
১৪ জুন, ২০২৫ ২০:০৯
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় হৃদ্রোগে বাবার মৃত্যুর এক সপ্তাহের মাথায় বাসচাপায় প্রাণ গেল ছেলের। ঈদের ছুটি শেষে পরিবার নিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন ওই যুবক। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাসটি জব্দ করেছে। তবে ঘাতক বাসচালক পালিয়ে গেছে।
শনিবার (১৪ জুন) আনুমানিক সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মতলব-বাবুরহাট পেন্নাই সড়কের বরদিয়া এলাকায় জৈনপুর পরিবহন বাসচাপায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
নিহত মুরাদ হোসেন (৩৫) লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার মধুপুর গ্রামের মৃত শাহজাহানের ছেলে। তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস সহায়ক ছিলেন। তিনি স্ত্রী, ৩ ও ১ বছরের ২টি শিশু সন্তান রেখে গেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, শনিবার সকালে বাবুরহাট থেকে ঢাকাগামী জৈনপুর পরিবহন যাত্রীবাহী বাসটি ছেড়ে আসে। বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলটিকে বরদিয়া সরকার বাড়ি এলাকায় দ্রুতগামী ঘাতক বাসটি চাপা দেয়।
এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। মোটরসাইকেল আরোহী মুরাদ ছিটকে পড়ে গুরতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।
অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথিমধ্যে তার অবস্থা বেগতিক দেখে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আশরাফুল ইসলাম লিমন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী ইফরিন সুলতানা বলেন, আমার স্বামী ঢাকা হাইকোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস সহায়ক হিসেবে চাকরি করতেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকায় একটি বাসায় থাকতেন। পবিত্র ঈদুল আজহার পূর্বে সবাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসেন।
এখন ঢাকা থেকে আমাদের নিতে আসছিলেন। আমার শ্বশুর-শাশুড়িও মারা গেছেন। আল্লাহ আমার স্বামীকেও নিয়ে গেল। এখন আমি আমার ২টা ছোট্ট ছোট্ট ছেলে সন্তান নিয়ে কীভাবে থাকব?
নিহতের চাচাতো ভাই মোবারক হোসেন বলেন, প্রায় এক সপ্তাহ আগে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মুরাদের বাবা মারা যান। সপ্তাহ না যেতেই আজ দুর্ঘটনায় মারা গেল মুরাদ। এত অল্প সময়ের মধ্যে পরিবারের দুজন সদস্যের মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন। এ ঘটনায় পুরো পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহতের মামাতো ভাই হারুনর রশীদ বলেন, আমার ভাই সরকারি চাকরি করত। আমার ভাইয়ের ২টি সন্তান আছে। কখনোই মুরাদ হেলমেট ছাড়া গাড়ি চালায়নি। যখনই বাইক চালায় খুব সতর্কভাবে চালাত। আগে বিভিন্ন পত্রিকায় দেখছি এই রোডে বাসের অদক্ষ ড্রাইভারের কারণে অনেক মানুষ মারা গেছে। আমার ভাইকে যে বাস চাপা দিয়ে মেরেছে তাদের সুষ্ঠু বিচার চাই।
স্থানীয় রিপন ভুঁইয়া, শারমিন আক্তারসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, মতলব-ঢাকা সড়কে জৈনপুর পরিবহন বাসগুলো বেপরোয়াভাবে যাতায়াত করে। এছাড়া প্রায় সময় হেলপার দিয়ে বাস চালায়।
তাদের বেপরোয়া চালানোর কারণে গত রোববার (০৮ জুন) একই এলাকায় জৈনপুর পরিবহন বাসচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী ঘটনাস্থলেই ২ জন মারা যান এবং আহত হন চার যাত্রী। দোষীদের বিচারের দাবি জানান তারা।
মতলব দক্ষিণ থানার ওসি মো. সালেহ আহমেদ বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে যাই। আহত অবস্থায় মোটরসাইকেল আরোহীকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। চাঁদপুর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক বাসটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় হৃদ্রোগে বাবার মৃত্যুর এক সপ্তাহের মাথায় বাসচাপায় প্রাণ গেল ছেলের। ঈদের ছুটি শেষে পরিবার নিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন ওই যুবক। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাসটি জব্দ করেছে। তবে ঘাতক বাসচালক পালিয়ে গেছে।
শনিবার (১৪ জুন) আনুমানিক সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মতলব-বাবুরহাট পেন্নাই সড়কের বরদিয়া এলাকায় জৈনপুর পরিবহন বাসচাপায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
