
১২ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৯
প্যাসিফিকে দু’দিন ব্যাপি বিসিবি কনফারেন্স শেষে এবং বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলার কথা ছিল বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের। কিন্তু উপস্থিত সাংবাদিকরা তা না করে ফিরে যান নিজ নিজ গন্তব্যে।
তারও আগে ওই কনফারেন্সের শেষ দিনটি ছিল ১০ নভেম্বর; বাংলাদেশের টেস্ট অভিষেকের দিন। ২৫ বছর আগে ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে টেস্ট খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ।
বিসিবি কনফারেন্সের শেষ দিন ১০ নভেম্বর পড়ে যাওয়ায় সেই দিনটি সাংবাদিকদের সাথে মিলেমিশে উপভোগ করার আগাম ঘোষণা দিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি। আগের দিন নিজের বক্তব্যে তেমনটাই জানিয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, ১০ নভেম্বর বিকেল ৪টায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
কিন্তু পরদিন (১০ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় সংবাদ সম্মেলন কভার করতে এসে সাংবাদিকরা সোনারগাঁও প্যান প্যাসিফিকের লবিতেও ঢুকে পারেননি। এক থেকে দেড় ঘণ্টার মত বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাংবাদিকরা। এক বোতল পানিও পাননি কেউ।
শেষ পর্যন্ত ক্ষোভে, দুঃখে এবং হতাশায় তারা আর বিসিবি প্রধানের সংবাদ সম্মেলন কভার করেননি। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে সাথে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি।
৪৮ ঘণ্টা পর সেই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আজ বুধবার বিকেলে এক ভিডিও বার্তায় সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।
ভিডিও বার্তায় বুলবুল যা বলেছেন, তা হলো- ‘আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত সাংবাদিক ভাই এবং বোনেরা। গত দশই নভেম্বর একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গিয়েছিল। আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্সের দ্বিতীয় দিনের সমাপনী অনুষ্ঠান এবং বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিলাম। আমি নিজে আপনাদেরকে সেখানে দাওয়াত দিয়েছিলাম। যদিও অনুষ্ঠান শেষ হতে কিছুটা সময় লেগে গিয়েছিল, যখন বাইরে এসে দেখলাম যে আপনাদেরকে যথাযথ সম্মান জানানো হয়নি এবং আমন্ত্রণ জানানোর পরও আমন্ত্রণ রক্ষা করার যে সৌজন্যতা আমাদের ক্রিকেট বোর্ডের বা আমার কাজ ছিল, তাতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। আপনাদের কাছে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’
‘তবে এটাও আপনাদেরকে কথা দিচ্ছি যে, আমাদের কোন বিভাগের কারণে এই ব্যর্থতাটি এসেছে, সেটা আমরা তদন্ত করব এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেব। আমরা আপনাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি, এই জন্য যে আপনারা এই ক্রিকেটের উন্নয়ন ও এগিয়ে যাওয়ার অন্যতম বড় অংশীদার। ভুল আমরা করেছি। ভবিষ্যতে আমরা চেষ্টা করব এ ধরনের ভুল যেন আর না হয়।’
‘আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন। আমরা সকলে মিলে ক্রিকেটকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। সবসময় যেভাবে আপনারা আমাদেরকে সাহায্য করেছেন, আশা করছি সেভাবে শুধু সাহায্যই করবেন না, আমাদের পথের জার্নির একটি অংশ হয়ে থাকবেন। আপনাদের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি। ধন্যবাদ। আসসালামু আলাইকুম।’
প্যাসিফিকে দু’দিন ব্যাপি বিসিবি কনফারেন্স শেষে এবং বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলার কথা ছিল বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের। কিন্তু উপস্থিত সাংবাদিকরা তা না করে ফিরে যান নিজ নিজ গন্তব্যে।
তারও আগে ওই কনফারেন্সের শেষ দিনটি ছিল ১০ নভেম্বর; বাংলাদেশের টেস্ট অভিষেকের দিন। ২৫ বছর আগে ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে টেস্ট খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ।
