
১৯ নভেম্বর, ২০২৫ ০১:০০
খেলা শেষ হতে আর মাত্র কয়েক সেকেন্ড বাকি। সমর্থক তো বটেই, প্রেসবক্সে কর্মরত ক্রীড়া সাংবাদিকরাও মহা টেনশনে ঘামছেন। কারণটা পরিস্কার, বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের পুরনো একটি ব্যধি আছে। তা হলো শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে হয় ড্র করবে, নয় হারবে। কিন্তু মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) লাল-সবুজ বাহিনীর জন্য আক্ষরিক অর্থেই ‘মঙ্গলময়’ ছিল। কেননা এদিন আর বাংলাদেশ অন্তিম মুহূর্তে গোল খায়নি, হারেওনি। বরং জিতেছে তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিরুদ্ধে, ১-০ গোলে! এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের সি-গ্রুপের এই হোম ম্যাচে ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামের ২২,৪০০ সমর্থক এক অবিস্মরণীয় ক্ষণের সাক্ষী হয়ে রইলেন। প্রবল প্রতিপক্ষ ভারতের বিরুদ্ধে এই জয় বহুল প্রতীক্ষিত ছিল। ২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিতে হারানোই ছিল ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সর্বশেষ জয়। কাকতালীয়ভাবে সেই ম্যাচটিও অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই মাঠেই! দীর্ঘ ২২ বছর পর আবারও ভারতের বিরুদ্ধে জিতে নতুন প্রজেন্মের ফুটবল অনুরাগীদের প্রত্যাশা পূরণ করলেন লাল-সবুজের যোদ্ধারা।
রেফারি খেলা শেষের বাঁশি বাজাতেই মাটিতে শুয়ে পড়লেন বাংলাদেশের ‘পোস্টারবয়’ হামজা চৌধুরী। চোখে হাত রেখে অঝোরে কাঁদছেন তিনি। এ কান্না চিত্তসুখের কান্না। সতীর্থদের একাংশ দৌড়ে গিয়ে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন। অন্যরা গিয়ে জড়িয়ে ধরলেন গোলরক্ষক মিতুল মারমাকে, যিনি বিগত কয়েক ম্যাচে ভাল পারফর্ম না করতে পেরে প্রবল সমালোচিত হচ্ছিলেন। স্টেডিয়ামের গ্যালারির দর্শকদের গগণবিদারী উল্লাস যেন সবকিছুতে ছাপিয়ে গেছে। তবে দৃষ্টিকটু বিষয় হলো-ভারত দলের বেশ কজন হতাশ-রাগান্বিত ফুটবলার বাংলাদেশের ফুটবলারদের সঙ্গে সৌজন্যমূলক করমর্দন না করেই ড্রেসিং রুমে চলে যান!
এ নিয়ে দু’দল ৩৩ বার মুখোমুখি হয়েছে। ভারত ১৬ বার জিতেছে তারা। ৪টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। ১৩টি ম্যাচ ড্র হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে সবচেয়ে আলোচিত দ্বৈরথ হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ। যখনই এই দুই দল মুখোমুখি হয়, তখন খেলাটি হয় দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং উপভোগ্য। যদিও হেড টু হেডে ভারত অনেক ব্যবধানে এগিয়ে, কিন্তু মাঠের খেলায় এসবের বিন্দুমাত্র প্রভাব প্রতিফলিত হয় না।
বরাবরের মতো প্রীতি ম্যাচে খেলালেও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে আবারও জামাল ভূঁইয়াকে সাইডবেঞ্চে বসিয়ে রাখেন কোচ জাভিয়ের ক্যাবরেরা। কিউবা মিচেলের ক্ষেত্রেও তাই। চোট কাটিয়ে ফেরেন শেখ মোরসালিন।
শুরুর কয়েক মিনিট ভারত তুলনামূলক বেশি চাপ সৃষ্টি করে খেলে। বাংলাদেশ সুযোগ পেলেই কাউন্টার অ্যাটাকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু তেমন সুবিধা করতে পারছিল না। তেমনই একটি প্রতি আক্রমণ থেকে ম্যাচের ১১ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় লাল-সবুজ বাহিনী। বাংলাদেশের সীমানায় থ্রো-ইন পায় ভারত। বক্সের মধ্যে জটলা থেকে মোরসালিন বল পান। তার লম্বা পাস খুঁজে নেয় রাকিবকে। বা উইং ধরে ভারতের দীর্ঘদেহী ডিফেন্ডার আকাশ মিশ্রাকে গতির লড়াইয়ে পেছনে ফেলে দ্রুত সামনে এগিয়ে যান। যে গড়ানো ক্রসটি করেন (শুয়ে পড়ে) তা থেকে চমৎকারভাবে ভারত গোলরক্ষক গুরপ্রীতি সিংহের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন মোরসালিন (১-০)। দর্শকদের উল্লাসধ্বনি যেন পরিণত হয় গর্জনে!
