০১ জুন, ২০২৫ ১৫:১৫
পটুয়াখালীর বাউফলে সংবাদ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দু’গ্রুপে হাতাহাতি প্রকাশ্যে আসায় এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (১ জুন) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি গ্রুপ উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সড়ক অবরোধ করে সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় অপর একটি গ্রুপ এসে তাদের লিখিত বক্তব্যের (প্রেসনোট) কপি ছিনিয়ে নেয়। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে নিয়োজিত দায়িত্বরত আনসার এবং চৌকিদাররা মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
সংবাদ সম্মেলন আয়োজক দলের এক সদস্য শুভ জানান, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সংবাদ সম্মেলন করতে চাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে অপর একটি গ্রুপ এসে আমাদের প্রেসনোট ছিনিয়ে নেয় এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
প্রেস কনফারেন্স আয়োজনকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলনের ছাত্রী বর্ষার কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে এখন কোন কথা বলবোনা। প্রেসনোট ছিনিয়ে নেওয়া বৈষম্যবিরোধী অন্দোলণে অংশগ্রণকারী শিক্ষার্থী মো. সাজিদ আলম বলেন, “সংবাদ সম্মেলন আমাদের না জানিয়ে আয়োজন করেছে, যেখানে দুইজন সমন্বয়ক ছাড়া বাকি সব বহিরাগত। বৈসম্যবিরোধী আন্দেলনে অংশগ্রহণকারী সকল বাদ দিয়ে তারা দু-একজন ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ব্যস্ত। তাই আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি।”
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাউফল উপজেলা শাখার অন্যতম সদস্য রুহুল আমিন বলেন, প্রেস কনফারেন্সের বিষয়ে আমাকে অবহিত করা হয়নি। তবে উপজেলা গেটে ও ভিতরে হাতাহাতির ঘটনার ভিডিও দেখেছি, যেখানে বর্ষাসহ দুইজন সমন্বয়ক ও বহিরাগতরা ছিল। তাদের কাছ থেকে আমাদের কয়েকজন কাগজ ছিনিয়ে নিলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অন্য এক সমন্বয়ক বলেন, একজন সাংবাদিকের পক্ষ হয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলামের অপসারন চেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলনের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন মোটেই কাম্য নয়। আমাদের কয়েকজন মাত্র প্রতিবাদ জানিয়েছি।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আক্তারুজ্জামান সরকার বরিশালটাইমসকে বলেন, বিষয়টি জেনেছি, দু'গ্রুপে সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পটুয়াখালীর বাউফলে সংবাদ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দু’গ্রুপে হাতাহাতি প্রকাশ্যে আসায় এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (১ জুন) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি গ্রুপ উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সড়ক অবরোধ করে সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় অপর একটি গ্রুপ এসে তাদের লিখিত বক্তব্যের (প্রেসনোট) কপি ছিনিয়ে নেয়। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে নিয়োজিত দায়িত্বরত আনসার এবং চৌকিদাররা মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
সংবাদ সম্মেলন আয়োজক দলের এক সদস্য শুভ জানান, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সংবাদ সম্মেলন করতে চাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে অপর একটি গ্রুপ এসে আমাদের প্রেসনোট ছিনিয়ে নেয় এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
প্রেস কনফারেন্স আয়োজনকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলনের ছাত্রী বর্ষার কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে এখন কোন কথা বলবোনা। প্রেসনোট ছিনিয়ে নেওয়া বৈষম্যবিরোধী অন্দোলণে অংশগ্রণকারী শিক্ষার্থী মো. সাজিদ আলম বলেন, “সংবাদ সম্মেলন আমাদের না জানিয়ে আয়োজন করেছে, যেখানে দুইজন সমন্বয়ক ছাড়া বাকি সব বহিরাগত। বৈসম্যবিরোধী আন্দেলনে অংশগ্রহণকারী সকল বাদ দিয়ে তারা দু-একজন ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ব্যস্ত। তাই আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি।”
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাউফল উপজেলা শাখার অন্যতম সদস্য রুহুল আমিন বলেন, প্রেস কনফারেন্সের বিষয়ে আমাকে অবহিত করা হয়নি। তবে উপজেলা গেটে ও ভিতরে হাতাহাতির ঘটনার ভিডিও দেখেছি, যেখানে বর্ষাসহ দুইজন সমন্বয়ক ও বহিরাগতরা ছিল। তাদের কাছ থেকে আমাদের কয়েকজন কাগজ ছিনিয়ে নিলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অন্য এক সমন্বয়ক বলেন, একজন সাংবাদিকের পক্ষ হয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলামের অপসারন চেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলনের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন মোটেই কাম্য নয়। আমাদের কয়েকজন মাত্র প্রতিবাদ জানিয়েছি।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আক্তারুজ্জামান সরকার বরিশালটাইমসকে বলেন, বিষয়টি জেনেছি, দু'গ্রুপে সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
০৬ জুন, ২০২৫ ১১:২৩
মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহার টানা ১০ দিনের ছুটিতে পর্যটক বরণে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন সাগর কন্যা কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। এবার দীর্ঘ ছুটিতে দেশের জনপ্রিয় পর্যটন স্পট কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো প্রায় বুকিং হয়ে গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, আবহাওয়া ঠিক থাকলে কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল নামবে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ হোটেলে শতকরা ২৫ থেকে ৩০ ভাগ কক্ষের আগাম বুকিং হয়ে গেছে। তবে ১০-১১ জুন পর্যটকে পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ার কথা জানালেন অনেকেই। এ দুই দিনের জন্য আগাম বুকিং পাওয়া যাচ্ছে। হোটেল মিয়াদ ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃপক্ষ জানান, তাদের ১০-১১ জুনে অলরেডি ৪০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
হোটেল তাজওয়ার কর্তৃপক্ষ জানান, তাদেরও ওই তারিখে আগাম বুকিং রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে মূলত সরকারি ছুটি কার্যকর হয়েছে। আগামী ১৫ জুন অফিস আদালত সচল হবে। ৭ জুন থেকে কোরবানি শুরু হবে। যা চলবে ৯ জুন পর্যন্ত। এ জন্য ১০-১১ জুন এই দুইদিন মূলত বিনোদন, ভ্রমণের মুখ্য সময়।
এই পিক টাইমে কুয়াকাটায় লাখো পর্যটকের সমাগম হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানালেন কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ। ১২ জুন পর্যন্ত পর্যটকের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি থাকার কথা বললেন অধিকাংশরা। তবে আধুনিক সেবা সংবলিত ও তারকা মানের হোটেলগুলোতে এখনও গেস্ট রয়েছে। তাদের ৯-১০-১১ জুনে এখনই শতভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
এছাড়াও পর্যটকের ভিড়ে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ যানবাহনের অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ন্ত্রণে কিংবা অশোভন আচরণ বন্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন কেউ কেউ। বাসে আসা পর্যটককে নির্দিষ্ট হোটেলে নেওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থার কথাও জানালেন একাধিক হোটেল কর্তৃপক্ষ।
হোটেল রাজমহলের ম্যানেজার জুয়েল ফরাজি বলে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ইতোমধ্যে মুঠোফোনে ভালোই সাড়া পাচ্ছি। টানা ১০ দিনের ছুটিতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক হবে। আশা করছি পেছনের লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারব। এ সময় তিনি হোটেলে রাজমহলে ১০% ডিসকাউন্ট এর ব্যবস্থা রয়েছেও।
হোটেল খান প্যালেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল খান বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ দিনের সরকারি ছুটি রয়েছে। মূলত ৯ জুন থেকে কুয়াকাটায় ১১ জুন পর্যন্ত পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়ের সম্ভাবনা থাকছে। পর্যটক বরণে কুয়াকাটার ছোট-বড়-মাঝারি আধুনিক ও তারকা মানের অন্তত ২৩০টি হোটেল-মোটেল রিসোর্ট এখন পুরোপুরি প্রস্তুত।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি এমএ মোতালেব শরীফ বলেন, ইতোমধ্যেই পর্যটক বরণে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লোকজন এখানে আসা পর্যটকের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে সচেষ্ট রয়েছেন।
ঈদ পরবর্তী আগত পর্যটক-দর্শনার্থীর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নিয়মিত টহলের পাশাপাশি তিনটি স্পটে বিশেষ প্রহরার ব্যবস্থা থাকবে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক তাপস চন্দ্র রায়।
মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, পর্যটকের নিরাপত্তা বিধানে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সোচ্চার।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহার লম্বা ছুটিকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটা লাখো পর্যটকের সমাগম লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ইতোমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কুয়াকাটা দর্শনীয় স্পটগুলোতে আলাদা আলাদা সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে। পর্যটকদের নিরাপত্তা সর্বদা প্রস্তুত থাকবে টুরিস্ট পুলিশ।
কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, পর্যটকের সেবা নিশ্চিতে সকল ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহার টানা ১০ দিনের ছুটিতে পর্যটক বরণে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন সাগর কন্যা কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। এবার দীর্ঘ ছুটিতে দেশের জনপ্রিয় পর্যটন স্পট কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো প্রায় বুকিং হয়ে গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, আবহাওয়া ঠিক থাকলে কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল নামবে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ হোটেলে শতকরা ২৫ থেকে ৩০ ভাগ কক্ষের আগাম বুকিং হয়ে গেছে। তবে ১০-১১ জুন পর্যটকে পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ার কথা জানালেন অনেকেই। এ দুই দিনের জন্য আগাম বুকিং পাওয়া যাচ্ছে। হোটেল মিয়াদ ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃপক্ষ জানান, তাদের ১০-১১ জুনে অলরেডি ৪০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
হোটেল তাজওয়ার কর্তৃপক্ষ জানান, তাদেরও ওই তারিখে আগাম বুকিং রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে মূলত সরকারি ছুটি কার্যকর হয়েছে। আগামী ১৫ জুন অফিস আদালত সচল হবে। ৭ জুন থেকে কোরবানি শুরু হবে। যা চলবে ৯ জুন পর্যন্ত। এ জন্য ১০-১১ জুন এই দুইদিন মূলত বিনোদন, ভ্রমণের মুখ্য সময়।
এই পিক টাইমে কুয়াকাটায় লাখো পর্যটকের সমাগম হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানালেন কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ। ১২ জুন পর্যন্ত পর্যটকের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি থাকার কথা বললেন অধিকাংশরা। তবে আধুনিক সেবা সংবলিত ও তারকা মানের হোটেলগুলোতে এখনও গেস্ট রয়েছে। তাদের ৯-১০-১১ জুনে এখনই শতভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
এছাড়াও পর্যটকের ভিড়ে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ যানবাহনের অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ন্ত্রণে কিংবা অশোভন আচরণ বন্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন কেউ কেউ। বাসে আসা পর্যটককে নির্দিষ্ট হোটেলে নেওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থার কথাও জানালেন একাধিক হোটেল কর্তৃপক্ষ।
হোটেল রাজমহলের ম্যানেজার জুয়েল ফরাজি বলে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ইতোমধ্যে মুঠোফোনে ভালোই সাড়া পাচ্ছি। টানা ১০ দিনের ছুটিতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক হবে। আশা করছি পেছনের লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারব। এ সময় তিনি হোটেলে রাজমহলে ১০% ডিসকাউন্ট এর ব্যবস্থা রয়েছেও।
হোটেল খান প্যালেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল খান বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ দিনের সরকারি ছুটি রয়েছে। মূলত ৯ জুন থেকে কুয়াকাটায় ১১ জুন পর্যন্ত পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়ের সম্ভাবনা থাকছে। পর্যটক বরণে কুয়াকাটার ছোট-বড়-মাঝারি আধুনিক ও তারকা মানের অন্তত ২৩০টি হোটেল-মোটেল রিসোর্ট এখন পুরোপুরি প্রস্তুত।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি এমএ মোতালেব শরীফ বলেন, ইতোমধ্যেই পর্যটক বরণে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লোকজন এখানে আসা পর্যটকের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে সচেষ্ট রয়েছেন।
ঈদ পরবর্তী আগত পর্যটক-দর্শনার্থীর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নিয়মিত টহলের পাশাপাশি তিনটি স্পটে বিশেষ প্রহরার ব্যবস্থা থাকবে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক তাপস চন্দ্র রায়।
মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, পর্যটকের নিরাপত্তা বিধানে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সোচ্চার।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহার লম্বা ছুটিকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটা লাখো পর্যটকের সমাগম লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ইতোমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কুয়াকাটা দর্শনীয় স্পটগুলোতে আলাদা আলাদা সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে। পর্যটকদের নিরাপত্তা সর্বদা প্রস্তুত থাকবে টুরিস্ট পুলিশ।
কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, পর্যটকের সেবা নিশ্চিতে সকল ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
০৬ জুন, ২০২৫ ০৭:৩৪
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন প্রায় ৮ গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
