https://jamunabankbd.com/

বরিশাল

সহকারী শিক্ষক ১০,২১৯ পদে আবেদন শুরু, দেখুন নির্দেশনা, পদ্ধতি ও শর্তগুলো

বরিশালটাইমস

বরিশালটাইমস

০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:৫০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

সহকারী শিক্ষক ১০,২১৯ পদে আবেদন শুরু, দেখুন নির্দেশনা, পদ্ধতি ও শর্তগুলো

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের আবেদন প্রক্রিয়া আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে। গত বুধবার সহকারী শিক্ষকের ১০ হাজার ২১৯টি শূণ্যপদে নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। রংপুর, বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের সব জেলার সব উপজেলা/শিক্ষা থানার স্থায়ী নাগরিকেরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী প্রার্থীরা।

চাকরির বিবরণ—

পদের নাম: সহকারী শিক্ষক

পদসংখ্যা: ১০,২১৯টি

আবেদনে শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ (৪ স্কেলে ন্যূনতম ২.২৫ ও ৫ স্কেলে ন্যূনতম ২.৮) স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি। শিক্ষাজীবনে কোনো স্তরে তৃতীয় বিভাগ অথবা সমমানের জিপিএ অথবা তৃতীয় শ্রেণি অথবা সমমানের সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না।

বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা

গ্রেড: ১৩

বয়সসীমা: ৩০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর; সর্বোচ্চ ৩২ বছর।

নির্দেশনা ও শর্তাবলী-

  • ১. আগ্রহী প্রার্থীগণকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

  • ২. বিবাহিত মহিলা প্রার্থীগণ আবেদনে তাঁদের স্বামী অথবা পিতার স্থায়ী ঠিকানার যেকোনো একটিতে আবেদন করতে পারবেন।

  • ৩. উপজেলা/শিক্ষা থানাভিত্তিক নিয়োগ করা হবে। প্রার্থী যে উপজেলা/শিক্ষা থানার বাসিন্দা তিনি সে উপজেলা/শিক্ষা থানার শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবে।

  • ৪. প্রার্থীকে নিজ উপজেলা/শিক্ষা থানায় চাকরি করতে হবে। তার বদলি নিজ উপজেলা/শিক্ষা থানার বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সীমিত থাকবে।

  • ৫. ধূমপানসহ যেকোনো ধরনের মাদক গ্রহণের অভ্যাস থাকলে আবেদন করার প্রয়োজন নেই।

  • ৬. প্রার্থীর সনদপত্র ও ছবি সত্যায়নকারী কর্মকর্তার (৯ম বা তদূর্ধ্ব গ্রেডের গেজেটেড কর্মকর্তা) স্বাক্ষরের নিচে নামসহ সিল থাকতে হবে।

আবেদন প্রক্রিয়ার বিস্তারিত–

ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণের নির্দেশনা পাওয়া যাবে। নির্দেশনা অনুসরণ করে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করে সাবমিট করতে হবে।

আবেদন করতে যা যা অবশ্যই লাগবে–

  • প্রাথীর এসএসসি/সমমান, এইচএসসি/সমমান, উচ্চ ডিগ্রী সম্পর্কিত তথ্য।

  • প্রার্থীর ছবি সাইজ (৩০০ x ৩০০ পিক্সেল) এবং স্বাক্ষর সাইজ (৩০০ x ৮০ পিক্সেল)।

  • প্রার্থীর ছবি রঙ্গিন (কালার ফটো) আবশ্যক।

আবেদন ফরম পূরণ—

যোগ্য প্রার্থীরা http://dpe.teletalk.com.bd ওয়েব পোর্টালে প্রবেশ করে Application Form লিঙ্কে-এ Assistant Teacher Post সিলেক্ট করে Next বাটনে ক্লিক করে ভেরিফিকেশন পেজে দৃশ্যমান নির্দেশনা অনুযায়ী তথ্য দেবেন। প্রার্থীর প্রযোজ্য তথ্য দিয়ে সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করার জন্য Application Form পাবেন।

