
১৪ জুন, ২০২৫ ২০:৪৬
অবরুদ্ধ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরাইলি বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে অন্তত ৯০ জন নিহত এবং ৬০৫ জন আহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, নিহতের আসল সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ অনেক মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বা এমন এলাকাগুলোতে রয়েছে, যেগুলো অ্যাম্বুলেন্স ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মীদের জন্য এখনো অনিরাপদ।
এদিকে গাজার হাসপাতাল সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, শনিবার ভোর থেকে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১১ জন ছিলেন বেসামরিক নাগরিক, যারা মানবিক সহায়তা নিতে গিয়েছিলেন।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত মোট ৫৫,২৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ১,২৮,৪২৬ জন আহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫,০১৪ জন নিহত এবং ১৬,৩৮৫ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে শনিবারও গাজা উপত্যকার একাধিক স্থানে ইসরাইলের বিমান ও স্থল হামলা সারা দিন ধরে অব্যাহত ছিল। আশঙ্কাজনক হারে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় হাসপাতাল ও মেডিকেল টিমগুলো চরম সংকটে পড়েছে—চিকিৎসা সামগ্রীর ঘাটতি ও সীমিত সুযোগ-সুবিধার কারণে তারা প্রচণ্ড চাপের মুখে রয়েছে।
হামাস এক বিবৃতিতে এসব হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর পরিকল্পিতভাবে ক্ষুধা চাপিয়ে দেওয়া’ ইসরাইলের একটি ‘অভূতপূর্ব বর্বর অপরাধ’। যা আধুনিক যুগে নজিরবিহীন এবং মানবিক মূল্যবোধ, আন্তর্জাতিক সনদ ও আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
হামাসের এই বিবৃতি এমন সময় এসেছে, যখন ইসরাইলি বাহিনী অবরুদ্ধ গাজার বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে যাওয়া বেসামরিক মানুষের ওপর গুলি চালিয়ে অন্তত ১৫ জনকে হত্যা এবং আরও অনেককে আহত করেছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত দুই দিনে ত্রাণ সংগ্রহের সময় ইসরাইলি হামলায় অন্তত ২৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩৮০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। এ নিয়ে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৪ জন। আর আহতের সংখ্যা ২,৫৩২ জনে পৌঁছেছে।
অন্যদিকে, শুক্রবার ভোররাত থেকে ইরানজুড়ে বিমান হামলা চালিয়েছে যুদ্ধবাজ ইসরাইল। এতে ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীসহ অন্তত ১০৪ জন নিহত হন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩৮০ জন।
এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ হামলার জবাবে ইরান একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হানে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, এতে অন্তত ৩ জন নিহত ও ১৭০ জনের বেশি আহত হয়।
ইরানের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ ওয়াহিদি বলেছেন, ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক অভিযানের সময় তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের কমপক্ষে ১৫০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সামরিক ঘাঁটিও রয়েছে। সূত্র: মিডলইস্ট আই
অবরুদ্ধ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরাইলি বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে অন্তত ৯০ জন নিহত এবং ৬০৫ জন আহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, নিহতের আসল সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ অনেক মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বা এমন এলাকাগুলোতে রয়েছে, যেগুলো অ্যাম্বুলেন্স ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মীদের জন্য এখনো অনিরাপদ।
এদিকে গাজার হাসপাতাল সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, শনিবার ভোর থেকে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১১ জন ছিলেন বেসামরিক নাগরিক, যারা মানবিক সহায়তা নিতে গিয়েছিলেন।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত মোট ৫৫,২৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ১,২৮,৪২৬ জন আহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫,০১৪ জন নিহত এবং ১৬,৩৮৫ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে শনিবারও গাজা উপত্যকার একাধিক স্থানে ইসরাইলের বিমান ও স্থল হামলা সারা দিন ধরে অব্যাহত ছিল। আশঙ্কাজনক হারে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় হাসপাতাল ও মেডিকেল টিমগুলো চরম সংকটে পড়েছে—চিকিৎসা সামগ্রীর ঘাটতি ও সীমিত সুযোগ-সুবিধার কারণে তারা প্রচণ্ড চাপের মুখে রয়েছে।
