১৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৯:৩৩
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, বাংলাদেশে সবার অধিকার সমান। এই দেশে ধর্ম ও বর্ণের কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। আমরা সবাই সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রেখে চলছি, ভবিষ্যতেও চলব। শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, এই দেশে শত শত বছর ধরে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান, পাহাড়ি বাঙালি, উপজাতি—সবাই মিলে আমরা অত্যন্ত শান্তিতে সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আজকের এই দিনে আমাদের অঙ্গীকার হবে সম্প্রীতির এই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ আমরা সবসময় বজায় রাখব এবং একসঙ্গে সবাই শান্তিতে সুন্দরভাবে বসবাস করব। এখানে কোনো ধর্ম-জাতি, বর্ণ-গোত্রের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। এই দেশ সবার। সবাই আমরা এই দেশের নাগরিক। প্রতিটা অধিকার আমাদের, সবার সমান অধিকার এবং সেভাবেই আমাদের সামনের সোনালি দিনগুলো দেখতে চাই।
সেনাপ্রধান বলেন, এখানে নৌবাহিনীর প্রধান ও বিমানবাহিনীর প্রধান আছেন। সারাদেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন আছে। আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকব। এক হয়ে আপনাদের সঙ্গে কাজ করে যাব।
তিনি আরও বলেন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ুক। এই আদর্শের ভিত্তিতে আমরা সুন্দরভাবে এই দেশে একসঙ্গে বসবাস করব। অনুষ্ঠানে বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান বলেন, শ্রীকৃষ্ণের শিক্ষা শুধু অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসই জোগায় না, ন্যায়ের পথেও চলতে শেখায়।
এই বাংলাদেশ আমাদের সবার। স্বাধীনতাকে রক্ষা করা আমাদের সবার পবিত্র দায়িত্ব। সবাই মিলে কাজ করলে বিশ্বের মানচিত্রে এই বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারব- যোগ করেন বিমানবাহিনীর প্রধান।
নৌবাহিনীপ্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান বলেন, আসুন, পারস্পরিক সহনশীলতার মাধ্যমে দেশকে আরো শক্তিশালী করি। শ্রীকৃষ্ণ যেন সমাজে ন্যায় ও আলোর সত্য প্রজ্জ্বলিত করেন।
পরে প্রদীপ প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে তিন বাহিনীর প্রধান জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পলাশীর মোড় থেকে শুরু হয় জন্মাষ্টমীর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি রাজধানীর বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে শেষ হবে।
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, বাংলাদেশে সবার অধিকার সমান। এই দেশে ধর্ম ও বর্ণের কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। আমরা সবাই সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রেখে চলছি, ভবিষ্যতেও চলব। শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, এই দেশে শত শত বছর ধরে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান, পাহাড়ি বাঙালি, উপজাতি—সবাই মিলে আমরা অত্যন্ত শান্তিতে সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আজকের এই দিনে আমাদের অঙ্গীকার হবে সম্প্রীতির এই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ আমরা সবসময় বজায় রাখব এবং একসঙ্গে সবাই শান্তিতে সুন্দরভাবে বসবাস করব। এখানে কোনো ধর্ম-জাতি, বর্ণ-গোত্রের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। এই দেশ সবার। সবাই আমরা এই দেশের নাগরিক। প্রতিটা অধিকার আমাদের, সবার সমান অধিকার এবং সেভাবেই আমাদের সামনের সোনালি দিনগুলো দেখতে চাই।
সেনাপ্রধান বলেন, এখানে নৌবাহিনীর প্রধান ও বিমানবাহিনীর প্রধান আছেন। সারাদেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন আছে। আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকব। এক হয়ে আপনাদের সঙ্গে কাজ করে যাব।
তিনি আরও বলেন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ুক। এই আদর্শের ভিত্তিতে আমরা সুন্দরভাবে এই দেশে একসঙ্গে বসবাস করব। অনুষ্ঠানে বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান বলেন, শ্রীকৃষ্ণের শিক্ষা শুধু অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসই জোগায় না, ন্যায়ের পথেও চলতে শেখায়।
এই বাংলাদেশ আমাদের সবার। স্বাধীনতাকে রক্ষা করা আমাদের সবার পবিত্র দায়িত্ব। সবাই মিলে কাজ করলে বিশ্বের মানচিত্রে এই বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারব- যোগ করেন বিমানবাহিনীর প্রধান।