নিহত মুরাদ হোসেন (৩৫) লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার মধুপুর গ্রামের মৃত শাহজাহানের ছেলে। তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস সহায়ক ছিলেন। তিনি স্ত্রী, ৩ ও ১ বছরের ২টি শিশু সন্তান রেখে গেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, শনিবার সকালে বাবুরহাট থেকে ঢাকাগামী জৈনপুর পরিবহন যাত্রীবাহী বাসটি ছেড়ে আসে। বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলটিকে বরদিয়া সরকার বাড়ি এলাকায় দ্রুতগামী ঘাতক বাসটি চাপা দেয়।
এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। মোটরসাইকেল আরোহী মুরাদ ছিটকে পড়ে গুরতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।
অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথিমধ্যে তার অবস্থা বেগতিক দেখে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আশরাফুল ইসলাম লিমন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী ইফরিন সুলতানা বলেন, আমার স্বামী ঢাকা হাইকোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস সহায়ক হিসেবে চাকরি করতেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকায় একটি বাসায় থাকতেন। পবিত্র ঈদুল আজহার পূর্বে সবাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসেন।
এখন ঢাকা থেকে আমাদের নিতে আসছিলেন। আমার শ্বশুর-শাশুড়িও মারা গেছেন। আল্লাহ আমার স্বামীকেও নিয়ে গেল। এখন আমি আমার ২টা ছোট্ট ছোট্ট ছেলে সন্তান নিয়ে কীভাবে থাকব?
নিহতের চাচাতো ভাই মোবারক হোসেন বলেন, প্রায় এক সপ্তাহ আগে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মুরাদের বাবা মারা যান। সপ্তাহ না যেতেই আজ দুর্ঘটনায় মারা গেল মুরাদ। এত অল্প সময়ের মধ্যে পরিবারের দুজন সদস্যের মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন। এ ঘটনায় পুরো পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহতের মামাতো ভাই হারুনর রশীদ বলেন, আমার ভাই সরকারি চাকরি করত। আমার ভাইয়ের ২টি সন্তান আছে। কখনোই মুরাদ হেলমেট ছাড়া গাড়ি চালায়নি। যখনই বাইক চালায় খুব সতর্কভাবে চালাত। আগে বিভিন্ন পত্রিকায় দেখছি এই রোডে বাসের অদক্ষ ড্রাইভারের কারণে অনেক মানুষ মারা গেছে। আমার ভাইকে যে বাস চাপা দিয়ে মেরেছে তাদের সুষ্ঠু বিচার চাই।
স্থানীয় রিপন ভুঁইয়া, শারমিন আক্তারসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, মতলব-ঢাকা সড়কে জৈনপুর পরিবহন বাসগুলো বেপরোয়াভাবে যাতায়াত করে। এছাড়া প্রায় সময় হেলপার দিয়ে বাস চালায়।
তাদের বেপরোয়া চালানোর কারণে গত রোববার (০৮ জুন) একই এলাকায় জৈনপুর পরিবহন বাসচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী ঘটনাস্থলেই ২ জন মারা যান এবং আহত হন চার যাত্রী। দোষীদের বিচারের দাবি জানান তারা।
মতলব দক্ষিণ থানার ওসি মো. সালেহ আহমেদ বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে যাই। আহত অবস্থায় মোটরসাইকেল আরোহীকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। চাঁদপুর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক বাসটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:১৯
এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন এক সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওসমান হাদির ওপর হামলার পর যেহেতু ফয়সাল করিম মাসুদ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত হয়েছেন, সেহেতু তার বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। আমরাও তার আর্থিক কোনো অপরাধ আছে কি না, সেগুলোর অনুসন্ধান করব।
শোনা যাচ্ছে এবং অনেক আলোচনা রয়েছে যে এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য ভারত থেকে অনেক ফান্ডিং হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ফলে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য মূলত হিসাবগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্য। এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করে তথ্য চাওয়া হয়। পুলিশের বিবৃতিতে সন্দেহভাজন তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে ধারণা করা হয়। তাকে আগেও হাদির সঙ্গে দেখা গেছে।