হামাস এক বিবৃতিতে এসব হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর পরিকল্পিতভাবে ক্ষুধা চাপিয়ে দেওয়া’ ইসরাইলের একটি ‘অভূতপূর্ব বর্বর অপরাধ’। যা আধুনিক যুগে নজিরবিহীন এবং মানবিক মূল্যবোধ, আন্তর্জাতিক সনদ ও আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
হামাসের এই বিবৃতি এমন সময় এসেছে, যখন ইসরাইলি বাহিনী অবরুদ্ধ গাজার বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে যাওয়া বেসামরিক মানুষের ওপর গুলি চালিয়ে অন্তত ১৫ জনকে হত্যা এবং আরও অনেককে আহত করেছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত দুই দিনে ত্রাণ সংগ্রহের সময় ইসরাইলি হামলায় অন্তত ২৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩৮০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। এ নিয়ে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৪ জন। আর আহতের সংখ্যা ২,৫৩২ জনে পৌঁছেছে।
অন্যদিকে, শুক্রবার ভোররাত থেকে ইরানজুড়ে বিমান হামলা চালিয়েছে যুদ্ধবাজ ইসরাইল। এতে ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীসহ অন্তত ১০৪ জন নিহত হন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩৮০ জন।
এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ হামলার জবাবে ইরান একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হানে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, এতে অন্তত ৩ জন নিহত ও ১৭০ জনের বেশি আহত হয়।
ইরানের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ ওয়াহিদি বলেছেন, ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক অভিযানের সময় তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের কমপক্ষে ১৫০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সামরিক ঘাঁটিও রয়েছে। সূত্র: মিডলইস্ট আই

০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:২৯
মুর্শিদাবাদে ‘প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদ’-এর জন্য তহবিলে জমা পড়া অর্থ এবার রীতিমতো চমকে দিয়েছে সবাইকে। সাসপেন্ডেড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের দাবি, তাঁর রেজিনগরের বাড়িতে জমা হয়েছে ১১টি ট্রাঙ্ক ভর্তি নগদ টাকা। সেই অর্থ গুনতেই বিশেষভাবে আনা হয়েছে টাকা গোনার মেশিন এবং ৩০ জন কর্মী।
হুমায়ুন কবীর জানান, শুধু QR কোড স্ক্যানের মাধ্যমেই তহবিলে জমা পড়েছে ৯৩ লক্ষ টাকা। শনিবার তিনি মুর্শিদাবাদে ‘বাবরি মসজিদ’-এর শিলান্যাস করেন, আর রবিবার নিজ হাতে ইট নিয়ে হাজির হন নির্মাণস্থলে।
হুমায়ুন কবীর দাবি করেন, শুধু মুর্শিদাবাদই নয় বীরভূম ও মালদা থেকেও ‘বাবরি মসজিদ’ তৈরির প্রস্তাব এসেছে। রামপুরহাট, সিউড়ি এবং মালদার মানুষ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি। এই দুটি জেলায় প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে বলে জানান হুমায়ুন।
রাজনৈতিকভাবে নতুন দিকচিহ্ন এঁকে হুমায়ুন জানালেন, তার নতুন দলের সঙ্গে AIMIM-এর জোট হবে। এছাড়া বামফ্রন্ট, কংগ্রেস ও ISF চাইলে তাদেরও জায়গা আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে AIMIM-এর মুখপাত্র পাল্টা কটাক্ষ করে জানান, হুমায়ুন কবীর নাকি শুভেন্দু অধিকারীর টিমের ‘কোর মেম্বার’।
তৃণমূল তাকে সাসপেন্ড করার পর বৃহস্পতিবারই সভার দিন ঘোষণা করেছিলেন। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। কিন্তু পরের দিন সুর নরম করেন। আর রবিবার চূড়ান্ত ঘোষণা দেন, ইস্তফা দিচ্ছি না। ভোটারদের আপত্তির কারণেই সিদ্ধান্ত বদল করেছি।
এই ইউ-টার্ন ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলও সাসপেন্ডেড বিধায়কের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছে বলে দলীয় সূত্রের খবর।
মুর্শিদাবাদে ‘প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদ’-এর জন্য তহবিলে জমা পড়া অর্থ এবার রীতিমতো চমকে দিয়েছে সবাইকে। সাসপেন্ডেড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের দাবি, তাঁর রেজিনগরের বাড়িতে জমা হয়েছে ১১টি ট্রাঙ্ক ভর্তি নগদ টাকা। সেই অর্থ গুনতেই বিশেষভাবে আনা হয়েছে টাকা গোনার মেশিন এবং ৩০ জন কর্মী।
হুমায়ুন কবীর জানান, শুধু QR কোড স্ক্যানের মাধ্যমেই তহবিলে জমা পড়েছে ৯৩ লক্ষ টাকা। শনিবার তিনি মুর্শিদাবাদে ‘বাবরি মসজিদ’-এর শিলান্যাস করেন, আর রবিবার নিজ হাতে ইট নিয়ে হাজির হন নির্মাণস্থলে।
হুমায়ুন কবীর দাবি করেন, শুধু মুর্শিদাবাদই নয় বীরভূম ও মালদা থেকেও ‘বাবরি মসজিদ’ তৈরির প্রস্তাব এসেছে। রামপুরহাট, সিউড়ি এবং মালদার মানুষ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি। এই দুটি জেলায় প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে বলে জানান হুমায়ুন।
