
০৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:৪৬
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় একসঙ্গে পাঁচ নবজাতকের জন্ম দিয়েছেন লামিয়া আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূ। আজ সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে বরিশাল ডায়াবেটিস হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে নবজাতকদের জন্ম দেন তিনি। তাদের মধ্যে তিনজন ছেলে ও দুজন মেয়ে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমান বলেন, ‘মা ও পাঁচ নবজাতক বর্তমানে সুস্থ আছে এবং চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে। একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম অত্যন্ত বিরল, কিন্তু সবকিছু স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে এটাই সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক বিষয়।’
লামিয়া আক্তার বাউফলের চাদকাঠী গ্রামের বাসিন্দা। তার পরিবার ও এলাকাবাসী এই ঘটনাকে আনন্দ ও আশ্চর্যের মিশ্র অনুভূতি নিয়ে দেখছেন। স্থানীয়রা একে ‘অলৌকিক’ ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন।
খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই হাসপাতালে ব্যাপক ভিড় জমেছে নবজাতকদের একনজর দেখতে। চিকিৎসক ও স্থানীয়দের মতে, আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা ও সঠিক পর্যবেক্ষণের কারণেই এমন জটিল প্রসব স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় একসঙ্গে পাঁচ নবজাতকের জন্ম দিয়েছেন লামিয়া আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূ। আজ সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে বরিশাল ডায়াবেটিস হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে নবজাতকদের জন্ম দেন তিনি। তাদের মধ্যে তিনজন ছেলে ও দুজন মেয়ে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমান বলেন, ‘মা ও পাঁচ নবজাতক বর্তমানে সুস্থ আছে এবং চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে। একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম অত্যন্ত বিরল, কিন্তু সবকিছু স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে এটাই সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক বিষয়।’
লামিয়া আক্তার বাউফলের চাদকাঠী গ্রামের বাসিন্দা। তার পরিবার ও এলাকাবাসী এই ঘটনাকে আনন্দ ও আশ্চর্যের মিশ্র অনুভূতি নিয়ে দেখছেন। স্থানীয়রা একে ‘অলৌকিক’ ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন।
খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই হাসপাতালে ব্যাপক ভিড় জমেছে নবজাতকদের একনজর দেখতে। চিকিৎসক ও স্থানীয়দের মতে, আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা ও সঠিক পর্যবেক্ষণের কারণেই এমন জটিল প্রসব স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:৩৬
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর তীরে ভোরের নরম আলো। নদীর বুকজুড়ে ছড়িয়ে থাকা কুয়াশা, তার ফাঁক দিয়ে ধীরে ধীরে ওঠা সূর্যের রুপালি আভা, সব মিলিয়ে এক অন্যরকম সকাল। এমন ভোরে দূর থেকে ভেসে এলো প্যাডেল স্টিমারের বাঁশির মৃদু সুর, মনে হয় যেন সময় বহু বছর পেছনে ফিরে গেছে। কবি জীবনানন্দ দাশ হয়তো এমনই কোনো সকালের আলো ও হাওয়ায় দাঁড়িয়ে দেখেছিলেন নদীর নীরব সৌন্দর্য।