  • প্রার্থীর বাছাই কার্যক্রম উপজেলা ভিত্তিক হবে। স্থায়ী ঠিকানায় উল্লিখিত উপজেলা অনুযায়ী মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। Application Form পূরণে স্থায়ী ঠিকানার জেলা ও উপজেলা/থানা সর্তকতার সাথে নির্বাচন করতে হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার পরবর্তী পর্যায়ে স্থায়ী ঠিকানার স্বপক্ষে গ্রহণযোগ্য প্রমাণ দাখিল করতে হবে। বিবাহিত নারী প্রাথী নিজের অথবা স্বামীর স্থায়ী ঠিকানায় আবেদন করতে পারবেন।

  • Application Form-এ প্রার্থীর কিছু তথ্য আগে থেকেই পূরণকৃত থাকবে যা পরিবর্তন যোগ্য না। এছাড়া অন্য তথ্য প্রার্থী নিজেই পূরণ করবেন। প্রার্থীর বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ অন্য তথ্য থাকলে Application Form সাবমিট করে প্রিভিউ দেখতে পারবেন। প্রার্থীর প্রদত্ত তথ্য প্রিভিউ পেজে ভুল অথবা অপর্যাপ্ত পরিলক্ষিত হলে সঠিক তথ্য দিয়ে পুনরায় নতুন আরেকটি Application Form পূরণ করবেন। পূরণকৃত Application Form সাবমিট করে প্রার্থী তা ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করতে পারবেন। প্রার্থীর ডাউনলোডকৃত Applicant's Copy-তে একটি ইউজার আইডি সরবরাহ করা হবে এবং আবেদনের জন্য ফি জমা প্রদানের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা থাকবে।

  • আবেদন ফি জমা দেয়ার পর প্রার্থীর আবেদনপত্র চূড়ান্তভাবে গৃহীত হবে।

  • পরীক্ষার তারিখ, আসন বিন্যাস ও প্রবেশপত্র ডাউনলোড বিষয়ে যথাসময়ে Application Form-এ আপনার প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে এসএমএস এবং www.dpe.gov.bd অথবা http://dpe.teletalk.com.bd ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে জানানো হবে।

আবেদনের ফি প্রদান

আবেদন ফি: আবেদন ফি ১০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ১২ টাকাসহ মোট ১১২ টাকা।

  • Applicant's Copy -তে উল্লেখিত ইউজার আইডি ব্যবহার করে টেলিটকের প্রি-পেইড মোবাইল দিয়ে এসএমএস–এর মাধ্যমে ফি প্রদান করতে হবে।

  • ফি জমা দিতে টেলিটকের প্রি-পেইড নাম্বার থেকে এসএমএস করুন।

  • 1st SMS: DPER<space>user ID & send to 16222

  • 2nd SMS: DPER<space>Yes<space>PIN & send to 16222

  • ফি প্রদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে প্রার্থীর Application Form-এ প্রদত্ত মোবাইল নম্বরে একটি কনফার্মেশন এসএমএস পাবে।

  • কনফার্মেশন এসএমএসে প্রাপ্ত ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রার্থী পুনরায় Applicant's Copy ডাউনলোড করতে পারবেন।

হেল্প ট্যাব—

প্রার্থী আবেদন সংক্রান্ত যেকোন তথ্য বা ফরম পূরণে সহায়তা প্রয়োজন হলে এর হেল্প ট্যাব–এ ক্লিক করে আপনার নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার-এ যোগাযোগ করবেন। এছাড়া হেল্প ট্যাব-এ উল্লিখিত অন্যান্য হেল্প অপশন ব্যবহার করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়

২১ নভেম্বর ২০২৫ (রাত ১১:৫৯টা)

আরও পড়ুন:

বরিশালে ১১০০ টন চোরাই কয়লা জব্দ, লাইটার ভেসেলসহ আটক ১২

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:১৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরিশালে ১১০০ টন চোরাই কয়লা জব্দ, লাইটার ভেসেলসহ আটক ১২

