০৯ জুলাই, ২০২৫ ১৮:৩৪
গভীর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে উপক‚লীয় এলাকার প্রায় চার শতাধিক ট্রলার মাছ শিকার করতে গভীর সমুদ্রে যেতে পারেনি। এ বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাছ শিকারে যেতে না পারায় কয়েক হাজার জেলে বেকার সময় কাটাচ্ছেন।
তিগ্রস্ত হচ্ছেন ট্রলার মালিক ও মাছ ব্যবসায়ীরাও। স্থানীয় বাজারে দেখা দিয়েছে ইলিশসহ সামুদ্রিক সকল প্রকারের মাছের সংকট। মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির ল্েয সরকার ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিনের নিষেজ্ঞা দেয়। সেই নিষেধাজ্ঞা
শেষে জেলেরা আশায় বুক বেঁধেছিল সাগরে মাছ শিকারে যাবে, আর সমুদ্র থেকে ট্রলার ভর্তি ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশসহ নানা প্রজাতির মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরবে। এ নিয়ে ট্রলার মালিক ও ব্যবসায়ীদেরও ছিল ব্যাপক প্রস্তুতি। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে সব আশাই শেষ করে দিয়েছে।
আবহাওয়ার সতর্ক বার্তায় জানিয়েছে, দেশের দণি-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয়তার কারণে ৮ জুলাই সকাল ১০ টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (ঘন্টায় ৪৪ থেকে ৮৮ মি.মি) থেকে অতি ভারী (১৮৮ মি.মি) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সাথে ভারী বর্ষণজনিত কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা মহানগরীর কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে। এ সময় দণি বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
জেলে ছগির হোসেন, মনির মিয়া, আনিচুর রহমান, এমাদুল হোসেনসহ একাধিক জেলে বলেন, ইলিশের ভরা মৌসেমের সময় সরকার দেয় অবরোধ, আর যখন অবরোধ শেষ হয় তখন থেকেই শুরু হয় সমুদ্রে নিম্নচাপ। গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে নি¤œচাপের কারণে গভীর সমুদ্রে কোন জেলেই মাছ শিকার করতে যেতে পারছে না।
এই নিম্নচাপে মাছ শিকার করতে গেলে উত্তাল সমুদ্র ট্রলার ডুবির সঙ্কা থাকে। যারা ঝুঁকি নিয়ে মাছ শিকারে গিয়েছে তাদের অনেকেই খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে। কোন ইলিশ বা অনান্য মাছের দেখা মেলেনি। সবারই তেল এবং বাজারের টাকা লস হয়ে গেছে। প্রতিবছর এভাবে আবহাওয়া খারাপ থাকলে বাংলাদেশের মানুষ যে মাছে ভাতে বাঙালি তা ভুলে যাবে। প্রতিবছর মাছের সংখ্যা কমতে থাকে। অনেক জেলেই এই পেশা পরিবর্তন করেছেন। এই মৎস্য শিল্প আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলেও ধারণা করছেন জেলেরা।
এফবি আলাহর দান ১,২ ও ৩ ট্রলারে মালিক আবুল হোসেন ফরাজী বলেন, গত এক মাস ধরেই পর্যায়ক্রমে গভীর বঙ্গোপসাগরে নি¤œচাপ চলছে। এর নি¤œচাপে বাজার সওদা করে সমুদ্রে মাছ শিকারের জন্য পাঠালেও ফিরে আসতে হয়েছে খালি হাতে। আমার তিনটি ট্রলারে গত এক মাসে ১৪ লাখ টাকার বাজার সওদা করে পাঠিয়েছি মাছ শিকারে।
এই ১৪ লাখ টাকা খরচ করে মাছ বিক্রি করতে পেরেছি মাত্র ৪ লাখ টাকার। গত এক মাসে আমার ১০ লাখ টাকার লোকসান হয়েছে। এই লোকসানে বেশি প্রভাব পড়েছে আমরা ট্রলার মালিক এবং জেলেদের উপর। গতবছরের চেয়ে এ বছরে সমুদ্রে আবহাওয়া খুব বেশি খারাপ রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে এই পেশাটা ছেড়ে দিতে হবে বলেও জানান তিনি।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, সাগরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উপক‚লী এলাকার প্রায় ৪শ ট্রলার জেলেদের নিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করে ঘাটে অলস সময় কাটাচ্ছেন।
