dreamliferupatolibarisal

জাতীয়

এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৩২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ

২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট সব পরীক্ষাকেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

ফল প্রকাশ করেন বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির। গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে ১৯ শতাংশ। ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, এবার দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেন। এর মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন ছাত্রী। প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেননি।

ফল জানা যাবে যেভাবে : শিক্ষার্থীরা প্রতিটি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটের ‘Result’ কর্নারে গিয়ে বোর্ড, রোল নম্বর ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন নম্বর দিয়ে ফল ডাউনলোড করতে পারবেন। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট কলেজ থেকেও ফল জানা যাবে।

অন্যদিকে, এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে এর জন্য মোবাইলে লিখতে হবে: HSC বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর রোল 2025 এবং পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। এ বছর ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে।

এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ২৬ জুনে। দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ শিক্ষার্থী চলতি বছর এ পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেছিলেন। গত ১৯ অগাস্ট এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়। ২১ থেকে ৩১ অগাস্টের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:১৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সনদে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। রাজনৈতিক দলের স্বাক্ষরের পর সবার উদ্দেশে সেটি প্রদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

জানা গেছে, বিএনপির পক্ষ থেকে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।

জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ছিলেন নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।

এ ছাড়া গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান জোনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না এবং গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকেও মঞ্চে দেখা গেছে। তবে ‘সনদের আইনি ভিত্তি নেই’ এই যুক্তি দেখিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সনদে স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, আমরা ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুত। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অনুষ্ঠান শুরু হতে কিছু সময় বিলম্ব হতে পারে। সবকিছু ঠিকঠাক আছে এবং অতিথিদের অনেকেই ইতিমধ্যেই অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছে গেছেন। আমরা আমাদের ইতিহাসের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা প্রত্যক্ষ করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।

এর আগে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় প্রবেশ করা জুলাই যোদ্ধাদের ধাওয়া দিয়ে ওই এলাকা থেকে বের করে দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এরপর পুরো সংসদ ভবন ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর ১টা ২৬ মিনিটের দিকে জুলাই যোদ্ধা দাবি করা একটি পক্ষ ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। দুপুর ২টার পর পর্যন্ত চলতে থাকে তাদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া।

জানা যায়, গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়া জুলাই যোদ্ধাদের মঞ্চ এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে তারা সংসদ ভবন এলাকার বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং লাঠি হাতে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দেন।

এর আগে, শুক্রবার সকালে ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধা’ ব্যানারে অনেকেই সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা গেট টপকে ভেতরে প্রবেশ করে মঞ্চের সামনে অতিথিদের চেয়ারে বসে স্লোগান দিতে থাকেন।

পুরো সংসদ ভবন ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:২৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

পুরো সংসদ ভবন ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী

জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় প্রবেশ করা জুলাই যোদ্ধাদের ধাওয়া দিয়ে ওই এলাকা থেকে বের করে দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এরপর পুরো সংসদ ভবন ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর ১টা ২৬ মিনিটের দিকে জুলাই যোদ্ধা দাবি করা একটি পক্ষ ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। দুপুর ২টার পর পর্যন্ত চলতে থাকে তাদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া।

জানা যায়, গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়া জুলাই যোদ্ধাদের মঞ্চ এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে তারা সংসদ ভবন এলাকার বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও এবিপিএন সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং লাঠি হাতে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দেন।

এর আগে, শুক্রবার সকালে ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধা’ ব্যানারে অনেকেই সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা গেট টপকে ভেতরে প্রবেশ করে মঞ্চের সামনে অতিথিদের চেয়ারে বসে স্লোগান দিতে থাকেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ঐতিহাসিক ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত থাকবেন।

জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:১৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানস্থলে জুলাই যোদ্ধা দাবি করা একটি পক্ষ ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে৷ গেট ভেঙে ঢুকে পড়া জুলাই যোদ্ধাদের অনুষ্ঠানের মঞ্চ এলাকা থেকে বের করে দেওয়ার পর বেশ কয়েকটি জায়গায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেন তারা। এরপর সংসদ ভবন এলাকা থেকে তাদের বের করে দেওয়ার জন্য সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ও লাঠি হাতে ধাওয়া দেন পুলিশ ও এবিপিএনের সদস্যা।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর ১টা ২৬ মিনিটে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়, যা দুপুর ২টার পর পর্যন্ত চলমান৷ সংসদ ভবন এলাকায় সরজমিনে এসব চিত্র দেখা গেছে।

এর আগে সকাল ১০টার পরে জুলাই যোদ্ধারা কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকে পড়ে। তাদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য দুপুর একটা পর্যন্ত পুলিশ আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা করতে চায়৷ তবে তারা এতে রাজি হয় না। এরপর মৃদু লাঠিচার্জ করে তাদের সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়।

বের হওয়ার পরে জুলাই যোদ্ধারা পুলিশের ওপর চরাও হয়। খেজুরবাগান এলাকায় রাখা পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায়৷ এরপর এমপি হোস্টেলের সামনে কয়েকটি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কিছু সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে জুলাই যোদ্ধাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে। অগ্নিসংযোগ ও বিক্ষোভকারী জুলাই যোদ্ধাদের ছত্রভঙ্গ করে ফার্মগেট ও ধানমন্ডি আড়ংয়ের দিকে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। এসময় উভয়পক্ষকে ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা গেছে।

সংঘর্ষে থাকা জুলাই যোদ্ধা পরিচয় দেওয়া আশিক শাহরিয়ার শাফি বলেন, `আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়েছিলাম। বিনা উসকানিতে পুলিশ আমাদের লাঠিপেটা করে সংসদ ভবন থেকে বের করে দেয়। এরপর তারা আমাদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছুড়ে। এখনো আমাদের ওপর পুলিশ হামলা চালাচ্ছে।’

জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে কথা হলে তারা দাবি করেন, পুলিশি অ্যাকশনে তাদের অন্তত ২৫ জন আহত হয়ে ঢামেকে চিকিৎসার জন্য গেছে। ছত্রভঙ্গ হয়ে তারা জিয়া উদ্যান ও ফার্মগেট এলাকায় অবস্থান করছে। সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা আবার এক জোট হয়ে সংসদ ভবনের সামনে আসবে।

বেলা দুইটা ৫০ মিনিটে এই বিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার ইবনে মিজার কালবেলাকে বলেন, ‘পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। সংসদ ভবনের সামনের অংশ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আশেপাশে তারা অবস্থান করছে। কয়েক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে সংঘর্ষ চলছে। আমি একটা ক্ষুদ্র অংশ দেখছি।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সব সিনিয়র কর্মকর্তারা মাঠে আছেন। তাই সার্বিকভাবে এখনো আমার একার পক্ষে কিছু বলা যাচ্ছে না। এখনো অভিযান অব্যাহত আছে।’ গ্রেপ্তারের কোনো নির্দেশনা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখনো এই ব্যাপারে আমি কোনো কিছু জানি না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিস্তারিত জানাব।’

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.