৩০ জুন, ২০২৫ ১৬:২২
ভ্রমণপিপাসু ও দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক। বরগুনার আমতলীতে এ সড়কে ফুটপাত থাকলেও তা ঢেকে গেছে আগাছায়। এতে পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। দ্রুত জঙ্গল ও আগাছা দূর করে মানুষের চলাচলের পথ সুগম করে দেওয়ার দাবি স্থানীয়দের।
জানা গেছে, ২০০৭ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক নির্মাণ করে। গত ১৮ বছরে এ সড়কটি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠেছে। সড়ক নির্মাণকালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য সড়কের পাশে তিন ফুট করে ফুটপাত করে দেয়।
২০২২ সালে ২৫ জুন পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ার পর এ সড়কটি আরও জনগুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কয়েক হাজার যানবাহন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। কিন্তু ফুটপাতে আগাছা জন্ম নিয়ে ঝোপঝাড়ে পরিণত হওয়ায় সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মহাসড়কের দুপাশে অবস্থিত ফুটপাতগুলো দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। আগাছা ও ঝোপঝাড়ে ঢেকে গেছে চলাচলের পথ। কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে, ছোট-বড় গাছগাছালি। বিশেষ করে আমতলী উপজেলার শাখারিয়া থেকে বান্দ্রা পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার সড়কের ফুটপাতের পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ।
ফুটপাত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সংস্কার না করায় বনজঙ্গলে পরিণত হয়েছে। ফলে পথচারীদের মূল সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। এতে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া বর্ষাকালে যানবাহন চলাচলেও সমস্যা হয়।
স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত জঙ্গল ও আগাছা পরিষ্কার করে ফুটপাত পুনরুদ্ধার না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এখনই নজর দেওয়া জরুরি।স্থানীয় পথচারী নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘রাস্তার পাশে হাঁটার কোনো উপায় নেই। বাধ্য হয়ে আমাদের মূল রাস্তায় নামতে হয়, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্ঘটনার আশঙ্কা সব সময়ই থাকে।’
আমতলী সরকারি কলেজের ছাত্রী তামান্না সুলতানা বলেন, ‘কলেজে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে হাঁটতে গেলে দুর্ঘটনার ভয় থাকে, পোশাক নষ্ট হয়। অনেক সময় সাপ কিংবা বিষাক্ত পোকামাকড়ের ভয়ও থাকে। তাই বাধ্য হয়ে মূল সড়ক দিয়ে হাঁটতে হয়।’
আমতলী বাজারের ব্যবসায়ী মিলন হোসেন বলেন, ‘জঙ্গল পরিষ্কার করে চলাচলের উপযোগী ফুটপাত ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’ মোটরসাইকেলচালক শাহ আলম তালুকদার বলেন, সড়কের দুই পাশ ঝোপঝাড়ে ভরে গেছে। গাড়ি চালাতে খুবই সমস্যা হয়।
বাসচালক সাদ্দাম মিয়া বলেন, ‘গাড়ি পাশাপাশি ক্রস করতে গেলে ফুটপাত হয়ে যেতে হয়। ওই সময় বন-জঙ্গলের কারণে ফুটপাত কি না বোঝা মুশকিল। ঝোপঝাড় পরিষ্কার থাকলে ঝুঁকি থাকে না।’
এ বিষয়ে বরগুনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কুমারেশ বিশ্বাস বলেন, ‘ফুটপাতের অবস্থা সম্পর্কে আমি অবগত। অল্প দিনের মধ্যেই সড়কের দুপাশের বন-জঙ্গল পরিষ্কার করে ফুটপাত সাধারণ মানুষের চলাচলের উপযুক্ত করে দেওয়া হবে।’
ভ্রমণপিপাসু ও দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক। বরগুনার আমতলীতে এ সড়কে ফুটপাত থাকলেও তা ঢেকে গেছে আগাছায়। এতে পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। দ্রুত জঙ্গল ও আগাছা দূর করে মানুষের চলাচলের পথ সুগম করে দেওয়ার দাবি স্থানীয়দের।
জানা গেছে, ২০০৭ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক নির্মাণ করে। গত ১৮ বছরে এ সড়কটি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠেছে। সড়ক নির্মাণকালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য সড়কের পাশে তিন ফুট করে ফুটপাত করে দেয়।
২০২২ সালে ২৫ জুন পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ার পর এ সড়কটি আরও জনগুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কয়েক হাজার যানবাহন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। কিন্তু ফুটপাতে আগাছা জন্ম নিয়ে ঝোপঝাড়ে পরিণত হওয়ায় সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মহাসড়কের দুপাশে অবস্থিত ফুটপাতগুলো দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। আগাছা ও ঝোপঝাড়ে ঢেকে গেছে চলাচলের পথ। কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে, ছোট-বড় গাছগাছালি। বিশেষ করে আমতলী উপজেলার শাখারিয়া থেকে বান্দ্রা পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার সড়কের ফুটপাতের পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ।
