Bkash

বরিশাল

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সভাপতি অনলাইন জুয়ার নিয়ন্ত্রক

হাসিবুল ইসলাম, বরিশাল

হাসিবুল ইসলাম, বরিশাল

৩০ মে, ২০২৫ ১৫:৪৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সভাপতি অনলাইন জুয়ার নিয়ন্ত্রক

ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় অধিকাশং নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হলেও রহস্যজনক কারণে ছাত্রলীগ সভাপতি অপুর নাম আসেনি একটিতেও।

অনলাইন জুয়া বা বেটিং সাইট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে। বিশেষ করে দেশের বিভাগ কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠা করে জেলা শহরগুলোতেও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই জিডিটাল জুয়ার বদৌলতে বিভাগীয় শহর বরিশালে কোটিপতি বনে গেছেন শওকত হোসেন অপু নামের নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা। বরিশাল উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অপু অর্ধযুগ ধরে এই অঞ্চলে জুয়ার নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অবৈধ উপার্জন দিয়ে কোটি টাকা মূল্যের ভূ-সম্পত্তি ক্রয় করলেও তাকে আইনি কোনো ঝুটঝামেলায় জড়াতে হয়নি। জুয়া চালিয়ে শুধু অপুই বিত্তশালী বনে যাননি, তার পদঙ্ক অনুসারণ করে বরিশাল শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কামরানও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছ থেকে অর্ধ কোটি টাকার বেশি অর্থ হাতিয়েছেন।

ছাত্রলীগ নেতা অপু এবং তার সহযোগী কামরানের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন এমন অন্তত ১৫ যুবকের সাথে কথা বলেছে বরিশালটাইমস। তাদের মধ্যেকার একজন রুহুল আমিন, যিনি বরিশাল নৌবন্দর এলাকার হোটেল মালিক ছিলেন। পত্রিশোর্ধ্ব রুহুল আমিন অভিযোগ করেন, রসুলপুরের বাসিন্দা বছর তিনেক পূর্বে অর্থাৎ ২০২২ সালে অপুর সহযোগী কামরান প্রায়শই রাতে তার হোটেলে খেতে যেতেন। তখন রুহুল আমিনকে স্বল্প পুঁজিতে অনলাইনে জুয়া খেলে ব্যাপক অর্থকড়ি লাভ করা সম্ভব প্রলোভন দেখিয়ে একটি সাইটে একাউন্ট খুলে দেন। এবং কামরান তাকে উৎসাহিত করে ১ হাজার টাকা বিনিয়োগও করান।

রুহুল আমিন জানান, সেই ১ হাজার টাকায় কদিন জুয়া খেলার পরে তার একাউন্টে ১৫ হাজার টাকা জমা হয়। কিন্তু সেই জুয়ার অর্থ উত্তোলন করতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। অনেক চেষ্টা করে অবৈধ উপার্জন তুলতে না পেরে রুহুল আমিন ছাত্রলীগ নেতার সহযোগী কামরানের স্মরণাপণ্ন হন। কিন্তু কামরান সেই অর্থ তুলতে সহযোগিতা না করে উল্টো আরও জুয়া খেলার পরামর্শ দেন। এরপর ৬ মাসের ব্যবাধানে রুহুল আমিনের ৮ লক্ষাধিক টাকা এই জুয়ার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা। এতে রুহুল আমিন হোটেলসহ সর্বস্ব হারিয়ে শেষে কামরানের বিরুদ্ধে বাধ্য হয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলাও করেন। সেই মামলায় পুলিশ কামরানকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠালেও ওস্তাদ শওকত হোসেন অপু ছিলেন ধরাছোয়ার বাইরে। অবশ্য কোতয়ালি পুলিশ অপুকে ধরতেও বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে শেষ পর্যন্ত আর তার লাগাম টেনে ধরতে পারেনি।

বিভিন্ন মাধ্যম নিশ্চিত করেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং হামলা-হামলার শিকার হয়ে অধিকাংশ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী পালিয়ে থাকলেও অনলাইন জুয়ার নিয়ন্ত্রক অপু বরিশাল শহরেই প্রকাশ্যে ঘুরছেন। এমনকি তার বিরুদ্ধে রহস্যজনক কারণে একটিও মামলা হয়নি, যা নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা শোনা যায়। ছাত্রলীগ নেতা অপু গ্রামের বাড়ি নয়ানী ও শ্বশুরবাড়ি বরিশাল নগরীর কাউনিয়া পানির ট্যাংকি কাছাকাছি স্থানে থাকছেন এবং দুটি জায়গা থেকেই জুয়ার সাইট পরিচালনা করছেন।

