২১ জুলাই, ২০২৫ ১৩:৪১
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান, জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সদস্য ও সুশাসন জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক প্রফেসর ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, 'শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসলেও একটি স্বৈরাচারী ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসক হয়ে উঠেছিলেন। নিজের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত ও দীর্ঘস্থায়ী করতে তিনি সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল এবং জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছিলেন। পরিবারতন্ত্র কায়েম করে আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়েছিলেন। গত ১৫-১৬ বছর একটি স্বৈরাচারী রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন। আমরা সেই স্বৈরাচারী ব্যবস্থার বিলোপ ঘটাতে চাই। যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো স্বৈরাচার তৈরি না হয়। আর কোনো সরকার যেন ক্ষমতায় এসে স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে না পারে সেজন্য রাষ্ট্রকাঠামোর কিছু মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন। জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে সেই মৌলিক সংস্কার হতে হবে। জরুরি কিছু মৌলিক সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমতে পৌঁছাতে না পারলে স্বৈরাচারী ব্যবস্থা আবার এদেশে প্রত্যাবর্তন করবে। তাই সকলে মিলে স্বৈরাচারী ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন প্রতিরোধ করতে হবে। শনিবার (১৯ জুলাই) বরিশালে সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক সংগঠনের উদ্যোগে বরিশাল বিভাগীয় নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রফেসর ড. বদিউল আলম মজুমদার আরও বলেন, 'একটি জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য ২০১৩ সাল থেকেই চেষ্টা করে আসছিল অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন 'সুজন'। সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বিভিন্ন সময়ে বেশকিছু আলাপ-আলোচনাও হয়েছিল। তবে তারা তাতে সাড়া না দেওয়ার সেই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছেন। আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে একটি জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে এখন আলাপ-আলোচনা চলছে। কিছু বিষয়ে তারা একমত হয়েছেন। আবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তারা দ্বিমত পোষণ করেছেন। একটি রাষ্ট্রে নাগরিকের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদ নেই। তাই জাতীয় সনদ তৈরিতে নাগরিকদের মতামত নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করে সুজন। সেজন্য আমরা নিজেদের উদ্যোগে সারাদেশে ১৫টি নাগরিক সংলাপের আয়োজন করে জনগণের ভাবনা, মতামত, পরামর্শ এবং প্রস্তাবগুলো জানার চেষ্টা করছি।'
শনিবার সকাল ১০টায় বরিশালের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বিডিএস) হলরুমে জাতীয় সনদ ও নাগরিক প্রত্যাশা শীর্ষক ওই নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সুজনের বরিশাল জেলা সভাপতি অধ্যাপক গাজী জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ওই নাগরিক সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান, জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সদস্য ও সুজন সম্পাদক প্রফেসর ড. বদিউল আলম মজুমদার। সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকারের সঞ্চালনায় সংলাপের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজনের পটুয়াখালী জেলা সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্স। নাগরিক সংলাপে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুজনের বরিশাল মহানগর সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মোতালেব হাওলাদার। এসময় বিশেষ অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুজনের পটুয়াখালী জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মানস কান্তি দত্ত, ভোলা জেলা সভাপতি মোবাশ্বের উল্লাহ, বরিশাল জেলা সম্পাদক রণজিৎ দত্ত, বরগুনা জেলা সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোস্তফা কাদের, ঝালকাঠি সদর সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) বরিশাল জেলার সাবেক সভাপতি অধ্যাপিকা শাহ সাজেদা ও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের বরিশালের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মেহের আফরোজ মিতা।