ফুটপাত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সংস্কার না করায় বনজঙ্গলে পরিণত হয়েছে। ফলে পথচারীদের মূল সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। এতে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া বর্ষাকালে যানবাহন চলাচলেও সমস্যা হয়।
স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত জঙ্গল ও আগাছা পরিষ্কার করে ফুটপাত পুনরুদ্ধার না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এখনই নজর দেওয়া জরুরি।স্থানীয় পথচারী নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘রাস্তার পাশে হাঁটার কোনো উপায় নেই। বাধ্য হয়ে আমাদের মূল রাস্তায় নামতে হয়, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্ঘটনার আশঙ্কা সব সময়ই থাকে।’
আমতলী সরকারি কলেজের ছাত্রী তামান্না সুলতানা বলেন, ‘কলেজে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে হাঁটতে গেলে দুর্ঘটনার ভয় থাকে, পোশাক নষ্ট হয়। অনেক সময় সাপ কিংবা বিষাক্ত পোকামাকড়ের ভয়ও থাকে। তাই বাধ্য হয়ে মূল সড়ক দিয়ে হাঁটতে হয়।’
আমতলী বাজারের ব্যবসায়ী মিলন হোসেন বলেন, ‘জঙ্গল পরিষ্কার করে চলাচলের উপযোগী ফুটপাত ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’ মোটরসাইকেলচালক শাহ আলম তালুকদার বলেন, সড়কের দুই পাশ ঝোপঝাড়ে ভরে গেছে। গাড়ি চালাতে খুবই সমস্যা হয়।
বাসচালক সাদ্দাম মিয়া বলেন, ‘গাড়ি পাশাপাশি ক্রস করতে গেলে ফুটপাত হয়ে যেতে হয়। ওই সময় বন-জঙ্গলের কারণে ফুটপাত কি না বোঝা মুশকিল। ঝোপঝাড় পরিষ্কার থাকলে ঝুঁকি থাকে না।’
এ বিষয়ে বরগুনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কুমারেশ বিশ্বাস বলেন, ‘ফুটপাতের অবস্থা সম্পর্কে আমি অবগত। অল্প দিনের মধ্যেই সড়কের দুপাশের বন-জঙ্গল পরিষ্কার করে ফুটপাত সাধারণ মানুষের চলাচলের উপযুক্ত করে দেওয়া হবে।’
১৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:১০
ক্ষতিপূরণ এবং ন্যায্য রূপান্তর এখনই' এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে জলবায়ু ঋণ বাতিল করার দাবিতে বরগুনার তালতলীতে পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), পিপীলিকা'র পাঠশালা, বিডি ক্লিন-তালতলী ও নিদ্রা পর্যটন উদ্যোক্তা কমিটির আয়োজনে এ পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ পদযাত্রা উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত থেকে শুরু হয়ে সোনাকাটা ইউনিয়নের নিদ্রার চর সৈকতে গিয়ে শেষ হয়। এসময় শতাধিক শিক্ষার্থী পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের শরীরে জলবায়ু ন্যায্যতার দাবি সম্বলিত টি শার্ট ও বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ-সম্পাদক আবু জাফর সালেহ পদযাত্রা কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন, বরগুনা জেলা টেলিভিশন ফোরামের সাবেক সাধারণ-সম্পাদক বেলাল হোসেন মিলন, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ'র (তালতলী-আমতলী) সমন্বয়ক আরিফুর রহমান, পরিবেশ ও উন্নয়নকর্মী এম মিলন, সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী মো. মোস্তাফিজ, তালতলী চারুকলা একাডেমীর পরিচালক রফিকুল ইসলাম অন্তর প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, 'আমাদের সকল প্রকার জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং সকল ক্ষেত্রে নবায়ন শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।উপকূলীয় অঞ্চলে সূর্যের তাপ বেশি উষ্ণ বিধায় এখানে সোলার প্রযুক্তি স্থাপন, সমুদ্র তীরের বাতাসকে ব্যবহার করে বায়োবিদ্যুৎ উৎপাদন ও গ্রামীণ এলাকায় বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করতে হবে। সকল প্রকার জলবায়ু ঋণ বাতিল করে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।'
ক্ষতিপূরণ এবং ন্যায্য রূপান্তর এখনই' এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে জলবায়ু ঋণ বাতিল করার দাবিতে বরগুনার তালতলীতে পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), পিপীলিকা'র পাঠশালা, বিডি ক্লিন-তালতলী ও নিদ্রা পর্যটন উদ্যোক্তা কমিটির আয়োজনে এ পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ পদযাত্রা উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত থেকে শুরু হয়ে সোনাকাটা ইউনিয়নের নিদ্রার চর সৈকতে গিয়ে শেষ হয়। এসময় শতাধিক শিক্ষার্থী পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের শরীরে জলবায়ু ন্যায্যতার দাবি সম্বলিত টি শার্ট ও বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ-সম্পাদক আবু জাফর সালেহ পদযাত্রা কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন, বরগুনা জেলা টেলিভিশন ফোরামের সাবেক সাধারণ-সম্পাদক বেলাল হোসেন মিলন, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ'র (তালতলী-আমতলী) সমন্বয়ক আরিফুর রহমান, পরিবেশ ও উন্নয়নকর্মী এম মিলন, সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী মো. মোস্তাফিজ, তালতলী চারুকলা একাডেমীর পরিচালক রফিকুল ইসলাম অন্তর প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, 'আমাদের সকল প্রকার জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং সকল ক্ষেত্রে নবায়ন শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।উপকূলীয় অঞ্চলে সূর্যের তাপ বেশি উষ্ণ বিধায় এখানে সোলার প্রযুক্তি স্থাপন, সমুদ্র তীরের বাতাসকে ব্যবহার করে বায়োবিদ্যুৎ উৎপাদন ও গ্রামীণ এলাকায় বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করতে হবে। সকল প্রকার জলবায়ু ঋণ বাতিল করে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।'
