২৯ মে, ২০২৫ ১০:০৪
এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। সম্প্রতি তিনি সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন। তা ছাড়া যুক্তরাজ্যের ৩৩তম রেইনড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়নও পেয়েছেন তিনি। বিয়ের পর এত এত সুখবর পেয়ে মেহজাবীন বেশ আনন্দিত।
দীর্ঘ সম্পর্কের পর নির্মাতা আদনান আল রাজীবকে বিয়ে করেছেন মেহজাবীন। বিয়ের পর দারুণ সময় পার করছেন অভিনেত্রী।
তার ‘প্রিয় মালতী’ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। গেল ডিসেম্বরে দেশের সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র উৎসব ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা ছবির পুরস্কার জিতে নেয় ‘প্রিয় মালতী’। এরপর লন্ডন বাঙালি চলচ্চিত্র উৎসবের অষ্টম আসরে দর্শক পুরস্কার অর্জন করেছে এই ছবি।
এসব কিছুর পরে সম্প্রতি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৪-এর সেরা চলচ্চিত্রের (পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র/চলচ্চিত্র) পুরস্কার পায় ‘প্রিয় মালতী’। শুধু তাই নয়, সমালোচক ও তারকা জরিপ-দুই বিভাগেই ‘প্রিয় মালতী’র জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
এদিন মঞ্চে উঠে জোড়া পুরস্কার হাতে পেয়ে স্বামীকে মিস করেছেন অভিনেত্রী। কারণ; নির্মাতা আদনান আল রাজীব বর্তমানে নিজের সিনেমা ‘আলী’র প্রদর্শনী নিয়ে এই ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসবে রয়েছেন।
স্বামীকে মিস করলেও পুরস্কার হাতে নিয়ে মেহজাবীন জানালেন, বিয়ের পর তার ভাগ্য খুলে গেছে। অভিনেত্রী বললেন, আমার মনে হয় বিয়ের পর আমার ভাগ্য খুলে গেছে।
এর আগে যুক্তরাজ্যের ৩৩তম রেইনড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেয়ে সংবাদমাধ্যমকে অভিনেত্রী বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি খুবই আনন্দিত যে, আমাকে আন্তর্জাতিক অনেক প্রতিভাবান শিল্পীদের সঙ্গে একই তালিকায় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। একজন অভিনেত্রী হিসেবে এটা আমার জন্য বড় অর্জন। আমি চাই, আরও ভালো কাজ করতে, আরও চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করতে।
এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। সম্প্রতি তিনি সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন। তা ছাড়া যুক্তরাজ্যের ৩৩তম রেইনড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়নও পেয়েছেন তিনি। বিয়ের পর এত এত সুখবর পেয়ে মেহজাবীন বেশ আনন্দিত।
দীর্ঘ সম্পর্কের পর নির্মাতা আদনান আল রাজীবকে বিয়ে করেছেন মেহজাবীন। বিয়ের পর দারুণ সময় পার করছেন অভিনেত্রী।
তার ‘প্রিয় মালতী’ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। গেল ডিসেম্বরে দেশের সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র উৎসব ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা ছবির পুরস্কার জিতে নেয় ‘প্রিয় মালতী’। এরপর লন্ডন বাঙালি চলচ্চিত্র উৎসবের অষ্টম আসরে দর্শক পুরস্কার অর্জন করেছে এই ছবি।
এসব কিছুর পরে সম্প্রতি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৪-এর সেরা চলচ্চিত্রের (পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র/চলচ্চিত্র) পুরস্কার পায় ‘প্রিয় মালতী’। শুধু তাই নয়, সমালোচক ও তারকা জরিপ-দুই বিভাগেই ‘প্রিয় মালতী’র জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
এদিন মঞ্চে উঠে জোড়া পুরস্কার হাতে পেয়ে স্বামীকে মিস করেছেন অভিনেত্রী। কারণ; নির্মাতা আদনান আল রাজীব বর্তমানে নিজের সিনেমা ‘আলী’র প্রদর্শনী নিয়ে এই ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসবে রয়েছেন।
স্বামীকে মিস করলেও পুরস্কার হাতে নিয়ে মেহজাবীন জানালেন, বিয়ের পর তার ভাগ্য খুলে গেছে। অভিনেত্রী বললেন, আমার মনে হয় বিয়ের পর আমার ভাগ্য খুলে গেছে।
এর আগে যুক্তরাজ্যের ৩৩তম রেইনড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেয়ে সংবাদমাধ্যমকে অভিনেত্রী বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি খুবই আনন্দিত যে, আমাকে আন্তর্জাতিক অনেক প্রতিভাবান শিল্পীদের সঙ্গে একই তালিকায় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। একজন অভিনেত্রী হিসেবে এটা আমার জন্য বড় অর্জন। আমি চাই, আরও ভালো কাজ করতে, আরও চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করতে।