এ বছর জেলেদের একের পর এক সমস্যা লেগেই আছে। কখনো সরকার নির্দেশিত মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা আবার প্রাকৃতিকভাবে কখনো সাগরে নি¤œচাপ এ নিয়ে বিপাকের মধ্যে রয়েছে জেলেরা। গত কয়েক বছর ধরে ইলিশ শুন্য হয়ে পড়েছে গভীর সমুদ্র।
প্রতি ট্রিপে ট্রলার মালিকদের এভাবে লোকসান গুনতে হলে অচিরেই তারা নিঃস্ব হয়ে যাবে। এই দণিাঞ্চলের মানুষ মাছের উপর নির্ভরশীল। চলতি বছরে একের পর এক নি¤œচাপ চলছেই। এভাবে নিম্নচাপ থাকলে জেলেদের দুরবস্থার শেষ থাকবে না। দেশে মাছের উপর নির্ভর করে অর্থনীতির বড় একটি অংশ। এই সময়গুলোতে সরকারের উচিত জেলেদের জন্য বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া।
গভীর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে উপক‚লীয় এলাকার প্রায় চার শতাধিক ট্রলার মাছ শিকার করতে গভীর সমুদ্রে যেতে পারেনি। এ বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাছ শিকারে যেতে না পারায় কয়েক হাজার জেলে বেকার সময় কাটাচ্ছেন।
তিগ্রস্ত হচ্ছেন ট্রলার মালিক ও মাছ ব্যবসায়ীরাও। স্থানীয় বাজারে দেখা দিয়েছে ইলিশসহ সামুদ্রিক সকল প্রকারের মাছের সংকট। মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির ল্েয সরকার ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিনের নিষেজ্ঞা দেয়। সেই নিষেধাজ্ঞা
শেষে জেলেরা আশায় বুক বেঁধেছিল সাগরে মাছ শিকারে যাবে, আর সমুদ্র থেকে ট্রলার ভর্তি ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশসহ নানা প্রজাতির মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরবে। এ নিয়ে ট্রলার মালিক ও ব্যবসায়ীদেরও ছিল ব্যাপক প্রস্তুতি। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে সব আশাই শেষ করে দিয়েছে।
আবহাওয়ার সতর্ক বার্তায় জানিয়েছে, দেশের দণি-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয়তার কারণে ৮ জুলাই সকাল ১০ টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (ঘন্টায় ৪৪ থেকে ৮৮ মি.মি) থেকে অতি ভারী (১৮৮ মি.মি) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সাথে ভারী বর্ষণজনিত কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা মহানগরীর কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে। এ সময় দণি বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
জেলে ছগির হোসেন, মনির মিয়া, আনিচুর রহমান, এমাদুল হোসেনসহ একাধিক জেলে বলেন, ইলিশের ভরা মৌসেমের সময় সরকার দেয় অবরোধ, আর যখন অবরোধ শেষ হয় তখন থেকেই শুরু হয় সমুদ্রে নিম্নচাপ। গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে নি¤œচাপের কারণে গভীর সমুদ্রে কোন জেলেই মাছ শিকার করতে যেতে পারছে না।
এই নিম্নচাপে মাছ শিকার করতে গেলে উত্তাল সমুদ্র ট্রলার ডুবির সঙ্কা থাকে। যারা ঝুঁকি নিয়ে মাছ শিকারে গিয়েছে তাদের অনেকেই খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে। কোন ইলিশ বা অনান্য মাছের দেখা মেলেনি। সবারই তেল এবং বাজারের টাকা লস হয়ে গেছে। প্রতিবছর এভাবে আবহাওয়া খারাপ থাকলে বাংলাদেশের মানুষ যে মাছে ভাতে বাঙালি তা ভুলে যাবে। প্রতিবছর মাছের সংখ্যা কমতে থাকে। অনেক জেলেই এই পেশা পরিবর্তন করেছেন। এই মৎস্য শিল্প আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলেও ধারণা করছেন জেলেরা।