দীর্ঘ বিরতির পর শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালেই আবারও চালু হয়েছে বিআইডব্লিউটিসির ঐতিহ্যবাহী প্যাডেল স্টিমার পিএস মাহসুদ। শতবর্ষী এই স্টিমার শুধু নৌযান নয়—এ দেশের নদীপথ, দক্ষিণাঞ্চলের জীবনযাত্রা এবং জীবনানন্দ দাশের স্মৃতিতে ভরপুর একটি জীবন্ত ইতিহাস। নতুন প্রজন্মের জন্য এটি যেন নদীর বুকে ভাসমান এক সময়-সাক্ষী।
জীবনানন্দ দাশের জীবনে নদীপথ ছিল নীরব সঙ্গী। ১৯১৭ থেকে ১৯৩৫ এই সময়টায় পড়াশোনা, চাকরি ও পারিবারিক প্রয়োজনে তিনি নিয়মিত স্টিমারে বরিশাল-খুলনা-কলকাতা রুটে যাতায়াত করতেন। তখন ট্রেনে বরিশাল যাওয়ার সুযোগ ছিল না; নদীই ছিল একমাত্র পথ। জীবনানন্দ গবেষক হেনরী স্বপন জানান, সেই সময়ের পিএস মাহসুদ, পিএস অস্ট্রিচ, পিএস লেপচা ও পিএস টার্ন—এসব স্টিমারে কবি নিয়মিত ভ্রমণ করতেন। তার লেখায় বারবার ফিরে এসেছে স্টিমারের আলো-অন্ধকার, রাতের নিঃশব্দ হাওয়া, চাকার শব্দ ও নদীর আবহ।
অর্থনৈতিক টানাপড়েনে কবির প্রায় সব ভ্রমণই হতো থার্ড ক্লাসে। কাঠের বেঞ্চ, ভিড়, স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ—এসব অভিজ্ঞতা আজকের প্রজন্মের পক্ষে কল্পনা করাও কঠিন। কিন্তু সেই বাস্তবতা কবির কবিতা ও গদ্যের গভীরে জায়গা করে নিয়েছে। নদীর নরম অন্ধকার, স্টিমারের বাঁশির টান—এসব তাঁর সাহিত্যকে দিয়েছে এক বিশেষ আবহ।
আঠারো শতকের শেষ দিকে ব্রিটিশরা এ অঞ্চলে প্রথম প্যাডেল স্টিমার চালু করে। নৌযানের দুই পাশে বিশাল চাকা থাকায় একে চলাচলে ‘রকেট’ বলা হতো। পরে নকশা বদলে চাকা পেছনে নেওয়া হয়। শেষ তিনটি প্যাডেল স্টিমারের চলাচল ২০২২ সালে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়। এক ঈদে বিশেষ ভ্রমণের পর আর চালু হয়নি। মনে হচ্ছিল, এ যুগে এগুলো আর নদীতে ফিরবে না। কিন্তু মানুষের ভালোবাসা ও ইতিহাসের টান শেষ পর্যন্ত এগুলোকে ফের আলোয় এনেছে। পিএস মাহসুদ সংস্কার করে নতুন রূপ দেওয়া হয়েছে—ইঞ্জিন বদলানো, কাঠের ডেক ঠিক করা, চাকা রং করা। তবু স্টিমারের পুরোনো গন্ধ, বাঁশির সুর, কাঠের সিঁড়ির শব্দ—এসব আগের মতোই রাখা হয়েছে। প্রকৌশলীদের মতে, স্টিমারে পা রাখলেই মনে হবে যেন এক সময়-যন্ত্রে চড়ে অন্য যুগে ফিরে যাওয়া।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় শতবর্ষী স্টিমার পিএস মাহসুদের ভাড়া নির্ধারণ করেছে—সুলভ শ্রেণি: ৬০০ টাকা, দ্বিতীয় শ্রেণি: ১,৬৫০ টাকা, প্রথম শ্রেণি: ২,৬০০ টাকা (ভ্যাটসহ)। ঢাকা থেকে চাঁদপুর হয়ে বরিশালের পথে স্টিমারটি শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় যাত্রা শুরু করবে। বরিশালে স্থায়ী ঘাট না থাকায় আপাতত ত্রিশ গোডাউন পন্টুনে ভেড়ানো হবে। শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে আবার ঢাকার পথে রওনা দেবে। গত সপ্তাহে ভাড়া চূড়ান্ত না হওয়ায় প্রথম যাত্রা বাতিল হয়েছিল। এখনো আনুষ্ঠানিক অনুমতি ও ফিটনেস সনদ মেলেনি, তবু আজ শুক্রবার থেকেই স্টিমারটি চলাচল শুরু করেছে।