নাগরিক সংলাপে এসময় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ননী গোপাল দাস, বাবুগঞ্জের চাঁদপাশা হাইস্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ তাহমিনা আক্তার, রাশেদ খান মেনন মডেল উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আবু জাফর শিকদার, বরিশাল অমৃত লাল দে কলেজের অধ্যাপিকা টুনু রাণী কর্মকার, অধ্যাপিকা দীপ্তি ঘোষ, বরগুনা সৈয়দ ফজলুল হক কলেজের অধ্যাপক জিয়াউল করিম, অধ্যাপক জুলফিকার আমিন বাবু, পরিবেশবাদী সংগঠন বেলা'র বরিশাল জেলা সমন্বয়কারী লিংকন বাইন, নাগরিক উদ্যোগের সমন্বয়কারী সুপ্রিয় দত্ত, মাইনরিটি রাইটস ফোরামের সহ-সভাপতি স্বপন কুমার বেপারী, মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের বরগুনা জেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির মৃধা, সাংবাদিক নাসরিন শিপু, পটুয়াখালী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম, বাবুগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খালেদা ওহাব, সুজনের সিনিয়র সহ-সভাপতি সেলিম রেজা, প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান, গৌরনদী উপজেলা সুজন সভাপতি জহিরুল ইসলাম জহির, বানারীপাড়া সুজন সভাপতি মাহবুবুর রহমান সোহেল, আগৈলঝাড়া সুজনের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, ঝালকাঠি জেলা সুজন সদস্য কবিতা হালদার, বরিশালের ক্রীড়া সংগঠক জাকির হোসেন পান্নু, নারী নেত্রী পারভীন বেগম, সিনিয়র ইয়্যুথ লিডার তানজিলা জেরিন অমি প্রমুখ। এসময় বক্তারা জাতীয় সনদ তৈরি, বাস্তবায়ন এবং সংস্কার বিষয়ে বিভিন্ন মতামত প্রদান করেন। ওই নাগরিক সংলাপে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং শতাধিক সুজন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নে নাগরিকদের মতামত সংগ্রহের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত ওই নাগরিক সংলাপে জাতীয় সংসদ কাঠামো ও সংবিধান সংশোধন, নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন পরিচালনা, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, মৌলিক অধিকার রক্ষা, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, স্থানীয় সরকার, পুলিশ ও বিচার বিভাগ সংস্কার, রাজনৈতিক দলের সংস্কার ইত্যাদি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট মোট ৪০ দফা প্রস্তাবের উপরে সাড়ে ৩ ঘন্টাব্যাপী উন্মুক্ত আলোচনা করা হয়। উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন প্রধান অতিথি সুজন সম্পাদক প্রফেসর ড. বদিউল আলম মজুমদার। এসময় দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদীয় ব্যবস্থার প্রবর্তন, সংসদের নিম্নকক্ষ ৩০০ থেকে ৪০০ আসনে উন্নীতকরণ, নারীদের জন্য সংরক্ষিত ৫০ আসন থেকে ১০০ আসনে বৃদ্ধি করে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে সরাসরি নির্বাচন, উচ্চকক্ষের ১০০ আসনে সিনেট সদস্য নিয়োগে নিম্নকক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাপ্ত মোট ভোটের আনুপাতিক হার (পিআর) পদ্ধতিতে সিনেট সদস্য নির্বাচন, সকল নির্বাচনে না ভোটের বিধান রাখা এবং সংসদে নিজ দলের বিপক্ষে ভোট প্রদানের ক্ষমতা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন, দুই মেয়াদের বেশি একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী না থাকার বিধান চালু, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি ও ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা, সংবিধান সংশোধনে সংসদের উভয় কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশের ভোট বাধ্যতামূলক করা, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচনী নীতিমালা সংস্কার, পৃথক পুলিশ কমিশন, স্থানীয় সরকার কমিশন ও স্বাধীন বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন, বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি বন্ধে উপজেলা পর্যায়ে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত স্থাপন, প্রতি বিভাগীয় শহরে হাইকোর্টের বেঞ্চ স্থাপন, সরকারি অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রবর্তন, রাজনৈতিক দলসমূহের সংস্কার ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে প্রস্তাবিত ৪০ দফার উপরে বিস্তারিত আলোচনা, প্রশ্নোত্তর এবং মতামত প্রদান করেন বক্তারা। জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সারাদেশে সুজনের ১৫টি নাগরিক সংলাপের মাধ্যমে ৬৪ জেলায় এই জনমত যাচাই কার্যক্রমকে অভাবনীয় এবং গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাইলফলক হিসেবেই দেখছেন সচেতন মহল। রাষ্ট্র সংস্কারে সুজনের এই জনমত সংগ্রহের নাগরিক সংলাপকে ঐতিহাসিক এবং সকল সরকারের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত বলে আখ্যা দিয়েছেন সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। #
