dreamliferupatolibarisal

সারাদেশ

আওয়ামী লীগ নেতার গাড়িতে ঘুরছেন বিএনপি নেতা

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

১৫ জুন, ২০২৫ ১৮:৫২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

আওয়ামী লীগ নেতার গাড়িতে ঘুরছেন বিএনপি নেতা

রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার আওয়ামী লীগের এক নেতার ব্যক্তিগত গাড়িতে ঘুরছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজ অনুযায়ী, গত ১১ জুন গোদাগাড়ী উপজেলার খেতুরী ধামের সামনে একটি কালো রঙের প্রাইভেটকার থেকে নামেন বিশ্বনাথ সরকার, তার ভাতিজা অলোক সরকার আলো এবং সেন্টু সরকার নামের আরেক ব্যক্তি।

গাড়িটির মালিক গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক ও সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা সুনন্দন দাস রতন। দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আলোচিত রতন স্থানীয়ভাবে রাজনীতিতেও সক্রিয়।

তিনি সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ এবং শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গদেব ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক সদস্য ছিলেন। তবে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি তাকে ট্রাস্টি বোর্ড থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

ঘটনার বিষয়ে গাড়িচালক ইসরাইল হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, গাড়িটি রতনের মালিকানাধীন এবং তিনি ১১ জুন রাজশাহী শহর থেকে ওই তিনজনকে নিয়ে খেতুরী ধামে গিয়েছিলেন। যদিও এ বিষয়ে সুনন্দন দাস রতনের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি, কারণ একাধিকবার ফোন করেও তিনি ফোন ধরেননি।

ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের অভিযোগ, অব্যাহতির পর রতন এখন পুরো বোর্ড ভেঙে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন। গত মার্চে তিনি ধামে (মন্দির) তালা লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন তার লোকজন পাঠিয়ে। এবার বিএনপি নেতাদের ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে।

তাদের অভিযোগ, বিশ্বনাথ সরকার বোর্ডকে জানিয়েছিলেন, ১৩ জুন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ধামে আসবেন। এই তথ্যকে ঘিরেই মিলনমেলা আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। তবে পরে জানা যায়, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের কোনো আগমনের পরিকল্পনাই ছিল না। তার নাম ভাঙিয়ে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত বৈঠক আয়োজনের চেষ্টাই ছিল মূল উদ্দেশ্য।

স্থানীয় বিএনপিপন্থি সংগঠন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের নামে ওই ‘মিলনমেলা’ আয়োজনের কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত তা অনুষ্ঠিত হয়নি। সংগঠনটি পরে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে, অনুষ্ঠানের আগের দিন মাটিকাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এহসানুল কবির টুকু সেখানে গিয়ে সহদেব কুমার পান্না নামে এক ভক্তকে মারধর করেন এবং ধাম থেকে বের করে দেন, যার ফলে অনুষ্ঠান বাতিল হয়।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টুকু। তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রীয় নেতার আগমনের খবরে প্রস্তুতি দেখতে তিনি ধামে যান এবং সেখানে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সহদেব কুমার পান্নাকে দেখতে পেয়ে তাকে বিএনপির আয়োজনে অংশ না নিতে বলেন। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি করেন তিনি।

এদিকে, রোববার দুপুরে ধাম প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাস্টি বোর্ড হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের অভিযোগকে ‘পুরোপুরি মিথ্যা’ বলে দাবি করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বোর্ডের সভাপতি বিদ্যুৎ নারায়ণ সরকার। সঙ্গে ছিলেন ট্রাস্টি সদস্য শ্যামাপদ স্যানাল, গণেশ চন্দ্র ঘোষ, রামকুমার সাহা, বাবু মণ্ডল বাবু ও রাজানাথ পাল।

তারা জানান, ১১ থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত ধামে অন্তত ৫০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিলেন। সেখানে কাউকে মারধরের সুযোগ ছিল না। সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও এমন কিছু দেখা যায়নি।

তারা আরও দাবি করেন, রতন ধামের ভেতর দিয়ে তার নিজস্ব জমিতে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করছিলেন, যা ব্যক্তিস্বার্থে ছিল। এ কারণেই তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর থেকেই তিনি বিশ্বনাথ সরকার ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য দেবাশিষ রায় মধুকে ব্যবহার করে বোর্ড ভাঙার ষড়যন্ত্র করছেন।

