
০২ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:২১
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সারাদেশে বিভিন্ন ক্যানসার রোগের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ফ্যাটি লিভারজনিত ও স্তন ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগ এখন দেশের মানুষের প্রাণহানির বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, অথচ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রতিরোধ সম্ভব।
শনিবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সিঙ্গাপুরের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর তো হান চংয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ক্যানসার সেন্টারের সিনিয়র কনসালট্যান্ট প্রফেসর তো হান চং, সিংহেলথ ডিউকুএনইউএস গ্লোবাল হেলথ ইনস্টিটিউটের ডেপুটি ডিরেক্টর বিজয়া রাও এবং সিংহেলথ ও এডিনবারা ন্যাপিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ার ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ কালউইন্ডার কউর।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বর্তমানে অ-সংক্রামক রোগ যেমন ক্যানসার, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ মৃত্যুর প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে। তার মতে, এসব রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল এবং সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে, তাই প্রতিরোধই সবচেয়ে কার্যকর পথ।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘এই রোগগুলো সম্পর্কে সারা দেশে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। ক্যানসার বা হৃদরোগের চিকিৎসা অনেক সময় নাগালের বাইরে চলে যায়। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সহজ ও সাশ্রয়ী করতে হবে, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের জন্য।’
বৈঠকে প্রফেসর তো হান চং বলেন, ফ্যাটি লিভার এখন দক্ষিণ এশিয়ার শত কোটি মানুষের শরীরে নীরবে বাসা বাঁধছে, যা ভবিষ্যতে লিভার ক্যানসাসহ নানা জটিল রোগের কারণ হতে পারে। ‘এই রোগ নিয়ে আরও বড় পরিসরে সচেতনতা জরুরি’ বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা নারীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে স্তন ক্যানসার শনাক্তকরণ কর্মসূচি আরও বিস্তৃত করার ওপর জোর দেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে চিকিৎসা খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান, বিশেষ করে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে।
প্রফেসর তো হান চং চলতি সপ্তাহে সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বাংলাদেশি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন উল্লেখ করে আশা প্রকাশ করেন, এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি প্রতিবছর নিয়মিতভাবে চলবে।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সারাদেশে বিভিন্ন ক্যানসার রোগের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ফ্যাটি লিভারজনিত ও স্তন ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগ এখন দেশের মানুষের প্রাণহানির বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, অথচ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রতিরোধ সম্ভব।
শনিবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সিঙ্গাপুরের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর তো হান চংয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ক্যানসার সেন্টারের সিনিয়র কনসালট্যান্ট প্রফেসর তো হান চং, সিংহেলথ ডিউকুএনইউএস গ্লোবাল হেলথ ইনস্টিটিউটের ডেপুটি ডিরেক্টর বিজয়া রাও এবং সিংহেলথ ও এডিনবারা ন্যাপিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ার ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ কালউইন্ডার কউর।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বর্তমানে অ-সংক্রামক রোগ যেমন ক্যানসার, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ মৃত্যুর প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে। তার মতে, এসব রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল এবং সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে, তাই প্রতিরোধই সবচেয়ে কার্যকর পথ।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘এই রোগগুলো সম্পর্কে সারা দেশে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। ক্যানসার বা হৃদরোগের চিকিৎসা অনেক সময় নাগালের বাইরে চলে যায়। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সহজ ও সাশ্রয়ী করতে হবে, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের জন্য।’
বৈঠকে প্রফেসর তো হান চং বলেন, ফ্যাটি লিভার এখন দক্ষিণ এশিয়ার শত কোটি মানুষের শরীরে নীরবে বাসা বাঁধছে, যা ভবিষ্যতে লিভার ক্যানসাসহ নানা জটিল রোগের কারণ হতে পারে। ‘এই রোগ নিয়ে আরও বড় পরিসরে সচেতনতা জরুরি’ বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা নারীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে স্তন ক্যানসার শনাক্তকরণ কর্মসূচি আরও বিস্তৃত করার ওপর জোর দেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে চিকিৎসা খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান, বিশেষ করে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে।
