
১২ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:১৯
নিষিদ্ধ সংগঠন মানিকগঞ্জ সাটুরিয়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুজ্জামান তালুকদার দাউদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মানিকগঞ্জ জেলার প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট জাহিদ তালুকদারের ছোট ভাই।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোররাতে নিজ বাসা থেকে মো. সাইদুজ্জামান তালুকদার দাউদকে (৪৭) গ্রেফতার করা হয়।
সাটুরিয়া থানার ওসি আরএএম আল মামুন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার সাইদুজ্জামান তালুকদার উপজেলার পশ্চিম কাউন্নারা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে।
জানা গেছে, সাইদুজ্জামান তালুকদার বর্তমানে উপজেলা যুবলীগের সক্রিয় নেতা। মামলার পর থেকে ছোট ভাই জাহিদ তালুকদারের প্রভাবে গ্রেফতার এড়িয়ে বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন তিনি।
সাটুরিয়া থানার ওসি জানান, বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সাঈদুজ্জামান তালুকদারকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিষিদ্ধ সংগঠন মানিকগঞ্জ সাটুরিয়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুজ্জামান তালুকদার দাউদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মানিকগঞ্জ জেলার প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট জাহিদ তালুকদারের ছোট ভাই।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোররাতে নিজ বাসা থেকে মো. সাইদুজ্জামান তালুকদার দাউদকে (৪৭) গ্রেফতার করা হয়।
সাটুরিয়া থানার ওসি আরএএম আল মামুন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার সাইদুজ্জামান তালুকদার উপজেলার পশ্চিম কাউন্নারা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে।
জানা গেছে, সাইদুজ্জামান তালুকদার বর্তমানে উপজেলা যুবলীগের সক্রিয় নেতা। মামলার পর থেকে ছোট ভাই জাহিদ তালুকদারের প্রভাবে গ্রেফতার এড়িয়ে বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন তিনি।
সাটুরিয়া থানার ওসি জানান, বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সাঈদুজ্জামান তালুকদারকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৪৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে হাদির মরদেহ স্থানান্তর করা হয়।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সাড়ে ১১টার দিকে তাকে গোসল করানো হবে। বাকি আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার মরদেহ নেওয়া হবে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়।
সেখানে দুপুর দুইটায় হাদির নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরিবারের ইচ্ছায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে হাদিকে সমাহিত করা হবে।
এদিকে, শরীফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ (শনিবার) এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। দিনটি উপলক্ষে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি, বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হন ওসমান হাদি। এরপর ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার অস্ত্রোপচার হয়। পরে পরিবারের ইচ্ছায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নেওয়া হয়েছিল সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি (বিজি-৫৮৫) সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:৫৬

১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:৪২
ঘুমন্ত পুলিশের সঙ্গে গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতার সেলফি, ক্যাপশনে ‘ঘুম ভালোবাসিরে’
‘ঘুম ভালোবাসিরে এএএ...। জীবন যেমনই হোক বিনোদন মিস করা যাবে না।’ কথাগুলো পটিয়া থানার হেফাজতে থাকা গ্রেপ্তার আসামি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা মো. শোয়াইব-উল ইসলাম মহিমের (২১)। গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রামের পটিয়া থানা থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি এ পোস্ট করেন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ১টার দিকে পটিয়া পৌর সদরের কাগজীপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। থানায় আসামির ফেসবুকে সক্রিয় থাকা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
গ্রেপ্তার মহিম পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল বশরের ছেলে। তিনি ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি বলে জানা গেছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে পটিয়া পৌর সদরের কাগজীপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে যুবলীগের একটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে।