বিসিবি কনফারেন্সের শেষ দিন ১০ নভেম্বর পড়ে যাওয়ায় সেই দিনটি সাংবাদিকদের সাথে মিলেমিশে উপভোগ করার আগাম ঘোষণা দিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি। আগের দিন নিজের বক্তব্যে তেমনটাই জানিয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, ১০ নভেম্বর বিকেল ৪টায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
কিন্তু পরদিন (১০ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় সংবাদ সম্মেলন কভার করতে এসে সাংবাদিকরা সোনারগাঁও প্যান প্যাসিফিকের লবিতেও ঢুকে পারেননি। এক থেকে দেড় ঘণ্টার মত বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাংবাদিকরা। এক বোতল পানিও পাননি কেউ।
শেষ পর্যন্ত ক্ষোভে, দুঃখে এবং হতাশায় তারা আর বিসিবি প্রধানের সংবাদ সম্মেলন কভার করেননি। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে সাথে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি।
৪৮ ঘণ্টা পর সেই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আজ বুধবার বিকেলে এক ভিডিও বার্তায় সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।
ভিডিও বার্তায় বুলবুল যা বলেছেন, তা হলো- ‘আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত সাংবাদিক ভাই এবং বোনেরা। গত দশই নভেম্বর একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গিয়েছিল। আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্সের দ্বিতীয় দিনের সমাপনী অনুষ্ঠান এবং বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিলাম। আমি নিজে আপনাদেরকে সেখানে দাওয়াত দিয়েছিলাম। যদিও অনুষ্ঠান শেষ হতে কিছুটা সময় লেগে গিয়েছিল, যখন বাইরে এসে দেখলাম যে আপনাদেরকে যথাযথ সম্মান জানানো হয়নি এবং আমন্ত্রণ জানানোর পরও আমন্ত্রণ রক্ষা করার যে সৌজন্যতা আমাদের ক্রিকেট বোর্ডের বা আমার কাজ ছিল, তাতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। আপনাদের কাছে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’
‘তবে এটাও আপনাদেরকে কথা দিচ্ছি যে, আমাদের কোন বিভাগের কারণে এই ব্যর্থতাটি এসেছে, সেটা আমরা তদন্ত করব এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেব। আমরা আপনাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি, এই জন্য যে আপনারা এই ক্রিকেটের উন্নয়ন ও এগিয়ে যাওয়ার অন্যতম বড় অংশীদার। ভুল আমরা করেছি। ভবিষ্যতে আমরা চেষ্টা করব এ ধরনের ভুল যেন আর না হয়।’
‘আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন। আমরা সকলে মিলে ক্রিকেটকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। সবসময় যেভাবে আপনারা আমাদেরকে সাহায্য করেছেন, আশা করছি সেভাবে শুধু সাহায্যই করবেন না, আমাদের পথের জার্নির একটি অংশ হয়ে থাকবেন। আপনাদের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি। ধন্যবাদ। আসসালামু আলাইকুম।’

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:৫৯
আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) মৌসুমকে সামনে রেখে ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব নিতে আজ রবিবার ঢাকায় পৌঁছেছেন কিংবদন্তি পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার। ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ খ্যাত এই তারকাকে ঢাকায় পৌঁছানোর পর উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান রিমার্ক এইচবি।
ঢাকা ক্যাপিটালসের নতুন মৌসুমের প্রস্তুতিতে শোয়েব আখতারের যুক্ত হওয়াকে গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হিসেবে দেখা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, আগ্রাসী মানসিকতা ও জয়ের তীব্র আকাঙ্ক্ষার জন্য পরিচিত আখতার দলটির তরুণ ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের অনুপ্রেরণা জোগাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মাঠের ভেতরে ও বাইরে তার দিকনির্দেশনা দলকে আরো শৃঙ্খলাবদ্ধ ও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে বলে মনে করছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
