২৫ জুলাই, ২০২৫ ২৩:১৯
মাদারীপুরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে বিদেশি পিস্তল, কাটা রাইফেল ও এয়ারগানসহ বিপুল পরিমাণে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) ভোররাত থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের ঘুনসি গ্রামে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়।
এ সময় মাদারীপুর সদর উপজেলার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম-সমন্বয়কারী তুষার সব্যসাচীর বাবা মিলন সব্যসাচী ওরফে মিলন মাতুব্বরকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল করিম সব্যচারীর ছেলে।
একইসঙ্গে আরো তিন নারীসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। তারা হলেন সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের ঘুনসি গ্রামের শাহ আলম মাতুব্বরের ছেলে কামাল মাতুব্বর (৫৩) ও মনু মাতুব্বর (৫০), কালাম মাতুব্বরের স্ত্রী লাকি বেগম (৪৫), মফিজ মাতুব্বরের স্ত্রী পারুল বেগম (৪৫) এবং শিহাব মাতুব্বরের স্ত্রী খাদিজা বেগম (২৩। এ বিষয়ে শুক্রবার দুপুরে মাদারীপুর সেনা ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয়ে ঘুনসী এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করেন সেনা সদস্যরা। এ অভিযানে একই বংশের ৭টি বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় চারটি বাড়ি থেকে একটি ৭.৬৫ মিলিমিটার বিদেশি পিস্তল, একটি ৭.৬৫ মিলিমিটার পিস্তলের ম্যাগাজিন, ৫ রাউন্ড ৭.৬৫ মিলিমিটার পিস্তলের গুলি, একটি এয়ারগান, ১২০ রাউন্ড এয়ারগানের গুলি, একটি কাটা রাইফেল, একটি বেজবল, দুটি স্টিলের চাকু, দুটি চাইনিজ কুড়াল, ৭টি রামদা, একটি বল্লম, ১৮টি টেঁটা, একটি বিদেশি টর্চ লাইট, ৫টি মোবাইল ফোন, একটি ট্যাব, একটি এনআইডি কার্ড ও পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে বাড়িতে এসব অবৈধ অস্ত্র রাখার অপরাধে তিন নারীসহ ছয়জনকে আটক করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পরে উদ্ধারকৃত বিদেশি ও দেশীয় অস্ত্রসহ আটককৃতদের সদর মডেল থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মাদারীপুর সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর কাজী ফয়সাল ফারুক বলেন, আকটদের কাছে অবৈধভাবে এসব অস্ত্র মজুদ ছিল। তাদের কাছ থেকে কোনো লাইসেন্স আমরা পাইনি। এসব অস্ত্র ব্যবহার করে নাশকতা ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন তারা। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনীর ৭ পদাতিক ডিভিশনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে, আগামীতেও থাকবে।
এদিকে মাদারীপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র ও সদর উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সমন্বয়কারী তুষার সব্যসাচী সাংবাদিকদের বলেন, বাড়িতে নির্মাণকাজ চলায় গত এক সপ্তাহ ধরে আমার বাবা প্রতিবেশী এক চাচার বাড়িতে রাতে আশ্রয় নিতেন। ওই বাড়িতে অভিযান চালান সেনা সদস্যরা। এ সময় আমার বাবাকেও আটক করা হয়। কিন্তু আমার বাবা ও আমি এসব অস্ত্র মজুদের বিষয়ে কিছুই জানি না। আমরা কোনো অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নই। আমার বাড়িতে সেনাবাহিনীর কোনো অভিযানও হয়নি।’
মাদারীপুরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে বিদেশি পিস্তল, কাটা রাইফেল ও এয়ারগানসহ বিপুল পরিমাণে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) ভোররাত থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের ঘুনসি গ্রামে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়।
এ সময় মাদারীপুর সদর উপজেলার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম-সমন্বয়কারী তুষার সব্যসাচীর বাবা মিলন সব্যসাচী ওরফে মিলন মাতুব্বরকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল করিম সব্যচারীর ছেলে।
একইসঙ্গে আরো তিন নারীসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। তারা হলেন সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের ঘুনসি গ্রামের শাহ আলম মাতুব্বরের ছেলে কামাল মাতুব্বর (৫৩) ও মনু মাতুব্বর (৫০), কালাম মাতুব্বরের স্ত্রী লাকি বেগম (৪৫), মফিজ মাতুব্বরের স্ত্রী পারুল বেগম (৪৫) এবং শিহাব মাতুব্বরের স্ত্রী খাদিজা বেগম (২৩। এ বিষয়ে শুক্রবার দুপুরে মাদারীপুর সেনা ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয়ে ঘুনসী এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করেন সেনা সদস্যরা। এ অভিযানে একই বংশের ৭টি বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় চারটি বাড়ি থেকে একটি ৭.৬৫ মিলিমিটার বিদেশি পিস্তল, একটি ৭.৬৫ মিলিমিটার পিস্তলের ম্যাগাজিন, ৫ রাউন্ড ৭.৬৫ মিলিমিটার পিস্তলের গুলি, একটি এয়ারগান, ১২০ রাউন্ড এয়ারগানের গুলি, একটি কাটা রাইফেল, একটি বেজবল, দুটি স্টিলের চাকু, দুটি চাইনিজ কুড়াল, ৭টি রামদা, একটি বল্লম, ১৮টি টেঁটা, একটি বিদেশি টর্চ লাইট, ৫টি মোবাইল ফোন, একটি ট্যাব, একটি এনআইডি কার্ড ও পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে বাড়িতে এসব অবৈধ অস্ত্র রাখার অপরাধে তিন নারীসহ ছয়জনকে আটক করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পরে উদ্ধারকৃত বিদেশি ও দেশীয় অস্ত্রসহ আটককৃতদের সদর মডেল থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মাদারীপুর সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর কাজী ফয়সাল ফারুক বলেন, আকটদের কাছে অবৈধভাবে এসব অস্ত্র মজুদ ছিল। তাদের কাছ থেকে কোনো লাইসেন্স আমরা পাইনি। এসব অস্ত্র ব্যবহার করে নাশকতা ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন তারা। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনীর ৭ পদাতিক ডিভিশনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে, আগামীতেও থাকবে।
