
२९ মে, २০२५ १६:२७
বরিশাল আদালত কম্পাউন্ডে আওয়ামী লীগ নেতা ও কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন এবং ছাত্রলীগ নেতা শাহারিয়ার সাচিব রাজিব ওরফে পন্ডিত রাজিবকে গণপিটুনি নিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনগণ। রাজধানী ঢাকায় গ্রেপ্তার সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল সদর আসনের এমপি জাহিদ ফারুক গ্রেপ্তার হলে তাকে আজ রোববার অপরাহ্নে আদালতে তোলার প্রস্তুতি নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু এর আগ থেকেই বরিশাল আদালত চত্ত্বরে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনতার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে আসার আগেই আদালত চত্ত্বরে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ দলীয় সন্ত্রাস বরিশাল সিটির ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়নালসহ বেশ কয়েকজন। বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতাকর্মী ও উত্তেজিত জনতা একত্রিত হয়ে প্রথমে প্রতিমন্ত্রী অনুসারী শাহারিয়ার সাচিব রাজিব এবং পরবর্তীতে জয়নালকে হাতের কাছে পেয়ে বেধম পিটুনি দেয়। এমনকি পেটাতে পেটাতে তাদের আদালত বাউন্ডারির অভ্যন্তরে রাস্তায় ফেলেও পিটিয়েছে। এবং তাদের মারধরের পাশাপাশি স্বৈরাচ্চার শেখ হাসিনার প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের আরেক অনুসারী আওয়ামী লীগ নেতা ও বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকিরকেও খুঁজতে থাকেন বিক্ষুব্ধরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কাউন্সিলর জয়নাল এবং ছাত্রলীগ নেতা রাজিবকে পিটুনি দেওয়ার সময় উত্তেজিত জনতা জাকির কই আছে, এমন শ্লোগান দিয়ে তাকে খুঁজতে থাকেন। অবশ্য এই সময় আওয়ামী লীগ নেতা এসএম জাকিরকে দেখা না গেলেও এর আগেই কাউন্সিলর জয়নাল এবং রাজিবকে বেদম পিটুনি দিলে তাদের দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। এই মারধর এবং শ্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী জাকিরকে খোঁজার বেশ কয়েকটি ভিডিওচিত্র বরিশালটাইমস কর্তৃপক্ষের হাতে এসেছে।
এই জয়নাল, জাকির এবং শাহারিয়ার সাচিব রাজিব সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাহিদ ফারুকের অনুসারী। তবে তাদের মধ্যে জয়নাল এবং জাকির এর আগে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শেখ হাসিনার ভাতিজা সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র অনুসারী ছিলেন। রাজনৈতিক পরিচয়ে তাদের বিরুদ্ধে অতীতে অসংখ্য সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ আছে। বিশেষ করে জয়নালের বিরুদ্ধে দখল সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানির একাধিক উদাহরণ আছে।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি জয়নাল বরিশাল বিভাগীয় ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের কাছে গাড়িপ্রতি ৫০০/১০০০ টাকা চাঁদা দাবি করে। সেই ঘটনায় সংগঠনের নেতারা বিষয়টি অভিযোগ আকারে সেনাবাহিনীকে অবহিত করে এবং কর্মবিরতির ডাক দেয়। একদিন বাদে এই কর্মবিরতি পালনকালে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে তাদের শান্ত থাকতে বলেন এবং অভিযোগের ভিত্তিতে কাউন্সিলর জয়নালকে ডেকে নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছিলেন।
২০২৩ সালের শেষের দিকে জয়নাল কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে কেডিসিতে বেপরোয়া চাঁদাবাজি শুরু করে। এমনকি তৎকালীন তার বিরুদ্ধে খোদ আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে, যা থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছিল। এছাড়া কেডিসি এলাকার মূর্তিমান আতঙ্ক জয়নালের ছেলে-সন্তানদের বিরুদ্ধে নানা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ আছে। বেলসপার্ক মাঠে তার এক ছেলের গাঁজা সেবনের প্রতিবাদ করায় জয়নাল বাহিনী ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্টের স্ত্রীর ওপর হামলা করেছিল। সেই ঘটনায়ও একটি মামলা বিচারাধীন আছে।
বরিশাল ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জানান, জয়নাল এবং রাজিবসহ আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা আদালত কম্পাউন্ডে অস্ত্রসমেত অবস্থান নেয়। এবং তারা আদালত কম্পাউন্ডে একটি অরাজক পরিস্থিতিতি তৈরি করার চেষ্টা চালিয়েছে। তখন তাদের প্রতিরোধ করা হয়েছে, উত্তেজিত জনতার পিটুনি খেয়ে পালিয়ে গেছে।
জানা গেছে, এই রাজিবও সাবেক প্রতিমন্ত্রীর আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোটি কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নেওয়াসহ গত ৫/৭ বছর ব্যাপক ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করেছেন।
