
१३ জুলাই, २০२५ २३:३९
বরগুনার আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতা ও ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ফিরোজ খান তাপসের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ দু’জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্যরা তাপসসহ দু’জনকে আটক করেছে। রোববার (১৩ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান মিঠু মৃধা দায়িত্ব পালনে কার্যালয়ে গেলে যুবদল নেতা ফিরোজ খান তাপস ৩০-৪০ জনের একটি দল নিয়ে হকিস্টিক, রামদা ও লাঠিসোটা হাতে হাজির হন। এরপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে চেয়ারম্যানের কক্ষে ঢুকে হামলা চালানো হয়।
ইউপি সদস্য সোহেল খান (৪০) ও চেয়ারম্যানের ভাই জসিম মৃধা (৫০) তাকে রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে তাদেরকে ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। সোহেল খানকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং জসিম মৃধাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপজেলা আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা অভিযোগ করেন, ১৯ জুন একটি চায়ের দোকানে বসে ফিরোজ খান তাপস পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক দায়িত্ব বুঝে নিয়েছিলেন। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি দায়িত্বে ফিরলে পরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা চালানো হয়।
পরে পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্যরা ফিরোজ খান তাপস ও তার সহযোগী রাসেল আকনকে আটক করে একটি কক্ষে আটকে রাখে। এ সময় তাপসের স্ত্রী খাদিজা বেগম ২০-২৫ জন নিয়ে এসে পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন ও ইটপাটকেল ছোড়েন। তবে কেউ আহত হননি।
অভিযুক্ত ফিরোজ খান তাপস এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। আমাকে দলীয়ভাবে হেয় করতেই এসব সাজানো হচ্ছে।’
আমতলী থানা পুলিশের ওসি মো. আরিফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বরগুনার আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতা ও ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ফিরোজ খান তাপসের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ দু’জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্যরা তাপসসহ দু’জনকে আটক করেছে। রোববার (১৩ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান মিঠু মৃধা দায়িত্ব পালনে কার্যালয়ে গেলে যুবদল নেতা ফিরোজ খান তাপস ৩০-৪০ জনের একটি দল নিয়ে হকিস্টিক, রামদা ও লাঠিসোটা হাতে হাজির হন। এরপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে চেয়ারম্যানের কক্ষে ঢুকে হামলা চালানো হয়।
ইউপি সদস্য সোহেল খান (৪০) ও চেয়ারম্যানের ভাই জসিম মৃধা (৫০) তাকে রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে তাদেরকে ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। সোহেল খানকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং জসিম মৃধাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপজেলা আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা অভিযোগ করেন, ১৯ জুন একটি চায়ের দোকানে বসে ফিরোজ খান তাপস পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক দায়িত্ব বুঝে নিয়েছিলেন। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি দায়িত্বে ফিরলে পরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা চালানো হয়।