তবে গ্রেপ্তারের পরও মহিমকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে। পুলিশ হেফাজতে থাকার পরও তাকে ওই সময় ফেসবুকে দিব্যি পোস্ট দিতে দেখা যায়। এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমি পটিয়া থানায়। দেখা হবে আবারও, ফিরব বীরের বেশে কোনো একদিন। জয় বাংলা।’ পরে থানা-পুলিশের অফিসকক্ষে হাতকড়া পরা একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘এইদিন দিন নয়, দিন আরও আছে।’
এছাড়া ডিউটিরত অবস্থায় ঘুমন্ত এক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন মহিম। ছবিটির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘ঘুম ভালোবাসিরেএএএ...। জীবন যেমনই হোক বিনোদন মিস করা যাবে না।’
আরেকটি ছবিতে তাকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তুহিনের সঙ্গে ভিডিওকলে যোগাযোগ করতে দেখা যায়। ওই ছবির ক্যাপশনে তুহিন লেখেন— ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আপসহীন লড়াইয়ে দখলদার বাহিনীর হাতে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারকৃত পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কর্মী মো. শোয়াইব-উল ইসলাম মহিমের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক কালবেলাকে বলেন, ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ছাত্রলীগ নেতা মহিমকে গ্রেপ্তার করে থানা হাজতে রাখা হয়। কিন্তু সেখানে সে পুলিশের অগোচরে তার মোবাইলটি নিজের কাছে লুকিয়ে রাখে। পরে সুযোগ বুঝে সেলফি তুলে ছেড়ে দেয়। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে হাদির মরদেহ স্থানান্তর করা হয়।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সাড়ে ১১টার দিকে তাকে গোসল করানো হবে। বাকি আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার মরদেহ নেওয়া হবে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়।
সেখানে দুপুর দুইটায় হাদির নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরিবারের ইচ্ছায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে হাদিকে সমাহিত করা হবে।
এদিকে, শরীফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ (শনিবার) এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। দিনটি উপলক্ষে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি, বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হন ওসমান হাদি। এরপর ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার অস্ত্রোপচার হয়। পরে পরিবারের ইচ্ছায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নেওয়া হয়েছিল সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি (বিজি-৫৮৫) সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বগুড়ায় একটি হিমাগারের পলাতক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের স্বাক্ষর জাল করে ঋণ পুনঃতফশিলের চেষ্টার অভিযোগে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বগুড়ার শেরপুরের খানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মিল্লাত হোসেন সম্প্রতি বগুড়ার অবকাশকালীন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ মামলা করেন।
বিচারক সিনিয়র স্পেশাল জজ শাহজাহান কবির মামলাটি আমলে নিয়ে নথিপত্র ও প্রাথমিক তথ্য পর্যালোচনা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়কে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল ওহাব ও দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মাহফুজ ইকবাল মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান ড. এম জুবায়দুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক খান, প্রধান কার্যালয়ের ইনচার্জ মাহমুদ হোসেন খান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সৈয়দ উল্লাহ, বগুড়ার জোনাল শাখার ইনচার্জ সিকদার শাহাবুদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (বিআরপিডি) ও সদস্য সচিব, নীতি সহায়তা প্রদান বাছাই কমিটি বায়েজিদ সরকার এবং বগুড়ার শিবগঞ্জের কিচক বাজারে আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্না (সভাপতি নাগরিক ঐক্য)।
মামলায় কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম নাজমুল কাদির শাহজাহান চৌধুরী ও পরিচালক তার স্ত্রী ইসমত আরা লাইজুসহ পাঁচজনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, আসামিরা জালিয়াতি ও প্রতারণাকারী এবং আইন পরিপন্থি কাজের সঙ্গে জড়িত। তার সঙ্গে ২নং সাক্ষী এবিএম নাজমুল কাদির চৌধুরী ও ৩নং সাক্ষী ইসমত আরা লাইজুর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিনামা সম্পাদক হয়। চুক্তিনামা অনুযায়ী এরা দুজন ও ৭নং আসামি মাহমুদুর রহমান মান্নার প্রতিষ্ঠান আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য ২৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করে তা বিক্রির জন্য চুক্তি হয়। চুক্তির দিন সাক্ষী ১০ কোটি টাকা বুঝিয়ে দেন এবং অবশিষ্ট ১৫ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধের সময় পরিশোধ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। সম্পত্তি হস্তান্তরের বিষয়েও সম্মতি প্রকাশ করেন।