২৯ মে, ২০২৫ ১০:৫২
সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর এবার প্রকাশ্যে ভরসা রাখলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনুসের ওপর।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘দেশের এই আপৎকালে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ডক্টর মুহম্মদ ইউনুস স্যারেই আস্থা। সামনে আছে অপার ভবিষ্যৎ এবং সম্ভাবনা।’
পোস্টের শুরুতেই তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশ ফার্স্ট’, যার মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দেন, দল নয়, দেশই তার কাছে বড়।’
আসিফ আকবরের পোস্টে আরও উঠে এসেছে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ, জাতীয়তাবাদী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ এবং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার নাম।
প্রত্যেকের বর্ণনায় তিনি ব্যবহার করেন ইতিবাচক শব্দাবলি-‘সুদর্শন’, ‘অভিজ্ঞ’, ‘তরুণ তুর্কী’। তিনজনের একটি ছবি শেয়ার করে শিল্পী লেখেন, ‘ছবিটা ইতিবাচক মনে হলো, চোখের শান্তি।’
‘সব দেশপ্রেম অবশ্যই এক মোহনায় মিলবে, নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বৃথা যেতে দেয়া যাবেনা, জুলাই বিপ্লব ব্যর্থ হবেনা ইনশাআল্লাহ্’।
এই মন্তব্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, আসিফ আকবর বর্তমানে নিজেকে যুক্ত করছেন সেই রাজনৈতিক আবহে, যেখানে জুলাই বিপ্লব ও অন্তর্বর্তী সরকারের অংশগ্রহণ রয়েছে।
সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর এবার প্রকাশ্যে ভরসা রাখলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনুসের ওপর।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘দেশের এই আপৎকালে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ডক্টর মুহম্মদ ইউনুস স্যারেই আস্থা। সামনে আছে অপার ভবিষ্যৎ এবং সম্ভাবনা।’
পোস্টের শুরুতেই তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশ ফার্স্ট’, যার মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দেন, দল নয়, দেশই তার কাছে বড়।’
আসিফ আকবরের পোস্টে আরও উঠে এসেছে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ, জাতীয়তাবাদী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ এবং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার নাম।
প্রত্যেকের বর্ণনায় তিনি ব্যবহার করেন ইতিবাচক শব্দাবলি-‘সুদর্শন’, ‘অভিজ্ঞ’, ‘তরুণ তুর্কী’। তিনজনের একটি ছবি শেয়ার করে শিল্পী লেখেন, ‘ছবিটা ইতিবাচক মনে হলো, চোখের শান্তি।’
‘সব দেশপ্রেম অবশ্যই এক মোহনায় মিলবে, নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বৃথা যেতে দেয়া যাবেনা, জুলাই বিপ্লব ব্যর্থ হবেনা ইনশাআল্লাহ্’।
এই মন্তব্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, আসিফ আকবর বর্তমানে নিজেকে যুক্ত করছেন সেই রাজনৈতিক আবহে, যেখানে জুলাই বিপ্লব ও অন্তর্বর্তী সরকারের অংশগ্রহণ রয়েছে।
২৯ মে, ২০২৫ ১০:৪৯
নতুন একটি সিনেমায় প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধেছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী ও অভিনেতা আব্দুন নূর সজল। ছবিটির প্রাথমিক নাম ‘শাপলা শালুক’। সিনেমাটির দৃশ্যধারণ চলছে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর গারো পাহাড় ও ভারতীয় সীমান্তসংলগ্ন কিছু এলাকাজুড়ে। তবে এই শুটিং নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
বনের ভেতরে এই শুটিং মোটেও ভালোভাবে নিচ্ছেন না দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। তিনি মনে করছেন, এই শুটিংয়ের ফলে বনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ফলে সজল-বুবলীর এই সিমেনার শুটিং বন্ধে বন বিভাগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে একটি সংবাদের ফটোকার্ড শেয়ার করে জয়া লিখেছেন, ‘এই আরেক উপদ্রব বনের ভিতর। বন বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মন চাইলেই লাইট ক্যামেরা একশন শুরু করা যায়?’