অনলাইন জুয়া খপ্পরে নিঃস্ব নয়ানী গ্রামের একাধিক যুবক অভিযোগ করেছেন, এই ডিজিটাল জুয়া সম্পর্কে তাদের কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। ছাত্রলীগ সভাপতি অপুর প্রলোভন দেখিয়ে তাদের জুয়ায় অংশগ্রহণ করিয়েছেন এবং তিনিই নয়ানী গ্রামের রিয়াজ ও চরকাউয়া খেয়াঘাটের সুমনের বিকাশের দোকান থেকে অর্থ বিনিয়োগ করে দিয়েছেন। তাছাড়া অপুর দুটি মোবাইল নম্বর (০১৭…….৫৫, ০১৩……..৪৬) থেকেও এই দুটি দোকানের বিকাশ নম্বরে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার লেনদেন করা হয়, যা নিয়ে উভয় দোকানি বরিশালটাইমসের এ প্রতিবেদকের কাছে সরল স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। দুই দোকানি জানিয়েছেন, অপু নিজের দুটি ছাড়াও বিভিন্ন নম্বর থেকে প্রতিদিন লেনদেন করেন। কিন্তু এই দেনদেনের সংখ্যা কখনও কখনও লাখ অতিক্রম করে।

নয়ানী গ্রামের একটি সূত্র জানিয়েছে, যুবক বয়সি অপু ২০২৩ সালে দুর্গাপুর গ্রামে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পাশে একটি কোটি টাকা মূলে ৭৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেন, তখন এই বিষয়টি জানাজানি হলে তার আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। কিন্তু তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের উপজেলা পর্যায়ের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব হওয়ায় ভূমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে তাতে আর বাধ সাধেনি।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, কাড়িকাড়ি জুয়ার অর্থে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সভাপতি অপু শুধু ভূমি ক্রয়েই সীমাবদ্ধ থাকেননি, বিভিন্ন ব্যবসায় লগ্নি করেছেন। এবং চরকাউয়ার অজপাড়াগাঁও নয়ানী গ্রামের নিজের বাসাটিকে বিলাসবহুল করে তুলেছেন, যা নিয়ে পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এখন অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন।

বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে, এত তথ্য-প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও অপু অনলাইন জুয়ায় জড়িত থাকার বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করেন। এবং এমন ভান ধরেন যে তার ডিজিটাল জুয়া সম্পর্কে কোনো ধারনাই নাই। পরে জুয়ার টাকা কোথায় দেনদেন হয় এবং অবৈধ অর্থ তিনি ভূমি ক্রয় করাসহ কোন কোন ব্যবসায় লগ্নি করেছেন বিস্তারিত শুনে তিনি একপর্যায়ে ভরকে যান। এবং এ প্রতিবেদকের সাথে আর্থিক সমঝোতার প্রস্তাবও দেন। কিন্তু অসৎ চরিত্রের লোকের সাথে আপসরফার কোনো সুযোগ নেই জানিয়ের দেওয়ার পরে কিছুক্ষণ নিরব থেকে মুঠোফোন সংযোগ বিছিন্ন করে দেন।

সংবাদকর্মীকে নিষিদ্ধছাত্রলীগ নেতার আপসের প্রস্তাবই জানান দেই যে তিনি কোন মাপের জুয়াড়ি। অবশ্য এই ছাত্রলীগ নেতাই যে বরিশাল কেন্দ্রীয় অনলাইন জুয়ার মাস্টারমাইন্ড তা তার সহযোগী কামরানও স্বীকার করেছেন। তবে বর্তমানে অনলাইন জুয়ার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই, দাবি করেছেন আরমান।

এই অনলাইন জুয়ার হোতা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা শওকত হোসেন অপু এবং তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারে জোর দাবি জানিয়েছেন তাদের প্রতারণায় নিঃস্ব যুবকেরা। অবশ্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও কদিন পূর্বে অনলাইন জুয়াড়িদের লাগাম টেনে ধরার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। গত ২৫ মে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব ঘোষণা দিয়েছেন অনলাইনভিত্তিক জুয়ার বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে। এরপরে ২৮ মে রাতে বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসনও ডিজিটাল জুয়াড়িদের ধরতে সাইবার ইউনিটসহ মাঠে থাকার বিষয়টি জানিয়েছে। এর আগে, সাইবার স্পেসে জনস্বার্থ রক্ষার উদ্দেশে নতুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ২০ ধারা অনুসারে জুয়া খেলা এবং জুয়া খেলার সাথে জড়িত সকল কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

তবে অনলাইন জুয়াড়িদের ধরতে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বরিশাল মেট্রোপলিটন মাঠপুলিশের কর্মকর্তাদের। গোয়েন্দা বিভাগের একজন ওসি পদমর্যাদার কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, পুলিশ হেডকোয়াটার্স যেহেতু ইতিমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে, এখন তা বরিশালে আসা সময়সাপেক্ষপ বিষয়।

এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় পুলিশের কোনো নির্দেশনা অফিসিয়ালি না আসলেও জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে মাঠপুলিশকে বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা রূপালী বাংলাদেশকে জানান, ডিজিটাল জুয়ার সাথে সম্পৃক্ত সকলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’

আরও পড়ুন:

দুর্গাসাগর থেকে হরিণ নিখোঁজ : তদন্তে প্রশাসন ও পুলিশ

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৫৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