১৯২২ সালে নির্মিত পিএস মাহসুদ শত বছর ধরে নদীপথের ইতিহাস বহন করে আসছে। কিন্তু এর আসল আকর্ষণ বিলাসিতা নয়—তার আত্মা লুকিয়ে আছে স্মৃতিতে। কাঠের ডেকে দাঁড়িয়ে নদীর দিকে তাকালে মনে হয়, এখান দিয়েই হয়তো হেঁটে গিয়েছিলেন জীবনানন্দ; চাঁদের আলো পড়েছিল ঢেউয়ের ভাঁজে, আর নদী নীরবে গল্প বলেছিল তাকে। এই স্টিমার তাই শুধু যাত্রা নয়—নদীর ওপর বয়ে যাওয়া এক অতীতের স্পর্শ।
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর তীরে ভোরের নরম আলো। নদীর বুকজুড়ে ছড়িয়ে থাকা কুয়াশা, তার ফাঁক দিয়ে ধীরে ধীরে ওঠা সূর্যের রুপালি আভা, সব মিলিয়ে এক অন্যরকম সকাল। এমন ভোরে দূর থেকে ভেসে এলো প্যাডেল স্টিমারের বাঁশির মৃদু সুর, মনে হয় যেন সময় বহু বছর পেছনে ফিরে গেছে। কবি জীবনানন্দ দাশ হয়তো এমনই কোনো সকালের আলো ও হাওয়ায় দাঁড়িয়ে দেখেছিলেন নদীর নীরব সৌন্দর্য।
দীর্ঘ বিরতির পর শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালেই আবারও চালু হয়েছে বিআইডব্লিউটিসির ঐতিহ্যবাহী প্যাডেল স্টিমার পিএস মাহসুদ। শতবর্ষী এই স্টিমার শুধু নৌযান নয়—এ দেশের নদীপথ, দক্ষিণাঞ্চলের জীবনযাত্রা এবং জীবনানন্দ দাশের স্মৃতিতে ভরপুর একটি জীবন্ত ইতিহাস। নতুন প্রজন্মের জন্য এটি যেন নদীর বুকে ভাসমান এক সময়-সাক্ষী।
জীবনানন্দ দাশের জীবনে নদীপথ ছিল নীরব সঙ্গী। ১৯১৭ থেকে ১৯৩৫ এই সময়টায় পড়াশোনা, চাকরি ও পারিবারিক প্রয়োজনে তিনি নিয়মিত স্টিমারে বরিশাল-খুলনা-কলকাতা রুটে যাতায়াত করতেন। তখন ট্রেনে বরিশাল যাওয়ার সুযোগ ছিল না; নদীই ছিল একমাত্র পথ। জীবনানন্দ গবেষক হেনরী স্বপন জানান, সেই সময়ের পিএস মাহসুদ, পিএস অস্ট্রিচ, পিএস লেপচা ও পিএস টার্ন—এসব স্টিমারে কবি নিয়মিত ভ্রমণ করতেন। তার লেখায় বারবার ফিরে এসেছে স্টিমারের আলো-অন্ধকার, রাতের নিঃশব্দ হাওয়া, চাকার শব্দ ও নদীর আবহ।
অর্থনৈতিক টানাপড়েনে কবির প্রায় সব ভ্রমণই হতো থার্ড ক্লাসে। কাঠের বেঞ্চ, ভিড়, স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ—এসব অভিজ্ঞতা আজকের প্রজন্মের পক্ষে কল্পনা করাও কঠিন। কিন্তু সেই বাস্তবতা কবির কবিতা ও গদ্যের গভীরে জায়গা করে নিয়েছে। নদীর নরম অন্ধকার, স্টিমারের বাঁশির টান—এসব তাঁর সাহিত্যকে দিয়েছে এক বিশেষ আবহ।
আঠারো শতকের শেষ দিকে ব্রিটিশরা এ অঞ্চলে প্রথম প্যাডেল স্টিমার চালু করে। নৌযানের দুই পাশে বিশাল চাকা থাকায় একে চলাচলে ‘রকেট’ বলা হতো। পরে নকশা বদলে চাকা পেছনে নেওয়া হয়। শেষ তিনটি প্যাডেল স্টিমারের চলাচল ২০২২ সালে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়। এক ঈদে বিশেষ ভ্রমণের পর আর চালু হয়নি। মনে হচ্ছিল, এ যুগে এগুলো আর নদীতে ফিরবে না। কিন্তু মানুষের ভালোবাসা ও ইতিহাসের টান শেষ পর্যন্ত এগুলোকে ফের আলোয় এনেছে। পিএস মাহসুদ সংস্কার করে নতুন রূপ দেওয়া হয়েছে—ইঞ্জিন বদলানো, কাঠের ডেক ঠিক করা, চাকা রং করা। তবু স্টিমারের পুরোনো গন্ধ, বাঁশির সুর, কাঠের সিঁড়ির শব্দ—এসব আগের মতোই রাখা হয়েছে। প্রকৌশলীদের মতে, স্টিমারে পা রাখলেই মনে হবে যেন এক সময়-যন্ত্রে চড়ে অন্য যুগে ফিরে যাওয়া।