১০ অক্টোবর, ২০২৫ ১৪:৪৮
বহু কাঙ্খিত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস জাতিসংঘের সদ্য সমাপ্ত অধিবেশনে তার ভাষণে ফেব্রুয়ারীর প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ফলে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন পেতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। নির্বাচনের এই আবহে বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আগাম গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ করে নিজেদের প্রার্থীতার জানান দিচ্ছেন।
এবারের বহু কাঙ্খিত নির্বাচনে এ আসনে বিএনপি থেকে অর্ধ ডজনেরও বেশী মনোনয়ন প্রত্যাশী। এসব নেতারা এরইমধ্যে নির্বাচনী এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগ ও মতবিনিময়সহ বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করছেন।
সদ্য অনুষ্ঠিত সনাতন ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজায় দুই উপজেলায় মন্দির-মন্ডপগুলো পরিদর্শন করে ভক্ত-পূজারীদের সঙ্গ কুশল,শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করে বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা কৌশলে নির্বাচনী ওয়ার্মআপ সেরে নিয়েছেন। তাদের রঙ-বেরঙের বাহারী ব্যানার, বিলবোর্ড ও ফেষ্টুনে গোটা নির্বাচনী এলাকা ছেয়ে গেছে।
বিএনপি ছাড়াও জামায়াত ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থীরাও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। জেলার গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে দলের মনোনয়নে ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে লড়তে চান বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য অদম্য মেধাবী সাবেক তুখোর ছাত্রনেতা মোঃ দুলাল হোসেন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে ধারণ ও লালন করে দলের সন্মুখ সারির একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা হিসেবে কেন্দ্র থেকে তৃনমুল পর্যন্ত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
উজিরপুরের ওটরার কৃতি সন্তান দুলাল হোসেনের রাজনীতিতে হাতেখড়ি স্কুল জীবনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মাধ্যমে ।ঢাকা কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ১৯৮৯-৯০ সালে তিনি স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী গনঅভূত্থানে ছাত্রদলের ব্যানারে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। পরে তিনি প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিব হল শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম আহবায়ক হন।
পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম আহবায়ক হন তিনি। সাংগঠনিক দক্ষতা ও যোগ্যতায় পরে তিনি বিভিন্ন মেয়াদে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য, প্রচার সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতির পদ অলঙ্কৃত করেন। দীর্ঘ ২১ বছর ছাত্রদলের বিভিন্ন পদে সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালণ শেষে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য হয়ে কেন্দ্র থেকে তৃনমূল পর্যন্ত দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন।
দীর্ঘ সময়ে রাজনীতির কন্টকাকীর্ণ পিচ্ছিল পথে তাকে নানা প্রতিবন্ধকতাকে মোকাবেলা করতে হয়েছে। তবু তিনি বিচলিত কিংবা দমে যাননি বরং নবউদ্যমে এগিয়ে গেছেন সন্মুখপানে,। সামনের সারিতে থেকে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তাকে একাধিক মিথ্যা মামলা-হামলাসহ নানা ভাবে নির্যাতন ও হয়রাণির শিকার হতে হয়েছে। প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অদম্য মেধাবী তরুণ এ নেতা একজন কর্মীবান্ধব ত্যাগী, নির্যাতিত, পরীক্ষিত ও ক্লীণ ইমেজের ব্যক্তিত্ব হিসেবে সর্বমহলে সমাদৃত।
। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি।
এ প্রসঙ্গে জিয়া অন্তঃপ্রাণ নেতা দুলাল হোসেন বলেন, আমার ঐকান্তিক বিশ্বাস এবার দল আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ত্যাগ-তিতিক্ষা ও অবদানের যথার্থ মুল্যায়ন করবে।
আমি দলীয় মনোনয়ন পেলে নির্বাচনী এলাকার আপামর জনতার অকুন্ঠ সমর্থনে বিজয় অর্জন করে আসনটিকে পুনরুদ্ধার করে দলকে উপহার দেবো এবং বানারীপাড়া ও উজিরপুর উপজেলাকে বৈষম্যহীন আলোকিত মডেল উপজেলায় রূপান্তর করবো।
বহু কাঙ্খিত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস জাতিসংঘের সদ্য সমাপ্ত অধিবেশনে তার ভাষণে ফেব্রুয়ারীর প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ফলে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন পেতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। নির্বাচনের এই আবহে বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আগাম গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ করে নিজেদের প্রার্থীতার জানান দিচ্ছেন।
এবারের বহু কাঙ্খিত নির্বাচনে এ আসনে বিএনপি থেকে অর্ধ ডজনেরও বেশী মনোনয়ন প্রত্যাশী। এসব নেতারা এরইমধ্যে নির্বাচনী এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগ ও মতবিনিময়সহ বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করছেন।
সদ্য অনুষ্ঠিত সনাতন ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজায় দুই উপজেলায় মন্দির-মন্ডপগুলো পরিদর্শন করে ভক্ত-পূজারীদের সঙ্গ কুশল,শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করে বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা কৌশলে নির্বাচনী ওয়ার্মআপ সেরে নিয়েছেন। তাদের রঙ-বেরঙের বাহারী ব্যানার, বিলবোর্ড ও ফেষ্টুনে গোটা নির্বাচনী এলাকা ছেয়ে গেছে।
বিএনপি ছাড়াও জামায়াত ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থীরাও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। জেলার গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে দলের মনোনয়নে ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে লড়তে চান বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য অদম্য মেধাবী সাবেক তুখোর ছাত্রনেতা মোঃ দুলাল হোসেন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে ধারণ ও লালন করে দলের সন্মুখ সারির একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা হিসেবে কেন্দ্র থেকে তৃনমুল পর্যন্ত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