ফ্র্যাঞ্চাইজিটি জানিয়েছে, আসন্ন মৌসুমে শক্তিশালী একটি দল গড়ে তোলাই তাদের মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে শোয়েব আখতারের উপস্থিতি দলের প্রস্তুতি ও মানসিকতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে তারা আশাবাদী।
উল্লেখ্য, বিপিএলের ১২তম আসর শুরু হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। ঢাকা ক্যাপিটালস তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ২৭ ডিসেম্বর, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে।
আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) মৌসুমকে সামনে রেখে ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব নিতে আজ রবিবার ঢাকায় পৌঁছেছেন কিংবদন্তি পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার। ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ খ্যাত এই তারকাকে ঢাকায় পৌঁছানোর পর উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান রিমার্ক এইচবি।
ঢাকা ক্যাপিটালসের নতুন মৌসুমের প্রস্তুতিতে শোয়েব আখতারের যুক্ত হওয়াকে গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হিসেবে দেখা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, আগ্রাসী মানসিকতা ও জয়ের তীব্র আকাঙ্ক্ষার জন্য পরিচিত আখতার দলটির তরুণ ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের অনুপ্রেরণা জোগাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মাঠের ভেতরে ও বাইরে তার দিকনির্দেশনা দলকে আরো শৃঙ্খলাবদ্ধ ও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে বলে মনে করছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
ফ্র্যাঞ্চাইজিটি জানিয়েছে, আসন্ন মৌসুমে শক্তিশালী একটি দল গড়ে তোলাই তাদের মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে শোয়েব আখতারের উপস্থিতি দলের প্রস্তুতি ও মানসিকতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে তারা আশাবাদী।
উল্লেখ্য, বিপিএলের ১২তম আসর শুরু হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। ঢাকা ক্যাপিটালস তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ২৭ ডিসেম্বর, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে।

১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৩৫
আর্শদিপের লজ্জার রেকর্ড; এক ওভারে ১৩ বল, ৭টিই ওয়াইড
ভারতকে ৫১ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সেই ম্যাচে অস্বস্তিকর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন ভারতের পেসার আর্শদিপ সিং। নিউ চান্ডিগাড়ে বৃহস্পতিবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তিনি করেন এক অবিশ্বাস্য ১৩ বলের ওভার, যেখানে দেন ৭টি ওয়াইড।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের একাদশ ওভারে প্রথম বলেই ছক্কা খান আর্শদিপ। স্লট পাওয়া বলটি লং অফের ওপর দিয়ে মাঠের বাইরে পাঠান কুইন্টন ডি কক। এরপর যেন লাইন-লেন্থই হারিয়ে ফেলেন ২৬ বছর বয়সী এই বাঁহাতি পেসার। ছক্কার পর টানা দুটি ওয়াইড, একটি লিগ্যাল ডেলিভারির পর আবার টানা চারটি ওয়াইড। মোট সাতটি ওয়াইডে জর্জরিত হতে থাকে ওভারটি।
এরপর পরের তিন বলে আসে চার রান। শেষ দুই বল—একটি ওয়াইড ও একটি সিঙ্গলে—শেষ হয় ১৩ বলে গড়া ওভার। এক ওভারেই দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোরকার্ডে যোগ হয় ১৮ রান।
এই ওভার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর ক্রিকেটারদের মধ্যে এক ওভারে সর্বাধিক বল করার যৌথ রেকর্ড। গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৩ বলের ওভার করেছিলেন আফগানিস্তানের নাভিন উল হক। তাদের পরেই আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সিসান্ডা মাগালা, যিনি ২০২১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ১২ বলের এক ওভার।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে এতদিন দীর্ঘ ওভারের রেকর্ডটি ছিল যৌথভাবে হার্দিক পান্ডিয়া ও খালিল আহমেদের (১১ বল)। এবার সেই তালিকায় যোগ হলো আর্শদিপের নাম। এর আগে তার সর্বোচ্চ ছিল ১০ বলের ওভার—২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এবং ২০২৪ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