পরে পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্যরা ফিরোজ খান তাপস ও তার সহযোগী রাসেল আকনকে আটক করে একটি কক্ষে আটকে রাখে। এ সময় তাপসের স্ত্রী খাদিজা বেগম ২০-২৫ জন নিয়ে এসে পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন ও ইটপাটকেল ছোড়েন। তবে কেউ আহত হননি।
অভিযুক্ত ফিরোজ খান তাপস এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। আমাকে দলীয়ভাবে হেয় করতেই এসব সাজানো হচ্ছে।’
আমতলী থানা পুলিশের ওসি মো. আরিফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १९:२५
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १८:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १७:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १६:০০

२९ নভেম্বর, २০२५ १३:४४
রাত তখন প্রায় দেড়টা। বরগুনার তালতলী উপজেলার সাগরঘেঁষা তেঁতুলবাড়িয়া মাছঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে বের হয়েছিল মাছবোঝাই একটি বাস। গভীর রাতে নথুল্লাবাদের কাছাকাছি পৌঁছাতেই থামিয়ে দেওয়া হয় যাত্রীবাহী পরিবহনটিকে।
এদিকে, গোপন তথ্যের সূত্র ধরে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) অভিযান চালায় সেখানে। কাশিপুরের নিস্তব্ধতা ভেঙে তখন আলো ও মানুষের কোলাহল। বাসের বক্স খুলতেই মেলে জাটকার গন্ধ ভরা কয়েক ঝুড়ি। জব্দ করা হয় সবকিছু।
কিন্তু জাটকার সঙ্গে আরো অন্তত ১০০ কেজির মতো পোয়া আর সাগরের ফ্যাসা মাছ ছিল। এই মাছগুলো বৈধ। তবু সেগুলোও জব্দের তালিকায় চলে যায়। পরদিন সকালে বরিশালের সমাজসেবা অধিদপ্তরের আটটি শিশু পরিবারে মাছ বিতরণ হতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে মাত্র আট থেকে ১০ কেজি পোয়া মাছ বিতরণ করা হয়।
এছাড়া প্রতিটি প্রতিষ্ঠান আনুমানিক গড়ে ৩০০টি জাটকা পেয়েছেন। এসব তথ্য শিশু পারিবার ঘুরে নিশ্চিত হয়েছেন প্রতিবেদক।
জেলে সেলিম মাতুব্বরের গল্প এখানেই ঘুরে যায় অন্যদিকে। তেঁতুলবাড়িয়ার ঘাটের সেই পরিচিত মানুষটি বহু বছর ধরে ঢাকার বাড্ডার বাজারে মাছ পাঠান। ভোরের অন্ধকারে যখন জালের পানি এখনও দুই হাত ভিজিয়ে রাখে, তখনই তাঁর দিন শুরু হয়।
সেদিনও অন্য দিনের মতো বরফের ঠাণ্ডায় হাতে কাঁপুনি ধরে। সেই হাতে তিন ধরনের মাছ পলি ব্যাগে আলাদা করে সাজিয়েছিলেন তিনি।
প্রথমেই তুলে নেন ছোট-বড় আকারের পোয়া, যেগুলো পৃথক ১৭টি প্যাকেট করে রাখা ছিল। সেগুলোর ওজন দাঁড়ায় ৬৮ কেজি ৬০০ গ্রাম। এরপর আসে সাগর ফ্যাসা, যার ওজন মোটামুটি আট কেজি ৭০০ গ্রাম। সবশেষে মাথা-লেজ মিলে ১০ ইঞ্চি আকারের ইলিশ। সেগুলোর ওজন সামান্য হলেও ঢাকায় সাধারণ ক্রেতাদের চাহিদা রয়েছে বলে সুন্দরভাবে বরফে মুড়িয়ে ড্রামে রাখেন তিনি।
সব মিলিয়ে মাছগুলো সাজানো হয়েছিল একদম নিয়ম মেনে, যেমনটি তিনি বছরের পর বছর করে আসছেন। কিন্তু সেই পরিচ্ছন্ন প্রস্তুতি শেষ পর্যন্ত তাঁকে রক্ষা করতে পারেনি রাতের অভিযানের হাত থেকে। সব মিলিয়ে বরফজাত করে তুলে দিয়েছিলেন ইসলাম পরিবহনের বাসে। নথুল্লাবাদে পৌঁছাতেই ফোন আসে, এনএসআই ড্রামসহ পুরো মালামাল ‘ঝাটকা’ উল্লেখ করে জব্দ করেছে।