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় শতবর্ষী স্টিমার পিএস মাহসুদের ভাড়া নির্ধারণ করেছে—সুলভ শ্রেণি: ৬০০ টাকা, দ্বিতীয় শ্রেণি: ১,৬৫০ টাকা, প্রথম শ্রেণি: ২,৬০০ টাকা (ভ্যাটসহ)। ঢাকা থেকে চাঁদপুর হয়ে বরিশালের পথে স্টিমারটি শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় যাত্রা শুরু করবে। বরিশালে স্থায়ী ঘাট না থাকায় আপাতত ত্রিশ গোডাউন পন্টুনে ভেড়ানো হবে। শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে আবার ঢাকার পথে রওনা দেবে। গত সপ্তাহে ভাড়া চূড়ান্ত না হওয়ায় প্রথম যাত্রা বাতিল হয়েছিল। এখনো আনুষ্ঠানিক অনুমতি ও ফিটনেস সনদ মেলেনি, তবু আজ শুক্রবার থেকেই স্টিমারটি চলাচল শুরু করেছে।
১৯২২ সালে নির্মিত পিএস মাহসুদ শত বছর ধরে নদীপথের ইতিহাস বহন করে আসছে। কিন্তু এর আসল আকর্ষণ বিলাসিতা নয়—তার আত্মা লুকিয়ে আছে স্মৃতিতে। কাঠের ডেকে দাঁড়িয়ে নদীর দিকে তাকালে মনে হয়, এখান দিয়েই হয়তো হেঁটে গিয়েছিলেন জীবনানন্দ; চাঁদের আলো পড়েছিল ঢেউয়ের ভাঁজে, আর নদী নীরবে গল্প বলেছিল তাকে। এই স্টিমার তাই শুধু যাত্রা নয়—নদীর ওপর বয়ে যাওয়া এক অতীতের স্পর্শ।

২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:২৭
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের কুয়াকাটা মহাসড়কসহ পুরো শহরের সড়ক এখন বেহাল দশায়। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও অটোর চাকা আটকে যাচ্ছে খানাখন্দে, আবার কোথাও যাত্রীসহ অটো উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন সড়ক ভাঙাচোরা থাকায় যাত্রী, চালক ও পথচারীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক ছাড়াও ভোলা রোড, রুপাতলী, নথুল্লাবাদ, বাংলাবাজার ও নতুন বাজার এলাকায় খানাখন্দ বেশি। সড়কের পিচ-পাথর উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সাময়িকভাবে ইট ফেলে ভরাট করা হলেও তা টেকসই হচ্ছে না। প্রতিদিন অন্তত দুই হাজার যানবাহন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। পদ্মা সেতু চালুর পর কুয়াকাটাগামী যানবাহনের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ায় চাপ বেড়েছে আরও।
কুয়াকাটা-ঢাকা রুটের বাসচালক কেরামত আলী বলেন, ‘সড়কের যে অবস্থা, তাতে বাস চালাতে অনেক ঝুঁকি নিতে হয়। যাত্রীরাও আতঙ্কে থাকেন। সময়ও বেশি লাগে। যে ধরনের সংস্কার করা হচ্ছে, তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। আগেও এভাবে সংস্কার হয়েছে, কিন্তু টেকেনি।’
সওজ বরিশালের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান জানান, ‘আমরা সবসময়ই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সড়ককে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। তবে এটি মাত্র ২৪ ফিটের একটি সিঙ্গেল রোড। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আমরা ২০০ মিটার রাস্তায় পাঁচটি স্পিড ব্রেকার দিয়েছি, যা একটি হাইওয়ের জন্য উপযোগী নয়। এখানে ভারী যানবাহন চলাচল করে, ফলে হঠাৎ গতি কমে গেলে সড়কের ক্ষতি হয়।