এফবি আলাহর দান ১,২ ও ৩ ট্রলারে মালিক আবুল হোসেন ফরাজী বলেন, গত এক মাস ধরেই পর্যায়ক্রমে গভীর বঙ্গোপসাগরে নি¤œচাপ চলছে। এর নি¤œচাপে বাজার সওদা করে সমুদ্রে মাছ শিকারের জন্য পাঠালেও ফিরে আসতে হয়েছে খালি হাতে। আমার তিনটি ট্রলারে গত এক মাসে ১৪ লাখ টাকার বাজার সওদা করে পাঠিয়েছি মাছ শিকারে।
এই ১৪ লাখ টাকা খরচ করে মাছ বিক্রি করতে পেরেছি মাত্র ৪ লাখ টাকার। গত এক মাসে আমার ১০ লাখ টাকার লোকসান হয়েছে। এই লোকসানে বেশি প্রভাব পড়েছে আমরা ট্রলার মালিক এবং জেলেদের উপর। গতবছরের চেয়ে এ বছরে সমুদ্রে আবহাওয়া খুব বেশি খারাপ রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে এই পেশাটা ছেড়ে দিতে হবে বলেও জানান তিনি।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, সাগরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উপক‚লী এলাকার প্রায় ৪শ ট্রলার জেলেদের নিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করে ঘাটে অলস সময় কাটাচ্ছেন।
এ বছর জেলেদের একের পর এক সমস্যা লেগেই আছে। কখনো সরকার নির্দেশিত মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা আবার প্রাকৃতিকভাবে কখনো সাগরে নি¤œচাপ এ নিয়ে বিপাকের মধ্যে রয়েছে জেলেরা। গত কয়েক বছর ধরে ইলিশ শুন্য হয়ে পড়েছে গভীর সমুদ্র।
প্রতি ট্রিপে ট্রলার মালিকদের এভাবে লোকসান গুনতে হলে অচিরেই তারা নিঃস্ব হয়ে যাবে। এই দণিাঞ্চলের মানুষ মাছের উপর নির্ভরশীল। চলতি বছরে একের পর এক নি¤œচাপ চলছেই। এভাবে নিম্নচাপ থাকলে জেলেদের দুরবস্থার শেষ থাকবে না। দেশে মাছের উপর নির্ভর করে অর্থনীতির বড় একটি অংশ। এই সময়গুলোতে সরকারের উচিত জেলেদের জন্য বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:২৫
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩৮
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:২৯
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৯
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩৮
বরগুনার আমতলীতে কিশোরগ্যাং চক্রের ৩ সদস্যসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তাররা হলেন- কিশোর গ্যাং চক্রের সদস্য মো. সাকিল (১৯), মো. রাকিবুল (১৯), মো. ওলি হাওলাদার (১৯) ও লাইজু আক্তার (২৪)।
জানা গেছে, ফরহাদ ইসলামের সঙ্গে তিন বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় মোসা. লাইজু আক্তারের। রোববার সন্ধ্যায় লাইজু আক্তার ফরহাদকে তাদের মেয়েকে দেখার জন্য আসতে বলেন। এ সংবাদে ফরহাদ চাওড়া ইউনিয়নস্থ উশ্যিতলা মূল রাস্তার পাশে আসে।
লাইজু পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্যকে ভাড়া করে নিয়ে আসে। ফরহাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাকে মারধর করে মোবাইল এবং টাকা-পয়সা নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ফরহাদ আমতলী থানায় অভিযোগ দিলে রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আটকদের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় মামলা রুজু করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, গ্রেপ্তারদের আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
বরগুনার আমতলীতে কিশোরগ্যাং চক্রের ৩ সদস্যসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তাররা হলেন- কিশোর গ্যাং চক্রের সদস্য মো. সাকিল (১৯), মো. রাকিবুল (১৯), মো. ওলি হাওলাদার (১৯) ও লাইজু আক্তার (২৪)।