ক্ষুব্ধ জয়া প্রশ্ন তুলে আরও লেখেন, ‘মাইকের শব্দ, শুটিং টিমের বর্জ্য, গান-বাজনা এগুলো কি এলাউ করা ঠিক হবে এ রকম একটা সেন্সিটিভ জায়গায়?’
জয়ার এই প্রশ্নের সঙ্গে অনেকেই একমত পোষণ করেছেন। তারা বলছেন, বনের পরিবেশে শুটিং ইউনিটের নানা আয়োজন পশুপাখিদের আতঙ্কিত করে তোলে।
এদিকে বনের গভীরে শুটিং করার সময় সেখানে হানা দেয় বন্যহাতির দল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেতা সজল নিজেই।
তিনি বলেন, গত ৯ দিন ধরে এখানে শুটিং করছি। এখানে প্রায়সময়ই বন্যহাতি আক্রমণ করে। গতকাল আমাদের সেটে প্রায় ৮-৯টা বন্যহাতি আক্রমণ করেছিল। সবাই ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিল। পরে কোনোভাবে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি আমাদের।
এর আগে এই লোকেশনে শুটিং প্রসঙ্গে নায়িকা বুবলী জানান, শেরপুরের নালিতাবাড়ীর লোকেশনে আগে কখনো শুটিং করেননি তিনি। বললেন, ‘দারুণ লোকেশন। খুবই নিরিবিলি পরিবেশ। সিনেমাপ্রেমীদের এই লোকেশন চোখের আরাম দেবে।’
জানা গেছে, এই সিনেমায় সজল-বুবলী ছাড়া আরও অভিনয় করছেন সুমন আনোয়ার, আয়মান শিমলা, দিলরুবা দোয়েল, রফিকুল রুবেল, বাপ্পী প্রমুখ।
নতুন একটি সিনেমায় প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধেছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী ও অভিনেতা আব্দুন নূর সজল। ছবিটির প্রাথমিক নাম ‘শাপলা শালুক’। সিনেমাটির দৃশ্যধারণ চলছে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর গারো পাহাড় ও ভারতীয় সীমান্তসংলগ্ন কিছু এলাকাজুড়ে। তবে এই শুটিং নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
বনের ভেতরে এই শুটিং মোটেও ভালোভাবে নিচ্ছেন না দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। তিনি মনে করছেন, এই শুটিংয়ের ফলে বনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ফলে সজল-বুবলীর এই সিমেনার শুটিং বন্ধে বন বিভাগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে একটি সংবাদের ফটোকার্ড শেয়ার করে জয়া লিখেছেন, ‘এই আরেক উপদ্রব বনের ভিতর। বন বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মন চাইলেই লাইট ক্যামেরা একশন শুরু করা যায়?’
ক্ষুব্ধ জয়া প্রশ্ন তুলে আরও লেখেন, ‘মাইকের শব্দ, শুটিং টিমের বর্জ্য, গান-বাজনা এগুলো কি এলাউ করা ঠিক হবে এ রকম একটা সেন্সিটিভ জায়গায়?’