এরপর শুরু হয় ফেরত চাওয়ার দীর্ঘ চেষ্টা। সেলিম তাঁর এক আত্মীয়কে কাশিপুরে পাঠান বৈধ পোয়া আর ফ্যাসা ফেরত আনার জন্য। কিন্তু এনএসআই সদস্যরা জানিয়ে দেন, মাছ ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। পরদিন শিশু পরিবারে গেলে সেখানেও একই সুর। সমাজসেবার কর্মকর্তারা বলেন, মাছ তারা ইতোমধ্যেই এনএসআই ও মৎস্য বিভাগের কাছ থেকে বুঝে নিয়েছেন। ফেরতের প্রশ্নই আসে না।
অভিযোগ, এরপর ওই আত্মীয়ের কাছ থেকে নেওয়া হয় একটি সাদা কাগজে ‘স্বেচ্ছায় মাছ বিতরণের’ মুচলেকা। যেন মাছ তিনি স্বেচ্ছায় দান করেছেন, এমন স্বীকারোক্তির কাগজে সই করিয়ে তবেই বিদায় দেওয়া হয়। এত কিছু ঘটনার পরও সরকারি দপ্তরের বক্তব্যে কিন্তু মিল নেই।
বরিশাল সদর উপজেলা মৎস্য বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জামাল হোসেন বলেন, ‘অভিযানে শুধু জাটকা জব্দ করা হয়েছে, বৈধ কোনো মাছ ছিল না। সমাজসেবার আটটি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটিকে গড়ে ৩০০টি করে জাকটা বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণের সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম।’
কিন্তু বরিশাল সরকারি শিশু পরিবার (বালক)-এর তত্ত্বাবধায়ক মো. আসিফ চৌধুরী সরাসরি স্বীকার করছেন, জাটকার সঙ্গে আনুমানিক ১০ কেজি পোয়া আর ফ্যাসা ছিল। মালিক তা চাইতে এসেছিলেন। কিন্তু যেহেতু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাছ বুঝিয়ে দিয়েছে, তাই ফেরত দেওয়া যায়নি। জাটকা বিতরণের আগে তার শিশু পরিবারটিতে ভাগ করা হয়েছিল। তিনি শিশু পরিবারে আনুমানিক ৩০০টি জাটকা পেয়েছেন।
এনএসআইয়ের অংশগ্রহণ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সাধারণত জাটকা রক্ষার অভিযানে তাঁরা থাকেন না। এই প্রথম এমন অভিযান পরিচালনা করলেন গোয়েন্দা সংস্থাটির সদস্যরা।
বাংলাদেশ মৎস্য শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বলেন, ‘জাটকা রক্ষা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব, প্রয়োজনে যে কোনো বাহিনী অভিযান চালাতে পারে।’ তবে এনএসআইয়ের নেতৃত্বে জাটকা জব্দের ঘটনাকে তিনি ‘নজিরবিহীন’ বলেই উল্লেখ করেন।
রাত তখন প্রায় দেড়টা। বরগুনার তালতলী উপজেলার সাগরঘেঁষা তেঁতুলবাড়িয়া মাছঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে বের হয়েছিল মাছবোঝাই একটি বাস। গভীর রাতে নথুল্লাবাদের কাছাকাছি পৌঁছাতেই থামিয়ে দেওয়া হয় যাত্রীবাহী পরিবহনটিকে।
এদিকে, গোপন তথ্যের সূত্র ধরে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) অভিযান চালায় সেখানে। কাশিপুরের নিস্তব্ধতা ভেঙে তখন আলো ও মানুষের কোলাহল। বাসের বক্স খুলতেই মেলে জাটকার গন্ধ ভরা কয়েক ঝুড়ি। জব্দ করা হয় সবকিছু।
কিন্তু জাটকার সঙ্গে আরো অন্তত ১০০ কেজির মতো পোয়া আর সাগরের ফ্যাসা মাছ ছিল। এই মাছগুলো বৈধ। তবু সেগুলোও জব্দের তালিকায় চলে যায়। পরদিন সকালে বরিশালের সমাজসেবা অধিদপ্তরের আটটি শিশু পরিবারে মাছ বিতরণ হতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে মাত্র আট থেকে ১০ কেজি পোয়া মাছ বিতরণ করা হয়।
এছাড়া প্রতিটি প্রতিষ্ঠান আনুমানিক গড়ে ৩০০টি জাটকা পেয়েছেন। এসব তথ্য শিশু পারিবার ঘুরে নিশ্চিত হয়েছেন প্রতিবেদক।
জেলে সেলিম মাতুব্বরের গল্প এখানেই ঘুরে যায় অন্যদিকে। তেঁতুলবাড়িয়ার ঘাটের সেই পরিচিত মানুষটি বহু বছর ধরে ঢাকার বাড্ডার বাজারে মাছ পাঠান। ভোরের অন্ধকারে যখন জালের পানি এখনও দুই হাত ভিজিয়ে রাখে, তখনই তাঁর দিন শুরু হয়।
