
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:২৫
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে মা-মেয়ে খুনের ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডের মোটিভ কী? এই প্রশ্ন যখন সবখানে তখনই আয়েশার স্বামী জানালেন চুরি করে ধরা পড়ার কারণেই মা-মেয়েকে খুন করেন আয়েশা।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর আয়েশার স্বামী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সে মনে করছে কিছু জিনিস চুরি করে আইনা আমারে দিব, কিছু টাকা-পয়সা পাইবো। ল্যাপটপ, মোবাইল চুরি কইরা সে আহনের সময় তার ম্যাডাম দেইখা ফেলায়।
পেছন থিকা ম্যাডাম ধইরা ফেলায়। তখন সে চাকু দিয়া মারছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ধইরা ছিল, ততক্ষণ পর্যন্তই চাকু দিয়া মারছে। এরপর তার মেয়ে আইলে তারেও মারছে।
কিছু মালামাল চুরি করে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় গৃহকর্ত্রী লায়লা আফরোজ তাকে ধরে ফেলেন। তখন হাতে থাকা ছুরি দিয়ে আঘাত করেন তাকে। এ সময় লায়লা আফরোজের মেয়ে নাফিসা এগিয়ে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করেন।
এর আগে আজ দুপুরে নলছিটির কয়ার চর গ্রাম থেকে গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ। এ সময় তার স্বামী রবিউল ইসলামকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে মোহাম্মদপুর থানার ৯ জনের একটি টিম এ অভিযান চালায়।
গত সোমবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে নিজের বাসায় খুন হন মা লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫)। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বাসার গৃহকর্মী আয়েশা ওই দিন বোরকা পরে ঢুকে স্কুল ড্রেস ও মাস্ক পরে বেরিয়ে যান। এ ঘটনায় গৃহকর্মীকে আসামি করে মামলা করেন গৃহকর্তা এম জেড আজিজুল ইসলাম।
পুলিশ বলছে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার চার দিন আগে মোহাম্মদপুর শাজাহান রোডের ৩২/২/এ নম্বর বাসার সাততলার বাসায় কাজ নেন ওই গৃহকর্মী। নিজেকে আয়েশা নামে পরিচয় দেন। মা ও মেয়েকে হত্যার পর নাফিসার স্কুল ড্রেস পরে বাসা থেকে বেরিয়ে যান আয়েশা।
নিহত লায়লা আফরোজ ছিলেন গৃহিণী, আর মেয়ে নাফিসা বিনতে আজিজ মোহাম্মদপুরের প্রিপারেটরি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। নাফিসার বাবা এম জেড আজিজুল ইসলাম উত্তরায় সানবীমস স্কুলের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক।
ভবনের একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, নাফিসার বাবা স্কুলের উদ্দেশে সকাল ৭টার দিকে বের হয়ে যান। এর ঘণ্টাখানেক পর ৭টা ৫১ মিনিটে বোরকা পরে ওই বাসায় প্রবেশ করেন গৃহকর্মী আয়েশা। দেড় ঘণ্টা পর ৯টা ৩৬ মিনিটে স্কুল ড্রেস পরে বাসা থেকে বেরিয়ে যান তিনি। ওই স্কুল ড্রেস নাফিসার। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নাফিসার বাবা বাসায় ফিরে স্ত্রী ও মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান।
পুলিশের একটি সূত্র বলছে, মাকে হত্যার বিষয়টি বুঝতে পেরে মেয়ে নাফিসা ডাইনিং রুমে রাখা ইন্টারকম থেকে কাউকে ফোন দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হলে সেখানেই তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ওই সময় ধস্তাধস্তিতে ইন্টারকমের লাইন খুলে যায়। বাসায় তল্লাশি করে বাথরুমে একটি সুইচ গিয়ার চাকু ও একটি ফল কাটা ছুরি পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ছুরি দুটি দিয়েই মা-মেয়েকে হত্যা করেন গৃহকর্মী আয়েশা। এই ঘটনায় ওই বাসার দারোয়ান মালেককে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে মা-মেয়ে খুনের ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডের মোটিভ কী? এই প্রশ্ন যখন সবখানে তখনই আয়েশার স্বামী জানালেন চুরি করে ধরা পড়ার কারণেই মা-মেয়েকে খুন করেন আয়েশা।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর আয়েশার স্বামী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সে মনে করছে কিছু জিনিস চুরি করে আইনা আমারে দিব, কিছু টাকা-পয়সা পাইবো। ল্যাপটপ, মোবাইল চুরি কইরা সে আহনের সময় তার ম্যাডাম দেইখা ফেলায়।