১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:৩০
বরগুনায় মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাদীকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. শরীয়ত উল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব স্বপন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মিলটন মুন্সি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার আমড়াগাছিয়া এলাকার মো. শাহজাহান মুন্সির ছেলে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, মিলটন মুন্সি বরগুনা সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নের দক্ষিণ লাকুরতলা এলাকায় অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সুলতান আহমেদের সম্পত্তির দেখভাল করতেন। জমি দখল নিয়ে হুমকি ও ভয়ভীতির অভিযোগে তিনি মো. মহিউদ্দিন বাদল (৫৫) ও মো. নাসির উদ্দিন (৫৮) নামে দুইজনের বিরুদ্ধে বরগুনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আদালত জিডিটি আমলে নিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু করেন।
পরবর্তীতে মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০(২) ধারায় বাদী মিলটন মুন্সিকে ৭ দিনের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব স্বপন বলেন, ‘বাদী মিলটন মুন্সি আদালতে তার অভিযোগের পক্ষে কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হন। ফলে অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০(২) ধারায় আদালত তাকে সাত দিনের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন। অভিযুক্ত দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। এটি আইন অঙ্গনে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।’
বরগুনায় মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাদীকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. শরীয়ত উল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব স্বপন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মিলটন মুন্সি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার আমড়াগাছিয়া এলাকার মো. শাহজাহান মুন্সির ছেলে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, মিলটন মুন্সি বরগুনা সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নের দক্ষিণ লাকুরতলা এলাকায় অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সুলতান আহমেদের সম্পত্তির দেখভাল করতেন। জমি দখল নিয়ে হুমকি ও ভয়ভীতির অভিযোগে তিনি মো. মহিউদ্দিন বাদল (৫৫) ও মো. নাসির উদ্দিন (৫৮) নামে দুইজনের বিরুদ্ধে বরগুনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আদালত জিডিটি আমলে নিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু করেন।
পরবর্তীতে মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০(২) ধারায় বাদী মিলটন মুন্সিকে ৭ দিনের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব স্বপন বলেন, ‘বাদী মিলটন মুন্সি আদালতে তার অভিযোগের পক্ষে কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হন। ফলে অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০(২) ধারায় আদালত তাকে সাত দিনের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন। অভিযুক্ত দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। এটি আইন অঙ্গনে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।’
১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৩৬
বরগুনার তালতলী উপজেলায় ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পর এবার নিজের ছয় বছর বয়সী ভাতিজিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে চাচা হাবিব ওরফে হাবিল খান (২৭)। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটার পরপরই পুলিশ ঘাতককে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত তাননুর আক্তার নাবিল (৬) ইদুপাড়া গ্রামের দুলাল খানের মেয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে স্কুল শেষে বাড়ি ফিরে দোকানে বিস্কুট কিনতে গেলে হঠাৎ পেছন দিক থেকে চাচা হাবিল একটি গড়ান কাঠের লাঠি দিয়ে শিশুটির মাথা ও হাতে আঘাত করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনরা তাকে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ডা. রকিবুল ইসলাম তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফার্ড করেন। পথে শিশুটি মৃত্যুবরণ করে।