উজিরপুরের ওটরার কৃতি সন্তান দুলাল হোসেনের রাজনীতিতে হাতেখড়ি স্কুল জীবনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মাধ্যমে ।ঢাকা কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ১৯৮৯-৯০ সালে তিনি স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী গনঅভূত্থানে ছাত্রদলের ব্যানারে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। পরে তিনি প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিব হল শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম আহবায়ক হন।
পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম আহবায়ক হন তিনি। সাংগঠনিক দক্ষতা ও যোগ্যতায় পরে তিনি বিভিন্ন মেয়াদে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য, প্রচার সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতির পদ অলঙ্কৃত করেন। দীর্ঘ ২১ বছর ছাত্রদলের বিভিন্ন পদে সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালণ শেষে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য হয়ে কেন্দ্র থেকে তৃনমূল পর্যন্ত দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন।
দীর্ঘ সময়ে রাজনীতির কন্টকাকীর্ণ পিচ্ছিল পথে তাকে নানা প্রতিবন্ধকতাকে মোকাবেলা করতে হয়েছে। তবু তিনি বিচলিত কিংবা দমে যাননি বরং নবউদ্যমে এগিয়ে গেছেন সন্মুখপানে,। সামনের সারিতে থেকে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তাকে একাধিক মিথ্যা মামলা-হামলাসহ নানা ভাবে নির্যাতন ও হয়রাণির শিকার হতে হয়েছে। প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অদম্য মেধাবী তরুণ এ নেতা একজন কর্মীবান্ধব ত্যাগী, নির্যাতিত, পরীক্ষিত ও ক্লীণ ইমেজের ব্যক্তিত্ব হিসেবে সর্বমহলে সমাদৃত।
। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি।
এ প্রসঙ্গে জিয়া অন্তঃপ্রাণ নেতা দুলাল হোসেন বলেন, আমার ঐকান্তিক বিশ্বাস এবার দল আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ত্যাগ-তিতিক্ষা ও অবদানের যথার্থ মুল্যায়ন করবে।
আমি দলীয় মনোনয়ন পেলে নির্বাচনী এলাকার আপামর জনতার অকুন্ঠ সমর্থনে বিজয় অর্জন করে আসনটিকে পুনরুদ্ধার করে দলকে উপহার দেবো এবং বানারীপাড়া ও উজিরপুর উপজেলাকে বৈষম্যহীন আলোকিত মডেল উপজেলায় রূপান্তর করবো।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:৪১
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সুলতান খান (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল। মৃত সুলতান খান পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার বাসিন্দা।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১২৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরগুনা হাসপাতালে ৫৪ জন, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন, বরিশাল জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ জন, পটুয়াখালীতে ২৯ জন, ভোলায় ৫ জন, পিরোজপুরে ১৭ জন ও ঝালকাঠিতে ২ জন। বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিভাগের দুই মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৫ হাজার ৮৯২ রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ হাজার ৪১৬ জন।
এছাড়া চলতি বছর গোটা বিভাগে ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ জন, বরগুনায় ১৪ ও পটুয়াখালীকে ১ জন।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সুলতান খান (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল। মৃত সুলতান খান পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার বাসিন্দা।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১২৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরগুনা হাসপাতালে ৫৪ জন, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন, বরিশাল জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ জন, পটুয়াখালীতে ২৯ জন, ভোলায় ৫ জন, পিরোজপুরে ১৭ জন ও ঝালকাঠিতে ২ জন। বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিভাগের দুই মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৫ হাজার ৮৯২ রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ হাজার ৪১৬ জন।
এছাড়া চলতি বছর গোটা বিভাগে ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ জন, বরগুনায় ১৪ ও পটুয়াখালীকে ১ জন।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:০২
বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় ১১ জেলেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) হিজলার মেঘনা নদীতে কোস্ট গার্ড সদস্যদের সহযোগিতায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম জানান, অভিযানে আটক ১১ জনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইলিয়াস সিকদার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচজনকে আট দিন করে কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া বাকিদের মধ্যে একজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও চারজনকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বয়স কম থাকায় এক কিশোরকে মুচলেকার মাধ্যমে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় ১১ জেলেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) হিজলার মেঘনা নদীতে কোস্ট গার্ড সদস্যদের সহযোগিতায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম জানান, অভিযানে আটক ১১ জনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইলিয়াস সিকদার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচজনকে আট দিন করে কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া বাকিদের মধ্যে একজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও চারজনকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বয়স কম থাকায় এক কিশোরকে মুচলেকার মাধ্যমে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:২২
বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ সেই ৩৪টি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের তিনতলা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে এই ভবনসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বসবাসরতদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে সিটি প্রশাসন ঘোষণা করে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে ভবনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেপরে এনিয়ে দৈনির রূপালী বাংলাদেশসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়।