প্রফেসর তো হান চং চলতি সপ্তাহে সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বাংলাদেশি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন উল্লেখ করে আশা প্রকাশ করেন, এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি প্রতিবছর নিয়মিতভাবে চলবে।
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৬
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৮
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৫২
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৫

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৮
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও লক্ষ্মীপুর-২ (সদর) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, দেশে একটা নির্বাচন হবে। পক্ষে-বিপক্ষে তো থাকতেই হবে। সেটা রাজনৈতিক দলের আদর্শভিত্তিক থাকে। যার যার আদর্শকে ধারণ করে যদি কথা বলি, কোনো আদর্শের মধ্যে ‘নো হাংকি পাংকি’ থাকতে পারে, এটা আমি মনে করি না। যে ভাষায় আমরা চলি, সেই ভাষা আমরা তুলে ধরি, সেই ভাষায় আমরা কথা বলি।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা শ্রমিক দলের নতুন কমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহরের গোডাউন রোড এলাকার বশির ভিলা হলরুমে এ আয়োজন করা হয়।
জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে এ্যানি বলেন, একজন ইসলামী দলের বক্তা গতকাল যে বক্তব্য রেখেছেন, সেটা জনগণ পছন্দ করেনি। একটা দলের নায়েবে আমির, দায়িত্বশীল লোক, কিভাবে বলে ‘নো হাংকি পাংকি’। এটা কি রাজনৈতিক ভাষা হলো। এটা সাধারণ মানুষের গ্রহণযোগ্যতা পায়? রাজনৈতিক নেতা যদি এ ধরনের কথা বলেন, সাধারণ মানুষের উপহাস ও অবজ্ঞা করা ছাড়া আমি মনে করি আর কিছু থাকে না।
তিনি বলেন, রাজনীতি অভিজ্ঞতার ব্যাপার। মনে করেছিলাম তিনি যে দায়িত্বে আছেন, এক সময় ছাত্র রাজনীতি করেছেন, ডাক্তার, সেইভাবেই কথা বলবেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত পাইনি।
এ্যানি বলেন, আমরা সাধারণ মানুষের পালস বুঝি, গ্রামে যাই, ঘরে ঘরে যাই, গ্রামে গ্রামে গিয়েছি, যাচ্ছি। বিএনপি সাধারণ মানুষের দল, গণমানুষের দল, প্রেসিডেন্ট জিয়ার দল, সহজ স্বাভাবিক রাজনীতি, কঠিন কিছু না। আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ছাত্র রাজনীতি করেছি। আমরাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। রাজনীতি শিখিয়েছি, শিখেছি। রাজনীতি গ্রামের মানুষের সঙ্গে কিভাবে করতে হয় কম-বেশি আমাদের জানা আছে; কিন্তু গতকালকে জামায়াতে ইসলামীর এই ভয়েস আমাদের ভালো লাগেনি, পছন্দ হয়নি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রত্যেক ঘরে ঘরে মা-বোনদের কাছে যাবেন, সালাম দিবেন। বেগম খালেদা জিয়ার সালাম দিবেন, তারেক রহমানের সালাম দিবেন, ধানের শীষের সালাম দিবেন, আমার সালাম দিবেন। বিএনপি আমরা যারা করি, যারা আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছেন, লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন, সবার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও সম্মান আছে।
জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম শাহীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান, বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী, বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমান, নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি আবুল হাশেম, বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সভাপতি আব্দুল আলীম হুমায়ুন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন ও জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুন প্রমুখ।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও লক্ষ্মীপুর-২ (সদর) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, দেশে একটা নির্বাচন হবে। পক্ষে-বিপক্ষে তো থাকতেই হবে। সেটা রাজনৈতিক দলের আদর্শভিত্তিক থাকে। যার যার আদর্শকে ধারণ করে যদি কথা বলি, কোনো আদর্শের মধ্যে ‘নো হাংকি পাংকি’ থাকতে পারে, এটা আমি মনে করি না। যে ভাষায় আমরা চলি, সেই ভাষা আমরা তুলে ধরি, সেই ভাষায় আমরা কথা বলি।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা শ্রমিক দলের নতুন কমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহরের গোডাউন রোড এলাকার বশির ভিলা হলরুমে এ আয়োজন করা হয়।
জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে এ্যানি বলেন, একজন ইসলামী দলের বক্তা গতকাল যে বক্তব্য রেখেছেন, সেটা জনগণ পছন্দ করেনি। একটা দলের নায়েবে আমির, দায়িত্বশীল লোক, কিভাবে বলে ‘নো হাংকি পাংকি’। এটা কি রাজনৈতিক ভাষা হলো। এটা সাধারণ মানুষের গ্রহণযোগ্যতা পায়? রাজনৈতিক নেতা যদি এ ধরনের কথা বলেন, সাধারণ মানুষের উপহাস ও অবজ্ঞা করা ছাড়া আমি মনে করি আর কিছু থাকে না।
