জানানো হয়, ইনকিলাব কালাচারাল সেন্টার থেকে সংগৃহীত ৯ ডিসেম্বরের সিসিটিভি ফুটেজ, পুলিশের সংগৃহীত ১২ ডিসেম্বরের হামলার সিসিটিভি ফুটেজ, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এবং ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ফয়সাল করিম মাসুদ নামক অ্যাকাউন্ট এবং আওয়ামীপন্থি বিভিন্ন পেজ ও ব্যক্তির প্রোফাইলে পোস্ট করা ৫০টিও বেশি ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ওসমান হাদির ওপর বাইকের পেছন থেকে গুলি করা ব্যক্তিটির চেহারার সঙ্গে ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান নামের এক ব্যক্তির চেহারা মিলে যাচ্ছে। তিনি রাজধানীর আদাবর থানা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন বলে সংবাদমাধ্যমে পুরোনো খবর থেকে জানা গেছে।
দুটি ফেইস ডিটেকশন অ্যাপে ফয়সাল করিমের একাধিক ছবি তুলনামূলকভাবে যাচাই করেও ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের সিসি ফুটেজে দৃশ্যমান ব্যক্তির মিল পাওয়া গেছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, গুলি করা ব্যক্তির বাম হাতে থাকা বিশেষ ডিজাইনের ঘড়িটির সঙ্গে একই ডিজাইনের ঘড়ি পরা একাধিক ছবি ফয়সাল করিম মাসুদের ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুক প্রোফাইলে পাওয়া গেছে।
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে একাধিক মূলধারার সংবাদমাধ্যমে ফয়সাল করিমের ছবিসহ খবর প্রকাশিত হয়েছিল। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আদাবর এলাকায় একটি অফিসে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুট ও ডাকাতির মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে ফয়সাল করিম র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। যদিও পরে কীভাবে তিনি ছাড়া পান, সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছেন, ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। ফয়সাল করিম মাসুদ (ছদ্মনাম দাউদ বিন ফয়সাল) নামের এই ব্যক্তি সাবেক ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি, ঢাকা মহানগর উত্তর এবং আদাবর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
সায়ের একটি ছবিও শেয়ার করেছেন, যেটি ৯ ডিসেম্বর ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে তোলা। ছবিটির কথা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ছবিতে লালবৃত্তে চিহ্নিত ফয়সাল গত ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ওসমান হাদির ঠিক পাশে বসে ছিলেন একটি বৈঠকে। তিনি জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আসাদুজ্জামান খান কামালের বিশ্বস্ত অনুসারী বলে জানা গেছে।
শুক্রবার দুপুরের দিকে রাজধানীর পল্টনের বিজয়নগর এলাকায় মোটরসাইকেলে এসে দুই দুর্বৃত্ত গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওসমান হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাদিলে গুলি করা ব্যক্তিদের ধরতে এরইমধ্যে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাপিড অ্যানকশন ব্যাটালিয়নসহ (র্যাব) যৌথ বাহিনী।

१२ ডিসেম্বর, २০२५ ११:४२
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর)। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) থেকে মাঠে নামছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন এসংক্রান্ত চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চলমান।
তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকে ভোটগ্রহণের দুদিন পর পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট আইনের আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালনে প্রতি উপজেলা-থানায় ন্যূনতম দুজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এ জন্য আচরণবিধি প্রতিপালনে প্রতি উপজেলা-থানায় ন্যূনতম দুজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর)। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) থেকে মাঠে নামছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন এসংক্রান্ত চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চলমান।
তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকে ভোটগ্রহণের দুদিন পর পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট আইনের আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালনে প্রতি উপজেলা-থানায় ন্যূনতম দুজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এ জন্য আচরণবিধি প্রতিপালনে প্রতি উপজেলা-থানায় ন্যূনতম দুজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.