
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

০१ জুন, २০२५ २१:१५
পটুয়াখালীর বাউফলে সংবাদ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দু’গ্রুপে হাতাহাতি প্রকাশ্যে আসায় এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (১ জুন) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি গ্রুপ উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সড়ক অবরোধ করে সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় অপর একটি গ্রুপ এসে তাদের লিখিত বক্তব্যের (প্রেসনোট) কপি ছিনিয়ে নেয়। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে নিয়োজিত দায়িত্বরত আনসার এবং চৌকিদাররা মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
সংবাদ সম্মেলন আয়োজক দলের এক সদস্য শুভ জানান, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সংবাদ সম্মেলন করতে চাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে অপর একটি গ্রুপ এসে আমাদের প্রেসনোট ছিনিয়ে নেয় এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
প্রেস কনফারেন্স আয়োজনকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলনের ছাত্রী বর্ষার কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে এখন কোন কথা বলবোনা। প্রেসনোট ছিনিয়ে নেওয়া বৈষম্যবিরোধী অন্দোলণে অংশগ্রণকারী শিক্ষার্থী মো. সাজিদ আলম বলেন, “সংবাদ সম্মেলন আমাদের না জানিয়ে আয়োজন করেছে, যেখানে দুইজন সমন্বয়ক ছাড়া বাকি সব বহিরাগত। বৈসম্যবিরোধী আন্দেলনে অংশগ্রহণকারী সকল বাদ দিয়ে তারা দু-একজন ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ব্যস্ত। তাই আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি।”
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাউফল উপজেলা শাখার অন্যতম সদস্য রুহুল আমিন বলেন, প্রেস কনফারেন্সের বিষয়ে আমাকে অবহিত করা হয়নি। তবে উপজেলা গেটে ও ভিতরে হাতাহাতির ঘটনার ভিডিও দেখেছি, যেখানে বর্ষাসহ দুইজন সমন্বয়ক ও বহিরাগতরা ছিল। তাদের কাছ থেকে আমাদের কয়েকজন কাগজ ছিনিয়ে নিলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অন্য এক সমন্বয়ক বলেন, একজন সাংবাদিকের পক্ষ হয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলামের অপসারন চেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলনের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন মোটেই কাম্য নয়। আমাদের কয়েকজন মাত্র প্রতিবাদ জানিয়েছি।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আক্তারুজ্জামান সরকার বরিশালটাইমসকে বলেন, বিষয়টি জেনেছি, দু'গ্রুপে সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পটুয়াখালীর বাউফলে সংবাদ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দু’গ্রুপে হাতাহাতি প্রকাশ্যে আসায় এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (১ জুন) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি গ্রুপ উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সড়ক অবরোধ করে সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় অপর একটি গ্রুপ এসে তাদের লিখিত বক্তব্যের (প্রেসনোট) কপি ছিনিয়ে নেয়। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে নিয়োজিত দায়িত্বরত আনসার এবং চৌকিদাররা মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
সংবাদ সম্মেলন আয়োজক দলের এক সদস্য শুভ জানান, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সংবাদ সম্মেলন করতে চাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে অপর একটি গ্রুপ এসে আমাদের প্রেসনোট ছিনিয়ে নেয় এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
প্রেস কনফারেন্স আয়োজনকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলনের ছাত্রী বর্ষার কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে এখন কোন কথা বলবোনা। প্রেসনোট ছিনিয়ে নেওয়া বৈষম্যবিরোধী অন্দোলণে অংশগ্রণকারী শিক্ষার্থী মো. সাজিদ আলম বলেন, “সংবাদ সম্মেলন আমাদের না জানিয়ে আয়োজন করেছে, যেখানে দুইজন সমন্বয়ক ছাড়া বাকি সব বহিরাগত। বৈসম্যবিরোধী আন্দেলনে অংশগ্রহণকারী সকল বাদ দিয়ে তারা দু-একজন ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ব্যস্ত। তাই আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি।”
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাউফল উপজেলা শাখার অন্যতম সদস্য রুহুল আমিন বলেন, প্রেস কনফারেন্সের বিষয়ে আমাকে অবহিত করা হয়নি। তবে উপজেলা গেটে ও ভিতরে হাতাহাতির ঘটনার ভিডিও দেখেছি, যেখানে বর্ষাসহ দুইজন সমন্বয়ক ও বহিরাগতরা ছিল। তাদের কাছ থেকে আমাদের কয়েকজন কাগজ ছিনিয়ে নিলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অন্য এক সমন্বয়ক বলেন, একজন সাংবাদিকের পক্ষ হয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলামের অপসারন চেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলনের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন মোটেই কাম্য নয়। আমাদের কয়েকজন মাত্র প্রতিবাদ জানিয়েছি।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আক্তারুজ্জামান সরকার বরিশালটাইমসকে বলেন, বিষয়টি জেনেছি, দু'গ্রুপে সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

१३ ডিসেম্বর, २০२५ १८:০८