পেছন থিকা ম্যাডাম ধইরা ফেলায়। তখন সে চাকু দিয়া মারছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ধইরা ছিল, ততক্ষণ পর্যন্তই চাকু দিয়া মারছে। এরপর তার মেয়ে আইলে তারেও মারছে।
কিছু মালামাল চুরি করে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় গৃহকর্ত্রী লায়লা আফরোজ তাকে ধরে ফেলেন। তখন হাতে থাকা ছুরি দিয়ে আঘাত করেন তাকে। এ সময় লায়লা আফরোজের মেয়ে নাফিসা এগিয়ে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করেন।
এর আগে আজ দুপুরে নলছিটির কয়ার চর গ্রাম থেকে গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ। এ সময় তার স্বামী রবিউল ইসলামকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে মোহাম্মদপুর থানার ৯ জনের একটি টিম এ অভিযান চালায়।
গত সোমবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে নিজের বাসায় খুন হন মা লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫)। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বাসার গৃহকর্মী আয়েশা ওই দিন বোরকা পরে ঢুকে স্কুল ড্রেস ও মাস্ক পরে বেরিয়ে যান। এ ঘটনায় গৃহকর্মীকে আসামি করে মামলা করেন গৃহকর্তা এম জেড আজিজুল ইসলাম।
পুলিশ বলছে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার চার দিন আগে মোহাম্মদপুর শাজাহান রোডের ৩২/২/এ নম্বর বাসার সাততলার বাসায় কাজ নেন ওই গৃহকর্মী। নিজেকে আয়েশা নামে পরিচয় দেন। মা ও মেয়েকে হত্যার পর নাফিসার স্কুল ড্রেস পরে বাসা থেকে বেরিয়ে যান আয়েশা।
নিহত লায়লা আফরোজ ছিলেন গৃহিণী, আর মেয়ে নাফিসা বিনতে আজিজ মোহাম্মদপুরের প্রিপারেটরি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। নাফিসার বাবা এম জেড আজিজুল ইসলাম উত্তরায় সানবীমস স্কুলের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক।
ভবনের একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, নাফিসার বাবা স্কুলের উদ্দেশে সকাল ৭টার দিকে বের হয়ে যান। এর ঘণ্টাখানেক পর ৭টা ৫১ মিনিটে বোরকা পরে ওই বাসায় প্রবেশ করেন গৃহকর্মী আয়েশা। দেড় ঘণ্টা পর ৯টা ৩৬ মিনিটে স্কুল ড্রেস পরে বাসা থেকে বেরিয়ে যান তিনি। ওই স্কুল ড্রেস নাফিসার। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নাফিসার বাবা বাসায় ফিরে স্ত্রী ও মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান।
পুলিশের একটি সূত্র বলছে, মাকে হত্যার বিষয়টি বুঝতে পেরে মেয়ে নাফিসা ডাইনিং রুমে রাখা ইন্টারকম থেকে কাউকে ফোন দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হলে সেখানেই তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ওই সময় ধস্তাধস্তিতে ইন্টারকমের লাইন খুলে যায়। বাসায় তল্লাশি করে বাথরুমে একটি সুইচ গিয়ার চাকু ও একটি ফল কাটা ছুরি পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ছুরি দুটি দিয়েই মা-মেয়েকে হত্যা করেন গৃহকর্মী আয়েশা। এই ঘটনায় ওই বাসার দারোয়ান মালেককে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:২৭
ঝালকাঠিতে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান মতবিনিময় করেছেন।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উন্নয়ন, প্রশাসনিক কার্যক্রম, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ও রাজনৈতিক সম্প্রীতি রক্ষার বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হয়।
ঝালকাঠি জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্য, কৃষি, পরিবেশ, সম্ভাবনা এবং উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা করেন সহকারী কমিশনার তামান্না ইয়াসমিন মেরিনা। উপস্থাপনায় জেলার সামাজিক, অর্থনৈতিক অবস্থা, প্রকৃতির বৈশিষ্ট্য, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিভিন্ন সমস্যার তথ্যচিত্র তুলে ধরা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান। সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন জেলা প্রশাসক মো. মমিন উদ্দিন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কাওছার হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেগুফতা মেহনাজ, জেলা বিএনপি আহ্বায়ক এডভোকেট সৈয়দ হোসেন, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির এডভোকেট খান হাফিজুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি হাফেজ মো. আলমগীর হোসেন, এনসিপি জেলা সমন্বয়ক মাইনুল ইসলাম মান্না।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ও ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. আককাস সিকদার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোস্তফা কামাল মন্টু এবং সনাক-টিআইবি ঝালকাঠির সভাপতি সত্যবান সেন গুপ্তসহ সরকারি দপ্তরের প্রধান, রাজনৈতিক-সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিকবৃন্দ।
