
১১ জুন, ২০২৫ ১৩:৫০
নোয়াখালীর হাতিয়ায় বিএনপির একপক্ষের ঈদ পুনর্মিলনী সমাবেশে যাওয়ার পথে অন্য পক্ষের হামলা ও উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ৩৫ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে ২৫ জনকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে গুরুতর আহত চারজনকে সেখান থেকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার তমরদ্দি ইউনিয়নের বলীর পুলের পশ্চিম পাশে রাস্তার মাথায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন তমরদ্দি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সানা উল্লাহ, আনোয়ার হোসেন, নুর ইসলাম, খোকন, দিদার, এনায়েত হোসেন, জাহাজমারা ইউনিয়নের মো. হানিফ, বুড়িরচর ইউনিয়নের রুবেল, চরকিং ইউনিয়নের নোমান, সাগরসহ ৩৫ জন।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে তমরুদ্দি বাজারে মঙ্গলবার বেলা ৩টায় ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি অংশ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করা হয় কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান ওরফে শামীমকে। এদিন আনুমানিক দুপুর ১টার দিকে শামীমের অনুসারীরা অনুষ্ঠানে আসা শুরু করেন। পথে তমরুদ্দি বাজারে তাদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
শামীমের অনুসারীদের অভিযোগ, সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমের অনুসারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর কবিরের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন।
এ নিয়ে বাজারের আশপাশে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের ৩৫ জন আহত হন। এর মধ্যে ২৫ জন হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। চারজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
হামলায় আহত তাঁতিদলের তমরদ্দি ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহেদ বলেন, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীমের ঈদ পুনর্মিলনী কর্মসূচিতে আমরা বিএনপির নেতাকর্মীরা ১নং খিরিদিয়া ওয়ার্ড থেকে মিছিলযোগে রওনা হয়েছিলাম।
হঠাৎ করে আমাদের মিছিলের পেছন দিয়ে কয়েকজন অস্ত্রধারী হামলা চালায়। এ সময় আমিসহ আমাদের প্রায় ৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। হামলাকারীরা হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের অনুসারি।
হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, হাতিয়া উপজেলায় কিছু বহিরাগত লোকজন রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে আমাদের ঘাটের কয়েকজন শ্রমিকের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হন। আমাদের পক্ষ থেকে তাদের ওপর কোনো হামলা চালানো হয়নি।
হামলার বিষয়ে জানতে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের মুঠেফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ না করায় তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম আজমল হুদা বলেন, দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের খবর শুনেছি। তবে আমাদের কাছে এখনো কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ দেননি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে, হামলায় আহতদের দেখতে রাত পৌনে ১১টার দিকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ। সেখানে চিকিৎসারতদের তিনি সার্বিক খোঁজখবর নেন।
এ সময় গণমাধ্যমকে হান্নান মাসউদ বলেন, হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে সেখানে চিকিৎসারত রোগীদের খোঁজখবর নিয়েছি। এখানে রাজনৈতিক সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের সঙ্গেও কথা বলে তাদের চিকিৎসার সার্বিক খোঁজখবর নিয়েছি। কোনো ধরনের সংঘাত সংঘর্ষ আমাদের কাম্য নয়।
নোয়াখালীর হাতিয়ায় বিএনপির একপক্ষের ঈদ পুনর্মিলনী সমাবেশে যাওয়ার পথে অন্য পক্ষের হামলা ও উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ৩৫ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে ২৫ জনকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে গুরুতর আহত চারজনকে সেখান থেকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার তমরদ্দি ইউনিয়নের বলীর পুলের পশ্চিম পাশে রাস্তার মাথায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন তমরদ্দি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সানা উল্লাহ, আনোয়ার হোসেন, নুর ইসলাম, খোকন, দিদার, এনায়েত হোসেন, জাহাজমারা ইউনিয়নের মো. হানিফ, বুড়িরচর ইউনিয়নের রুবেল, চরকিং ইউনিয়নের নোমান, সাগরসহ ৩৫ জন।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে তমরুদ্দি বাজারে মঙ্গলবার বেলা ৩টায় ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি অংশ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করা হয় কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান ওরফে শামীমকে। এদিন আনুমানিক দুপুর ১টার দিকে শামীমের অনুসারীরা অনুষ্ঠানে আসা শুরু করেন। পথে তমরুদ্দি বাজারে তাদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
শামীমের অনুসারীদের অভিযোগ, সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমের অনুসারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর কবিরের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন।
এ নিয়ে বাজারের আশপাশে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের ৩৫ জন আহত হন। এর মধ্যে ২৫ জন হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। চারজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