জয়ার এই প্রশ্নের সঙ্গে অনেকেই একমত পোষণ করেছেন। তারা বলছেন, বনের পরিবেশে শুটিং ইউনিটের নানা আয়োজন পশুপাখিদের আতঙ্কিত করে তোলে।
এদিকে বনের গভীরে শুটিং করার সময় সেখানে হানা দেয় বন্যহাতির দল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেতা সজল নিজেই।
তিনি বলেন, গত ৯ দিন ধরে এখানে শুটিং করছি। এখানে প্রায়সময়ই বন্যহাতি আক্রমণ করে। গতকাল আমাদের সেটে প্রায় ৮-৯টা বন্যহাতি আক্রমণ করেছিল। সবাই ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিল। পরে কোনোভাবে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি আমাদের।
এর আগে এই লোকেশনে শুটিং প্রসঙ্গে নায়িকা বুবলী জানান, শেরপুরের নালিতাবাড়ীর লোকেশনে আগে কখনো শুটিং করেননি তিনি। বললেন, ‘দারুণ লোকেশন। খুবই নিরিবিলি পরিবেশ। সিনেমাপ্রেমীদের এই লোকেশন চোখের আরাম দেবে।’
জানা গেছে, এই সিনেমায় সজল-বুবলী ছাড়া আরও অভিনয় করছেন সুমন আনোয়ার, আয়মান শিমলা, দিলরুবা দোয়েল, রফিকুল রুবেল, বাপ্পী প্রমুখ।
২৯ মে, ২০২৫ ০৯:৫৬
রুপালি দুনিয়ায় একটা প্রচলিত মতামত রয়েছে, বিয়ের পর নায়িকাদের ক্যারিয়ার গ্রাফ নিম্মমুখী হতে শুরু করে। সংসার-সন্তান সামলাতে গিয়ে অনেকেই পেশার সঙ্গে দূরত্বও তৈরি করেন। কেউ বা আবার ‘প্রায়োরিটি’ বেছে নেন।
Advertisement
এই মতামত যেন পুরোপুরি ফলে গেলে টালিউডের নন্দিত অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিকের সঙ্গে। এ অভিনেত্রী বিয়ের পর সময়ের সঙ্গে মাতৃত্বকে আপন করে নিয়েছেন। দুই সন্তানকে নিয়ে সংসার সামলানোর পাশাপাশি অভিনয়জীবনও বাদ দেননি একেবারে। সম্প্রতি এক দুপুরে পরিবার এবং মাতৃত্বের সফর প্রসঙ্গে বিভিন্ন আঙ্গিক নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের সঙ্গে কথা বললেন কোয়েল।
প্রায় দু’বছর পর বড় পর্দায় ফিরছেন কোয়েল। তবে ছবি মুক্তি বা তার প্রচারের ব্যস্ততা এখনো তার কাছে একই রয়ে গেছে। তিনি বলছিলেন, ‘শুটিংয়ের সময়ে তবুও বিরতি পাওয়া যায়। কিন্তু ছবির প্রচারে এখনো আমার বেশ চাপ লাগে। কারণ, বিরতির কোনো সুযোগ থাকে না। মুক্তির দিন পর্যন্ত ছবিটার সম্পর্কে দর্শককে জানানোর চেষ্টা করি।’
গত ডিসেম্বরে দ্বিতীয়বার মা হয়েছেন কোয়েল। তার পরিবারে এসেছে কন্যাসন্তান। স্বাভাবিকভাবেই মা হওয়ার পর কোয়েলের ব্যস্ততা বেড়েছে। তাই পেশার ক্ষেত্রে আগের তুলনায় এখন তার কর্মপদ্ধতিও বদলে গেছে। কোয়েলের স্বীকারোক্তি, ‘আগে চিত্রনাট্য পেলেই পড়তে বসে যেতাম। নতুন কাজের জন্য পর পর মিটিং করতাম। নিজের মতো করে প্রস্তুতি নিতাম। কিন্তু এখন এই সবটাই নির্ভর করে কবীরের (কোয়েলের ছেলের নাম) উপর।’
