
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:৩৭
গাজীপুরের টঙ্গী তুরাগ তীরের ইজতেমা ময়দানে শুরু হয়েছে ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা। পুরো ময়দানে ছামিয়ানা টানিয়ে মুসল্লিরা অংশ নিয়েছে এই ইজতেমায়।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়েছে তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ী নেজামের আয়োজনে ৫ দিনের জোড় ইজতেমা। আগামী মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এই জোড় ইজতেমা শেষ হবে।
আগত মুসল্লিরা জানান, প্রতিবছর ইজতেমার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে এই জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এখানে তাবলিগের সাথীরা পুরো বছরের কাজের কারগুজারি পেশ করেন। এ উপলক্ষে দেশ-বিদেশের শুরায়ী নেজামের প্রবীণ মুরুব্বিগণ টঙ্গীর তুরাগ তীরের ময়দানে সমবেত হয়েছেন।
৫ দিনব্যাপী এই জোড় থেকে যারা দাওয়াতের দায়িত্বে রয়েছেন তারা সারা বছরের দাওয়াতি কাজের পরিকল্পনা ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা লাভ করবেন বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
পাঁচ দিনের জোড় তাবলীগ জামাত সোনালি ঐতিহ্য। দাওয়াতের কাজের চেতনার স্পন্দন জাগানো একটি বিশেষ আয়োজন। এখান থেকেই সারা বছরের কাজের সঠিক নকশা ও দিকনির্দেশনা নির্ধারিত হয়। দাঈদের আমল, দাওয়াত, তরতিব এবং দেশের প্রেক্ষাপটে করণীয় বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান উপস্থাপন করেন বড়রা। যা একজন সাথীর দুনিয়া ও আখেরাতের জিন্দেগি পরিচালনায় দিশা দেয়।
তাবলিগ জামাত শুরায়ী নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, জোড় ইজতেমায় কেবল ৩ চিল্লার সাথী ও কমপক্ষে ১ চিল্লা সময় লাগানো আলেমরা অংশ নিতে পারেন। এতে জোড়ের স্বতন্ত্র মর্যাদা ও গুরুত্ব বজায় থাকে।
জোড় ইজতেমাকে সফল করার লক্ষ্যে ময়দানের উত্তর পাশে বিশাল ছাউনি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে কয়েক লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অবস্থান নিয়েছেন। ৫ দিন তারা সেখানে অবস্থান করবেন।
গাজীপুরের টঙ্গী তুরাগ তীরের ইজতেমা ময়দানে শুরু হয়েছে ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা। পুরো ময়দানে ছামিয়ানা টানিয়ে মুসল্লিরা অংশ নিয়েছে এই ইজতেমায়।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়েছে তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ী নেজামের আয়োজনে ৫ দিনের জোড় ইজতেমা। আগামী মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এই জোড় ইজতেমা শেষ হবে।
আগত মুসল্লিরা জানান, প্রতিবছর ইজতেমার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে এই জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এখানে তাবলিগের সাথীরা পুরো বছরের কাজের কারগুজারি পেশ করেন। এ উপলক্ষে দেশ-বিদেশের শুরায়ী নেজামের প্রবীণ মুরুব্বিগণ টঙ্গীর তুরাগ তীরের ময়দানে সমবেত হয়েছেন।
৫ দিনব্যাপী এই জোড় থেকে যারা দাওয়াতের দায়িত্বে রয়েছেন তারা সারা বছরের দাওয়াতি কাজের পরিকল্পনা ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা লাভ করবেন বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
পাঁচ দিনের জোড় তাবলীগ জামাত সোনালি ঐতিহ্য। দাওয়াতের কাজের চেতনার স্পন্দন জাগানো একটি বিশেষ আয়োজন। এখান থেকেই সারা বছরের কাজের সঠিক নকশা ও দিকনির্দেশনা নির্ধারিত হয়। দাঈদের আমল, দাওয়াত, তরতিব এবং দেশের প্রেক্ষাপটে করণীয় বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান উপস্থাপন করেন বড়রা। যা একজন সাথীর দুনিয়া ও আখেরাতের জিন্দেগি পরিচালনায় দিশা দেয়।
তাবলিগ জামাত শুরায়ী নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, জোড় ইজতেমায় কেবল ৩ চিল্লার সাথী ও কমপক্ষে ১ চিল্লা সময় লাগানো আলেমরা অংশ নিতে পারেন। এতে জোড়ের স্বতন্ত্র মর্যাদা ও গুরুত্ব বজায় থাকে।
জোড় ইজতেমাকে সফল করার লক্ষ্যে ময়দানের উত্তর পাশে বিশাল ছাউনি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে কয়েক লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অবস্থান নিয়েছেন। ৫ দিন তারা সেখানে অবস্থান করবেন।
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:৩৭
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:২৫
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:১২
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:৩৬

২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:২৫