এছাড়া বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য এবং বরিশাল প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকিরও অনুরুপ সুবিধা নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের শাসনামলে প্রভাব খাটিয়ে তিনি বরিশাল বেলস পার্কসংলগ্ন জেলা প্রশাসনের শত কোটি টাকার ভূমি নিজের এবং স্ত্রীর নামে ইজরা নিয়ে সেখানে দুটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সেখানে বহুতল ভবন করেছে এবং কয়েক বছর ধরে দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে আওয়ামী লীগের প্রচার প্রচারণা চালানো হতো।
সূত্র জানায়, বরিশাল জেলা প্রশাসনের অর্থলোভী কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এসএম জাকির শতকোটি টাকা মূল্যের সরকারি ভূমিটি হাতিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন। আবার এও শোনা যায়, তৎকালীন জেলা প্রশাসক অজিয়র রহমান না কী বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র নির্দেশে ভূমিটি বরাদ্দ দিয়েছেন। অবশ্য ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ দলীয় সন্ত্রাস জাকির এবং তার স্ত্রীকে বরাদ্দ দেওয়া ভূমিটি উদ্ধারের জোর দাবি উঠেছে।
সদ্য বিদায়ী জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, অফিসার্স ক্লাবের ভূমি বরাদ্দ দেওয়ার কোনো ইখতিয়ার ছিল না। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতারা আইনের কোনো তোয়াক্কা করেনি। যে যার মতো করে প্রভাব খাটিয়ে সরকারি ভূমি নিজের কব্জায় নিয়ে যায়। আ’লীগ নেতা এবং তার স্ত্রীর নামে নেওয়া ভূমিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তাছাড়া কোনো ব্যক্তি বিষয়টি অভিযোগ আকারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তুলে ধরেছেন। এছাড়া অফিসার্স ক্লাবের ভূমি ইজারা দেওয়ায় জেলা প্রশাসনের অনেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সংক্ষুব্ধ। তাদের পক্ষ থেকে এই ইজারা বাতিল করে ভূমি উদ্ধারের জোর দাবি উঠেছে।
ধারনা করা হচ্ছে, এতসব বিতর্কিত কর্মকান্ড এবং রোববার আদালত চত্ত্বরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণেই জয়নাল ও রাজিব গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে। এবং আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস জাকিরও আদালতে আছেন, এমন খবর পেয়ে উত্তেজিত জনতা শ্লোগান দিয়ে তাকে খুঁজতে থাকেন। পরে আদালতে নিরাপত্তার স্বার্থে বিপুলসংখ্যক পুলিশ এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। যদিও এর আগেই আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, দুদিন পূর্বে বরিশাল শহরের চিহ্নিত মাদকবিক্রেতা বাবুলকে ৩৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা এসএম জাকিরের সাথে মাদকবিক্রেতা বাবুলের গভীর সখ্যতা রয়েছে। আছে, দুজনার পাশাপাশি তোলা ছবিও, যা কয়েকদিন ধরে বরিশালে কর্মরত সাংবাদিকদের মুঠোফোনে চালাচালি হচ্ছে।

এই জাকিরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রগতিশীল ধারার বহু সাংবাদিককে হয়রানির অভিযোগ আছে। তিনি এক নারী সাংবাদিককেও হয়রানি করেছেন, যার প্রমাণ রয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ শাসনামলে দখলবাজি, সন্ত্রাস করারও একাধিক অভিযোগ হয়, জাকিরের বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় তার লাগাম টানা যাচ্ছিল না।

রোববার আদালত চত্ত্বরে জয়নালকে পিটুনির প্রত্যক্ষদর্শী এমন একজন চল্লিশোর্ধ্ব ব্যক্তি জানান, উত্তেজিত জনতা, জাকির কই, এই জাকির কই শ্লোগান দিলেও আওয়ামী লীগ নেতাকে দেখা যায়নি। অভিযোগ আছে, জাকির আওয়ামী লীগ শাসনামলে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছাকাছি থেকেছেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আ’লীগের পরিচয়ে নয়, সাংবাদিক নেতা হিসেবে শীর্ষ প্রশাসনের সান্নিধ্য পেতে চাইছেন। স্বৈরাচ্চার আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা জাকিরের নিজেকে সাংবাদিক নেতা পরিচয় দেওয়ায় বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা অস্বস্তি প্রকাশ করছেন। জাকিরের এই দৌড়ঝাঁপে পেশাদার সাংবাদিকেরাও সংক্ষুব্ধ-বিব্রত বলে জানা গেছে।’
বরিশাল আদালত কম্পাউন্ডে আওয়ামী লীগ নেতা ও কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন এবং ছাত্রলীগ নেতা শাহারিয়ার সাচিব রাজিব ওরফে পন্ডিত রাজিবকে গণপিটুনি নিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনগণ। রাজধানী ঢাকায় গ্রেপ্তার সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল সদর আসনের এমপি জাহিদ ফারুক গ্রেপ্তার হলে তাকে আজ রোববার অপরাহ্নে আদালতে তোলার প্রস্তুতি নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু এর আগ থেকেই বরিশাল আদালত চত্ত্বরে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনতার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে আসার আগেই আদালত চত্ত্বরে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ দলীয় সন্ত্রাস বরিশাল সিটির ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়নালসহ বেশ কয়েকজন। বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতাকর্মী ও উত্তেজিত জনতা একত্রিত হয়ে প্রথমে প্রতিমন্ত্রী অনুসারী শাহারিয়ার সাচিব রাজিব এবং পরবর্তীতে জয়নালকে হাতের কাছে পেয়ে বেধম পিটুনি দেয়। এমনকি পেটাতে পেটাতে তাদের আদালত বাউন্ডারির অভ্যন্তরে রাস্তায় ফেলেও পিটিয়েছে। এবং তাদের মারধরের পাশাপাশি স্বৈরাচ্চার শেখ হাসিনার প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের আরেক অনুসারী আওয়ামী লীগ নেতা ও বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকিরকেও খুঁজতে থাকেন বিক্ষুব্ধরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কাউন্সিলর জয়নাল এবং ছাত্রলীগ নেতা রাজিবকে পিটুনি দেওয়ার সময় উত্তেজিত জনতা জাকির কই আছে, এমন শ্লোগান দিয়ে তাকে খুঁজতে থাকেন। অবশ্য এই সময় আওয়ামী লীগ নেতা এসএম জাকিরকে দেখা না গেলেও এর আগেই কাউন্সিলর জয়নাল এবং রাজিবকে বেদম পিটুনি দিলে তাদের দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। এই মারধর এবং শ্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী জাকিরকে খোঁজার বেশ কয়েকটি ভিডিওচিত্র বরিশালটাইমস কর্তৃপক্ষের হাতে এসেছে।
এই জয়নাল, জাকির এবং শাহারিয়ার সাচিব রাজিব সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাহিদ ফারুকের অনুসারী। তবে তাদের মধ্যে জয়নাল এবং জাকির এর আগে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শেখ হাসিনার ভাতিজা সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র অনুসারী ছিলেন। রাজনৈতিক পরিচয়ে তাদের বিরুদ্ধে অতীতে অসংখ্য সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ আছে। বিশেষ করে জয়নালের বিরুদ্ধে দখল সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানির একাধিক উদাহরণ আছে।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি জয়নাল বরিশাল বিভাগীয় ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের কাছে গাড়িপ্রতি ৫০০/১০০০ টাকা চাঁদা দাবি করে। সেই ঘটনায় সংগঠনের নেতারা বিষয়টি অভিযোগ আকারে সেনাবাহিনীকে অবহিত করে এবং কর্মবিরতির ডাক দেয়। একদিন বাদে এই কর্মবিরতি পালনকালে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে তাদের শান্ত থাকতে বলেন এবং অভিযোগের ভিত্তিতে কাউন্সিলর জয়নালকে ডেকে নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছিলেন।
২০২৩ সালের শেষের দিকে জয়নাল কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে কেডিসিতে বেপরোয়া চাঁদাবাজি শুরু করে। এমনকি তৎকালীন তার বিরুদ্ধে খোদ আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে, যা থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছিল। এছাড়া কেডিসি এলাকার মূর্তিমান আতঙ্ক জয়নালের ছেলে-সন্তানদের বিরুদ্ধে নানা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ আছে। বেলসপার্ক মাঠে তার এক ছেলের গাঁজা সেবনের প্রতিবাদ করায় জয়নাল বাহিনী ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্টের স্ত্রীর ওপর হামলা করেছিল। সেই ঘটনায়ও একটি মামলা বিচারাধীন আছে।
বরিশাল ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জানান, জয়নাল এবং রাজিবসহ আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা আদালত কম্পাউন্ডে অস্ত্রসমেত অবস্থান নেয়। এবং তারা আদালত কম্পাউন্ডে একটি অরাজক পরিস্থিতিতি তৈরি করার চেষ্টা চালিয়েছে। তখন তাদের প্রতিরোধ করা হয়েছে, উত্তেজিত জনতার পিটুনি খেয়ে পালিয়ে গেছে।
জানা গেছে, এই রাজিবও সাবেক প্রতিমন্ত্রীর আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোটি কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নেওয়াসহ গত ৫/৭ বছর ব্যাপক ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করেছেন।
এছাড়া বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য এবং বরিশাল প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকিরও অনুরুপ সুবিধা নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের শাসনামলে প্রভাব খাটিয়ে তিনি বরিশাল বেলস পার্কসংলগ্ন জেলা প্রশাসনের শত কোটি টাকার ভূমি নিজের এবং স্ত্রীর নামে ইজরা নিয়ে সেখানে দুটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সেখানে বহুতল ভবন করেছে এবং কয়েক বছর ধরে দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে আওয়ামী লীগের প্রচার প্রচারণা চালানো হতো।
সূত্র জানায়, বরিশাল জেলা প্রশাসনের অর্থলোভী কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এসএম জাকির শতকোটি টাকা মূল্যের সরকারি ভূমিটি হাতিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন। আবার এও শোনা যায়, তৎকালীন জেলা প্রশাসক অজিয়র রহমান না কী বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র নির্দেশে ভূমিটি বরাদ্দ দিয়েছেন। অবশ্য ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ দলীয় সন্ত্রাস জাকির এবং তার স্ত্রীকে বরাদ্দ দেওয়া ভূমিটি উদ্ধারের জোর দাবি উঠেছে।
সদ্য বিদায়ী জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, অফিসার্স ক্লাবের ভূমি বরাদ্দ দেওয়ার কোনো ইখতিয়ার ছিল না। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতারা আইনের কোনো তোয়াক্কা করেনি। যে যার মতো করে প্রভাব খাটিয়ে সরকারি ভূমি নিজের কব্জায় নিয়ে যায়। আ’লীগ নেতা এবং তার স্ত্রীর নামে নেওয়া ভূমিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তাছাড়া কোনো ব্যক্তি বিষয়টি অভিযোগ আকারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তুলে ধরেছেন। এছাড়া অফিসার্স ক্লাবের ভূমি ইজারা দেওয়ায় জেলা প্রশাসনের অনেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সংক্ষুব্ধ। তাদের পক্ষ থেকে এই ইজারা বাতিল করে ভূমি উদ্ধারের জোর দাবি উঠেছে।
ধারনা করা হচ্ছে, এতসব বিতর্কিত কর্মকান্ড এবং রোববার আদালত চত্ত্বরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণেই জয়নাল ও রাজিব গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে। এবং আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস জাকিরও আদালতে আছেন, এমন খবর পেয়ে উত্তেজিত জনতা শ্লোগান দিয়ে তাকে খুঁজতে থাকেন। পরে আদালতে নিরাপত্তার স্বার্থে বিপুলসংখ্যক পুলিশ এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। যদিও এর আগেই আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, দুদিন পূর্বে বরিশাল শহরের চিহ্নিত মাদকবিক্রেতা বাবুলকে ৩৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা এসএম জাকিরের সাথে মাদকবিক্রেতা বাবুলের গভীর সখ্যতা রয়েছে। আছে, দুজনার পাশাপাশি তোলা ছবিও, যা কয়েকদিন ধরে বরিশালে কর্মরত সাংবাদিকদের মুঠোফোনে চালাচালি হচ্ছে।

এই জাকিরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রগতিশীল ধারার বহু সাংবাদিককে হয়রানির অভিযোগ আছে। তিনি এক নারী সাংবাদিককেও হয়রানি করেছেন, যার প্রমাণ রয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ শাসনামলে দখলবাজি, সন্ত্রাস করারও একাধিক অভিযোগ হয়, জাকিরের বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় তার লাগাম টানা যাচ্ছিল না।

রোববার আদালত চত্ত্বরে জয়নালকে পিটুনির প্রত্যক্ষদর্শী এমন একজন চল্লিশোর্ধ্ব ব্যক্তি জানান, উত্তেজিত জনতা, জাকির কই, এই জাকির কই শ্লোগান দিলেও আওয়ামী লীগ নেতাকে দেখা যায়নি। অভিযোগ আছে, জাকির আওয়ামী লীগ শাসনামলে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছাকাছি থেকেছেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আ’লীগের পরিচয়ে নয়, সাংবাদিক নেতা হিসেবে শীর্ষ প্রশাসনের সান্নিধ্য পেতে চাইছেন। স্বৈরাচ্চার আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা জাকিরের নিজেকে সাংবাদিক নেতা পরিচয় দেওয়ায় বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা অস্বস্তি প্রকাশ করছেন। জাকিরের এই দৌড়ঝাঁপে পেশাদার সাংবাদিকেরাও সংক্ষুব্ধ-বিব্রত বলে জানা গেছে।’
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १९:२५
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १८:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १७:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १६:০০

१२ ডিসেম্বর, २০२५ ০০:५५
হাতকড়ায় বাঁধা দুই হাত। এ অবস্থায় পুকুরে সাঁতার কাটাই কষ্টের। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ৪৯ বছর বয়সি বাসিন্দা মাইকেল মোরো অবিশ্বাস্য এক কাজ করেছেন। হাতকড়া নিয়ে প্রায় ২৯ মাইল সাঁতরেছেন তিনি। কোনো পুকুর নয়, গভীর আর প্রশস্ত নদীতে এ কাজটি করেছেন তিনি।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ম্যানহাটানের দক্ষিণাংশ থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে মোরো পুরো দ্বীপটি চক্কর দিয়েছেন। দুই হাতে হাতকড়া পরে ইস্ট রিভার, হার্লেম আর হাডসন পেরিয়ে ২৮ দশমিক ৫ মাইলের সাঁতার শেষ করেন তিনি। এজন্য তাঁর সময় লেগেছে ৯ ঘণ্টা ৪১ মিনিট। শরীরের শক্তি বজায় রাখতে সাঁতার চলাকালে মাঝেমধ্যে পানীয় পান করেছেন মোরো।
এই কীর্তির মাধ্যমে মাইকেল মোরো দুটি রেকর্ড করেছেন। স্থান করে নিয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। একটি হলোÑ হাতকড়া পরে নদীতে দীর্ঘতম সাঁতার এবং প্রথম ব্যক্তি হিসেবে হাতকড়ায় ম্যানহাটানের চারপাশ ঘোরা।
মোরোর এই সাঁতার ছিল একই সঙ্গে দুঃসাহসিক ও বিপজ্জনক। মোরো যখন সাঁতার কাটছিলেন, তখন প্রয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য তার আশপাশে জরুরি সহায়তাকারী একটি দল ছিল। কিন্তু মোরো ছিলেন অন্য জাতের মানুষ। ছোটবেলা থেকে সাঁতার ছিল তার ধ্যানজ্ঞান। মোরো বলেন, ফ্রি স্টাইল সাঁতারের কিংবদন্তি ডায়ানা নিয়াড এবং রস এডজলির কীর্তি কয়েক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার চোখে পড়ে। তখন তিনি নতুন করে সাঁতার শুরুর তাড়না অনুভব করেন।