জীবনের নতুন অধ্যায় মাতৃত্ব। কোয়েল সেই নতুন অধ্যায় চুটিয়ে উপভোগ করছেন। মাতৃত্ব তাকে বহু দিক থেকে বদলেও দিয়েছে বলে উপলব্ধি কোয়েলের। তার কথায়, ‘একটা সময়ে অনেক কিছুই জানতাম না। এখন মাল্টিটাস্কিং করতে পারি। আবার আমিই যে সেগুলো করতে পারি, তা উপলব্ধি করে বিস্মিত হয়েছি।’
ছেলেকে সারাদিন বাড়িতে একা ছেড়ে রাখতে পছন্দ করেন না কোয়েল। যদি তাকে সেটা করতেও হয়, সে ক্ষেত্রে তিনি কবীরের সারা দিনের রুটিন তৈরি করে তার পর বাড়ির বাইরে পা রাখেন। তারপরেও অবশ্য মায়ের ছুটি নেই।
কোয়েলের কথায়, ‘সিসিটিভিতে যখন দেখি ও একা একা ঘরে বসে আছে, তখন খুব কষ্ট হয়। স্কুল থেকে ঠিক সময়ে বাড়ি ফিরছে কি না, কী খাবার খাবে, সবটাই আমার নজরে থাকে।’
কবীর এবং কাব্যের (কোয়েলের মেয়ের নাম) মধ্যে তাকে কে বেশি বিরক্ত করে? প্রশ্ন শুনেই পরিচিত হাসির ঝিলিক খেলে যায় কোয়েলের মুখে। বললেন, ‘কেউই নয়। আমার মনে হয় জীবনের অন্যতম সেরা একটা সময়ের মধ্যে রয়েছি। তাই ওদের নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই।’
কবীরের বয়স এখন পাঁচ বছর। তাই মনের মধ্যেও তার নানা প্রশ্নের উঁকিঝুঁকি। দিনের শেষে একরাশ ক্লান্তি নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। কিন্তু কোনো দিন সেই বাহানায় ছেলের প্রশ্নকে এড়িয়ে যাননি কোয়েল। তার কথায়, ‘একজন মা হিসেবে বিশ্বাস করি, সন্তানদের প্রশ্নগুলো আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না হলেও ওদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর আমি তাকে সম্মান করতে পছন্দ করি।’
কর্মরত মায়েদের নিত্যদিন নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। প্রথমবার মা হওয়ার পর কোয়েলের কাছেও দুই জগৎ নতুন অর্থ বয়ে নিয়ে এসেছিল। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তার অনুপ্রেরণা বাবা রঞ্জিত মল্লিক। কোয়েলের কথায়, ‘আমার ছোটবেলায় বাবা প্রায় সারা বছর কাজ করতেন। কিন্তু বাড়িতে বাবার অনুপস্থিতি আমি কোনো দিন অনুভব করিনি। তাই হয়তো আমাকেও এখন খুব বেশি চেষ্টা করতে হয়নি।’ তবে কখনো কখনো অন্যভাবেও ভাবতে পছন্দ করেন কোয়েল। যেমন, শৈশবে বাবা ব্যস্ত থাকলে, মা থাকতেন সঙ্গে। সেখানে কোয়েল এবং তার স্বামী দু’জনকেই বাড়ির বাইরে সময় কাটাতে হয়। কোয়েলের বিশ্লেষণ, ‘শিক্ষা রয়ে যায়। তারপরেও আমি বলব, সন্তানের জন্য মায়ের স্পর্শ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
পরিবারের পরিসর এবং দায়িত্ব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কাজের সংখ্যাও কমিয়েছেন কোয়েল। কিন্তু তা নিয়ে তার কোনো অভিযোগ নেই। কোয়েলের কথায়, ‘এখনো পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি ধাপ আমি উপভোগ করেছি এবং অভিনেত্রী, স্ত্রী বা মা হিসাবে দায়িত্ব পালনে কোনো রকম ফাঁকি দিইনি।’ ‘প্রতিযোগিতা’ নয়, বরং এই মুহূর্তে সন্তানরাই কোয়েলের কাছে সবার আগে। তার কথায়, ‘‘ছবি তো আমি পরেও করতে পারব। কিন্তু ওদের বড় হওয়ার এই সময়টা চলে গেলে তো আর ফিরে আসবে না।’’