দুর্গাসাগর থেকে হরিণ নিখোঁজ : তদন্তে প্রশাসন ও পুলিশ

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক দুর্গাসাগর দিঘিরপাড়ে স্থাপিত খাঁচা থেকে একটি হরিণ নিখোঁজ হয়েছে। এ ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৩ আগস্ট রাতে খাঁচার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন অলিউল হাওলাদার, জাহিদুর রহমান ও বশির শিকদার। তাদের উপস্থিতি সত্ত্বেও হরিণটি খাঁচা থেকে নিখোঁজ হয়। পরদিন ৪ আগস্ট সকালে একটি হরিণ কম থাকার বিষয়টি নজরে আসে।

এ ঘটনায় দুর্গাসাগর এলাকার নিরাপত্তা সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর হোসেন বরিশাল বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তদন্তের অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থাপন করা সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে পুলিশ। তবে খাঁচার আশপাশের ক্যামেরাগুলো বিকল থাকায় হরিণ নিখোঁজের কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি।

ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। বিমানবন্দর থানার ওসি জাকির সিকদার জানান, হরিণ নিখোঁজের রহস্য উদঘাটনে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে এবং সম্ভাব্য সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সিসি ক্যামেরা বিকল থাকাও রহস্যজনক এবং এতে করে একটি দামি ও সংরক্ষিত প্রাণী নিখোঁজ হওয়া উদ্বেগজনক। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।

নিজেকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত খেলাধুলা করতে হবে- ববি উপাচার্য ড. তৌফিক আলম 

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৫৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

নিজেকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত খেলাধুলা করতে হবে- ববি উপাচার্য ড. তৌফিক আলম 

পড়াশোনার পাশাপাশি খেলা ধুলাও মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ এবং সুস্থ থাকতে এর বিকল্প নেই বলে মন্তব্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম। সুস্থ স্বাভাবিক জীবন উপহার পেতে প্রতিটি মানুষের শরীর চর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি বলেও তিনি মন্তব্য করেন। 

শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১০ টায় ববিতে অধ্যায়নরত সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র কল্যান সমিতির শিক্ষার্থীদের আয়োজনে ১দিন ব্যাপী এই টুর্নামেন্টে সার্বিক সহযোগিতা করে বিআরটিএ ও নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বরিশাল জেলা কমিটি। উপজেলা ভিত্তিক প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন উপাচার্য।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক মোঃ জিয়াউর রহমান, ববি ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: ইলিয়াস হোসেন, দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: আবদুল্লাহ আল-মামুন, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো: রুহুল আমিন, বুরো বাংলাদেশ বিভাগীয় কার্যালয়ে কর্মরত মো: ওয়াসিম আকরামসহ অন্যান্যরা। 

দূর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে আয়োজিত উপজেলা ভিত্তিক ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয় সকাল ১০টায়। বিকেল ৫ টায় ফাইনাল খেলা পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় একদিন ব্যাপী এই আয়োজন। সকাল থেকে সকল খেলা পরিচালনা করেন নিসচা বরিশাল জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের ইসলাম চৌধুরী। 

সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র কল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মো: ইমন এর সঞ্চালনা এবং অনুষ্ঠানে মো: মোতালেব হোসেন সোহান এর সভাপতিত্বে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করে ববি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম বলেন, খেলাধূলা শরীর ও মন ভালো রাখে। শুধু লেখা-পড়া করলেই চলবে না তার পাশাপাশি আমাদের খেলাধূলাও করতে হবে। কারণ পড়াশোনা আমাদের মেধাবী করবে আর খেলাধূলা আমাদের শরীর সুস্থ রাখবে। 

তিনি আরও বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই বিআরটিএ ও নিরাপদ সড়ক চাই বরিশাল জেলা কমিটির সদস্যদের। তারা আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এমন সুন্দর একটি আয়োজন করেছে। আগামীতে তাদের এই কাজের ধারা অব্যাহত থাকবে এটাই প্রত্যাশা করছি। ববির সকল শিক্ষার্থীদের প্রতি রইলো আমার দোয়া ও ভালোবাসা।

মৎস্য কর্মকর্তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ

সেলিম রাঢ়ী, হিজলা

সেলিম রাঢ়ী, হিজলা

১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৫২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

মৎস্য কর্মকর্তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ

বরিশালের হিজলা উপজেলায় জাতীয় মৎস্য জীবী সমিতির নবাগত কমিটির নেতৃবৃন্দ সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আলমের সাথে।

রবিবার বেলা ১১ টার সময় উপজেলা জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির নবাগত কমিটির আহ্বায়ক সাজাহান রেজা ও সদস্য সচিব মোঃ সুলাইমান জমাদ্দারের নেতৃত্বে অন্যান্যরা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আলম বলেন জাতীয় মৎস্যজীবী নবাগত কমিটি দেশের জাতীয় সম্পদ রক্ষায় প্রশাসনকে সব সময় সহযোগিতায় করবেন।আগামীতে সকলে মিলে কাজ করার আশ^াস দেন।

নবাগত কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব বলেন বরিশাল জেলা জাতীয় মৎস্যজীবী কমিটি পূর্বের কমিটি বিলুপ্তি করে আমাদের যে নতুন কমিটি দিয়েছে আমরা জেলেদের নিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে সভা করে জাতীয় সম্পদ রক্ষায় কাজ করব।আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.