সূত্র জানায়, কীর্তনখোলার তীরের শহর বরিশালের ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসি। ২০১৩ সালের জরিপে এসব ভবনকে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ভবনের বেশিরভাগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বেশ কয়েকবার ভাঙার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। এবং ভবনগুলো যে আইনগতভাবে ভাঙতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা এড়াতে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপরতা দেখায়নি বা নিশ্চুপ হয়ে যায়।
জানা গেছে, সদর রোডসংলগ্ন বহুতল ভবন দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল অবৈধভাকে দখল করে রেখেছিলেন। এই কাজী কামলা বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শ্যালক। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বরিশালে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন। সদর রোডে ভবন দুটির নিচের দোকান দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিজে দখল করে রাখেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে আছেন।
একটি ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তাঁর চাচা উলফাত হাজি এবং শুককুর হাজি ১৯৬০ সালে একটি ভবন ও ৩০ বছর আগে আরেকটি ভবন সদর রোডে নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে একটি পাকা ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং পাশের ভবন ঘেঁষে হেলে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু প্রভাবশালী ভাড়াটেরা জোর করে দখলে রাখায় ওই সময় ভাঙার ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে ভবন ভাঙার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেন নজরুল ইসলাম। তারপর ভবনটি শুক্রবার সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উলফাত এবং শাকুর ম্যানশন নামের ওই দুটি ভবন ইতিপূর্বে ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটেরা আদালতে গেছেন। আমরা কোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় পেয়েছি। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে সেখানে নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও ভাড়াটেরা দখল ছাড়েননি। শুক্রবার সকালে তাদের চূড়ান্তভাবে চলে যাওয়ার নোটিস দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু হয়। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা সম্ভব।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোড কাজি অফিসের পেছনে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডে মহিলা কলেজসংলগ্ন মনু মিয়ার ভবন এবং সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবনসহ ৩৪টি ভবনই পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অনুমোদনহীন এমন কিছু ভবনও রয়েছে।’
বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ সেই ৩৪টি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের তিনতলা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে এই ভবনসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বসবাসরতদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে সিটি প্রশাসন ঘোষণা করে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে ভবনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেপরে এনিয়ে দৈনির রূপালী বাংলাদেশসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়।
সূত্র জানায়, কীর্তনখোলার তীরের শহর বরিশালের ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসি। ২০১৩ সালের জরিপে এসব ভবনকে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ভবনের বেশিরভাগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বেশ কয়েকবার ভাঙার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। এবং ভবনগুলো যে আইনগতভাবে ভাঙতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা এড়াতে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপরতা দেখায়নি বা নিশ্চুপ হয়ে যায়।
জানা গেছে, সদর রোডসংলগ্ন বহুতল ভবন দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল অবৈধভাকে দখল করে রেখেছিলেন। এই কাজী কামলা বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শ্যালক। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বরিশালে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন। সদর রোডে ভবন দুটির নিচের দোকান দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিজে দখল করে রাখেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে আছেন।
একটি ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তাঁর চাচা উলফাত হাজি এবং শুককুর হাজি ১৯৬০ সালে একটি ভবন ও ৩০ বছর আগে আরেকটি ভবন সদর রোডে নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে একটি পাকা ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং পাশের ভবন ঘেঁষে হেলে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু প্রভাবশালী ভাড়াটেরা জোর করে দখলে রাখায় ওই সময় ভাঙার ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে ভবন ভাঙার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেন নজরুল ইসলাম। তারপর ভবনটি শুক্রবার সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উলফাত এবং শাকুর ম্যানশন নামের ওই দুটি ভবন ইতিপূর্বে ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটেরা আদালতে গেছেন। আমরা কোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় পেয়েছি। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে সেখানে নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও ভাড়াটেরা দখল ছাড়েননি। শুক্রবার সকালে তাদের চূড়ান্তভাবে চলে যাওয়ার নোটিস দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু হয়। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা সম্ভব।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোড কাজি অফিসের পেছনে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডে মহিলা কলেজসংলগ্ন মনু মিয়ার ভবন এবং সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবনসহ ৩৪টি ভবনই পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অনুমোদনহীন এমন কিছু ভবনও রয়েছে।’
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.