সেদিনও অন্য দিনের মতো বরফের ঠাণ্ডায় হাতে কাঁপুনি ধরে। সেই হাতে তিন ধরনের মাছ পলি ব্যাগে আলাদা করে সাজিয়েছিলেন তিনি।
প্রথমেই তুলে নেন ছোট-বড় আকারের পোয়া, যেগুলো পৃথক ১৭টি প্যাকেট করে রাখা ছিল। সেগুলোর ওজন দাঁড়ায় ৬৮ কেজি ৬০০ গ্রাম। এরপর আসে সাগর ফ্যাসা, যার ওজন মোটামুটি আট কেজি ৭০০ গ্রাম। সবশেষে মাথা-লেজ মিলে ১০ ইঞ্চি আকারের ইলিশ। সেগুলোর ওজন সামান্য হলেও ঢাকায় সাধারণ ক্রেতাদের চাহিদা রয়েছে বলে সুন্দরভাবে বরফে মুড়িয়ে ড্রামে রাখেন তিনি।
সব মিলিয়ে মাছগুলো সাজানো হয়েছিল একদম নিয়ম মেনে, যেমনটি তিনি বছরের পর বছর করে আসছেন। কিন্তু সেই পরিচ্ছন্ন প্রস্তুতি শেষ পর্যন্ত তাঁকে রক্ষা করতে পারেনি রাতের অভিযানের হাত থেকে। সব মিলিয়ে বরফজাত করে তুলে দিয়েছিলেন ইসলাম পরিবহনের বাসে। নথুল্লাবাদে পৌঁছাতেই ফোন আসে, এনএসআই ড্রামসহ পুরো মালামাল ‘ঝাটকা’ উল্লেখ করে জব্দ করেছে।
এরপর শুরু হয় ফেরত চাওয়ার দীর্ঘ চেষ্টা। সেলিম তাঁর এক আত্মীয়কে কাশিপুরে পাঠান বৈধ পোয়া আর ফ্যাসা ফেরত আনার জন্য। কিন্তু এনএসআই সদস্যরা জানিয়ে দেন, মাছ ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। পরদিন শিশু পরিবারে গেলে সেখানেও একই সুর। সমাজসেবার কর্মকর্তারা বলেন, মাছ তারা ইতোমধ্যেই এনএসআই ও মৎস্য বিভাগের কাছ থেকে বুঝে নিয়েছেন। ফেরতের প্রশ্নই আসে না।
অভিযোগ, এরপর ওই আত্মীয়ের কাছ থেকে নেওয়া হয় একটি সাদা কাগজে ‘স্বেচ্ছায় মাছ বিতরণের’ মুচলেকা। যেন মাছ তিনি স্বেচ্ছায় দান করেছেন, এমন স্বীকারোক্তির কাগজে সই করিয়ে তবেই বিদায় দেওয়া হয়। এত কিছু ঘটনার পরও সরকারি দপ্তরের বক্তব্যে কিন্তু মিল নেই।
বরিশাল সদর উপজেলা মৎস্য বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জামাল হোসেন বলেন, ‘অভিযানে শুধু জাটকা জব্দ করা হয়েছে, বৈধ কোনো মাছ ছিল না। সমাজসেবার আটটি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটিকে গড়ে ৩০০টি করে জাকটা বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণের সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম।’
কিন্তু বরিশাল সরকারি শিশু পরিবার (বালক)-এর তত্ত্বাবধায়ক মো. আসিফ চৌধুরী সরাসরি স্বীকার করছেন, জাটকার সঙ্গে আনুমানিক ১০ কেজি পোয়া আর ফ্যাসা ছিল। মালিক তা চাইতে এসেছিলেন। কিন্তু যেহেতু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাছ বুঝিয়ে দিয়েছে, তাই ফেরত দেওয়া যায়নি। জাটকা বিতরণের আগে তার শিশু পরিবারটিতে ভাগ করা হয়েছিল। তিনি শিশু পরিবারে আনুমানিক ৩০০টি জাটকা পেয়েছেন।
এনএসআইয়ের অংশগ্রহণ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সাধারণত জাটকা রক্ষার অভিযানে তাঁরা থাকেন না। এই প্রথম এমন অভিযান পরিচালনা করলেন গোয়েন্দা সংস্থাটির সদস্যরা।
বাংলাদেশ মৎস্য শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বলেন, ‘জাটকা রক্ষা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব, প্রয়োজনে যে কোনো বাহিনী অভিযান চালাতে পারে।’ তবে এনএসআইয়ের নেতৃত্বে জাটকা জব্দের ঘটনাকে তিনি ‘নজিরবিহীন’ বলেই উল্লেখ করেন।

२८ নভেম্বর, २০२५ १८:३५