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মাথায় গুলি করার ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনের ছবি প্রকাশ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সন্দেহভাজন ব্যক্তির একাধিক ছবি যাচাই করে জানা যায়, ওই ব্যক্তির বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে। তার নাম ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুল। অতীতে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুট করে নেওয়ার ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তার বিরুদ্ধে আদাবর থানায় মামলা রয়েছে।
সরেজমিনে মাসুদের আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের বাবা হুমায়ুন কবির ওরফে মালেক প্রায় ৩৫ বছর আগে গ্রাম ছেড়ে আগে চলে যান। পুরো পরিবার নিয়ে তিনি ঢাকায় থাকেন। সন্দেহভাজন হামলাকারী মাসুদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায় হওয়ায় গ্রামের বাড়িতে সে কখনও আসেনি। গ্রামের কেউই তাকে দেখেনি বা চেনেও না। গ্রামে তাদের যে সম্পত্তি ছিল, তাও বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গেও তাদের কোনো যোগাযোগ নেই।
ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের চাচি মিনারা বেগম জানান, মাসুদের পরিবার ৩৫ বছর ধরে ঢাকায় থাকে। আমরা কখনও তাদের দেখিনি এবং তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগও নেই।
এদিকে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির বিষয়ে তথ্য জানতে সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ডিএমপি। তাকে ধরিয়ে দিতে পুরষ্কারও ঘোষণা করেছে ডিএমপি।
স্থানীয় বাসিন্দা বাচ্চু হাওলাদার বলেন, হুমায়ুন কবিরকে আমরা মালেক নামে চিনি। এলাকা থেকে প্রায় ৩৫ বছর আগে ঢাকায় চলে গেছেন। বাড়িতে তাদের ঘরবাড়িও নেই। সব বিক্রি করে দিয়েছেন।
বাউফল থানার পরিদর্শক (এসআই তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের পরিবারের কেউ বর্তমানে ওই বাড়িতে বসবাস করছেন না। তারা অনেক আগেই সব সম্পত্তি বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। এরপরও সম্ভাব্য যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওই এলাকায় বাড়তি নজরদারি রাখা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই শেষে প্রযোাজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

१३ ডিসেম্বর, २০२५ १७:০८
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সন্দেহভাজন যুবক ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় বলে জানা গেছে।
পুলিশের পিসিআর রিপোর্ট অনুযায়ী, ফয়সাল করিম মাসুদের স্থায়ী ঠিকানা বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কেশবপুর কলেজ সংলগ্ন এলাকায়। তার বাবার নাম হুমায়ুন কবির।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তিনি বর্তমানে ঢাকার আদাবর থানাধীন পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, বাসা নম্বর ৪১, রোড নম্বর ৯-এ বসবাস করেন। আদাবর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলেও পিসিআর রিপোর্টে উল্লেখ আছে।
ফয়সাল করিম মাসুদের পিসিআর রিপোর্টের তথ্য ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। এ তথ্য বাউফলে জানাজানি হলে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আবু ইউসুফ বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাউফলসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় পুলিশি তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি জানান, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের পরিবারের কেউ বর্তমানে ওই বাড়িতে বসবাস করছেন না। তারা অনেক আগেই সব সম্পত্তি বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। এরপরও সম্ভাব্য যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় ওই এলাকায় বাড়তি নজরদারি রাখা হয়েছে।
তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

१२ ডিসেম্বর, २০२५ १७:४০
পটুয়াখালীর দুমকিতে জমিজমা সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে।
ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবু হানিফ হাওলাদার অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষ পরিকল্পিতভাবে নিজেদের ঘরের বেড়া, দরজা-জানালা খুলে তার পরিবারের ওপর ভাঙচুরের দায় চাপিয়েছে।
আবু হানিফ বলেন, “আমরা কাউকে মারধর করিনি বা কোনো ভাঙচুর করিনি। তারা নিজেরাই ঘরের দরজা-জানালা খুলে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। এতে আমাদের পরিবার মানসিকভাবে অত্যন্ত বিপর্যস্ত।”
অভিযোগে তিনি আরও জানান, নুরুল ইসলাম তালুকদারের স্ত্রী রাহিমা বেগম পূর্ব শত্রুতার জেরে তাদের হয়রানি করতে থানায় মিথ্যা মামলা করেছেন। জমিজমা নিয়ে দুই পক্ষের এই দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
অন্যদিকে, রাহিমা বেগম দাবি করেন, তিনি আবু হানিফদের হামলার শিকার হয়েছেন এবং নিরাপত্তার স্বার্থে আইনি সহায়তা নিতে বাধ্য হয়েছেন।
এ বিষয়ে দুমকি থানার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। উভয় পক্ষকে উত্তেজনা পরিহার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত শান্ত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে যার দায় প্রমাণ হবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, দীর্ঘদিনের জমি বিরোধই দুই পরিবারের মধ্যে উত্তেজনার মূল কারণ, যা প্রায়ই সংঘাতে রূপ নেয়।
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মাথায় গুলি করার ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনের ছবি প্রকাশ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সন্দেহভাজন ব্যক্তির একাধিক ছবি যাচাই করে জানা যায়, ওই ব্যক্তির বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে। তার নাম ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুল। অতীতে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুট করে নেওয়ার ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তার বিরুদ্ধে আদাবর থানায় মামলা রয়েছে।
সরেজমিনে মাসুদের আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের বাবা হুমায়ুন কবির ওরফে মালেক প্রায় ৩৫ বছর আগে গ্রাম ছেড়ে আগে চলে যান। পুরো পরিবার নিয়ে তিনি ঢাকায় থাকেন। সন্দেহভাজন হামলাকারী মাসুদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায় হওয়ায় গ্রামের বাড়িতে সে কখনও আসেনি। গ্রামের কেউই তাকে দেখেনি বা চেনেও না। গ্রামে তাদের যে সম্পত্তি ছিল, তাও বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গেও তাদের কোনো যোগাযোগ নেই।
ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের চাচি মিনারা বেগম জানান, মাসুদের পরিবার ৩৫ বছর ধরে ঢাকায় থাকে। আমরা কখনও তাদের দেখিনি এবং তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগও নেই।
এদিকে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির বিষয়ে তথ্য জানতে সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ডিএমপি। তাকে ধরিয়ে দিতে পুরষ্কারও ঘোষণা করেছে ডিএমপি।
স্থানীয় বাসিন্দা বাচ্চু হাওলাদার বলেন, হুমায়ুন কবিরকে আমরা মালেক নামে চিনি। এলাকা থেকে প্রায় ৩৫ বছর আগে ঢাকায় চলে গেছেন। বাড়িতে তাদের ঘরবাড়িও নেই। সব বিক্রি করে দিয়েছেন।
বাউফল থানার পরিদর্শক (এসআই তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের পরিবারের কেউ বর্তমানে ওই বাড়িতে বসবাস করছেন না। তারা অনেক আগেই সব সম্পত্তি বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। এরপরও সম্ভাব্য যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওই এলাকায় বাড়তি নজরদারি রাখা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই শেষে প্রযোাজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সন্দেহভাজন যুবক ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় বলে জানা গেছে।
পুলিশের পিসিআর রিপোর্ট অনুযায়ী, ফয়সাল করিম মাসুদের স্থায়ী ঠিকানা বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কেশবপুর কলেজ সংলগ্ন এলাকায়। তার বাবার নাম হুমায়ুন কবির।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তিনি বর্তমানে ঢাকার আদাবর থানাধীন পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, বাসা নম্বর ৪১, রোড নম্বর ৯-এ বসবাস করেন। আদাবর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলেও পিসিআর রিপোর্টে উল্লেখ আছে।
ফয়সাল করিম মাসুদের পিসিআর রিপোর্টের তথ্য ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। এ তথ্য বাউফলে জানাজানি হলে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আবু ইউসুফ বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাউফলসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় পুলিশি তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি জানান, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের পরিবারের কেউ বর্তমানে ওই বাড়িতে বসবাস করছেন না। তারা অনেক আগেই সব সম্পত্তি বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। এরপরও সম্ভাব্য যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় ওই এলাকায় বাড়তি নজরদারি রাখা হয়েছে।
তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পটুয়াখালীর দুমকিতে জমিজমা সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে।
ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবু হানিফ হাওলাদার অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষ পরিকল্পিতভাবে নিজেদের ঘরের বেড়া, দরজা-জানালা খুলে তার পরিবারের ওপর ভাঙচুরের দায় চাপিয়েছে।
আবু হানিফ বলেন, “আমরা কাউকে মারধর করিনি বা কোনো ভাঙচুর করিনি। তারা নিজেরাই ঘরের দরজা-জানালা খুলে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। এতে আমাদের পরিবার মানসিকভাবে অত্যন্ত বিপর্যস্ত।”
অভিযোগে তিনি আরও জানান, নুরুল ইসলাম তালুকদারের স্ত্রী রাহিমা বেগম পূর্ব শত্রুতার জেরে তাদের হয়রানি করতে থানায় মিথ্যা মামলা করেছেন। জমিজমা নিয়ে দুই পক্ষের এই দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
অন্যদিকে, রাহিমা বেগম দাবি করেন, তিনি আবু হানিফদের হামলার শিকার হয়েছেন এবং নিরাপত্তার স্বার্থে আইনি সহায়তা নিতে বাধ্য হয়েছেন।
এ বিষয়ে দুমকি থানার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। উভয় পক্ষকে উত্তেজনা পরিহার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত শান্ত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে যার দায় প্রমাণ হবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, দীর্ঘদিনের জমি বিরোধই দুই পরিবারের মধ্যে উত্তেজনার মূল কারণ, যা প্রায়ই সংঘাতে রূপ নেয়।
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १९:२५
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १८:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १७:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १६:০০