জানা গেছে, ফরহাদ ইসলামের সঙ্গে তিন বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় মোসা. লাইজু আক্তারের। রোববার সন্ধ্যায় লাইজু আক্তার ফরহাদকে তাদের মেয়েকে দেখার জন্য আসতে বলেন। এ সংবাদে ফরহাদ চাওড়া ইউনিয়নস্থ উশ্যিতলা মূল রাস্তার পাশে আসে।
লাইজু পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্যকে ভাড়া করে নিয়ে আসে। ফরহাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাকে মারধর করে মোবাইল এবং টাকা-পয়সা নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ফরহাদ আমতলী থানায় অভিযোগ দিলে রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আটকদের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় মামলা রুজু করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, গ্রেপ্তারদের আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:১৬
বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ ইটবাড়িয়া গ্রাম থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত স্ত্রীর গলা কাটা ছিল এবং স্বামীর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। বর্তমানে পুলিশের একাধিক দল এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছে।
নিহতরা হলেন দক্ষিণ ইটবাড়িয়া গ্রামের আব্বাস মৃধার মেয়ে আকলিমা (২৭) এবং একই গ্রামের খালেক মোল্লার ছেলে দিনমজুর স্বপন মোল্লা (৩২)। এই দম্পতির দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে, যাদের বয়স ছয় বছর ও এক বছর।
নিহত স্বপনের চাচাতো বোন রাজিয়া বেগম জানান, ভোরে অজু করতে বের হলে তাদের বড় মেয়ে সাদিয়া দৌড়ে এসে বলে, ‘আম্মি মোগো ঘরে চলেন, মা কথা বলছে না। বাবাকেও দেখছি না।’ তিনি ঘরে গিয়ে মেঝেতে আকলিমার গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। স্বপনকে খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর বিছানার ওপর মোবাইল ফোন পড়ে আছে এবং ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর মরদেহ ঝুলছে।
স্বপনের বড় ভাই কবির মোল্লা বলেন, তাঁর ভাইয়ের কোনো শত্রু নেই, তবে তাঁদের মধ্যে প্রায়ই সাংসারিক কলহ হতো। স্বপন নিয়মিত কাজ না করায় তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকত। নিহত আকলিমার বাবা আব্বাস মৃধা জানান, এ ঘটনা পারিবারিক কলহের কারণেই ঘটতে পারে।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াকুব হোসাইন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ চলছে। হত্যাকাণ্ড তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলকে ‘ক্রাইম সিন’ হিসেবে ঘিরে রাখা হয়েছে।’
বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ ইটবাড়িয়া গ্রাম থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত স্ত্রীর গলা কাটা ছিল এবং স্বামীর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। বর্তমানে পুলিশের একাধিক দল এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছে।
নিহতরা হলেন দক্ষিণ ইটবাড়িয়া গ্রামের আব্বাস মৃধার মেয়ে আকলিমা (২৭) এবং একই গ্রামের খালেক মোল্লার ছেলে দিনমজুর স্বপন মোল্লা (৩২)। এই দম্পতির দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে, যাদের বয়স ছয় বছর ও এক বছর।