তবে কয়েক দিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণই যে তিনি সে বিষয়ে পুলিশের কাছ থেকে কোনো তথ্য মেলেনি।
গত মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
জানা গেছে, ফয়সাল করিম নামের ওই তরুণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন।
এদিকে, ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। মোটরসাইকেলটির মালিক সন্দেহে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) আব্দুল হান্নান (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হন ওসমান হাদি। তিনি জাতীয় সংসদের ঢাকা-৮ আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। সেদিন রাত থেকে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
হাদির চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে থাকা শরিফ ওসমান হাদির সার্বিক পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।’
এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন এক সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওসমান হাদির ওপর হামলার পর যেহেতু ফয়সাল করিম মাসুদ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত হয়েছেন, সেহেতু তার বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। আমরাও তার আর্থিক কোনো অপরাধ আছে কি না, সেগুলোর অনুসন্ধান করব।
শোনা যাচ্ছে এবং অনেক আলোচনা রয়েছে যে এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য ভারত থেকে অনেক ফান্ডিং হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ফলে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য মূলত হিসাবগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্য। এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করে তথ্য চাওয়া হয়। পুলিশের বিবৃতিতে সন্দেহভাজন তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে ধারণা করা হয়। তাকে আগেও হাদির সঙ্গে দেখা গেছে।
তবে কয়েক দিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণই যে তিনি সে বিষয়ে পুলিশের কাছ থেকে কোনো তথ্য মেলেনি।
গত মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
জানা গেছে, ফয়সাল করিম নামের ওই তরুণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন।
এদিকে, ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। মোটরসাইকেলটির মালিক সন্দেহে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) আব্দুল হান্নান (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হন ওসমান হাদি। তিনি জাতীয় সংসদের ঢাকা-৮ আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। সেদিন রাত থেকে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
হাদির চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে থাকা শরিফ ওসমান হাদির সার্বিক পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।’

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:১৩
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করার ঘটনার সঙ্গে জড়িত শ্যুটার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান ও তার সহযোগী বাইকচালক আলমগীর হোসেন বর্তমানে আসামের গুয়াহাটিতে অবস্থান করছেন বলে দাবি করেছেন আল-জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন দাবি করেন।
পোস্টে সায়ের বলেন, তারা ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের বর্তমান অবস্থান আসামের গুয়াহাটি শহরে।
জুলকারনাইনের দাবি, ভারতে তাদের সহায়তা করছেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লব। বিপ্লবের তত্বাবধানে এই হত্যাকারীরা ভারতে অবস্থান করছে।
হাদির ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে- অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই আক্রমণ করা হয়েছে এবং আরও কয়েকটি হিট টিমের একইরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তির পরিকল্পনা রয়েছে।
সায়ের বলেন, এদিকে মূল শ্যুটার ফয়সাল তার ঘনিষ্ঠ মহলে দাবি করেছেন, ব্যবহৃত অস্ত্রটি জ্যাম হয়ে যাওয়ায় তিনি কেবল একটি গুলি করতে সক্ষম হন। তার পরিকল্পনা ছিল চারটি গুলি করার।