প্রথমার্ধে হামজাকে দেখা গেছে রক্ষণ সামলাতে। আগের ম্যাচগুলোর মতো তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে ওঠেননি। ২৬ মিনিটে কিছুটা অস্বস্তি অনুভব করা তারিক কাজীকে উঠিয়ে শাকিল আহাদ তপুকে নামান কোচ।
৩১ মিনিটে দলকে নিশ্চিত গোল হজমের হাত থেকে দলকে বাঁচান মিতুল মারমা। সতীর্থের ব্যাকপাস ঠিকমতো বিপদমুক্ত করতে পারেননি তিনি। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের কাছ থেকে বল নিতে পোস্ট ছেড়ে বেরিযে যান বাংলাদেশ গোলরক্ষক। অরক্ষিত পোস্ট লক্ষ্য করে লালিয়ানজুয়ালার শট হেডের মাধ্যমে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান হামজা।
৩৪ মিনিটে ভারতের বিক্রম পার্থকে তপু বর্মণ ফেলে দিলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। হাতাহাতিতে লিপ্ত হন দু’লের খেলোয়াড়রা। মোরসালিনকে ধাক্কা মারেন নারাভি নিখিল। এ নিয়ে উত্তেজনা আরও বাড়ে। পরে ফিলিপিন্সের রেফারি ক্লিফোর্ড ডেপুয়াটের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। রেফারি তপু এবং নারাভিকে হলুদ কার্ড দেখান।
৪৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারতো বাংলাদেশ। সাদ উদ্দিনের ক্রস আটকে যায় ভারতের রক্ষণে। তবে বল চলে যা ডি-বক্সের ঠিক বাইরে দাঁড়ানো হামজার পায়ে। লিস্টার সিটির এ তারকার বা পায়ের ভলি সাইড পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে গেলে আক্ষেপে পোড়েন লাল-সবুজের সমর্থকরা।
বিরতির পর বাংলাদেশ-ভারত উভয় দিই সমানতালে খেলে। তবে শেষের কয়েক মিনিট ভারত বাংলাদেশের ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করে খেলে। কিন্ত বাংলাদেশের গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায় ভারত আর গোল করে সমতায় ফিরতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত খেলা শেষ হলে ভগ্ন হৃদয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। আর বাংলাদেশ দল দর্শকদের সঙ্গে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘুঁচিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করতে দীর্ঘ সময় সবুজ জমিনে পদচারণা করে।
এদিকে স্মরণীয় এই জয়ের পর জাতীয় ফুটবল দলকে ২ কোটি টাকা পুস্কারের ঘোষণা দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সি-গ্রুপে ৫ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট বাংলাদেশের। অবস্থান চার দলের মধ্যে তৃতীয়। বাংলাদেশের পরের ও শেষ গ্রুপ ম্যাচ সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে, আগামী বছরের ৩১ মার্চ (অ্যাওয়ে ম্যাচ)।
খেলা শেষ হতে আর মাত্র কয়েক সেকেন্ড বাকি। সমর্থক তো বটেই, প্রেসবক্সে কর্মরত ক্রীড়া সাংবাদিকরাও মহা টেনশনে ঘামছেন। কারণটা পরিস্কার, বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের পুরনো একটি ব্যধি আছে। তা হলো শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে হয় ড্র করবে, নয় হারবে। কিন্তু মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) লাল-সবুজ বাহিনীর জন্য আক্ষরিক অর্থেই ‘মঙ্গলময়’ ছিল। কেননা এদিন আর বাংলাদেশ অন্তিম মুহূর্তে গোল খায়নি, হারেওনি। বরং জিতেছে তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিরুদ্ধে, ১-০ গোলে! এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের সি-গ্রুপের এই হোম ম্যাচে ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামের ২২,৪০০ সমর্থক এক অবিস্মরণীয় ক্ষণের সাক্ষী হয়ে রইলেন। প্রবল প্রতিপক্ষ ভারতের বিরুদ্ধে এই জয় বহুল প্রতীক্ষিত ছিল। ২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিতে হারানোই ছিল ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সর্বশেষ জয়। কাকতালীয়ভাবে সেই ম্যাচটিও অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই মাঠেই! দীর্ঘ ২২ বছর পর আবারও ভারতের বিরুদ্ধে জিতে নতুন প্রজেন্মের ফুটবল অনুরাগীদের প্রত্যাশা পূরণ করলেন লাল-সবুজের যোদ্ধারা।
রেফারি খেলা শেষের বাঁশি বাজাতেই মাটিতে শুয়ে পড়লেন বাংলাদেশের ‘পোস্টারবয়’ হামজা চৌধুরী। চোখে হাত রেখে অঝোরে কাঁদছেন তিনি। এ কান্না চিত্তসুখের কান্না। সতীর্থদের একাংশ দৌড়ে গিয়ে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন। অন্যরা গিয়ে জড়িয়ে ধরলেন গোলরক্ষক মিতুল মারমাকে, যিনি বিগত কয়েক ম্যাচে ভাল পারফর্ম না করতে পেরে প্রবল সমালোচিত হচ্ছিলেন। স্টেডিয়ামের গ্যালারির দর্শকদের গগণবিদারী উল্লাস যেন সবকিছুতে ছাপিয়ে গেছে। তবে দৃষ্টিকটু বিষয় হলো-ভারত দলের বেশ কজন হতাশ-রাগান্বিত ফুটবলার বাংলাদেশের ফুটবলারদের সঙ্গে সৌজন্যমূলক করমর্দন না করেই ড্রেসিং রুমে চলে যান!
এ নিয়ে দু’দল ৩৩ বার মুখোমুখি হয়েছে। ভারত ১৬ বার জিতেছে তারা। ৪টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। ১৩টি ম্যাচ ড্র হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে সবচেয়ে আলোচিত দ্বৈরথ হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ। যখনই এই দুই দল মুখোমুখি হয়, তখন খেলাটি হয় দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং উপভোগ্য। যদিও হেড টু হেডে ভারত অনেক ব্যবধানে এগিয়ে, কিন্তু মাঠের খেলায় এসবের বিন্দুমাত্র প্রভাব প্রতিফলিত হয় না।
বরাবরের মতো প্রীতি ম্যাচে খেলালেও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে আবারও জামাল ভূঁইয়াকে সাইডবেঞ্চে বসিয়ে রাখেন কোচ জাভিয়ের ক্যাবরেরা। কিউবা মিচেলের ক্ষেত্রেও তাই। চোট কাটিয়ে ফেরেন শেখ মোরসালিন।
শুরুর কয়েক মিনিট ভারত তুলনামূলক বেশি চাপ সৃষ্টি করে খেলে। বাংলাদেশ সুযোগ পেলেই কাউন্টার অ্যাটাকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু তেমন সুবিধা করতে পারছিল না। তেমনই একটি প্রতি আক্রমণ থেকে ম্যাচের ১১ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় লাল-সবুজ বাহিনী। বাংলাদেশের সীমানায় থ্রো-ইন পায় ভারত। বক্সের মধ্যে জটলা থেকে মোরসালিন বল পান। তার লম্বা পাস খুঁজে নেয় রাকিবকে। বা উইং ধরে ভারতের দীর্ঘদেহী ডিফেন্ডার আকাশ মিশ্রাকে গতির লড়াইয়ে পেছনে ফেলে দ্রুত সামনে এগিয়ে যান। যে গড়ানো ক্রসটি করেন (শুয়ে পড়ে) তা থেকে চমৎকারভাবে ভারত গোলরক্ষক গুরপ্রীতি সিংহের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন মোরসালিন (১-০)। দর্শকদের উল্লাসধ্বনি যেন পরিণত হয় গর্জনে!