সন্তানের প্রতিপালনে কোনও রকম ত্রুটি রাখতে নারাজ কোয়েল। এই সফরে তিনিও নিজেকে প্রতি মুহূর্তে নতুন ভাবে আবিষ্কার করছেন। ভাল চিত্রনাট্য এবং চরিত্রের প্রস্তাব পেলে অভিনয়ও করতে রাজি। কোয়েলের কথায়, ‘করতে হবে বলে অভিনয় করতে চাই না। কোনো দিন করিনি। আগামী দিনেও করব না।
রুপালি দুনিয়ায় একটা প্রচলিত মতামত রয়েছে, বিয়ের পর নায়িকাদের ক্যারিয়ার গ্রাফ নিম্মমুখী হতে শুরু করে। সংসার-সন্তান সামলাতে গিয়ে অনেকেই পেশার সঙ্গে দূরত্বও তৈরি করেন। কেউ বা আবার ‘প্রায়োরিটি’ বেছে নেন।
Advertisement
এই মতামত যেন পুরোপুরি ফলে গেলে টালিউডের নন্দিত অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিকের সঙ্গে। এ অভিনেত্রী বিয়ের পর সময়ের সঙ্গে মাতৃত্বকে আপন করে নিয়েছেন। দুই সন্তানকে নিয়ে সংসার সামলানোর পাশাপাশি অভিনয়জীবনও বাদ দেননি একেবারে। সম্প্রতি এক দুপুরে পরিবার এবং মাতৃত্বের সফর প্রসঙ্গে বিভিন্ন আঙ্গিক নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের সঙ্গে কথা বললেন কোয়েল।
প্রায় দু’বছর পর বড় পর্দায় ফিরছেন কোয়েল। তবে ছবি মুক্তি বা তার প্রচারের ব্যস্ততা এখনো তার কাছে একই রয়ে গেছে। তিনি বলছিলেন, ‘শুটিংয়ের সময়ে তবুও বিরতি পাওয়া যায়। কিন্তু ছবির প্রচারে এখনো আমার বেশ চাপ লাগে। কারণ, বিরতির কোনো সুযোগ থাকে না। মুক্তির দিন পর্যন্ত ছবিটার সম্পর্কে দর্শককে জানানোর চেষ্টা করি।’
গত ডিসেম্বরে দ্বিতীয়বার মা হয়েছেন কোয়েল। তার পরিবারে এসেছে কন্যাসন্তান। স্বাভাবিকভাবেই মা হওয়ার পর কোয়েলের ব্যস্ততা বেড়েছে। তাই পেশার ক্ষেত্রে আগের তুলনায় এখন তার কর্মপদ্ধতিও বদলে গেছে। কোয়েলের স্বীকারোক্তি, ‘আগে চিত্রনাট্য পেলেই পড়তে বসে যেতাম। নতুন কাজের জন্য পর পর মিটিং করতাম। নিজের মতো করে প্রস্তুতি নিতাম। কিন্তু এখন এই সবটাই নির্ভর করে কবীরের (কোয়েলের ছেলের নাম) উপর।’
জীবনের নতুন অধ্যায় মাতৃত্ব। কোয়েল সেই নতুন অধ্যায় চুটিয়ে উপভোগ করছেন। মাতৃত্ব তাকে বহু দিক থেকে বদলেও দিয়েছে বলে উপলব্ধি কোয়েলের। তার কথায়, ‘একটা সময়ে অনেক কিছুই জানতাম না। এখন মাল্টিটাস্কিং করতে পারি। আবার আমিই যে সেগুলো করতে পারি, তা উপলব্ধি করে বিস্মিত হয়েছি।’
ছেলেকে সারাদিন বাড়িতে একা ছেড়ে রাখতে পছন্দ করেন না কোয়েল। যদি তাকে সেটা করতেও হয়, সে ক্ষেত্রে তিনি কবীরের সারা দিনের রুটিন তৈরি করে তার পর বাড়ির বাইরে পা রাখেন। তারপরেও অবশ্য মায়ের ছুটি নেই।
কোয়েলের কথায়, ‘সিসিটিভিতে যখন দেখি ও একা একা ঘরে বসে আছে, তখন খুব কষ্ট হয়। স্কুল থেকে ঠিক সময়ে বাড়ি ফিরছে কি না, কী খাবার খাবে, সবটাই আমার নজরে থাকে।’