পাওয়ার প্লেতে দুই ওভারে ২০ রান দেওয়া আর্শদিপ এই এক ওভারেই খরচ করেন ১৮ রান। শেষ পর্যন্ত চার ওভারে ৫৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন তিনি।
ডি ককের ৪৬ বলে ৯০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস, সঙ্গে ডনোভান ফেরেইরা (১৬ বলে ৩০*) ও ডেভিড মিলারের (১২ বলে ২০*) সংক্ষিপ্ত ঝড়ে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২১৩ রানের বড় স্কোর তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা।
আর্শদিপের লজ্জার রেকর্ড; এক ওভারে ১৩ বল, ৭টিই ওয়াইড
ভারতকে ৫১ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সেই ম্যাচে অস্বস্তিকর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন ভারতের পেসার আর্শদিপ সিং। নিউ চান্ডিগাড়ে বৃহস্পতিবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তিনি করেন এক অবিশ্বাস্য ১৩ বলের ওভার, যেখানে দেন ৭টি ওয়াইড।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের একাদশ ওভারে প্রথম বলেই ছক্কা খান আর্শদিপ। স্লট পাওয়া বলটি লং অফের ওপর দিয়ে মাঠের বাইরে পাঠান কুইন্টন ডি কক। এরপর যেন লাইন-লেন্থই হারিয়ে ফেলেন ২৬ বছর বয়সী এই বাঁহাতি পেসার। ছক্কার পর টানা দুটি ওয়াইড, একটি লিগ্যাল ডেলিভারির পর আবার টানা চারটি ওয়াইড। মোট সাতটি ওয়াইডে জর্জরিত হতে থাকে ওভারটি।
এরপর পরের তিন বলে আসে চার রান। শেষ দুই বল—একটি ওয়াইড ও একটি সিঙ্গলে—শেষ হয় ১৩ বলে গড়া ওভার। এক ওভারেই দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোরকার্ডে যোগ হয় ১৮ রান।
এই ওভার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর ক্রিকেটারদের মধ্যে এক ওভারে সর্বাধিক বল করার যৌথ রেকর্ড। গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৩ বলের ওভার করেছিলেন আফগানিস্তানের নাভিন উল হক। তাদের পরেই আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সিসান্ডা মাগালা, যিনি ২০২১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ১২ বলের এক ওভার।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে এতদিন দীর্ঘ ওভারের রেকর্ডটি ছিল যৌথভাবে হার্দিক পান্ডিয়া ও খালিল আহমেদের (১১ বল)। এবার সেই তালিকায় যোগ হলো আর্শদিপের নাম। এর আগে তার সর্বোচ্চ ছিল ১০ বলের ওভার—২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এবং ২০২৪ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
পাওয়ার প্লেতে দুই ওভারে ২০ রান দেওয়া আর্শদিপ এই এক ওভারেই খরচ করেন ১৮ রান। শেষ পর্যন্ত চার ওভারে ৫৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন তিনি।
ডি ককের ৪৬ বলে ৯০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস, সঙ্গে ডনোভান ফেরেইরা (১৬ বলে ৩০*) ও ডেভিড মিলারের (১২ বলে ২০*) সংক্ষিপ্ত ঝড়ে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২১৩ রানের বড় স্কোর তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা।

২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:২৬
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অদ্ভুত এক ঘটনার জন্ম দিলেন এভারটনের ইদ্রিসা গুয়ে। ম্যাচের মাত্র ১৩তম মিনিটে নিজ দলের সঙ্গী মাইকেল কিনের মুখে চড় মেরে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন সেনেগালের এই মিডফিল্ডার।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি তখনো গোলশূন্য। ব্রুনো ফার্নান্দেসের একটি প্রচেষ্টা বাইরে যাওয়ার পরই হঠাৎ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এভারটন শিবিরে।
‘সম্ভবত’ রক্ষণে বল ক্লিয়ার করতে না পারায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রথমে ধাক্কাধাক্কিতে জড়ান কিন ও গুয়ে। কিন দু’বার গুয়েকে সরিয়ে দেওয়ার পরই তাকে চড় মেরে বসেন গুয়ে।
ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দুজনকে আলাদা করেন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। রেফারি টনি হ্যারিংটনও ছিলেন পুরো ঘটনার সরাসরি সামনে।