নৌবাহিনীপ্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান বলেন, আসুন, পারস্পরিক সহনশীলতার মাধ্যমে দেশকে আরো শক্তিশালী করি। শ্রীকৃষ্ণ যেন সমাজে ন্যায় ও আলোর সত্য প্রজ্জ্বলিত করেন।
পরে প্রদীপ প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে তিন বাহিনীর প্রধান জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পলাশীর মোড় থেকে শুরু হয় জন্মাষ্টমীর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি রাজধানীর বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে শেষ হবে।
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ০১:২৯
১৬ আগস্ট, ২০২৫ ২০:৫৪
১৬ আগস্ট, ২০২৫ ২০:৩১
১৬ আগস্ট, ২০২৫ ২০:২৩
১৫ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:৪৭
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আওয়ামী লীগ কর্মী সন্দেহে তিনজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন উপস্থিত ছাত্রজনতা। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সময় এক ব্যক্তি ভিডিও কলে কাউকে পরিস্থিতি দেখাচ্ছিলেন। ভিডিও কলে অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তির ফোনের ক্যামেরায় শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দেখা গেলে উপস্থিত ছাত্রজনতা ক্ষুব্ধ হয়ে ওই ব্যক্তিকে মারধর করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। ছাত্রজনতার দাবি, আটক ব্যক্তির নিজের ফোনেও শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি পাওয়া গেছে।
তারা আরও জানান, গতকাল শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দলীয় নেতাকর্মীদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থান নিতে বলেছেন। তাই আওয়ামী লীগ কর্মীরা যাতে কোনো অঘটন ঘটাতে না পারেন, সে জন্য তারা সেখানে অবস্থান নিয়েছিলেন।
এর কিছুক্ষণ পর রাত ৯টার দিকে একই স্থানে আরও দুজনকে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে কেন তাদের আওয়ামী লীগ কর্মী বলা হচ্ছে, তা স্পষ্টভাবে কেউ জানাতে পারেননি। ঘটনার সময় উপস্থিত জনতা ‘আওয়ামী লীগের দালাল হুঁশিয়ার’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, এখান থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের ফোন চেক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যদি নির্দোষ হন, ছেড়ে দেওয়া হবে; আর দোষী প্রমাণ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী। এ বছর তার মৃত্যুবার্ষিকীতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কোনো কর্মসূচি পালন করবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। নেতাকর্মীরা নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশে জড়ো হতে পারেন, এমন শঙ্কা থেকে ছাত্রজনতা ৩২ নম্বরে নজর রাখছেন।
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আওয়ামী লীগ কর্মী সন্দেহে তিনজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন উপস্থিত ছাত্রজনতা। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সময় এক ব্যক্তি ভিডিও কলে কাউকে পরিস্থিতি দেখাচ্ছিলেন। ভিডিও কলে অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তির ফোনের ক্যামেরায় শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দেখা গেলে উপস্থিত ছাত্রজনতা ক্ষুব্ধ হয়ে ওই ব্যক্তিকে মারধর করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। ছাত্রজনতার দাবি, আটক ব্যক্তির নিজের ফোনেও শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি পাওয়া গেছে।
তারা আরও জানান, গতকাল শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দলীয় নেতাকর্মীদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থান নিতে বলেছেন। তাই আওয়ামী লীগ কর্মীরা যাতে কোনো অঘটন ঘটাতে না পারেন, সে জন্য তারা সেখানে অবস্থান নিয়েছিলেন।
এর কিছুক্ষণ পর রাত ৯টার দিকে একই স্থানে আরও দুজনকে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে কেন তাদের আওয়ামী লীগ কর্মী বলা হচ্ছে, তা স্পষ্টভাবে কেউ জানাতে পারেননি। ঘটনার সময় উপস্থিত জনতা ‘আওয়ামী লীগের দালাল হুঁশিয়ার’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, এখান থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের ফোন চেক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যদি নির্দোষ হন, ছেড়ে দেওয়া হবে; আর দোষী প্রমাণ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী। এ বছর তার মৃত্যুবার্ষিকীতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কোনো কর্মসূচি পালন করবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। নেতাকর্মীরা নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশে জড়ো হতে পারেন, এমন শঙ্কা থেকে ছাত্রজনতা ৩২ নম্বরে নজর রাখছেন।
১৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:১১
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ আগামী সপ্তাহে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে প্রকাশ করা হবে। তিনি আরও বলেন, তবে কোন পদ্ধতিতে রোডম্যাপ হবে, তা পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রসঙ্গে ইসি সচিব জানান, এ বিষয়ে আরও আলোচনা বাকি আছে। আলোচনার পর সাংবাদিকদের অবহিত করা হবে। তিনি আরও জানান, নির্বাচনী পর্যবেক্ষণের জন্য এখন পর্যন্ত ৩১৮টি আবেদন পেয়েছে কমিশন, যা যাচাই-বাছাই চলছে।
প্রবাসী ভোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ পদ্ধতিটা কীভাবে হবে, তা নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। এই বিষয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন আছে। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোডম্যাপে কী কী বিষয় থাকবে, তা রোডম্যাপেই আপনাদের আমরা জানিয়ে দেব।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ আগামী সপ্তাহে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে প্রকাশ করা হবে। তিনি আরও বলেন, তবে কোন পদ্ধতিতে রোডম্যাপ হবে, তা পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রসঙ্গে ইসি সচিব জানান, এ বিষয়ে আরও আলোচনা বাকি আছে। আলোচনার পর সাংবাদিকদের অবহিত করা হবে। তিনি আরও জানান, নির্বাচনী পর্যবেক্ষণের জন্য এখন পর্যন্ত ৩১৮টি আবেদন পেয়েছে কমিশন, যা যাচাই-বাছাই চলছে।
প্রবাসী ভোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ পদ্ধতিটা কীভাবে হবে, তা নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। এই বিষয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন আছে। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোডম্যাপে কী কী বিষয় থাকবে, তা রোডম্যাপেই আপনাদের আমরা জানিয়ে দেব।
১৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:৩২
রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় চার সন্তানের মা এক নারীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ওই গৃহবধূর নাম ফাহমিদা তাহসিন কেয়া (২৫)। ওই নারী পশ্চিম শেওড়াপাড়ার শামীম সরণির ৩২২ নম্বর মেট্রো পিলারের উল্টো পাশে ৫৮৩ অনামিকা কনকর্ড অ্যাপার্টমেন্টে স্বামী-সন্তান নিয়ে থাকতেন।
নিহতের পরিবার ও স্বজনদের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী সিফাত আলী (৩০) স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর কৌশলে ফোনকল করে স্বজনদের জানিয়ে পালিয়ে গেছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে থাকা এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা এইমাত্র ঘটনাস্থলে এসেছি। সরেজমিন করবো। মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে শুনেছি। মৃত্যুর কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। তবে স্বামী পলাতক।’
নিহত নারীর ফুফু সৈয়দা ফাতেমা জাহান কলি জানান, বুধবার দিনগত রাত ২টার দিকে সিফাত তার শাশুড়ি নাজমা বেগমকে ফোন করে জানান- ‘কেয়া খুবই অসুস্থ। আপনারা বাসায় আসেন।’ কী হয়েছে জানতে চাইলে সিফাত একপর্যায়ে স্বীকার করেন যে ‘কেয়া আর বেঁচে নেই’।
এরপর নাজমা বেগম স্বামীসহ দ্রুত ওই বাসায় পৌঁছান। তারা সেখানে গিয়ে দেখেন সিফাত কেয়াকে নিয়ে পান্থপথের বিআরবি হাসপাতালে যাচ্ছেন। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর চিকিৎসকরা কেয়াকে মৃত ঘোষণা করলে সিফাত সেখান থেকে উধাও হয়ে যান।
পরে নাজমা বেগম ও তার স্বামী বাসায় ফিরে দেখেন, সিফাত বাসায় তালা দিয়ে পালিয়ে গেছেন। নিহত কেয়ার বাবা রফিকুল ইসলাম জানান, সিফাত খুবই বদমেজাজি। সন্তানদের সামনেই কেয়ার সঙ্গে খারাপ আচরণ ও তাকে মারধর করতো। সে নিজে কিছু করে না। পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে ভাইবোনের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব চলছিল। তার দাবি, এরই বলি হয়েছে কেয়া।
তিনি বলেন, ‘কেয়ার চার সন্তান। এক মেয়ে ও তিন ছেলে। এরমধ্যে বড় মেয়েটি ভিকারুননিসা স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। কয়েকদিন আগে কেয়া ফোন করে বলছিল, সে আর পারছে না, সংসার করবে না, একেবারে ফিরে আসতে চাইছিল। আমরাই বুঝিয়ে তাকে আটকেছি। ভুল করেছি, আজ তার খেসারত মেয়েটা দিয়ে গেলো!’
