১৫ জুন, ২০২৫ ১১:৩৬
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে চাকরির প্রলোভনে সাত লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। এনিয়ে আদালতে মামলা করায় হুমকির মুখে নিরাপত্তা শঙ্কায় আছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী। অভিযুক্ত সাহীফুল ইসলাম বুলবুল উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমন্বয়ক।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সারিয়াকান্দি থানা ও সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়। তবে আইনজীবীর লিগ্যাল নোটিশে তথ্য গড়মিল পাওয়া গেছে। বাদী আব্দুল মান্নান উপজেলার ফুলবাড়ী (বালুচড়া) দক্ষিণপাড়ার জামাল আকন্দের ছেলে। তিনিও এনসিপি সমর্থক বলে জানা গেছে।
অভিযোগে বলা হয়, কয়েকমাস আগে চাকরির প্রলোভনে আব্দুল মান্নানের কাছ থেকে সাত লাখ টাকা নেন এনসিপি নেতা বুলবুল। তিনি সারিয়াকান্দি উপজেলার চর-গোদাগাড়ী এলাকার মোস্তাফিজার রহমানের ছেলে এবং অভিযোগকারীর নিকটাত্মীয়।
চাকরি না হলে এক সপ্তাহের মধ্যে ফেরত দেওয়ার শর্তে তিনি জমি ও গরু বিক্রি করে টাকা দেন। চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে একটি ব্যাংক চেক দেন এনসিপি নেতা। ব্যাংকে যাওয়ার পর চেক ডিজঅনার হলে বগুড়ার আদালতে অর্থ আত্মসাৎ (প্রতারণা) মামলা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুকমি দিচ্ছেন বুলবুল।
ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নান অভিযোগ করেন, মামলা করার কারণে তিনি নিরাপত্তা শঙ্কায় আছেন। বুলবুল এনসিপির উপজেলা প্রধান সমন্বয়ক হওয়ায় প্রশাসন নাকি কিছুই করতে পারবে না। মামলা তুলে না নিলে বড় ধরনের ক্ষতি করার হুমকি দিয়েছে।
এদিকে থানা এবং সেনাবাহিনীর কাছে দেওয়া অভিযোগের সঙ্গে লিগ্যাল নোটিশে তথ্য গড়মিল ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠেছে। নোটিশে চাকরি নয়, ব্যবসায়িক লেনদেনের কথা উল্লেখ করেন মান্নানের আইনজীবী মো. মাসুদ রানা। বলা হয়, বুলবুলের সঙ্গে তার ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। সাত লাখ টাকা লেনদেন সংক্রান্তে চেক ডিজঅনার হয়েছে।
টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত এনসিপি নেতা সাহীফুল ইসলাম বুলবুল। তার দাবি, চাকরি প্রলোভনের বিষয়টি মিথ্যা, ভিত্তিহীন। ধান-চালের চাতাল ব্যবসার অংশীদার হিসেবে তিন লাখ টাকা নিয়ে মান্নানকে একটি ফাঁকা চেক দিয়েছিলেন। টাকা দিতে দেরি হওয়ায় সাত লাখ টাকা লিখে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
সারিয়াকান্দি থানার ওসি মো. জামিরুল ইসলাম জানান, চাকরির প্রলোভনে টাকা আত্মসাৎ ও আদালতে মামলা করায় হুমকির লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতা ডা. আব্দুল্লাহ আল সানী বলেন, আমাদের সংগঠনে প্রতারক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস বা অন্যায়কারীর ঠাঁই নেই। বিষয়টি জেনেই সারিয়াকান্দি উপজেলার সমন্বয়ক বুলবুলকে মৌখিকভাবে শোকজ করেছি। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনা মিথ্যা হলে বাদীর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ এবং সহযোগিতা করব।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে চাকরির প্রলোভনে সাত লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। এনিয়ে আদালতে মামলা করায় হুমকির মুখে নিরাপত্তা শঙ্কায় আছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী। অভিযুক্ত সাহীফুল ইসলাম বুলবুল উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমন্বয়ক।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সারিয়াকান্দি থানা ও সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়। তবে আইনজীবীর লিগ্যাল নোটিশে তথ্য গড়মিল পাওয়া গেছে। বাদী আব্দুল মান্নান উপজেলার ফুলবাড়ী (বালুচড়া) দক্ষিণপাড়ার জামাল আকন্দের ছেলে। তিনিও এনসিপি সমর্থক বলে জানা গেছে।
অভিযোগে বলা হয়, কয়েকমাস আগে চাকরির প্রলোভনে আব্দুল মান্নানের কাছ থেকে সাত লাখ টাকা নেন এনসিপি নেতা বুলবুল। তিনি সারিয়াকান্দি উপজেলার চর-গোদাগাড়ী এলাকার মোস্তাফিজার রহমানের ছেলে এবং অভিযোগকারীর নিকটাত্মীয়।
চাকরি না হলে এক সপ্তাহের মধ্যে ফেরত দেওয়ার শর্তে তিনি জমি ও গরু বিক্রি করে টাকা দেন। চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে একটি ব্যাংক চেক দেন এনসিপি নেতা। ব্যাংকে যাওয়ার পর চেক ডিজঅনার হলে বগুড়ার আদালতে অর্থ আত্মসাৎ (প্রতারণা) মামলা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুকমি দিচ্ছেন বুলবুল।
ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নান অভিযোগ করেন, মামলা করার কারণে তিনি নিরাপত্তা শঙ্কায় আছেন। বুলবুল এনসিপির উপজেলা প্রধান সমন্বয়ক হওয়ায় প্রশাসন নাকি কিছুই করতে পারবে না। মামলা তুলে না নিলে বড় ধরনের ক্ষতি করার হুমকি দিয়েছে।