একসময় শীতকাল এলেই বাংলাদেশের উপকূলীয় বরগুনার বামনা উপজেলার গ্রামগঞ্জে যে উৎসবের আমেজ বইত, তার প্রধান আকর্ষণ ছিল সুস্বাদু খেজুরের রস ও গুড়। হেমন্তের মাঝামাঝি থেকে শীতের ভরা মৌসুম পর্যন্ত পুরো জনপদে চলত নবান্নের উৎসব।
কিন্তু কালের বিবর্তন এবং প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট তিন কারণে সেই চিরচেনা দৃশ্য এখন আর চোখে পড়ে না। ঐতিহ্যের প্রতীক খেজুর গাছ আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পেয়েছে। উপজেলার গ্রামে-গ্রামে শীতের সকালে মিষ্টি রোদের তাপ নিতে নিতে মাটির ভাঁড়ে খেজুরের সুস্বাদু রস পান করার স্মৃতি আজও অমলিন। শুধু পানীয় হিসাবে নয়, এই রস দিয়ে তৈরি হতো নানান ধরনের পিঠা, পায়েস, ক্ষীর এবং লোভনীয় পাটালি ও নালি গুড়। এটি ছিল বরগুনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের নবান্নের সেরা উপহার ও আবহমান বাংলার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। খেজুর গুড় ছাড়া এই অঞ্চলের শীতকালীন উৎসব ভাবাই যেত না। খেজুরের রস ছিল গ্রামীণ জীবনের শীতের উৎসবের মূল সূচনা।
এখন চোখে পড়ে না রস আহরণে গাছিদের সেই ব্যস্ততা। কোমরে দড়ির সঙ্গে ঝুড়ি বেঁধে ধারালো দা দিয়ে গাছ চাঁচাছোলা ও নলি বসানোর কাজ। এখন শুধু ক্যালেন্ডার ও ছবিতেই সেই দৃশ্য দেখা যায়। সাতসকালে খেজুরের রস নিয়ে গাছিরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাঁকডাক দিতেন, সেই দৃশ্যও এখন বিরল। ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস ও গুড় দুষ্প্রাপ্য হয়ে ওঠায় হতাশ এ অঞ্চলের গাছিরা। যদি এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে অচিরেই এই ঐতিহ্য চিরতরে হারিয়ে যাবে। তবে অল্পকিছু নিবেদিতপ্রাণ গাছি এখনো সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।
বামনা উপজেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন সিডর, আইলার আঘাত এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খেজুর গাছ কমে গেছে। গত ৯-১০ বছর ধরে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দক্ষিণাঞ্চলে খেজুর গাছের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। একসময় শীতকালে এই অঞ্চলের সর্বত্র শীত উদ্যাপনের আয়োজন শুরু হয়ে যেত এবং অতিথিদের রসের তৈরি পায়েস দিয়ে আপ্যায়ন করার প্রচলন ছিল। এখন রস না পাওয়ায় নবান্নের সেই আনন্দ থেকে মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন।
বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নের বলইবুনিয়া গ্রামের গাছি মো. ফিরোজ মিয়া জানান, আগে তাদের দারুণ কদর ছিল। মৌসুম শুরুর আগে থেকেই কথাবার্তা পাকা হতো কার কটি খেজুর গাছ কাটতে হবে। কিন্তু এখন আর আগের মতো গাছও নেই, আর গ্রামের লোকরাও তেমন খেজুর রস সংগ্রহ করতে চান না। তারা অল্পকিছু গাছ কেটে নিজেদের চাহিদা মেটান।
উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরা গ্রামের গাছি আব্দুল খালেক দফাদার এখনো রস সংগ্রহ করছেন। প্রতিদিন ভোরে গাছিদের কাছে খেজুরের রস খাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের ভিড় দেখা যায়। রস সংগ্রহের জন্য তিনি বাদুড়ের সংস্পর্শ এড়াতে বাঁশের বেড়া দিয়ে প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। গাছি খালেক দফাদার বলেন, শীত মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত রসের সন্ধান পাচ্ছি না। গ্রামে দিনদিন কমে যাচ্ছে খেজুর গাছের সংখ্যা। গাছ কম থাকায় এখন শুধু রস বিক্রি করা হয়। প্রতি গ্লাস রসের দাম ২০ টাকা এবং প্রতি লিটার ৮০ টাকা। তিনি বলেন, অনেক গাছ কেটে ফেলেছে। এজন্য রসের দাম বেশি।