নিহত স্বপনের চাচাতো বোন রাজিয়া বেগম জানান, ভোরে অজু করতে বের হলে তাদের বড় মেয়ে সাদিয়া দৌড়ে এসে বলে, ‘আম্মি মোগো ঘরে চলেন, মা কথা বলছে না। বাবাকেও দেখছি না।’ তিনি ঘরে গিয়ে মেঝেতে আকলিমার গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। স্বপনকে খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর বিছানার ওপর মোবাইল ফোন পড়ে আছে এবং ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর মরদেহ ঝুলছে।
স্বপনের বড় ভাই কবির মোল্লা বলেন, তাঁর ভাইয়ের কোনো শত্রু নেই, তবে তাঁদের মধ্যে প্রায়ই সাংসারিক কলহ হতো। স্বপন নিয়মিত কাজ না করায় তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকত। নিহত আকলিমার বাবা আব্বাস মৃধা জানান, এ ঘটনা পারিবারিক কলহের কারণেই ঘটতে পারে।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াকুব হোসাইন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ চলছে। হত্যাকাণ্ড তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলকে ‘ক্রাইম সিন’ হিসেবে ঘিরে রাখা হয়েছে।’
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩৪
বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নে নতুন ভোটার নিবন্ধনের নামে ঘুষ নেয় ডাটা এন্ট্রি অপারেটর শামসুল আলম (আরিফ)।বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাচন অফিসে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছোটবগীর নেছার উদ্দিন নতুন ভোটার হতে গেলে তার কাছে ৫০০ টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে দিনের পর দিন নানা অজুহাতে হয়রানি করা হয়।
পরে গতকাল বুধবার দুপুরে ঐ নেছার উদ্দিন ভোটার করতে আসলে তখন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর শামসুল আলম (আরিফ) বলেন ৫'শ টাকা না দিলে আপনার ভোটর করানো হবে না এবং করলেও বাতিল হয়ে যাবে। ভোটার বাতিল করার ভয় দেখানো হলে তিনি বাধ্য হয়ে টাকা দেন।
তবে দেড় ঘণ্টা পর বিষয়টি জানাজানি হলে এবং স্থানীয়দের চাপের মুখে আরিফ টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন। টাকা ফেরত দেওয়ার ভিডিওতে আরিফ বলেন আমাকে চা খেতে টাকা দিয়েছে ঐ লোক ।
এই টাকা নেওয়া আমার ভুল হয়েছে। টাকা ফেরত দিতেছি। তবে তিনি এই একজনের কাছ থেকে ৫'শ টাকা নিয়ে থেমে নেই। নতুন ভোটার করতে হলেই তাকে ৫'শ টাকা দিতে হবে এমন নিয়ম চালু আছে ওই নির্বাচন কমিশন অফিসে।
অভিযোগ রয়েছে, শামসুল আলম আরিফের বিরুদ্ধে এর আগেও টাকা নিয়ে বয়স সংশোধনসহ নানা অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাধারণ মানুষ নতুন ভোটার হতে গিয়ে ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
সাধারণ মানুষের দাবি, তালতলী উপজেলা নির্বাচন অফিস ‘দুর্নীতির আখড়াতে পরিণত হয়েছে। দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
ভুক্তভোগী নেছার উদ্দিন বলেন, “আমার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পর আমি বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালে তারা ঘটনাস্থলে আসেন। তখন স্থানীয়দের উপস্থিতিতে অপারেটর ক্ষমা চেয়ে টাকা ফেরত দেন।
টাকা ফেরত দিলেও শুরুতে যে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেওয়া হয়েছে, তা খুবই লজ্জাজনক। সাধারণ মানুষ যদি ন্যায্য প্রক্রিয়ায় ভোটার হতে না পারে, তবে দুর্নীতি আরও বেড়ে যাবে।”
স্থানীয় মোস্তাফিজ বলেন, “নতুন ভোটার করার ক্ষেত্রে নিয়মিত হয়রানি ও ঘুষের অভিযোগ বহুদিনের। প্রশাসন যদি এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে।” এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর শামসুল আলম আরিফ বলেন, “আমাকে শুধু চা খাওয়ার টাকা দিয়ে গেছেন। আমি ভুল করেছি, ক্ষমা চাই। ভবিষ্যতে আর এমন হবে না।”