বরিশালে সুজন'এর বিভাগীয় নাগরিক সংলাপ
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান, জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সদস্য ও সুশাসন জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক প্রফেসর ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, 'শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসলেও একটি স্বৈরাচারী ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসক হয়ে উঠেছিলেন। নিজের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত ও দীর্ঘস্থায়ী করতে তিনি সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল এবং জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছিলেন। পরিবারতন্ত্র কায়েম করে আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়েছিলেন। গত ১৫-১৬ বছর একটি স্বৈরাচারী রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন। আমরা সেই স্বৈরাচারী ব্যবস্থার বিলোপ ঘটাতে চাই। যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো স্বৈরাচার তৈরি না হয়। আর কোনো সরকার যেন ক্ষমতায় এসে স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে না পারে সেজন্য রাষ্ট্রকাঠামোর কিছু মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন। জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে সেই মৌলিক সংস্কার হতে হবে। জরুরি কিছু মৌলিক সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমতে পৌঁছাতে না পারলে স্বৈরাচারী ব্যবস্থা আবার এদেশে প্রত্যাবর্তন করবে। তাই সকলে মিলে স্বৈরাচারী ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন প্রতিরোধ করতে হবে। শনিবার (১৯ জুলাই) বরিশালে সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক সংগঠনের উদ্যোগে বরিশাল বিভাগীয় নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রফেসর ড. বদিউল আলম মজুমদার আরও বলেন, 'একটি জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য ২০১৩ সাল থেকেই চেষ্টা করে আসছিল অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন 'সুজন'। সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বিভিন্ন সময়ে বেশকিছু আলাপ-আলোচনাও হয়েছিল। তবে তারা তাতে সাড়া না দেওয়ার সেই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছেন। আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে একটি জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে এখন আলাপ-আলোচনা চলছে। কিছু বিষয়ে তারা একমত হয়েছেন। আবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তারা দ্বিমত পোষণ করেছেন। একটি রাষ্ট্রে নাগরিকের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদ নেই। তাই জাতীয় সনদ তৈরিতে নাগরিকদের মতামত নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করে সুজন। সেজন্য আমরা নিজেদের উদ্যোগে সারাদেশে ১৫টি নাগরিক সংলাপের আয়োজন করে জনগণের ভাবনা, মতামত, পরামর্শ এবং প্রস্তাবগুলো জানার চেষ্টা করছি।'
শনিবার সকাল ১০টায় বরিশালের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বিডিএস) হলরুমে জাতীয় সনদ ও নাগরিক প্রত্যাশা শীর্ষক ওই নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সুজনের বরিশাল জেলা সভাপতি অধ্যাপক গাজী জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ওই নাগরিক সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান, জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সদস্য ও সুজন সম্পাদক প্রফেসর ড. বদিউল আলম মজুমদার। সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকারের সঞ্চালনায় সংলাপের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজনের পটুয়াখালী জেলা সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্স। নাগরিক সংলাপে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুজনের বরিশাল মহানগর সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মোতালেব হাওলাদার। এসময় বিশেষ অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুজনের পটুয়াখালী জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মানস কান্তি দত্ত, ভোলা জেলা সভাপতি মোবাশ্বের উল্লাহ, বরিশাল জেলা সম্পাদক রণজিৎ দত্ত, বরগুনা জেলা সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোস্তফা কাদের, ঝালকাঠি সদর সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) বরিশাল জেলার সাবেক সভাপতি অধ্যাপিকা শাহ সাজেদা ও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের বরিশালের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মেহের আফরোজ মিতা।
নাগরিক সংলাপে এসময় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ননী গোপাল দাস, বাবুগঞ্জের চাঁদপাশা হাইস্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ তাহমিনা আক্তার, রাশেদ খান মেনন মডেল উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আবু জাফর শিকদার, বরিশাল অমৃত লাল দে কলেজের অধ্যাপিকা টুনু রাণী কর্মকার, অধ্যাপিকা দীপ্তি ঘোষ, বরগুনা সৈয়দ ফজলুল হক কলেজের অধ্যাপক জিয়াউল করিম, অধ্যাপক জুলফিকার আমিন বাবু, পরিবেশবাদী সংগঠন বেলা'র বরিশাল জেলা সমন্বয়কারী লিংকন বাইন, নাগরিক উদ্যোগের সমন্বয়কারী সুপ্রিয় দত্ত, মাইনরিটি রাইটস ফোরামের সহ-সভাপতি স্বপন কুমার বেপারী, মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের বরগুনা জেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির মৃধা, সাংবাদিক নাসরিন শিপু, পটুয়াখালী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম, বাবুগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খালেদা ওহাব, সুজনের সিনিয়র সহ-সভাপতি সেলিম রেজা, প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান, গৌরনদী উপজেলা সুজন সভাপতি জহিরুল ইসলাম জহির, বানারীপাড়া সুজন সভাপতি মাহবুবুর রহমান সোহেল, আগৈলঝাড়া সুজনের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, ঝালকাঠি জেলা সুজন সদস্য কবিতা হালদার, বরিশালের ক্রীড়া সংগঠক জাকির হোসেন পান্নু, নারী নেত্রী পারভীন বেগম, সিনিয়র ইয়্যুথ লিডার তানজিলা জেরিন অমি প্রমুখ। এসময় বক্তারা জাতীয় সনদ তৈরি, বাস্তবায়ন এবং সংস্কার বিষয়ে বিভিন্ন মতামত প্রদান করেন। ওই নাগরিক সংলাপে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং শতাধিক সুজন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নে নাগরিকদের মতামত সংগ্রহের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত ওই নাগরিক সংলাপে জাতীয় সংসদ কাঠামো ও সংবিধান সংশোধন, নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন পরিচালনা, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, মৌলিক অধিকার রক্ষা, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, স্থানীয় সরকার, পুলিশ ও বিচার বিভাগ সংস্কার, রাজনৈতিক দলের সংস্কার ইত্যাদি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট মোট ৪০ দফা প্রস্তাবের উপরে সাড়ে ৩ ঘন্টাব্যাপী উন্মুক্ত আলোচনা করা হয়। উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন প্রধান অতিথি সুজন সম্পাদক প্রফেসর ড. বদিউল আলম মজুমদার। এসময় দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদীয় ব্যবস্থার প্রবর্তন, সংসদের নিম্নকক্ষ ৩০০ থেকে ৪০০ আসনে উন্নীতকরণ, নারীদের জন্য সংরক্ষিত ৫০ আসন থেকে ১০০ আসনে বৃদ্ধি করে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে সরাসরি নির্বাচন, উচ্চকক্ষের ১০০ আসনে সিনেট সদস্য নিয়োগে নিম্নকক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাপ্ত মোট ভোটের আনুপাতিক হার (পিআর) পদ্ধতিতে সিনেট সদস্য নির্বাচন, সকল নির্বাচনে না ভোটের বিধান রাখা এবং সংসদে নিজ দলের বিপক্ষে ভোট প্রদানের ক্ষমতা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন, দুই মেয়াদের বেশি একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী না থাকার বিধান চালু, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি ও ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা, সংবিধান সংশোধনে সংসদের