এদিকে থানা এবং সেনাবাহিনীর কাছে দেওয়া অভিযোগের সঙ্গে লিগ্যাল নোটিশে তথ্য গড়মিল ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠেছে। নোটিশে চাকরি নয়, ব্যবসায়িক লেনদেনের কথা উল্লেখ করেন মান্নানের আইনজীবী মো. মাসুদ রানা। বলা হয়, বুলবুলের সঙ্গে তার ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। সাত লাখ টাকা লেনদেন সংক্রান্তে চেক ডিজঅনার হয়েছে।
টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত এনসিপি নেতা সাহীফুল ইসলাম বুলবুল। তার দাবি, চাকরি প্রলোভনের বিষয়টি মিথ্যা, ভিত্তিহীন। ধান-চালের চাতাল ব্যবসার অংশীদার হিসেবে তিন লাখ টাকা নিয়ে মান্নানকে একটি ফাঁকা চেক দিয়েছিলেন। টাকা দিতে দেরি হওয়ায় সাত লাখ টাকা লিখে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
সারিয়াকান্দি থানার ওসি মো. জামিরুল ইসলাম জানান, চাকরির প্রলোভনে টাকা আত্মসাৎ ও আদালতে মামলা করায় হুমকির লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতা ডা. আব্দুল্লাহ আল সানী বলেন, আমাদের সংগঠনে প্রতারক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস বা অন্যায়কারীর ঠাঁই নেই। বিষয়টি জেনেই সারিয়াকান্দি উপজেলার সমন্বয়ক বুলবুলকে মৌখিকভাবে শোকজ করেছি। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনা মিথ্যা হলে বাদীর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ এবং সহযোগিতা করব।
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:২৬
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় নজরুল ইসলাম (৪০) নামে এক জামায়াত নেতাকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের শীতলগ্রাম এলাকায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নজরুল ইসলাম একই গ্রাামের মৃত তফেজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি জামতলী বাজারে মোবাইল টাকা লেনদেন (বিকাশের দোকান) ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি গোবিন্দগঞ্জে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের স্থানীয় ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন। তার দলীয় পরিচয় একাধিক জামায়াতের নেতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জাানায়, নজরুল ইসলামের গ্রামের জামতলী বাজারে বিকাশের দোকান ছিল। শনিবার বিকালে বাড়ি থেকে দোকানে যায়। এরপর গভীর রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে রাতে তার ব্যবহারকৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। আজ সকালে বাজারের অদূরে রাস্তার পাশে তার গলা কাটা লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের গলা ধারালো কোন অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছে। এটি কোন রাজনৈতিক বা ব্যবসায়ীক সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। হত্যার কারণ জানতে পুলিশ কাজ করছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় নজরুল ইসলাম (৪০) নামে এক জামায়াত নেতাকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের শীতলগ্রাম এলাকায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নজরুল ইসলাম একই গ্রাামের মৃত তফেজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি জামতলী বাজারে মোবাইল টাকা লেনদেন (বিকাশের দোকান) ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি গোবিন্দগঞ্জে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের স্থানীয় ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন। তার দলীয় পরিচয় একাধিক জামায়াতের নেতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জাানায়, নজরুল ইসলামের গ্রামের জামতলী বাজারে বিকাশের দোকান ছিল। শনিবার বিকালে বাড়ি থেকে দোকানে যায়। এরপর গভীর রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে রাতে তার ব্যবহারকৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। আজ সকালে বাজারের অদূরে রাস্তার পাশে তার গলা কাটা লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের গলা ধারালো কোন অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছে। এটি কোন রাজনৈতিক বা ব্যবসায়ীক সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। হত্যার কারণ জানতে পুলিশ কাজ করছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:০৮
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং ক্ষুব্ধ জনতা শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৬ আগস্ট) ক্লাস শেষে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় এক ছাত্রীকে নিয়ে দীর্ঘ ৩৭ মিনিট অবস্থান করেন শিক্ষক শফিকুর রহমান। পরদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলামসহ এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের সঠিক প্রতিকার না মেলায় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে সহকারী শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়।
ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক শফিকুর রহমান এর আগেও একটি মেয়েটির সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করছিল। স্থানীয় জনতা হাতেনাতে এটা ধরে ফেলে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও শিক্ষক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, প্রশ্ন ফাঁস ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গত ২৬ মে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
শফিকুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজহারুজ্জামান মুকুল বলেন, আমি বিদ্যালয়ে এসে ঘটনাটি শুনেছি।
তবে লিখিত বা মৌখিকভাবে কোনো অভিযোগ পাইনি। শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে অবশ্যই শোকজ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষককে এভাবে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া একেবারেই অপ্রত্যাশিত এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং ক্ষুব্ধ জনতা শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৬ আগস্ট) ক্লাস শেষে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় এক ছাত্রীকে নিয়ে দীর্ঘ ৩৭ মিনিট অবস্থান করেন শিক্ষক শফিকুর রহমান। পরদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলামসহ এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের সঠিক প্রতিকার না মেলায় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে সহকারী শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়।
ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক শফিকুর রহমান এর আগেও একটি মেয়েটির সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করছিল। স্থানীয় জনতা হাতেনাতে এটা ধরে ফেলে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও শিক্ষক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, প্রশ্ন ফাঁস ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গত ২৬ মে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
শফিকুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজহারুজ্জামান মুকুল বলেন, আমি বিদ্যালয়ে এসে ঘটনাটি শুনেছি।
তবে লিখিত বা মৌখিকভাবে কোনো অভিযোগ পাইনি। শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে অবশ্যই শোকজ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষককে এভাবে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া একেবারেই অপ্রত্যাশিত এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর।
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:৩৬
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বাল্কহেডে ডাকাতি করতে গিয়ে ককটেল বিস্ফোরিত হয়ে এক ডাকাত সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য দুই ডাকাতকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করেছে জনতা। অন্যদিকে ডাকাত দলের হামলায় আহত হয়েছেন স্থানীয় দুই বাসিন্দা।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে গজারিয়া উপজেলা হোসেন্দি ইউনিয়নের ভাটি বলাকী গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ডাকাতের নাম চাঁন মিয়া (৪৮)। আহতরা হলেন—ভাটি বলাকী ইসহাক বেপারীর ছেলে আলম (৩৭) ও একই গ্রামের রাসেলের ছেলে সোহাগ (১৬)।
স্থানীয়রা জানায়, হোসেন্দি ইউনিয়নের ভাটি বলাকী গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে নোঙর করে রাখা ছিল কয়েকটি বাল্কহেড। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে একটি স্পিডবোট নিয়ে সেখানে ডাকাতির চেষ্টা করে সংঘবদ্ধ একটি নৌ ডাকাত দল। তবে নদীতে জেলেরা থাকায় সুবিধা করতে না পেরে তারা ফিরে যায়।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একটি স্পিডবোট ও একটি ট্রলার নিয়ে তারা আবার ফিরে আসে। খবর পেয়ে ভাটি বলাকী গ্রামের লোকজন তাদের বাধা দিলে আতঙ্ক তৈরি করতে ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে ২-৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় ডাকাত দল।
এ সময় ট্রলার থেকে গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়তে গিয়ে ডাকাত দলের এক সদস্যের হাতে বিস্ফোরিত হয়। এতে ওই ডাকাত সদস্যের এক হাতের কবজি উড়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে স্পিডবোটে থাকা ৫-৬ জন ডাকাত পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে ট্রলারে থাকা ডাকাত দলের তিন সদস্যকে ধাওয়া দিয়ে নারায়ণগঞ্জের চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় থেকে আটক করে জনতা। পরে উত্তেজিত জনতা তাদের গণধোলাই দিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায় একজন।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, নদী আর ঘটনাস্থল নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির সীমানায় পড়ায় বিষয়টি তারা দেখছেন। বিষয়টি সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সালেহ আহম্মেদ পাঠান বলেন, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার আনন্দবাজার এলাকা থেকে ছিনতাই করা ট্রলার ও স্পিডবোট নিয়ে কয়েকজন ডাকাত মেঘনা নদীর গজারিয়া উপজেলার ভাটি বলাকী এলাকায় ডাকাতি করতে যায়।