বিশ্বনাথ সরকার যদিও দাবি করেছেন, তিনি রতনকে চিনেন না এবং তার গাড়িতে চড়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন, তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা দেবাশিষ রায় মধু বিষয়টি অস্বীকার করেননি। তিনি বলেন, এই ট্রাস্টি বোর্ডটি ফ্যাসিস্ট সরকারের ঘনিষ্ঠদের দ্বারা গঠিত। আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের ইচ্ছানুযায়ী এটিকে পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি।

আরও পড়ুন:

ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:১৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ এলাকায় কথাকাটাকাটির জেরে ফুফাতো ভাইয়ের হাতে সরোয়ার আলম (২৫) নামে এ যুবক খুন হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহত সরোয়ার আলম কক্সবাজার পৌরসভার লাইট হাউজ এলাকার বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে। পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য ছিলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক এক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সরোয়ারের সাথে তার ফুফাতো ভাই রায়হানের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রায়হান উত্তেজিত হয়ে হাতে থাকা কাচের গ্লাস ভেঙে সরোয়ারের বুকে আঘাত করে।

পরে গুরুতর অবস্থায় সরোয়ারকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হঠাৎ এমন মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসছে। নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতন।

প্রতিবেশী মো. আলম বলেন, শান্ত-ভদ্র স্বভাবের সরোয়ার ছিল সবার প্রিয়। ওর উপার্জনে পরিবারটা চলতো। শুধু এক মুহূর্তের রাগে রায়হান ওকে মেরে ফেলল। এটা আমরা বিশ্বাসই করতে পারছি না।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। পারিবারিক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রাণহানি ঘটেছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। নিহত সরোয়ারের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:০৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় নিজ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় আব্দুল কাদের (৫৫) নামে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি পাইকান কুঠিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি (তদন্ত) আবু হানিফ সরকার। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর অষ্টম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বিয়ে হয় বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী কিশোরী শুক্রবার নিজে বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদেরের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই বছর আগে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ছাত্রীকে বিয়ে করেন তিনি।

তবে বয়স কম থাকায় কাবিন রেজিস্ট্রি করা হয়নি। বিয়ের পর থেকে শিক্ষক আব্দুল কাদের কিশোরীটির সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেছেন এবং একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সম্প্রতি কাবিননামা রেজিস্ট্রির জন্য চাপ দিলে শিক্ষক আব্দুল কাদের ওই কিশোরীকে জোর করে বাড়িতে আটকে রাখেন ও পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেন।

গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত আবু হানিফ সরকার বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।

খানাখন্দে ভরা পিরোজপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, দুর্ভোগে হাজারো যাত্রী

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:১৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

খানাখন্দে ভরা পিরোজপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, দুর্ভোগে হাজারো যাত্রী

খানাখন্দ, কাদা-পানি আর অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে পিরোজপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। সামান্য বৃষ্টিতেই পানিতে তলিয়ে যায় পুরো টার্মিনাল, ডুবে যায় বড় বড় গর্ত।

প্রতিদিনই বাস, রিকশা, অটোরিকশা থেকে শুরু করে মোটরসাইকেল পর্যন্ত আটকে যাচ্ছে এই গর্তে। যাত্রীদের নামতে হচ্ছে কাদা-পানিতে, অনেক সময় পড়তে হচ্ছে আহত হওয়ার ঝুঁকিতেও। ফলে প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ছেন হাজারো যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিক এবং চালকরা।

‎২০০৬ সালে শহরের বাইপাস সড়কের পাশে মাছিমপুর এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এ টার্মিনাল নির্মাণ করে। তখন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা হয়ে পড়ে অপ্রতুল।

প্রতিদিন প্রায় ১৪টি রুটে ৬ শতাধিকের বেশি বাস ও মিনিবাস এখান থেকে ৩০-৩৫ হাজার যাত্রী পরিবহন করছে। কিন্তু ধারণক্ষমতার তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি বাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে টার্মিনালে।

‎বাস রাখার জায়গা না থাকায় রাস্তার দুই পাশে সারি সারি বাস দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে, এতে যানজট ও চলাচলে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটছে। পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অর্থের বিনিময়ে নতুন নতুন বাস চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যার ফলে অযাচিত চাপ পড়ছে টার্মিনালের ওপর।

‎সরেজমিনে দেখা গেছে, টার্মিনালে ঢোকার মুখেই রয়েছে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়ায় কোথায় গর্ত তা বোঝা যায় না। এতে প্রায়ই বাস আটকে যায়। ছোট যানবাহন যেমন রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল পড়ছে বিপদে। যাত্রীদেরও পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে কেউ নামতে গিয়ে কাদা-পানিতে ভিজে যাচ্ছেন, আবার কেউ খানাখন্দে পড়ে আহত হচ্ছেন।

‎স্থানীয় যাত্রী সজল শেখ বলেন, পিরোজপুরের বাইরে কোথাও যেতে গেলে এই টার্মিনালে আসতে হয়, কিন্তু অবস্থা এত খারাপ যে ভোগান্তির শেষ নেই। অনেক সময় বাস থেকে নামলেই কাদা-পানিতে নেমে যেতে হয়। আমরা দ্রুত এর সমাধান চাই।

‎বাসচালক আবুল হোসেন বলেন, পিরোজপুর জেলা বাস টার্মিনাল এখন ব্যবহার অনুপযোগী। এখানে বাস রাখার ব্যবস্থা নেই, গর্তে পড়লে ক্রেন দিয়ে বা অন্য বাস দিয়ে টেনে তুলতে হয়। এতে আমাদের অনেক ভোগান্তি হয়। খুব তাড়াতাড়ি আমাদের টার্মিনালটি ঠিক করে দেওয়া হোক, না হলে এখানে আর বাস রাখা যাবে না।

‎শ্রমিক মাহাতাব আলী বলেন, এই টার্মিনালে বাস নিয়ে ঢুকতে এবং বের হতে গেলে প্রায়ই বাসের বিভিন্ন সমস্যা হয়। চাকার ক্ষতি হয়, নিচের পাতির ক্ষতি হয়, ইঞ্জিনের ক্ষতি হয় এগুলো আবার মেরামত করতে অনেক সময় লাগে। ফলে বাস বন্ধ হয়ে গেলে ইনকামও বন্ধ হয়ে যায়।

‎পরিবহন মালিক আব্দুস সালাম খান বলেন, টার্মিনাল দ্রুত সংস্কার না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মালিক, যাত্রী ও চালকদের জন্য এটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় পরিণত হয়েছে। তাই দ্রুতই এটি সংস্কার করা প্রয়োজন।

‎১৯ বছর আগে নির্মিত হলেও এ টার্মিনালে এখনো কোনো বড় ধরনের সংস্কার হয়নি। ফলে এখন এটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের একটাই দাবি—দ্রুত সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হোক পিরোজপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, যাতে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত হয়।

‎তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া শুধু খানাখন্দ মেরামত করে সমস্যার সমাধান হবে না। টার্মিনালটিকে আধুনিকায়ন, বাস পার্কিংয়ের জন্য আলাদা জোন তৈরি, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং অতিরিক্ত বাস চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রয়োজনে বিকল্প হিসেবে নতুন একটি টার্মিনাল নির্মাণ করা দরকার। নইলে যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়বে।

‎পিরোজপুর জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা বার বার অনুরোধ করেছি, বিশাল বিশাল গর্ত রয়েছে। বর্ষাকালে যাত্রীরা বাস থেকে নেমে পানি পেরিয়ে সড়কে ওঠে। আমরা পৌরসভাকে অনুরোধ করেছি গর্তগুলো ভরাট করার জন্য। আশা করছি, দ্রুতই কর্তৃপক্ষ সমস্যার সমাধান করবে।

‎এ বিষয়ে পিরোজপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ধ্রুব লাল দত্ত বণিক বলেন, আমরা এ বিষয়ে গত বছরে খুব স্বল্প পরিসরে কিছুটা মেরামত করেছি। পাশাপাশি কয়েকটি প্রজেক্টের জন্য স্কিম প্রেরন করেছি। আশা করি, বরাদ্দ পেলে দ্রুতই এটি মেরামতের কাজ করা হবে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.