উভয় কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশের ভোট বাধ্যতামূলক করা, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচনী নীতিমালা সংস্কার, পৃথক পুলিশ কমিশন, স্থানীয় সরকার কমিশন ও স্বাধীন বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন, বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি বন্ধে উপজেলা পর্যায়ে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত স্থাপন, প্রতি বিভাগীয় শহরে হাইকোর্টের বেঞ্চ স্থাপন, সরকারি অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রবর্তন, রাজনৈতিক দলসমূহের সংস্কার ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে প্রস্তাবিত ৪০ দফার উপরে বিস্তারিত আলোচনা, প্রশ্নোত্তর এবং মতামত প্রদান করেন বক্তারা। জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সারাদেশে সুজনের ১৫টি নাগরিক সংলাপের মাধ্যমে ৬৪ জেলায় এই জনমত যাচাই কার্যক্রমকে অভাবনীয় এবং গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাইলফলক হিসেবেই দেখছেন সচেতন মহল। রাষ্ট্র সংস্কারে সুজনের এই জনমত সংগ্রহের নাগরিক সংলাপকে ঐতিহাসিক এবং সকল সরকারের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত বলে আখ্যা দিয়েছেন সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। #
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩৪
দুর্গাপূজায় সন্ধ্যা ৭টার আগেই প্রতিমা বিসর্জন শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দুর্গাপূজা ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি নেই। সন্ধ্যা ৭টার আগেরই প্রতিমা বিসর্জন শেষ করতে হবে। ২৪ ঘণ্টা মণ্ডপ পর্যবেক্ষণে থাকবে। আমাদের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত আনসার নিয়োগ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, পূজা উপলক্ষে আশপাশের মেলায় মদ ও গাজার আসর বসে। এবার এসব মেলা হবে। পূজায় মাজা-মদের আসর বসানো যাবে না। এবার সারা দেশে ৩৩ হাজার মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে
উপদেষ্টা বলেন, সীমান্ত এলাকায় বিজিবিকে পূজামণ্ডপের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এ ছাড়া সারা দেশেই আনসার নিয়োগ দেওয়া হবে। ঢাকায় লাইন করে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে। কার পরে কে বিসর্জন দেবে তার ধারাবাহিকতা থাকতে হবে।
এদিকে চলতি মাসের শেষের দিকে শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। পূজা ঘিরে সন্ত্রাসী হামলাসহ যে কোনো নাশকতা রোধে ১৮ দফা নির্দেশনা দেবে সরকার। কর্মকর্তারা জানান, দুর্গাপূজা নিয়ে ১৮ দফা নির্দেশনা প্রস্তুত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সভায় মাঠ কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার জন্য বলা হবে। দফাগুলো হলো ১. দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাব এবং আনসার ও ভিডিপির দৃশ্যমান টহল জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে বলা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
২. যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে পূর্বপ্রস্তুতি নিতে হবে। অপ্রত্যাশিতভাবে কোনো ঘটনার সূত্রপাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। ৩. দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পূজামণ্ডপগুলো পরিদর্শন করতে হবে।
৪. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এরূপ কোনো বক্তব্য বা গুজব ছড়ানোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ৫. সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটিগুলোকে পূজামণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক পাহারার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও পাহারাদার নিয়োজিত করতে হবে।
৬. প্রতিটি পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যবস্থা নিতে হবে। ৭. পূজামণ্ডপে নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক মোতায়ন করতে হবে।
৮. হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা বিধানে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ছাত্র-জনতাকে অন্তর্ভুক্ত করে মনিটরিং কমিটি গঠন করতে হবে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) এরূপ কমিটি গঠন করবেন।