পরে দেখা যায়, সাক্ষী এবিএম নাজমুল১ কাদির শাহজাহান চৌধুরী ও তার স্ত্রী ইসমত আরা লাইজু গত বছরের ১৯ আগস্ট আমেরিকা চলে যান। পলাতক অবস্থায় তাদের অনুপস্থিতিতে আসামি মাহমুদুর রহমান মান্না ওই দম্পতির স্বাক্ষর জাল করে ১ ডিসেম্বর বোর্ড সভার ভুয়া রেজুলেশন তৈরি করেন। যেখানে ৩৮ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফশিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আসামিরা এই জাল রেজুলেশনকে বৈধ রূপ দিয়ে তা বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকে দাখিল করে ঋণ পুনঃতফশিলের আবেদন করেন। পরে তারা পরস্পর যোগসাজশে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা লঙ্ঘন করে, নিয়ম বহির্ভূতভাবে মিথ্যা কাগজপত্রের মাধ্যমে ঋণ পুনঃতফশিলের অনুমোদন আদায়ের চেষ্টা করেন।
গত ১১ ডিসেম্বর দাখিল করা ওই মামলায় আরও বলা হয়, ইসলামী ব্যাংক বগুড়ার বড়গোলা শাখা থেকে খেলাপি ৩৮ কোটি চার লাখ ৭৬ হাজার টাকা ঋণ পরিশোধের জন্য আসামিদের ‘কল ব্যাক নোটিশ’ দেওয়া হয়।
ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। এরপরও আসামিরা জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে পুনঃতফশিলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল ওহাব বলেন, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শিবগঞ্জের কিচক বাজারে আফাকু কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম নাজমুল কাদির শাহজাহান চৌধুরী, তার স্ত্রী ইসমত আরা লাইজুকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন। এরপরও তাদের উপস্থিত দেখিয়ে ভুয়া স্বাক্ষরের মাধ্যমে ৩৮ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফশিলের চেষ্টা করায় এ মামলা হয়েছে।
দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মাহফুজ ইকবাল জানান, আদালতের আদেশের কপি বুধবার হাতে এসে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার আদেশের অনুলিপিসহ নথিপত্র দুদক ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
মামলার অন্যতম আসামি নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ফোন না ধরায় এ ব্যাপারে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বগুড়ায় একটি হিমাগারের পলাতক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের স্বাক্ষর জাল করে ঋণ পুনঃতফশিলের চেষ্টার অভিযোগে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বগুড়ার শেরপুরের খানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মিল্লাত হোসেন সম্প্রতি বগুড়ার অবকাশকালীন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ মামলা করেন।
বিচারক সিনিয়র স্পেশাল জজ শাহজাহান কবির মামলাটি আমলে নিয়ে নথিপত্র ও প্রাথমিক তথ্য পর্যালোচনা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়কে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল ওহাব ও দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মাহফুজ ইকবাল মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান ড. এম জুবায়দুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক খান, প্রধান কার্যালয়ের ইনচার্জ মাহমুদ হোসেন খান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সৈয়দ উল্লাহ, বগুড়ার জোনাল শাখার ইনচার্জ সিকদার শাহাবুদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (বিআরপিডি) ও সদস্য সচিব, নীতি সহায়তা প্রদান বাছাই কমিটি বায়েজিদ সরকার এবং বগুড়ার শিবগঞ্জের কিচক বাজারে আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্না (সভাপতি নাগরিক ঐক্য)।
মামলায় কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম নাজমুল কাদির শাহজাহান চৌধুরী ও পরিচালক তার স্ত্রী ইসমত আরা লাইজুসহ পাঁচজনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, আসামিরা জালিয়াতি ও প্রতারণাকারী এবং আইন পরিপন্থি কাজের সঙ্গে জড়িত। তার সঙ্গে ২নং সাক্ষী এবিএম নাজমুল কাদির চৌধুরী ও ৩নং সাক্ষী ইসমত আরা লাইজুর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিনামা সম্পাদক হয়। চুক্তিনামা অনুযায়ী এরা দুজন ও ৭নং আসামি মাহমুদুর রহমান মান্নার প্রতিষ্ঠান আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য ২৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করে তা বিক্রির জন্য চুক্তি হয়। চুক্তির দিন সাক্ষী ১০ কোটি টাকা বুঝিয়ে দেন এবং অবশিষ্ট ১৫ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধের সময় পরিশোধ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। সম্পত্তি হস্তান্তরের বিষয়েও সম্মতি প্রকাশ করেন।