হামলায় আহত তাঁতিদলের তমরদ্দি ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহেদ বলেন, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীমের ঈদ পুনর্মিলনী কর্মসূচিতে আমরা বিএনপির নেতাকর্মীরা ১নং খিরিদিয়া ওয়ার্ড থেকে মিছিলযোগে রওনা হয়েছিলাম।
হঠাৎ করে আমাদের মিছিলের পেছন দিয়ে কয়েকজন অস্ত্রধারী হামলা চালায়। এ সময় আমিসহ আমাদের প্রায় ৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। হামলাকারীরা হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের অনুসারি।
হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, হাতিয়া উপজেলায় কিছু বহিরাগত লোকজন রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে আমাদের ঘাটের কয়েকজন শ্রমিকের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হন। আমাদের পক্ষ থেকে তাদের ওপর কোনো হামলা চালানো হয়নি।
হামলার বিষয়ে জানতে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের মুঠেফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ না করায় তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম আজমল হুদা বলেন, দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের খবর শুনেছি। তবে আমাদের কাছে এখনো কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ দেননি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে, হামলায় আহতদের দেখতে রাত পৌনে ১১টার দিকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ। সেখানে চিকিৎসারতদের তিনি সার্বিক খোঁজখবর নেন।
এ সময় গণমাধ্যমকে হান্নান মাসউদ বলেন, হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে সেখানে চিকিৎসারত রোগীদের খোঁজখবর নিয়েছি। এখানে রাজনৈতিক সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের সঙ্গেও কথা বলে তাদের চিকিৎসার সার্বিক খোঁজখবর নিয়েছি। কোনো ধরনের সংঘাত সংঘর্ষ আমাদের কাম্য নয়।

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:১৯
এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন এক সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওসমান হাদির ওপর হামলার পর যেহেতু ফয়সাল করিম মাসুদ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত হয়েছেন, সেহেতু তার বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। আমরাও তার আর্থিক কোনো অপরাধ আছে কি না, সেগুলোর অনুসন্ধান করব।
শোনা যাচ্ছে এবং অনেক আলোচনা রয়েছে যে এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য ভারত থেকে অনেক ফান্ডিং হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ফলে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য মূলত হিসাবগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্য। এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করে তথ্য চাওয়া হয়। পুলিশের বিবৃতিতে সন্দেহভাজন তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে ধারণা করা হয়। তাকে আগেও হাদির সঙ্গে দেখা গেছে।
তবে কয়েক দিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণই যে তিনি সে বিষয়ে পুলিশের কাছ থেকে কোনো তথ্য মেলেনি।
গত মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
জানা গেছে, ফয়সাল করিম নামের ওই তরুণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন।
এদিকে, ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। মোটরসাইকেলটির মালিক সন্দেহে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) আব্দুল হান্নান (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হন ওসমান হাদি। তিনি জাতীয় সংসদের ঢাকা-৮ আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। সেদিন রাত থেকে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
হাদির চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে থাকা শরিফ ওসমান হাদির সার্বিক পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।’
এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন এক সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওসমান হাদির ওপর হামলার পর যেহেতু ফয়সাল করিম মাসুদ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত হয়েছেন, সেহেতু তার বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। আমরাও তার আর্থিক কোনো অপরাধ আছে কি না, সেগুলোর অনুসন্ধান করব।
শোনা যাচ্ছে এবং অনেক আলোচনা রয়েছে যে এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য ভারত থেকে অনেক ফান্ডিং হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ফলে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য মূলত হিসাবগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্য। এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করে তথ্য চাওয়া হয়। পুলিশের বিবৃতিতে সন্দেহভাজন তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে ধারণা করা হয়। তাকে আগেও হাদির সঙ্গে দেখা গেছে।
তবে কয়েক দিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণই যে তিনি সে বিষয়ে পুলিশের কাছ থেকে কোনো তথ্য মেলেনি।
গত মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
জানা গেছে, ফয়সাল করিম নামের ওই তরুণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন।
এদিকে, ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। মোটরসাইকেলটির মালিক সন্দেহে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) আব্দুল হান্নান (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হন ওসমান হাদি। তিনি জাতীয় সংসদের ঢাকা-৮ আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। সেদিন রাত থেকে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