মতবিনিময় সভায় বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, ঝালকাঠি কৃষি, নদী ও প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ একটি সম্ভাবনাময় জেলা। এই সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগিয়ে অর্থনীতি এগিয়ে নিতে সরকারি-বেসরকারি সব মহলের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
তিনি প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন, যুব সমাজের উদ্যোক্তা তৈরির উদ্যোগ এবং স্থানীয় সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধানের ওপর গুরুত্ব দেন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা, সহিংসতা পরিহার এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান। পাশাপাশি প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের বিষয়ে নির্দেশনা দেন।

০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:০৫
ঝালকাঠির নলছিটিতে নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে যোগদান করেছেন জোবায়ের হাবিব। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তার নতুন কমর্মস্থলে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
নলছিটিতে যোগদানের আগে তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিব (সিনিয়র সহকারী সচিব) হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। নবাগত এই কর্মকর্তাকে বরণ করে নিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বর্ণাঢ্য আয়োজন করা হয়। তার যোগদান উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আবু মোঃ ইফাদ ইশতিয়াক,কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অহিদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ভূমি রিজভী আহমেদ সবুজ,উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার ওবায়দুল ইসলাম নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ।
তারা নবাগত ইউএনওকে স্বাগত জানান এবং তার কার্যকালে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:১৬

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
ঝালকাঠিতে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান মতবিনিময় করেছেন।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উন্নয়ন, প্রশাসনিক কার্যক্রম, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ও রাজনৈতিক সম্প্রীতি রক্ষার বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হয়।
ঝালকাঠি জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্য, কৃষি, পরিবেশ, সম্ভাবনা এবং উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা করেন সহকারী কমিশনার তামান্না ইয়াসমিন মেরিনা। উপস্থাপনায় জেলার সামাজিক, অর্থনৈতিক অবস্থা, প্রকৃতির বৈশিষ্ট্য, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিভিন্ন সমস্যার তথ্যচিত্র তুলে ধরা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান। সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন জেলা প্রশাসক মো. মমিন উদ্দিন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কাওছার হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেগুফতা মেহনাজ, জেলা বিএনপি আহ্বায়ক এডভোকেট সৈয়দ হোসেন, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির এডভোকেট খান হাফিজুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি হাফেজ মো. আলমগীর হোসেন, এনসিপি জেলা সমন্বয়ক মাইনুল ইসলাম মান্না।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ও ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. আককাস সিকদার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোস্তফা কামাল মন্টু এবং সনাক-টিআইবি ঝালকাঠির সভাপতি সত্যবান সেন গুপ্তসহ সরকারি দপ্তরের প্রধান, রাজনৈতিক-সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিকবৃন্দ।