তিনি বলেন, রাজনীতি অভিজ্ঞতার ব্যাপার। মনে করেছিলাম তিনি যে দায়িত্বে আছেন, এক সময় ছাত্র রাজনীতি করেছেন, ডাক্তার, সেইভাবেই কথা বলবেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত পাইনি।
এ্যানি বলেন, আমরা সাধারণ মানুষের পালস বুঝি, গ্রামে যাই, ঘরে ঘরে যাই, গ্রামে গ্রামে গিয়েছি, যাচ্ছি। বিএনপি সাধারণ মানুষের দল, গণমানুষের দল, প্রেসিডেন্ট জিয়ার দল, সহজ স্বাভাবিক রাজনীতি, কঠিন কিছু না। আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ছাত্র রাজনীতি করেছি। আমরাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। রাজনীতি শিখিয়েছি, শিখেছি। রাজনীতি গ্রামের মানুষের সঙ্গে কিভাবে করতে হয় কম-বেশি আমাদের জানা আছে; কিন্তু গতকালকে জামায়াতে ইসলামীর এই ভয়েস আমাদের ভালো লাগেনি, পছন্দ হয়নি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রত্যেক ঘরে ঘরে মা-বোনদের কাছে যাবেন, সালাম দিবেন। বেগম খালেদা জিয়ার সালাম দিবেন, তারেক রহমানের সালাম দিবেন, ধানের শীষের সালাম দিবেন, আমার সালাম দিবেন। বিএনপি আমরা যারা করি, যারা আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছেন, লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন, সবার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও সম্মান আছে।
জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম শাহীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান, বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী, বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমান, নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি আবুল হাশেম, বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সভাপতি আব্দুল আলীম হুমায়ুন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন ও জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুন প্রমুখ।

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৫:২৩
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজে লাগা আগুনের ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালনকালে মোবাইল (বাটন) ফোন লুকিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় এক আনসার সদস্যকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে ওই আনসার সদস্য নাইট শিফটে দায়িত্ব পালনের সময় এ ঘটনা ঘটে। বহিষ্কৃত আনসার সদস্যের নাম জেনারুল ইসলাম।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-পরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ওই দিন রাত সাড়ে ১০টা থেকে সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত নাইট শিফটে দায়িত্ব পালন করছিলেন জেনারুল ইসলাম। দায়িত্বে থাকাকালীন লোভের বশবর্তী হয়ে পোড়া ভবনের ভেতর ভস্মীভূত দ্রব্যের মাঝে থাকা কিছু বাটন ফোন লুকিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় ঘটনাস্থলেই ধরা পড়েন অভিযুক্ত আনসার সদস্য।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে জেনারুল ইসলামকে তাৎক্ষণিকভাবে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর দ্রুততম সময়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে বাহিনী একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এতে দীর্ঘদিনের কিছু অনৈতিক চর্চার প্রবণতা হ্রাস পেলেও সম্পূর্ণ নির্মূলের জন্য বাহিনীতে এরইমধ্যে মনস্তাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা আরও জোরদার করা হয়েছে।
আনসার বাহিনীর এ কর্মকর্তা আরও জানান, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অল্প বেতনে দায়িত্ব পালনকারী আনসার সদস্যদের জীবিকার মৌলিক চাহিদা পূরণও অনেক সময় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য বাহিনী প্রধান এরইমধ্যে পে কমিশন চেয়ারম্যানের কাছে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের যৌক্তিক বেতন বৃদ্ধির আবেদন করেছেন, যেন তাদের নৈতিক ও প্রেষণামূলক অবস্থান আরও দৃঢ় হয়।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কেপিআই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে দক্ষতা, সততা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে। কোনো সদস্যের ব্যক্তিগত অনিয়ম বা শৃঙ্খলাভঙ্গমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে পুরো বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না হয়- সে বিষয়ে বাহিনী সর্বদা কঠোর ও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও সদস্যদের সার্বিক কল্যাণধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে বাহিনীর সদস্যদের সম্পৃক্ততা ভবিষ্যতে জিরো টলারেন্স নীতির আওতায় আরও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজে লাগা আগুনের ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালনকালে মোবাইল (বাটন) ফোন লুকিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় এক আনসার সদস্যকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে ওই আনসার সদস্য নাইট শিফটে দায়িত্ব পালনের সময় এ ঘটনা ঘটে। বহিষ্কৃত আনসার সদস্যের নাম জেনারুল ইসলাম।