রাজনৈতিকভাবে নতুন দিকচিহ্ন এঁকে হুমায়ুন জানালেন, তার নতুন দলের সঙ্গে AIMIM-এর জোট হবে। এছাড়া বামফ্রন্ট, কংগ্রেস ও ISF চাইলে তাদেরও জায়গা আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে AIMIM-এর মুখপাত্র পাল্টা কটাক্ষ করে জানান, হুমায়ুন কবীর নাকি শুভেন্দু অধিকারীর টিমের ‘কোর মেম্বার’।
তৃণমূল তাকে সাসপেন্ড করার পর বৃহস্পতিবারই সভার দিন ঘোষণা করেছিলেন। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। কিন্তু পরের দিন সুর নরম করেন। আর রবিবার চূড়ান্ত ঘোষণা দেন, ইস্তফা দিচ্ছি না। ভোটারদের আপত্তির কারণেই সিদ্ধান্ত বদল করেছি।
এই ইউ-টার্ন ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলও সাসপেন্ডেড বিধায়কের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছে বলে দলীয় সূত্রের খবর।

০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:০৭
সৌদি আরব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অ-মুসলিম বিদেশি নাগরিকদের জন্য মদ বিক্রির অনুমতি দিয়েছে। এখন থেকে নির্দিষ্ট অ-মুসলিম উচ্চ আয়ের বিদেশিরা রাজধানী রিয়াদের একমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকান থেকে মদ কেনার সুযোগ পাবেন।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, দোকানে প্রবেশের আগে বিদেশি বাসিন্দাদের মাসিক আয় কমপক্ষে ৫০ হাজার সৌদি রিয়াল (প্রায় ১৩,৩০০ ডলার) হতে হবে এবং বেতন সনদ প্রদর্শন করতে হবে।
দশকজুড়ে নানা কঠোর বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও, সাম্প্রতিক সামাজিক ও প্রশাসনিক সংস্কারের অংশ হিসেবে সৌদি সরকার মদ বিক্রির ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে শিথিলতা আনছে।
গত বছর রিয়াদের এই মদের দোকানটি শুধুমাত্র বিদেশি কূটনীতিকদের জন্য চালু করা হয়েছিল। তবে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অ-মুসলিম প্রিমিয়াম রেসিডেন্সি কার্ডধারীরাও এখন কেনাকাটা করতে পারবেন। এই প্রিমিয়াম রেসিডেন্সি (সৌদি গ্রিন কার্ড) সাধারণত দক্ষ পেশাজীবী, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের দেওয়া হয়, যারা পাঁচ বছরে অন্তত ৩০ মাস দেশটিতে বসবাস করেছেন।
সৌদি আরবে দীর্ঘদিনের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, এই সিদ্ধান্ত দেশটির সাম্প্রতিক উদারীকরণ নীতির আরেকটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
সৌদি আরব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অ-মুসলিম বিদেশি নাগরিকদের জন্য মদ বিক্রির অনুমতি দিয়েছে। এখন থেকে নির্দিষ্ট অ-মুসলিম উচ্চ আয়ের বিদেশিরা রাজধানী রিয়াদের একমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকান থেকে মদ কেনার সুযোগ পাবেন।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, দোকানে প্রবেশের আগে বিদেশি বাসিন্দাদের মাসিক আয় কমপক্ষে ৫০ হাজার সৌদি রিয়াল (প্রায় ১৩,৩০০ ডলার) হতে হবে এবং বেতন সনদ প্রদর্শন করতে হবে।
দশকজুড়ে নানা কঠোর বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও, সাম্প্রতিক সামাজিক ও প্রশাসনিক সংস্কারের অংশ হিসেবে সৌদি সরকার মদ বিক্রির ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে শিথিলতা আনছে।
গত বছর রিয়াদের এই মদের দোকানটি শুধুমাত্র বিদেশি কূটনীতিকদের জন্য চালু করা হয়েছিল। তবে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অ-মুসলিম প্রিমিয়াম রেসিডেন্সি কার্ডধারীরাও এখন কেনাকাটা করতে পারবেন। এই প্রিমিয়াম রেসিডেন্সি (সৌদি গ্রিন কার্ড) সাধারণত দক্ষ পেশাজীবী, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের দেওয়া হয়, যারা পাঁচ বছরে অন্তত ৩০ মাস দেশটিতে বসবাস করেছেন।
সৌদি আরবে দীর্ঘদিনের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, এই সিদ্ধান্ত দেশটির সাম্প্রতিক উদারীকরণ নীতির আরেকটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২২:৫০
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির মেয়র জোহরান মামদানি ঘোষণা দিয়েছিলেন, মেয়র হলে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করবেন তিনি। তবে মামদানির এ সতর্কতা সত্ত্বেও নিউইয়র্কে যাবেন বলে জানিয়েছেন নেতানিয়াহু। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই ঘোষণা দেন।
নিউইয়র্ক টাইমসের ডিলবুক ফোরামে ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি নিউইয়র্কে আসব।’ নব নির্বাচিত মেয়র মামদানির সঙ্গে কথা বলতে চান কি না জানতে চাইলে নেতানিয়াহু উত্তর দেন, ‘যদি তিনি (মামদানি) তার মন পরিবর্তন করেন এবং বলেন, আমাদের (ইসরায়েল) অস্তিত্বের অধিকার আছে, তাহলে আলোচনার জন্য এটি একটি ভালো সূচনা হবে।’