বরিশালে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চোরাই কয়লা ও পাচারকাজে ব্যবহৃত একটি লাইটার ভেসেলসহ ১২ চোরাকারবারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ডের একটি দল। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে কোস্ট গার্ড স্টেশন বরিশাল কোতোয়ালি থানাধীন চরমোনাই আনন্দ ঘাট-সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযান চলাকালে একটি সন্দেহজনক লাইটার ভেসেল তল্লাশি করা হয়। তল্লাশির পর ভেসেলটি থেকে ১ হাজার ১০০ টন চোরাই কয়লা জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। এ সময় চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১২ ব্যক্তিকে আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মোংলা হিরণ পয়েন্টে অবস্থানরত একটি বিদেশি জাহাজ থেকে এই কয়লা অসদুপায় অবলম্বন করে অবৈধভাবে পাচার করা হচ্ছিল।

জব্দ করা কয়লা, পাচারকাজে ব্যবহৃত লাইটার ভেসেল এবং আটক ১২ চোরাকারবারিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা।

শয়তানের নিঃশ্বাসের খপ্পরে পড়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:০৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

শয়তানের নিঃশ্বাসের খপ্পরে পড়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ

শয়তানের নিঃশ্বাসের খপ্পরে পড়ে ২৭ বছরের গৃহবধু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার মামলা হলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বরিশাল কোতয়ালি থানার ওসিকে আসামির বিরুদ্ধে এজাহার করার নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে উপরোক্ত নির্দেশ দেন।

নগরের ২৬ নং ওয়ার্ডের হরিনাফুলিয়া এলাকার আসমা আক্তার বাদী হয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরের রাসেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। বাদি মামলায় উল্লেখ করেন তার সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ হয় আসামীর।

বাদির আইডি কার্ড সংশোধন করে দেওয়ার কথা বলে নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলে। গত ১২ নভেম্বর বাদি বাস স্ট্যান্ড আসলে শয়তানের নিঃশ্বাস দিয়া বাদিসহ তার নবজাত শিশু সন্তানকে ঢাকা নিয়ে যায়। এরপর ১২ ই নভেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত বাঁদিকে খুনের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে বাদি স্বামীকে জানালে স্বামী ১৯ নভেম্বর ঢাকা গিয়ে বাদিকে উদ্ধার করে বরিশাল নিয়ে আসে।

এ ব্যাপারে ২৭বছরের ওই গৃহবধূ বৃহস্পতিবার বরিশাল আদালতে হাজির হয়ে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেন।

খালেদা ওহাবের মৃত্যুতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সুজন ও হাঙ্গার প্রজেক্টের শোকবার্তা

আরিফ আহমেদ মুন্না

আরিফ আহমেদ মুন্না

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

খালেদা ওহাবের মৃত্যুতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সুজন ও হাঙ্গার প্রজেক্টের শোকবার্তা

বাবুগঞ্জের প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুদ্ধকালীন বেইজ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল ওহাব খানের সহধর্মিণী বাংলাদেশ প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান খালেদা ওহাবের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকবার্তা দিয়েছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বাবুগঞ্জ উপজেলা শাখা এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়। এসব সংগঠন ও সংস্থার পক্ষ থেকে প্রেরিত পৃথক শোকবার্তায় তারা খালেদা ওহাবের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

শোকবার্তায় বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল করিম হাওলাদার বলেন, 'খালেদা ওহাব দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের কাছে একজন জনপ্রিয় নেত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের অতি আপনজন। তাঁর স্বামী শহীদ আব্দুল ওহাব খান ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধকালীন বেইজ কমান্ডার। ১৯৮৯ সালে আততায়ীর গুলিতে আব্দুল ওহাব খান নিহত হওয়ার পরে খালেদা ওহাব একজন গৃহবধূ থেকে নিজের মেধা যোগ্যতা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি থেকে জনগণের নেত্রী হয়ে ওঠেন। জীবদ্দশায় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বিভিন্ন কাজ করে গেছেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার রক্ষায় সর্বদা সোচ্চার ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ তাদের একজন স্বজন হারিয়েছে।'