হাদির চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে থাকা শরিফ ওসমান হাদির সার্বিক পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।’

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:১৩
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করার ঘটনার সঙ্গে জড়িত শ্যুটার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান ও তার সহযোগী বাইকচালক আলমগীর হোসেন বর্তমানে আসামের গুয়াহাটিতে অবস্থান করছেন বলে দাবি করেছেন আল-জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন দাবি করেন।
পোস্টে সায়ের বলেন, তারা ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের বর্তমান অবস্থান আসামের গুয়াহাটি শহরে।
জুলকারনাইনের দাবি, ভারতে তাদের সহায়তা করছেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লব। বিপ্লবের তত্বাবধানে এই হত্যাকারীরা ভারতে অবস্থান করছে।
হাদির ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে- অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই আক্রমণ করা হয়েছে এবং আরও কয়েকটি হিট টিমের একইরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তির পরিকল্পনা রয়েছে।
সায়ের বলেন, এদিকে মূল শ্যুটার ফয়সাল তার ঘনিষ্ঠ মহলে দাবি করেছেন, ব্যবহৃত অস্ত্রটি জ্যাম হয়ে যাওয়ায় তিনি কেবল একটি গুলি করতে সক্ষম হন। তার পরিকল্পনা ছিল চারটি গুলি করার।
সায়েরের পোস্ট অনুযায়ী, সূত্র দাবি করেছে ফয়সালের মতোই আরেক অস্ত্রধারী ক্যাডার চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য মো. সাজ্জাদ, যাকে গত ১৩ মে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে ফয়সাল আহমেদ শান্ত হত্যার মামলায়।
তবে ২৯ জুলাই সাজ্জাদ সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে কারামুক্ত হন।
সাংবাদিক সায়ের বলেন, অনতিবিলম্বে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠনের যে সব অস্ত্রধারী ক্যাডারকে বিভিন্ন মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছে, তাদের প্রত্যকের বর্তমান অবস্থান যাচাই ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া জরুরি।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করার ঘটনার সঙ্গে জড়িত শ্যুটার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান ও তার সহযোগী বাইকচালক আলমগীর হোসেন বর্তমানে আসামের গুয়াহাটিতে অবস্থান করছেন বলে দাবি করেছেন আল-জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন দাবি করেন।
পোস্টে সায়ের বলেন, তারা ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের বর্তমান অবস্থান আসামের গুয়াহাটি শহরে।
জুলকারনাইনের দাবি, ভারতে তাদের সহায়তা করছেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লব। বিপ্লবের তত্বাবধানে এই হত্যাকারীরা ভারতে অবস্থান করছে।
হাদির ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে- অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই আক্রমণ করা হয়েছে এবং আরও কয়েকটি হিট টিমের একইরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তির পরিকল্পনা রয়েছে।
সায়ের বলেন, এদিকে মূল শ্যুটার ফয়সাল তার ঘনিষ্ঠ মহলে দাবি করেছেন, ব্যবহৃত অস্ত্রটি জ্যাম হয়ে যাওয়ায় তিনি কেবল একটি গুলি করতে সক্ষম হন। তার পরিকল্পনা ছিল চারটি গুলি করার।
সায়েরের পোস্ট অনুযায়ী, সূত্র দাবি করেছে ফয়সালের মতোই আরেক অস্ত্রধারী ক্যাডার চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য মো. সাজ্জাদ, যাকে গত ১৩ মে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে ফয়সাল আহমেদ শান্ত হত্যার মামলায়।
তবে ২৯ জুলাই সাজ্জাদ সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে কারামুক্ত হন।
সাংবাদিক সায়ের বলেন, অনতিবিলম্বে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠনের যে সব অস্ত্রধারী ক্যাডারকে বিভিন্ন মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছে, তাদের প্রত্যকের বর্তমান অবস্থান যাচাই ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া জরুরি।

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৫৭
রাজধানীর মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এক সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এলাকায় হামলার এই ভিডিও ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, একজন যুবক দৌড়ে এসে এক সাংবাদিককের হাত ধরে ঘুরিয়ে ফেলে দেন। পরে ওই যুবক দৌড়ে পালানোর সময় পুলিশ তাকে আটক করে।
পরে উত্তেজিত জনতা তাকে মারধরের চেষ্টা করলে পুলিশ তাতে বাধা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে হামলাকারী যুবক এবং হামলার শিকার সাংবাদিকের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল ৭টায় রাষ্ট্রপতি মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর সকাল ৭টা ২০ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা।
রাজধানীর মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এক সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এলাকায় হামলার এই ভিডিও ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, একজন যুবক দৌড়ে এসে এক সাংবাদিককের হাত ধরে ঘুরিয়ে ফেলে দেন। পরে ওই যুবক দৌড়ে পালানোর সময় পুলিশ তাকে আটক করে।
পরে উত্তেজিত জনতা তাকে মারধরের চেষ্টা করলে পুলিশ তাতে বাধা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে হামলাকারী যুবক এবং হামলার শিকার সাংবাদিকের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল ৭টায় রাষ্ট্রপতি মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর সকাল ৭টা ২০ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.