২০২২ সালে মিসরের শেহাব আল্লাম হাতকড়া পরে ১১ দশমিক ৬ কিলোমিটার সাঁতার কেটেছিলেন। এতদিন পর্যন্ত হাতকড়া পরে সাঁতারের এটাই ছিল সর্বোচ্চ রেকর্ড। মোরো এ রেকর্ড ভাঙলেন।
হাতকড়ায় বাঁধা দুই হাত। এ অবস্থায় পুকুরে সাঁতার কাটাই কষ্টের। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ৪৯ বছর বয়সি বাসিন্দা মাইকেল মোরো অবিশ্বাস্য এক কাজ করেছেন। হাতকড়া নিয়ে প্রায় ২৯ মাইল সাঁতরেছেন তিনি। কোনো পুকুর নয়, গভীর আর প্রশস্ত নদীতে এ কাজটি করেছেন তিনি।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ম্যানহাটানের দক্ষিণাংশ থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে মোরো পুরো দ্বীপটি চক্কর দিয়েছেন। দুই হাতে হাতকড়া পরে ইস্ট রিভার, হার্লেম আর হাডসন পেরিয়ে ২৮ দশমিক ৫ মাইলের সাঁতার শেষ করেন তিনি। এজন্য তাঁর সময় লেগেছে ৯ ঘণ্টা ৪১ মিনিট। শরীরের শক্তি বজায় রাখতে সাঁতার চলাকালে মাঝেমধ্যে পানীয় পান করেছেন মোরো।
এই কীর্তির মাধ্যমে মাইকেল মোরো দুটি রেকর্ড করেছেন। স্থান করে নিয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। একটি হলোÑ হাতকড়া পরে নদীতে দীর্ঘতম সাঁতার এবং প্রথম ব্যক্তি হিসেবে হাতকড়ায় ম্যানহাটানের চারপাশ ঘোরা।
মোরোর এই সাঁতার ছিল একই সঙ্গে দুঃসাহসিক ও বিপজ্জনক। মোরো যখন সাঁতার কাটছিলেন, তখন প্রয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য তার আশপাশে জরুরি সহায়তাকারী একটি দল ছিল। কিন্তু মোরো ছিলেন অন্য জাতের মানুষ। ছোটবেলা থেকে সাঁতার ছিল তার ধ্যানজ্ঞান। মোরো বলেন, ফ্রি স্টাইল সাঁতারের কিংবদন্তি ডায়ানা নিয়াড এবং রস এডজলির কীর্তি কয়েক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার চোখে পড়ে। তখন তিনি নতুন করে সাঁতার শুরুর তাড়না অনুভব করেন।
২০২২ সালে মিসরের শেহাব আল্লাম হাতকড়া পরে ১১ দশমিক ৬ কিলোমিটার সাঁতার কেটেছিলেন। এতদিন পর্যন্ত হাতকড়া পরে সাঁতারের এটাই ছিল সর্বোচ্চ রেকর্ড। মোরো এ রেকর্ড ভাঙলেন।

२१ নভেম্বর, २০२५ १६:০८
বাংলাদেশকে ঘিরে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ভূকম্পবিদরা জানিয়েছেন, দেশটি তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে থাকায় এখানে যে কোনো সময় ৯.০ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। তাদের মতে, এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কম্পন ঘটলে রাজধানী ঢাকার অর্ধেক ভবন পর্যন্ত মাটিতে মিশে যেতে পারে, আর এতে বিপদে পড়বে লক্ষাধিক মানুষের জীবন।
বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করে আসছেন। কিন্তু দেশে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি এখনো খুব সীমিত। বড় ভূমিকম্প সামলাতে সক্ষমতা বর্তমানে ২০ শতাংশেরও কম—যা পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলছে।
এদিকে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে উদ্ধার ও প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে। তবে ভূতাত্ত্বিকদের সতর্কবার্তা আরও স্পষ্ট—উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল, বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম এবং ঢাকার ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে।
তাদের মতে, এখনই সারা দেশে ভবনগুলোর নিরাপত্তা যাচাই, সঠিক নির্মাণবিধি প্রয়োগ এবং নিয়মিত ভূমিকম্প মহড়া চালু না করলে ভবিষ্যৎ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে ভয়াবহ। ফলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও নিরাপদ নির্মাণ নিশ্চিত করাকে সময়ের দাবি হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশকে ঘিরে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ভূকম্পবিদরা জানিয়েছেন, দেশটি তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে থাকায় এখানে যে কোনো সময় ৯.০ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। তাদের মতে, এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কম্পন ঘটলে রাজধানী ঢাকার অর্ধেক ভবন পর্যন্ত মাটিতে মিশে যেতে পারে, আর এতে বিপদে পড়বে লক্ষাধিক মানুষের জীবন।
বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করে আসছেন। কিন্তু দেশে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি এখনো খুব সীমিত। বড় ভূমিকম্প সামলাতে সক্ষমতা বর্তমানে ২০ শতাংশেরও কম—যা পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলছে।
এদিকে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে উদ্ধার ও প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে। তবে ভূতাত্ত্বিকদের সতর্কবার্তা আরও স্পষ্ট—উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল, বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম এবং ঢাকার ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে।
তাদের মতে, এখনই সারা দেশে ভবনগুলোর নিরাপত্তা যাচাই, সঠিক নির্মাণবিধি প্রয়োগ এবং নিয়মিত ভূমিকম্প মহড়া চালু না করলে ভবিষ্যৎ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে ভয়াবহ। ফলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও নিরাপদ নির্মাণ নিশ্চিত করাকে সময়ের দাবি হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

२१ নভেম্বর, २০२५ १२:१६
শুক্রবার অন্যতম পবিত্র দিবস। প্রতি মাসে চার-পাঁচবার এবং বছরে প্রায় বায়ান্নবার পবিত্র এ দিবসটির আগমন হয়। মহান রবের ঘোষিত অনুপম মর্যাদার শ্রেষ্ঠ দিন-রাতগুলোতে ইবাদত করার প্রত্যয় প্রকৃত মুমিন মুসলিমগণকে তিনশ চৌষট্টি দিনের প্রহর গুনতে হলেও সপ্তাহের পালাক্রমে চলমান শুক্রবার তথা জুমাবারের জন্য মাত্র ছয়টি দিন অপেক্ষা করতে হয়। মহান রাব্বুল আলামিন মাত্র ছয় দিনে নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল সৃষ্টি করেন, যা পরিপূর্ণতায় বিকশিত হয় সপ্তাহের শেষ দিন শুক্রবারে। এই মর্মে পবিত্র কুরআনে কয়েকটি আয়াতে মহান রাব্বুল আলামিনের ঘোষণা রয়েছে। প্রখ্যাত তাফসিরবিশারদ আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.)-এর সহিহ বর্ণনায় জানা যায়, ছয় দিনে জগৎ সৃষ্টি হয়েছে তা রোববার থেকে শুরু করে শুক্রবারে শেষ হয়। আবার পৃথিবী ধ্বংস তথা কেয়ামত সংঘটিত হবে ঠিক শুক্রবারে। এই দিনে হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছিল। এই দিনে হজরত আদম (আ.) ও মাতা হাওয়া (আ.)-কে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল এবং এই দিনেই তাদের দুজনকে পৃথিবীর দুটি অঞ্চলে প্রেরণ করা হয়েছিল। হজরত আদম (আ.)-কে শাস্তি স্বরূপ রাখা হয়েছিল শ্রীলঙ্কায় এবং মাতা হাওয়া (আ.)-কে রাখা হয়েছিল সৌদি আরবের জেদ্দা শহরে। আবার এই দিনেই তাদের দুজনকে মহান রাব্বুল আলামিন ক্ষমা করে দিয়ে একত্র করে দিয়েছিলেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এ দিন আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে, এ দিন তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এ দিন সেখান থেকে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়েছে, জুমার দিনই কেয়ামত সংঘটিত হবে। (মুসলিম : ১৮৬২)
একজন মানুষের জীবদ্দশায় যতবার সূর্যোদয় হবে এবং যতগুলো সকাল ভাগ্যে জুটবে তার ভেতরে সবচেয়ে মহিমাপূর্ণ দিনটি সে পাবে শুক্রবার তথা জুমার দিন। একটি দিন বলতে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়কে বোঝায়। এর অর্থ, সব প্রকার ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত, নফল ইবাদতের জন্য এই দিনটি সর্বোৎকৃষ্ট এবং মঙ্গলজনক। আরবি জুমা শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো একত্রিত করা। আগের যুগে এই দিনকে ‘উরুবা’ বলা হতো। জুমার দিনে চার ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পাশাপাশি জোহরের পরিবর্তে দুই রাকাত সালাত আদায় করা ফরজ এবং খুতবা পাঠ ও শোনা ওয়াজিব হিসেবে নির্ধারিত করা হয়েছে। জুমার সালাত ফরজ হয় প্রথম হিজরিতে। রাসুলুল্লাহ (সা.) হিজরতকালে কুবাতে অবস্থান শেষে শুক্রবার মদিনা পৌঁছেন এবং বনি সালেম গোত্রের উপত্যকায় পৌঁছে জোহরের ওয়াক্ত হলে সেখানেই তিনি জুমার সালাত আদায় করেন। এটাই ইতিহাসের প্রথম জুমার সালাত। জুমার নামাজের বিষয়ে পবিত্র কুরআনে সুরা জুমার ১০ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত গমন করো এবং কেনাবেচা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বোঝ। অতঃপর নামাজ শেষ হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ করো ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা জুমা, আয়াত : ৯-১০)
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ১১৪টি সুরার মধ্যে পৃথক ও স্বাতন্ত্র্য একটি সুরা নাজিল করেছেন, যা নামকরণ করা হয়েছে ‘সুরা জুমা’ নামে। যেমন মহান আল্লাহ মুমিনদের উদ্দেশ্য করে শুক্রবারে আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কেনাবেচা বন্ধসহ দুনিয়াবি সব কাজ পরিত্যাগ করে নামাজের জন্য ছুটতে আদেশ করেছেন এবং এও বলেছেন, নামাজ শেষে আবার তোমরা কর্মে ছড়িয়ে পড়ে দিনটিতে আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করো। তবে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, মুসলিম সমাজে শয়তানের প্ররোচনায় কিছু মানুষ শুক্রবার দিনটিকে এমনভাবে বিমুখীকরণ করে রেখেছে, যার অন্ত নেই। লক্ষ করলে দেখা যাবে, সপ্তাহের ছুটির দিন হলো শুক্রবার, আর যে কারণে এই দিনে বেচাকেনা সবচেয়ে বেশি জমজমাট থাকে। এই উপমহাদেশে পশ্চিমা বণিকরা বেচাকেনার উদ্দেশ্যে এসে শাসনের গোড়াপত্তন করেই শেষ হয়নি, বরং কয়েকশ বছর শাসনের নামে শোষণ করে অমুসলিম কালচারের বীজ বপন করে যায়। সাড়ে চৌদ্দশ বছর আগে কুরআনে যে ব্যাপারে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে, আজকের মুসলিম সমাজ শুক্রবারের জুমার আজান হওয়ার পরেও সেই হাট-বাজারে ব্যস্ত হয়ে থাকে।
এই দিনটি মুসলমানের জন্য বিশেষ মহিমাপূর্ণ, যা মহান আল্লাহ খুশি হয়ে মুসলমানদের দান করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ আমাদের পূর্ববর্তীদের জুমার দিন সম্পর্কে সঠিক পথের সন্ধান দেননি বিরোধে লিপ্ত হওয়ার কারণে। তাই ইহুদিদের জন্য শনিবার এবং খ্রিস্টানদের জন্য রোববার এবং মুসলিমদের জন্য জুমার দিন নির্ধারণ করলেন। তিনি জুমার দিন, শনিবার ও রোববার এভাবে বিন্যাস করলেন যে, ওইসব জাতি কেয়ামাতের দিন আমাদের পশ্চাৎবর্তী হবে। আমরা পৃথিবীবাসীর মধ্যে শেষে আগমনকারী উম্মত এবং কেয়ামতের দিন হব সর্বপ্রথম। যাদের সমগ্র সৃষ্টির সর্বপ্রথম বিচার অনুষ্ঠিত হবে’ (মুসলিম : ১৮৬৭)। ইহুদি ও খ্রিস্টানদের জন্য জুমার দিন বরাদ্দ করলেও তারা বেছে নিয়েছে শনিবার ও রোববার। এই জন্য মহান আল্লাহ স্পষ্টভাবে তাদের জন্য লানত নির্ধারণ করলেন। অতএব যারা মুসলিম হয়েও ইহুদি-খ্রিস্টানদের মতো শুক্রবারের মর্যাদা রক্ষায় গাফিলতি করবে কিংবা ইহুদি-খ্রিস্টানের মতো এই দিনটিকে পরিত্যাগ করবে তারাও তাদের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে।
জুমার দিন ভাগ্যবান মুসলমানদের জন্য ইবাদত-বন্দেগি ও দোয়া-দরুদের সুবর্ণ সুযোগ। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরিধান করবে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবে, যদি তার কাছে থাকে। তারপর জুমার নামাজে আসে এবং অন্য মুসল্লিদের গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যায়। নামাজ আদায় করে। তারপর ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর থেকে সালাম পর্যন্ত চুপ করে থাকে। তা হলে তার এই আমল পূর্ববর্তী জুমার দিন থেকে পরের জুমা পর্যন্ত সব সগিরা গুনাহর জন্য কাফফারা হবে’ (আবু দাউদ : ৩৪৩)। আবু হুরায়রা (রা.) আরও বলেন, রাসুল (সা.) আমাদের সঙ্গে একদিন শুক্রবারের ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, সেই সময়টায় যদি কোনো মুসলিম নামাজ আদায়রত অবস্থায় থাকে এবং আল্লাহর কাছে কিছু চায়, আল্লাহ অবশ্যই তার সে চাহিদা বা দোয়া কবুল করবেন। এরপর রাসুল (সা.) তাঁর হাত দিয়ে ইশারা করে সময়টির সংক্ষিপ্ততার ইঙ্গিত দেন (বুখারি)। ফিকহ শাস্ত্রবিদগণ জুমার দিনে দোয়া কবুলের সময়টা আসরের নামাজের পর থেকে মাগরিবের নামাজ পর্যন্ত বলে ব্যাখ্যা করেছেন। সুতরাং এ দিনে যত পারি ইবাদত করি, বেশি বেশি সালাত আদায় করি, জিকির করি, দোয়া-দরুদ পাঠ করি, মহান রবের খুশিতে অন্তরে পরকালের ভয় এনে ইসলাম পরিপন্থী কাজগুলো প্রত্যাখ্যান করি। মহান আল্লাহ সবাইকে তওফিক দিন।
শুক্রবার অন্যতম পবিত্র দিবস। প্রতি মাসে চার-পাঁচবার এবং বছরে প্রায় বায়ান্নবার পবিত্র এ দিবসটির আগমন হয়। মহান রবের ঘোষিত অনুপম মর্যাদার শ্রেষ্ঠ দিন-রাতগুলোতে ইবাদত করার প্রত্যয় প্রকৃত মুমিন মুসলিমগণকে তিনশ চৌষট্টি দিনের প্রহর গুনতে হলেও সপ্তাহের পালাক্রমে চলমান শুক্রবার তথা জুমাবারের জন্য মাত্র ছয়টি দিন অপেক্ষা করতে হয়। মহান রাব্বুল আলামিন মাত্র ছয় দিনে নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল সৃষ্টি করেন, যা পরিপূর্ণতায় বিকশিত হয় সপ্তাহের শেষ দিন শুক্রবারে। এই মর্মে পবিত্র কুরআনে কয়েকটি আয়াতে মহান রাব্বুল আলামিনের ঘোষণা রয়েছে। প্রখ্যাত তাফসিরবিশারদ আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.)-এর সহিহ বর্ণনায় জানা যায়, ছয় দিনে জগৎ সৃষ্টি হয়েছে তা রোববার থেকে শুরু করে শুক্রবারে শেষ হয়। আবার পৃথিবী ধ্বংস তথা কেয়ামত সংঘটিত হবে ঠিক শুক্রবারে। এই দিনে হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছিল। এই দিনে হজরত আদম (আ.) ও মাতা হাওয়া (আ.)-কে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল এবং এই দিনেই তাদের দুজনকে পৃথিবীর দুটি অঞ্চলে প্রেরণ করা হয়েছিল। হজরত আদম (আ.)-কে শাস্তি স্বরূপ রাখা হয়েছিল শ্রীলঙ্কায় এবং মাতা হাওয়া (আ.)-কে রাখা হয়েছিল সৌদি আরবের জেদ্দা শহরে। আবার এই দিনেই তাদের দুজনকে মহান রাব্বুল আলামিন ক্ষমা করে দিয়ে একত্র করে দিয়েছিলেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এ দিন আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে, এ দিন তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এ দিন সেখান থেকে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়েছে, জুমার দিনই কেয়ামত সংঘটিত হবে। (মুসলিম : ১৮৬২)