মামদানি নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম এবং প্রথম দক্ষিণ এশীয় মেয়র। যিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) যেসব বিশ্বনেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে (যেমন নেতানিয়াহু বা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন), তারা নিউইয়র্কে প্রবেশ করলে গ্রেপ্তার করা হবে।
গত বছর হেগভিত্তিক আইসিসি জানায়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার কারণে নেতানিয়াহু যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ি। এমনটি বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
ইসরায়েল এসব অভিযোগের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া, এই তিন দেশই আইসিসিতে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে মামদানির বক্তব্য সত্ত্বেও নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তার কার্যত অসম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে এবং এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে একজন নির্বাচিত মেয়রের কতটুকু ক্ষমতা রয়েছে, তা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে।
ফেডারেল সরকারই যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করে।
আর সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইসরায়েলের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। এমনকি আইসিসির বিচারক ও প্রসিকিউটরদের ওপর নিষেধাজ্ঞা পর্যন্ত আরোপ করেছিল ট্রাম্প।
নিউইয়র্ক শহর ইসরায়েলের বাইরে বিশ্বের সর্বাধিক ইহুদি জনসংখ্যার আবাসস্থল। পাশাপাশি এখানে জাতিসংঘের সদর দপ্তরও অবস্থিত, যেখানে নেতানিয়াহু প্রতিবছর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে অংশ নেন।
চুক্তি অনুযায়ী, আয়োজক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতিসংঘের সরকারি কার্যক্রমের জন্য ভিসা প্রদান করা বাধ্যতামূলক। যদিও গত সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাসকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির মেয়র জোহরান মামদানি ঘোষণা দিয়েছিলেন, মেয়র হলে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করবেন তিনি। তবে মামদানির এ সতর্কতা সত্ত্বেও নিউইয়র্কে যাবেন বলে জানিয়েছেন নেতানিয়াহু। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই ঘোষণা দেন।
নিউইয়র্ক টাইমসের ডিলবুক ফোরামে ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি নিউইয়র্কে আসব।’ নব নির্বাচিত মেয়র মামদানির সঙ্গে কথা বলতে চান কি না জানতে চাইলে নেতানিয়াহু উত্তর দেন, ‘যদি তিনি (মামদানি) তার মন পরিবর্তন করেন এবং বলেন, আমাদের (ইসরায়েল) অস্তিত্বের অধিকার আছে, তাহলে আলোচনার জন্য এটি একটি ভালো সূচনা হবে।’
মামদানি নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম এবং প্রথম দক্ষিণ এশীয় মেয়র। যিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) যেসব বিশ্বনেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে (যেমন নেতানিয়াহু বা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন), তারা নিউইয়র্কে প্রবেশ করলে গ্রেপ্তার করা হবে।
গত বছর হেগভিত্তিক আইসিসি জানায়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার কারণে নেতানিয়াহু যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ি। এমনটি বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
ইসরায়েল এসব অভিযোগের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া, এই তিন দেশই আইসিসিতে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে মামদানির বক্তব্য সত্ত্বেও নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তার কার্যত অসম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে এবং এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে একজন নির্বাচিত মেয়রের কতটুকু ক্ষমতা রয়েছে, তা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে।
ফেডারেল সরকারই যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করে।
আর সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইসরায়েলের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। এমনকি আইসিসির বিচারক ও প্রসিকিউটরদের ওপর নিষেধাজ্ঞা পর্যন্ত আরোপ করেছিল ট্রাম্প।
নিউইয়র্ক শহর ইসরায়েলের বাইরে বিশ্বের সর্বাধিক ইহুদি জনসংখ্যার আবাসস্থল। পাশাপাশি এখানে জাতিসংঘের সদর দপ্তরও অবস্থিত, যেখানে নেতানিয়াহু প্রতিবছর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে অংশ নেন।
চুক্তি অনুযায়ী, আয়োজক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতিসংঘের সরকারি কার্যক্রমের জন্য ভিসা প্রদান করা বাধ্যতামূলক। যদিও গত সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাসকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.