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-পরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ওই দিন রাত সাড়ে ১০টা থেকে সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত নাইট শিফটে দায়িত্ব পালন করছিলেন জেনারুল ইসলাম। দায়িত্বে থাকাকালীন লোভের বশবর্তী হয়ে পোড়া ভবনের ভেতর ভস্মীভূত দ্রব্যের মাঝে থাকা কিছু বাটন ফোন লুকিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় ঘটনাস্থলেই ধরা পড়েন অভিযুক্ত আনসার সদস্য।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে জেনারুল ইসলামকে তাৎক্ষণিকভাবে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর দ্রুততম সময়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে বাহিনী একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এতে দীর্ঘদিনের কিছু অনৈতিক চর্চার প্রবণতা হ্রাস পেলেও সম্পূর্ণ নির্মূলের জন্য বাহিনীতে এরইমধ্যে মনস্তাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা আরও জোরদার করা হয়েছে।
আনসার বাহিনীর এ কর্মকর্তা আরও জানান, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অল্প বেতনে দায়িত্ব পালনকারী আনসার সদস্যদের জীবিকার মৌলিক চাহিদা পূরণও অনেক সময় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য বাহিনী প্রধান এরইমধ্যে পে কমিশন চেয়ারম্যানের কাছে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের যৌক্তিক বেতন বৃদ্ধির আবেদন করেছেন, যেন তাদের নৈতিক ও প্রেষণামূলক অবস্থান আরও দৃঢ় হয়।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কেপিআই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে দক্ষতা, সততা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে। কোনো সদস্যের ব্যক্তিগত অনিয়ম বা শৃঙ্খলাভঙ্গমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে পুরো বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না হয়- সে বিষয়ে বাহিনী সর্বদা কঠোর ও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও সদস্যদের সার্বিক কল্যাণধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে বাহিনীর সদস্যদের সম্পৃক্ততা ভবিষ্যতে জিরো টলারেন্স নীতির আওতায় আরও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:২৭
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘চক্রান্তের গোপন পথে আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা প্রায় ১৬ বছর গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে রাষ্ট্রক্ষমতাকে হাতের মুঠোর মধ্যে ধরে রাখে। এদের নতজানু নীতির কারণেই দেশের সার্বভৌমত্ব দিনের পর দিন দুর্বল হয়ে পড়েছিল।’
৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিবৃতিটি পাঠান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বিবৃতিতে তারেক রহমান আরও বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াকু নেতাকর্মীদেরকে বিভৎস নির্মমতায় দমন করেছে, আয়নাঘর, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ দুর্নীতি ও অপশাসনের এক ভয়াল রাজত্ব কায়েম করেছিল। ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে বহু বছর মুক্তি দেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার মহিমান্বিত আত্মদানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। মানুষের মধ্যে গণতন্ত্রের মুক্তির পথ প্রসারিত হয়েছে। এখন চূড়ান্ত গণতন্ত্রের চর্চার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনসহ গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সমাজে ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা পরিকল্পিতভাবে দেশীয় কৃষ্টি, ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আগ্রাসন চালাতে সুযোগ দিয়েছিল। তাই আমি মনে করি ৭ নভেম্বরের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্র বিনির্মাণ করতে হবে। আর সেজন্য জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এই মমুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি।’
বিবৃতিতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘তাদের সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি।’
তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লব শুধু মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা নয়, এ দেশে আধিপত্যবাদ বিরোধী জাতীয়তাবাদী রাজনীতির অভ্যুদয়ের সূচনা। সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা পায়। ১৯৭৫ সালের এই দিনে দেশপ্রেমে উদ্দীপ্ত হয়ে সিপাহী-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও গণতন্ত্র পুণরুজ্জীবনের অঙ্গীকার নিয়ে। তাই ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব অত্যন্ত তাৎপর্যমণ্ডিত।