পরে দেখা যায়, সাক্ষী এবিএম নাজমুল১ কাদির শাহজাহান চৌধুরী ও তার স্ত্রী ইসমত আরা লাইজু গত বছরের ১৯ আগস্ট আমেরিকা চলে যান। পলাতক অবস্থায় তাদের অনুপস্থিতিতে আসামি মাহমুদুর রহমান মান্না ওই দম্পতির স্বাক্ষর জাল করে ১ ডিসেম্বর বোর্ড সভার ভুয়া রেজুলেশন তৈরি করেন। যেখানে ৩৮ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফশিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আসামিরা এই জাল রেজুলেশনকে বৈধ রূপ দিয়ে তা বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকে দাখিল করে ঋণ পুনঃতফশিলের আবেদন করেন। পরে তারা পরস্পর যোগসাজশে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা লঙ্ঘন করে, নিয়ম বহির্ভূতভাবে মিথ্যা কাগজপত্রের মাধ্যমে ঋণ পুনঃতফশিলের অনুমোদন আদায়ের চেষ্টা করেন।
গত ১১ ডিসেম্বর দাখিল করা ওই মামলায় আরও বলা হয়, ইসলামী ব্যাংক বগুড়ার বড়গোলা শাখা থেকে খেলাপি ৩৮ কোটি চার লাখ ৭৬ হাজার টাকা ঋণ পরিশোধের জন্য আসামিদের ‘কল ব্যাক নোটিশ’ দেওয়া হয়।
ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। এরপরও আসামিরা জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে পুনঃতফশিলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল ওহাব বলেন, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শিবগঞ্জের কিচক বাজারে আফাকু কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম নাজমুল কাদির শাহজাহান চৌধুরী, তার স্ত্রী ইসমত আরা লাইজুকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন। এরপরও তাদের উপস্থিত দেখিয়ে ভুয়া স্বাক্ষরের মাধ্যমে ৩৮ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফশিলের চেষ্টা করায় এ মামলা হয়েছে।
দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মাহফুজ ইকবাল জানান, আদালতের আদেশের কপি বুধবার হাতে এসে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার আদেশের অনুলিপিসহ নথিপত্র দুদক ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
মামলার অন্যতম আসামি নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ফোন না ধরায় এ ব্যাপারে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঘুমন্ত পুলিশের সঙ্গে গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতার সেলফি, ক্যাপশনে ‘ঘুম ভালোবাসিরে’
‘ঘুম ভালোবাসিরে এএএ...। জীবন যেমনই হোক বিনোদন মিস করা যাবে না।’ কথাগুলো পটিয়া থানার হেফাজতে থাকা গ্রেপ্তার আসামি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা মো. শোয়াইব-উল ইসলাম মহিমের (২১)। গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রামের পটিয়া থানা থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি এ পোস্ট করেন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ১টার দিকে পটিয়া পৌর সদরের কাগজীপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। থানায় আসামির ফেসবুকে সক্রিয় থাকা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
গ্রেপ্তার মহিম পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল বশরের ছেলে। তিনি ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি বলে জানা গেছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে পটিয়া পৌর সদরের কাগজীপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে যুবলীগের একটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে।
তবে গ্রেপ্তারের পরও মহিমকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে। পুলিশ হেফাজতে থাকার পরও তাকে ওই সময় ফেসবুকে দিব্যি পোস্ট দিতে দেখা যায়। এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমি পটিয়া থানায়। দেখা হবে আবারও, ফিরব বীরের বেশে কোনো একদিন। জয় বাংলা।’ পরে থানা-পুলিশের অফিসকক্ষে হাতকড়া পরা একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘এইদিন দিন নয়, দিন আরও আছে।’
এছাড়া ডিউটিরত অবস্থায় ঘুমন্ত এক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন মহিম। ছবিটির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘ঘুম ভালোবাসিরেএএএ...। জীবন যেমনই হোক বিনোদন মিস করা যাবে না।’
আরেকটি ছবিতে তাকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তুহিনের সঙ্গে ভিডিওকলে যোগাযোগ করতে দেখা যায়। ওই ছবির ক্যাপশনে তুহিন লেখেন— ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আপসহীন লড়াইয়ে দখলদার বাহিনীর হাতে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারকৃত পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কর্মী মো. শোয়াইব-উল ইসলাম মহিমের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক কালবেলাকে বলেন, ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ছাত্রলীগ নেতা মহিমকে গ্রেপ্তার করে থানা হাজতে রাখা হয়। কিন্তু সেখানে সে পুলিশের অগোচরে তার মোবাইলটি নিজের কাছে লুকিয়ে রাখে। পরে সুযোগ বুঝে সেলফি তুলে ছেড়ে দেয়। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩৩
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:১১
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৪৫
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৩২