এদিকে মাদারীপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র ও সদর উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সমন্বয়কারী তুষার সব্যসাচী সাংবাদিকদের বলেন, বাড়িতে নির্মাণকাজ চলায় গত এক সপ্তাহ ধরে আমার বাবা প্রতিবেশী এক চাচার বাড়িতে রাতে আশ্রয় নিতেন। ওই বাড়িতে অভিযান চালান সেনা সদস্যরা। এ সময় আমার বাবাকেও আটক করা হয়। কিন্তু আমার বাবা ও আমি এসব অস্ত্র মজুদের বিষয়ে কিছুই জানি না। আমরা কোনো অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নই। আমার বাড়িতে সেনাবাহিনীর কোনো অভিযানও হয়নি।’
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:২৬
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় নজরুল ইসলাম (৪০) নামে এক জামায়াত নেতাকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের শীতলগ্রাম এলাকায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নজরুল ইসলাম একই গ্রাামের মৃত তফেজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি জামতলী বাজারে মোবাইল টাকা লেনদেন (বিকাশের দোকান) ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি গোবিন্দগঞ্জে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের স্থানীয় ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন। তার দলীয় পরিচয় একাধিক জামায়াতের নেতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জাানায়, নজরুল ইসলামের গ্রামের জামতলী বাজারে বিকাশের দোকান ছিল। শনিবার বিকালে বাড়ি থেকে দোকানে যায়। এরপর গভীর রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে রাতে তার ব্যবহারকৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। আজ সকালে বাজারের অদূরে রাস্তার পাশে তার গলা কাটা লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের গলা ধারালো কোন অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছে। এটি কোন রাজনৈতিক বা ব্যবসায়ীক সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। হত্যার কারণ জানতে পুলিশ কাজ করছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় নজরুল ইসলাম (৪০) নামে এক জামায়াত নেতাকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের শীতলগ্রাম এলাকায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নজরুল ইসলাম একই গ্রাামের মৃত তফেজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি জামতলী বাজারে মোবাইল টাকা লেনদেন (বিকাশের দোকান) ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি গোবিন্দগঞ্জে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের স্থানীয় ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন। তার দলীয় পরিচয় একাধিক জামায়াতের নেতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জাানায়, নজরুল ইসলামের গ্রামের জামতলী বাজারে বিকাশের দোকান ছিল। শনিবার বিকালে বাড়ি থেকে দোকানে যায়। এরপর গভীর রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে রাতে তার ব্যবহারকৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। আজ সকালে বাজারের অদূরে রাস্তার পাশে তার গলা কাটা লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের গলা ধারালো কোন অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছে। এটি কোন রাজনৈতিক বা ব্যবসায়ীক সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। হত্যার কারণ জানতে পুলিশ কাজ করছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:০৮
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং ক্ষুব্ধ জনতা শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৬ আগস্ট) ক্লাস শেষে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় এক ছাত্রীকে নিয়ে দীর্ঘ ৩৭ মিনিট অবস্থান করেন শিক্ষক শফিকুর রহমান। পরদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলামসহ এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের সঠিক প্রতিকার না মেলায় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে সহকারী শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়।
ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক শফিকুর রহমান এর আগেও একটি মেয়েটির সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করছিল। স্থানীয় জনতা হাতেনাতে এটা ধরে ফেলে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও শিক্ষক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, প্রশ্ন ফাঁস ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গত ২৬ মে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
শফিকুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজহারুজ্জামান মুকুল বলেন, আমি বিদ্যালয়ে এসে ঘটনাটি শুনেছি।
তবে লিখিত বা মৌখিকভাবে কোনো অভিযোগ পাইনি। শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে অবশ্যই শোকজ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষককে এভাবে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া একেবারেই অপ্রত্যাশিত এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং ক্ষুব্ধ জনতা শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৬ আগস্ট) ক্লাস শেষে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় এক ছাত্রীকে নিয়ে দীর্ঘ ৩৭ মিনিট অবস্থান করেন শিক্ষক শফিকুর রহমান। পরদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলামসহ এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের সঠিক প্রতিকার না মেলায় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে সহকারী শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়।
ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক শফিকুর রহমান এর আগেও একটি মেয়েটির সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করছিল। স্থানীয় জনতা হাতেনাতে এটা ধরে ফেলে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও শিক্ষক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, প্রশ্ন ফাঁস ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গত ২৬ মে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
শফিকুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজহারুজ্জামান মুকুল বলেন, আমি বিদ্যালয়ে এসে ঘটনাটি শুনেছি।
তবে লিখিত বা মৌখিকভাবে কোনো অভিযোগ পাইনি। শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে অবশ্যই শোকজ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষককে এভাবে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া একেবারেই অপ্রত্যাশিত এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর।
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:৩৬
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বাল্কহেডে ডাকাতি করতে গিয়ে ককটেল বিস্ফোরিত হয়ে এক ডাকাত সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য দুই ডাকাতকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করেছে জনতা। অন্যদিকে ডাকাত দলের হামলায় আহত হয়েছেন স্থানীয় দুই বাসিন্দা।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে গজারিয়া উপজেলা হোসেন্দি ইউনিয়নের ভাটি বলাকী গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ডাকাতের নাম চাঁন মিয়া (৪৮)। আহতরা হলেন—ভাটি বলাকী ইসহাক বেপারীর ছেলে আলম (৩৭) ও একই গ্রামের রাসেলের ছেলে সোহাগ (১৬)।
স্থানীয়রা জানায়, হোসেন্দি ইউনিয়নের ভাটি বলাকী গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে নোঙর করে রাখা ছিল কয়েকটি বাল্কহেড। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে একটি স্পিডবোট নিয়ে সেখানে ডাকাতির চেষ্টা করে সংঘবদ্ধ একটি নৌ ডাকাত দল। তবে নদীতে জেলেরা থাকায় সুবিধা করতে না পেরে তারা ফিরে যায়।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একটি স্পিডবোট ও একটি ট্রলার নিয়ে তারা আবার ফিরে আসে। খবর পেয়ে ভাটি বলাকী গ্রামের লোকজন তাদের বাধা দিলে আতঙ্ক তৈরি করতে ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে ২-৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় ডাকাত দল।
এ সময় ট্রলার থেকে গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়তে গিয়ে ডাকাত দলের এক সদস্যের হাতে বিস্ফোরিত হয়। এতে ওই ডাকাত সদস্যের এক হাতের কবজি উড়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে স্পিডবোটে থাকা ৫-৬ জন ডাকাত পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে ট্রলারে থাকা ডাকাত দলের তিন সদস্যকে ধাওয়া দিয়ে নারায়ণগঞ্জের চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় থেকে আটক করে জনতা। পরে উত্তেজিত জনতা তাদের গণধোলাই দিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায় একজন।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, নদী আর ঘটনাস্থল নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির সীমানায় পড়ায় বিষয়টি তারা দেখছেন। বিষয়টি সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সালেহ আহম্মেদ পাঠান বলেন, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার আনন্দবাজার এলাকা থেকে ছিনতাই করা ট্রলার ও স্পিডবোট নিয়ে কয়েকজন ডাকাত মেঘনা নদীর গজারিয়া উপজেলার ভাটি বলাকী এলাকায় ডাকাতি করতে যায়।
