১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৬:৩৮
র্যাব সদস্য পরিচয়ে তিনজন পান ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নগদ অর্থ ছিনতাইয়ের ঘটনায় শ্রমিকদলের নেতাসহ তিনজন ভূয়া র্যাব সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের অপর সহযোগিরা পালিয়ে গেছেন।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের আমবাড়ি গ্রামে।
অপরদিকে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত ভূয়া র্যাব সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের বাগধা ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মোল্লাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে আগৈলঝাড়া উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আল সজল আলাল ও সাধারণ সম্পাদক সিকদার মো. লিটন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বহিস্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. অলিউল ইসলাম জানিয়েছেন, আমবাড়ি এলাকা থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে র্যাব পরিচয়ে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় থানা পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় গ্রেপ্তারকৃতদের গায়ে র্যাবের পোশাক পরা ছিল।
ওসি আরও জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের নাঘিরপাড় গ্রামের মৃত আব্দুল মাজেদ মোল্লার ছেলে ও বাগধা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মোল্লা (৪০), একই উপজেলার উত্তর চাঁদত্রিশিরা গ্রামের দুলাল মোল্লার ছেলে রমজান মোল্লা (২৮) এবং বাকাল ইউনিয়নের পূর্ব পয়সা গ্রামের নগেন হালদারের ছেলে নরত্তোম হালদার (৩৪)।
অভিযানের সময় গ্রেপ্তারকৃতদের অপর সহযোগী সুমনসহ অন্যান্যরা হ্যান্ডকাফ, অস্ত্র ও মোটরসাইকেল নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বিপুল ঢালী বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত তিনজন ভূয়া র্যাব সদস্যসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই সৌমেন বিশ্বাস এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে আমবাড়ি গ্রামের খগেন ঢালীর ছেলে বিপুল ঢালী, অপর পান ব্যবসায়ী পলাশ মন্ডল ও চঞ্চল কর্মকার পান বিক্রি করে বাড়িতে ফিরছিলেন।
পথিমধ্যে রাত সোয়া নয়টার দিকে স্থানীয় নিরঞ্জন ঢালীর মুদি দোকানের পূর্ব পাশে পৌঁছালে র্যাবের পোশাক গায়ে, পিস্তল ও হ্যান্ডকাপ হাতে ৫/৬ জন ব্যক্তি র্যাব পরিচয়ে তাদের পথরোধ করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ব্যবসায়ীদের কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে। একপর্যায়ে র্যাব পরিচয় প্রদানকারীরা তল্লাশীর নামে ব্যবসায়ীদের কাছে থাকা নগদ অর্থ জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়।
সূত্রে আরও জানা গেছে, নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয়ার পর র্যাব পরিচয় দেয়া ব্যক্তিদের ওপর ব্যবসায়ীদের সন্দেহ হয়। তাৎক্ষণিক তারা বিষয়টি মোবাইল ফোনে থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে বাটরাগামী ব্রিজের ওপর থেকে র্যাবের পোশাক পরিহিত উল্লেখিত তিনজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা ভূয়া র্যাব সদস্য বলে স্বীকার করেন। পরবর্তীতে তাদের গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়। অভিযানের সময় গ্রেপ্তারকৃতদের সহযোগী সুমনসহ অন্যান্যরা পিস্তল, হ্যান্ডকাফ ও মোটরসাইকেলসহ কৌশলে পালিয়ে যায়।
র্যাব সদস্য পরিচয়ে তিনজন পান ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নগদ অর্থ ছিনতাইয়ের ঘটনায় শ্রমিকদলের নেতাসহ তিনজন ভূয়া র্যাব সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের অপর সহযোগিরা পালিয়ে গেছেন।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের আমবাড়ি গ্রামে।
অপরদিকে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত ভূয়া র্যাব সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের বাগধা ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মোল্লাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে আগৈলঝাড়া উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আল সজল আলাল ও সাধারণ সম্পাদক সিকদার মো. লিটন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বহিস্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. অলিউল ইসলাম জানিয়েছেন, আমবাড়ি এলাকা থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে র্যাব পরিচয়ে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় থানা পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় গ্রেপ্তারকৃতদের গায়ে র্যাবের পোশাক পরা ছিল।
ওসি আরও জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের নাঘিরপাড় গ্রামের মৃত আব্দুল মাজেদ মোল্লার ছেলে ও বাগধা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মোল্লা (৪০), একই উপজেলার উত্তর চাঁদত্রিশিরা গ্রামের দুলাল মোল্লার ছেলে রমজান মোল্লা (২৮) এবং বাকাল ইউনিয়নের পূর্ব পয়সা গ্রামের নগেন হালদারের ছেলে নরত্তোম হালদার (৩৪)।
অভিযানের সময় গ্রেপ্তারকৃতদের অপর সহযোগী সুমনসহ অন্যান্যরা হ্যান্ডকাফ, অস্ত্র ও মোটরসাইকেল নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বিপুল ঢালী বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত তিনজন ভূয়া র্যাব সদস্যসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই সৌমেন বিশ্বাস এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে আমবাড়ি গ্রামের খগেন ঢালীর ছেলে বিপুল ঢালী, অপর পান ব্যবসায়ী পলাশ মন্ডল ও চঞ্চল কর্মকার পান বিক্রি করে বাড়িতে ফিরছিলেন।
পথিমধ্যে রাত সোয়া নয়টার দিকে স্থানীয় নিরঞ্জন ঢালীর মুদি দোকানের পূর্ব পাশে পৌঁছালে র্যাবের পোশাক গায়ে, পিস্তল ও হ্যান্ডকাপ হাতে ৫/৬ জন ব্যক্তি র্যাব পরিচয়ে তাদের পথরোধ করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ব্যবসায়ীদের কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে। একপর্যায়ে র্যাব পরিচয় প্রদানকারীরা তল্লাশীর নামে ব্যবসায়ীদের কাছে থাকা নগদ অর্থ জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়।