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বাবুগঞ্জ উপজেলা কমিটির পক্ষ থেকে দেওয়া শোকবার্তায় সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না বলেন, 'খালেদা ওহাব শুধু একজন জনপ্রতিনিধি কিংবা রাজনীতিবিদ ছিলেন না, তিনি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ একজন মানবাধিকার কর্মী। তিনি আমৃত্যু গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে গেছেন। ১৯৮৯ সালে স্বামী শহীদ আব্দুল ওহাব খানের মৃত্যুর পরে তিনি তাঁর স্বামীর অসমাপ্ত কাজের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন। পুরো একটা জীবন তিনি অবলীলায় খরচ করেছেন মানুষ ও মানবতার কল্যাণে। তিনি ছিলেন নারীদের জন্য এক অনুপ্রেরণার বাতিঘর। তিনি শিখিয়ে গেছেন কীভাবে একজন সাধারণ গৃহবধূ নারীকে সমাজের সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে জীবনযুদ্ধে জয়ী এবং সফল হতে হয়। তিনি অদম্য ও জীবন সংগ্রামী নারীদের কাছে একজন আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবেন।'

দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বিভাগীয় সমন্বয়কারী মেহের আফরোজ মিতা বলেন, 'বাবুগঞ্জে নারীর অগ্রযাত্রা এবং নারীর ক্ষমতায়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিলেন খালেদা ওহাব। জীবদ্দশায় তিনি বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং সর্বোপরি নারীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। তিনি আমৃত্যু বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা ছিল অসাধারণ। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন, রান্নাবান্না এবং অতিথি আপ্যায়নে ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন অনন্য। তাঁর শূন্যতা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। একজন কীর্তিমতী নারী হিসেবে তিনি ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকবেন।'

উল্লেখ্য, বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারিণী খালেদা ওহাব ১৯৮৯ সালের উপ-নির্বাচনে বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় পরবর্তী এরশাদ সরকারের উপজেলা পদ্ধতি প্রবর্তনের পরে তিনিই বাংলাদেশের প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। ১৯৮৯ সালের ১৫ আগস্ট তাঁর স্বামী বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত প্রথম চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব খান আততায়ীর গুলিতে নিহত হলে ওই বছরই অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন তিনি। যে সময়ে নারীরা ঠিকভাবে ঘর থেকেই বের হতে পারতেন না সেই সময়ে একজন নারী উপজেলা চেয়ারম্যান ছিল অকল্পনীয় একটা ঘটনা। দেশের প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান ছাড়াও তিনি একাধিকবার বিআরডিবি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি প্রথমে জাতীয় পার্টির বাবুগঞ্জ উপজেলা শাখার আহবায়ক ছিলেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগদান করে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হন।

রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের সাথেও আমৃত্যু যুক্ত ছিলেন খালেদা ওহাব। তিনি সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি ছাড়াও পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের (পিএফজি) কো-অর্ডিনেটর এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট পরিচালিত বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের সভাপতি এবং জাতীয় মহিলা সংস্থার বাবুগঞ্জ উপজেলা সভানেত্রী হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর বাড়ি বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের দরিয়াবাদ গ্রামে।

গত মঙ্গলবার খালেদা ওহাব পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের (পিএফজি) কো-অর্ডিনেটর হিসেবে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শান্তি সহায়ক সম্মেলনে যোগ দিতে বরিশাল থেকে ঢাকায় যান। সম্মেলন শেষে তিনি রামপুরা এলাকায় তার ছোটবোনের বাসায় বেড়াতে গেলে বুধবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় তাকে নিকটস্থ ফরাজি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ৪টার দিকে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। চিকিৎসকরা জানান, খালেদা ওহাব স্ট্রোকজনিত কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মারা যান। তিনি উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার বাদ জোহর বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে প্রথম নামাজে জানাজা এবং বাদ আছর চাঁদপাশা হাইস্কুল ও কলেজ মাঠে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা শেষে বাবার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। #

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.