তিনি আক্ষেপ করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ছোট ছোট নাতি-নাতনিদের এখন কী হবে? আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। গলায় দাগ দেখেছি। সুস্থ মানুষ হঠাৎ এভাবে মারা যাবে এমনটা হতে পারে না। সিফাত কেন পালাবে?’
ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত সিফাতের বাবা দীর্ঘদিন ধরে হংকংয়ে থাকেন এবং সিফাতের মা অনেক আগেই মারা গেছেন। মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাত রোমান জানান, গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর খবরে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে।
মরদেহ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে আছে। সেখানে সুরতহাল করা হবে। এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা এখনো স্পষ্ট নয়। সুরতহাল, ময়নাতদন্ত ও ঘটনার পুলিশি তদন্তে মৃত্যুরহস্য স্পষ্ট হবে। সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি সাজ্জাদ।
রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় চার সন্তানের মা এক নারীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ওই গৃহবধূর নাম ফাহমিদা তাহসিন কেয়া (২৫)। ওই নারী পশ্চিম শেওড়াপাড়ার শামীম সরণির ৩২২ নম্বর মেট্রো পিলারের উল্টো পাশে ৫৮৩ অনামিকা কনকর্ড অ্যাপার্টমেন্টে স্বামী-সন্তান নিয়ে থাকতেন।
নিহতের পরিবার ও স্বজনদের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী সিফাত আলী (৩০) স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর কৌশলে ফোনকল করে স্বজনদের জানিয়ে পালিয়ে গেছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে থাকা এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা এইমাত্র ঘটনাস্থলে এসেছি। সরেজমিন করবো। মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে শুনেছি। মৃত্যুর কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। তবে স্বামী পলাতক।’
নিহত নারীর ফুফু সৈয়দা ফাতেমা জাহান কলি জানান, বুধবার দিনগত রাত ২টার দিকে সিফাত তার শাশুড়ি নাজমা বেগমকে ফোন করে জানান- ‘কেয়া খুবই অসুস্থ। আপনারা বাসায় আসেন।’ কী হয়েছে জানতে চাইলে সিফাত একপর্যায়ে স্বীকার করেন যে ‘কেয়া আর বেঁচে নেই’।
এরপর নাজমা বেগম স্বামীসহ দ্রুত ওই বাসায় পৌঁছান। তারা সেখানে গিয়ে দেখেন সিফাত কেয়াকে নিয়ে পান্থপথের বিআরবি হাসপাতালে যাচ্ছেন। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর চিকিৎসকরা কেয়াকে মৃত ঘোষণা করলে সিফাত সেখান থেকে উধাও হয়ে যান।
পরে নাজমা বেগম ও তার স্বামী বাসায় ফিরে দেখেন, সিফাত বাসায় তালা দিয়ে পালিয়ে গেছেন। নিহত কেয়ার বাবা রফিকুল ইসলাম জানান, সিফাত খুবই বদমেজাজি। সন্তানদের সামনেই কেয়ার সঙ্গে খারাপ আচরণ ও তাকে মারধর করতো। সে নিজে কিছু করে না। পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে ভাইবোনের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব চলছিল। তার দাবি, এরই বলি হয়েছে কেয়া।
তিনি বলেন, ‘কেয়ার চার সন্তান। এক মেয়ে ও তিন ছেলে। এরমধ্যে বড় মেয়েটি ভিকারুননিসা স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। কয়েকদিন আগে কেয়া ফোন করে বলছিল, সে আর পারছে না, সংসার করবে না, একেবারে ফিরে আসতে চাইছিল। আমরাই বুঝিয়ে তাকে আটকেছি। ভুল করেছি, আজ তার খেসারত মেয়েটা দিয়ে গেলো!’
তিনি আক্ষেপ করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ছোট ছোট নাতি-নাতনিদের এখন কী হবে? আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। গলায় দাগ দেখেছি। সুস্থ মানুষ হঠাৎ এভাবে মারা যাবে এমনটা হতে পারে না। সিফাত কেন পালাবে?’
ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত সিফাতের বাবা দীর্ঘদিন ধরে হংকংয়ে থাকেন এবং সিফাতের মা অনেক আগেই মারা গেছেন। মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাত রোমান জানান, গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর খবরে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে।
মরদেহ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে আছে। সেখানে সুরতহাল করা হবে। এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা এখনো স্পষ্ট নয়। সুরতহাল, ময়নাতদন্ত ও ঘটনার পুলিশি তদন্তে মৃত্যুরহস্য স্পষ্ট হবে। সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি সাজ্জাদ।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.