প্রথমার্ধে হামজাকে দেখা গেছে রক্ষণ সামলাতে। আগের ম্যাচগুলোর মতো তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে ওঠেননি। ২৬ মিনিটে কিছুটা অস্বস্তি অনুভব করা তারিক কাজীকে উঠিয়ে শাকিল আহাদ তপুকে নামান কোচ।
৩১ মিনিটে দলকে নিশ্চিত গোল হজমের হাত থেকে দলকে বাঁচান মিতুল মারমা। সতীর্থের ব্যাকপাস ঠিকমতো বিপদমুক্ত করতে পারেননি তিনি। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের কাছ থেকে বল নিতে পোস্ট ছেড়ে বেরিযে যান বাংলাদেশ গোলরক্ষক। অরক্ষিত পোস্ট লক্ষ্য করে লালিয়ানজুয়ালার শট হেডের মাধ্যমে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান হামজা।
৩৪ মিনিটে ভারতের বিক্রম পার্থকে তপু বর্মণ ফেলে দিলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। হাতাহাতিতে লিপ্ত হন দু’লের খেলোয়াড়রা। মোরসালিনকে ধাক্কা মারেন নারাভি নিখিল। এ নিয়ে উত্তেজনা আরও বাড়ে। পরে ফিলিপিন্সের রেফারি ক্লিফোর্ড ডেপুয়াটের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। রেফারি তপু এবং নারাভিকে হলুদ কার্ড দেখান।
৪৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারতো বাংলাদেশ। সাদ উদ্দিনের ক্রস আটকে যায় ভারতের রক্ষণে। তবে বল চলে যা ডি-বক্সের ঠিক বাইরে দাঁড়ানো হামজার পায়ে। লিস্টার সিটির এ তারকার বা পায়ের ভলি সাইড পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে গেলে আক্ষেপে পোড়েন লাল-সবুজের সমর্থকরা।
বিরতির পর বাংলাদেশ-ভারত উভয় দিই সমানতালে খেলে। তবে শেষের কয়েক মিনিট ভারত বাংলাদেশের ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করে খেলে। কিন্ত বাংলাদেশের গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায় ভারত আর গোল করে সমতায় ফিরতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত খেলা শেষ হলে ভগ্ন হৃদয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। আর বাংলাদেশ দল দর্শকদের সঙ্গে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘুঁচিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করতে দীর্ঘ সময় সবুজ জমিনে পদচারণা করে।
এদিকে স্মরণীয় এই জয়ের পর জাতীয় ফুটবল দলকে ২ কোটি টাকা পুস্কারের ঘোষণা দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সি-গ্রুপে ৫ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট বাংলাদেশের। অবস্থান চার দলের মধ্যে তৃতীয়। বাংলাদেশের পরের ও শেষ গ্রুপ ম্যাচ সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে, আগামী বছরের ৩১ মার্চ (অ্যাওয়ে ম্যাচ)।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:২৯
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:২৬
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:১৭
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:২১

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:৫৯
আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) মৌসুমকে সামনে রেখে ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব নিতে আজ রবিবার ঢাকায় পৌঁছেছেন কিংবদন্তি পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার। ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ খ্যাত এই তারকাকে ঢাকায় পৌঁছানোর পর উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান রিমার্ক এইচবি।
ঢাকা ক্যাপিটালসের নতুন মৌসুমের প্রস্তুতিতে শোয়েব আখতারের যুক্ত হওয়াকে গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হিসেবে দেখা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, আগ্রাসী মানসিকতা ও জয়ের তীব্র আকাঙ্ক্ষার জন্য পরিচিত আখতার দলটির তরুণ ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের অনুপ্রেরণা জোগাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মাঠের ভেতরে ও বাইরে তার দিকনির্দেশনা দলকে আরো শৃঙ্খলাবদ্ধ ও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে বলে মনে করছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