ফিটনেসবিহীন বেপরোয়া যানবাহন এবং মোটরচালিত যানও রাস্তার ক্ষতির বড় কারণ। বরিশালে আদর্শ সড়ক মাত্র ১২ কিলোমিটার। জায়গার অভাবে রাস্তা প্রশস্ত করা যাচ্ছে না। জোড়া-তালি দিয়ে প্রশস্তকরণ করায় সড়কের লেভেল এক থাকে না, ফলে ত্রুটি থেকে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের অংশ থেকে ১৮ কিলোমিটার রাস্তা ওভারলেপিংয়ের আওতায় আসবে। তাছাড়া ট্রাফিক কন্ট্রোল ও সিন্ডিকেট সমস্যার কারণে নতুন যানবাহন প্রবেশ করাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। মাস্টারপ্ল্যানের অভাবে এই সড়ক বছরের পর বছর এভাবেই চলছে। তবে আসন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ফুটওভার ব্রিজ নির্মিত হলে দুর্ঘটনা ও সড়ক অব্যবস্থাপনা অনেকটাই কমে আসবে বলে আমরা আশা করছি।’
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল বাশার বলেন, ‘বর্ষাকালে বিটুমিনের কাজ করা যায় না। বর্ষা শেষ না হলে রাস্তা সংস্কার সম্ভব নয়। অতীতে টেন্ডার রাজনীতির কারণে দায়সারা কাজ হয়েছে, ফলে টেকসই হয়নি। হেভি লোড যানবাহন, স্পিড ব্রেকার ও লাইসেন্সবিহীন মোটরযানের কারণে রাস্তার ফ্লেক্সিবিলিটি নষ্ট হচ্ছে। আবার ফাইনান্সিয়াল সংকটের কারণে নতুন প্রজেক্টও বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম বলেন, ‘একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কের এমন বেহাল অবস্থা সত্যিই হতাশাজনক। মাঝেমধ্যেই দেখি যাত্রীসহ অটো উল্টে যাচ্ছে। আমার নিজেরও চলাচলে ভোগান্তি হয়। কর্তৃপক্ষের যেমন গাফিলতি আছে, তেমনি আমাদের তাগিদের অভাবও রয়েছে। তবে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি, আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে।’
ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নূর লামিয়া তাবাসসুম (ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ, ১১ ব্যাচ) বলেন, ‘কিছু বুঝে ওঠার আগেই মোটরসাইকেল এসে ধাক্কা দেয়, আমি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পাই। আমার দুর্ঘটনার জন্য সড়কের অব্যবস্থাপনা, গাড়ির বেপরোয়া গতি এবং প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করি। নেই ফুটওভার ব্রিজ, রাস্তা পার হতে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এটা দুঃখজনক।’
এ পথের নিয়মিত যাত্রী ফয়সাল সাহেব জানায়, ‘প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় রাস্তাঘাটের খানাখন্দ আমার জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাঁটার সময় ভয় থাকে কখন যে পা পিছলে যায়। কয়েকদিন আগে আমার পরিচিত একজন অটোতে উঠতে গিয়ে পড়ে পা মচকে ফেলেন। বয়স হয়েছে, তাই আরও বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়।’
বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক শুধু দক্ষিণাঞ্চলের নয়, পুরো দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। অথচ সড়কের এই বেহাল দশা প্রতিদিনই সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে দুর্ঘটনা ও ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের কুয়াকাটা মহাসড়কসহ পুরো শহরের সড়ক এখন বেহাল দশায়। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও অটোর চাকা আটকে যাচ্ছে খানাখন্দে, আবার কোথাও যাত্রীসহ অটো উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন সড়ক ভাঙাচোরা থাকায় যাত্রী, চালক ও পথচারীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক ছাড়াও ভোলা রোড, রুপাতলী, নথুল্লাবাদ, বাংলাবাজার ও নতুন বাজার এলাকায় খানাখন্দ বেশি। সড়কের পিচ-পাথর উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সাময়িকভাবে ইট ফেলে ভরাট করা হলেও তা টেকসই হচ্ছে না। প্রতিদিন অন্তত দুই হাজার যানবাহন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। পদ্মা সেতু চালুর পর কুয়াকাটাগামী যানবাহনের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ায় চাপ বেড়েছে আরও।