৯. পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যদের সংশ্লিষ্ট পূজামণ্ডপে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালনকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা করতে হবে। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিদ্যুৎ বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করার ব্যবস্থা করতে হবে। ১০. সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মোবাইল নম্বর মন্দির বা মণ্ডপ প্রাঙ্গণে দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখার ও জেলা ও উপজেলা সব সরকারি ওয়েবসাইটে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে।
১১. পূজায় বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের ওপর কড়া নজরদারি অব্যাহত রাখাসহ পূজামণ্ডপের ভেতরে ব্যাগ বা সন্দেহজনক কোনো কিছু নিয়ে কেউ যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। প্রতিমা তৈরি থেকে পূজা সমাপ্তি পর্যন্ত প্রতিটি মন্দির বা মণ্ডপে নিজস্ব উদ্যোগে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
১২. প্রতিমা যেন ভাঙচুর না হয়, সেদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ১৩. প্রতিমা বিসর্জনস্থল ও মণ্ডপগুলোয় পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করতে হবে। মণ্ডপে নারী দর্শণার্থীদের স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত করতে হবে। ১৪. স্থানীয় বখাটেদের দ্বারা পূজামণ্ডপে আসা নারীদের উত্ত্যক্ত করা ও ইভটিজিং রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১৫. পূজা চলাকালে পটকা ও আতশবাজি পোড়ানো বন্ধসহ স্থায়ীভাবে আতশবাজির উপকরণ বিক্রি ও পোড়ানো নিষিদ্ধকরণের লক্ষ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ১৬. স্থানীয়ভাবে পূজামণ্ডপের পার্শ্বে উপযুক্ত স্থানে প্রতিমা বিসর্জনের আয়োজন করা এবং বিসর্জনস্থলে পর্যাপ্ত আলো ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ১৭. প্রতিমা বিসর্জনের সময় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল স্ট্যান্ডবাই থাকা এবং ১৮. যেসব পূজামণ্ডপে যাতায়াতের রাস্তা ব্যবহারের অনুপেযোগী, সেসব রাস্তা সাময়িক মেরামতের ব্যবস্থা নিতে হবে।
দুর্গাপূজায় সন্ধ্যা ৭টার আগেই প্রতিমা বিসর্জন শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দুর্গাপূজা ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি নেই। সন্ধ্যা ৭টার আগেরই প্রতিমা বিসর্জন শেষ করতে হবে। ২৪ ঘণ্টা মণ্ডপ পর্যবেক্ষণে থাকবে। আমাদের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত আনসার নিয়োগ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, পূজা উপলক্ষে আশপাশের মেলায় মদ ও গাজার আসর বসে। এবার এসব মেলা হবে। পূজায় মাজা-মদের আসর বসানো যাবে না। এবার সারা দেশে ৩৩ হাজার মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে
উপদেষ্টা বলেন, সীমান্ত এলাকায় বিজিবিকে পূজামণ্ডপের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এ ছাড়া সারা দেশেই আনসার নিয়োগ দেওয়া হবে। ঢাকায় লাইন করে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে। কার পরে কে বিসর্জন দেবে তার ধারাবাহিকতা থাকতে হবে।
এদিকে চলতি মাসের শেষের দিকে শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। পূজা ঘিরে সন্ত্রাসী হামলাসহ যে কোনো নাশকতা রোধে ১৮ দফা নির্দেশনা দেবে সরকার। কর্মকর্তারা জানান, দুর্গাপূজা নিয়ে ১৮ দফা নির্দেশনা প্রস্তুত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সভায় মাঠ কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার জন্য বলা হবে। দফাগুলো হলো ১. দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাব এবং আনসার ও ভিডিপির দৃশ্যমান টহল জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে বলা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
২. যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে পূর্বপ্রস্তুতি নিতে হবে। অপ্রত্যাশিতভাবে কোনো ঘটনার সূত্রপাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। ৩. দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পূজামণ্ডপগুলো পরিদর্শন করতে হবে।
৪. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এরূপ কোনো বক্তব্য বা গুজব ছড়ানোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ৫. সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটিগুলোকে পূজামণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক পাহারার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও পাহারাদার নিয়োজিত করতে হবে।