কবীর এবং কাব্যের (কোয়েলের মেয়ের নাম) মধ্যে তাকে কে বেশি বিরক্ত করে? প্রশ্ন শুনেই পরিচিত হাসির ঝিলিক খেলে যায় কোয়েলের মুখে। বললেন, ‘কেউই নয়। আমার মনে হয় জীবনের অন্যতম সেরা একটা সময়ের মধ্যে রয়েছি। তাই ওদের নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই।’
কবীরের বয়স এখন পাঁচ বছর। তাই মনের মধ্যেও তার নানা প্রশ্নের উঁকিঝুঁকি। দিনের শেষে একরাশ ক্লান্তি নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। কিন্তু কোনো দিন সেই বাহানায় ছেলের প্রশ্নকে এড়িয়ে যাননি কোয়েল। তার কথায়, ‘একজন মা হিসেবে বিশ্বাস করি, সন্তানদের প্রশ্নগুলো আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না হলেও ওদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর আমি তাকে সম্মান করতে পছন্দ করি।’
কর্মরত মায়েদের নিত্যদিন নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। প্রথমবার মা হওয়ার পর কোয়েলের কাছেও দুই জগৎ নতুন অর্থ বয়ে নিয়ে এসেছিল। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তার অনুপ্রেরণা বাবা রঞ্জিত মল্লিক। কোয়েলের কথায়, ‘আমার ছোটবেলায় বাবা প্রায় সারা বছর কাজ করতেন। কিন্তু বাড়িতে বাবার অনুপস্থিতি আমি কোনো দিন অনুভব করিনি। তাই হয়তো আমাকেও এখন খুব বেশি চেষ্টা করতে হয়নি।’ তবে কখনো কখনো অন্যভাবেও ভাবতে পছন্দ করেন কোয়েল। যেমন, শৈশবে বাবা ব্যস্ত থাকলে, মা থাকতেন সঙ্গে। সেখানে কোয়েল এবং তার স্বামী দু’জনকেই বাড়ির বাইরে সময় কাটাতে হয়। কোয়েলের বিশ্লেষণ, ‘শিক্ষা রয়ে যায়। তারপরেও আমি বলব, সন্তানের জন্য মায়ের স্পর্শ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
পরিবারের পরিসর এবং দায়িত্ব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কাজের সংখ্যাও কমিয়েছেন কোয়েল। কিন্তু তা নিয়ে তার কোনো অভিযোগ নেই। কোয়েলের কথায়, ‘এখনো পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি ধাপ আমি উপভোগ করেছি এবং অভিনেত্রী, স্ত্রী বা মা হিসাবে দায়িত্ব পালনে কোনো রকম ফাঁকি দিইনি।’ ‘প্রতিযোগিতা’ নয়, বরং এই মুহূর্তে সন্তানরাই কোয়েলের কাছে সবার আগে। তার কথায়, ‘‘ছবি তো আমি পরেও করতে পারব। কিন্তু ওদের বড় হওয়ার এই সময়টা চলে গেলে তো আর ফিরে আসবে না।’’
সন্তানের প্রতিপালনে কোনও রকম ত্রুটি রাখতে নারাজ কোয়েল। এই সফরে তিনিও নিজেকে প্রতি মুহূর্তে নতুন ভাবে আবিষ্কার করছেন। ভাল চিত্রনাট্য এবং চরিত্রের প্রস্তাব পেলে অভিনয়ও করতে রাজি। কোয়েলের কথায়, ‘করতে হবে বলে অভিনয় করতে চাই না। কোনো দিন করিনি। আগামী দিনেও করব না।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.