কুয়াকাটা-ঢাকা রুটের বাসচালক কেরামত আলী বলেন, ‘সড়কের যে অবস্থা, তাতে বাস চালাতে অনেক ঝুঁকি নিতে হয়। যাত্রীরাও আতঙ্কে থাকেন। সময়ও বেশি লাগে। যে ধরনের সংস্কার করা হচ্ছে, তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। আগেও এভাবে সংস্কার হয়েছে, কিন্তু টেকেনি।’
সওজ বরিশালের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান জানান, ‘আমরা সবসময়ই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সড়ককে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। তবে এটি মাত্র ২৪ ফিটের একটি সিঙ্গেল রোড। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আমরা ২০০ মিটার রাস্তায় পাঁচটি স্পিড ব্রেকার দিয়েছি, যা একটি হাইওয়ের জন্য উপযোগী নয়। এখানে ভারী যানবাহন চলাচল করে, ফলে হঠাৎ গতি কমে গেলে সড়কের ক্ষতি হয়।
ফিটনেসবিহীন বেপরোয়া যানবাহন এবং মোটরচালিত যানও রাস্তার ক্ষতির বড় কারণ। বরিশালে আদর্শ সড়ক মাত্র ১২ কিলোমিটার। জায়গার অভাবে রাস্তা প্রশস্ত করা যাচ্ছে না। জোড়া-তালি দিয়ে প্রশস্তকরণ করায় সড়কের লেভেল এক থাকে না, ফলে ত্রুটি থেকে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের অংশ থেকে ১৮ কিলোমিটার রাস্তা ওভারলেপিংয়ের আওতায় আসবে। তাছাড়া ট্রাফিক কন্ট্রোল ও সিন্ডিকেট সমস্যার কারণে নতুন যানবাহন প্রবেশ করাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। মাস্টারপ্ল্যানের অভাবে এই সড়ক বছরের পর বছর এভাবেই চলছে। তবে আসন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ফুটওভার ব্রিজ নির্মিত হলে দুর্ঘটনা ও সড়ক অব্যবস্থাপনা অনেকটাই কমে আসবে বলে আমরা আশা করছি।’
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল বাশার বলেন, ‘বর্ষাকালে বিটুমিনের কাজ করা যায় না। বর্ষা শেষ না হলে রাস্তা সংস্কার সম্ভব নয়। অতীতে টেন্ডার রাজনীতির কারণে দায়সারা কাজ হয়েছে, ফলে টেকসই হয়নি। হেভি লোড যানবাহন, স্পিড ব্রেকার ও লাইসেন্সবিহীন মোটরযানের কারণে রাস্তার ফ্লেক্সিবিলিটি নষ্ট হচ্ছে। আবার ফাইনান্সিয়াল সংকটের কারণে নতুন প্রজেক্টও বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম বলেন, ‘একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কের এমন বেহাল অবস্থা সত্যিই হতাশাজনক। মাঝেমধ্যেই দেখি যাত্রীসহ অটো উল্টে যাচ্ছে। আমার নিজেরও চলাচলে ভোগান্তি হয়। কর্তৃপক্ষের যেমন গাফিলতি আছে, তেমনি আমাদের তাগিদের অভাবও রয়েছে। তবে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি, আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে।’
ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নূর লামিয়া তাবাসসুম (ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ, ১১ ব্যাচ) বলেন, ‘কিছু বুঝে ওঠার আগেই মোটরসাইকেল এসে ধাক্কা দেয়, আমি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পাই। আমার দুর্ঘটনার জন্য সড়কের অব্যবস্থাপনা, গাড়ির বেপরোয়া গতি এবং প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করি। নেই ফুটওভার ব্রিজ, রাস্তা পার হতে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এটা দুঃখজনক।’
এ পথের নিয়মিত যাত্রী ফয়সাল সাহেব জানায়, ‘প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় রাস্তাঘাটের খানাখন্দ আমার জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাঁটার সময় ভয় থাকে কখন যে পা পিছলে যায়। কয়েকদিন আগে আমার পরিচিত একজন অটোতে উঠতে গিয়ে পড়ে পা মচকে ফেলেন। বয়স হয়েছে, তাই আরও বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়।’
বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক শুধু দক্ষিণাঞ্চলের নয়, পুরো দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। অথচ সড়কের এই বেহাল দশা প্রতিদিনই সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে দুর্ঘটনা ও ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:১৫
বরিশালে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চোরাই কয়লা ও পাচারকাজে ব্যবহৃত একটি লাইটার ভেসেলসহ ১২ চোরাকারবারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ডের একটি দল। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে কোস্ট গার্ড স্টেশন বরিশাল কোতোয়ালি থানাধীন চরমোনাই আনন্দ ঘাট-সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান চলাকালে একটি সন্দেহজনক লাইটার ভেসেল তল্লাশি করা হয়। তল্লাশির পর ভেসেলটি থেকে ১ হাজার ১০০ টন চোরাই কয়লা জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। এ সময় চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১২ ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মোংলা হিরণ পয়েন্টে অবস্থানরত একটি বিদেশি জাহাজ থেকে এই কয়লা অসদুপায় অবলম্বন করে অবৈধভাবে পাচার করা হচ্ছিল।
জব্দ করা কয়লা, পাচারকাজে ব্যবহৃত লাইটার ভেসেল এবং আটক ১২ চোরাকারবারিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা।
বরিশালে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চোরাই কয়লা ও পাচারকাজে ব্যবহৃত একটি লাইটার ভেসেলসহ ১২ চোরাকারবারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ডের একটি দল। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে কোস্ট গার্ড স্টেশন বরিশাল কোতোয়ালি থানাধীন চরমোনাই আনন্দ ঘাট-সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান চলাকালে একটি সন্দেহজনক লাইটার ভেসেল তল্লাশি করা হয়। তল্লাশির পর ভেসেলটি থেকে ১ হাজার ১০০ টন চোরাই কয়লা জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। এ সময় চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১২ ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মোংলা হিরণ পয়েন্টে অবস্থানরত একটি বিদেশি জাহাজ থেকে এই কয়লা অসদুপায় অবলম্বন করে অবৈধভাবে পাচার করা হচ্ছিল।
জব্দ করা কয়লা, পাচারকাজে ব্যবহৃত লাইটার ভেসেল এবং আটক ১২ চোরাকারবারিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.