তাই সিদ্ধান্তে খুব একটা দ্বিধা দেখা যায়নি—সরাসরি লাল কার্ড। পরে ভিএআরের নিশ্চিতকরণও আসে, এ আচরণ স্পষ্টই ‘সহিংসতা’।
ঘটনার পর ম্যাচশেষে ড্রেসিংরুমে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চান গুয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও ক্ষমাপ্রার্থনা করে লেখেন, ‘এটা আমার চরিত্র নয়… আর কখনো এমন হবে না।
’ ডেভিড মোয়েস জানিয়েছেন, সতীর্থদের সামনে দাঁড়িয়ে দুঃখ প্রকাশ করায় গুয়েকে হাততালি দিয়ে সমর্থন দিয়েছে দল।
তবে ইউনাইটেড কোচ রুবেন আমোরিমের মতে, বিষয়টি লাল কার্ডের মতো গুরুতর ছিল না। ‘সতীর্থদের সঙ্গে ঝগড়া হতেই পারে,’ মন্তব্য তার।
অপটা জানায়, ২০০০–০১ মৌসুমের পর এই নিয়ে মাত্র তৃতীয়বার কোনো খেলোয়াড় প্রিমিয়ার লিগে নিজের সহখেলোয়াড়ের সঙ্গে সংঘর্ষে লাল কার্ড দেখলেন। এর আগে বিখ্যাত বাউয়ার–ডায়ার (২০০৫) ও ফুলার–গ্রিফিন (২০০৮) ঘটনার নজির রয়েছে।
১০ জনের দল নিয়েও শেষ পর্যন্ত ১–০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে এভারটন। ২৯তম মিনিটে দলের একমাত্র গোল করেন কিয়ারনান ডিউসবেরি-হল। ম্যাচের নায়কও ঘটনাটিকে ‘এক মুহূর্তের উন্মাদনা’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এই জয়ে ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১২তম স্থানে উঠে এসেছে এভারটন। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট ও গোল ব্যাবধান নিয়ে ১১তম স্থানে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অদ্ভুত এক ঘটনার জন্ম দিলেন এভারটনের ইদ্রিসা গুয়ে। ম্যাচের মাত্র ১৩তম মিনিটে নিজ দলের সঙ্গী মাইকেল কিনের মুখে চড় মেরে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন সেনেগালের এই মিডফিল্ডার।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি তখনো গোলশূন্য। ব্রুনো ফার্নান্দেসের একটি প্রচেষ্টা বাইরে যাওয়ার পরই হঠাৎ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এভারটন শিবিরে।
‘সম্ভবত’ রক্ষণে বল ক্লিয়ার করতে না পারায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রথমে ধাক্কাধাক্কিতে জড়ান কিন ও গুয়ে। কিন দু’বার গুয়েকে সরিয়ে দেওয়ার পরই তাকে চড় মেরে বসেন গুয়ে।
ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দুজনকে আলাদা করেন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। রেফারি টনি হ্যারিংটনও ছিলেন পুরো ঘটনার সরাসরি সামনে।
তাই সিদ্ধান্তে খুব একটা দ্বিধা দেখা যায়নি—সরাসরি লাল কার্ড। পরে ভিএআরের নিশ্চিতকরণও আসে, এ আচরণ স্পষ্টই ‘সহিংসতা’।
ঘটনার পর ম্যাচশেষে ড্রেসিংরুমে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চান গুয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও ক্ষমাপ্রার্থনা করে লেখেন, ‘এটা আমার চরিত্র নয়… আর কখনো এমন হবে না।
’ ডেভিড মোয়েস জানিয়েছেন, সতীর্থদের সামনে দাঁড়িয়ে দুঃখ প্রকাশ করায় গুয়েকে হাততালি দিয়ে সমর্থন দিয়েছে দল।
তবে ইউনাইটেড কোচ রুবেন আমোরিমের মতে, বিষয়টি লাল কার্ডের মতো গুরুতর ছিল না। ‘সতীর্থদের সঙ্গে ঝগড়া হতেই পারে,’ মন্তব্য তার।
অপটা জানায়, ২০০০–০১ মৌসুমের পর এই নিয়ে মাত্র তৃতীয়বার কোনো খেলোয়াড় প্রিমিয়ার লিগে নিজের সহখেলোয়াড়ের সঙ্গে সংঘর্ষে লাল কার্ড দেখলেন। এর আগে বিখ্যাত বাউয়ার–ডায়ার (২০০৫) ও ফুলার–গ্রিফিন (২০০৮) ঘটনার নজির রয়েছে।
১০ জনের দল নিয়েও শেষ পর্যন্ত ১–০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে এভারটন। ২৯তম মিনিটে দলের একমাত্র গোল করেন কিয়ারনান ডিউসবেরি-হল। ম্যাচের নায়কও ঘটনাটিকে ‘এক মুহূর্তের উন্মাদনা’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এই জয়ে ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১২তম স্থানে উঠে এসেছে এভারটন। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট ও গোল ব্যাবধান নিয়ে ১১তম স্থানে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:৪৫
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:১২
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩৭
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩৬