২৩ জুলাই, ২০২৫ ২৩:৪৯
১৫ বছর আগে দুদকের করা মামলায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) সাবেক মেয়র প্রয়াত আহসান হাবিব কামালকে নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজা ও অর্থদণ্ড বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। এ মামলার অপর চার আসামির ক্ষেত্রেও একই আদেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর নেতৃত্বে হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ রায় দেন।
জানা গেছে, ২৭ লাখ ৫০ টাকা আত্মসাতের মামলায় ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আহসান হাবিব কামালসহ তৎকালীন পৌরসভার ৫ কর্মকর্তাকে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ কোটি টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছিলেন বরিশালের বিশেষ জজ আদালত। ৭ মাস ৮ দিন কারাভোগের পর ৫০ লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে ২০২১ সালের ১৬ জুলাই জামিনে মুক্তি পান তিনি। ২০২২ সালের ৩১ জুলাই ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বুধবার হাইকোর্টে কামালের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী সমকালকে জানান, রায় ঘোষণার পরই সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়েছিল। এ মামলার সব আসামিকে নির্দোষ ঘোষণা দিয়ে বুধবার হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন।
রায়ে বিচারক উল্লেখ করেছেন, রাষ্ট্রপক্ষ মামলার অভিযোগ সন্দেহতীতভাবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যারিস্টার সানজিদ জানান, তাঁরা আদালতে উপস্থাপন করেছেন যে, আহসান হাবিব কামাল বিএনপির রাজনীতি করতেন। মামলা দায়েরের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ‘১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরে বরিশাল শহরে টিঅ্যাণ্ডটির ভূ-গর্ভস্থ ক্যাবল স্থাপন করা হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর তখনকার পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। সড়ক মেরামত দেখিয়ে হাই ইয়ং নামক কথিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে চারটি চেকের মাধ্যমে ৩৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাত করেন আসামিরা। এতে কোন দরপত্র আহ্বান হয়নি। বাস্তবে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব নেই।’
এ ঘটনায় ২০১০ সালের ১১ অক্টোবর বরিশালের দুদক কর্মকর্তা আব্দুল বাসেত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০১১ সালের ১৯ জুলাই আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিচার কাজ সম্পন্ন হয়।
আহসান হাবিব কামাল বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপির সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত পৌর চেয়ারম্যান ও সিটি করপোরেশনে উন্নীত হলে ভারপ্রাপ্ত মেয়র ছিলেন। ২০১৩ সালে তিনি বিএনপির সমর্থনে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১৫ বছর আগে দুদকের করা মামলায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) সাবেক মেয়র প্রয়াত আহসান হাবিব কামালকে নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজা ও অর্থদণ্ড বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। এ মামলার অপর চার আসামির ক্ষেত্রেও একই আদেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর নেতৃত্বে হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ রায় দেন।
জানা গেছে, ২৭ লাখ ৫০ টাকা আত্মসাতের মামলায় ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আহসান হাবিব কামালসহ তৎকালীন পৌরসভার ৫ কর্মকর্তাকে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ কোটি টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছিলেন বরিশালের বিশেষ জজ আদালত। ৭ মাস ৮ দিন কারাভোগের পর ৫০ লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে ২০২১ সালের ১৬ জুলাই জামিনে মুক্তি পান তিনি। ২০২২ সালের ৩১ জুলাই ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বুধবার হাইকোর্টে কামালের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী সমকালকে জানান, রায় ঘোষণার পরই সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়েছিল। এ মামলার সব আসামিকে নির্দোষ ঘোষণা দিয়ে বুধবার হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন।
রায়ে বিচারক উল্লেখ করেছেন, রাষ্ট্রপক্ষ মামলার অভিযোগ সন্দেহতীতভাবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যারিস্টার সানজিদ জানান, তাঁরা আদালতে উপস্থাপন করেছেন যে, আহসান হাবিব কামাল বিএনপির রাজনীতি করতেন। মামলা দায়েরের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ‘১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরে বরিশাল শহরে টিঅ্যাণ্ডটির ভূ-গর্ভস্থ ক্যাবল স্থাপন করা হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর তখনকার পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। সড়ক মেরামত দেখিয়ে হাই ইয়ং নামক কথিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে চারটি চেকের মাধ্যমে ৩৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাত করেন আসামিরা। এতে কোন দরপত্র আহ্বান হয়নি। বাস্তবে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব নেই।’
এ ঘটনায় ২০১০ সালের ১১ অক্টোবর বরিশালের দুদক কর্মকর্তা আব্দুল বাসেত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০১১ সালের ১৯ জুলাই আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিচার কাজ সম্পন্ন হয়।
আহসান হাবিব কামাল বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপির সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত পৌর চেয়ারম্যান ও সিটি করপোরেশনে উন্নীত হলে ভারপ্রাপ্ত মেয়র ছিলেন। ২০১৩ সালে তিনি বিএনপির সমর্থনে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৮:০৪
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের অভিযানে গত পাঁচ মাসে প্রায় ৪ হাজার ২২৪ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ জাল, ২ হাজার ৩৬২ কোটি টাকার জাটকা, ৬৭২ কোটি টাকার চিংড়ি রেণু, ১৩৫ কোটি টাকার ট্রলার, ২১ লাখ ৬৩ হাজার টাকার মাদক, ২৩৯ কোটি টাকার সামুদ্রিক মাছ, ৭ লাখ টাকার বিদেশি সিগারেট, ১০ হাজার ৯৪০ কোটি টাকার বালু উত্তোলনকারী ড্রেজার এবং দেশি-বিদেশি ১৫২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি-বোমাসহ ৪৩ জন ডাকাতকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (১৭ আগস্ট) সকালে কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের বিসিজি বেইজ ভোলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মো. ইমাম হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, দেশের সমুদ্রসীমা ও উপকূলীয় এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, চোরাচালান, মাদক ও মানবপাচার দমন, অবৈধ ট্রলিং প্রতিরোধ এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, গত পাঁচ মাসে ৬৫ কোটি মিটার অবৈধ জাল, ১ হাজার ৫০০টি বেহুন্দি জাল এবং ৫ হাজার ৬০০টি চায়না দুয়ারি জাল জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়াও, প্রায় ২৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা মূল্যের ১ লাখ ৭৭ হাজার কেজি জাটকা, ২০ হাজার কেজি ইলিশ, ৩১ হাজার কেজি সামুদ্রিক মাছ, ১৭ হাজার কেজি পাঙ্গাস পোনা এবং ৬ কোটি ৭২ লাখ পিস চিংড়ির রেণু জব্দ করা হয়। জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং মাছ এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়। চিংড়ির রেণুগুলো নদীতে অবমুক্ত করা হয়।
অবৈধ ট্রলিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযানে ১৩৫ কোটি টাকা মূল্যের ১৩৩টি ট্রলিং বোট জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি সার্চ ও রেসকিউ অভিযানে ৫২০ জনকে জীবিত এবং ৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। জলদস্যুদের কবল থেকে ৪টি ফিশিং ট্রলার ও ৬৭ জন জেলেকেও জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গত পাঁচ মাসে ২৯টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ৪৮ রাউন্ড গুলি, ১টি গোলার খোসা, ২৭টি হাতবোমা, ৪টি রকেট ফ্লেয়ার, ৩৯টি ধারালো দেশীয় অস্ত্র এবং ২০ লাখ ৫ হাজার টাকা মূল্যের ডাকাতি করা স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। এ সময় ৪৩ জন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও ডাকাতকে আটক করা হয়।
মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে ২১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা মূল্যের ১৮ কেজি ৮৪০ গ্রাম গাঁজা, ৫টি গাঁজার গাছ এবং ৩ হাজার ১৯৭ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা মূল্যের ৫ হাজার ৯০০ কেজি হাঙর, ৮৪৫ কেজি শাপলা পাতা, ৩০ হাজার ৮০ কেজি অবৈধ পলিথিন ও ১০ হাজার ২৫০ লিটার অপরিশোধিত পাম অয়েল জব্দ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা মূল্যের ১৯০ কেজি হরিণের মাংস, ১টি হরিণের সিং, প্রায় ৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা মূল্যের ৫ হাজার ৮৮৯টি আতশবাজি এবং ১৯ হাজার ৬০০ স্টিক বিভিন্ন বিদেশি ব্র্যান্ডের সিগারেট ও অন্যান্য অবৈধ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী জব্দ করা হয়।
অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযানে গত ৬ মাসে ১০৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ৭০টি ড্রেজার এবং ৫৮টি বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে। জনসেবামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ‘ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন’-এর মাধ্যমে ১ হাজার ১২০ জন অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে।
‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মৎস্য সংরক্ষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগকালীন উদ্ধার ও অগ্নি নির্বাপন বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করা হয়েছে বলেও জানান জোনাল কমান্ডার।
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের অভিযানে গত পাঁচ মাসে প্রায় ৪ হাজার ২২৪ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ জাল, ২ হাজার ৩৬২ কোটি টাকার জাটকা, ৬৭২ কোটি টাকার চিংড়ি রেণু, ১৩৫ কোটি টাকার ট্রলার, ২১ লাখ ৬৩ হাজার টাকার মাদক, ২৩৯ কোটি টাকার সামুদ্রিক মাছ, ৭ লাখ টাকার বিদেশি সিগারেট, ১০ হাজার ৯৪০ কোটি টাকার বালু উত্তোলনকারী ড্রেজার এবং দেশি-বিদেশি ১৫২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি-বোমাসহ ৪৩ জন ডাকাতকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (১৭ আগস্ট) সকালে কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের বিসিজি বেইজ ভোলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মো. ইমাম হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, দেশের সমুদ্রসীমা ও উপকূলীয় এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, চোরাচালান, মাদক ও মানবপাচার দমন, অবৈধ ট্রলিং প্রতিরোধ এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, গত পাঁচ মাসে ৬৫ কোটি মিটার অবৈধ জাল, ১ হাজার ৫০০টি বেহুন্দি জাল এবং ৫ হাজার ৬০০টি চায়না দুয়ারি জাল জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়াও, প্রায় ২৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা মূল্যের ১ লাখ ৭৭ হাজার কেজি জাটকা, ২০ হাজার কেজি ইলিশ, ৩১ হাজার কেজি সামুদ্রিক মাছ, ১৭ হাজার কেজি পাঙ্গাস পোনা এবং ৬ কোটি ৭২ লাখ পিস চিংড়ির রেণু জব্দ করা হয়। জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং মাছ এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়। চিংড়ির রেণুগুলো নদীতে অবমুক্ত করা হয়।
অবৈধ ট্রলিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযানে ১৩৫ কোটি টাকা মূল্যের ১৩৩টি ট্রলিং বোট জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি সার্চ ও রেসকিউ অভিযানে ৫২০ জনকে জীবিত এবং ৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। জলদস্যুদের কবল থেকে ৪টি ফিশিং ট্রলার ও ৬৭ জন জেলেকেও জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গত পাঁচ মাসে ২৯টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ৪৮ রাউন্ড গুলি, ১টি গোলার খোসা, ২৭টি হাতবোমা, ৪টি রকেট ফ্লেয়ার, ৩৯টি ধারালো দেশীয় অস্ত্র এবং ২০ লাখ ৫ হাজার টাকা মূল্যের ডাকাতি করা স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। এ সময় ৪৩ জন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও ডাকাতকে আটক করা হয়।
মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে ২১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা মূল্যের ১৮ কেজি ৮৪০ গ্রাম গাঁজা, ৫টি গাঁজার গাছ এবং ৩ হাজার ১৯৭ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা মূল্যের ৫ হাজার ৯০০ কেজি হাঙর, ৮৪৫ কেজি শাপলা পাতা, ৩০ হাজার ৮০ কেজি অবৈধ পলিথিন ও ১০ হাজার ২৫০ লিটার অপরিশোধিত পাম অয়েল জব্দ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা মূল্যের ১৯০ কেজি হরিণের মাংস, ১টি হরিণের সিং, প্রায় ৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা মূল্যের ৫ হাজার ৮৮৯টি আতশবাজি এবং ১৯ হাজার ৬০০ স্টিক বিভিন্ন বিদেশি ব্র্যান্ডের সিগারেট ও অন্যান্য অবৈধ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী জব্দ করা হয়।
অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযানে গত ৬ মাসে ১০৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ৭০টি ড্রেজার এবং ৫৮টি বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে। জনসেবামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ‘ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন’-এর মাধ্যমে ১ হাজার ১২০ জন অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে।
‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মৎস্য সংরক্ষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগকালীন উদ্ধার ও অগ্নি নির্বাপন বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করা হয়েছে বলেও জানান জোনাল কমান্ডার।
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৫৯
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক দুর্গাসাগর দিঘিরপাড়ে স্থাপিত খাঁচা থেকে একটি হরিণ নিখোঁজ হয়েছে। এ ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৩ আগস্ট রাতে খাঁচার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন অলিউল হাওলাদার, জাহিদুর রহমান ও বশির শিকদার। তাদের উপস্থিতি সত্ত্বেও হরিণটি খাঁচা থেকে নিখোঁজ হয়। পরদিন ৪ আগস্ট সকালে একটি হরিণ কম থাকার বিষয়টি নজরে আসে।
এ ঘটনায় দুর্গাসাগর এলাকার নিরাপত্তা সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর হোসেন বরিশাল বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তদন্তের অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থাপন করা সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে পুলিশ। তবে খাঁচার আশপাশের ক্যামেরাগুলো বিকল থাকায় হরিণ নিখোঁজের কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। বিমানবন্দর থানার ওসি জাকির সিকদার জানান, হরিণ নিখোঁজের রহস্য উদঘাটনে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে এবং সম্ভাব্য সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সিসি ক্যামেরা বিকল থাকাও রহস্যজনক এবং এতে করে একটি দামি ও সংরক্ষিত প্রাণী নিখোঁজ হওয়া উদ্বেগজনক। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক দুর্গাসাগর দিঘিরপাড়ে স্থাপিত খাঁচা থেকে একটি হরিণ নিখোঁজ হয়েছে। এ ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৩ আগস্ট রাতে খাঁচার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন অলিউল হাওলাদার, জাহিদুর রহমান ও বশির শিকদার। তাদের উপস্থিতি সত্ত্বেও হরিণটি খাঁচা থেকে নিখোঁজ হয়। পরদিন ৪ আগস্ট সকালে একটি হরিণ কম থাকার বিষয়টি নজরে আসে।
এ ঘটনায় দুর্গাসাগর এলাকার নিরাপত্তা সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর হোসেন বরিশাল বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তদন্তের অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থাপন করা সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে পুলিশ। তবে খাঁচার আশপাশের ক্যামেরাগুলো বিকল থাকায় হরিণ নিখোঁজের কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। বিমানবন্দর থানার ওসি জাকির সিকদার জানান, হরিণ নিখোঁজের রহস্য উদঘাটনে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে এবং সম্ভাব্য সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সিসি ক্যামেরা বিকল থাকাও রহস্যজনক এবং এতে করে একটি দামি ও সংরক্ষিত প্রাণী নিখোঁজ হওয়া উদ্বেগজনক। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৫৪
পড়াশোনার পাশাপাশি খেলা ধুলাও মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ এবং সুস্থ থাকতে এর বিকল্প নেই বলে মন্তব্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম। সুস্থ স্বাভাবিক জীবন উপহার পেতে প্রতিটি মানুষের শরীর চর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১০ টায় ববিতে অধ্যায়নরত সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র কল্যান সমিতির শিক্ষার্থীদের আয়োজনে ১দিন ব্যাপী এই টুর্নামেন্টে সার্বিক সহযোগিতা করে বিআরটিএ ও নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বরিশাল জেলা কমিটি। উপজেলা ভিত্তিক প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন উপাচার্য।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক মোঃ জিয়াউর রহমান, ববি ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: ইলিয়াস হোসেন, দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: আবদুল্লাহ আল-মামুন, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো: রুহুল আমিন, বুরো বাংলাদেশ বিভাগীয় কার্যালয়ে কর্মরত মো: ওয়াসিম আকরামসহ অন্যান্যরা।