তালতলী উপজেলা নির্বাচন অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল জানান, “যেহেতু ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে, তাই এ নিয়ে নিউজ করিয়েন না।
জেলা নির্বাচন অফিসার মো. আবদুল হাই আল হাদী বলেন, নতুন ভোটার হতে কোনো ধরনের টাকা দিতে হয় না। এই টাকা নিয়ে যারা ভোটার নিবন্ধন করেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নে নতুন ভোটার নিবন্ধনের নামে ঘুষ নেয় ডাটা এন্ট্রি অপারেটর শামসুল আলম (আরিফ)।বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাচন অফিসে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছোটবগীর নেছার উদ্দিন নতুন ভোটার হতে গেলে তার কাছে ৫০০ টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে দিনের পর দিন নানা অজুহাতে হয়রানি করা হয়।
পরে গতকাল বুধবার দুপুরে ঐ নেছার উদ্দিন ভোটার করতে আসলে তখন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর শামসুল আলম (আরিফ) বলেন ৫'শ টাকা না দিলে আপনার ভোটর করানো হবে না এবং করলেও বাতিল হয়ে যাবে। ভোটার বাতিল করার ভয় দেখানো হলে তিনি বাধ্য হয়ে টাকা দেন।
তবে দেড় ঘণ্টা পর বিষয়টি জানাজানি হলে এবং স্থানীয়দের চাপের মুখে আরিফ টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন। টাকা ফেরত দেওয়ার ভিডিওতে আরিফ বলেন আমাকে চা খেতে টাকা দিয়েছে ঐ লোক ।
এই টাকা নেওয়া আমার ভুল হয়েছে। টাকা ফেরত দিতেছি। তবে তিনি এই একজনের কাছ থেকে ৫'শ টাকা নিয়ে থেমে নেই। নতুন ভোটার করতে হলেই তাকে ৫'শ টাকা দিতে হবে এমন নিয়ম চালু আছে ওই নির্বাচন কমিশন অফিসে।
অভিযোগ রয়েছে, শামসুল আলম আরিফের বিরুদ্ধে এর আগেও টাকা নিয়ে বয়স সংশোধনসহ নানা অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাধারণ মানুষ নতুন ভোটার হতে গিয়ে ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
সাধারণ মানুষের দাবি, তালতলী উপজেলা নির্বাচন অফিস ‘দুর্নীতির আখড়াতে পরিণত হয়েছে। দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
ভুক্তভোগী নেছার উদ্দিন বলেন, “আমার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পর আমি বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালে তারা ঘটনাস্থলে আসেন। তখন স্থানীয়দের উপস্থিতিতে অপারেটর ক্ষমা চেয়ে টাকা ফেরত দেন।
টাকা ফেরত দিলেও শুরুতে যে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেওয়া হয়েছে, তা খুবই লজ্জাজনক। সাধারণ মানুষ যদি ন্যায্য প্রক্রিয়ায় ভোটার হতে না পারে, তবে দুর্নীতি আরও বেড়ে যাবে।”
স্থানীয় মোস্তাফিজ বলেন, “নতুন ভোটার করার ক্ষেত্রে নিয়মিত হয়রানি ও ঘুষের অভিযোগ বহুদিনের। প্রশাসন যদি এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে।” এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর শামসুল আলম আরিফ বলেন, “আমাকে শুধু চা খাওয়ার টাকা দিয়ে গেছেন। আমি ভুল করেছি, ক্ষমা চাই। ভবিষ্যতে আর এমন হবে না।”
তালতলী উপজেলা নির্বাচন অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল জানান, “যেহেতু ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে, তাই এ নিয়ে নিউজ করিয়েন না।
জেলা নির্বাচন অফিসার মো. আবদুল হাই আল হাদী বলেন, নতুন ভোটার হতে কোনো ধরনের টাকা দিতে হয় না। এই টাকা নিয়ে যারা ভোটার নিবন্ধন করেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.