স্থানীয়রা তাদের বাধা দিলে ডাকাতরা জনগণকে লক্ষ্য করে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। ককটেল নিজের হাতে বিস্ফোরিত হয়ে এক ডাকাত সদস্যের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাকেসহ তিন ডাকাতকে গণধোলাই দিয়ে জনতা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। তাদের তিনজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য তাদের নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পর চাঁন মিয়া নামে এক ডাকাত মারা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছি।
নারায়ণগঞ্জের জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া) আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জহিরুল ইসলাম, এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত আমাদের হাসপাতালে দুজন রোগী আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন যার হাতে ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছিল, সে মারা গেছে। আরেকজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে নৌপুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, এই ঘটনায় এক ডাকাত সদস্য নিহত হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বাল্কহেডে ডাকাতি করতে গিয়ে ককটেল বিস্ফোরিত হয়ে এক ডাকাত সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য দুই ডাকাতকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করেছে জনতা। অন্যদিকে ডাকাত দলের হামলায় আহত হয়েছেন স্থানীয় দুই বাসিন্দা।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে গজারিয়া উপজেলা হোসেন্দি ইউনিয়নের ভাটি বলাকী গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ডাকাতের নাম চাঁন মিয়া (৪৮)। আহতরা হলেন—ভাটি বলাকী ইসহাক বেপারীর ছেলে আলম (৩৭) ও একই গ্রামের রাসেলের ছেলে সোহাগ (১৬)।
স্থানীয়রা জানায়, হোসেন্দি ইউনিয়নের ভাটি বলাকী গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে নোঙর করে রাখা ছিল কয়েকটি বাল্কহেড। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে একটি স্পিডবোট নিয়ে সেখানে ডাকাতির চেষ্টা করে সংঘবদ্ধ একটি নৌ ডাকাত দল। তবে নদীতে জেলেরা থাকায় সুবিধা করতে না পেরে তারা ফিরে যায়।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একটি স্পিডবোট ও একটি ট্রলার নিয়ে তারা আবার ফিরে আসে। খবর পেয়ে ভাটি বলাকী গ্রামের লোকজন তাদের বাধা দিলে আতঙ্ক তৈরি করতে ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে ২-৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় ডাকাত দল।
এ সময় ট্রলার থেকে গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়তে গিয়ে ডাকাত দলের এক সদস্যের হাতে বিস্ফোরিত হয়। এতে ওই ডাকাত সদস্যের এক হাতের কবজি উড়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে স্পিডবোটে থাকা ৫-৬ জন ডাকাত পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে ট্রলারে থাকা ডাকাত দলের তিন সদস্যকে ধাওয়া দিয়ে নারায়ণগঞ্জের চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় থেকে আটক করে জনতা। পরে উত্তেজিত জনতা তাদের গণধোলাই দিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায় একজন।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, নদী আর ঘটনাস্থল নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির সীমানায় পড়ায় বিষয়টি তারা দেখছেন। বিষয়টি সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সালেহ আহম্মেদ পাঠান বলেন, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার আনন্দবাজার এলাকা থেকে ছিনতাই করা ট্রলার ও স্পিডবোট নিয়ে কয়েকজন ডাকাত মেঘনা নদীর গজারিয়া উপজেলার ভাটি বলাকী এলাকায় ডাকাতি করতে যায়।
স্থানীয়রা তাদের বাধা দিলে ডাকাতরা জনগণকে লক্ষ্য করে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। ককটেল নিজের হাতে বিস্ফোরিত হয়ে এক ডাকাত সদস্যের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাকেসহ তিন ডাকাতকে গণধোলাই দিয়ে জনতা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। তাদের তিনজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য তাদের নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পর চাঁন মিয়া নামে এক ডাকাত মারা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছি।
নারায়ণগঞ্জের জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া) আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জহিরুল ইসলাম, এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত আমাদের হাসপাতালে দুজন রোগী আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন যার হাতে ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছিল, সে মারা গেছে। আরেকজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে নৌপুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, এই ঘটনায় এক ডাকাত সদস্য নিহত হয়েছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.