ময়মনসিংহের ত্রিশালে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে বন্ধু মুনতাসির ফাহিমকে (২২) খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী অনিক মণ্ডল (২২)। তারা দুজন একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ত্রিশাল থানা বাউন্ডারি ওয়ালঘেষা নজরুল একাডেমি মাঠে এই লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার খবর তাৎক্ষণিক ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এসময় শত শত মানুষ থানার সামনে জড়ো হয়।
নিহত মুনতাসির ফাহিম ত্রিশাল ইউনিয়নের চিকনা গ্রামের বাসিন্দা সাবেক মেম্বার বাদলের ছেলে। তিনি স্টুডেন্ট ভিসায় মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতেন। তবে মাস খানেক আগে ছুটিতে দেশে এসেছিলেন ও দুদিন পর চলে যাওয়ার কথা ছিল।
অপরদিকে ঘাতক অনিক মণ্ডল টাঙ্গাইলে একটি কলেজে অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী। তিনি পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের থানা পিছনের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
হত্যাকাণ্ডের আধা ঘণ্টার মধ্যে ঘাতক অনিক মণ্ডল কুড়ালসহ থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনসুর আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পর থানায় এসে ঘটনার বর্ণনা করেছেন ঘাতক অনিক মণ্ডল। এসময় অনিক জানিয়েছেন, নিহত ফাহিম তার অনেক ক্ষতি করেছে। এ কারণে পূর্বশত্রুতায় তিনি ফাহিমকে খুন করেছেন। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।
নিহত যুবকের পরিবার জানায়, সন্ধ্যার পর নানা বাড়ি কোনাবাড়ী থেকে খাওয়া-দাওয়া করে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় ফাহিম। এর ঘণ্টাখানেক পরেই তারা তাকে হত্যার খবর পায়।
ময়মনসিংহের ত্রিশালে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে বন্ধু মুনতাসির ফাহিমকে (২২) খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী অনিক মণ্ডল (২২)। তারা দুজন একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ত্রিশাল থানা বাউন্ডারি ওয়ালঘেষা নজরুল একাডেমি মাঠে এই লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার খবর তাৎক্ষণিক ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এসময় শত শত মানুষ থানার সামনে জড়ো হয়।
নিহত মুনতাসির ফাহিম ত্রিশাল ইউনিয়নের চিকনা গ্রামের বাসিন্দা সাবেক মেম্বার বাদলের ছেলে। তিনি স্টুডেন্ট ভিসায় মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতেন। তবে মাস খানেক আগে ছুটিতে দেশে এসেছিলেন ও দুদিন পর চলে যাওয়ার কথা ছিল।
অপরদিকে ঘাতক অনিক মণ্ডল টাঙ্গাইলে একটি কলেজে অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী। তিনি পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের থানা পিছনের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
হত্যাকাণ্ডের আধা ঘণ্টার মধ্যে ঘাতক অনিক মণ্ডল কুড়ালসহ থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনসুর আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পর থানায় এসে ঘটনার বর্ণনা করেছেন ঘাতক অনিক মণ্ডল। এসময় অনিক জানিয়েছেন, নিহত ফাহিম তার অনেক ক্ষতি করেছে। এ কারণে পূর্বশত্রুতায় তিনি ফাহিমকে খুন করেছেন। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।
নিহত যুবকের পরিবার জানায়, সন্ধ্যার পর নানা বাড়ি কোনাবাড়ী থেকে খাওয়া-দাওয়া করে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় ফাহিম। এর ঘণ্টাখানেক পরেই তারা তাকে হত্যার খবর পায়।

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:৫৯
দালালের খপ্পরে পরে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাওয়া চার তরুণীকে আটক করার পর বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটার কেদার সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদেরকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।
এই চার তরুণী হলেন— পাবনা সদর থানার মালিগাছা গ্রামের আব্দুল আউয়াল মিয়ার মেয়ের আঁখি খাতুন (২০), ব্রাহ্মনবাড়িয়ার মিরপুর থানার বাঞ্চারামপুর গ্রামের হাবিব মিয়ার মেয়ে আদিবা আকতার (২৩),নেত্রকোনার দূর্গাপুর থানার বাওয়ই পাড়ার নাছির উদ্দিনের মেয়ে শিরিনা আকতার (২৬), শরিয়তপুরের নড়িয়া থানার লুংসিং গ্রামের হিরু সরদারের মেয়ে তাসমিয়া আকতার (১৮)।
পতাকা বৈঠক এবং তরুণীদের হস্তান্তরের তথ্য ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়ন এর কেদার কোম্পানির হাবিলদার শাহজাহান আলী।
এই চার তরুণী ঢাকার বাড্ডা থানার নুতুন বাজার এলাকায় একটি বাসায় ভারা থাকতেন। তাদের তিনজন একটি বিউটি পার্লারে এবং অপর একজন একটি তৈরি পোশাকের কারখানায় কাজ করতেন।