মতবিনিময় সভায় বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, ঝালকাঠি কৃষি, নদী ও প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ একটি সম্ভাবনাময় জেলা। এই সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগিয়ে অর্থনীতি এগিয়ে নিতে সরকারি-বেসরকারি সব মহলের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
তিনি প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন, যুব সমাজের উদ্যোক্তা তৈরির উদ্যোগ এবং স্থানীয় সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধানের ওপর গুরুত্ব দেন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা, সহিংসতা পরিহার এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান। পাশাপাশি প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের বিষয়ে নির্দেশনা দেন।
ঝালকাঠির নলছিটিতে নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে যোগদান করেছেন জোবায়ের হাবিব। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তার নতুন কমর্মস্থলে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
নলছিটিতে যোগদানের আগে তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিব (সিনিয়র সহকারী সচিব) হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। নবাগত এই কর্মকর্তাকে বরণ করে নিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বর্ণাঢ্য আয়োজন করা হয়। তার যোগদান উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আবু মোঃ ইফাদ ইশতিয়াক,কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অহিদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ভূমি রিজভী আহমেদ সবুজ,উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার ওবায়দুল ইসলাম নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ।
তারা নবাগত ইউএনওকে স্বাগত জানান এবং তার কার্যকালে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহমেদসহ চারজনের নামে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বর্তমানে ডা. শামীম খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে কর্মরত আছেন।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুদক পিরোজপুর কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক পার্থ চন্দ্র পাল বাদী হয়ে এই মামলা করেন। তার বিরুদ্ধে দরপত্রে অনিয়ম ও প্রতারণার মাধ্যমে ২ কোটি ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকার ঠিকাদারি কাজ একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন, বরিশাল কাটপট্রি রোডের ঠিকাদার শিপ্রা রানী পিপলাই, তার ছেলে সোহাগ কৃষ্ণ পিপলাই ও স্বামী সত্য কৃষ্ণ পিপলাই।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে এমএসআর সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ৫ কোটি টাকার এপিপি অনুমোদন করা হয়। এপিপি অনুমোদনের পর গজ, ব্যান্ডেজ, তুলা, ওষুধ, কেমিক্যাল, আসবাবপত্র ও কিচেন সামগ্রী ক্রয়ের জন্য সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহমেদ ২ কোটি ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকার দরপত্র আহ্বান করেন। ৬টি গ্রুপের দরপত্রে প্রতিগ্রুপে ৫টি করে দরপত্র বিক্রি দেখানো হয়।
এই আহ্বানের প্রেক্ষিতে মেসার্স আহসান ব্রাদার্স, পিপলাই এন্টারপ্রাইজ, বাপ্পী ইন্টারন্যাশনাল ও শহিদুল ইসলাম এই চারটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। ডা. শামীমের নেতৃত্বে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি তিনটি প্রতিষ্ঠা মেসার্স আহসান ব্রাদার্স, পিপলাই এন্টারপ্রাইজ ও বাপ্পী ইন্টারন্যাশনালকে উপযুক্ত বিবেচনা করে কার্যাদেশ প্রদান করে। অথচ এই তিনটি প্রতিষ্ঠান আসামি সোহাগ কৃষ্ণ পিপলাই একাই পরিচালনা করেন। মেসার্স আহসান ব্রাদার্স প্রোপাইটর দেখানো হয় সোহাগের বাবা সত্য কৃষ্ণ পিপলাইকে, বাপ্পী ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর সোহাগের মা শিপ্রা রানী পিপলাইকে এবং পিপলাই এন্টারপ্রাইজের মালিক সোহাগ পিপলাই নিজে। প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা ৮৩৭/৮৩৮ উত্তর কাটপট্রি বরিশাল সদর।