৬. প্রতিটি পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যবস্থা নিতে হবে। ৭. পূজামণ্ডপে নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক মোতায়ন করতে হবে।
৮. হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা বিধানে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ছাত্র-জনতাকে অন্তর্ভুক্ত করে মনিটরিং কমিটি গঠন করতে হবে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) এরূপ কমিটি গঠন করবেন।
৯. পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যদের সংশ্লিষ্ট পূজামণ্ডপে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালনকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা করতে হবে। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিদ্যুৎ বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করার ব্যবস্থা করতে হবে। ১০. সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মোবাইল নম্বর মন্দির বা মণ্ডপ প্রাঙ্গণে দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখার ও জেলা ও উপজেলা সব সরকারি ওয়েবসাইটে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে।
১১. পূজায় বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের ওপর কড়া নজরদারি অব্যাহত রাখাসহ পূজামণ্ডপের ভেতরে ব্যাগ বা সন্দেহজনক কোনো কিছু নিয়ে কেউ যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। প্রতিমা তৈরি থেকে পূজা সমাপ্তি পর্যন্ত প্রতিটি মন্দির বা মণ্ডপে নিজস্ব উদ্যোগে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
১২. প্রতিমা যেন ভাঙচুর না হয়, সেদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ১৩. প্রতিমা বিসর্জনস্থল ও মণ্ডপগুলোয় পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করতে হবে। মণ্ডপে নারী দর্শণার্থীদের স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত করতে হবে। ১৪. স্থানীয় বখাটেদের দ্বারা পূজামণ্ডপে আসা নারীদের উত্ত্যক্ত করা ও ইভটিজিং রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১৫. পূজা চলাকালে পটকা ও আতশবাজি পোড়ানো বন্ধসহ স্থায়ীভাবে আতশবাজির উপকরণ বিক্রি ও পোড়ানো নিষিদ্ধকরণের লক্ষ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ১৬. স্থানীয়ভাবে পূজামণ্ডপের পার্শ্বে উপযুক্ত স্থানে প্রতিমা বিসর্জনের আয়োজন করা এবং বিসর্জনস্থলে পর্যাপ্ত আলো ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ১৭. প্রতিমা বিসর্জনের সময় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল স্ট্যান্ডবাই থাকা এবং ১৮. যেসব পূজামণ্ডপে যাতায়াতের রাস্তা ব্যবহারের অনুপেযোগী, সেসব রাস্তা সাময়িক মেরামতের ব্যবস্থা নিতে হবে।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:৩৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচন (ডাকসু) দীর্ঘ ৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই- বিশেষত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্ৰীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের প্রশ্নই আসে না। এর আগেও সেনাবাহিনী কর্তৃক আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে।
এরপরও, একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ক্রমাগত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার স্বাভাবিক স্থিতিশীলতা বিনষ্টের অপচেষ্টা মাত্র, যা সার্বিক নির্বাচনী পরিবেশকে ব্যাহত করতে পারে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আশা করে দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিতব্য কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন যেন সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করে। সবশেষ বলা হয়, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী, ভোটার এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি সেনাবাহিনীর আন্তরিক শুভকামনা রইল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচন (ডাকসু) দীর্ঘ ৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই- বিশেষত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্ৰীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের প্রশ্নই আসে না। এর আগেও সেনাবাহিনী কর্তৃক আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে।