আঁখি আকতার জানান, তাদের পূর্বপরিচিত জান্নাত নামের এক নারীর প্রলোভনে তারা কাউকে কিছু না জানিয়ে ২২ নভেম্বর সিলেটের জাফলং সীমান্ত পার হন। সীমান্তের ওপারে তাদের জন্য একটি প্রাইভেট কার অপেক্ষা করছিলো। সেই কারে উঠে তারা আসামের রাজধানী গুয়াহাটি পৌছান। ২৩ নভেম্বর পুলিশ তাদের আটক করে।
আঁখি বলেন, “আমরা উন্নত জীবন আর ভালো কাজ লোভে পড়ে ভারতে পাড়ি জমিয়েছিলাম। আমরা ভুল করেছিলাম।”
পরে বুধবার (২৬ নভেম্বর) কচাকাটা সীমান্তের মেইন পিলার ১০১৫-এর কাছে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন হাবিলদার শাহজাহান আলী, আর বিএসএফের পক্ষ থেকে ছিলেন ইনস্পেক্টর ধীরেন্দ্র কুমার।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়ন এর কেদার কোম্পানির হাবিলদার শাহজাহান আলী জানান, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে চার যুবতীকে বিজিবির জিম্মায় নেয়া হয়। পরে সন্ধ্যায় তাদেরকে কচাকাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, “চারজন বাংলাদেশি নারী ভারতে আটক হওয়ার পর ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা কেদার বিওপির বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করে তাদের ফেরত পাঠায়। পরে বিজিবি সদস্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের থানায় হস্তান্তর করেছেন। আমরা তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছি। স্বজনরা এসে নিয়ম মেনে জিম্মায় নিয়ে যাবেন।”
দালালের খপ্পরে পরে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাওয়া চার তরুণীকে আটক করার পর বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটার কেদার সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদেরকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।
এই চার তরুণী হলেন— পাবনা সদর থানার মালিগাছা গ্রামের আব্দুল আউয়াল মিয়ার মেয়ের আঁখি খাতুন (২০), ব্রাহ্মনবাড়িয়ার মিরপুর থানার বাঞ্চারামপুর গ্রামের হাবিব মিয়ার মেয়ে আদিবা আকতার (২৩),নেত্রকোনার দূর্গাপুর থানার বাওয়ই পাড়ার নাছির উদ্দিনের মেয়ে শিরিনা আকতার (২৬), শরিয়তপুরের নড়িয়া থানার লুংসিং গ্রামের হিরু সরদারের মেয়ে তাসমিয়া আকতার (১৮)।
পতাকা বৈঠক এবং তরুণীদের হস্তান্তরের তথ্য ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়ন এর কেদার কোম্পানির হাবিলদার শাহজাহান আলী।
এই চার তরুণী ঢাকার বাড্ডা থানার নুতুন বাজার এলাকায় একটি বাসায় ভারা থাকতেন। তাদের তিনজন একটি বিউটি পার্লারে এবং অপর একজন একটি তৈরি পোশাকের কারখানায় কাজ করতেন।
আঁখি আকতার জানান, তাদের পূর্বপরিচিত জান্নাত নামের এক নারীর প্রলোভনে তারা কাউকে কিছু না জানিয়ে ২২ নভেম্বর সিলেটের জাফলং সীমান্ত পার হন। সীমান্তের ওপারে তাদের জন্য একটি প্রাইভেট কার অপেক্ষা করছিলো। সেই কারে উঠে তারা আসামের রাজধানী গুয়াহাটি পৌছান। ২৩ নভেম্বর পুলিশ তাদের আটক করে।
আঁখি বলেন, “আমরা উন্নত জীবন আর ভালো কাজ লোভে পড়ে ভারতে পাড়ি জমিয়েছিলাম। আমরা ভুল করেছিলাম।”
পরে বুধবার (২৬ নভেম্বর) কচাকাটা সীমান্তের মেইন পিলার ১০১৫-এর কাছে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন হাবিলদার শাহজাহান আলী, আর বিএসএফের পক্ষ থেকে ছিলেন ইনস্পেক্টর ধীরেন্দ্র কুমার।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়ন এর কেদার কোম্পানির হাবিলদার শাহজাহান আলী জানান, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে চার যুবতীকে বিজিবির জিম্মায় নেয়া হয়। পরে সন্ধ্যায় তাদেরকে কচাকাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, “চারজন বাংলাদেশি নারী ভারতে আটক হওয়ার পর ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা কেদার বিওপির বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করে তাদের ফেরত পাঠায়। পরে বিজিবি সদস্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের থানায় হস্তান্তর করেছেন। আমরা তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছি। স্বজনরা এসে নিয়ম মেনে জিম্মায় নিয়ে যাবেন।”

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:২৫
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সরকার ১১তম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না করায় এবার ‘লাগাতার’ কর্মবিরতির শুরু করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) থেকে সারাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন। প্রয়োজনে বার্ষিক পরীক্ষাও বর্জন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষকরা।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ লাগাতার এ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাতে সংগঠনটির পাঁচজন আহ্বায়কের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আহ্বায়করা হলেন- মো. আবুল কাশেম, মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ, খাইরুন নাহার লিপি, মু. মাহবুবুর রহমান, মো. আনোয়ার উল্যা।
পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মু. মাহবুবর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আজ থেকে আমাদের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। দাবি আদায় না করে শিক্ষকরা কেউ কাজে যোগ দেবেন না। আমরা মনে করি, এ আন্দোলন প্রাথমিক শিক্ষকদের মর্যাদার লড়াই। আমরা চাই, সরকার গত ১২ নভেম্বর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা দ্রুত প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হোক।
দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছি। কিন্তু সরকার আপাতত আমাদের ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার আশ্বাস দিয়েছে৷ পরবর্তীতে তা দশম গ্রেডে উন্নীত করা হবে। এছাড়া পদোন্নতি ও স্কেল বিষয়ে আমাদের দুটি দাবি রয়েছে। সেগুলোও পূরণ করতেই হবে।
এর আগে গত ২৫ নভেম্বর থেকে তিনদিনের কর্মবিরতির ডাক দেয় ‘প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’। তাদের ডাকা কর্মবিরতি চলছে। এর মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দিলো।
এদিকে, আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। শিক্ষকদের এ কর্মবিরতিতে বার্ষিক পরীক্ষা ঘিরে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রায় ১ কোটি শিশুশিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। আর শিক্ষক রয়েছেন ৩ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের সম্প্রতি দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। আর সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেড পাচ্ছেন। এ নিয়ে অসন্তুষ্ট সহকারী শিক্ষকরা।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সরকার ১১তম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না করায় এবার ‘লাগাতার’ কর্মবিরতির শুরু করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) থেকে সারাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন। প্রয়োজনে বার্ষিক পরীক্ষাও বর্জন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষকরা।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ লাগাতার এ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাতে সংগঠনটির পাঁচজন আহ্বায়কের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আহ্বায়করা হলেন- মো. আবুল কাশেম, মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ, খাইরুন নাহার লিপি, মু. মাহবুবুর রহমান, মো. আনোয়ার উল্যা।
পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মু. মাহবুবর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আজ থেকে আমাদের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। দাবি আদায় না করে শিক্ষকরা কেউ কাজে যোগ দেবেন না। আমরা মনে করি, এ আন্দোলন প্রাথমিক শিক্ষকদের মর্যাদার লড়াই। আমরা চাই, সরকার গত ১২ নভেম্বর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা দ্রুত প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হোক।
দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছি। কিন্তু সরকার আপাতত আমাদের ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার আশ্বাস দিয়েছে৷ পরবর্তীতে তা দশম গ্রেডে উন্নীত করা হবে। এছাড়া পদোন্নতি ও স্কেল বিষয়ে আমাদের দুটি দাবি রয়েছে। সেগুলোও পূরণ করতেই হবে।
এর আগে গত ২৫ নভেম্বর থেকে তিনদিনের কর্মবিরতির ডাক দেয় ‘প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’। তাদের ডাকা কর্মবিরতি চলছে। এর মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দিলো।
এদিকে, আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। শিক্ষকদের এ কর্মবিরতিতে বার্ষিক পরীক্ষা ঘিরে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রায় ১ কোটি শিশুশিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। আর শিক্ষক রয়েছেন ৩ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের সম্প্রতি দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। আর সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেড পাচ্ছেন। এ নিয়ে অসন্তুষ্ট সহকারী শিক্ষকরা।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.