স্থানীয়রা তাদের বাধা দিলে ডাকাতরা জনগণকে লক্ষ্য করে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। ককটেল নিজের হাতে বিস্ফোরিত হয়ে এক ডাকাত সদস্যের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাকেসহ তিন ডাকাতকে গণধোলাই দিয়ে জনতা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। তাদের তিনজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য তাদের নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পর চাঁন মিয়া নামে এক ডাকাত মারা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছি।
নারায়ণগঞ্জের জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া) আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জহিরুল ইসলাম, এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত আমাদের হাসপাতালে দুজন রোগী আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন যার হাতে ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছিল, সে মারা গেছে। আরেকজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে নৌপুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, এই ঘটনায় এক ডাকাত সদস্য নিহত হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বাল্কহেডে ডাকাতি করতে গিয়ে ককটেল বিস্ফোরিত হয়ে এক ডাকাত সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য দুই ডাকাতকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করেছে জনতা। অন্যদিকে ডাকাত দলের হামলায় আহত হয়েছেন স্থানীয় দুই বাসিন্দা।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে গজারিয়া উপজেলা হোসেন্দি ইউনিয়নের ভাটি বলাকী গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ডাকাতের নাম চাঁন মিয়া (৪৮)। আহতরা হলেন—ভাটি বলাকী ইসহাক বেপারীর ছেলে আলম (৩৭) ও একই গ্রামের রাসেলের ছেলে সোহাগ (১৬)।
স্থানীয়রা জানায়, হোসেন্দি ইউনিয়নের ভাটি বলাকী গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে নোঙর করে রাখা ছিল কয়েকটি বাল্কহেড। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে একটি স্পিডবোট নিয়ে সেখানে ডাকাতির চেষ্টা করে সংঘবদ্ধ একটি নৌ ডাকাত দল। তবে নদীতে জেলেরা থাকায় সুবিধা করতে না পেরে তারা ফিরে যায়।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একটি স্পিডবোট ও একটি ট্রলার নিয়ে তারা আবার ফিরে আসে। খবর পেয়ে ভাটি বলাকী গ্রামের লোকজন তাদের বাধা দিলে আতঙ্ক তৈরি করতে ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে ২-৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় ডাকাত দল।
এ সময় ট্রলার থেকে গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়তে গিয়ে ডাকাত দলের এক সদস্যের হাতে বিস্ফোরিত হয়। এতে ওই ডাকাত সদস্যের এক হাতের কবজি উড়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে স্পিডবোটে থাকা ৫-৬ জন ডাকাত পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে ট্রলারে থাকা ডাকাত দলের তিন সদস্যকে ধাওয়া দিয়ে নারায়ণগঞ্জের চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় থেকে আটক করে জনতা। পরে উত্তেজিত জনতা তাদের গণধোলাই দিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায় একজন।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, নদী আর ঘটনাস্থল নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির সীমানায় পড়ায় বিষয়টি তারা দেখছেন। বিষয়টি সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সালেহ আহম্মেদ পাঠান বলেন, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার আনন্দবাজার এলাকা থেকে ছিনতাই করা ট্রলার ও স্পিডবোট নিয়ে কয়েকজন ডাকাত মেঘনা নদীর গজারিয়া উপজেলার ভাটি বলাকী এলাকায় ডাকাতি করতে যায়।
স্থানীয়রা তাদের বাধা দিলে ডাকাতরা জনগণকে লক্ষ্য করে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। ককটেল নিজের হাতে বিস্ফোরিত হয়ে এক ডাকাত সদস্যের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাকেসহ তিন ডাকাতকে গণধোলাই দিয়ে জনতা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। তাদের তিনজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য তাদের নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পর চাঁন মিয়া নামে এক ডাকাত মারা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছি।
নারায়ণগঞ্জের জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া) আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জহিরুল ইসলাম, এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত আমাদের হাসপাতালে দুজন রোগী আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন যার হাতে ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছিল, সে মারা গেছে। আরেকজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে নৌপুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, এই ঘটনায় এক ডাকাত সদস্য নিহত হয়েছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৫৯
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৫৪
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৫২
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৪৯