শুক্রবার (৬ জুন) সকালে উপজেলার উত্তর নিশানবাড়িয়া জাহাগিরিয়া শাহসূফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ জামে মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে সাতটায়।
এছাড়া কলাপাড়ার আরও সাতটি গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা নতুন জামা-কাপড় পরে মসজিদমুখী হন। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে পশু কোরবানিও দিয়েছেন তারা।
উত্তর নিশানবাড়িয়ার দরবার শরীফে ঈদের জামাতে সর্বাধিক মুসল্লির উপস্থিতি দেখা গেছে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়। আগাম ঈদ উদযাপনকারীরা চট্টগ্রামের এলাহাবাদ সুফিয়া ও চানটুপির অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
প্রায় ১০০ বছর ধরে তারা এভাবে আগাম ঈদ উদযাপন করে আসছেন। স্থানীয়দের মতে, ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী তারা সৌদির সময়সূচীকে অনুসরণ করে ঈদ উদযাপন করেন। এ নিয়ে এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদ উদযাপন সম্পন্ন হয়েছে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন প্রায় ৮ গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
শুক্রবার (৬ জুন) সকালে উপজেলার উত্তর নিশানবাড়িয়া জাহাগিরিয়া শাহসূফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ জামে মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে সাতটায়।
এছাড়া কলাপাড়ার আরও সাতটি গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা নতুন জামা-কাপড় পরে মসজিদমুখী হন। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে পশু কোরবানিও দিয়েছেন তারা।
উত্তর নিশানবাড়িয়ার দরবার শরীফে ঈদের জামাতে সর্বাধিক মুসল্লির উপস্থিতি দেখা গেছে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়। আগাম ঈদ উদযাপনকারীরা চট্টগ্রামের এলাহাবাদ সুফিয়া ও চানটুপির অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
প্রায় ১০০ বছর ধরে তারা এভাবে আগাম ঈদ উদযাপন করে আসছেন। স্থানীয়দের মতে, ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী তারা সৌদির সময়সূচীকে অনুসরণ করে ঈদ উদযাপন করেন। এ নিয়ে এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদ উদযাপন সম্পন্ন হয়েছে।
০৪ জুন, ২০২৫ ১২:১২
পটুয়াখালীর বাউফলে মুদি দোকানের আড়ালে গাঁজা বিক্রির অভিযোগে সোহরাব ফকির (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে যৌথ বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতে উপজেলার কালিশুরি ইউনিয়নের সিংহেরাকাঠি গ্রামে সেনাবাহিনীর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে তার নিজ দোকান থেকে আটক করে।
আটক সোহরাব ওই গ্রামের মো. লেদু ফকিরের ছেলে। পুলিশ ও সেনা সদস্যরা যৌথভাবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তার বসতঘরে অভিযান চালায়, সেখান থেকেই গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া সোহরাব ফকির আগে থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন। এর আগেও একাধিকবার মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
এলাকায় তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ থাকলেও এবারই প্রথম সেনাবাহিনী এবং পুলিশের যৌথ অভিযানে হাতে-নাতে ধরা পড়েন তিনি। বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, সেনাবাহিনীর সহায়তায় অভিযান চালিয়ে সোহরাব ফকিরকে আটক করা হয়েছে। তার ঘর থেকে গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
পটুয়াখালীর বাউফলে মুদি দোকানের আড়ালে গাঁজা বিক্রির অভিযোগে সোহরাব ফকির (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে যৌথ বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতে উপজেলার কালিশুরি ইউনিয়নের সিংহেরাকাঠি গ্রামে সেনাবাহিনীর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে তার নিজ দোকান থেকে আটক করে।
আটক সোহরাব ওই গ্রামের মো. লেদু ফকিরের ছেলে। পুলিশ ও সেনা সদস্যরা যৌথভাবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তার বসতঘরে অভিযান চালায়, সেখান থেকেই গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া সোহরাব ফকির আগে থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন। এর আগেও একাধিকবার মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
এলাকায় তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ থাকলেও এবারই প্রথম সেনাবাহিনী এবং পুলিশের যৌথ অভিযানে হাতে-নাতে ধরা পড়েন তিনি। বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, সেনাবাহিনীর সহায়তায় অভিযান চালিয়ে সোহরাব ফকিরকে আটক করা হয়েছে। তার ঘর থেকে গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.