দূর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে আয়োজিত উপজেলা ভিত্তিক ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয় সকাল ১০টায়। বিকেল ৫ টায় ফাইনাল খেলা পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় একদিন ব্যাপী এই আয়োজন। সকাল থেকে সকল খেলা পরিচালনা করেন নিসচা বরিশাল জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের ইসলাম চৌধুরী।
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র কল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মো: ইমন এর সঞ্চালনা এবং অনুষ্ঠানে মো: মোতালেব হোসেন সোহান এর সভাপতিত্বে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করে ববি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম বলেন, খেলাধূলা শরীর ও মন ভালো রাখে। শুধু লেখা-পড়া করলেই চলবে না তার পাশাপাশি আমাদের খেলাধূলাও করতে হবে। কারণ পড়াশোনা আমাদের মেধাবী করবে আর খেলাধূলা আমাদের শরীর সুস্থ রাখবে।
তিনি আরও বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই বিআরটিএ ও নিরাপদ সড়ক চাই বরিশাল জেলা কমিটির সদস্যদের। তারা আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এমন সুন্দর একটি আয়োজন করেছে। আগামীতে তাদের এই কাজের ধারা অব্যাহত থাকবে এটাই প্রত্যাশা করছি। ববির সকল শিক্ষার্থীদের প্রতি রইলো আমার দোয়া ও ভালোবাসা।
পড়াশোনার পাশাপাশি খেলা ধুলাও মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ এবং সুস্থ থাকতে এর বিকল্প নেই বলে মন্তব্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম। সুস্থ স্বাভাবিক জীবন উপহার পেতে প্রতিটি মানুষের শরীর চর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১০ টায় ববিতে অধ্যায়নরত সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র কল্যান সমিতির শিক্ষার্থীদের আয়োজনে ১দিন ব্যাপী এই টুর্নামেন্টে সার্বিক সহযোগিতা করে বিআরটিএ ও নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বরিশাল জেলা কমিটি। উপজেলা ভিত্তিক প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন উপাচার্য।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক মোঃ জিয়াউর রহমান, ববি ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: ইলিয়াস হোসেন, দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: আবদুল্লাহ আল-মামুন, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো: রুহুল আমিন, বুরো বাংলাদেশ বিভাগীয় কার্যালয়ে কর্মরত মো: ওয়াসিম আকরামসহ অন্যান্যরা।
দূর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে আয়োজিত উপজেলা ভিত্তিক ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয় সকাল ১০টায়। বিকেল ৫ টায় ফাইনাল খেলা পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় একদিন ব্যাপী এই আয়োজন। সকাল থেকে সকল খেলা পরিচালনা করেন নিসচা বরিশাল জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের ইসলাম চৌধুরী।
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র কল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মো: ইমন এর সঞ্চালনা এবং অনুষ্ঠানে মো: মোতালেব হোসেন সোহান এর সভাপতিত্বে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করে ববি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম বলেন, খেলাধূলা শরীর ও মন ভালো রাখে। শুধু লেখা-পড়া করলেই চলবে না তার পাশাপাশি আমাদের খেলাধূলাও করতে হবে। কারণ পড়াশোনা আমাদের মেধাবী করবে আর খেলাধূলা আমাদের শরীর সুস্থ রাখবে।
তিনি আরও বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই বিআরটিএ ও নিরাপদ সড়ক চাই বরিশাল জেলা কমিটির সদস্যদের। তারা আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এমন সুন্দর একটি আয়োজন করেছে। আগামীতে তাদের এই কাজের ধারা অব্যাহত থাকবে এটাই প্রত্যাশা করছি। ববির সকল শিক্ষার্থীদের প্রতি রইলো আমার দোয়া ও ভালোবাসা।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.