এদিকে হত্যার ঘটনার পর স্থানীয়রা হাবিলকে ধাওয়া করে এবং পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘাতক হাবিল ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে তার বড় ভাই দুলাল খানের প্রথম স্ত্রী তানিয়া বেগমকে গলা কেটে হত্যা করেছিল। সে সময় তার বয়স ছিল ১৭ বছর। শিশু আইনে সে ৯ বছর সাজাভোগের পর ২০২৪ সালের শুরুর দিকে জামিনে মুক্তি পায়।
মুক্তির এক বছর না যেতেই আবারও ঘাতক রূপে ফিরে এলো সে। এবার বড়ভাইয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী ফাহিমা আক্তারের কন্যা তাননুর আক্তারকে পিটিয়ে হত্যা করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পর চাচার হাতে এবার ভাতিজি খুন
নিহত শিশুর বাবা দুলাল খান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘২০১৫ সালে আমার প্রথম স্ত্রীকে হত্যা করেছে। এখন আমার ছোট মেয়ে তাননুকেও পিটিয়ে মেরেছে। আমার জীবনে আর কিছুই রইল না। আমি ঘাতক হাবিলের ফাঁসি চাই।’
প্রত্যক্ষদর্শী রানা হাওলাদার জানান, তাননু দোকানে যাওয়ার পথে হাবিল পেছন দিক থেকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে শিশুটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
ইউপি সদস্য মো. টুকু সিকদার ও সাবেক ইউপি সদস্য সালাম হাওলাদার বলেন, ‘ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা হাবিলকে ধাওয়া করলে সে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে।’
এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুটির মাথা ও হাতের কনুইয়ে গুরুতর জখম ছিল। বরিশালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।’
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, ‘ঘাতক হাবিল খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশুটির মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে এবং বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। শিশুর বাবা দুলাল খান বাদী হয়ে হাবিলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।’
বরগুনার তালতলী উপজেলায় ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পর এবার নিজের ছয় বছর বয়সী ভাতিজিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে চাচা হাবিব ওরফে হাবিল খান (২৭)। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটার পরপরই পুলিশ ঘাতককে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত তাননুর আক্তার নাবিল (৬) ইদুপাড়া গ্রামের দুলাল খানের মেয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে স্কুল শেষে বাড়ি ফিরে দোকানে বিস্কুট কিনতে গেলে হঠাৎ পেছন দিক থেকে চাচা হাবিল একটি গড়ান কাঠের লাঠি দিয়ে শিশুটির মাথা ও হাতে আঘাত করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনরা তাকে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ডা. রকিবুল ইসলাম তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফার্ড করেন। পথে শিশুটি মৃত্যুবরণ করে।
এদিকে হত্যার ঘটনার পর স্থানীয়রা হাবিলকে ধাওয়া করে এবং পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘাতক হাবিল ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে তার বড় ভাই দুলাল খানের প্রথম স্ত্রী তানিয়া বেগমকে গলা কেটে হত্যা করেছিল। সে সময় তার বয়স ছিল ১৭ বছর। শিশু আইনে সে ৯ বছর সাজাভোগের পর ২০২৪ সালের শুরুর দিকে জামিনে মুক্তি পায়।
মুক্তির এক বছর না যেতেই আবারও ঘাতক রূপে ফিরে এলো সে। এবার বড়ভাইয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী ফাহিমা আক্তারের কন্যা তাননুর আক্তারকে পিটিয়ে হত্যা করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পর চাচার হাতে এবার ভাতিজি খুন
নিহত শিশুর বাবা দুলাল খান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘২০১৫ সালে আমার প্রথম স্ত্রীকে হত্যা করেছে। এখন আমার ছোট মেয়ে তাননুকেও পিটিয়ে মেরেছে। আমার জীবনে আর কিছুই রইল না। আমি ঘাতক হাবিলের ফাঁসি চাই।’
প্রত্যক্ষদর্শী রানা হাওলাদার জানান, তাননু দোকানে যাওয়ার পথে হাবিল পেছন দিক থেকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে শিশুটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
ইউপি সদস্য মো. টুকু সিকদার ও সাবেক ইউপি সদস্য সালাম হাওলাদার বলেন, ‘ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা হাবিলকে ধাওয়া করলে সে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে।’
এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুটির মাথা ও হাতের কনুইয়ে গুরুতর জখম ছিল। বরিশালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।’
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, ‘ঘাতক হাবিল খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশুটির মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে এবং বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। শিশুর বাবা দুলাল খান বাদী হয়ে হাবিলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।’
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.