বামনা উপজেলাজুড়ে খেজুর গাছ কমে যাওয়ার পেছনে প্রধানত তিনটি কারণ দায়ী। এর মধ্যে রয়েছে-ইটভাটার জ্বালানি হিসাবে খেজুর গাছের ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ, গাছিদের অভাব ও পেশার অনিশ্চয়তা।
পরিবেশ রক্ষা এবং রসের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে রাস্তার পাশে খেজুর গাছ লাগানোর দাবি উঠেছে। বামনার বাসিন্দারা বলছেন, এই ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা শুধু অর্থনৈতিক নয়, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত দিক থেকেও জরুরি। এখনই যদি খেজুর গাছ লাগানো ও রক্ষার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া না হয় তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শুধু স্মৃতিতেই খুঁজে পাবে এই ঐতিহ্যকে।
একসময় শীতকাল এলেই বাংলাদেশের উপকূলীয় বরগুনার বামনা উপজেলার গ্রামগঞ্জে যে উৎসবের আমেজ বইত, তার প্রধান আকর্ষণ ছিল সুস্বাদু খেজুরের রস ও গুড়। হেমন্তের মাঝামাঝি থেকে শীতের ভরা মৌসুম পর্যন্ত পুরো জনপদে চলত নবান্নের উৎসব।
কিন্তু কালের বিবর্তন এবং প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট তিন কারণে সেই চিরচেনা দৃশ্য এখন আর চোখে পড়ে না। ঐতিহ্যের প্রতীক খেজুর গাছ আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পেয়েছে। উপজেলার গ্রামে-গ্রামে শীতের সকালে মিষ্টি রোদের তাপ নিতে নিতে মাটির ভাঁড়ে খেজুরের সুস্বাদু রস পান করার স্মৃতি আজও অমলিন। শুধু পানীয় হিসাবে নয়, এই রস দিয়ে তৈরি হতো নানান ধরনের পিঠা, পায়েস, ক্ষীর এবং লোভনীয় পাটালি ও নালি গুড়। এটি ছিল বরগুনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের নবান্নের সেরা উপহার ও আবহমান বাংলার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। খেজুর গুড় ছাড়া এই অঞ্চলের শীতকালীন উৎসব ভাবাই যেত না। খেজুরের রস ছিল গ্রামীণ জীবনের শীতের উৎসবের মূল সূচনা।
এখন চোখে পড়ে না রস আহরণে গাছিদের সেই ব্যস্ততা। কোমরে দড়ির সঙ্গে ঝুড়ি বেঁধে ধারালো দা দিয়ে গাছ চাঁচাছোলা ও নলি বসানোর কাজ। এখন শুধু ক্যালেন্ডার ও ছবিতেই সেই দৃশ্য দেখা যায়। সাতসকালে খেজুরের রস নিয়ে গাছিরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাঁকডাক দিতেন, সেই দৃশ্যও এখন বিরল। ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস ও গুড় দুষ্প্রাপ্য হয়ে ওঠায় হতাশ এ অঞ্চলের গাছিরা। যদি এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে অচিরেই এই ঐতিহ্য চিরতরে হারিয়ে যাবে। তবে অল্পকিছু নিবেদিতপ্রাণ গাছি এখনো সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।
বামনা উপজেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন সিডর, আইলার আঘাত এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খেজুর গাছ কমে গেছে। গত ৯-১০ বছর ধরে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দক্ষিণাঞ্চলে খেজুর গাছের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। একসময় শীতকালে এই অঞ্চলের সর্বত্র শীত উদ্যাপনের আয়োজন শুরু হয়ে যেত এবং অতিথিদের রসের তৈরি পায়েস দিয়ে আপ্যায়ন করার প্রচলন ছিল। এখন রস না পাওয়ায় নবান্নের সেই আনন্দ থেকে মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন।
বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নের বলইবুনিয়া গ্রামের গাছি মো. ফিরোজ মিয়া জানান, আগে তাদের দারুণ কদর ছিল। মৌসুম শুরুর আগে থেকেই কথাবার্তা পাকা হতো কার কটি খেজুর গাছ কাটতে হবে। কিন্তু এখন আর আগের মতো গাছও নেই, আর গ্রামের লোকরাও তেমন খেজুর রস সংগ্রহ করতে চান না। তারা অল্পকিছু গাছ কেটে নিজেদের চাহিদা মেটান।
উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরা গ্রামের গাছি আব্দুল খালেক দফাদার এখনো রস সংগ্রহ করছেন। প্রতিদিন ভোরে গাছিদের কাছে খেজুরের রস খাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের ভিড় দেখা যায়। রস সংগ্রহের জন্য তিনি বাদুড়ের সংস্পর্শ এড়াতে বাঁশের বেড়া দিয়ে প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। গাছি খালেক দফাদার বলেন, শীত মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত রসের সন্ধান পাচ্ছি না। গ্রামে দিনদিন কমে যাচ্ছে খেজুর গাছের সংখ্যা। গাছ কম থাকায় এখন শুধু রস বিক্রি করা হয়। প্রতি গ্লাস রসের দাম ২০ টাকা এবং প্রতি লিটার ৮০ টাকা। তিনি বলেন, অনেক গাছ কেটে ফেলেছে। এজন্য রসের দাম বেশি।
বামনা উপজেলাজুড়ে খেজুর গাছ কমে যাওয়ার পেছনে প্রধানত তিনটি কারণ দায়ী। এর মধ্যে রয়েছে-ইটভাটার জ্বালানি হিসাবে খেজুর গাছের ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ, গাছিদের অভাব ও পেশার অনিশ্চয়তা।
পরিবেশ রক্ষা এবং রসের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে রাস্তার পাশে খেজুর গাছ লাগানোর দাবি উঠেছে। বামনার বাসিন্দারা বলছেন, এই ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা শুধু অর্থনৈতিক নয়, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত দিক থেকেও জরুরি। এখনই যদি খেজুর গাছ লাগানো ও রক্ষার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া না হয় তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শুধু স্মৃতিতেই খুঁজে পাবে এই ঐতিহ্যকে।

२७ নভেম্বর, २০२५ २३:০९
বরগুনার তালতলীতে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক বিট কর্মকর্তার যোগসাজশে গাছ কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অভিযুক্ত বিট কর্মকর্তার নাম হায়দার আলী। তিনি উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া বিটের দায়িত্বে রয়েছেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন। এমনকি তাদের অর্থের প্রলোভনও দেখান তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর যোগসাজশে প্রায়শই বনের গাছ কাটা হয়। তিনি যোগদানের পর থেকেই বনাঞ্চলে গাছ কাটার প্রবণতা বেড়েছে। গাছচোর সিন্ডিকেটের সঙ্গে তার প্রত্যক্ষ যোগসাজশ রয়েছে। সম্প্রতি নিশানবাড়িয়া বিটের বনাঞ্চল থেকে বড় আকারের পাঁচটি কেওড়াগাছ কাটা হয়েছে।
কাটা গাছের শিকড় ও পাশের গাছ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিটির দাম ২০ হাজার টাকা করে হবে। সে হিসাবে এক লাখ টাকার গাছ কাটা হয়েছে। বিট কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই সুযোগবুঝে গাছগুলো কাটা হয়েছে। এভাবে লোকচক্ষুর আড়ালে বনের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায়ই গাছ কাটা হয়। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না।