একজন মানুষের জীবদ্দশায় যতবার সূর্যোদয় হবে এবং যতগুলো সকাল ভাগ্যে জুটবে তার ভেতরে সবচেয়ে মহিমাপূর্ণ দিনটি সে পাবে শুক্রবার তথা জুমার দিন। একটি দিন বলতে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়কে বোঝায়। এর অর্থ, সব প্রকার ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত, নফল ইবাদতের জন্য এই দিনটি সর্বোৎকৃষ্ট এবং মঙ্গলজনক। আরবি জুমা শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো একত্রিত করা। আগের যুগে এই দিনকে ‘উরুবা’ বলা হতো। জুমার দিনে চার ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পাশাপাশি জোহরের পরিবর্তে দুই রাকাত সালাত আদায় করা ফরজ এবং খুতবা পাঠ ও শোনা ওয়াজিব হিসেবে নির্ধারিত করা হয়েছে। জুমার সালাত ফরজ হয় প্রথম হিজরিতে। রাসুলুল্লাহ (সা.) হিজরতকালে কুবাতে অবস্থান শেষে শুক্রবার মদিনা পৌঁছেন এবং বনি সালেম গোত্রের উপত্যকায় পৌঁছে জোহরের ওয়াক্ত হলে সেখানেই তিনি জুমার সালাত আদায় করেন। এটাই ইতিহাসের প্রথম জুমার সালাত। জুমার নামাজের বিষয়ে পবিত্র কুরআনে সুরা জুমার ১০ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত গমন করো এবং কেনাবেচা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বোঝ। অতঃপর নামাজ শেষ হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ করো ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা জুমা, আয়াত : ৯-১০)
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ১১৪টি সুরার মধ্যে পৃথক ও স্বাতন্ত্র্য একটি সুরা নাজিল করেছেন, যা নামকরণ করা হয়েছে ‘সুরা জুমা’ নামে। যেমন মহান আল্লাহ মুমিনদের উদ্দেশ্য করে শুক্রবারে আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কেনাবেচা বন্ধসহ দুনিয়াবি সব কাজ পরিত্যাগ করে নামাজের জন্য ছুটতে আদেশ করেছেন এবং এও বলেছেন, নামাজ শেষে আবার তোমরা কর্মে ছড়িয়ে পড়ে দিনটিতে আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করো। তবে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, মুসলিম সমাজে শয়তানের প্ররোচনায় কিছু মানুষ শুক্রবার দিনটিকে এমনভাবে বিমুখীকরণ করে রেখেছে, যার অন্ত নেই। লক্ষ করলে দেখা যাবে, সপ্তাহের ছুটির দিন হলো শুক্রবার, আর যে কারণে এই দিনে বেচাকেনা সবচেয়ে বেশি জমজমাট থাকে। এই উপমহাদেশে পশ্চিমা বণিকরা বেচাকেনার উদ্দেশ্যে এসে শাসনের গোড়াপত্তন করেই শেষ হয়নি, বরং কয়েকশ বছর শাসনের নামে শোষণ করে অমুসলিম কালচারের বীজ বপন করে যায়। সাড়ে চৌদ্দশ বছর আগে কুরআনে যে ব্যাপারে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে, আজকের মুসলিম সমাজ শুক্রবারের জুমার আজান হওয়ার পরেও সেই হাট-বাজারে ব্যস্ত হয়ে থাকে।
এই দিনটি মুসলমানের জন্য বিশেষ মহিমাপূর্ণ, যা মহান আল্লাহ খুশি হয়ে মুসলমানদের দান করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ আমাদের পূর্ববর্তীদের জুমার দিন সম্পর্কে সঠিক পথের সন্ধান দেননি বিরোধে লিপ্ত হওয়ার কারণে। তাই ইহুদিদের জন্য শনিবার এবং খ্রিস্টানদের জন্য রোববার এবং মুসলিমদের জন্য জুমার দিন নির্ধারণ করলেন। তিনি জুমার দিন, শনিবার ও রোববার এভাবে বিন্যাস করলেন যে, ওইসব জাতি কেয়ামাতের দিন আমাদের পশ্চাৎবর্তী হবে। আমরা পৃথিবীবাসীর মধ্যে শেষে আগমনকারী উম্মত এবং কেয়ামতের দিন হব সর্বপ্রথম। যাদের সমগ্র সৃষ্টির সর্বপ্রথম বিচার অনুষ্ঠিত হবে’ (মুসলিম : ১৮৬৭)। ইহুদি ও খ্রিস্টানদের জন্য জুমার দিন বরাদ্দ করলেও তারা বেছে নিয়েছে শনিবার ও রোববার। এই জন্য মহান আল্লাহ স্পষ্টভাবে তাদের জন্য লানত নির্ধারণ করলেন। অতএব যারা মুসলিম হয়েও ইহুদি-খ্রিস্টানদের মতো শুক্রবারের মর্যাদা রক্ষায় গাফিলতি করবে কিংবা ইহুদি-খ্রিস্টানের মতো এই দিনটিকে পরিত্যাগ করবে তারাও তাদের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে।
জুমার দিন ভাগ্যবান মুসলমানদের জন্য ইবাদত-বন্দেগি ও দোয়া-দরুদের সুবর্ণ সুযোগ। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরিধান করবে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবে, যদি তার কাছে থাকে। তারপর জুমার নামাজে আসে এবং অন্য মুসল্লিদের গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যায়। নামাজ আদায় করে। তারপর ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর থেকে সালাম পর্যন্ত চুপ করে থাকে। তা হলে তার এই আমল পূর্ববর্তী জুমার দিন থেকে পরের জুমা পর্যন্ত সব সগিরা গুনাহর জন্য কাফফারা হবে’ (আবু দাউদ : ৩৪৩)। আবু হুরায়রা (রা.) আরও বলেন, রাসুল (সা.) আমাদের সঙ্গে একদিন শুক্রবারের ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, সেই সময়টায় যদি কোনো মুসলিম নামাজ আদায়রত অবস্থায় থাকে এবং আল্লাহর কাছে কিছু চায়, আল্লাহ অবশ্যই তার সে চাহিদা বা দোয়া কবুল করবেন। এরপর রাসুল (সা.) তাঁর হাত দিয়ে ইশারা করে সময়টির সংক্ষিপ্ততার ইঙ্গিত দেন (বুখারি)। ফিকহ শাস্ত্রবিদগণ জুমার দিনে দোয়া কবুলের সময়টা আসরের নামাজের পর থেকে মাগরিবের নামাজ পর্যন্ত বলে ব্যাখ্যা করেছেন। সুতরাং এ দিনে যত পারি ইবাদত করি, বেশি বেশি সালাত আদায় করি, জিকির করি, দোয়া-দরুদ পাঠ করি, মহান রবের খুশিতে অন্তরে পরকালের ভয় এনে ইসলাম পরিপন্থী কাজগুলো প্রত্যাখ্যান করি। মহান আল্লাহ সবাইকে তওফিক দিন।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.