সায়েরের পোস্ট অনুযায়ী, সূত্র দাবি করেছে ফয়সালের মতোই আরেক অস্ত্রধারী ক্যাডার চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য মো. সাজ্জাদ, যাকে গত ১৩ মে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে ফয়সাল আহমেদ শান্ত হত্যার মামলায়।
তবে ২৯ জুলাই সাজ্জাদ সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে কারামুক্ত হন।
সাংবাদিক সায়ের বলেন, অনতিবিলম্বে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠনের যে সব অস্ত্রধারী ক্যাডারকে বিভিন্ন মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছে, তাদের প্রত্যকের বর্তমান অবস্থান যাচাই ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া জরুরি।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করার ঘটনার সঙ্গে জড়িত শ্যুটার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান ও তার সহযোগী বাইকচালক আলমগীর হোসেন বর্তমানে আসামের গুয়াহাটিতে অবস্থান করছেন বলে দাবি করেছেন আল-জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন দাবি করেন।
পোস্টে সায়ের বলেন, তারা ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের বর্তমান অবস্থান আসামের গুয়াহাটি শহরে।
জুলকারনাইনের দাবি, ভারতে তাদের সহায়তা করছেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লব। বিপ্লবের তত্বাবধানে এই হত্যাকারীরা ভারতে অবস্থান করছে।
হাদির ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে- অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই আক্রমণ করা হয়েছে এবং আরও কয়েকটি হিট টিমের একইরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তির পরিকল্পনা রয়েছে।
সায়ের বলেন, এদিকে মূল শ্যুটার ফয়সাল তার ঘনিষ্ঠ মহলে দাবি করেছেন, ব্যবহৃত অস্ত্রটি জ্যাম হয়ে যাওয়ায় তিনি কেবল একটি গুলি করতে সক্ষম হন। তার পরিকল্পনা ছিল চারটি গুলি করার।
সায়েরের পোস্ট অনুযায়ী, সূত্র দাবি করেছে ফয়সালের মতোই আরেক অস্ত্রধারী ক্যাডার চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য মো. সাজ্জাদ, যাকে গত ১৩ মে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে ফয়সাল আহমেদ শান্ত হত্যার মামলায়।
তবে ২৯ জুলাই সাজ্জাদ সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে কারামুক্ত হন।
সাংবাদিক সায়ের বলেন, অনতিবিলম্বে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠনের যে সব অস্ত্রধারী ক্যাডারকে বিভিন্ন মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছে, তাদের প্রত্যকের বর্তমান অবস্থান যাচাই ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া জরুরি।

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৫৭
রাজধানীর মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এক সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এলাকায় হামলার এই ভিডিও ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, একজন যুবক দৌড়ে এসে এক সাংবাদিককের হাত ধরে ঘুরিয়ে ফেলে দেন। পরে ওই যুবক দৌড়ে পালানোর সময় পুলিশ তাকে আটক করে।
পরে উত্তেজিত জনতা তাকে মারধরের চেষ্টা করলে পুলিশ তাতে বাধা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে হামলাকারী যুবক এবং হামলার শিকার সাংবাদিকের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল ৭টায় রাষ্ট্রপতি মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর সকাল ৭টা ২০ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা।
রাজধানীর মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এক সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এলাকায় হামলার এই ভিডিও ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, একজন যুবক দৌড়ে এসে এক সাংবাদিককের হাত ধরে ঘুরিয়ে ফেলে দেন। পরে ওই যুবক দৌড়ে পালানোর সময় পুলিশ তাকে আটক করে।
পরে উত্তেজিত জনতা তাকে মারধরের চেষ্টা করলে পুলিশ তাতে বাধা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে হামলাকারী যুবক এবং হামলার শিকার সাংবাদিকের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল ৭টায় রাষ্ট্রপতি মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর সকাল ৭টা ২০ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.