ফ্র্যাঞ্চাইজিটি জানিয়েছে, আসন্ন মৌসুমে শক্তিশালী একটি দল গড়ে তোলাই তাদের মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে শোয়েব আখতারের উপস্থিতি দলের প্রস্তুতি ও মানসিকতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে তারা আশাবাদী।
উল্লেখ্য, বিপিএলের ১২তম আসর শুরু হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। ঢাকা ক্যাপিটালস তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ২৭ ডিসেম্বর, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে।
আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) মৌসুমকে সামনে রেখে ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব নিতে আজ রবিবার ঢাকায় পৌঁছেছেন কিংবদন্তি পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার। ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ খ্যাত এই তারকাকে ঢাকায় পৌঁছানোর পর উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান রিমার্ক এইচবি।
ঢাকা ক্যাপিটালসের নতুন মৌসুমের প্রস্তুতিতে শোয়েব আখতারের যুক্ত হওয়াকে গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হিসেবে দেখা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, আগ্রাসী মানসিকতা ও জয়ের তীব্র আকাঙ্ক্ষার জন্য পরিচিত আখতার দলটির তরুণ ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের অনুপ্রেরণা জোগাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মাঠের ভেতরে ও বাইরে তার দিকনির্দেশনা দলকে আরো শৃঙ্খলাবদ্ধ ও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে বলে মনে করছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
ফ্র্যাঞ্চাইজিটি জানিয়েছে, আসন্ন মৌসুমে শক্তিশালী একটি দল গড়ে তোলাই তাদের মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে শোয়েব আখতারের উপস্থিতি দলের প্রস্তুতি ও মানসিকতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে তারা আশাবাদী।
উল্লেখ্য, বিপিএলের ১২তম আসর শুরু হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। ঢাকা ক্যাপিটালস তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ২৭ ডিসেম্বর, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে।

১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৩৫
আর্শদিপের লজ্জার রেকর্ড; এক ওভারে ১৩ বল, ৭টিই ওয়াইড
ভারতকে ৫১ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সেই ম্যাচে অস্বস্তিকর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন ভারতের পেসার আর্শদিপ সিং। নিউ চান্ডিগাড়ে বৃহস্পতিবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তিনি করেন এক অবিশ্বাস্য ১৩ বলের ওভার, যেখানে দেন ৭টি ওয়াইড।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের একাদশ ওভারে প্রথম বলেই ছক্কা খান আর্শদিপ। স্লট পাওয়া বলটি লং অফের ওপর দিয়ে মাঠের বাইরে পাঠান কুইন্টন ডি কক। এরপর যেন লাইন-লেন্থই হারিয়ে ফেলেন ২৬ বছর বয়সী এই বাঁহাতি পেসার। ছক্কার পর টানা দুটি ওয়াইড, একটি লিগ্যাল ডেলিভারির পর আবার টানা চারটি ওয়াইড। মোট সাতটি ওয়াইডে জর্জরিত হতে থাকে ওভারটি।
এরপর পরের তিন বলে আসে চার রান। শেষ দুই বল—একটি ওয়াইড ও একটি সিঙ্গলে—শেষ হয় ১৩ বলে গড়া ওভার। এক ওভারেই দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোরকার্ডে যোগ হয় ১৮ রান।
এই ওভার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর ক্রিকেটারদের মধ্যে এক ওভারে সর্বাধিক বল করার যৌথ রেকর্ড। গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৩ বলের ওভার করেছিলেন আফগানিস্তানের নাভিন উল হক। তাদের পরেই আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সিসান্ডা মাগালা, যিনি ২০২১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ১২ বলের এক ওভার।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে এতদিন দীর্ঘ ওভারের রেকর্ডটি ছিল যৌথভাবে হার্দিক পান্ডিয়া ও খালিল আহমেদের (১১ বল)। এবার সেই তালিকায় যোগ হলো আর্শদিপের নাম। এর আগে তার সর্বোচ্চ ছিল ১০ বলের ওভার—২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এবং ২০২৪ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