সূত্রে আরও জানা গেছে, নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয়ার পর র্যাব পরিচয় দেয়া ব্যক্তিদের ওপর ব্যবসায়ীদের সন্দেহ হয়। তাৎক্ষণিক তারা বিষয়টি মোবাইল ফোনে থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে বাটরাগামী ব্রিজের ওপর থেকে র্যাবের পোশাক পরিহিত উল্লেখিত তিনজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা ভূয়া র্যাব সদস্য বলে স্বীকার করেন। পরবর্তীতে তাদের গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়। অভিযানের সময় গ্রেপ্তারকৃতদের সহযোগী সুমনসহ অন্যান্যরা পিস্তল, হ্যান্ডকাফ ও মোটরসাইকেলসহ কৌশলে পালিয়ে যায়।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:০২
বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় ১১ জেলেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) হিজলার মেঘনা নদীতে কোস্ট গার্ড সদস্যদের সহযোগিতায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম জানান, অভিযানে আটক ১১ জনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইলিয়াস সিকদার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচজনকে আট দিন করে কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া বাকিদের মধ্যে একজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও চারজনকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বয়স কম থাকায় এক কিশোরকে মুচলেকার মাধ্যমে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় ১১ জেলেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) হিজলার মেঘনা নদীতে কোস্ট গার্ড সদস্যদের সহযোগিতায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম জানান, অভিযানে আটক ১১ জনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইলিয়াস সিকদার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচজনকে আট দিন করে কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া বাকিদের মধ্যে একজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও চারজনকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বয়স কম থাকায় এক কিশোরকে মুচলেকার মাধ্যমে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:২২
বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ সেই ৩৪টি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের তিনতলা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে এই ভবনসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বসবাসরতদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে সিটি প্রশাসন ঘোষণা করে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে ভবনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেপরে এনিয়ে দৈনির রূপালী বাংলাদেশসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়।
সূত্র জানায়, কীর্তনখোলার তীরের শহর বরিশালের ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসি। ২০১৩ সালের জরিপে এসব ভবনকে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ভবনের বেশিরভাগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বেশ কয়েকবার ভাঙার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। এবং ভবনগুলো যে আইনগতভাবে ভাঙতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা এড়াতে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপরতা দেখায়নি বা নিশ্চুপ হয়ে যায়।
জানা গেছে, সদর রোডসংলগ্ন বহুতল ভবন দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল অবৈধভাকে দখল করে রেখেছিলেন। এই কাজী কামলা বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শ্যালক। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বরিশালে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন। সদর রোডে ভবন দুটির নিচের দোকান দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিজে দখল করে রাখেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে আছেন।
একটি ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তাঁর চাচা উলফাত হাজি এবং শুককুর হাজি ১৯৬০ সালে একটি ভবন ও ৩০ বছর আগে আরেকটি ভবন সদর রোডে নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে একটি পাকা ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং পাশের ভবন ঘেঁষে হেলে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু প্রভাবশালী ভাড়াটেরা জোর করে দখলে রাখায় ওই সময় ভাঙার ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে ভবন ভাঙার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেন নজরুল ইসলাম। তারপর ভবনটি শুক্রবার সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উলফাত এবং শাকুর ম্যানশন নামের ওই দুটি ভবন ইতিপূর্বে ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটেরা আদালতে গেছেন। আমরা কোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় পেয়েছি। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে সেখানে নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও ভাড়াটেরা দখল ছাড়েননি। শুক্রবার সকালে তাদের চূড়ান্তভাবে চলে যাওয়ার নোটিস দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু হয়। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা সম্ভব।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোড কাজি অফিসের পেছনে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডে মহিলা কলেজসংলগ্ন মনু মিয়ার ভবন এবং সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবনসহ ৩৪টি ভবনই পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অনুমোদনহীন এমন কিছু ভবনও রয়েছে।’
বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ সেই ৩৪টি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের তিনতলা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে এই ভবনসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বসবাসরতদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে সিটি প্রশাসন ঘোষণা করে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে ভবনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেপরে এনিয়ে দৈনির রূপালী বাংলাদেশসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়।
সূত্র জানায়, কীর্তনখোলার তীরের শহর বরিশালের ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসি। ২০১৩ সালের জরিপে এসব ভবনকে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ভবনের বেশিরভাগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বেশ কয়েকবার ভাঙার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। এবং ভবনগুলো যে আইনগতভাবে ভাঙতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা এড়াতে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপরতা দেখায়নি বা নিশ্চুপ হয়ে যায়।
জানা গেছে, সদর রোডসংলগ্ন বহুতল ভবন দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল অবৈধভাকে দখল করে রেখেছিলেন। এই কাজী কামলা বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শ্যালক। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বরিশালে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন। সদর রোডে ভবন দুটির নিচের দোকান দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিজে দখল করে রাখেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে আছেন।
একটি ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তাঁর চাচা উলফাত হাজি এবং শুককুর হাজি ১৯৬০ সালে একটি ভবন ও ৩০ বছর আগে আরেকটি ভবন সদর রোডে নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে একটি পাকা ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং পাশের ভবন ঘেঁষে হেলে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু প্রভাবশালী ভাড়াটেরা জোর করে দখলে রাখায় ওই সময় ভাঙার ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে ভবন ভাঙার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেন নজরুল ইসলাম। তারপর ভবনটি শুক্রবার সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উলফাত এবং শাকুর ম্যানশন নামের ওই দুটি ভবন ইতিপূর্বে ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটেরা আদালতে গেছেন। আমরা কোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় পেয়েছি। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে সেখানে নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও ভাড়াটেরা দখল ছাড়েননি। শুক্রবার সকালে তাদের চূড়ান্তভাবে চলে যাওয়ার নোটিস দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু হয়। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা সম্ভব।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোড কাজি অফিসের পেছনে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডে মহিলা কলেজসংলগ্ন মনু মিয়ার ভবন এবং সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবনসহ ৩৪টি ভবনই পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অনুমোদনহীন এমন কিছু ভবনও রয়েছে।’
১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:২৯
বরিশালের উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান ইকবালকে গ্রেপ্তার করেছে দিনাজপুর জেলা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান ইকবালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এ খবরটি উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে জানানো হয় বলে সাংবাদিকদের জানান (ওসি) মো. আব্দুস সালাম। ওসি আরও জানান, তবে তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে দিনাজপুর আদালতে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) হাজির করা হবে।
ওসি বলেন, তাকে আটকের পর দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানায় রাখা হয়েছিল। উজিরপুর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা রয়েছে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদ কর্মীদের জানান, এই মুহূর্তে জানানো সম্ভব হচ্ছে না তবে মামলার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি জানাবেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, সাবেক উজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী বিরামপুর কাটলা এলাকায় অবৈধ পথে ভারত যাওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বরিশালের উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান ইকবালকে গ্রেপ্তার করেছে দিনাজপুর জেলা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান ইকবালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এ খবরটি উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে জানানো হয় বলে সাংবাদিকদের জানান (ওসি) মো. আব্দুস সালাম। ওসি আরও জানান, তবে তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে দিনাজপুর আদালতে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) হাজির করা হবে।
ওসি বলেন, তাকে আটকের পর দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানায় রাখা হয়েছিল। উজিরপুর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা রয়েছে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদ কর্মীদের জানান, এই মুহূর্তে জানানো সম্ভব হচ্ছে না তবে মামলার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি জানাবেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, সাবেক উজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী বিরামপুর কাটলা এলাকায় অবৈধ পথে ভারত যাওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.