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতাত্তোর ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী নিজ স্বার্থে দেশকে আধিপত্যবাদের থাবার মধ্যে ঠেলে দেয়। এর উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতাকে চিরদিনের জন্য ধরে রাখা। সেজন্য একদলীয় বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়। বাকশালী সরকার চরম অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী পন্থায় মানুষের ন্যায়সংগত অধিকারগুলোকে হরণ করে। দেশমাতৃকার এই চরম সংকটকালে ৭৫ এর ৩ নভেম্বর কুচক্রীরা মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতির এই গভীর সংকটকালে ৭ নভেম্বর স্বজাতির স্বাধীনতা রক্ষায় অকুতোভয় সৈনিক এবং জনতার ঢলে রাজপথে এক অনন্য সংহতির স্ফুরণ ঘটে এবং স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান মুক্ত হন। এই পটপরিবর্তনে রাষ্ট্রপতি জিয়ার নেতৃত্বে দেশে প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি হয় এবং গণতন্ত্র অর্গলমুক্ত হয়ে বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে আসে। কিন্তু আধিপত্যবাদী শক্তির এ দেশীয় এজেন্টরা উদ্দেশ্য সাধনের পথে কাঁটা মনে করে ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে পৈশাচিকভাবে হত্যা করে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘জিয়া শাহাদাত বরণ করলেও তার আদর্শে বলীয়ান মানুষ দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় এখনো ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘চক্রান্তের গোপন পথে আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা প্রায় ১৬ বছর গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে রাষ্ট্রক্ষমতাকে হাতের মুঠোর মধ্যে ধরে রাখে। এদের নতজানু নীতির কারণেই দেশের সার্বভৌমত্ব দিনের পর দিন দুর্বল হয়ে পড়েছিল।’
৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিবৃতিটি পাঠান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বিবৃতিতে তারেক রহমান আরও বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াকু নেতাকর্মীদেরকে বিভৎস নির্মমতায় দমন করেছে, আয়নাঘর, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ দুর্নীতি ও অপশাসনের এক ভয়াল রাজত্ব কায়েম করেছিল। ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে বহু বছর মুক্তি দেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার মহিমান্বিত আত্মদানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। মানুষের মধ্যে গণতন্ত্রের মুক্তির পথ প্রসারিত হয়েছে। এখন চূড়ান্ত গণতন্ত্রের চর্চার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনসহ গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সমাজে ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা পরিকল্পিতভাবে দেশীয় কৃষ্টি, ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আগ্রাসন চালাতে সুযোগ দিয়েছিল। তাই আমি মনে করি ৭ নভেম্বরের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্র বিনির্মাণ করতে হবে। আর সেজন্য জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এই মমুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি।’
বিবৃতিতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘তাদের সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি।’
তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লব শুধু মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা নয়, এ দেশে আধিপত্যবাদ বিরোধী জাতীয়তাবাদী রাজনীতির অভ্যুদয়ের সূচনা। সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা পায়। ১৯৭৫ সালের এই দিনে দেশপ্রেমে উদ্দীপ্ত হয়ে সিপাহী-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও গণতন্ত্র পুণরুজ্জীবনের অঙ্গীকার নিয়ে। তাই ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব অত্যন্ত তাৎপর্যমণ্ডিত।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতাত্তোর ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী নিজ স্বার্থে দেশকে আধিপত্যবাদের থাবার মধ্যে ঠেলে দেয়। এর উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতাকে চিরদিনের জন্য ধরে রাখা। সেজন্য একদলীয় বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়। বাকশালী সরকার চরম অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী পন্থায় মানুষের ন্যায়সংগত অধিকারগুলোকে হরণ করে। দেশমাতৃকার এই চরম সংকটকালে ৭৫ এর ৩ নভেম্বর কুচক্রীরা মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতির এই গভীর সংকটকালে ৭ নভেম্বর স্বজাতির স্বাধীনতা রক্ষায় অকুতোভয় সৈনিক এবং জনতার ঢলে রাজপথে এক অনন্য সংহতির স্ফুরণ ঘটে এবং স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান মুক্ত হন। এই পটপরিবর্তনে রাষ্ট্রপতি জিয়ার নেতৃত্বে দেশে প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি হয় এবং গণতন্ত্র অর্গলমুক্ত হয়ে বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে আসে। কিন্তু আধিপত্যবাদী শক্তির এ দেশীয় এজেন্টরা উদ্দেশ্য সাধনের পথে কাঁটা মনে করে ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে পৈশাচিকভাবে হত্যা করে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘জিয়া শাহাদাত বরণ করলেও তার আদর্শে বলীয়ান মানুষ দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় এখনো ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।’

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.