পাওয়ার প্লেতে দুই ওভারে ২০ রান দেওয়া আর্শদিপ এই এক ওভারেই খরচ করেন ১৮ রান। শেষ পর্যন্ত চার ওভারে ৫৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন তিনি।
ডি ককের ৪৬ বলে ৯০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস, সঙ্গে ডনোভান ফেরেইরা (১৬ বলে ৩০*) ও ডেভিড মিলারের (১২ বলে ২০*) সংক্ষিপ্ত ঝড়ে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২১৩ রানের বড় স্কোর তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা।
আর্শদিপের লজ্জার রেকর্ড; এক ওভারে ১৩ বল, ৭টিই ওয়াইড
ভারতকে ৫১ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সেই ম্যাচে অস্বস্তিকর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন ভারতের পেসার আর্শদিপ সিং। নিউ চান্ডিগাড়ে বৃহস্পতিবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তিনি করেন এক অবিশ্বাস্য ১৩ বলের ওভার, যেখানে দেন ৭টি ওয়াইড।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের একাদশ ওভারে প্রথম বলেই ছক্কা খান আর্শদিপ। স্লট পাওয়া বলটি লং অফের ওপর দিয়ে মাঠের বাইরে পাঠান কুইন্টন ডি কক। এরপর যেন লাইন-লেন্থই হারিয়ে ফেলেন ২৬ বছর বয়সী এই বাঁহাতি পেসার। ছক্কার পর টানা দুটি ওয়াইড, একটি লিগ্যাল ডেলিভারির পর আবার টানা চারটি ওয়াইড। মোট সাতটি ওয়াইডে জর্জরিত হতে থাকে ওভারটি।
এরপর পরের তিন বলে আসে চার রান। শেষ দুই বল—একটি ওয়াইড ও একটি সিঙ্গলে—শেষ হয় ১৩ বলে গড়া ওভার। এক ওভারেই দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোরকার্ডে যোগ হয় ১৮ রান।
এই ওভার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর ক্রিকেটারদের মধ্যে এক ওভারে সর্বাধিক বল করার যৌথ রেকর্ড। গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৩ বলের ওভার করেছিলেন আফগানিস্তানের নাভিন উল হক। তাদের পরেই আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সিসান্ডা মাগালা, যিনি ২০২১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ১২ বলের এক ওভার।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে এতদিন দীর্ঘ ওভারের রেকর্ডটি ছিল যৌথভাবে হার্দিক পান্ডিয়া ও খালিল আহমেদের (১১ বল)। এবার সেই তালিকায় যোগ হলো আর্শদিপের নাম। এর আগে তার সর্বোচ্চ ছিল ১০ বলের ওভার—২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এবং ২০২৪ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
পাওয়ার প্লেতে দুই ওভারে ২০ রান দেওয়া আর্শদিপ এই এক ওভারেই খরচ করেন ১৮ রান। শেষ পর্যন্ত চার ওভারে ৫৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন তিনি।
ডি ককের ৪৬ বলে ৯০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস, সঙ্গে ডনোভান ফেরেইরা (১৬ বলে ৩০*) ও ডেভিড মিলারের (১২ বলে ২০*) সংক্ষিপ্ত ঝড়ে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২১৩ রানের বড় স্কোর তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা।

২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:২৬
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অদ্ভুত এক ঘটনার জন্ম দিলেন এভারটনের ইদ্রিসা গুয়ে। ম্যাচের মাত্র ১৩তম মিনিটে নিজ দলের সঙ্গী মাইকেল কিনের মুখে চড় মেরে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন সেনেগালের এই মিডফিল্ডার।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি তখনো গোলশূন্য। ব্রুনো ফার্নান্দেসের একটি প্রচেষ্টা বাইরে যাওয়ার পরই হঠাৎ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এভারটন শিবিরে।
‘সম্ভবত’ রক্ষণে বল ক্লিয়ার করতে না পারায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রথমে ধাক্কাধাক্কিতে জড়ান কিন ও গুয়ে। কিন দু’বার গুয়েকে সরিয়ে দেওয়ার পরই তাকে চড় মেরে বসেন গুয়ে।
ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দুজনকে আলাদা করেন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। রেফারি টনি হ্যারিংটনও ছিলেন পুরো ঘটনার সরাসরি সামনে।
তাই সিদ্ধান্তে খুব একটা দ্বিধা দেখা যায়নি—সরাসরি লাল কার্ড। পরে ভিএআরের নিশ্চিতকরণও আসে, এ আচরণ স্পষ্টই ‘সহিংসতা’।
ঘটনার পর ম্যাচশেষে ড্রেসিংরুমে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চান গুয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও ক্ষমাপ্রার্থনা করে লেখেন, ‘এটা আমার চরিত্র নয়… আর কখনো এমন হবে না।
’ ডেভিড মোয়েস জানিয়েছেন, সতীর্থদের সামনে দাঁড়িয়ে দুঃখ প্রকাশ করায় গুয়েকে হাততালি দিয়ে সমর্থন দিয়েছে দল।
তবে ইউনাইটেড কোচ রুবেন আমোরিমের মতে, বিষয়টি লাল কার্ডের মতো গুরুতর ছিল না। ‘সতীর্থদের সঙ্গে ঝগড়া হতেই পারে,’ মন্তব্য তার।
অপটা জানায়, ২০০০–০১ মৌসুমের পর এই নিয়ে মাত্র তৃতীয়বার কোনো খেলোয়াড় প্রিমিয়ার লিগে নিজের সহখেলোয়াড়ের সঙ্গে সংঘর্ষে লাল কার্ড দেখলেন। এর আগে বিখ্যাত বাউয়ার–ডায়ার (২০০৫) ও ফুলার–গ্রিফিন (২০০৮) ঘটনার নজির রয়েছে।
১০ জনের দল নিয়েও শেষ পর্যন্ত ১–০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে এভারটন। ২৯তম মিনিটে দলের একমাত্র গোল করেন কিয়ারনান ডিউসবেরি-হল। ম্যাচের নায়কও ঘটনাটিকে ‘এক মুহূর্তের উন্মাদনা’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এই জয়ে ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১২তম স্থানে উঠে এসেছে এভারটন। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট ও গোল ব্যাবধান নিয়ে ১১তম স্থানে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অদ্ভুত এক ঘটনার জন্ম দিলেন এভারটনের ইদ্রিসা গুয়ে। ম্যাচের মাত্র ১৩তম মিনিটে নিজ দলের সঙ্গী মাইকেল কিনের মুখে চড় মেরে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন সেনেগালের এই মিডফিল্ডার।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি তখনো গোলশূন্য। ব্রুনো ফার্নান্দেসের একটি প্রচেষ্টা বাইরে যাওয়ার পরই হঠাৎ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এভারটন শিবিরে।
‘সম্ভবত’ রক্ষণে বল ক্লিয়ার করতে না পারায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রথমে ধাক্কাধাক্কিতে জড়ান কিন ও গুয়ে। কিন দু’বার গুয়েকে সরিয়ে দেওয়ার পরই তাকে চড় মেরে বসেন গুয়ে।
ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দুজনকে আলাদা করেন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। রেফারি টনি হ্যারিংটনও ছিলেন পুরো ঘটনার সরাসরি সামনে।
তাই সিদ্ধান্তে খুব একটা দ্বিধা দেখা যায়নি—সরাসরি লাল কার্ড। পরে ভিএআরের নিশ্চিতকরণও আসে, এ আচরণ স্পষ্টই ‘সহিংসতা’।
ঘটনার পর ম্যাচশেষে ড্রেসিংরুমে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চান গুয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও ক্ষমাপ্রার্থনা করে লেখেন, ‘এটা আমার চরিত্র নয়… আর কখনো এমন হবে না।
’ ডেভিড মোয়েস জানিয়েছেন, সতীর্থদের সামনে দাঁড়িয়ে দুঃখ প্রকাশ করায় গুয়েকে হাততালি দিয়ে সমর্থন দিয়েছে দল।
তবে ইউনাইটেড কোচ রুবেন আমোরিমের মতে, বিষয়টি লাল কার্ডের মতো গুরুতর ছিল না। ‘সতীর্থদের সঙ্গে ঝগড়া হতেই পারে,’ মন্তব্য তার।
অপটা জানায়, ২০০০–০১ মৌসুমের পর এই নিয়ে মাত্র তৃতীয়বার কোনো খেলোয়াড় প্রিমিয়ার লিগে নিজের সহখেলোয়াড়ের সঙ্গে সংঘর্ষে লাল কার্ড দেখলেন। এর আগে বিখ্যাত বাউয়ার–ডায়ার (২০০৫) ও ফুলার–গ্রিফিন (২০০৮) ঘটনার নজির রয়েছে।
১০ জনের দল নিয়েও শেষ পর্যন্ত ১–০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে এভারটন। ২৯তম মিনিটে দলের একমাত্র গোল করেন কিয়ারনান ডিউসবেরি-হল। ম্যাচের নায়কও ঘটনাটিকে ‘এক মুহূর্তের উন্মাদনা’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এই জয়ে ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১২তম স্থানে উঠে এসেছে এভারটন। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট ও গোল ব্যাবধান নিয়ে ১১তম স্থানে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.