হায়দার আলীর বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি প্রতি বছর বনের চরের জমি স্থানীয় জেলেদের কাছে ইজারা দিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এমনকি আটক করা জেলের ট্রলার বিক্রি করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কার্যালয়ে যেতে বলেন। পরে কার্যালয়ে কথোপকথনের এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে গণমাধ্যমকর্মীদের অনুরোধ করেন। তিনি অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের ম্যানেজ করারও চেষ্টা করেন।
উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। গাছ কাটার প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তালতলীর ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) সেবক মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ পেয়েছি। রেঞ্জ কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।’
বরগুনার তালতলীতে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক বিট কর্মকর্তার যোগসাজশে গাছ কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অভিযুক্ত বিট কর্মকর্তার নাম হায়দার আলী। তিনি উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া বিটের দায়িত্বে রয়েছেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন। এমনকি তাদের অর্থের প্রলোভনও দেখান তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর যোগসাজশে প্রায়শই বনের গাছ কাটা হয়। তিনি যোগদানের পর থেকেই বনাঞ্চলে গাছ কাটার প্রবণতা বেড়েছে। গাছচোর সিন্ডিকেটের সঙ্গে তার প্রত্যক্ষ যোগসাজশ রয়েছে। সম্প্রতি নিশানবাড়িয়া বিটের বনাঞ্চল থেকে বড় আকারের পাঁচটি কেওড়াগাছ কাটা হয়েছে।
কাটা গাছের শিকড় ও পাশের গাছ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিটির দাম ২০ হাজার টাকা করে হবে। সে হিসাবে এক লাখ টাকার গাছ কাটা হয়েছে। বিট কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই সুযোগবুঝে গাছগুলো কাটা হয়েছে। এভাবে লোকচক্ষুর আড়ালে বনের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায়ই গাছ কাটা হয়। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না।
হায়দার আলীর বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি প্রতি বছর বনের চরের জমি স্থানীয় জেলেদের কাছে ইজারা দিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এমনকি আটক করা জেলের ট্রলার বিক্রি করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কার্যালয়ে যেতে বলেন। পরে কার্যালয়ে কথোপকথনের এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে গণমাধ্যমকর্মীদের অনুরোধ করেন। তিনি অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের ম্যানেজ করারও চেষ্টা করেন।
উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। গাছ কাটার প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তালতলীর ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) সেবক মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ পেয়েছি। রেঞ্জ কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।’

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.