মামলার বাদী দুদক পিরোজপুরের উপসহকারী পরিচালক পার্থ চন্দ্র পাল বলেন, আসামি ডা. শামীম নিজে এবং অপর আসামিদের লাভবান করার জন্য পরস্পর যোগসাজশে দাখিলি দরপত্রে আইটেমভিত্তিক প্রায় কাছাকাছি সাজানো প্রতিযোগিতা দেখিয়েছেন, যা পিপিআর বিধিমালা ২০০৮ এর ১২৭ (৩) (খ) অনুযায়ী চক্রান্তমূলক কার্য এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
তিনি বলেন, মামলা রেকর্ডের পর কাগজপত্র ঢাকা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। কমিশন থেকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের পর আসামিদের গ্রেফতারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডা. শামীম আহমেদ বলেন, সাজানো এবং বানানো অভিযোগে আমার নামে মামলা করা হয়েছে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহমেদসহ চারজনের নামে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বর্তমানে ডা. শামীম খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে কর্মরত আছেন।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুদক পিরোজপুর কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক পার্থ চন্দ্র পাল বাদী হয়ে এই মামলা করেন। তার বিরুদ্ধে দরপত্রে অনিয়ম ও প্রতারণার মাধ্যমে ২ কোটি ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকার ঠিকাদারি কাজ একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন, বরিশাল কাটপট্রি রোডের ঠিকাদার শিপ্রা রানী পিপলাই, তার ছেলে সোহাগ কৃষ্ণ পিপলাই ও স্বামী সত্য কৃষ্ণ পিপলাই।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে এমএসআর সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ৫ কোটি টাকার এপিপি অনুমোদন করা হয়। এপিপি অনুমোদনের পর গজ, ব্যান্ডেজ, তুলা, ওষুধ, কেমিক্যাল, আসবাবপত্র ও কিচেন সামগ্রী ক্রয়ের জন্য সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহমেদ ২ কোটি ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকার দরপত্র আহ্বান করেন। ৬টি গ্রুপের দরপত্রে প্রতিগ্রুপে ৫টি করে দরপত্র বিক্রি দেখানো হয়।
এই আহ্বানের প্রেক্ষিতে মেসার্স আহসান ব্রাদার্স, পিপলাই এন্টারপ্রাইজ, বাপ্পী ইন্টারন্যাশনাল ও শহিদুল ইসলাম এই চারটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। ডা. শামীমের নেতৃত্বে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি তিনটি প্রতিষ্ঠা মেসার্স আহসান ব্রাদার্স, পিপলাই এন্টারপ্রাইজ ও বাপ্পী ইন্টারন্যাশনালকে উপযুক্ত বিবেচনা করে কার্যাদেশ প্রদান করে। অথচ এই তিনটি প্রতিষ্ঠান আসামি সোহাগ কৃষ্ণ পিপলাই একাই পরিচালনা করেন। মেসার্স আহসান ব্রাদার্স প্রোপাইটর দেখানো হয় সোহাগের বাবা সত্য কৃষ্ণ পিপলাইকে, বাপ্পী ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর সোহাগের মা শিপ্রা রানী পিপলাইকে এবং পিপলাই এন্টারপ্রাইজের মালিক সোহাগ পিপলাই নিজে। প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা ৮৩৭/৮৩৮ উত্তর কাটপট্রি বরিশাল সদর।
মামলার বাদী দুদক পিরোজপুরের উপসহকারী পরিচালক পার্থ চন্দ্র পাল বলেন, আসামি ডা. শামীম নিজে এবং অপর আসামিদের লাভবান করার জন্য পরস্পর যোগসাজশে দাখিলি দরপত্রে আইটেমভিত্তিক প্রায় কাছাকাছি সাজানো প্রতিযোগিতা দেখিয়েছেন, যা পিপিআর বিধিমালা ২০০৮ এর ১২৭ (৩) (খ) অনুযায়ী চক্রান্তমূলক কার্য এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
তিনি বলেন, মামলা রেকর্ডের পর কাগজপত্র ঢাকা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। কমিশন থেকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের পর আসামিদের গ্রেফতারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডা. শামীম আহমেদ বলেন, সাজানো এবং বানানো অভিযোগে আমার নামে মামলা করা হয়েছে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০১:০৪
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:২৫
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:২৮
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:৪৮