এরপরও, একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ক্রমাগত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার স্বাভাবিক স্থিতিশীলতা বিনষ্টের অপচেষ্টা মাত্র, যা সার্বিক নির্বাচনী পরিবেশকে ব্যাহত করতে পারে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আশা করে দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিতব্য কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন যেন সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করে। সবশেষ বলা হয়, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী, ভোটার এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি সেনাবাহিনীর আন্তরিক শুভকামনা রইল।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ০১:১২
বগুড়ায় পেট্রলপাম্পের এক কর্মকর্তাকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাকিবুল ইসলাম ওরফে রতন (২৬) নামের এক কর্মচারীকে আটকের কথা জানিয়েছে পুলিশ। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকা থেকে তাকে আটক করেন বগুড়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিবির ইনচার্জ (পরিদর্শক) ইকবাল হাসান জানান, হত্যার ঘটনার পরপর রতন বগুড়া থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কালিয়াকৈর মৌচাক এলাকা থেকে তাকে ডিবি টিম আটক করে। আটকের সময় তার কাছে নিহতের মোবাইল ফোন ও নগদ ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে বগুড়া শহরের দত্তবাড়ি এলাকায় শতাব্দী ফিলিং স্টেশনের অফিসকক্ষে ক্যাশিয়ার ইকবাল হাসান হেলালকে (৩৫) হাতুড়ির আঘাতে হত্যার এ ঘটনা ঘটে। পরে সকালে পাম্পের অন্য লোকজন এলে হত্যার বিষয়টি টের পাওয়া যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রতন জানিয়েছে, ফিলিং স্টেশনে বেশ কিছুদিন ধরে তেল চুরি হচ্ছিল। এই তেল চুরির জন্য তাকে দায়ী করে ইকবাল। সেই ক্ষোভ থেকে তাকে হত্যা করে রতন।
ডিবি ইনচার্জ জানান, রতনকে বগুড়ায় নিয়ে আসা হচ্ছে। কাল এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে শতাব্দী ফিলিং স্টেশনে খুনের ঘটনাটির সিসি ফুটেজ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, রাত আড়াইটার দিকে রতন একটি হাতুড়ি দিয়ে ইকবালের মাথায় একাধিকবার আঘাত করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত হলে রতন পালিয়ে যায়।
নিহত ইকবাল হোসেন সিরাজগঞ্জ সদরের পিপুলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। অন্যদিকে আটক রতন বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
বগুড়ায় পেট্রলপাম্পের এক কর্মকর্তাকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাকিবুল ইসলাম ওরফে রতন (২৬) নামের এক কর্মচারীকে আটকের কথা জানিয়েছে পুলিশ। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকা থেকে তাকে আটক করেন বগুড়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিবির ইনচার্জ (পরিদর্শক) ইকবাল হাসান জানান, হত্যার ঘটনার পরপর রতন বগুড়া থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কালিয়াকৈর মৌচাক এলাকা থেকে তাকে ডিবি টিম আটক করে। আটকের সময় তার কাছে নিহতের মোবাইল ফোন ও নগদ ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে বগুড়া শহরের দত্তবাড়ি এলাকায় শতাব্দী ফিলিং স্টেশনের অফিসকক্ষে ক্যাশিয়ার ইকবাল হাসান হেলালকে (৩৫) হাতুড়ির আঘাতে হত্যার এ ঘটনা ঘটে। পরে সকালে পাম্পের অন্য লোকজন এলে হত্যার বিষয়টি টের পাওয়া যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রতন জানিয়েছে, ফিলিং স্টেশনে বেশ কিছুদিন ধরে তেল চুরি হচ্ছিল। এই তেল চুরির জন্য তাকে দায়ী করে ইকবাল। সেই ক্ষোভ থেকে তাকে হত্যা করে রতন।
ডিবি ইনচার্জ জানান, রতনকে বগুড়ায় নিয়ে আসা হচ্ছে। কাল এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে শতাব্দী ফিলিং স্টেশনে খুনের ঘটনাটির সিসি ফুটেজ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, রাত আড়াইটার দিকে রতন একটি হাতুড়ি দিয়ে ইকবালের মাথায় একাধিকবার আঘাত করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত হলে রতন পালিয়ে যায়।
নিহত ইকবাল হোসেন সিরাজগঞ্জ সদরের পিপুলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। অন্যদিকে আটক রতন বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.